৩. শিশুর উল্লাস

শিশুর উল্লাস
ছেলেদের জীবন

২য় বন্ধু কহিলেন–শিশু উল্লাসে-আনন্দে দেখে বিরক্ত হয়ো না। মানুষ বড় নিষ্ঠুর। শিশুর মুখের হাসি, তার উল্লাস মানুষ সহ্য করতে পারে না তাকে মারতে যায়–কাটতে যায়, দানবের দৃষ্টিতে তার দৃষ্টি নিষ্ঠুর করে তোলে। শিশুর সঙ্গে স্নেহ-মধুর ব্যবহারই ভালো, কারণ ত্রুর দৃষ্টি দেখে, অশ্রদ্ধার ব্যবহার দেখে, কঠিন কথা শুনে-সে ক্রুর দৃষ্টি ফেলতে শেখে, মানুষকে অশ্রদ্ধা করতে শেখে-কঠিন কথা বলতে শেখে। মানুষই শিশুকে খারাপ করে প্রতিনিয়ত অন্যায় করে শিশুকে হারামজাদা, শয়তান, পাজী বলে–তারা নিজে কত বড় নিষ্ঠুর, শয়তান ও হারামজাদা, তা একটুও চিন্তা করে না। যদি নামাজ পড়তে থাক, শিশু যদি নিকটে গোলমাল করতে থাকে তবে দাঁত সিটকিয়ে বললো না–”দূর হ শয়তানের দল, আমি এবাদতে আছি–বিরক্ত করিস না”–যে এমন কথা বলে, তার এবাদত বৃথা। সে জানে না, এবাদত কাকে বলে? সত্যই মানুষ জানে না-এবাদত কাকে বলে। এবাদত তাদের জীবনকে গঠন করে তোলে না, তাদের মনুষ্যত্বকে জাগায় না, তাদের ভালোমন্দ বুঝবার ক্ষমতা দেয় না। অথবা, কোরান পাঠ ও নামাজের উদ্দেশ্যে তাই। শুধু আরত নামাজের উদ্দেশ্যে নয়–এই জন্যই আমরা মৃত্যুর পথে অগ্রসর হচ্ছি। জীবনকে পূর্ণ সর্বাঙ্গসুন্দর বহুমুখী করে তোলবার কোনো চেষ্টা নাই।

যা বলছিলাম-শিশুকে মানুষ করে তোলাও আল্লাহর এবাদত। জ্ঞানের সাধনা, মনুষ্যত্বের সাধনা, আল্লাহর কসম বান্দার সেবা, এ বড়ই এবাদত, এটা ভালো করে মনে করা চাই। বলতে কি, এইটেই আসল এবাদত। প্রাণহীন দেহ যেমন কিছু নয়–প্রাণহীন রোজা নামাজ অর্থাৎ যে রোজা নামাজ জীবনের উপর কোনো কাজ করে না-তা কিছু নয়।

শিশুকে মানুষ করে তোলবার জন্য কত দেশের কত পণ্ডিত কত কথা বলছেন, কত চিন্তা করছেন-তার ইয়ত্তা নেই। বস্তুত এ বিষয়ে মানুষের অনেক কিছু চিন্তা করবার আছেনইলে শিশুকে কিছুতেই বড় করে তোলা যাবে না। শুধু রোজা-নামাজ ছাড়া আর কিছু ভাবনার নেই, চিন্তা করবার নেই, ‘সাধনার আর কিছু নেই–আমল’ এখতেয়ার করবারও প্রয়োজন নেই–এই সর্বনেশে চিন্তার ধারা সমাজের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। কতক গুলি মানুষ রোজা-নামাজের নামে আবৃত্তি করে আল্লাহর বাক্য-তাদের জীবনকে গঠন করে তোলে না।

ছেলেদেরকে কর্মঠ, শক্তিশালী করে গড়ে তোলবার প্রচেষ্টা করা-বাপ মায়ের কর্তব্য। পেছনে দাঁড়িয়ে থেকে, তাদেরকে বিপজ্জনক কাজের মধ্যে ফেলে দাও তাদের শক্তি জাগুক। ননীর পুতুল করে ঘরের মধ্যে ভরে রেখ না–এর ফল খারাপ। যখন তারা পিতৃমাতৃহীন হবে, তখন তাদের দুঃখের শেষ থাকবে না। বেঁচে থাকতেই তোমরা আপন আপন সন্তানের কাছে মরে যাও। মানুষের ভিতরে কত শক্তি, কত টেনশন, কত বৃদ্ধি আছে, তা মানুষ জানে না। অভিভাবকদের সম্বন্ধে হাত রেখে চলবার মত শিশু ছেলেদের জীবন আর নাই। বাপ-মায়ের এই মায়া ছেলেদেরকে আরও বিপন্ন করে। নিষ্ঠুরের মতো তাদেরকে ত্যাগ করো না–পিছনে দাঁড়িয়ে থেকে বল-কাজ হাসিল করে পানির মধ্যে ফেলে দাও–ডুবছে দেখলেই দৌড়ে যেয়ে হাত ধর। তার আগে ধরো না। আপন শক্তিতে সে মাটির সন্ধান করতে পারে কি না দেখ।

শিশু বয়স থেকেই ছেলেদের জীবনকে এমনিভাবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করো না।

ছেলেরা কোনো কাজ করতে যেয়ে যদি কিছু লোকসান করে–দুঃখে করো না, লোকসান ভেব না। মনুষ্যত্ব অর্জন করতে হলে লোকসানই দিতে হবে।

২য় বন্ধু কহিলেন–পরিবারে প্রত্যেকেকে যদি সংসারের উপর অধিকার না দেওয়া যায়, তাদেরকে যদি বুঝতে না দেওয়া যায়–সংসারের উপর তাদেরও দাবি আছে, সে সংসারে কারো মায়া বসে না। কোনো জিনিস নষ্ট হলেও সেদিকে কেউ ফিরে তাকায় না। আমার ঘর আমার দুয়ার আমার ধান–আমার ক্ষেত, এসব না বলাই ভালো–প্রত্যেককে সন্দেহ ও অবিশ্বাস করা, এর ফলে বড়ই খারাপ। শাসনের সংসার অপেক্ষা প্রেমের সংসারই উত্তম। এমন কি, দাস দাসীকেও বুঝতে দিও না–সংসারের সে কেউ নয়। তার সংসারের উপর দাবি নাই। বরং তাকে বুঝতে দাও, যেন সংসারের সুখ-দুঃখ লাভ লোকসান আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে তার বিশেষ যোগ আছে। নিজের মালিক, সংসারের হর্তাকর্তা বিধাতা। তা সবাই জানে–তবু যা ইচ্ছা তাই করতে পার–এই কথা কখনও মুখে প্রকাশ করো না বরং আল্লা যে মানুষগুলির ভার তোমার উপর দিয়েছেন–তাদের জীবনে সুখ ও আনন্দ দেওয়া, তাদের জীবনকে কর্তব্যপরায়ণ এবং সার্থক করে তোলা এইটেই তোমার ভাবা উচিত। Disport এর মতো ব্যবহার করা বড়ই অন্যায়-তাকে কেউ ভালবাসে না–এমন কি পত্নীও তাকে ভালবাসে না। শুধু অর্থ দ্বারা মানুষকে বশীভূত করা যায় না-মানুষ অন্ন চায় এবং তার সঙ্গে সঙ্গে প্রেমও চায়।

১ম বন্ধু–যে পরিবারে দুই পত্নী–সে পরিবারের কখনও শ্রীবৃদ্ধি হয় না-সংসারে কেউ কাউকে ভালবাসে না। বিশ্বাস করে না–প্রত্যেকেই স্বার্থপর হয়।

২য় বন্ধু–কথাটা ঠিক। সতীনকে, সতীনের পুত্রকে কি ভালবাসা যায় না? প্রেমহীন, ধর্মহীনরাই এ আপন, ও নয়, এই কথা ভাবে। বিমাতা বৈমাত্রের ভ্রাতা, এসব কথার কোনো মূল্য নেই। মানুষ শয়তানীভাবে পূর্ণ, এই জন্যেই বিরোধ করে-প্রেম করতে ঝুটা বোধ করে।

.

পত্নীর সম্বন্ধে গাম্ভীর্য রক্ষা

২য় বন্ধু কহিলেন–বন্ধু, যদি পত্নী অশিক্ষিত ও অল্পবয়স্ক হয়, তবে তার সঙ্গে সরলতার প্রসার দিও না। বাক্যে গাম্ভীর্য নষ্ট করো না।

১ম বন্ধু–কেন, যাকে ভালবাসি, তার সামনে গম্ভীর হয়ে থাকা কেমন কথা!

২য় বন্ধু –শুধু ভালবেসে সুখী হয় না–যে ভালবাসা পেতে চায়, যে নারীর মানসিক। শক্তি দৃষ্টি দিতে জানে না,কখন কী ব্যবহার করতে হয়, কী কথা বলতে হয় বোঝে না। সে পত্নী হলেও বন্ধু হবার যোগ্য হয় না। ছেলেরা বড় বড় বই পড়ে, আদর্শ পত্নীর একটা ধারণা করে কার্যক্ষেত্রে সে আদর্শ প্রতিমার সাক্ষাৎ না পেয়ে হাড়ে হাড়ে চটে ওঠে। সমাজের মেয়েগুলিকে আদর্শ পত্নীরূপে গড়ে তুলতে হলে, একটু সংযম এবং গাম্ভীর্য চাই। ছেলেমানুষের সঙ্গে এ রকমটা করলে যেমন তার সর্বনাশ হয় ছেলেমানুষ পত্নীকেও সংযমহীন ব্যবহারের মাথায় তুলে দিলে তার সর্বনাশ হয়–নিজেরও ক্ষতি হয়।

অনবরত বকাবকি করাও ঠিক নয়–তাতে অবোধ মনুষ্য-শিশু বিদ্রোহী হয়। শিশু ও ছেলেমানুষ পত্নী একই কথা। একটুখানি সংযম অভ্যাস কর, একটু রয়ে-সয়ে চল। তার পর ধরা দিও।

কোনো অপরাধ করলেও তা পুনঃপুনঃ আঘাত করো না। আঘাতের দ্বারা কোনো কোনো দোষ সংশোধন হয় না–অন্তরে অন্তরে ক্রমশ দূরে সরে যেতে থাকে। অসন্তুষ্ট নারী কিছু পারুক, আর না পারুক, সন্তানগুলিকে বাপের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী করতে চেষ্টা করে-এ বড় কঠিন কথা।

যাবৎ না নারীচিত্ত সুগঠিতা হয়ে ওঠে, চিত্ত মার্জিত হয়–তাবৎ তাকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, পদে পদে বিড়ম্বনা ভোগ করতে হবে। তার দুঃখে প্রাণ অস্থির হয়ে উঠলেও তাকে বুকে তুলে নেওয়া যাবে না।

নারীচিত্তকে সংস্কৃত করে তুলতে সমাজ যে কেনো সচেষ্ট হয় না, তা বলা যায় না। প্রত্যেকেই জীবনের পরম সৌভাগ্য হতে বঞ্চিত হয়। কিন্তু পরের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে। মেয়েগুলিকে মানুষ করে পরের হাতে সমর্পণ করলে শীঘ্রই সকলে এর ফলভোগ করে, এ, কেউ ভাবতে পারে না।

অযোগ্য ব্যক্তিকে প্রেম করতেও মন লজ্জিত হয়ে ওঠে–নারী যদি অযোগ্য হয় তবে. কে তাকে প্রেম করে? বাইরের সৌন্দর্য যেমন মানুষকে আকর্ষণ করে, অন্তরের রূপও তেমনি মানুষকে মুগ্ধ করে। যে নারীর চিত্তে রূপ নাই, তার শরীরের সৌন্দর্যে সকলেই মুগ্ধ হয় না, হওয়াও ঠিক নয়। মাকাল ফল দেখে পাগল হলে পরিণামে পস্তাতেই হয়।

.

মেয়েদের সাজসজ্জা ও অলঙ্কার

২য় বন্ধু কহিলেন–বন্ধু, সকল নারীই রূপসী তা নয়। তবে সকল নারীই চিত্তের সৌন্দর্য, অলঙ্কার ভূষণে, বস্ত্রসজ্জা, বেশ-বিন্যাসে নয়নান্দময়ী হতে পারে। মেয়েরা যদি সাজ সজ্জায় অমনোযোগী হয়–তাদের জীবনের সেই একটা অপরাধই। কখনও কোনো মেয়ে বেশ-বিন্যাসে অমনোযোগী হবে না।-কথা ও আলাপ নারীর সৌন্দর্য বর্ধন করে–কিন্তু কথা ও আলাপ করবার ক্ষমতা কারো আয়ত্তাধীন নয়–যেটি শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে আপনা আপনি হয়।

১ম বন্ধু–কিরূপ অলঙ্কার, বেশ-বিন্যাসে মেয়েদের শোভা বর্ধন করে?

২য় বন্ধু–শিক্ষিত ভদ্রঘরের মেয়েরা যেমন চলে, অন্য মেয়েদেরও তেমনি চলা উচিত। কাপড় পরনের ধরন, বেণী তোলার ধরন আজকাল বদলে গিয়েছে–মেয়েদের সে সব অনুকরণ করতে হবে। জবরদস্তী করে সাবেক কালের ধরনে চলা ঠিক নয়। পুরোনো কালের অলঙ্কার ভূষণ আজকাল পরলে শিক্ষিতেরা পাগল বলবে এবং ঘৃণা করবে।

মুখের ও শরীরের সৌন্দর্য বর্ধনের সাধনা চাই–একে অবহেলা করলে চলবে না। কেউ কেউ অত্যধিক বেশ-বিন্যাস করলে গণিকা বলে ঠাট্টা করে কিন্তু এ তাদের অন্যায় দোষারোপ। বেশ-বিন্যাস করবার অধিকার যদি কারো থাকে, তা সতী নারীদেরই আছে। বেশ্যারা সাজ-সজ্জা করে বিনা অধিকারে-অন্যায় করে। তাদের সজ্জা করবার, সৌন্দর্য বর্ধন করবার কোনো অধিকার নেই।

১ম বন্ধু–যারা দিনরাত্র কাজকর্ম করে তারা কি সাজ-সজ্জা করবে?

২য় বন্ধু–কাজের সময় কাজ করবে–বেশ বিন্যাসের সময় বিন্যাস করবে। কাজ করে বলে দিবারাত গায়ে কোনো ময়লা মেখে থাকা উচিত নয়। নোংরা থাকা নারী জীবনের একটা অপরাধ। পত্নীর প্রতি পুরুষদের এ বিষয়ে সহানুভূতি থাকা চাই। শিক্ষিত পরিবারে মেয়েদের সাজ-সজ্জা দেখে বাড়ির সবাই আনন্দিত হন–অশিক্ষিত পরিবারে সমালোচনা হওয়া অসম্ভব নয়। কাজ করা লজ্জার বিষয় নয় বরং এতে স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ উপকারের সম্ভাবনা। তবে হৃদয়হীনের মতো দিন রাত্র হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম বধূদের জীবন নীরস, কর্মভারক্লিষ্ট এবং আনন্দহীন করে তোলা অত্যাচার বই আর কিছু নয়। বন্ধুরা কাজও করবে, আনন্দ করবে। শুধু কাজে কি মানুষ বাঁচে? এ জীবন যদি কাজের চাপেই শেষ হয়ে গেল–তবে মানুষ আর একে ভোগ করবে কোন সময়? ভোগের দাবিও যুবক যুবতীর আছে। যৌবনের আশীর্বাদ যতক্ষণ আছে, ততক্ষণ একে ভোগ কর। যৌবনকে বৃথা যেতে দিও না। কারণ জীবনে বসন্ত একবারই আসে–বুড়া হলে মনুষ্য শত চেষ্টাতেও যৌবনের আশীর্বাদ অনুভব করতে পারবে না। যতক্ষণ কুসুমে গন্ধ আছে, ততক্ষণ এর আনন্দ-যৌবনা ভোগ কর-যখন পাতাগুলি বেড়ে যাবে, তখন তার কাউকে বলতে হবে না, মনুষ্য তাকে অবজ্ঞা করে, মাথা না তুলেই চলে যাবে। যুবত যুবতীর প্রেমালাপ দেখে যারা ক্রুদ্ধ হয়, যারা হিংসা করে তারা নিষ্ঠুর। তারা পরস্পরকে ভোগ করুক, তোমরা আনন্দে চেয়ে দেখ–কঠিন দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকিয়ে তাদের জীবনে নিরানন্দ সৃষ্টি করো না–তাদের প্রেমে বাধা দিও না–কার এ জীবন শীঘ্রই শেষ হবে।

১ম বন্ধু–আচ্ছা, মেয়েরা বেশ বিন্যাস করবে। পুরুষেরা কি কুৎসিত থাকবে?

২য় বন্ধু–সন্ন্যাসী যদি হয়, তবে তা বিয়ের আগে হওয়াই উচিত। বিবাহের পর কুৎসিত পরিচ্ছেদে থাকা, খারাপ করে চুল ছাঁটা, বুড়োর মতো মাথা গুঁজে বসে থাকা, এসব। বড় অন্যায়।

পুরুষেরা মেয়েদের সুশ্রী দেখতে চান, মেয়েরাও তেমনি আপন স্বামীকে সুন্দর করে দেখতে চান। ক্ষমতা নাই বলে নারীর সৌন্দর্যবোধের উপর অত্যাচার করা কোনোমতে। ঠিক নয়। স্বামী-স্ত্রীর প্রত্যেকের কর্তব্য নিজেদের রুচি অনুযায়ী চলা অপেক্ষা একজনের

আর একজনের রুচিকে লক্ষ্য করে চলেন। দাম্পত্য জীবনে পরস্পরের প্রতি এই-ই ভদ্রতা। স্বামী, বেশবাস করতে হলে পত্নীকে জিজ্ঞাসা করা দোষের নয়। পত্নীকে নিজের বেশ সম্বন্ধে, অলঙ্কার সম্বন্ধে সম্পূর্ণরূপে স্বামীর উপর নির্ভর করা উত্তম। নিজের ফরমাইস মতো কাপড়-চোপড় সংগ্রহ করা, নূতন নূতন গহনা আমদানি করা কোনোমতেই ঠিক নয়। নিজের রুচিকে তুষ্ট করা অপেক্ষা স্বামীর চক্ষু ও রুচিকে তুষ্ট করতে পারায়, বধূদের পরম গৌরবের বিষয় মনে করা উচিত।

১ম বন্ধু –পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবান না হলেও এরূপ কখনও হয় না।

২য় বন্ধু –স্বামী স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা তো থাকা চাই। দয়া করে বিবাহ, ছোট বাড়িতে বিবাহ, শিক্ষিত-অশিক্ষিতার বিবাহ-এগুলি মোটেই ভালো নয়।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *