০৯.রাজবিদ্যারাজগুহ্যযোগ

নবম অধ্যায়ঃ রাজবিদ্যারাজগুহ্যযোগ

ভগবান উবাচ
ইদম্‌ তু ত্বম্‌ গুহ্যতমম্‌ প্রবক্ষামি অনসুয়বে ।
জ্ঞানম বিজ্ঞান সহিতম্‌ যত্ জ্ঞাত্বা মোক্ষস্যে অশুভাত ।।১
অর্থ-ভগবান বললেন হে অর্জুন নিমত্সর বলে তোমাকে আমি পরম বিজ্ঞান সমন্বিত সব চেয়ে গোপনীয় জ্ঞান উপদেশ করছি সেই জ্ঞান প্রাপ্ত হয়ে তুমি দুঃখ্যময় সংসার থেকে মুক্ত হও।

রাজবিদ্যা রাজগুহ্যম পবিত্রম্‌ ইদম্‌ উত্তমম্‌ ।
প্রত্যক্ষ অবগমম্‌ ধর্মম্‌ সুসুখম্‌ কর্তুম্‌ অব্যয়ম্‌ ।।২
অর্থ-এই জ্ঞান সমস্ত বিদ্যার রাজা সমস্ত গুজ্যতত্ত্ব থেকেও গুহ্যতর অতি গুহ্যতর অতি পবিত্র এবং প্রতক্ষ্যরুপে আত্ত্ব উপলব্ধি প্রদান করে বলে প্রকৃত ধর্ম। এই জ্ঞান অব্যয় এবং সুখসাধ্য।

অশ্রদ্দধ্যানঃ পুরুষাঃ ধর্মস্য অস্য পরন্তপ ।
অপ্রাপ্য মাম্‌ নিবর্তন্তে মৃত্যু সংসার বর্ত্মনি ।।৩
অর্থ-হে পরন্তপ যে সমস্ত জীবের শ্রদ্ধা উদিত হয়নি, তারা এই পরম ধর্মরুপ ভগবত্ভক্তি লাভ করতে অসমর্থ হয়ে এই জড় জগতে জন্ম মৃত্যুর আবর্তে পতিত হয়।

ময়া ততম্‌ সর্বম্‌ জগত্ অব্যক্ত মুর্ত্তিন ।
মত্স্থানি সর্বভূতানি ন চ অহম্‌ তেষু অবস্থিত ।।৪
অর্থ-অব্যক্ত রুপে আমি সমস্ত জগতে ব্যাপ্ত আছি। সমস্ত জীব আমাতেই অবস্থিত কিন্তু আমি তাতে অবস্থিত নই।

ন চ মত্স্থানি ভূতানি পশ্য মে যোগমৈশ্বরম ।
ভূতভৃত্ ন চ ভূতস্থঃ মম আত্মা ভূতভাবনঃ ।।৫
অর্থ-যদিও সব কিছুই আমারই সৃষ্ট তবুও তারা আমাতে অবস্থিত নয়। আমার যোগৈশ্বর্য্য দর্শন কর। যদিও আমি সমস্ত জীবের ধারক এবং যদিও আমি সর্বব্যাপ্ত তবুও অমি সমস্ত সৃষ্টির উত্স।

যথা আকাশস্থিতঃ নিত্যম্‌ বায়ু সর্বত্রগঃ মহান ।
তথা সর্বানি ভূতানি মত্স্থানি ইতি উপধারয় ।।৬
অর্থ-মহান বায়ু যেমন সর্বত্র বিচর শীল হওয়া সত্তেও সর্বদা আকাশে অবস্থান করে তেমনই জগত্ আমাতে অবস্থান করে।

সর্বভূতানি কৌন্তয় প্রকৃতিম্‌ যান্তি মামিকাম্‌ ।
কল্পক্ষয়ে পুনঃ তানি কল্পদৌ বিসৃজামি অহম্‌ ।।৭
অর্থ-হে-কৌন্তেয় কল্পান্ত সমস্ত জড় বস্তু আমারই প্রকৃতে প্রবেশ করে,এবং পুনরায় কল্পারম্ভে প্রকৃতির দ্বারা আমি তাদের সৃষ্টি করি।

প্রকৃতিম্‌ স্বাম্‌ অবষ্টভ্য বিসৃজইম পুনঃ পুনঃ ।
ভূতগ্রামম্‌ ইমম্‌ কৃত্স্নম্‌ অবশম্‌ প্রকৃতেঃ বশাত্ ।৮।
অর্থ-হে-কৌন্তেয় কল্পান্ত সমস্ত জড় বস্তু আমারই প্রকৃতে প্রবেশ করে,এবং পুনরায় কল্পারম্ভে প্রকৃতির দ্বারা আমি তাদের সৃষ্টি করি।

ন চ মাম্‌ তানি কর্মানি নিবধ্‌নন্তি ধনঞ্জয় ।
উদাসীনবত্ আসিনম্‌ অসক্তম্‌ তেষু কর্মষু ।।৯
অর্থ-হে ধনঞ্জয় সেই সমস্ত কর্ম আমাকে আবদ্ধ করতে পারে না। আমি সেই সমস্ত কর্মে অনাসক্ত ও উদাসিনের ন্যায় অবস্থিত থাকি।

ময়া অধ্যক্ষেন প্রকৃতিঃ সুয়তে সঃ চরাচরম্‌ ।
হেতুনা অনেন কৌন্তেয় জগত্ বিপরিবর্ততে ।।১০
অর্থ-হে কেন্তেয় আমার অধ্যক্ষতার দ্বারা ত্রিগুনাত্তিকা মায়া এই চরাচর বিশ্ব সৃষ্টি কও। প্রকৃতির নিয়মে এই জগত্ পুনঃ পুনঃ সৃষ্টি হয় এবং ধংস হয়।

অবজানন্তি মাম্‌ মূঢ়া মানুষীম্‌ তনুম্‌ আশ্রিতম্‌ ।
পরম ভাবম্‌ অজানন্তঃ মম্‌ ভূত মহেশ্বরম্‌ ।।১১
অর্থ-আমি যখন মানুষ রুপে অবতীর্ন হই,মুর্খেরা আমাকে অবজ্ঞা করে তারা আমার পরম ভাব সম্বন্ধে অবগত হন না, এবং তারা আমাকে সর্বভূতের মহেশ্বর বলে জানে না।
মোঘশাঃ মোঘকর্মানঃ মোঘজ্ঞানা বিচেতসঃ ।
রাক্ষসীম্‌ আসুরীম্‌ চ এব প্রকৃতিম্‌ মোহিনীম্‌ শ্রিতাঃ ।।১২
অর্থ-এই ভাবে যারা মোহচ্ছন্ন হয়েছে তারা রাক্ষসী বা আসুরী ভাবের প্রতি আকৃষ্ট হয়। সেই মোহছন্ন অবস’ায় তাদেরও মুক্তি লাভের আশা, তাদের স্বকাম কর্ম এবং জ্ঞানের প্রয়াস সমস্তই ব্যর্থ হয়।

মহাত্মনঃ তু মাম্‌ পার্থ দৈবীম্‌ প্রকৃতিম্‌ আশ্রিতাঃ ।
ভজন্তি অনন্যমনসঃ জ্ঞাত্বা ভূত আদিম্‌ অব্যয়ম্‌ ।১৩
অর্থ-হে পার্থ মোহযুক্ত মহাত্মাগন আমার দৈবী প্রকৃতি আশ্রয় করেন। তারা আমাকে সর্বভূতের কারন ও অবিনাশী জেনে অনন্য চিত্তে ভজনা করেন।

সততম্‌ কীর্তয়ন্ত মাম্‌ যতন্তঃ চ দৃঢ়ব্রতাঃ ।
নমস্যন্তঃ চ মাম্‌ ভক্তা নিত্যযুক্ত উপাসতে ।।১৪
অর্থ-ব্রহ্মচর্য্যাদি ব্রতে দৃঢ়নিষ্ট ও যত্নশীল হয়ে সেই ভক্তরা সর্বদা আমার মহিমা কির্তন করে এবং সর্বদা ভক্তি পুর্বক আমার উপসনা করেন।

জ্ঞানযজ্ঞেন চ অপি অন্যে যজন্তঃ মাম্‌ উপাসতে ।
একত্যেন পৃথক্তেন বহুধা বিশ্বতমুখম্‌ ।।১৫
অর্থ-অন্য কেউ কেউ জ্ঞান যজ্ঞের দ্বারা, অভেদ চিন্তাপুর্বক, কেউ কেউ বহুরুপে প্রকাশিত ভেদ চিন্তাপুর্বক, এবং অন্য কেউ আমার বিশ্বরুপের, উপসনা করে।

অহম্‌ ক্রতুঃ অহম্‌ যজ্ঞঃ স্বধা অহম্‌ অহম্‌ ঔষধম্‌ ।
মন্ত্র অহম্‌ অহম্‌ এব আজ্যম্‌ অহম্‌ অগ্নিঃ অহম্‌ হুতম্‌ ।।১৬
অর্থ-আমি অগ্নিষ্টোম আদি শ্রৌত যজ্ঞ আমি বৈশ্যদেব আদি স্মার্ত যজ্ঞ,আমি পিত্রিপুরুষদের উদ্বেশ্যে কর্ম,আমি রোগ নিবারক ভেষজ, আমি মন্ত্র, আমি হোমের ঘৃত,আমি হোমাগ্নি এবং আমিই হোমক্রিয়া।

পিতা অহম্‌ অস্য জগতঃ মাতা ধাতা পিতামহঃ ।
বেদ্যম্‌ পবিত্রম্‌ ওঙ্কার ঋক সাম্‌ যজুঃ এব চ ।।১৭
অর্থ-আমিই জগতের পিতামাতা সর্ব প্রাণীর কর্মফল প্রানদাতা এবং পিতামহ ঋক সাম এবং যজুঃ (বেদসমুহ)।

গতিঃভর্তা প্রভূ সাক্ষী নিবাসঃ শরনম্‌‌ সুহৃত্ ।
প্রভবঃ প্রলয়ঃ স্থানম্‌ নিধানম্‌ বীজম্‌ অব্যয়ম্‌ ।।১৮
অর্থ-আমি সকলের গতীভর্তা প্রভু সাক্ষীনিবাস শরণ,সুহৃদ, উত্পত্তি, নাশ,স্থিতি, হেতু এবং অব্যয় বীজ।

তপামি অহম্‌ অহম্‌ বর্ষম্‌ নিগৃহ্নামি উত্সৃজামি চ ।
অমৃতম্‌ চ এব মৃত্যুঃ চ সত্ অসত্ চ অহম অর্জুন ।।১৯
অর্থ-হে অর্জুন আমি তাপএবং আমি বিষ্টি, আমি জল বর্ষনকারী ও জল আকর্ষন করি; আমি অমৃত এবং আমি মৃত্যু; আমি সত্ত্বা এবং সত্ত্বাহীন।

ত্রৈবিদ্যা মাম্‌ সোমপাঃ পুত পাপাঃ
যজ্ঞৈঃ ইষ্টা সর্গতিম্‌ প্রার্থয়ন্তে ।
তে পুন্যম্‌ আসাদ্য সুরেন্দ্র লোকম
অশ্নন্তি দিব্যান দিবি দেবভোগান ।।২০

তে তম ভূক্তা সর্গ লোকম্‌ বিশালম্‌
ক্ষীনে পুন্যে মর্ত্যলোকম্‌ বিশন্তি ।
এবম্‌ ত্রয়ী ধর্মম্‌ অনুপ্রপন্না
গতাগতম্‌ কাম কামাঃ লভন্তে ।।২১
অর্থ-ত্রিবেদ যজ্ঞগন যজ্ঞ অনুষ্ঠান দ্বারা আমাকে আরাধনা করে যজ্ঞাবশিষ্ঠ সোমরস পান করে পাপ মুক্ত হন এবংস্বর্গ কামনা করেন। তারা পুন্য কর্মের ফল স্বরুপ ইন্দ্র লোকলাভ কওে দিব্য স্বর্গসুখ উপভোগ করেন। তারা সেই বিপুলস্বর্গলোক উপভোগ করে পুন্য ক্ষয় হলে আবার মর্তলোকে ফিরে আসেন। এই ভাবে ত্রিবেদক্ত ধর্মের অনুষ্ঠান করে ইন্দ্রিয় ভোগ আকাঙ্খি মানুষেরা সংসারে জন্ম মৃর্ত্যর আবর্তে আবর্তিত হয়।

অনন্যাঃ চিন্তয়ন্তঃ মাম্‌ যে জনাঃ পর্যুপাসতে।
তেষাম্‌ নিত্য অভিযুক্তানাম্‌ যোগক্ষেমম্‌ বহামি অহম্‌ ।।২২
অর্থ-অনন্য চিত্তে আমার চিন্তায় মগ্নহয়ে যারা আমার উপসনা করে আমি তাদের সমস্ত অভাব পুরন করি এবং তাদের প্রাপ্ত বস্তু সংরক্ষণ করি।

যে অপি অন্য দেবতা ভক্তাঃ যজন্তে শ্রদ্ধায়ান্বিতাঃ ।
তে অপি মাম্‌ এব কৌন্তেয় যজন্তি অবিধিপুর্বকম্‌ ।।২৩
অর্থ- হে কৌন্তেয় যারা ভক্তি পুর্বক অন্য দেবতাদের পূজা করেন তারাও অবিধি পুর্বক আমারই পূজা করেন।

অহম্‌ হি সর্ব যজ্ঞানাম্‌ ভোক্তা চ প্রভূঃ এব চ ।
ন তু মাম্‌ অভিজানন্তি তত্ত্বেন অতঃ চ্যবন্তি তে ।।২৪
অর্থ-আমিই যজ্ঞের ভোক্তা ও প্রভূ। যারা আমার চিন্ময় স্বরুপ জানেনা তারা আবার সংসার সমুদ্রে অধোপাতিত হয়।

যান্তি দেবব্রতা দেবান পিতৃন যান্তি পিতৃব্রতা ।
ভূতানি যান্তি ভূতেজাঃ যান্তি মত্ যাজিনঃ অপি মাম্‌ ।।২৫
অর্থ-দেবতাদের উপাসকেরা দেবলোক প্রাপ্ত হবেন; যারা ভূত প্রেতাদির উপাসক তারা ভূত লোকই লাভ করে; যারা পিত্রী পুরুষদের উপাসক, তারাঅনিত্য পিত্রি লোক লাভ কওে;এবং যারা আমার উপাসনা কওে, তারা আমাকেই লাভ করে।

পত্রম্‌ পুস্পম্‌ ফলম্‌ তোয়ম্‌ যঃ মে ভক্তাঃ প্রযচ্ছতি ।
তত্ অহম্‌ ভক্ত্যুপহৃতম্‌ অশ্নামি প্রযতাত্মনঃ ।।২৬
অর্থ-যে বিশুদ্ধ চিত্ত নিস্কাম ভক্ত আমাকে ভক্তি পুর্বক পত্র, পুস্প, ফল ও জল অর্পন করেন,আমি তার সেই ভক্তি প্লুত উপহার প্রীতি সহকারে গ্রহন করি।

যত্ করোষি যত্ অশ্নাসি যত্ জুহোসি দদাসি যত্ ।
যত্ তপস্যসি কৌন্তেয় তত্ কুরুম্ব মত্ অর্পনম্‌ ।।২৭
অর্খ-হে কৌন্তেয় তুমি যা অনুষ্ঠান কর, যা আহার কর, যা হোম কর, যা দান কর এবং যে তপস্যা কর, সেই সমস্তই আমাকেই অর্পন কর।

শুভ অশুভ ফলৈঃ এবম্‌ মোক্ষ কর্ম বন্ধনৈঃ ।
সন্ন্যাস যোগ যুক্তাত্মা বিমুক্ত মাম্‌ উপৈষসি ।।২৮
অর্থ – এই ভাবে আমাকে সমস’ কর্ম অর্পন দ্বারা শুভ এবং অশুভ ফল বিশিষ্ট কর্মের বন্ধন থেকে মুক্ত হবো। এই ভাবে সন্নাস যোগে যুক্ত হয়ে তুমি মুক্ত হবে এবং আমাকেই প্রাপ্ত হবে।

সমঃ অহম্‌ সর্বভূতেষু ন মে দ্বেষ্য অস্তি ন প্রিয়ঃ ।
যে ভজন্তি তু মাম্‌ ভক্তা ময়ি তে তেষু চ অপি অহম্‌ ।।২৯
অর্থ-আমি সকলের প্রতি সমভাবাপন্ন। কেউ আমার প্রিয় নয় ও অপ্রিয়ও নয়। কিন্তু যারা ভক্তি পুর্বক আমাকে ভজনা করেন তারা সভাবতই আমাতে অবস্থান করেন, অমিও তাদের হৃদয় বাস করি।

অপি চেত্ সুদুরাচারঃ ভজতে মাম্‌ অনন্যভাক্‌ ।
সাধু এব সঃ মন্তব্যঃ সম্যক ব্যবসিতঃ হি সঃ ।।৩০
অর্থ-অতি দুরাচারি ব্যাক্তিও যদি অনন্য ভক্তি সহকারে আমাকে ভজনা করেন, তাকে সাধুবলে মনে করবে, কারন তিনি যথার্থ মার্গে অবস্থিত।

ক্ষিপ্রম্‌ ভবতি ধর্মাত্মা শশ্বত্ শান্তিম্‌ নিগচ্ছতি ।
কৌন্তেয় প্রতিজানিহী ন মে ভক্তঃ পনশ্যতি ।।৩১
অর্থ-তিনি শিগ্রই ধর্ম আত্মায় পরিনত হয় এবং শান্তি লাভ করেন। হে কৌন্তেয় আমার ভক্ত কখনও বিনষ্ট হয় না, সে কথা দৃঢ় কন্ঠে ঘোষনা করে দাও।

মাম্‌ হি পার্থ ব্যপাশ্রিত্য যে অপি স্যু পাপযোনয় ।
স্ত্রিয়ঃ বৈশ্যাঃ তথা শুদ্রাঃ তে অপি যানি- পরাম্‌ গতিম্‌ ।।৩২
অর্থ-হে পার্থ অন-জ ম্লেচ্ছগনও বেশ্যাদি পতিতা স্ত্রীলোকেরা তথা বৈশ্যা শুদ্র প্রভৃতি নিচবর্নস- মানুষেরা আমার অনন্যা ভক্তিকে বিষেশ ভাবে আশ্রয় করলে অবিলম্বে পরাগতী লাভ করে।

কিম পুনঃ ব্রাহ্মণাঃ পুন্যাঃ ভক্তাঃ রজর্ষয় তথা ।
অনিত্যম্‌ অসুখম্‌ লোকম্‌ ইমম্‌ ভজস্ব মাম্‌ ।৩৩।
অর্থ-পুন্যজন্ম ব্রহ্মভক্ত এবংক্ষত্রিয়দের আর কি কথ? তারা আমাকে আশ্রয় করলে নিশ্চয় পরা গতী লাভ করবেন। অতএব যখন এই অনিত্য দুঃখময় মর্ত্তলোকে মনুষ্য দেহ ধারন করেছে, তখন অন্যান্য সমস্ত কর্তব্য ত্যাগ করে আমাকেই ভজনা করে।
মন্মনাঃ ভব মত্ ভক্ত যাজী মাম্‌ নমস্কুরু ।

মাম্‌ এব এষ্যসি যুক্তৈবম্‌ আত্মনম্‌ মত্পরায়ণঃ ।৩৪।
অর্থ-তোমার মনকে আমার ভাবনায় নিযুক্ত করে আমাকে প্রনাম কর এবং আমার পূজাকর। সম্পুর্নরুপে আমাকে আশ্রয করে তুমি অবশ্যই আমাকে লভ করবে।

ওং তত্সদিতি শ্রীমদ্ভগবদ্গীতাসূপনিষত্সু ব্রহ্মবিদ্যাযাং যোগশাস্ত্রে শ্রীকৃষ্ণার্জুনসংবাদে
রাজবিদ্যারাজগুহ্যযোগো নাম নবমোঽধ্যাযঃ ॥৯॥

1 Comment
Collapse Comments
JAHIDUL ISLAM CHOWDHURY April 28, 2016 at 12:51 am

আজ এই পৃথিবীর অন্ধকারে মানুষের হৃদয়ে বিশ্বাস

কেবলই শিথিল হয়ে যায়; তবু তুমি

সেই শিথিলতা নও, জানি, তবু ইতিহাসরীতিপ্রতিভার

মুখোমুখি আবছায়া দেয়ালের মতো নীল আকাশের দিকে

ঊর্ধ্বে উঠে যেতে চেয়ে তুমি

আমাদের দেশে কোণো বিশ্বাসের দীর্ঘ তরু নও।

অসাধারণ লিখুনী।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *