• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • নতুন সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • পুরানো সব ক্যাটাগরি
  • My Account →
  • নতুন সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • পুরানো সব ক্যাটাগরি
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

একাদশীর রাঁচি যাত্রা

লাইব্রেরি » নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় » টেনিদা সমগ্র » টেনিদার গল্প » একাদশীর রাঁচি যাত্রা

একাদশীর রাঁচি যাত্রা

টেনিদা বললে, আমার একাদশী পিসেমশাই—

আমি বললুম, একাদশী পিসে! সে আবার কী রকম?

–কী রকম আর? হাড়কঞ্জুস। খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে লোকে নাম করে না–একাদশী বলে। কালকে সন্ধেবেলায় তিনি রাঁচি গেলেন।

বললুম, ভালোই করলেন। রাঁচি বেশ জায়গা। হুডরু আছে, জোনা ফলস আছে। আমরা একবার ওখান থেকে নেতার হাট

বাধা দিয়ে টেনিদা বললে, তুই থাম না–কুরুবক কোথাকার। একটা কথা বলতে গেলেই বকবকানি শুরু করে দিবি। একাদশী পিসে ওসব হুডরু-জোনা-নেতার হাট কিছু দেখতে যাননি। তিনি গেছেন কাঁকেতে।

কাঁকে?–আমি চমকে বললুম, সেখানে তো

আমার পিঠে প্রকাণ্ড একটা থাবড়া বসিয়ে টেনিদা বললে, ইয়াহ–এতক্ষণে বুঝেছিস। সেখানে পাগলাগারদ। তোর নিজের জায়গা কিনা, তাই কাঁকে বলবার সঙ্গে সঙ্গেই খুশি হয়ে উঠলি!

আমি ব্যাজার মুখে বললুম, মোটেই না, কাঁকে কক্ষনো আমার নিজের জায়গা নয়। বরং বলটুদা বলছিল, তুমি নাকি চিড়িয়াখানার গাব্বে হাউসে দিন কয়েক থাকার কথা ভাবছ।

–গাব্বে হাউস?-খাঁড়ার মতো নাকটাকে আকাশে তুলে টেনিদা বললে, কে বলেছে? বলটু? ওই নাট-বলটুটা?

হুঁ । সে কাল আমায় আরও জিজ্ঞেস করছিল, কী রে প্যালা তোদের টেনিদার ল্যাজটা ক’ইঞ্চি গজাল?

 টেনিদা খানিকক্ষণ গুম হয়ে রইল। তারপর বললে, অলরাইট। ফুটবলের মাঠে একবার বলটেকে পেলে আমি দেখিয়ে দেব।

আমি ভালোমানুষের মতো বললুম, সে তোমাদের ব্যাপার–তোমরা বুঝবে। কিন্তু একাদশী পিসের কথা কী বলছিলে?

টেনিদা দাঁত খিঁচিয়ে বললে, থাম–ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ করিসনি। দিলে মেজাজ চটিয়ে এখন বলছে একাদশী পিসের কথা বলো। বলব না-ভাগ।

কিন্তু টেনিদার মেজাজ কী করে ঠাণ্ডা করতে হয় সে তো জানি। তক্ষুনি মোড় থেকে এক ঠোঙা তেলেভাজা কিনে আনলুম। আর গরম গরম আলুর চপে কামড় দিয়েই টেনিদা একেবারে জল হয়ে গেল।

-প্যালা, ইউ আর এ গুড বয়।

আমি বললুম, হুঁ।

–এই জন্যেই আমি তোকে এত ভালবাসি।

–সে তো দেখতেই পাচ্ছি।

–হাবুল সেন আর ক্যাবলাটার কিচ্ছু হবে না।

আমি বললুম, হবেই না তো। এই গরমের ছুটিতে আমাদের ফেলে–একটা গেল মামাবাড়িতে আম খেতে, আর একটা মা বাবার সঙ্গে বেড়াতে গেল শিলঙে। বিশ্বাসঘাতক।

টেনিদা বেগুনি চিবুতে চিবুতে বললে, বল–ট্রেটর। ওতে জোর বেশি হয়।

বললুম, মরুক গে, ওদের কথা ছাড়ো। কিন্তু তোমার সেই একাদশী পিসে

-ইয়েস-একাদশী পিসে। টেনিদা বললে, তাঁর কথাই বলতে যাচ্ছিলুম তোকে। আমার ঠিক রিয়েল পিসে নন–মার যেন কী রকম খুড়তুতো দাদামশাইয়ের মাসতুতো ভাইয়ের মামাতো শ্বশুরের

আমি ঘাবড়ে গিয়ে বললুম, থাক, এতেই হবে। মানে তিনি তোমার পিসেমশাই–এই তো?

হাঁ, পিসেমশাই। বাঁকুড়ায় উকিল। খুব পশার-বুঝলি? বাড়ি-গাড়ি, বিস্তর টাকা। এক ছেলে পঞ্জাবে ইঞ্জিনিয়ার, আর এক ছেলে যেন কোথায় প্রফেসারি করে। মানে এত পয়সাকড়ি যে এখন পিসে ইচ্ছা করলে সব ছেড়ে বসে বসে গড়গড়া টানতে পারেন। কিন্তু ওসবে একাদশী পিসের সুখ নেই। খালি টাকা টাকা–টাকা। কিন্তু তার একটা পয়সা খরচ করতে হলে তাঁর পাঁজরা ভেঙে যায়।

কী করেন তা হলে টাকা দিয়ে?

-কেন, ব্যাঙ্কে জমান। একটা কানাকড়িও তোলেন না তা থেকে। বলেন–গুরুর আদেশ। গুরু নাকি বলে দিয়েছেন ব্যাঙ্কের জমানো টাকা কখনও তুলতে নেই, তাতে পাপ হয়।

-সত্যিই ওঁর গুরু আছে নাকি?

-ঘোড়ার ডিম, সব বানানো। ওঁদের কে এক কুলগুরু নাকি একবার কিছু প্রণামীর আশায় ওঁর বাড়িতে এসেছিলেন–একাদশী পিসে মোটা একখানা আইনের বই নিয়ে তাঁকে এমন তাড়া লাগালেন যে গুরুদেব এক ছুটে বাঁকুড়ার বর্ডার পেরিয়ে একেবারে মানভূম–মানে পুরুলিয়া ডিসট্রিক্টে চলে গেলেন।

–ডেনজারাস!

-ডেনজারাস বলে ডেনজারাস! বাড়িতে লোকজন টেকে না–ঝি-চাকর আসে, কিন্তু মোটা মোটা চালের আধপেটা ভাত, আধপোড়া দু-একখানা রুটি, খোসাসুদ্ধ কড়াইয়ের দাল আর ডাঁটার চচ্চড়ি দিন তিনেক খেয়েই তারা বাপরে–মা-রে বলে ছুটে পালায়। যাওয়ার আগে যদি মাইনে চায়, একাদশী পিসে বলেন, মাইনে! চুক্তি ভঙ্গের দায়ে এক্ষুনি তোদের নামে এক নম্বর ঠুকে দেব।

পিসেমশাইয়ের বাড়িতে গোরু আছে, দুধও হয় কিন্তু দুধ পিসেমশাই কাউকে খেতে দেন না–বলেন, ও তো শিশুর খাদ্য। দুধ তিনি বিক্রি করেন। ঘি? আরে রামো–কোন ভদ্রলোকে ঘি খায়? এক সের তেলে তাঁর বাড়িতে ছমাস রান্না হয়। মাংস? পিসে বলেন, ছিঃ জীবহিংসা করতে নেই।

আমি জিজ্ঞেস করলুম, পরের বাড়িতে গিয়ে তিনি মাংস খান না?

–খাবেন না কেন? পেলেই খান। কিন্তু জীব-হিংসের পাপ তো অন্যের। পিসের কী দোষ?

-আর মাছ?

হুঁ, মাছ একটু অবিশ্যি না হলে তাঁর খাওয়া হয় না। দুটো ছোট-ছোট শিঙিমাছ আনলে তাঁর মাসখানেক চলে যায়।

–সে কী।

টেনিদা মিটমিট করে হাসল : বুঝতে পারছিস না? মাছ দুটোকে হাঁড়িতে জিইয়ে রাখা হয়। আর রোজ সকালে পিসেমশাই একখানা দাড়ি কামানোর ব্লেড দিয়ে সেই মাছদের ল্যাজ থেকে–এই মনে কর–আধ ইঞ্চির কুড়ি ভাগের এক ভাগ কেটে নেন।

আমি একটা বিষম খেলুম : কত বললে?

–আধ ইঞ্চির কুড়ি ভাগের এক ভাগ।

কাটতে পারে কেউ? ইমপসিবল!

–তুই ইমপসিবল বললেই হবে? যে-লোক ওভাবে পয়সা জমাতে পারে সে সব পারে। এমন ভাবে কাটেন যে মাছ দুটো টেরও পায় না–পরদিন সে ল্যাজ আবার গজিয়ে যায়। আর সেই ল্যাজের কাটা টুকরোটা দিয়ে এক বাটি ঝোল রান্না করে খান একাদশী পিসে–বলেন, শিঙিমাছের ঝোল খুব বলকারক।

আমি বললুম, তাতে আর সন্দেহ কী! কিন্তু মাছ দুটো মরে গেলে?

–বাড়িতে বিরাট ভোজ। সবাই সেদিন ঝোলে আঁশটে গন্ধ পায়। তারপর সাত দিন আর মাছ আসে না। পিসে বলেন–এত মাছ খাওয়া হয়েছে, এগুলো আগে হজম হোক!

–তা এখন পিসে হঠাৎ কাঁকে গেলেন কেন?

–আরে যেতে কি আর চেয়েছিলেন? তাঁকে যেতে হল। সেই কথাই বলি।

… এখন হয়েছে কী জানিস? সারা জীবন ওই কড়াইয়ের দাল আর ডাঁটা চচ্চড়ি খেতে-খেতে শেষকালে পিসিমা গেলেন দারুণ চটে।–ওদিকে টাকায় শেওলা জমে গেল, এদিকে আমরা না খেয়ে মরি! বিদ্রোহ করলেন পিসিমা।

বিদ্রোহ!

–তা ছাড়া আর কী! সামনা-সামনি কিছু বললেন না, কিন্তু চমৎকার প্ল্যান আঁটলেন একটা। পিসে তো কড়াইয়ের দাল, চচ্চড়ি আর তাঁর সেই মাছ খেয়ে নিয়মিত কোর্টে চলে যান। আর পিসিমা কী করেন? তক্ষুনি চাকরকে বাজারে পাঠান-গলদা চিংড়ি, ইলিশ, মাছ, পাকা পোনা, ভাল মাংস, ডিম এইসব আনান। সেগুলো তখন রান্না হয়, পিসিমা খান, ঝি-চাকর খায়–বাড়িতে যে-দুটো মড়াখেকো বেড়াল ছিল তারা দেখতে-দেখতে তেল-তাগড়া হয়ে যায়।

আমি বললুম, এ কিন্তু পিসিমার অন্যায়। পিসেকে ফাঁকি দিয়ে

টেনিদা রেগে বললে, কিসের অন্যায়? পিসে যদি কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা রোজগার করেও না খেয়ে শিটকে হয়ে থাকেন–সে তাঁর খুশি। তাই বলে পিসিমা কষ্ট পেতে যাবেন কেন? আর অনেক দিনই ডাঁটা-চচ্চড়ি চিবিয়েছেন, চিবুতে চিবুতে দাঁতই পড়ে গেছে গোটাকয়েক, শেষ বয়সে ইচ্ছে হবে না একটু ভালোমন্দ খাবার?

–তা বটে।

-এইভাবেই বেশ চলে যাচ্ছিল। পিসেমশাই কিছুই টের পেতেন না। কেবল মধ্যে-মধ্যে বেড়াল দুটোর দিকে তাকিয়ে তাঁর মনে একটা কুটিল সন্দেহ দেখা দিত। পিসিমাকে জিজ্ঞেস করতেন, বেড়াল দুটো কী খাচ্ছে-টাচ্ছে বলো তো? এত মোটা হচ্ছে কেন? পিসিমা ভালোমানুষের মতো মুখ করে বলতেন, ওরা আজকাল খুব ইঁদুর মারছে–তাই। ও–ইঁদুর মারছে। শুনে পিসেমশাই খুব খুশি হতেন, বলতেন, ইঁদুর মারা খুব ভালো, ও ব্যাটারা ধান-চাল, কলাইটলাই খেয়ে ভারি লোকসান করে।

সবই তো ভালো চলছিল, কিন্তু সেদিন হঠাৎ

আমি জিজ্ঞেস করলুম, হঠাৎ?

–পিসেমশাই কোর্টে গিয়ে দেখলেন–কে মারা গেছেন, কোর্ট বন্ধ। একটু গল্প-গুজব করে, পরের পয়সায় দু-একটা পান-টান খেয়ে বেলা বারোটা নাগাদ হঠাৎ বাড়ি ফিরলেন তিনি। ফিরেই তিনি স্তম্ভিত! এ কী! সারা বাড়ি যে মাছের কালিয়ার গন্ধে ম-ম করছে। মাছের মুড়ো দিয়ে সোনামুগের ডালের সুবাসে বাতাস ভরে গেছে যে! এ তিনি কোথায় এলেন কার বাড়িতে এলেন! জেগে আছেন, না স্বপ্ন দেখছেন।

দরজায় গাড়ি থামার শব্দে ওদিকে তো পিসিমার হাত-পা পেটের ভেতর ঢুকে গিয়েছিল। কিন্তু পিসিমা দারুণ চালাক আর মাথাও খুব ঠাণ্ডা। তিনি এক গাল হেসে বললেন, এসো এসো। তুমি যাওয়ার পরেই তোমার এক মক্কেল-কী নাম ভুলে গেছি প্রকাণ্ড একটা রুইমাছ, ভালো সোনামুগের ডাল আর ফুলকপি পাঠিয়ে দিয়েছে। তাই রান্না করছিলুম।

অ–মক্কেল। পিসেমশাই একটু আশ্বস্ত হলেন কিন্তু তারপরেই আঁতকে উঠে বললেন, কিন্তু তেল, ঘি? মশলা-পাতি?

সব সে পাঠিয়ে দিয়েছিল।

তাই নাকি? তাই নাকি? তা হলে খুব ভালো–পিসেমশাইয়ের বোঁচা গোঁফের ফাঁকে একটু হাসি দেখা দিল : আমি ভাবতুম, মক্কেলগুলো সব বে-আক্কেলে–এর দেখছি একটু বুদ্ধি-বিবেচনা আছে। তা কোথাকার মক্কেল বললে? কী নাম?

নাম তো ভুলে গেছি।–পিসিমা বুদ্ধি খাটিয়ে বললেন, বোধহয় সোনামুখীর কোনও লোক। তিনি জানতেন সোনামুখীতে পিসের কিছু মক্কেল আছে।

সোনামুখী?–ভুরু কুঁচকে ভাবতে লাগলেন পিসে।

পিসি বললেন, হয়েছে হয়েছে, এখন তোমায় আর অত আকাশ-পাতাল ভাবতে হবে না। কত লোকের মামলা জিতিয়ে দিয়েছ, কে খুশি হয়ে দিয়ে গেছে, ও নিয়ে মাথা ঘামালে চলে? এখন এসো–মুড়িঘণ্টের ডাল আর মাছের কালিয়া দিয়ে দুটো ভাত খাও।

বাড়ি গন্ধে ভরাট–তাতে মাথা খারাপ হয়ে যায় পিসেমশাইয়ের পেটও চুঁই চুঁই করছিল। তবু একটু মাথাটা চুলকে বললেন, বামুনের ছেলে, এক সূর্যিতে দুবার ভাত খাব?

ভাত না খেলে। মাছই খাও একটু।

তা হলে ভাতও দাও দুটো। শুধু মাছে কি আর– পিসে ভেবে-টেবে বললেন, আর মক্কেলই তো খাওয়াচ্ছে–ওতে দোষ হবে না বোধহয়।

পিসিমা বললেন, না-কোনও দোষ হবে না।

অগত্যা পিসে বসে গেলেন। কিন্তু ডাল থেকে মুড়ো তুলে মুখে দিয়েই হঠাৎ একটা আর্তনাদ করলেন তিনি।

এ যে যজ্ঞির রামা।

পিসিমা বললেন, পরের পয়সায় তো।

কিন্তু কয়লা পুড়ল যে।

পিসিমা বললেন, কয়লা তো পোড়াইনি। চাকর দিয়ে শুকনো ডাল-পালা কুড়িয়ে আনিয়েছি।

কিন্তু কিন্তু-হাঁড়ি-ডেকচিগুলো?–বুকফাটা চিৎকার করলেন পিসেমশাই।

সেগুলো আগুনে পুড়ল না এতক্ষণ? ক্ষতি হল না তাতে? তারপর মাজতে হবে না? আরও ক্ষয়ে যাবে না সেজন্যে?–বলতে বলতে পিসেমশাই ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠলেন : গেল–আমার এত টাকার হাঁড়ি-ডেকচি ক্ষয়ে গেল আর কাঁদতে কাঁদতে ঠাস করে পড়ে গেলেন। পড়েই অজ্ঞান।

 জ্ঞান হল বারো ঘণ্টা পরে। চোখ লাল–খালি ভুল বকছেন। থেকে-থেকে কঁকিয়ে কেঁদে উঠছেন :গেল–গেল–আমার হাঁড়ি-ডেকচি গেল।

ডাক্তার এসে বললেন, দারুণ শক পেয়ে পাগল হয়ে গেছে। রাঁচি পাঠিয়ে দেখুন–ওরা যদি কিছু করতে পারে।

তাই একাদশী পিসে কাঁকে চলে গেলেন। হয়তো ছমাস পরে ফিরবেন। এক বছর পরেও ফিরতে পারেন। আর নইলে পাকাপাকিভাবে থেকেও যেতে পারেন ওখানে। রাঁচির জল হাওয়ায় ভালোই থাকবেন আর মধ্যে মধ্যে হাঁড়ি-ডেকচির জন্যে কান্নাকাটি করবেন।

আমি বললুম, আচ্ছা টেনিদা, এখন একাদশী পিসি কী করবেন? বেশ নিশ্চিন্তে রোজ রোজ মাছ-মাংস-পোলাও-পায়েস খাবেন তো?

টেনিদা বললে, ছি প্যালা–তুই ভীষণ হার্টলেস।

আমি চুপ করে রইলুম। তেলেভাজার ঠোঙা শেষ হয়ে গিয়েছিল, একটা ল্যাজ-ন্যাড়া নেড়ী কুত্তার গায়ে সেটা ছুঁড়ে দিয়ে টেনিদা আমার কানে কানে বললে, এখন মানে যদ্দিন পিসে কাঁকেতে থাকে এই সময় বাঁকুড়ায় বেড়াতে যাওয়া যায়, না রে? যাবি তুই আমার সঙ্গে?

পরমানন্দে মাথা নেড়ে আমি বললুম, নিশ্চয়–নিশ্চয়।

Category: টেনিদার গল্প
পূর্ববর্তী:
« একটি ফুটবল ম্যাচ
পরবর্তী:
কাঁকড়াবিছে »

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বাংলা লাইব্রেরি : উল্লেখযোগ্য বিভাগসমূহ

লেখক ও রচনা

অনুবাদ সাহিত্য

সেবা প্রকাশনী

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

কোরআন

হাদিস

ত্রিপিটক

মহাভারত

রামায়ণ

পুরাণ

গীতা

বাইবেল

বিবিধ রচনা

বাংলা ওসিআর

Download Bangla PDF

হেলথ

লাইব্রেরি – ফেসবুক – PDF

top↑