১০. হিংসা-বিদ্বেষ

হিংসা-বিদ্বেষ

১. ঈর্ষা, ক্রোধ, ভয় জীবনের পরম শত্রু।

স্কট

২. কোনো হিংসুটে লোকের পাশে বাস করার চাইতে হিংস্র বাঘের প্রতিবেশী হওয়া অনেক ভালো।

–ইবনে হাজার

৩. শক্তি যার নাই
নিজের বড় হইবারে
বড়োকে করিতে ছোট
তাই কি সে পারে?

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪. শত্রুতা করে শত্ৰু কখনো নষ্ট করা যায় না, শত্রু নষ্ট করতে শত্রুতাকে আগে ত্যাগ করতে হবে।

–বৌদ্ধ ধর্মপদ

৫. যে আঘাত করে সে শত্রু নয়; বরং যে আঘাত করার মনোভাব পোষণ করে সে-ই শত্রু।

ডেমোক্রিটাস

৬. যে-শত্রুকে আমরা সন্দেহ করি না তারাই বিপজ্জনক হয়ে থাকে।

রোজার্স

৭. মানুষ শত্রুমুক্ত নয়।

আরবি প্রবাদ

৮. শত্রুকে ভালোবাসবে এইজন্য যে, একমাত্র সে-ই তোমার ভুলত্রুটিকে তুলে ধরবে।

ফ্রাংকলিন

৯. মানুষই মানুষের নিকৃষ্টতম শত্রু।

–সিসেরো

১০. শক্রর জন্য আগুন যেন এত বেশি না হয়, যাতে নিজের পা পুড়ে যায়।

শেক্সপীয়ার

১১. তোমার শত্রু তোমার মেঝেতে, দেয়ালেও ছিদ্র খুঁজে পাবে।

জন ব্রাইট

১২. যে-ব্যক্তি ক্রোধ দমন করিয়া রাখে, খোদাতা’আলা তাহার হৃদয় ইমান ও শান্তি দ্বারা পূর্ণ করেন।

আল-হদিস

১৩. রাগের সবচেয়ে বড় প্রতিকার হল বিলম্ব করা।

–সেনেকা

১৪. রাগিলেও সাধু চিত্ত
বিকৃতি না পায়।
তাপে কি সাগর বারি
তৃণাগ্নি শিখায়?

চাণক্য পণ্ডিত

১৫. ক্রোধ মনুষ্যত্বের আলোকশিখা নির্বাপিত করে দেয়।

ইমাম গাজ্জালি (রহ.)

১৬. রাগান্বিত অবস্থায় কখনোই চিঠির উত্তর দিতে নেই।

চীনা প্রবাদ

১৭. মেজাজ ঠাণ্ডা রাখো; তা হলে সবাইকে তুমি শাসন করতে পারবে।

–সেন্ট জাস্ট

১৮. ক্রোধের শুরুতে থাকে উন্মত্ততা এবং তার পরিণতি হল আক্ষেপ।

ইবনে আবু ওবাই

১৯. ধৈর্যশীল লোকের ক্রোধ হতে সাবধান হও।

ড্রাইডেন

২০. দুষ্ট লোকেরা তাদের গড়া নরকেই বাস করে।

টমাস ফুলার

২১. যারা ঝগড়াটে তারা নাক দিয়ে শুঁকে ঝগড়ার গন্ধ নেয়।

ক্রিস্টোফার স্মার্ট

২২. ঝগড়া চরমে পৌঁছার আগেই ক্ষান্ত হও।

–হযরত সেলায়মান (আ.)

২৩. আল্লাহর পথে জেহাদ করো, অর্থাৎ যারা তোমাদেরকে আক্রমণ করে, তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রথমে তাদের আক্রমণ কোরো না। কারণ আল্লাহ্ আক্রমণকারীদের ভালোবসেন না।

–আল-কোরআন

২৪. শয়তান আর রিপুর সাথে
‘জেহাদ’ কর বিরোধ কর
তাদের সকল মধুর বাণী
মিথ্যা হতে মিথ্যা ধর।

–আবু শরফুদ্দিন

২৫. কাউকে ঘৃণা কোরো না; তাদের পাপকে ঘৃণা করো; তাদের ঘৃণা কোরো না।

–জে. সি. সি. ব্রেইনার্ড

২৬. পাপকে ঘৃণা করিও, পাপীকে ঘৃণা করিও না।

বাইবেল

২৭. অসৎ ব্যক্তির মন কাঁকড়াবিছায় পরিপূর্ণ।

–শেক্সপীয়ার

২৮. ঘৃণা ঘৃণাকে জন্ম দেয়, গোঁড়ামি জন্ম দেয় গোঁড়ামির।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

২৯. ঘৃণার আয়ু লম্বা আর বিষাক্ত।

কৃষণ চন্দর

৩০. কথা দিয়ে কথার কলি
চরণ তলে দলবে না।
ইচ্ছা করে কুৎসা কারো
মুখে তোমার বলবে না।

হযরত কিরমানি (রহ.)

৩১. সমর্থ ব্যক্তির কাছে কিবা গুরুভার,
ব্যবসায়ী যেই জন কিবা দূর তার।
বিদ্বানের কাছে কিবা স্বদেশ-বিদেশ,
মিষ্টভাষী জনে কেবা করে হিংসা-দ্বেষ।

চাণক্য পণ্ডিত

৩২. মনের উদারতার সঙ্গে ঐশ্বর্যের তুলনা করা চলে না।

–মার্শাল

৩৩. ঈর্ষা, অসূয়া (পরশ্রীকাতরতা) হইতে দূরে অবস্থান করিবে; কারণ অগ্নি যেমন কাষ্ঠকে পোড়ইয়া খাইয়া ফেলে, সেইরূপ ঈর্ষাও সকার্য আহার করিয়া নিঃশেষ করিয়া ফেলে।

–আল-হাদিস

৩৪. হিংসা দিয়ে কখনো হিংসাকে হত্য করা যায় না। আগুন নেভাতে যেমন জলের প্রয়োজন, হিংসাকে জয় করতে তেমনি প্রেমের প্রয়োজন।

–ডন জুয়ান

৩৫. অহমিকা থেকেই অশান্তির সৃষ্টি হয়।

ই. আর. শীল

৩৬. ওরা মরুভূমি বানিয়ে তার নাম রাখে শান্তি।

স্ট্যাসিটাস

৩৭. যুদ্ধকে যতদিন পর্যন্ত অশুভ বলা হবে, তার সম্মোহও থেকে যাবে ততদিন। অশ্লীলভাবে দেখতে পারলেই কেবল জনপ্রিয়তা হারাবে এটি।

অস্কার ওয়াইল্ড

৩৮. শয়তান আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছে, তরবারির আঘাতে তাদের মস্তক দ্বিখণ্ডিত করিয়া দিবে। স্ত্রীলোক, ছেলেপিলে ও বৃদ্ধলোকের গায়ে কখনো হাত উঠাইও না। খেজুর বা অন্য যে-কোনো বৃক্ষ ছেদন করিও না, কোনো বাড়িঘর ধ্বংস করিও না।

–আল-হাদিস

৩৯. ক্রোধ প্রদর্শন করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যদি উহা দমন করিয়া রাখ তবে আল্লাহতা’আলা তজ্জন্য তোমাকে পুরস্কৃত করবেন।

–আল-হাদিস

৪০. মানুষ ক্রোধের বশবর্তী হয়ে যা বলে তা হালকাভাবে গ্রহণ করো।

রানি মেরি

৪১. রাগ বোকামি থেকে উদ্ভূত হয় এবং অনুতাপে শেষ হয়।

পিথাগোরাস

৪২. হঠাৎ করে কাউকে শত্রু ভাবতে নেই, তাতে শত্রুর সংখ্যাই বৃদ্ধি পায়।

লর্ড হ্যালিফাক্স

৪৩. মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে মানুষ।

রবার্ট বার্টন

৪৪. তোমরা শত্রুদের প্রতি লক্ষ রাখো, কারণ তারাই প্রথমে তোমার দোষ খুঁজে বের করবে।

–এনটিন থেনেস

৪৫. অস্ত্রের জোরে তুমি সারা পৃথিবী জয় করতে পার, কিন্তু পারবে না একটা গ্রামের মানুষেরও মন বশীভূত করতে।

কি ভলতেয়ার

৪৬. পরের অস্ত্র কাড়িয়া লইলে নিজের অস্ত্র নিয়ে উচ্ছঙ্খল হইয়া উঠে।

রবীন্দ্রনাথ ঠকুর

৪৭. তোমরা আপন আপন শত্রুগণকে প্রেম করিও এবং যাহারা তোমাদিগকে তাড়না করে তাহাদের জন্য প্রার্থনা করিও।

বাইবেল

৪৮. পরস্পর পরস্পরকে উপহার দেবে। কেননা উপহার দেওয়া-নেওয়া মানুষকে হিংসা-বিদ্বেষ থেকে দূরে রাখে।

–আল-হাদিস

৪৯. মন্দের বিনিময়ে কাহারো মন্ত করিও না, সকল মানুষের দৃষ্টিতে যাহা উত্তম, ভাবিয়া-চিন্তিয়া তাহাই করো।

বাইবেল

৫০. যুদ্ধে শোণিত, পরিশ্রম, অশ্রু এবং ঘাম ছাড়া আর কিছুই দেবার নেই।

–উইনস্টন চার্চিল

৫১. একের বিরুদ্ধে অপরের বিদ্বেষের কথা যে লাগায়, সে আগুনে ইন্ধন যোগায়।

শেখ সাদি

৫২. চোগলখোরের অপরাধের কোনো ক্ষমা নেই। ঈশ্বর ক্ষমা করলেও আমি তাকে ক্ষমা করতে পারি না।

–আইজ্যাক ল্যাম

৫৩. দুষ্টু লোককে তার দুষ্টুমিই গ্রাস করবে। আপন পাপরশিতেই সে বাঁধা পড়বে।

–হযরত সোলায়মান (আ.)

৫৪. মেয়েরা মেয়েদের বেশি হিংসা করে, একে অন্যের সুখে ঈর্ষান্বিত হয়।

অজ্ঞাত

৫৫. মানুষ আজ পশুতে পরিণত হয়েছে, তাদের চিরন্তন আত্মীয়তা ভুলেছে। পশুর ল্যাজ গজিয়েছে ওদের মাথার উপর, ওদের সারা মুখে। ওরা মারছে লুকিয়ে, মারছে লেঙ্গোটিকে, মারছে টিকিকে, দাড়িকে। বাইরের চিহ্ন নিয়ে এই মূর্খদের মারামারির কি অবসান নেই?

কাজী নজরুল ইসলাম

৫৬. ঝগড়ার পথ হতে সরে থাকাই সম্মানরক্ষার প্রকৃষ্ট পন্থা। মূর্খেরাই সাধারণত বিবাদ তালাশ করে।

মহিউদ্দিন

৫৭. যুদ্ধের ধ্বংস হতে পারে কেবল যুদ্ধের মাধ্যমে, আর অস্ত্র পরিত্যাগ করার জন্যে হাতে তুলে নিতে হয় অস্ত্র।

মাও সে-তুং

৫৮. আমরা খুন করি কারণ নিজের ছায়াকে আমরা ভয় পাই; ভয় পাই কারণ সামান্য কাণ্ডজ্ঞান খাটালেই আমাদের মহান নীতিগুলোর ফাঁকফোকর সব ন্যাংটো হয়ে পড়বে।

–হেনরি মিলার

৫৯. যুদ্ধ একই সঙ্গে আগের বিকৃতিগুলোর উৎপাদন এবং পরবর্তী বিকৃতির উৎপাদক।

লুইস মামফোর্ড

৬০. বাজে সঙ্গীত আর বাজে যুক্তিগুলো কী চমৎকারই-না লাগে যখন শত্রুর দিকে এগিয়ে যায় কুচকাওয়াজ।

–নিৎসে

৬১. যুদ্ধ থামানোর সেরা উপায় হল হেরে যাওয়া।

জর্জ অরওয়েল

৬২. ঘৃণা আপনা থেকে অকারণে জন্মায় না।

কৃষণ চন্দর

৬৩. যাকে মানুষ আহত করে তাকে ঘৃণা করাই মনুষ্যস্বভাব।

টেনিসাস

৬৪. ঈর্ষা হতে আত্মরক্ষা করা উচিত। কিন্তু যে-ঈর্ষায় আত্মশুদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, তা কিছুতেই পরিত্যাগ করা উচিত নয়।

অ্যারিস্টটল

৬৫. মানুষের অনুকম্পা পাওয়ার চেয়ে মানুষের ঈর্ষা পাওয়া শ্রেয়।

–হেরোডোটাস

৬৬. একজন অহংকারী মহিলা সংসারের পুরো কাঠামোটা বিনষ্ট করে দেয়।

–পিনিরো

৬৭. কোনো কারণ ছাড়াই যে অন্যকে ঘৃণা করে, সে প্রকৃত অহংকারী।

মার্শাল

৬৮. যাকে ঘৃণা করবে তাকে ভয়ও করবে। কারও নাম-যশ শুনেই বিভ্রান্ত হয়ো না।

হযরত ওমর (রা.)

৬৯. একজন খাঁটি মানুষ কখনো অন্যকে ঘৃণা করে না।

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট

৭০. হৃদয়ের পাগলামো হচ্ছে ঈর্ষা।

বায়রন

৭১. আমি তাকে ঘৃণা করি–এর অর্থ তার কাজকে ঘৃণা করি।

–জে. আর. লাওয়েল

৭২. যখন আমরা ঝগড়া করি, তখন ক্রোধে অন্ধ হয়ে যাই।

–ইমারসন

৭৩. মানুষের কল্যাণের জন্য ঐসব ভজনালয়ের সৃষ্টি, ভজনালয়ের মঙ্গলের জন্য মানুষ সৃষ্টি হয় নাই। আজ যদি আমাদের মাতলামির দরুন ঐ ভজনালয়ই মানুষের অকল্যাণের হেতু হইয়া ওঠেযাহার হওয়া উচিত ছিল স্বর্গ-মর্ত্যের সেতু-তবে ভাঙ্গিয়া ফেল ঐ মন্দির-মসজিদ। সকল মানুষ আসিয়া দাঁড়াইয়া বাঁচুক এক আকাশের ছত্রতলে এক চন্দ্র-সূর্য-তারা জ্বলা মহামন্দিরের আঙ্গিনা তলে।

কাজী নজরুল ইসলাম

৭৪. হিংসা থেকেই অধিকাংশ কুৎসা রচিত হয়।

মারিয়া এডওয়ার্থ

৭৫. যে-ব্যক্তি ভূমির উপর অন্যকে আছড়াইয়া মারিয়া ফেলিতে পারে, সে কখনো বলবান বা ক্ষমতাশালী নহে; কিন্তু যে-ব্যক্তি আপনার ক্রোধ দমন করিতে পারে, সে-ই প্রকৃত বলবান।

–আল-হাদিস

৭৬. কথাবার্তায় ক্রোধের পরিমাণ আহার্যের লবণের মতো হওয়া উচিত। পরিমিত হলে রুচিৎকারক, আর অপরিমিত হলে ক্ষতিকারক।

প্লেটো

৭৭. সময় ও পরিবেশ বুঝে রাগান্বিত হওয়া উচিত। যিনি রাগকে সংযত করতে জানেন, তিনি জীবনে সুখী হতে পারেন।

–সিডনি স্মিথ

৭৮. যার কোনো শত্রু নেই, সে নিঃসন্দেহে একজন অকর্মণ্য ব্যক্তি।

–এডমণ্ড বার্ক

৭৯. শত্রু মরে গেছে বলে আনন্দ কোরো না, কারণ পুনরায় শক্র হবেই।

ওল পিয়াট

৮০. একজন লোকের জন্য একজন শক্রই যথেষ্ট।

টমাস মিডল্টন

৮১. রাগান্বিত মানুষ তার মুখ খোলা রাখে এবং চোখ দুটো বন্ধ রাখে। কাটো।

৮২. রাগ বস্তুটা মূল্যবান বিলাসিতা এবং বিশেষ আয়সম্পন্ন লোকেরাই পুষতে পারে।

ভি. ডব্লিউ. কারটিস

৮৩. কখনো কখনো একজনের নিষ্ঠুরতা অন্যের আনন্দের খোরাক হয়ে দাঁড়ায়।

জন ওল্ডহাম

৮৪. ঈর্ষা জিনিসটার মধ্যে একটি সত্য আছে, সে হচ্ছে এই যে, যা-কিছু সুখের সেটি সকলের পাওয়া উচিত ছিল।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮৫. হিংসুকের নিন্দায় ক্ষুণ্ণ হবার কারণ নেই। তুলনায় যে ভালো আছে, তাকেই লোক হিংসা করে।

আব্দুর রহমান শাদাব

৮৬. যে আদর্শ অন্য আদর্শের প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ, তাহা আদর্শই নহে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮৭. কারও বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা সবচেয়ে খারাপ কাজ।

চার্লস ল্যাম

৮৮. রাগ করা অর্থাৎ সাময়িকভাবে পাগল হওয়া, তাই তোমার ক্রোধকে আয়ত্তে রাখো। নচেৎ ক্রোধই তোমাকে আয়ত্ত করবে।

হোরেস

৮৯. যুদ্ধ একান্ত পাশবিক। অথচ পশুর চেয়ে মানুষই যুদ্ধ করে সশি। আবার মানুষই যুদ্ধকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে।

৯০. যুদ্ধ একটি ধ্বংসের বিজ্ঞান।

জন. এম. সি. অ্যাবট

৯১. মানুষ মানুষকে যে ঘৃণা করে, তার কারণ কি? যার মধ্যে মনুষ্যত্ব নেই, যে মিথ্যাবাদী ও ভণ্ড, নিষ্ঠুর ও স্বার্থপর, যার ব্যবহার মিথ্যার সঙ্গে জড়িত–বল দেখি লোকে যদি তাকে ঘৃণা করে, তা হলে কি তাদের দোষ দেওয়া যায়?

–ডা. লুৎফর রহমান

৯২. যুদ্ধ-বিষদাঁত দিয়ে রাজনীতির গেরো খোলার পদ্ধতি যা কখনো জিহ্বা পর্যন্ত পৌঁছায় না।

অ্যামব্রোস বিয়ার্স

৯৩. যুদ্ধ ঠিক প্রেমের মতো, সবসময় ছুতো খোঁজে।

–বের্টোল্ড ব্রেখট

৯৪. শেষ বিচারে সৈনিকের বোঝা বন্দির শিকলের মতো অতটা ভারী নয়।

আইসেন হাওয়ার

৯৫. প্রতিটি জাতির ফুল ঝরিয়ে দেয় বলেই যে যুদ্ধকে আমি ঘৃণা করি, তা নয়। করি এজন্যে যে এটি আত্মিক মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গে বস্তুগত মূল্যবোধও ধ্বংস করে ফেলে।

ইলিয়া এরেনবুর্গ

৯৬. বন থেকে এসে মানুষ মরুর দিকে এগোয়।

-ফরাসি ছাত্র বিদ্রোহীদের দেয়াল-লিখন

৯৭. ক্ষমতা না থাকিলে শত্রুর সম্মুখীন হইও না।

–হযরত আলি (রা.)

৯৮. বিধাতার নিকট আমার প্রার্থনা এই যে, আমাকে শুধু তুমি বন্ধু দিও না, শক্রও দিও, যাতে আমি আমার ভুলভ্রান্তিগুলো ধরতে পারি।

–জন ম্যাক

৯৯. দুই শত্রুর মধ্যে এমনভাবে কথাবার্তা বলো, তারা পরস্পরে মিলে গেলেও যেন তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়।

শেখ সাদি

১০০. অপরিচিত লোক অপেক্ষা আত্মীয়ের শক্রতা অধিক দুঃখজনক।

–ডেমোক্রিটাস

১০১. মানুষকে ঘৃণা করাটা হল ইঁদুর তাড়ানোর জন্য নিজের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো।

হ্যারি ইমারন

১০২. যে ঘৃণা করতে জানে না, সে ভালোবাসতেও জানে না।

কনজাভ

১০৩. ঘৃণার সাহায্যে ঘৃণা কখনো মুছে ফেলা যায় না।

বুদ্ধদেব

১০৪. আল্লাহর এবং মা-কালীর ‘প্রেস্টিজ’ রক্ষার জন্য যাহারা এতক্ষণ মাতাল হইয়া চিৎকার করিতেছিল তাহারাই যখন মার খাইয়া পড়িয়া যাইতে লাগিল, দেখিলাম–তখন আর তাহারা আল্লা মিঞা বা কালী ঠাকুরাণীর নাম লইতেছে না। হিন্দু-মুসলমান পাশাপাশি পড়িয়া থাকিয়া এক ভাষায় আর্তনাদ করিতেছে—’বাবা গো, মা গো’–মাতৃপরিত্যক্ত দুটি বিভিন্ন ধর্মের শিশু যেমন করিয়া একস্বরে কাঁদিয়া তাদের মাকে ডাকে।

কাজী নজরুল ইসলাম

১০৫. প্রতিশোধ নেবার কাজটি শক্রমিত্র উভয়কেই সমপর্যায়ে আনে, আর প্রতিশোধ নেয়ার কথা ভুলে গেলে, প্রতিশোধগ্রহণকারী উন্নত ও মহত্তর আদর্শের পরিচয় দেন।

–বেকন

১০৬. সদুপদেশ গ্রহণ করার জন্য অন্তরে আগ্রহ সৃষ্টি না হওয়া এবং নিজের অভিমত খণ্ডিত হতে দেখেই অন্তরে ক্রোধের সৃষ্টি হওয়ার নামই অহংকার। আত্মপ্রশস্তি ও অহংকার মানুষকে নিম্নস্তরে নিয়ে যায়।

ইমাম গাজ্জালি (রহ.)

১০৭, পৃথিবীতে ভালো যুদ্ধ বা খারাপ শান্তি বলে কিছু নেই।

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন

১০৮. যুদ্ধের সময় দোজখের ভেতরে শয়তান আরও বেশি বেশি করে ঘর তোলে।

জার্মান প্রবাদ

১০৯. যুবকেরা যুদ্ধের প্রথম বলি; শান্তির প্রথম কদম ফুল। একটি মানুষ গড়তে লাগে বিশ বা তারও চেয়ে বেশি বছর; মাত্র বিশ সেকেণ্ডের যুদ্ধ খুঁড়িয়ে দিতে পারে

বলডুইন

১১০. পৃথিবীর লোকের কাছে একথা প্রচারিত যে আমরা হিন্দু-মুসলমান কাটাকাটি মারামারি করি; অতএব ইত্যাদি। কিন্তু ইউরোপেও একটা সম্প্রদায়ে কাটাকাটি মারামাটি চলত–গেল কী উপায়ে। কেবলমাত্র শিক্ষা বিস্তারের দ্বারা। আমাদের দেশেও সেই উপায়েই যেত। কিন্তু শতাধিক বৎসরের ইংরেজ শাসনের পরে দেশে শতকরা পাঁচজনের কপালে শিক্ষা জুটেছে, সে শিক্ষাও শিক্ষার বিড়ম্বনা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১১. শাস্তি দেয়ার জন্য যারা যুদ্ধ করে আর যুদ্ধের ক্লেশ যারা ভোগ করে যুদ্ধটা তাদের উভয়ের জন্যই শাস্তিস্বরূপ।

জেফারসন

১১২. হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী
নিত্য নিঠুর দ্বন্দ্ব;
ঘোর কুটিল পন্থ তাহার;
লোভে জটিল বন্ধ।
নতুন তব জন্ম লাগি,
কাতর যত প্রাণী,
কর ত্রাণ মহপ্রাণ,
আন অমৃত বাণী।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১৩. যে মানব! তুমি বৃহস্পতিতুল্য পণ্ডিত হও, ব্রহ্মের ন্যায় কবি হও, জনকের ন্যায় জ্ঞানী হও, কুবেরের ন্যায় ধনী, বারির ন্যায় দাতা হও, ভীমের ন্যায় বীর হও এবং শশাগড়া পৃথিবীর অধিপতি হও; কিন্তু মনে কিঞ্চিত্মাত্র অভিমান ও অহংকার থাকিলে সকলই বৃথা হইবে, তোমার সেই বিদ্যা, বুদ্ধি, পাণ্ডিত্য, সভ্যতা, বল, বিক্রম, বিভব, রাজত্ব, প্রভুত্ব কিছুতেই কিছু করিবে না। তুমি পৰ্বৰ্ততুল্য উচ্চ হইলেও গর্বদোষে খর্ব হইবে, ইহা বিচিত্র নহে।

১১৪. অহংকারী ও উদ্ধত ব্যক্তিগণ কখনো বেহেশতে প্রবেশাধিকার পাইবে না।

–আল হাদিস

১১৫. হিংসা তোমাকে ধ্বসের শেষ ধাপে নিয়ে যাবে।

–এইচ, জি ওয়েলস

১১৬. এমনকি মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যও আমি হিংসার আশ্রয় গ্রহণ করার ঘোর বিরোধী।

মহাত্মা গান্ধী

১১৭. হিংসুক লোক শত্রুর মতো নিজেকেই উৎপীড়ন করে।

ডেমোক্রিটাস

১১৮. ইতিহাসের পাতা খুলে দেখা যায় হিংসা এবং পরশ্রীকাতরতা মানুষকে মানুষের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ এবং হানাহানিতে লিপ্ত করেছে।

আর, ডব্লিউ. গিল্ডার

১১৯. একজন হিংসুক মহিলা তার গৃহ এবং পরিচিত পরিবেশের মধ্যে যে-কোনো মুহূর্তে আগুন জ্বালাতে পারে।

–পাবলিয়াস সিরাস

১২০. হিংসুক ব্যক্তি সর্বদা তিন প্রকার কষ্টে নিপতিত থাকে–আত্মদহন, মানুষের ঘৃণা এবং আল্লাহর গজব।

ইবনে মুয়াইদ ১২১. দুনিয়ায় কেউ মৃত ব্যক্তির উপর হিংসা করে না, কাজেই জীবিত ব্যক্তির প্রতি হিংসা করা কর্তব্য নয়। কেননা জীবিতও একদিন মৃত হবে।

ইমাম শাফেয়ি (রা.)

১২২. অভ্যেসগত উত্তেজনা হল অপরাধের সারসংক্ষেপ।

–জেরলস

১২৩. অপমানের আঘাত অপেক্ষা শারীরিক আঘাত অনেক সহজে ভোলা যায়।

–লর্ড চেস্টারফিল্ড

১২৪. শয়তানের মস্তিষ্ক সবচেয়ে প্রখর।

–ভলতেয়ার

১২৫. কেউ নিজের ক্ষতি না করে কখনো অন্যের ক্ষতি করতে পারে না।

ডেসম্যাথিস

১২৬. আক্রমণকারী শত্রু অপেক্ষা তোষামোদকারী বন্ধুকে বেশি ভয় করো।

–জি. ওব্রেয়ন

১২৭. ভঙ্গুর বরফের মতো ক্রোধ সময় হলে আপনি গলে যায়।

অভিদ

১২৮. অশোভন আবেগকে জীবনে কখনো প্রশ্রয় দিও না।

অস্কার ওয়াইল্ড

১২৯. একজন মহিলা যখন ভালোবাসে এবং যখন ঘৃণা করে উভয় ক্ষেত্রেই চরম পর্যায়ে যায়।

রিচার্ড আল ডিংকটন

১৩০. মরিচা লোহাকে বিনষ্ট করে দেয়, তেমনি হিংসা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়।

ইবনুল খতিব

১৩১. তোমরা হিংসা পরিত্যাগ করো, কেননা অগ্নি যেরূপ জ্বালানী কাষ্ঠকে ধ্বংস করে হিংসা তদ্রুপ সৎগুণাবলীকে ধ্বংস করে।

–আবু দাউদ

১৩২. কোন অকাট কৃপণের হাত হতে স্বর্ণ-রৌপ্য খসানো যেতে পারে কিন্তু হিংসুকের মুখ থেকে কারো প্রশংসাবাণী বের করা সত্য সত্যই কঠিন।

বাহাউদ্দিন

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *