রামের জনম শুনি, নাচেন সকল মুনি,
দণ্ড কমণ্ডলু করি হাতে।
স্বর্গে নাচে দেবগণ, মর্ত্ত্যে নাচে মর্ত্ত্যজন,
হরিষে নাচিছে দশরথে।।
শ্রীদেবযানীর সঙ্গে, নাচিছেন ব্রহ্মা রঙ্গে,
শচী সঙ্গে নাচে শচীপতি।
স্থাবর জঙ্গম, আর সবে নাচে চমৎকার,
উল্লাসিত নাচে বসুমতী।।
দিব্য দিব্য আভরণ, পরি যত নারীগণ,
চলি যায় অনেক সুন্দরী।
চলি যায় রাজপথে, শ্রীরামের নিরখিতে,
সম্মুখেতে নাচে বিদ্যাধরী।।
রত্নের প্রদীপ জ্বলে, পুরী পূর্ণা কোলাহলে,
কৌশল্যা হইল পুত্রবতী।
গগনমণ্ডলে থাকি, দেবগণ বলে ডাকি,
জয় জয় জয় রঘুপতি।।
জন্মিলেন নারায়ণ, বধিবারে দশানন,
দেবেরে করিতে অব্যাহতি।
ইহা শুনে যেই জন, কিম্বা করে অধ্যয়ন,
ভবমুক্ত হয় সেই কৃতী।।
বৈকুণ্ঠ করিয়া শূণ্য, প্রকাশিতে নরপুণ্য,
অবতীর্ণ পূর্ণ ভগবান।
রচিল যে কৃত্বিবাস, পূর্ণ করি অভিলাষ,
বন্দিয়া সে বাল্মীকি পুরাণ।।
বুকমার্ক করে রাখুন 0
« পূর্ববর্তী:
« ৪৩. ভরত, লক্ষ্মণ ও শত্রুঘ্নের জন্ম-বিবরণ
« ৪৩. ভরত, লক্ষ্মণ ও শত্রুঘ্নের জন্ম-বিবরণ
Leave a Reply