১২. নারী ও পুরুষ

নারী ও পুরুষ

১. নারী হচ্ছে একটা আনন্দদায়ক বাদ্যযন্ত্র, প্রেম যার ছড় আর নর শিল্পী।

স্টেনডাল

২. একজন নারী হয় ভালোবাসে অথবা ঘৃণা করে, এ ছাড়া জানে না তৃতীয় কোনো পন্থা।

পিউবিলিয়াসসিরাস

৩. প্রাণকে নারী পূর্ণতা দেয়, এইজন্যই নারী মৃত্যুকেও মহীয়ান করতে পারে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪. মেয়েমানুষের কান্নার পেছনে সবসময় কারণ বা যুক্তি থাকে না।

–হোমার

৫. কর্মরতা নারীকে ঈশ্বর রক্ষা করেন।

এডগার স্মিথ

৬. ছলনা ও অভিনয়ে মেয়েদের কাছে পুরুষ কখনোই পারে না।

বালজাক

৭. নারীকে প্রকৃতি সর্বপ্রথম সৌন্দর্য দিয়ে মণ্ডিত করে এবং সবচেয়ে আগে তা তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়।

–মেরে

৮. মেয়েদের ছায়ার সাথে তুলনা করা যায়–তাকে যদি অনুসরণ করা যায় সে তোমার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াবে, আর যদি তার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াও সে তোমাকে অনুসরণ করবে।

–চেম্পফোর্ড

৯. মেয়েদের সম্মান মেয়েদের কাছেই সবচেয়ে কম।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০. মেয়েরা সব ব্যাপারে খুব ভালো অভিনয় করতে পারে।

বালজাক

১১. সুন্দরী মেয়ে বহু পাওয়া যায় কিন্তু সঠিক মেয়ে পাওয়া কষ্টকর।

–ভিক্টর হুগো

১২. যে-মহিলা তার বয়স প্রকাশ করে তার আর কিছুই অপ্রকাশিত থাকে না।

–অস্কার ওয়াইল্ড

১৩. যে-নারীকে ভালোবাসি তার জন্য জীবন দেয়া যত সহজ, তার সঙ্গে ঘর করা তত সহজ নয়।

বায়রন

১৪. মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত মেয়েদের দৌড় বাপের বাড়ি পর্যন্ত।

প্রবাদ

১৫. অর্থের অস্তিত্বটা নারীর কাছে যথেষ্ট নয়, তাই প্রমাণটা যথোচিত পরিমাণে পরিস্ফুট না হলে তার তৃপ্তি নেই। তাই জড়োয়া গহনা সিন্দুকে থাকলেই মেয়েরা খুশি নয়, নিজের সর্বাঙ্গে ঐশ্বর্যের বিজ্ঞপ্তি বহন করে, আপন ধনসম্ভারের প্রচারকার্যে তাদের দুর্জয় আসক্তি।

যাযাবর

১৬. দুষ্টু মেয়েমানুষের মতো আর অশুভ কিছু নেই এবং সৎ মেয়েমানুষের মতো ঈশ্বর আর কিছু সৃষ্টি করতে পারেননি।

ইউরিপিডিস

১৭. পুরুষমানুষ বেদনা সহ্য করে অবাঞ্ছিত শাস্তি হিসেবে, আর স্ত্রীলোক বেদনাকে গ্রহণ করে স্বাভাবিক উত্তরাধিকার হিসেবে।

অজ্ঞাত

১৮. পুরুষের বুদ্ধি খড়গের মতো; শান বেশি না দিলেও কেরল ভারে অনেক কাজ করতে পারে। মেয়েদের বুদ্ধি কলম-কাটা ছুরির মতো; যতই ধার দাওনা কেন, তাতে বৃহৎ কাজ চলে না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৯. সৎ পুরুষ ঈশ্বরের সৃষ্টি।

–পোল

২০. পুরুষ পরিবেশের দাস নয়, পরিবেশই পুরুষের দাস।

ডিজরেইলি

২১. রমণী অনর্থক হাসে …… তাহা দেখিয়া অনেক পুরুষ অনর্থক কাঁদে, অনেক পুরুষ ছন্দ মিলাইতে বসে, অনেক পুরুষ গলায় দড়ি দিয়া মরে। –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২২. মেয়েরা যা অনুমান করে, তা পুরুষদের নিশ্চয়তার চেয়ে অনেক বেশি ঠিক।

–কিপলিং

২৩. পুরুষেরা সবসময় চায় নারীর প্রথম প্রেমাস্পদ হতে। এটা হচ্ছে তাদের একটা দুর্বোধ্য অহংকার। আমাদের (নারীদের) এ বিষয়ে আরও সূক্ষ্মসহজাত ধারণা রয়েছে। আমরা (নারীরা) হতে চাই পুরুষের শেষ প্রণয়িনী।

–অস্কার ওয়াইল্ড

২৪. দেশের কল্যাণ স্ত্রীজাতির অভ্যুদয় না হলে সম্ভাবনা নেই, একপক্ষ পক্ষীর উত্থান সম্ভব নয়।

স্বামী বিবেকানন্দ

২৫. নারীর শরীরই তার নিয়তি, দৈহিক ও মানসিক উভয় প্রয়োজনেই পুরুষের উপর অবলম্বন করা ব্যতীত উপায় নেই।

–ফ্রয়েড

২৬. দুনিয়ার সবচেয়ে বড় হেঁয়ালি হচ্ছে মেয়েদের মন।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৭. একজন ভালো স্বামী তার স্ত্রীকে ভালোভাবে গড়ে নিতে পারে।

রবার্ট বার্টন

২৮. মেয়েরা লেখাপড়া শিখে যত উঁচুতে উঠুক, প্রেমের চেয়ে অলংকার উপহার বা টাকাপয়সাই তারা চেনে বেশি।

–আবু জাফর

২৯. পুরুষমানুষের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাবার অধিকার মেয়েদের নেই। তাদের উপযুক্ত স্থান হচ্ছে ঘরের মধ্যে রান্নাঘরে।

বায়রন

৩০. নারীর গতি মিলনের পথে, পুরুষের গতি বিরহলোকে। নারী চলেছে পরমপুরুষের পায়ে আত্মদান করতে, পুরুষ চলেছে জ্যোতির্ময়ীকে আবিষ্কার করতে। মিলনের আনন্দে নারী অতিক্রম করে নিজেকে, আবিষ্কারের আনন্দে পুরুষ অতিক্রম করে জীবনকে। নারী সৃজন করেছে প্রেমে সুকোমল মতলোক, পুরুষ সৃষ্টি করেছে বিরহের সুদূর স্বর্গলোক। নারীর তপস্যা আনন্দময় বন্ধন, পুরুষের দুঃখময় মুক্তি।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

৩১. পুরুষের প্রেম নারীকে কাঁদায়, নারীর প্রেম পুরুষকে উন্নত করে। যে পুরুষ জীবনে উন্নতি করিতে পারে নাই, তাহার জীবনে নারীর প্রেমের প্রেরণার অভাব। নারী তাহার আসক্তিকে তৃপ্ত করিয়াছে, হৃদয়কে পরিতৃপ্ত করে নাই। নারী পুরুষের জীবনে সর্বক্ষেত্রে শক্তি সঞ্চার করে তাই নারীর নাম শক্তি। সকল ঐশ্বর্য আহরণের মূলে নারীর প্রেরণা, নারীর উৎসাহ লইয়া যাহারা যুদ্ধে যাত্রা করে, তাহারা হয় যুদ্ধে প্রাণ দেয়, নয়তো যুদ্ধে জয় করিয়া আসে। যে জাতির নারীশক্তি জাগ্রত হয় নাই, সে জাতির পুরুষগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা সুদূরপরাহত। নারীর কার্যকলাপ জাতীয় স্বাস্থ্য ও শক্তির পরিচায়ক।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

৩২. অলঙ্কার মাত্রই অত্যুক্তি। সে তো বিধাতার তৈরি নয়। মানুষের বানানো। পশুর চেয়ে মানুষের এইখানে শ্রেষ্ঠত্ব, আবার পুরুষের চেয়ে মেয়েদের শ্রেষ্ঠতাও এইখানে– মেয়েদেরই বিস্তর অলংকার সাজে এবং বিস্তর মিথ্যাও মানায়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৩. পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই তো নারীর সাজগোজ, সৌন্দর্যচর্চা।

দিব্যেন্দু পালিত

৩৪. নারী পুরুষের জননী, ভগিনী ও অর্ধাঙ্গিনী। সে বিপদে বন্ধু, সম্পদে সুখ, গৃহে শান্তিরক্ষাকত্রী।

–আল-হাদিস

৩৫. যদি ইন্দ্রিয় দমন করিতে না পারে, তবে বিবাহ করুক–কেননা আগুনে জ্বলা অপেক্ষা বরং বিবাহ করা ভালো।

বাইবেল

৩৬. মেয়েরা ভালো করেই জানে যে তারা যতবেশি আজ্ঞাপালন করবে ততবেশি আজ্ঞাদানের ক্ষমতা তারা লাভ করবে।

–মিচিলেট

৩৭. আল্লাহ তোমাদের চেহারা দিয়েছে একরকম, তোমরা তাকে বানিয়েছ আরেক রকম।

–শেক্সপীয়ার

৩৮. নারীকে নিয়ন্ত্রণে রেখে পুরুষ আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার চায়–এর চেয়ে স্ববিরোধিতা হয় না।

বেগম সুফিয়া কামাল

৩৯. মহিলাদের কৌতূহল সাধারণত কিছু-কিছু জায়গাতেই সীমাবদ্ধ থাকে।

–জন পোল

৪০. একমাত্র নারী ছাড়া জগতে সকলেরই আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আছে। নারীর স্বাধীনতা পুরুষ কখনোই অনুমোদন করতে চায় না।

সমীরণ মজুমদার

৪১. নারী যখন আপন প্রতিষ্ঠা থেকে ভ্রষ্ট হয়, তখন সংসারে সে ভয়ংকর বিপদ হয়ে দেখা দেয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪২. বেশির ভাগ পুরুষই এমন কুমারীকে কামনা করে, যারা বেশ্যার মতো।

–এডোয়ার্ড ড্যালবার্গ

৪৩. ঈশ্বর আদমকে সৃষ্টি করেছিলেন বিরক্তিকর একঘেয়েমিতে অতিষ্ঠ হয়ে। আদম যখন দেখল একা থাকা বিরক্তিকর, তখন সে চাইল হাওয়াকে। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বিরক্ত হল, তখন খেলো তারা নিষিদ্ধ ফল। সেই থেকে বিরক্তি নিরন্তর তাড়া করে বেড়াচ্ছে আমাদের।

–কিয়ের্কেগার্ড

৪৪. পুরুষ হইল শৌর্য, নারী হইল সৌন্দর্য। পুরুষের বৈশিষ্ট হইল বিচার ও শক্তি এবং ইহার দ্বারাই সে সবকিছুর পরিচালনা করে। নারীর বৈশিষ্ট হইল ঘরের সামঞ্জস্যবিধান এবং পুরুষের বিচারবুদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করা।

বেদ

৪৫. সুন্দর মেয়ে বহু পাওয়া যায় কিন্তু সঠিক মেয়ে পাওয়া কষ্টকর।

ভিক্টর হুগো

৪৬. সাধারণত স্ত্রীজাতি কাঁচা আম, ঝাল, লঙ্কা এবং কড়া স্বামীই ভালোবাসে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৭. মানবদেহে যেমন দুই চোখ, দুই হাত, দুই পা, সমাজদেহে তেমনি নর ও নারী। যে-দেহে এক চোখ কানা, এক হাত নুলা, এক পা খোঁড়া সে দেহ বিকলাঙ্গ। নারীজাতির সুষ্ঠু উন্নতি ব্যতীত সমাজকে সমুন্নত বলা যায় না।

–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

৪৮. এক লোককে বলতে শুনেছি দস্যুরা অর্থ অথবা জীবন যে-কোনো একটা দাবি করে মেয়েদের প্রয়োজন দুটোই।

বাটলার

৪৯. মেয়েরা আমাদের সেই মহৎ স্বপ্নে অনুপ্রাণিত করে যা বাস্তবায়নে তারা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।

দুমা

৫০. নারীর আশ্চর্য মেধা থাকলেও প্রতিভা থাকে না। প্রতিভা অর্থাৎ সৃষ্টি করার ক্ষমতা। কারণ সবসময়ই তারা অন্তর্মুখী থেকে যায়।

–শোপেনহাওয়ার

৫১. এ দেশের পুরুষ রমণীকে হাত-পা বাঁধিয়া ঠেঙায়, সে বেচারি নড়িতে চড়িতে পারে না। তাই পুরুষ বাহিরে আস্ফালন করিয়া বলিতে পারে, এ দেশের নারীর মত সহিষ্ণু জীব জগতে আর কোথাও আছে?

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৫২. আশ্চর্য, নারগর্ভজাত পুরুষ চিরদিনই চরম অসম্মান করে এল এই নারীকে; তার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল স্ত্রীলোককে মায়ের জাতি বলে খোঁটা দেওয়া।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

৫৩. বিজ্ঞ ও জ্ঞানী লোকদের তাদের অনুপস্থিতিতে প্রশংসা করো–কিন্তু মেয়েদের প্রশংসা করতে হলে তাদের মুখের ওপর তা করতে হবে।

–বালজাক

৫৪. মেয়েরা অল্প কারণে কাঁদতে জানে এবং বিনা কারণে হাসতে পারে–কারণ ব্যতীত কার্য হয় না, জগতের এই কড়া নিয়মটা কেবল পুরুষের পক্ষেই খাটে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৫. নারীর ব্যবস্থা না থাকলে কেউ স্বর্গেও যেতে চাইত না।

ট্রিপার

৫৬. নারীর এক জাতীয় রূপ আছে যাহাকে যৌবনের অপর প্রান্তে না পৌঁছিয়া পুরুষ কোনদিন দেখিতে পারে না।

–শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৫৭. একজন বিদুষী ও প্রেমময়ী নারী তার সংসারকে স্বর্গে পরিণত করতে এবং স্বামীকে স্বর্গবাসী করে তুলতে পারে।

সাদাত হাসান মিন্টো

৫৮. পুরুষের বুদ্ধি খোলে ঘরের বাইরে তার কর্মক্ষেত্রে ও কারখানায়। নারীর বুদ্ধি থাকে ঘরের ভেতরে, তাই তারা পুরুষের মতো সংগঠনধর্মী কোনো কাজ করতে সক্ষম নয়। তাদের সমিতি বা লাইব্রেরি একটি হাস্যাস্পদ ব্যাপার।

আসওয়ার্ড সোয়ার্জ

৫৯. যুগে যুগে নারীর প্রেমসিক্ত রসধারা পুরুষের সমস্ত ইন্দ্রিয় ও মস্তিষ্কে সাড়া জাগিয়ে তার সুপ্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলেছে। তারই ফলে অনেক বড় বড় সৃষ্টি সম্ভব হয়েছে।

এইচ. জি. লরেন্স

৬০. মেয়েমানুষের কান্নার পিছনে সবসময় কারণ বা যুক্তি থাকে না।

–হোমার

৬১. কোনো মেয়ে যখন পনেরো বছর বয়স অতিক্রম করে এবং সে যদি স্বাস্থ্যবতী হয়, তবে সে চাইবে যে কেউ তাকে চুম্বন করুক, সঙ্গে নিয়ে ঘুরুক।

–ম্যাক্সিম গোর্কি

৬২. মেয়েরা পুরুষের হৃদয় এক নিমিষেই চিনে নিতে পারে, এটি বিধাতার দেওয়া শক্তি এদের। অথচ আশ্চর্যের ব্যাপার ওরা নিজেদের হৃদয় নিজেরা চিনতে পারে না। যেমন মানুষ নিজের মুখ নিজে দেখতে পায় না।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৬৩. জগতের চার অভিশাপ।
সাগর, আগুন, নারী, সাপ।

–গ্রীক প্রবাদ

৬৪. নারীর হৃদয় সাপের, বুদ্ধি গাধার।
রূপটা দেবীর, চোখ ধাঁধার।

জার্মান প্রবাদ

৬৫. তলোয়ার ঘোড়া আর মেয়েমানুষে,
বিশ্বাস নেই এই তিন জিনিসে।

কাবুলি প্রবাদ

৬৬. আমার পরিচিত মেয়েরা চৌষট্টি কলার কতগুলো কলার অধিকারী, তা নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। আমি মেয়েদের বন্ধু হিসাবেই দেখতে চাই।

–সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

৬৭. প্রেম অক্ষুণ্ণ রাখে সৌন্দর্য। আর ফুল যেমন খাদ্য যোগায় মৌমাছিকে, তেমনি নারীদেহকে খাদ্য যোগায় সোহাগ।

–আনাতোল ফ্রাঁস

৬৮. একই বয়সের একজন কুমারী নারী অপেক্ষা একজন বিধবাই উত্তম।

–এডিসন

৬৯. অনিষ্টকর চিন্তায় স্ত্রীলোক পুরুষ অপেক্ষা অধিকতর তীক্ষ্ণ।

ডেমোক্রিটাস

৭০. তার সর্বোত্তম পোশাকে সুসজ্জিতা একজন শালীন নারীই হচ্ছে সৃষ্টির পরম সামগ্রী।

–গোল্ডস্মিথ

৭১. আমি কখনো কোনো সতী নারী দেখিনি যৌনসম্ভোগ যাদের আরও উত্তম করেনি। বিবাহিত নারীরা এজন্যেই কুমারী মেয়েদের চেয়ে বেশি সুস্বভাবের হয়, যদিও প্রকৃত সতী নারীদের প্রাপ্তিস্থান একটিই–গোরস্থান।

–ব্রিশ

৭২. মেয়েরা সাধারণত এত খারাপ যে, ভালো এবং মন্দ মেয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যায় না।

টলস্টয়

৭৩. ইস! আমি ভেবে অস্থির–মেয়েমানুষ না থাকলে পৃথিবীতে পুরুষের বেঁচে থাকা অর্থহীন হয়ে উঠত।

–ইমারসন

৭৪. মেয়েমানুষ না থাকলে আমরা জীবনের প্রারম্ভে অসহায়, মধ্যভাগে নিরানন্দ এবং শেষভাগে সান্ত্বনাহীন।

–দ্য জোই

৭৫. মেয়েদের সাথে যত পার কথা বলো। বক্তৃতা শেখার এটাই শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়। এখানেই অনর্গলতা অর্জন করতে হয়, কারণ কী বললে তা নিয়ে এখানে কিছু ভাবার দরকার নেই।

–ডিজরেইলি

৭৬. ভারতীয় নারীর বিভিন্ন আদর্শের মধ্যে মাতার আদর্শই শ্রেষ্ঠ স্ত্রী অপেক্ষাও তাহার স্থান উচ্চে। স্ত্রী-পুত্র হয়তো পুরুষকে কখনো ত্যাগ করিতে পারে, কিন্তু মা কখনো তা পারে না। সে-অবস্থায়ও মায়ের স্নেহ-ভালোবাসা একই রূপ থাকে এবং হয়তো একটু বর্ধিত হয়। মায়ের ভালোবাসার জোয়ার-ভাঁটা নাই, কেনা-বেচা নাই, জরা-মরণ নাই।

–অজ্ঞাত

৭৭. পুরুষেরা মেয়েদের সম্বন্ধে খুশিমতো কথা বলে, মেয়েরা পুরুষদের নিয়ে খুশিমতো কাজ করে।

–সেন্ট জেরোম

৭৮. নারী বন্ধু ও সহকর্মী বিবেচনা করার পরিবর্তে পুরুষরা নিজেদের তাদের প্রভু মনে করেছেন। নারীদের অবস্থাটা অনেকটা প্রাচীনকালের ক্রীতদাসের মতো যারা জানত না যে তারা কোনোদিন স্বাধীন হতে পারে।

মহাত্মা গান্ধী

৭৯. নারী এমন সব প্রথা ও আইনের পীড়নে নিগৃহীত হয়েছে, যা রচনায় তার কোনো হাত ছিল না। এর জন্য দায়ী পুরুষ।

মহাত্মা গান্ধী

৮০. মেয়েদের সবচেয়ে দুটো প্রিয় বস্তু to lie এবং to lie in bed. অর্থাৎ মিথ্যে কথা বলা আর বিছানায় শোয়া।

–শাচীন ভৌমিক

৮১. পুরুষের অন্ধ অনুকরণ করে বা তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নারী পৃথিবীকে কিছু দিতে পারবে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা অবশ্য করতে পারে। তবে পুরুষের অন্ধ অনুকরণ করলে তার যতটা উপরে ওঠার যোগ্যতা আছে তা উঠতে পারবে না। নারীকে পুরুষের পরিপূরক হতে হবে।

মহাত্মা গান্ধী

৮২. পুরুষকে বুঝতে হবে যে নারী তার সাথি এবং জীবনসঙ্গিনী, তার কাম চরিতার্থ করার যন্ত্রমাত্র নয়।

মহাত্মা গান্ধী

৮৩. মেয়েরা কথা বলে না, শোনে। পুরুষের মুখে ওদের ভাষা, ওরা পুরুষের গ্রামোফোন।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

৮৪. স্ত্রীলোকদিগের উপর যেরূপ কঠিন শাসন, পুরুষদিগের উপর সেরূপ কিছুই নাই। কথায় কিছু হয় না, ভ্রষ্ট পুরুষের কোন সামজিক দণ্ড নাই। একজন স্ত্রী সতীত্ব সম্বন্ধে কোন দোষ করিলে সে আর মুখ দেখাইতে পারে না, হয়তো আত্মীয়স্বজন তাহাকে বিষ প্রদান করেন, আর একজন পুরুষ প্রকাশ্যে সেইরূপ কার্য করিয়া, রোশনাই করিয়া, জুড়ি হাঁকাইয়া রাত্রিশেষে পত্নীকে চরণরেণু স্পর্শ করাইয়া আসেন, পত্নী পুলকিত হয়েন।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৮৫. নারীর প্রেম পুরুষকে পূর্ণ শক্তিতে জাগ্রত করতে পারে। কিন্তু সে প্রেম যদি শুক্লপক্ষের না হয়ে কৃষ্ণপক্ষের হয় তবে তার মালিন্যের আর তুলনা নেই।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮৬. একখণ্ড রুটির ভুখাকে যদি অনবরত অনাহারে রাখা হয় তা হলে অনন্যোপায় হয়ে সে অপরের মুখের গ্রাস কেড়ে নেবে। পুরুষকে যদি নারীদর্শন থেকে বিরত রাখা হয়, তখন সম্ভবত সে সমগোত্রের পুরুষ অথবা পশুর মাঝে নারীর প্রতিচ্ছবী দেখার ব্যর্থ চেষ্টা করবে।

সাদাত হাসান মান্টো

৮৭. রাজনৈতিক ভিত্তিতে একটি দেশ দ্বিখণ্ডিত করা যায়, ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে একটিকে অন্য থেকে পৃথক করা যায়, একই আইনে জমির মালিকানা হাতছাড়া হতে পারে, কিন্তু কোনো রাজনীতি, বিশ্বাস বা আইনের দ্বারা নারী-পুরুষকে এককে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না।

সাদাত হাসান মিন্টো

৮৮. পুরুষমানুষ কাজ করে, চিন্তা করে, আর মেয়েরা অনুভব করে।

ক্রিস্টিনা রসেটি

৮৯. যে পুরুষমানুষের পৌরুষ নেই, নারীর কাছে সে সবচেয়ে ব্যর্থ। সে পুরুষের উপর নারী নির্ভর করতে পারে না–নির্ভরতা বাইরের দিকে শুধু নয়, তার মনের বিশ্বাসের, তার আশা-আকাঙ্ক্ষার নির্ভরতা নারীর জীবনে সে পুরুষ অভিশাপ।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৯০. নারীর প্রেম তার জীবন, আর পুরুষ সেই জীবনকে উপভোগ করার উপলক্ষ।

ক্রাফ্‌ট

৯১. যে-পুরুষ একটি নারীকে বুঝতে পারে, সে পৃথীতে যে-কোনো জিনিস বুঝতে পারার গৌরব করতে পারে।

–জে. বি. ইয়েটস

৯২. আজকের যুগে আমেরিকান বা রাশিয়ান আর্মির গোপনতম খবর সংগ্রহ করা সম্ভব, কিন্তু পুরুষের মাইনে বা মেয়েদের বয়স জানা প্রায় অসম্ভবই থেকে গেছে। যে পুরুষ বিন্দুমাত্র সংকোচ না করে নিজের মাইনে বলতে পারে, তার চাইতে সরল পাওয়া দুষ্কর।

নিমাই ভট্টাচার্য

৯৩. কোনো পুরুষের সহায়তা ব্যতিরেকে কোনো নারী বিপথে যায় না।

–আব্রাহাম লিঙ্কন

৯৪. যে-নারী পুরুষের, যে-পুরুষ নারীর সঙ্গ-সাহচর্য-সহবাস থেকে বঞ্চিত, সেই নারী বা পুরুষের জীবন ও বেঁচে থাকা অর্থহীন।

–এলিস

৯৫. মেয়েরা তাত্ত্বিক হয় পুরুষ-সংসর্গের ঠিক আগে। পুরুষ তাত্ত্বিক হয় নারী সংসর্গের ঠিক পরে। মেয়েদের চরিত্রের মাধুর্য পাওয়া যায় কুমারী অবস্থায়।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

৯৬. দেহ ছাড়া মেয়েদের যে আর কিছু আছে, এই জ্ঞান কমবয়সি বাঙালি পুরুষদের আগেও ছিল না, এখনও হচ্ছে না।

–শংকর

৯৭. পুরুষের বিবর্তন হয়েছে সমাজ-বিকাশের পথ ধরে। নারীর বিবর্তন ঘটেছে। বিবর্তিত পুরুষের প্রয়োজনের অনুষঙ্গ হিসেবে। তাই ধর্মশাস্ত্র-সাহিত্য-শিল্পকলা কোথাও নারীর নিজস্ব কোনো চরিত্র নেই।

সমীরণ মজুমদার

৯৮. প্রাণ বিনা দেহ যেমন, জল বিনা নদী যেমন, নারী ছাড়া পুরুষও তেমনি।

–তুলসীদাস

৯৯. নারী ছাড়া পুরুষের জীবন মরুভূমি, পুরষ ছাড়া নারীজীবন অচল অসহায়, অথচ এদের দুদলের লড়াই চিরকালীন! একে অপরের বিরুদ্ধে সদা খড়গহস্ত। জীবনের কী বিচিত্র পরিহাস! কী বিচিত্র বৈপরীত্য!

–শিবরাম চক্রবর্তী

১০০. মেয়েদের মুখে অসভ্য কথাটার মতো এত বড় কমপ্লিমেন্ট আর হয় না।

বুদ্ধদেব গুহ

১০১. অসাধারণের প্রতি নারী চিরকাল পক্ষপাতিত্ব দেখিয়ে এসেছে।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

১০২. অলংকারমাত্রই অত্যুক্তি। সে তো বিধাতার তৈরি নয়। মানুষের বানানো। পশুর চেয়ে মানুষের এইখানে শ্রেষ্ঠত্ব, আবার পুরুষের চেয়ে মেয়েদের শ্রেষ্ঠতাও এইখানে–মেয়েদেরই বিস্তর অলংকার সাজে এবং বিস্তর মিথ্যাও মানায়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৩. বললে স্ত্রীদের কাছে তারা পদে পদে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হতো।

–এলিসি

১০৪. পুরুষমানুষ পরিবেশের দাস নয়, পরিবেশই পুরুষের দাস।

–ডিজরেইলি

১০৫. পুরুষমানুষ বড় অতৃপ্ত। এই পৃথিবীর সমস্ত নারীকে পেলেও তার তৃষ্ণা মেটে।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

১০৬. পুরুষ যেখানে অসাধারণ সেখানে সে নিরতিশয় একলা, নিদারুণ তার নিঃসঙ্গতা, কেননা তাকে যেতে হয় যেখানে কেউ পৌঁছায় নি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৭. যাহা দুরূহ তাহা অসাধ্য নহে, এই বিশ্বাসে কাজ করিয়া যাওয়াই পৌরুষ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৮. আমি পারব, পারি, প্রমাণও উপস্থিত করতে সমর্থ–সেটাই তো পৌরুষ।

–শচীন ভৌমিক

১০৯. মেয়েরা ব্যয় এবং অপব্যয় দুটোতেই সিদ্ধহস্ত।

ফ্রান্সিস বেকন

১১০. নারীর প্রসাধনের প্রয়োজন আছে সত্যি, কিন্তু প্রসাধনের পিছনে তারা যে-সময় ও অর্থ ব্যয় করে, তা বাঁচানো গেলে পৃথিবীর অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।

বালজাক

১১১. একমাত্র নারী ছাড়া জগতে সকলেরই আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আছে। নারীর স্বাধীনতার পুরুষ কখনোই অনুমোদন করতে চায় না।

সমীরণ মজুমদার

১১২. নারী পুরুষের ভোগের জিনিস নহে, তাহার আদরের পুতুল নহে, পুরুষ কায়ার ছায়া নহে। জীবনযুদ্ধে নারী পুরুষের সহযোগিনী, জীবনের লক্ষ্যপথে নারী পুরুষের সহযাত্রিণী। নারী যদি পুরষের দাসী হয়, পুরুষও নারীর দাস। ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর এইরূপ সম্পর্ক স্বীকার করে। পুরুষের আত্মগ্রাসী নীতির ফলে নারীর স্বত্ব খর্বীকৃত হইয়াছে।

–ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

১১৩. গালে কবিতার রং মাখা, ঠোঁটের রেখায় পুরুষের বুকের রক্তমাখা, মুখে মাখা মদনভষ্ম, কাঁধকাটা জামা, গলার কাছে তিন কাঠা জমি অনাবৃত রাখা, রঙিন পেটিকোট ব্যবহারের দ্বারা কলেজের ছাত্রের দৃষ্টি উত্তম অধম বাদ দিয়ে মধ্যমে আনা, সকল প্রসাধনে আধুনিক তরুণীরা পতিতাগণকে পরাজিত করেছেন।

প্রবোধকুমার সান্যাল

১১৪. সব পুরুষই একরকম। কেবল তাদের মুখের ভূগোল আলাদা, তাই তাদের পৃথক করে চেনা যায়।

–অজ্ঞাত

১১৫. বাঙালি পুরুষের আদর কেবল আপন অন্তঃপুরের মধ্যে। সেখানে তিনি কেবলমাত্র প্রভু নহেন, দেবতা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১৬. নারীচরিত্রের একটা বৈশিষ্ট্য হল এই যে, তার যদি কখনো দোষ হয়, হলে পরে বরং হাজার রকমের আদর দিয়ে সে-দোষলন করতে সে রাজি থাকবে। তবুও ধরিয়ে দিলে সেই মুহূর্তে দোষ স্বীকার করে কখনো মাপ চাইবে না।

দস্তয়েভস্কি

১১৭. একমাত্র নারীই বিধাতার অন্যতম রহস্যময় কীর্তি।

–এম. নাথ

১১৮. শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী
পুরুষ গড়েছে তোমা সৌন্দর্য সঞ্চারী
আপন অন্তর হতে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১৯. পুরুষ এনেছে দিবসের জ্বালা তপ্ত রৌদ্র দাহ
কামিনী এনেছে যামিনী শান্তি, সমীরণ বারিবাহ।
দিবসে দিয়াছে শক্তি-সাহস, নিশীথে হয়েছে বধূ
পুরুষ এসেছে মরুতৃষ্ণা লয়ে,
নারী যোগায়েছে মধু।

কাজী নজরুল ইসলাম

১২০. কোনকাল একা হয়নিকো জয়ী
পুরুষের তরবারি
প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়াছে,
বিজয়লক্ষ্মী নারী।

কাজী নজরুল ইসলাম

১২১. একনারী নানরূপে করে বিরচিত
সংসার সুখে সমুদয়;
সৃষ্টি পুষ্টি জননীর,
প্রিয় চিন্তা ভগিনীর,
কন্যার সেবা, জায়ার বিহার,
অতুলতা দান যাঁর কুমারী কুমার।

–সুরেন্দ্রনাথ

১২২. আঁধার হারেমে বন্দিনী হলো
সহসা আলোর মেয়ে
সেই দিন হতে ইসলাম গেল
গ্লানির কালিতে ছেয়ে।

কাজী নজরুল ইসলাম

১২৩. নারীর বচনে শুধু হৃদয়েতে হলাহল,
অধরে পিয়ার সুধা চিত্তে দাবানল।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১২৪. নারী বিধাতার ছায়া,
সে নহে কামিনী।
নহে সে যে, সৃষ্টি,
তারে স্রষ্টা অনুমানী।

–মওলানা রুমি

১২৫. এ রাজ্যেতে
যত সৈন্য, যত দুর্গ, যত কারাগার
যত লোহার শৃঙ্খল আছে, সব দিয়ে
পারে নাকি বাঁধিয়া লইতে দৃঢ়বলে
ক্ষুদ্র নারীর হৃদয়?

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১২৬. ওগো নারী, শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি তুমি অবনীর,
গোলাপে গঠিত যেন ভিতর বাহির।
মাঝে মাঝে সবিস্ময়ে তাই মনে হয়
তুমি তো গোলাপ ছাড়া অন্য কিছু নয়।

–ওমর খৈয়াম

১২৭. বলে না কোরআন, বলে না হাদিস, ইসলামী ইতিহাস,
নারী নয় দাসী, বন্দিনী রবে হেরেমেতে বারো মাস।
হাদিস-কোরআন লয়ে যারা করিছে ব্যবসাদারী,
মানে নাকো তারা কোরআনের বাণী সমান নর ও নারী।
শাস্ত্ৰ ছাঁকিয়া নিজেদের যত সুবিধা বাছাই করে
নারীদের বেলা গুম হয়ে রয় গুমরাহ যত চোরে।

কাজী নজরুল ইসলাম

১২৮. সাবধান ভাই সাবধান তোমাদের পুরনারী
পূর্ণ শপথে বরিয়া লয়েছে মহাদান বিধাতারই
তাহাদের ‘পরে তোমা সবাকার দিয়েছে বিধাতা
যেই অধিকার,
তোমাদের পরে সেই অধিকারে তাহারাও অধিকারী।

–আল-হাদিস

১২৯. এ কথা হয়নি মনে আগে, আমি বীর
পুরুষ পুরুষসিংহ, জয়-লক্ষ্মী শ্রীর
স্নেহের দুলাল আমি; আমারেও নারী
ভালবাসে, ভালবাসে রক্ত তরবারি
ফুল মালা চেয়ে। চাহে তারা নর
অটল পৌরুষ বীর্যন্ত শক্তিধর।

অজ্ঞাত

১৩০. বাল্যবয়সের বান্ধবীর সঙ্গে দেখা হলে মেয়েদের আর স্বামীপুত্র সংসার কিছুই খেয়াল থাকে না।

–শংকর

১৩১. মেয়েদের মধ্যে অনেক সুন্দরী মেয়েলোক পাওয়া যায়, কিন্তু নির্ভুল মেয়েমানুষ পাওয়া কঠিন।

–ভিক্টর হুগো

১৩২. দুটি বস্তু মেয়েদের দ্বিতীয় জন্ম দেয়, একটি সুন্দর পোশাক আর অন্যটি হল প্রেমপত্র।

বালজাক

১৩৩. তোমরা পুরুষমানুষ দুঃখের সঙ্গে লড়াই কর, মেয়েরা যুগে যুগে দুঃখ কেবল সহ্যই করে। চোখের জল আর ধৈর্য এ ছাড়া আর তো কিছু সম্বল নেই তাদের।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৩৪. তোমাকে দেখার আগে তুমি আলো ছিলে। প্রেম আসার আগে তুমি ভালোবাসা ছিলে। যখন আমার চুমু তোমায় অভিভূত করল? তখনই তুমি হলে নারী।

–ওডেসিউস এলিটিস

১৩৫. পৃথিবীতে বা সমুদ্রে যত হিংস্র প্রাণী আছে সবচেয়ে বৃহত্তম প্রাণী হল মেয়েরা।

–মেনানডার

১৩৬. কমবয়েসী মেয়েমানুষ হলো রসগোল্লার মতো, যেখানে রাখবে সেখানেই পিঁপড়ে ধরবে।

–শংকর

১৩৭. মেয়েমানুষ যদি ভক্তিতে কেঁদে গড়াগড়ি দেয়, তবুও কোনোমতে তাকে বিশ্বাস করবে না।

রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব

১৩৮. সেন্টের মতো মেয়েদের আকর্ষণও ততক্ষণই থাকে যতক্ষণ তাদের রাখা হয় আত্মমর্যাদার আঁধারে আবদ্ধ করে। শিশির মুখ খুলে দিলেই সেন্ট উড়ে যায়। এটা পুরুষের পৃথিবী। এখানে সেন্ট আর মেয়েমানুষের এক মূল্য।

কৃষণ চন্দর

১৩৯. কর্তব্যবোধকে যারা অত্যন্ত সামলে চলে, মেয়েরা তাদের পায়ের ধুলো নেয়। আর যে সব দুর্দম দুরন্তের কোনো বালাই নেই ন্যায়-অন্যায়ের, মেয়েরা তাদের বাহুবন্ধনে বাঁধে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪০. মেয়েরা হচ্ছে বিধাতার এক আজব সৃষ্টি।

–অবধূত

১৪১. মানুষের জীবনের মধ্যবয়সটা সেই সময় যখন তার দিবাস্বপ্ন আবর্তিত হয় কোনো মেয়েকে ঘিরে নয়, কোনো ব্যাঙ্কারকে ঘিরে।

–জেন ফন্ডা

১৪২. আদমের (পুরুষ) আছে দৃষ্টি, আর হাওয়ার (নারী) আছে অন্তদৃষ্টি।

ভিক্টর হুগো

১৪৩. যে-মহিলা খুব বেশি ফ্যাশনদুরস্ত ও ফ্যাশনপ্রিয় তিনি সর্বদা নিজের প্রেমে মত্ত।

–না রোচি ফুসকো

১৪৪. পলায়নেই প্রেমের বিজয়।

নেপোলিয়ন

১৪৫. ধর্মপরায়ণা নারী সাংসারিক পদার্থ নহে, পারলৌকিক সৌভাগ্যের একটি উপকরণ।

হযরত আবু সোলায়মান দারাজি (রা.)

১৪৬. ইহা খোদার আদেশ যে তোমরা রমণীজাতিকে সম্মান করবে। কারণ তাহারাই তোমাদের জননী, ভগ্নি এবং ফুপু।

–আল-হাদিস

১৪৭. নারীবুদ্ধি ভয়ংকরী।

–শংকর

১৪৮. আমরা নারী, এতটুকুতেই যত কেঁদে ভাসিয়ে দিতে পারি, পুরুষরা তো তা পারে না। তাদের বুকে যেন সব সময়ে কিসের পাথর চাপা। তাই যখন অনেক বেদনায় এই সংযমী পুরুষদের দুটি ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে তখন তা দেখে না কেঁদে থাকতে পারে এমন নারী তো আমি দেখি না।

–কাজী নজরুল ইসলাম

১৪৯. ঈশ্বর নারীর প্রতিভাকে স্থাপন করেছেন তার হৃদয়ে, কারণ এই প্রতিভার সৃষ্টিকর্ম হচ্ছে সর্বদাই প্রেমেরই সৃষ্টিকর্ম।

–লা মারর্টিন

১৫০. গুণে গরিমায় আমাদের নারী
আদর্শ দুনিয়ায়
রূপলাবণ্য মাধুরী ও শ্রীতে
হুর-পরী লাজ পায়।

কাজী নজরুল ইসলাম

১৫১. মাথার ঘোমটা ছিঁড়ে ফেল নারী
ভেঙ্গে ফেল ও শিকল।
যে ঘোমটা তোমা করিয়াছে ভীরু,
ওড়াও সে আবরণ,
দূর করে দাও দাসীর চিহ্ন
যেথা যত আভরণ।

কাজী নজরুল ইসলাম

১৫২. নারীর মধ্যে রয়েছে একটি রসের প্রকৃতি, হলাদিনী শক্তি, সে শক্তি পুরুষের মধ্যে স্কুরিত করে আনন্দ, অনুপ্রেরণা, মন্দিরের নিদ্রিত দেবতার কানে কানে বলে জাগরণী গান। যেমন–নদীপথে নামে বর্ষার ঢল, তার সর্বাঙ্গে আনে বেগ, তোলে জোয়ার, তাকে সক্রিয় করে, ছুটিয়ে নিয়ে চলে পরম লক্ষ্যের দিকে।

প্রবোধকুমার সান্যাল

১৫৩. আজ মেয়েদের শক্তি জাগ্রত হোক, ধর্মের নব আলোকে সকল দ্বন্দ্বকে ঘুচাইয়া মেয়েরা আজ বিশ্বসভায় আসন লাভ করুক। আজ মিথ্যাকে দূর করিয়া মেয়েরা সত্যের উপর জীবন প্রতিষ্ঠিত করুক, মেয়েদের জীবন সত্য হইলেই দেশের সাধনা সত্য হইবে, দেশের অপমানের বোঝা নামিয়া যাইবে।

হেমলতা দেবী

১৫৪. মেয়েরা যথার্থ নিষ্ঠুর হাতে জানে, পুরুষ তেমনি জানে না, কেননা কর্মবুদ্ধি পুরুষকে দুর্বল করে দেয়, মেয়েরা সর্বনাশ করতে পারে অনায়াসে,পুরুষও পারে, কিন্তু তাদের মনে চিন্তার দ্বিধা এসে পড়ে, মেয়েরা ঝড়ের মতো অন্যায় করতে পারে, সে অন্যায় ভয়ংকর সুন্দর, পুরুষের অন্যায় কুশ্রী, কেননা তার ভিতর ন্যায়বুদ্ধির পীড়া আছে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৫৫. নীরবতা মেয়েদের প্রধান ভূষণ, যদিও মেয়েরা তা পালন করে না।

–জন উইলসন

১৫৬. স্ত্রী-পুরুষের বন্ধুত্বে আমি বিশ্বাস করিনে। সে হয় বাড়তে বাড়তে অনুরাগের কোঠায় পৌঁছায়, নয় তো কমতে কমতে পরিচয়ের পর্যায়ে নামে। অনাত্মীয় নরনারীর মধ্যে মাত্র দুটি সম্পর্ক সম্ভব। হয় দ্রতার, নয় তো প্রেমের।

যাযাবর

১৫৭. দেহের শুচিতা স্ত্রীলোকের পক্ষে সকলের বড় কথা। এই শুচিতাকে অকলঙ্ক রাখাই মেয়েদের জীবননীতি। দেহের এই শুচিতা হইতেই তাহাদের সামাজিক অধিকার, সম্মান, প্রতিপত্তি, গৃহশ্রী ও কল্যাণ। ইহা বিনষ্ট হইলে তাহারা জঞ্জাল।

–প্রবোধকুমার সান্যাল

১৫৮. নীরবতা এক ধরনের সুন্দর অলংকার যা একমাত্র মহিলাদের শোভনীয়।

হেনরি জেমস

১৫৯. আমি তেমন পুরুষকেই পছন্দ করি যার ভবিষ্যৎ আছে, আর তেমন মহিলাকেই পছন্দ করি যার অতীত আছে।

অস্কার ওয়াইল্ড

১৬০. নারীগণ তোমাদের পুরুষগণের জন্য বসনস্বরূপ এবং তোমরা পুরুষগণ নারীদের জন্য বসনস্বরূপ।

–আল-কোরআন

১৬১. একটি পরিবর্তনকে স্ত্রীলোকেরাই সহজে মেনে নিতে পারে, একজন পুরুষ এত সহজে তা পারে না।

–ডিজরেইলি

১৬২. পুরুষের জীবনের চার আশ্রমের চার অধিদেবতা। বাল্যে মা, যৌবনে স্ত্রী; প্রৌঢ়ত্বে কন্যা, পুত্রবধূ; বার্ধক্যে নাতনী, নাত-বউ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬৩. ধ্বংসের মধ্যে দাঁড়িয়ে যে জয়ের কথা বলতে পারে, সে-ই তো সত্যিকার অর্থে তেজোদীপ্ত পুরুষ।

–হেনরি বাগসন

১৬৪. যে-পুরুষ অফিসে তড়পায় বেশি, জানবেন বড়িতে সে ভিজে বেড়াল।

অজ্ঞাত

১৬৫. পুরষেরা যেখানে দুর্বল মেয়েরা সেখানে তাদের খুব ভালো করেই চেনে কিন্তু পুরুষেরা যেখানে খাঁটি পুরুষ মেয়েরা সেখানকার রহস্য ঠিক ভেদ করতে পারে না। আসল কথা, পুরুষ মেয়েদের কাছে রহস্য আর মেয়েরা পুরুষের কাছে রহস্য। এই যদি না হবে তা হলে এই দুটো জাতের ভেদ জিনিসটা প্রকৃতির পক্ষে নেহাত একটা অপব্যয় হত।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬৬. পুরুষমানুষ কাজ করে, চিন্তা করে, আর মহিলারা সবকিছু অনুভব করে।

–ক্রিস্টিনা রসেটি

১৬৭. সুরা এবং নারী অনেক প্রতিভার অপমৃত্যু ঘটায়।

–জন রে

১৬৮. প্রাচ্যের নারী প্রধানত অবলা অবগুণ্ঠিতা, সহধর্মিণী। যৌবনে সে সতীসাধ্বী পতিপ্রাণা, বৈধব্যে কৃতাময়ী সাধনাব্রতী। বাৎসল্য, প্রীতি-ভক্তি, ধর্মভীরুতা তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।

–আহমদ নজীর

১৬৯. বর শুনলেই সকল নারীর মন কিশোরী হয়ে যায়।

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত

১৭০. নারীমুক্তি আন্দোলন পুরুষ ও নারীর মধ্যকার সুসম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

ইন্দিরা গান্ধী

১৭১. বিবাহ পুরুষকে দেয় স্থৈর্য, নারীকে দেয় প্রতিষ্ঠা। স্বামীর বাড়ায় দায়। স্ত্রীর বাড়ায় দাম। সে দাম নারীর নিজস্ব নয়। কানের উপর পাউডার এবং নখের উপর রঙের মতো সেটা প্রক্ষিপ্ত।

যারাবর

১৭২. তুমি যদি একজন অসুন্দর মহিলাকে বিবাহ কর তবে সে তোমার হবে এবং · যদি একজন সুন্দরী মহিলাকে বিবাহ কর তবে তুমি তার হবে।

বিয়ন

১৭৩. মেয়েরা বিয়ের আগে কান্নাকাটি করে, আর পুরুষেরা বিয়ের পর।

–পোলিশ প্রবাদ

১৭৪. বিয়েটাই একমাত্র বন্তু যেটাকে সব ছেলে এড়াতে চায়, আর সব মেয়েছেলে আগ্রহসহকারে ঘটাতে চায়।

–ওয়াইড

১৭৫. মেয়েদের লক্ষ রাখতে হবে যত তাড়াতাড়ি তারা বিয়ে বসতে পারে আর পুরুষের লক্ষ রাখতে হবে যত বেশিদিন তারা অবিবাহিত জীবনযাপন করতে পারে।

–জর্জ বার্নার্ড শ

১৭৬. বিয়ে দীর্ঘমেয়াদি বেশ্যাবৃত্তি ছাড়া আর কিছু নয়। বিবাহরূপ দীর্ঘমেয়াদি বেশ্যাবৃত্তিতে মেয়েরা তাদের যৌন-সম্পদের বিনিময় করে আজীবন ভরণপোষণের সঙ্গে।

ইংরেজি প্রবাদ

১৭৭. কর্মবিমুখ মেয়েরাই ধনীর ছেলে বিয়ে করতে চায়।

হেলেন বাউল্যান্ড

১৭৮. কুমারী মেয়ে আর বিধবা মেয়ে দুজনেরই স্বামী নেই। কিন্তু তফাত যে কী একমাত্র বিধবাই বোঝে।

শংকর

১৭৯. মেয়েরা ভাগ্যে বিশ্বাস করে আর পুরুষেরা ভাগ্য তৈরি করে।

এমিলি গাবেরিয়াক

১৮০. একজন মহিলার সুন্দর হওয়ার চেয়ে ভালো হওয়ার বেশি প্রয়োজন।

–লংফেলো

১৮১. পুরুষ ভুল করে কারণ তারা স্বার্থপর। আর স্ত্রীলোক ভুল করে কারণ তারা দুর্বল।

–ম্যাডাম ডি স্টোইন

১৮২. মেয়েমানুষের মন কচুপাতার উপর জলবিন্দুর মতোই ক্ষণস্থায়ী অর্থাৎ সচরাচর এরা একটা জিনিস নিয়ে বেশি ভাববার আয়াস স্বীকার করতে চায় না, যেখানে আরাম আছে সেখানেই এদের পক্ষপাতিত্ব। বিশেষ নিত্যনতুন এক্সপিরিয়েন্স লাভ করার ইচ্ছে এদের প্রবল।

–আবু জাফর

১৮৩. নারী জননী না হলে আপনাকে চিনতে পারে না। কৌমার্য ও জননীর মধ্যে নারীর আসল রূপ লুকানো থাকে, তাই সন্তান আসে পিতা ও মাতার প্রেমের নিরিখ হয়ে।

শেলি

১৮৪. মেয়েরা অতীতের সঙ্গে বর্তমানের সেতু, পুরুষেরা বর্তমানে সঙ্গে ভবিষ্যতের।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৮৫. যুবতী কিছু জানে না,
শুধু প্রেমের কথা বলে
দেহ আমার সাজিয়েছিল প্রাচীন বল্কলে।
আমিও পরিবর্তে তার রেখেছি সব কথা
শরীর ভরে ঢেলে দিয়েছি আগুন প্রবণতা।

–শঙ্খ ঘোষ

১৮৬. শিঙে শান দিবার জন্য হরিণ শক্ত পাছের গুঁড়ি খোঁজে, কলাগাছে তাহার শিঙ ঘষিবার সুখ হয় না। নর-নারীর ভেদ হওয়া অবধি স্ত্রীলোক দুরন্ত পুরুষকে নানা কৌশলে ভুলাইয়া বশ করিবার বিদ্যাচর্চা করিয়া আসিতেছে। যে স্বামী আপনি বশ হইয়া বসিয়া থাকে তাহার স্ত্রী বেচারা একেবারেই বেকার।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৮৭. উদাসীন লোকের স্ত্রী প্রায় বিধবার মতোই জীবনযাপন করে।

হাঙ্গেরীয় প্রবাদ

১৮৮. স্বামী মানে আসামী।

–শংকর

১৮৯. বক্তা স্বামীর চেয়ে শ্রোতা স্বামী ঢের ভাল।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৯০. যে-স্বামী তার স্ত্রীকে প্রহার করে, জানবে তার বীরত্ব প্রকাশের জায়গা আর কোথাও নেই।

–জে.বি. ক্যারল

১৯১. যে-জাতি মেয়েদের মর্যাদা দেবে না, সে-জাতি বিশ্বে কোনোদিন মর্যাদা পাবে।

সুইনবার্ন

১৯২. মেয়েচরিত্রই হচ্ছে তাই, যখন আমরা ভলোবাসতে যাই তখন তারা ভালোবাসে না, যখন প্রেম জানাতে আসে তখন আমরা তাদের ভালোবাসি না।

–কার্ভেন্টিস

১৯৩. মেয়েদের ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ জবাবের মধ্যে আমি সামান্য পরিমাণও পার্থক্য দেখি না। কারণ ঐ দুটো অঙ্গে অঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।

–কার্ভেন্টিস

১৯৪. বিড়াল, পাখি এবং মেয়েরা এই ধরনের প্রাণী যারা নিজেদের প্রসাধনের উপর সর্বাধিক সময় নষ্ট করে থাকে।

চার্লস নডায়ার

১৯৫. পুরুষেরা মেয়েদের খেলার সামগ্রী আর মেয়েরা শয়তানের খেলার সামগ্রী।

ভিক্টর হগো

১৯৬. তোমার মধ্যে নিষ্ঠুরতা ছিল
এনভেলাপে ভুল ঠিকানা তাই
তোমার মধ্যে ভালোবাসাও ছিল
তারই আগুন জ্বালাচ্ছে দেশলাই।
তোমার মধ্যে ভালোবাসাও ছিল
লাল হয়েছে ছুরির নীল ধার
তোমার মধ্যে নিষ্ঠুরতাও ছিল
উপড়ে দুলে টেলিফোনের তার।

–পুর্ণেন্দু পত্রী

১৯৭. গরিব লোক যদি ধনী নারী বিয়ে করে তা হলে সে স্ত্রী পায় না, পায় একজন শাসক।

–আলেকজেনডিডেস

১৯৮. মেয়েলোক হল একটি নলখাগড়ার ডাটার মতো যা সামান্য বাতাসেই হেলে পড়ে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝড়েও ভাঙে না।

–হোয়াটলে

১৯৯. একজন মহিলার ব্যবহার যদি মাধুর্যহীন হয় তাবে সে-গৃহ নিঃসন্দেহে শ্রীহীন।

–বেন জনসন

২০০. তার ঠোঁটে হাসি আর চোখে কান্না, তাই সে এত সুন্দর।

স্যামুয়েল লাভার

২০১. মেয়েদের বাইরে কাজ থাকলে চলবে না। আমাদের দেশের প্রত্যেক মহিলাকে গৃহিণী ও জননী হতে হবে।

হিটলার

২০২. কেউ দিদি ডাকলে মেয়েরা একটু চিন্তিত হয়। দাদা সম্বন্ধটা এদেশে তত নিরাপদ নয়।

–শংকর

২০৩. ঈশ্বরের সেবা করবে পুরুষ, আর পুরুষের সেবা করবে নারী।

পোপ পল

২০৪. পুরুষের যত অর্থ, অন্য যত গুণই থাক, মেয়েদের মনকে জয় করতে শরীরেরও প্রয়োজন।

–শংকর

২০৫. মেয়েরা ম্যানেজিং ডিরেক্টর হোক আর যাই হোক ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ব্যাপারে তারা বড়ই অসহায়।

–শংকর

২০৬. নারীর ভালোবাসা আত্মা থেকে উদ্ভূত হয়ে দেহের মাঝে ছড়িয়ে পড়তে চায়।

–এলেন কী

২০৭. আদর্শ পুরুষের চাইতে আদর্শ নারী মানবজাতির উচ্চস্তরের বিকাশ।

–নিৎসে

২০৮. অন্যের কাছ থেকে শ্রদ্ধা, ভক্তি ও ভালোবাসা পাওয়াই তো একজন রমণীর সেরা প্রার্থনা।

–গ্যেটে

২০৯. সুন্দরী মহিলা স্বাগত অতিথি।

যাযাবর

২১০. যে-পর্যন্ত একজন মহিলা নিজেকে কন্যার চেয়ে দশ বছর ছোট করে দেখতে পান, ততদিনই তিনি পরিপূর্ণ তৃপ্ত থাকেন।

–অস্কার ওয়াইল্ড

২১১. মেয়েরা শিল্পকলায় আকৃষ্ট হয় না, আকৃষ্ট হয় শিল্পকলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কচকচানিতে।

–আন্তন চেখভ

২১২. নারীরা ভালোবসার জন্য, জানার জন্য নয়।

–অস্কার ওয়াইল্ড

২১৩. পুরুষরা মেয়েদের সম্বন্ধে খুশিমতো কথা বলে, মেয়েরা পুরুষদের নিয়ে খুশিমতো কাজ করে।

–সেন্ট জেরাম

২১৪. মেয়েরা সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র বৈ আর কিছু নয়।

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট

২১৫. মেয়েরা বিয়ে করে সমাজে প্রবেশের জন্য, পুরুষ বিয়ে করে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য।

–তাইপে

২১৬. দেহের সুখে মেয়েদের প্রায়ই সায় থাকে না। স্বামীর কাছে যে তারা যায়, তাও কর্তব্যের তাগিদে, দেহের তাগিদে নয়।

বার্ট্রান্ড রাসেল

২১৭. পুরুষের সমস্ত কাজ নারী করিতে পারে না, নারীর সমস্ত কাজও পুরুষ করিতে পারে না।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২১৮. যাদের রূপ নেই, কুরূপা–তারাই বেশি প্রসাধনী ব্যবহার করে।

সঞ্জীব চেট্টাপাধ্যায়

২১৯. অনিষ্টকর চিন্তায় স্ত্রীলোক পুরুষ অপেক্ষা অধিকতর তীক্ষ্ণ।

–ডিমোক্রিটাস

২২০. পুরুষমানুষ কাজ করে, চিন্তা করে, আর মেয়েরা সবকিছু অনুভব করে।

–ক্রিস্টিনা রসেটি

২২১. নারীর শরীরই তার নিয়তি, দৈহিক ও মানসিক উভয় প্রয়োজনেই পুরুষের উপর অবলম্বন করা ব্যতীত উপায় নেই।

২২২. দুনিয়ার সবচেয়ে মস্ত হেঁয়ালি হচ্ছে মেয়েদের মন।

–কাজী নজরুল ইসলাম

২২৩. ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ অবদান নারী।

–লেসিভ

২২৪. মেয়েরা হচ্ছে আধুনিক আর্টের মতো, যা বোঝা যায় না বলে সবাই হাততালি দেয়।

লুৎফর রহমান সরকার

২২৫. মেয়েমানুষ যতো বপেরোয়াই হোক, অবলম্বন একটা খোঁজেই।

প্রবোধকুমার সান্যাল

২২৬. রমণীর চোখ পতঙ্গের মতো; আভরণের দীপ্তিতে সকলের আগে ছুটে এসে পড়ে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *