১.৪ ঢাকা মেল থামল

ঢাকা মেল থামল। স্টেশনের নাম শুনে চমকে উঠল মেঘনাদ। হকচকিয়ে উঠল লীলা। ঘুমচোখে দৌড়চ্ছে কুলিরা। অল্প কয়েকজন প্যাসেঞ্জার নামল। লীলার পায়ের কাছ থেকে চোখ রগড়ে উঠে পড়ল ছেলেটা। বলল, নামতে হবে। এই তো আপনাদের ইস্টিশন গো।

মেঘনাদের মনে হল, তার রক্তস্রোত বন্ধ হয়ে গেছে। পাথরের মতো ভারী আর শক্ত মনে হচ্ছে নিজেকে। সেই পাথরের সামান্য এক ছিদ্র দিয়ে তীব্র ব্যথার বিষবাষ্প নির্গত হচ্ছে। গন্তব্য এসেছে। নামতে হবে। কিন্তু উঠতে পারছে না।

কুলি এল, মাল নামল। ছেলেটাও ধরে ধরে প্ল্যাটফরমে জড়ো করল কিছু কিছু জিনিস। লীলা কাপড় গুছিয়ে ঘোমটা দিল। ঘোমটা খসল আবার। তারপর ধাক্কা দিল মেঘনাদের গায়ে। ঝামটা দিয়ে উঠল, কী ঢং হচ্ছে বসে বসে। নামতে হবে না?

বলে মেঘনাদের হাত ধরে টানল। টানতে হল না। পাথর আপনি উঠে পড়ল। এখনও হালকা অন্ধকার। সেই অন্ধকারে নিশ্চল ছেড়া ছেড়া মেঘ দেখা যায় আকাশে। যেন ওরা এসেছে মেঘনাদের সঙ্গে সঙ্গে সেই ধলেশ্বরীর ধার থেকে। এসে দাঁড়িয়েছে মাথার উপর। এখনও মিটমিট করছে নক্ষত্র। লাইট জ্বলছে স্টেশনে। পূর্বদিকটা ঘোলাটে সাদা দেখাচ্ছে।

দুটি লোক এসে দাঁড়াল তাদের কাছে। একজন হাফ প্যান্ট-পরা, গায়ে মোটা ময়লা জীর্ণ খাকি হাফ শার্ট। পায়ে মোটর-টায়ার কাটা স্যান্ডেল। ঝাকড়া ঝাকড়া কালো কোঁকড়ানো চুল। গায়ের রং কালো। মোটা মোটা শিরাবহুল শক্ত হাত পা। সঙ্গের লোকটি অবাঙ্গালি। কদমমছাট চুল, মাথায় বড় টিকি। পরনে নীল প্যান্ট, গায়ে ছেঁড়া গেঞ্জি। কিন্তু খালি পা।

তারপর পরস্পর চোখাচোখি করে আবার এদের দিকে তাকাল। লীলা ঠায় তাকিয়েছিল হাফ প্যান্ট পরা লোকটির দিকে। তারপর হঠাৎ বলে উঠল। তুই বিজা না?

বিজা, অর্থাৎ বিজয়। সে অমনি হেসে উঠে বলল, হ্যাঁ। তুই তো দিদি। আমি শালা চিনতেই পারছিলাম না।

শালা বলে একটু যেন সঙ্কুচিত হল বিজয়। ভাই বোন পরস্পরকে তাকিয়ে দেখল। তারপর বিজয় তাকাল মেঘনাদের দিকে। জীবনে দু একবার দেখেছে সে তার ভগ্নীপতিকে। তাইতেই। আন্দাজ করে নিল। কিন্তু লোকটার মুখ দেখে হঠাৎ মুখ খুলতে সাহস হয় না। সাহস হয়, কিন্তু বলার কিছু নেই যেন। যেন একটা প্রকাণ্ড চেহারার গ্রাম্য চাষা ধুতি পাঞ্জাবি পরে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। বিস্মিত বোকাটে চাউনি। খানিকটা গোঁয়ার ভাব।

লীলা বলল, তোর বোনাই, চিনতে পারিস।

বিজয় চুলে একটু ঝাঁকানি দিয়ে বলল, খু-উ-ব।

লীলা আবার বলল, বাবা, মা, অন্তে, তিলি, সব ভাল আছে।

বিজয় ঠোঁট উলটে বলল, আর ভাল। দাদা মরে গেছে অনেকদিন, সে খবর তো পেয়েছিলি। আর অন্তে বানচোত…

থেমে গেল বিজয়। গালাগালটা বোধ হয় ঠিক হল না। কিন্তু মুখ দিয়ে আপনি বেরিয়ে পড়েছে। অভ্যাসের ব্যাপার। বলল, অন্তে বাড়ি থাকে না, হপ্তা শেষে কিছু দেয়। বসনা (বসন্ত) কোথায় পালিয়ে গেছে, কেউ জানে না। তিলির তো বিয়ে হয়নি। বাবা তো সারাদিন পড়ে থাকে, মা ঝগড়া করে। আমি বিয়ে করেছি, তুই তো জানিস।

বিজয় বলে আর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লীলার গায়ের গহনা দেখে। লীলা খুশি হয়েছে কিনা বোঝ গেল না। কিন্তু কৌতূহল বেড়ে উঠল। সে আরও কী জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিল। বিজয় বলল, চল। কথা পরে হবে। ছটা বাজে। আমাকে আবার কলে যেতে হবে।

লীলা ভূ কোঁচকাল। বলল, কল কী?

বিজয় বলল, কল আবার কী? চটকলে, মানে কারখানায়। হাজিরা দিতে হবে না? বোন বোনাই বড়লোক হলে কী হবে। হাজিরাবাবু তো শালা ছাড়বে না। বলে মেঘনাদের দিকে চেয়ে বিজয় হাসল। মেঘনাদ তার সেই রক্তচোখে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে বিজয়ের দিকে। হাসি নেই। মুখে। শালাকে কোনও কুশল জিজ্ঞাসা নেই। সেও দেখছে। যেন ভাববার চেষ্টা করছে, কোথায় এসেছে। কাদের কাছে এসেছে। সে যে তার সবই নিয়ে এসেছে। এখানে হাল ধরে পাল তুলে দিতে এসেছে তার সপ্তডিঙার। তা ছাড়া বিজয়কে সে প্রথম দেখেছিল অনেক ছোট। তখন অবিকল লীলার মতোই দেখতে ছিল। মাথায় কালো কোঁকড়ানো পরচুলা পরিয়ে দিলেই একেবারে মিলে যেত হয়তো।

অনেক বছর পর দেখা। আজ অনেক সংশয় ও শঙ্কা। অবিশ্বাসও যে নেই তা নয়। বিশ্বাস করাটাই মেঘনাদের জীবনধর্ম। কিন্তু লীলা তার জীবনে বয়ে এনেছে এক বিরাট সংশয়। বিজয় লীলারই ভাই। আজ লীলারই লীলাক্ষেত্রে এসেছে সে নিজের লীলা ব্যক্ত করতে। এখানে তাকে মন পাততে হবে। ঘট পাততে হবে লক্ষ্মীঠাকরুনের। টাটে বসাতে হবে সিদ্ধিদাতা গণেশ। দেহ। খাটাতে হবে। এই বয়সে আর একবার তাকে ভাসাতে হবে ডিঙা। সে সাহস তার আছে। কিন্তু বিশ্বাস। জীবনে অনেক মার খেয়েছে সে। তবু অনেকের বিশ্বাস বন্ধুত্ব ছাড়া মানুষ কবে সামনে এগুতে পেরেছে। একলা নয়, দোকলা চাই। দোকলা নয়, অনেককে চাই।

তাই সে দেখছে বিজয়কে। চোয়াল ঊচনো খাঁটিয়ে মানুষ। জাহাজের খালাসির মতো দেখতে তার শালা। কলকাতা এখান থেকে কতদূর, কে জানে? কিন্তু বিজয়কে দুরের মানুষ মনে হল না যেন। অর্থাৎ শালা তার কলকাতার মানুষ হয়ে যায়নি। কথায় কথায় মুখ খারাপ করা, সেটা তো মানুষ তার পরিবেশের মধ্যে রপ্ত করে। সংশয়ের মধ্যে, অনেক যন্ত্রণার মধ্যেও মনটা একটু আশ্বস্ত হতে চাইছে। তবুও হাসতে পারল না সে। হাসে সে অল্পই। চওড়া বুকটার অন্তস্রোতে যখন ঢল নামে হাসির তখনও মুখে তার কোনও ঢেউ খেলে না।

লীলাও খুঁটিয়ে দেখল তার ভাইকে। কথাগুলি আর ঠিক সেই ধলেশ্বরী পারের সোনাদুলির চরের মতো নেই। সেই সুর, সেই ভাষা। কেমন যেন অচেনা। এমনকী মানুষটাও। লুব্ধ দৃষ্টি। ছন্নছাড়া, হতভাগ্য, স্টেশনের কুলি যেন তার ভাই। সিরাজদিঘার হাটে বাজারে মাঝে মাঝে এ রকম লোক দেখা যেত। ভিনদেশি লোক সব। হাট বাজারের কানাচ দিয়ে গাঁয়ে ঢুকে মেয়েদের চোখ ইশারা করত। তারা সব ঢাকা নারায়ণগঞ্জ শহরের ভবঘুরে বদমাইস। কেমন চোয়াড়ে আর শহুরে। গায়ের জামাটাও ঠিক তেমনি। যেন তেলচিটে বালিশের ময়লা খেরো কাপড়। অনেক সময়, মেঘনাদের কর্মচারীদেরও এ রকম দেখতে হয়। বিজয়ের পাশের লোকটিকে দেখিয়ে বলল, এটি কে রে?

বিজয় বলল, আমার বন্ধু চউথি। এক সঙ্গে কাজ করি। তোদের জন্য কাল রাত থেকে আমরা দু জন স্টেশনে রয়েছি। মাইরি, আবার এই ভোরবেলা কাজ…।

চউথিও তাকিয়ে ছিল লীলার দিকে। চোয়াড়ে মুখ, বোঁচা নাক আর পাতলা গোঁফ। গায়ে এতগুলি সোনার গহনা দেখে সে একটু বেশি বিনীত হয়ে উঠেছে। সে নাক কুঁচকে হেসে, প্রায় সেলুট করার ভঙ্গিতে হাত তুলে বলল, রাম রাম হো বড়ে বহিন।

ও মা। বলে কী রে। বলে খিল খিল করে হেসে উঠল লীলা। সে হাসিতে, শহরতলীর এ রাতভোরের স্টেশনটা একটু চমকাল। চাওয়ালা এদিকে তাকিয়ে হেঁকে উঠল, গরম চা…।

চউথি আর একবার হাসল। সে হাসিতে নাক কুঁচকে চোখ দুটো পর্যন্ত ঢেকে গেল। পাতলা এবড়ো-খেবড়ো গোঁফজোড়া কাঁপতে লাগল একটু একটু। রীতিমতো একটা তত্ত্ব ব্যাখ্যা করার মতো ভাব করে সে বলল, মানে, ইসকা মানে এদি হেতি হ্যায় কি

বিজয় বলল, থাক। তোমাকে আর মানে বোঝাতে হবে না। ছটা বাজল বলে। বাঁশি বাজলে। আর রক্ষে নেই। এবার নে তো, মালগুলি তোল। কই জামাইবাবু আসুন।

মেঘনাদ চমকে উঠল। হ্যাঁ, যেতে হবে। গাড়িটা চলে গেছে। যাত্রীশূন্য হয়ে যাচ্ছে স্টেশনটা। তাদের ঘিরে আছে কয়েকটা কুলি। যদিও কয়েকটা কুলির মাল নেই মোটেই। মাল কিছু নিয়েছে বিজয়, কিছু চউথি, সামান্য সেই ছেলেটা।

বিজয় ঘুরে বলল, আরে? মিস্টার চালিস সায়েব যে? তুই ওটা নিচ্ছিস কেন?

লীলা ভ্রূ বাঁকিয়ে বলল, ওমা, তুই এটাকে চিনিস নাকি?

বিজয় বলল, চিনিনে আবার? থেকে থেকে উনি যে উদয় হন আমাদের এদিকে।

বলিস কীরে। ও যে সেই জাহাজটা থেকে আমাদের সঙ্গে।

তাই তো আসে। কখনও গোয়ালন্দ, কখনও খুলনা নয় তো বরশেল। বলে, চাকরি খুঁজতে। এসেছি। নাম দেখছ না, বলে মিস্টার চালিস। পাক্কা ফেরেববাজ ছেলে বাবা । আবার গান গায়, পেট বাজিয়ে ভিক্ষে করে।

হেসে হেসে ঢলে ঢলে পড়ল লীলা। দু জন টিকিট কালেক্টর হাসল পরস্পরের দিকে তাকিয়ে। একটা কুলি বলল, রং মে হ্যায়।

রং নয়। হাসিটা স্থান কাল পাত্র মানে না লীলার। কোনওদিনই মানেনি। বিজয় বলল, এবার ছাড়ো তত বাবা মালটি। যাও, কেটে পড়ো।

মেও যে মানুষ একটি কথা বলেনি। লীলার দিকে তাকিয়ে বলল, চারটে পয়সা দিবেন না গো ঠাকরুন, মালটা পৌঁছে দিতাম।

ভেংচে উঠল বিজয়, না কত্তা, যেতে পারেন আপনি। শালা খচ্চড়—

চউথি বলল, টেটিয়া ছোঁকরা।

মালটা ছিনিয়ে নিতে গেল বিজয়। আর চালিস তার হলদে চোখ দুটো ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে রইল লীলার দিকে। অর্থাৎ, ছাড়তে বললেই ছেড়ে দেবে যেন।

লীলা বলল, চার পয়সায় কী হবে তোর?

চালিস ঠোঁট উলটে বলল, এই একটু চা—

লীলা চোখ ঘুরিয়ে বলল, তার পরে দেশে ফিরে যাবি আবার?

বিজয় বিস্মিত ও বিরক্ত হল। দিদি তার গল্প জুড়ে দিল এ ছেলেটার সঙ্গে? শহর জায়গা তো চেনে না। তাই শালুক চিনেছে গোপালঠাকুর।

চালিস তার জট-পড়া চুলে একটা ঝাঁকানি দিয়ে বলল, কী আর করব? কাজ কাম এট্টা পেলে—

লীলা বলল, তোর গুনোহাটির বদরুদ্দিনের কারখানা তো উঠে গেছে। চালিস চোরা চোখে বিজয়কে দেখে বলল, হ্যাঁ। এবার সিরাজদিঘায় চলে যাব।

কেন?

মেঘু সা’র বড় কারখানায় কাজ করব। সা মশাই খুব ভাল লোক।

লীলা হাসতে গিয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাল ছেলেটার দিকে। না, কিছুই জানে না চালিস। তারপর লীলা তাকাল মেঘনাদের দিকে। বিজয়ও তাকাল। চউথি কিছু ঠিক বুঝল না। সে ক্রুদ্ধ চোখে তাকাল চালিসের দিকে।

চালিস বলল, ও, নাম শোনোনি না? মস্তবড় কারবারি, আমি চিনি কিনা। লালমিঞা তো তুকতাক জানত। এট্টা মন্তর দিয়েছিল মেঘু সাকে। হিন্দু হলে কী হবে। সেই মন্তরেই মেঘু সা লাখপতি। মেঘু সা’র বউয়ের নাম ঝুমি, আমি জানি, সব্বাই জানে। ওই যে ঝুমির ঝুরি। খাননি? শুনবেন এট্টা গান? শোনেন তবে।

যে খাবে ঝুমির ঝুরি—
সে খাবে ঝুমির এক কুড়ি।

গেয়ে বলল, ও বাবা এক কুড়ি বউ? তখন—

ঝুমি চিবিয়ে খাবে কুড়মড়ি

বলেই পেটে চাঁটি। সঙ্গে মাজা দোলানি আর দাঁতে দাঁতে কড়মড়ানি। এতক্ষণের নীরব দর্শক এক অবিশ্বাস্য নাটক জমিয়ে তুলল প্ল্যাটফরমের উপরে।

ঝুমি আড়ে আড়ে চেয়ে দেখল মেঘনাদকে। কুটিপাটি হল হেসে। বলে উঠল, মুখপোড়া, মরণ তোর। ওই এক কথা নিয়ে তুই পিছে পিছে ছুটে এসেছিস।

বিজয় আর চউথিও হাসতে লাগল।

মেঘনাদ ফিরে তাকিয়েছে। এই প্রথম সে ছেলেটার দিকে দু চোখ মেলে তাকাল। এই প্রথম তার বিষবাষ্পচ্ছন্ন বুকে যেন হাওয়া লাগল একটু। থমকানো রক্তধারায় যেন দূরাগত কালিকাঁচ নাচের ঢাকের প্রথম গুড়গুড়ানি লাগল।

পরমুহূর্তেই লীলা খপ করে চালিসের হাত ধরে, চোখ পাকিয়ে বলল, এই ছোঁড়া মিছে কথা বললি যে? তুই চিনিস সেই গদির মালিককে?

চালিস অবলীলাক্রমে হেসে বলল, মেঘু সাকে? আজ্ঞে হ্যাঁ গো ঠাকরুন, খুব চিনি। কালো মুসকো চেহারা, গলায় চার ফেরতা তুলসী মালা। হাতে অষ্টমপোহর জপের থলে, কপালে তিলক..

এবার হাসির দমকে আঁচল লুটিয়ে পড়ল লীলার। পাতা পড়া চুল-বাঁধা এলিয়ে পড়ল। খোলা বোতাম তেমনি। স্তনান্তরে সোনার হারটি কাঁপতে লাগল থর থর করে। বিরক্ত হলেও বিজয়ও চাপতে পারল না হাসি। হেসে বলল, শালা ফোরটুয়েন্টি। চউথি হাঁ করে নিঃশব্দে হাসতে হাসতে দেখছে লীলার হাসি।

মেঘনাদের লাল চোখ দুটি বেরিয়ে এসেছে ভ্রূর তলা থেকে। মনে হল, আশা আছে। এখনও বুঝি আশা আছে। আবার ঝুমির ঝুরি, মেঘার মালপো। আবার কারখানা, গদি, হাসি-কথা উল্লাস। আবার, আবার ! এইখানে বিদেশে, নতুন করে এই সপ্তসিন্ধু পারে আবার ভেসে উঠবে তার সপ্তডিঙা ! আহা বিপিন-দাটা যদি আসত, তবে শুনতে পেত।

সে ডাকল, এই, এই

চালিস ফিরে তাকাল ভয়ে ভয়ে। বলল, আমাকে বলছেন বাবু?

মেঘনাদ ঘাড় নেড়ে বলল, আয়।

বলে সে এগিয়ে গেল। বিজয় বিরক্ত ও ক্রুদ্ধ কটাক্ষে দেখল চালিসকে। চউথি নির্বিকার।

লীলা চোখ কুঁচকে বিচিত্র ভঙ্গিতে পান-খাওয়া বাসি ঠোঁট বেঁকিয়ে হাসল। মেঘনাদের পাশ দিয়ে যেতে যেতে কনুইয়ের খোঁচা দিয়ে বলল, বড় মিঠে লাগছে ছোঁড়ারে, না?

মুঠি পাকিয়ে ঘুষি দেখিয়ে বলল চালিসকে, চল, গুতিয়ে খেদাব তোকে।

বিজয় বলল চাপা গলায়, হাঁকব শালাকে এয়সা

চালিস হাসল হ্যা হ্যা করে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *