০৪. নায়ক সহায়

নায়ক সহায় কথন
পীঠমর্দ্দ বিট বলি চেটক বিদূষক। এই সব ভেদ হয় বিস্তর নায়ক।।

পীঠমর্দ্দ
রমণী করিলে ক্রোধ যে করে সান্ত্বনা। ধর্ম্মধী সচিব পীঠমর্দ্দ সেই জনা।।

রমণীরত্ন সহে না আঁচ : টুটয়ে অগ্নি পরশে কাঁচ : করিতে মান দিবে না স্থান দিবে না স্থান।
কি করে ক্ষোভ সহে আমার : অবলাজাতি মৃদু আকার : জ্বলয়ে বহ্নি নহে সে মান নহে সে মান।।
রস তাপে হিমে বিনাশ পায় : তপনে তাপ শুকায়ে যায় : রসিয়ে মান রবে কোথায় রবে কোথায়।
প্রমদা বন্ধন সংসারেরি : প্রমদা আকার আহ্লাদেরি : সতত রাখহ সুযত্নে তায় সুরত্ন প্রায়।।

বিট
কালশাস্ত্রে যেই জন পরমনিপূণ। বিট বলি তার নাম ধরে নানাগুণ।।

চুমু আলিঙ্গন : কামের দীপন : মন্ত্র তন্ত্র আদি যত।
যাহে নারী বশ : যাহে বাড়ে রস : এমত জানিবা কত।।
বেশভূষা বাস : সন্দেহ সম্ভাষ : নৃত্য গীত নানামত।
ফিরি নানা ঠাঁই : আর কর্ম্ম নাই : আমার এই সতত।।

চেটক
সন্ধান চতুর যেই সময় ঘটক। কবিগণ তার নাম বলয়ে চেটক।।

যখন বিরলে পাব : তখন নিকটে যাব : যদি ক্রোধে গালি দেয় তবু সহে রহিব।
নয়নের ভঙ্গি করি : ফল কিম্বা ফুল ধরি : চারি চক্ষে এক হলে ইসারায় কহিব।।
স্নানেতে যখন যায় : ধরিতে বসন তায় : কৌতুকে কুম্ভীর হয়ে জলে ডুবি রহিব।
দুঃখ বিনা নহে সুখ : দেখিতে সে চাঁদমুখ : গ্রীষ্ম হিম বৃষ্টি বাতে পরাঙ্মুখ নহিব।।

বিদূষক
কিবা রোষে কিবা তোষে যার পরিহাস। বিদূষক তার নাম হাস্যের বিলাস।।

চন্দন কজ্জল রাগ : বদনে যে দেখ রাগ : অপমান এই দেখ মুখে কালীচূণ লো।
দেখ দেখ শোভে কিবা : চাঁদে আলো হেন দিবা : দোহাই দোহাই তোর প্রাণ মোর যায় লো।।
করিয়া পরীক্ষা যদি : রসের তরঙ্গ নদী : দুই জনে ডুবি আইস কে হয় নিপুণ লো।
আপনি দোষের ঘর : পরীক্ষা করিতে ডর : আমার মাথায় দোষ এতো বড় গুণ লো।।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *