মূলত মহাভারত থেকেই কবিতাটার শুরু:
ঋষিদের আশ্রমে এল পুলোমা রাক্ষস।
ভৃগুপত্নী পুলোমাকে দেখে দাম্ভিক দানব
স্মৃতিতে বোলায় চোখ।
ঘরের কেন্দ্রবিন্দুতে প্রজ্বলিত হোম।
রাক্ষসের পেটে সোম।
মনে পড়ে পুলোমাকে সেও চেয়েছিল।
আগুনেরও সরব সাক্ষ্য: ‘এ কাহিনি ঘটেছিল
সেই সেই কবে!’ বৃত্তান্ত শুনে ভৃগুর সরোষ অভিশাপ:
‘আগুন তুমি সর্বভুক হবে!’
তারপর অগ্নিহোত্র, যজ্ঞাদিক্রিয়ার আগুন নিভে গেলে
ব্রহ্মার বিধান: ‘সর্ব শরীর দিয়ে নও,
গুহ্যদেশের শিখা আর ক্রব্যাদেই সর্বভুক হও।’
শুনে অগ্নি বলল মৃদু হেসে: ‘এই ভবিতব্য অবশেষে!’
আগুন আসলে এক পরি,
শেকড় মাটিতে গাঁথা, মন তার সুদূরপ্রসারী।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ১২, ২০১১
Leave a Reply