০৮. সুখ-দুঃখ-হাসি-কান্না

সুখ-দুঃখ-হাসি-কান্না

১. এক-একটি মানুষের কাছে সুখের সংজ্ঞা এক-এক রকম।

–জন উইলসন

২. যে সুখ দিতে জানে, সে কখনো দুঃখ পায় না।

–জরিম বেনথ হার্ম

৩. সুখের সবচেয়ে গোপন গূঢ় কথাই হল ত্যাগ।

–এন্ড্রু কার্নেগি

৪. মনের বেদনা দৈহিক বেদনা থেকে আরও খারাপ।

সাইরাস

৫. বেদনা ও আনন্দ অন্ধকার ও আলোর মতো অনুক্রমিকভাবে দেখা দিয়ে থাকে।

লরেন্স এস্টান

৬. কৌতুকের ব্যাপারে যে কৌতুক করে সে যদি সবার আগে হাসে তা হলে কৌতুক নিরর্থক হয়ে থাকে।

সিলার

৭. দুখি মানুষের কান্নাই একমাত্র সম্বল; কিন্তু যে-দুখি মানুষটি কাঁদতে ভুলে গেছে, সে সুখ-দুঃখের অনেক উর্ধ্বে।

–জন কিপলিংং

৮. কান্না চোখের একটি মহৎ ভাষা।

–রবার্ট হেরিক

৯. অনেক আনন্দের মাঝে বেদনা লুকিয়ে থাকে।

–উইলিয়াম আর্নেস্ট

১০. মহা আনন্দও মানুষকে কাঁদায়, আবার মহা দুঃখও মানুষকে হাসায়।

–জোসেফ রউস্ক

১১. জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দই হল, তুমি যে-কাজ পার না বলে লোকে বলে সেই কাজ করা।

–ওয়াল্টার বাগিহাট

১২. তোমার পিরিত বেদনার অশ্রু
যাহা ঝরায় লোকে,
রতন তাহা, লোকে ভাবে অশ্রু,
তাকে ভুলের ঝোঁকে।

–কবি রুমি

১৩. হাসি ও কান্না দুটো একই অনুভূতির ভিন্ন প্রকাশ। একটি বায়বীয় অন্যটা জলীয়।

–অলিভার ওয়েভেস হোমস

১৪. এমন দুঃখ আছে যাকে ভোলার মতো দুঃখ আর নেই।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৫. দুঃখকষ্ট নিয়েই মানুষের জীবন। কিন্তু দুঃখের পাশাপাশি সুখ আসবে এটাও ধ্রুব সত্য।

–এডওয়ার্ড ইয়ং

১৬. স্বেচ্ছায় নেওয়া দুঃখকে ঐশ্বর্যের মতোই ভোগ করা যায়।

–শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১৭. দুঃখের একমাত্র মৌন ভাষাই হল অশ্রু।

–ভলতেয়ার

১৮. আগুনে পুড়লে সোনা খাঁটি কি না বোঝা যায়, আর দুঃখকষ্টে পুড়লে মানুষ সাহসী কি না বোঝা যায়।

–সেনেকা

১৯. অতি দুঃখে মুষড়ে পোড়ো না। কারণ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুঃখই মুক্তি আনতে পারে।

পেট্রোনিয়াম

২০. দুঃখের মূলে রয়েছে কর্মহীন অবসর, যে-অবসর বা বিশ্রামকালে মানুষ ভাবার সুযোগ পায় যে সে সুখী কিংবা অসুখী।

–বার্নার্ড শ

২১. পৃথিবীটা আনন্দের বাজার হলেও, দুঃখ আর বিষাদের মাধ্যমেই তা পূর্ণতা লাভ করে।

-–এলান সিজার

২২. কান্না শত্রুদের উৎসাহের উদ্রেক করে।

রিচার্ড ক্রাশ

২৩. এমন কৌতুক করা উচিত নয়, যা নির্মম।

–উইলিয়াম ক্যামডেন

২৪. যে কখনো রোদন করে নাই, সে মনুষ্যের মধ্যে অধম। তাহাকে কখনও বিশ্বাস করিও না। নিশ্চিত জানিও, সে পৃথিবীর সুখ কখনও ভোগ করে নাই। পরের সুখ কখনও তাহার সহ্য হয় না। এমন হইতে পারে যে কোনো আত্মচিত্ত বিজয়ী মহাত্মা, বিনা বাষ্পমোচনে গুরুতর মনঃপীড়া সহ্য করিতেছেন এবং করিয়া থাকেন, কিন্তু তিনি যদি কস্মিনকালে, একদিন বিরলে একবিন্দু অশ্রুজলে পৃথিবী সিক্ত না করিয়া থাকেন, তবে তিনি চিত্তজয়ী মহাত্মা হইলে হইতে পারেন; কিন্তু আমি বরং চোরের সহিত প্রণয় করিব তথাপি তাহার সঙ্গে নহে।

–বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২৫. তুমি যদি পর দুঃখে
না হও দুঃখিত,
মানব তোমার নাম
নাহওয়া উচিত।

–শেখ সাদি

২৬. ভালো কৌতুক সমাজে পরিধানের জন্য উৎকৃষ্ট বস্ত্রস্বরূপ।

থ্যাকারে

২৭. ধন কহে ‘দুঃখ তুমি পরম মঙ্গল’
তোমারি দহনে আমি হয়েছি উজ্জল।

কুমুদরঞ্জন মল্লিক

২৮. অশান্তি যুদ্ধ হতেও গুরুতর।

–আল-কোরআন

২৯. অসুখী লোকদের জীবনে আশাও নেই, আবার হতাশাও নেই।

জুভেনাল

৩০. এমনি তো ধরা। আমি শুধু যাবো চলে।
দু’ফোঁটা অশ্রুর মত মুছে যাব নাম
জীবন মধ্যাহ্নে আজ শেষের সংগ্রাম
চলে কত বর্ষ ধরে। শেষ? কেবা বলে?

–সিরাজউদ্দিন চৌধুরী

৩১. সেই আনন্দই যথার্থ আনন্দ, যা দুঃখকে অতিক্রম করে আমাদের কাছে আসে।

–নিক্সন ওয়াটারমার

৩২. আনন্দ পেতে হলে আনন্দের ক্ষেত্রে ছন্দপতনকেও সহজভাবে মেনে নিতে হবে।

–জন হেইড

৩৩. সবচেয়ে ছোট আনন্দগুলো সবচেয়ে মধুর।

–ফারকুহার

৩৪. কোনো পাপী ব্যক্তি যদি সুখী হয় তবে বুঝতে হবে তার মধ্যে আর কোনো অপরাধপ্রবণতা নেই।

–বেনসন

৩৫. আমার দিন কাটে আনন্দে, কিন্তু আমার আত্মা গান করে বিষাদের।

ড্রাইডেন

৩৬. যে-পৃথিবীতে এত বসন্ত আছে, নদী আছে, ঝরনা আছে, সেখানে এত দুঃখ কেন?

সিসেরো

৩৭. অভিজাত আনন্দলাভের জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।

জর্জ সানতানিয়ান

৩৮. বেদনা এবং আনন্দ অন্ধকার ও আলোর মতো অনুক্রমিকভাবে দেখা দিয়ে থাকে।

লরেন্স এস্টন

৩৯. এ-বসন্তে যা আনন্দের আগামী বসন্তে তা বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

–মেট্রোডোরাস

৪০. আনন্দ এমন একটা ফল, যা অনুন্নত দেশে দুষ্প্রাপ্য।

–জন কেনড্রিক

৪১. করুণার মাধ্যমে আমরা অন্যের দুঃখকষ্টকে নিজের করি। আর সেগুলোকে হালকা করার মধ্য দিয়ে হালকা করি নিজেদেরকেও।

টমাস ব্রাউন

৪২. বাঁচতে হলে হাসি ও আনন্দের মথ্যে বাঁচো।

সিডনি সেন্ডন

৪৩. জীবনে কেবল তিনটি অনাবিল ও স্থায়ী আনন্দ রয়েছে, আর সবগুলোই পাওয়া যায় অচেতন পদার্থ থেকে। যেমন গ্রন্থ, আলেখ্য এবং প্রকৃতির আনন্দ।

উইলিয়াম হ্যাজলিট

৪৪. এমন সৌভাগ্যবান নেই যাকে দুঃখ এবং মৃত্যু স্পর্শ করে না।

ইউরিপাইডস

৪৫. আনন্দ বিশ্রামহীন জীবনের মতো, শান্তি নীরব সুষমামণ্ডিত রাত্রির মতো।

উইলিয়াম শার্প

৪৬. একটি বেদনাদায়ক আনন্দ পরবর্তীতে একটি বেদনাদায়ক যন্ত্রণায় পরিণত হয়।

–স্যার চার্লস সিউলে

৪৭. কান্নায় অনন্ত সুখ আছে। তাইতো কাঁদতে আমি ভালোবাসি।

কীটস

৪৮. যৌবনে দুঃখ ছাড়া কান্না থাকে আর বার্ধক্যে থাকে কান্না ছাড়া দুঃখ।

জোসেফ রক্সি

৪৯. কৌতুক করার প্রবৃত্তিও মানুষের স্বভাবজাত। তবে কৌতুকের কারণ হয়তো সকলের এক নয়। কেউ স্কুল, কেউ মাঝারি, কেউ অতি সূক্ষ্ম রসিকতায় মজা পায়। যারা খোঁচা দিয়ে, আঘাত করে মজা পায়, তাদের সংখ্যাই পৃথিবীতে অনেক বেশি। কারণ অধিকাংশ মানুষ এখনও সভ্যতার নিম্নস্তরে রয়েছে।

অজিত দত্ত

৫০. ধনীলোকের কৌতুকই সর্বদা উপভোগ্য হয়ে থাকে। গোল্ডস্মিথ ৫১. সবাইকে খুশি রাখা পৃথিবীতে সবচেয়ে দুরূহ কাজ।

–রবার্ট লুজেন্ট

৫২. যে-মানুষের বৃত্ত যত বেশি বিস্তৃত, সে তত বেশি দুখি। আশ্চর্য এই যে, সেকথা জেনেও মানুষ তার গণ্ডির রেখা দূর থেকে দূরান্তরে টেনে নিয়ে চলেছে।

–জরাসন্ধ

৫৩. দুঃখ এড়াবার আশা
নাই এ জীবনে।
দুঃখ সহিবার শক্তি যেন পাই মনে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৪. দুঃখই জগতে একমাত্র সকল পদার্থের মূল্য। মাতৃস্নেহের মূল্য দুঃখে, পব্ৰিত্যের মূল্য দুঃখে, বীর্যের মূল্য দুঃখে, পুণ্যের মূল্য দুঃখে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৫. সুখের চারটি পাখা–তাই সে দ্রুত উড়ে পালায়।

সিডনি স্মিথ

৫৬. পরের দুঃখে যারা কষ্ট পায় তাদের দুঃখ কখনোই মোচন হয় না।

–রবার্ট হেরিক

৫৭. তোমাকে সুখের প্রতি বিশ্বস্ত হতে হবে, নচেৎ সুখ তোমার কাছে ধরা দেবে না।

সিডনি স্মিথ

৫৮. সে-ই সবচাইতে সুখী যে নিজের দেশকে ভালবাসতে পারে।

–জে. জে. বেড

৫৯. সংসারে সুখী হওয়ার দুটি উপায় রোজগার বাড়ানো অথবা চাহিদা কমানো।

শংকর

৬০. দেহ ধারণ করা দুঃখ। এসব দুঃখ সবাইকে ভোগ করতে হয়। জ্ঞানী ভোগ করে জ্ঞানে আর মূর্খ ভোগ করে কেঁদে কেঁদে। লক্ষ্যের দিকে সব তাকিয়ে থাকে; কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে পারে না। সব তীর শেষ হয়ে গেলে তখন ধনু ফেলে চলে যায়।

ভক্ত কবির

৬১. রাতের পরে দিন আসবেই এটা যেমন অবধারিত, তেমনি করে কিন্তু দুঃখের পরে সুখ আসবেই এটা নির্ধারিত হয়।

বি. সি. রায়

৬২. দুঃখকে লাভের দিক দিয়া স্বীকার করার মধ্যে আধ্যাত্মিকতা নাই। দুঃখকে প্রেমের দিক দিয়া স্বীকার করাই আধ্যাত্মিকতা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬৩. কর্মী তোক প্রায় দুর্বৃত্ত, আর সৎলোক প্রায়ই অকর্মণ্য, এই বিচিত্র হেরফেরের জন্যই সংসারে বারো আনা দুর্দশা।

–প্রমথনাথ বিশী

৬৪. যে দুর্ভাগ্যকে সহ্য করতে পারে না, সে সত্যি হতভাগ্য।

টেরেন্স

৬৫. দুশ্চিন্তা মানুষের মনোযোগ দেবার ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।

ক্যারিয়ার

৬৬. অপরের দুর্ভাগ্য সহ্য করার মতো যথেষ্ট সহিষ্ণুতা আমাদের সকলেরই আছে।

–লা রোচি ফুকে

৬৭. প্রফুল্লতাই স্বাস্থ্য আর এর বিপরীত হল বিষাদ, যার অর্থ অসুস্থতা।

–হিলি বাটন

৬৮. বেদনা হচ্ছে পাপের শাস্তি।

–বুদ্ধদেব

৬৯. দুঃখ কখনো একা আসে না, সে দল বেঁধে আসে।

–শেক্সপীয়ার

৭০. অভাগীরে! হাসতে এসে কাঁদিয়ে গেলি,
নিজেও শেষে বিদায় নিলি কেঁদে,
ব্যথা দেওয়ার ছলে, নিজেই সইলি ব্যথা রে
সেই কথাটাই কাঁটার মতন বেঁধে।

কাজী নজরুল ইসলাম

৭১. মনের যাতনা দেহের যাতনার চেয়ে বেশি।

–উইলিয়াম হ্যাজলিট

৭২. শান্তির জন্য তখনই মানুষ চিৎকার করে যখন কোথাও শান্তি থাকে না।

লর্ড পামার স্টোন

৭৩. নাগিনীরা চারিদিকে ফেলিতেছে
বিষাক্ত নিশ্বাস,
শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে
ব্যর্থ পরিহাস–।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৭৪. শান্তির প্রকাশ সবসময়েই সুন্দর ও সহজ হয়।

–ওয়াল্ট হুইটম্যান

৭৫. অসাধু লোকেরা কখনো শান্তি পাবে না।

টমাস হার্ডি

৭৬. পরশ্রীকাতর এবং লোভী ব্যক্তি কখনো শান্তিলাভ করে না।

রাবেয়া বসরি (র.)

৭৭. নানা নদনদীর জল সমুদ্রে আসিয়া পড়ে বটে, কিন্তু তাহাতে সমুদ্রের কিছু পরিবর্তন হয় না। তেমনি রূপ, রস ইত্যাদি বিষয়গুলি যে-ব্যক্তির অন্তরে প্রবেশ করিয়াও তাহাকে বিচলিত করিতে পারে না, তিনি প্রকৃত শান্তি পান, কিন্তু যে ভোগের ইচ্ছা করে তাহার শান্তি হইতে পারে না।

শ্রীমদ্ভগবদগীতা

৭৮. যার গৃহে শান্তি বজায় থাকে তাকে ভগবান ভালোবাসেন।

কার্ভেন্টিস

৭৯. নিজের কাছে দুঃখ-সুখের প্রমাণ করিবার প্রয়োজন হয় না–পরের কাছে তাহা প্রমাণ করিতে হয়। সুতরাং শোক প্রকাশের জন্য যেটুকু কান্না স্বাভাবিক শোক প্রমাণের জন্য তাহার চেয়ে সুর চড়াইয়া না দিলে চলে না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮০. সন্তোষ মনেতে যার
সম্পত্তি কিবা তার নাই?
পায়েতে থাকিলে জুতা
চর্মাবৃত যেন ধরাটাই।

চাণক্য পণ্ডিত

৮১. যে অল্পেতে সন্তুষ্ট হয়, তার ধ্বংস নেই।

–হেরিক

৮২. ভবিষ্যৎ সুখ সুনিশ্চিত করার সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে আজ ন্যায়সঙ্গতভাবে যতটা সম্ভব ততটা সুখী হওয়া।

চার্লস ডব্লিউ ইলিয়ট

৮৩. সেই ব্যক্তিই সুখী যে দুনিয়াকে জানে এবং তার তোয়াক্কা করে না।

–জোসেফ হল

৮৪. সুখের সাগরে ডুব দিয়ে দুঃখ উপলব্ধি করা যায় না।

অ্যারিস্টটল

৮৫. যদি তুমি সুখী হতে চাও তবে তোমাকে অবশ্যই সৎ হতে হবে।

ডগলাস মেল

৮৬. দুঃখময় জীবনেও একধরুনের আলোর দীপ্তি থাকে, যা অত্যন্ত দুর্লভ।

–টেরেন্স

৮৭. ধনসুখ আছে যার ভাণ্ডারে
দান সুখে তার সুখ আরো বাড়ে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮৮. সুখ সুখ বলে তুমি,
কেন কর হাহুতাশ
সুখ ত পাবে না,
বৃথা সে সুখের আশা।

কায়কোবাদ

৮৯. সুখী হবার মাত্র একটি উপায় আছে, তা হল আমাদের আত্মশক্তির বাইরের কোনো জিনিস সম্বন্ধে দুশ্চিন্তা না করা।

–কে, টি. কেলার

৯০. দুনিয়াতে প্রত্যেকেই সুখ খুঁজছে এবং তাকে খুঁজে পাওয়ার একটি নিশ্চিত পথ রয়েছে, অর্থাৎ তোমার ভাবনাগুলোকে সামনে রেখে। সুখ বাইরের অবস্থার ওপর নির্ভর করে না, এটা নির্ভর করে অভ্যন্তরীণ অবস্থার ওপর। তোমার কী আছে বা তুমি কে বা তুমি কোথায় আছ বা তুমি কী করছ এটাই তোমাকে সুখী বা অসুখী করে না। তুমি সুখ সম্পর্কে যা ভাব সুখ হচ্ছে তা-ই।

–ডেল কার্নেগি

৯১. অন্ধ হয়ে থাকা দুঃখের নয়–দুঃখের কথা হল অন্ধত্বকে সহ্য করার শক্তি না থাকা।

–জন মিল্টন

৯২. অন্যের দুর্ভাগ্যে শুধু সান্ত্বনাই দিও না, নিজেও সাবধান হয়ো।

সিসেরো

৯৩. পৃথিবীর সমস্ত অসুখেরই হয় ওষুধ আছে, নয়তো নেই, যদি থাকে তা হলে খোঁজাই শ্রেয়, না থাকে তো চিন্তা নেই।

ডীন হকস

৯৪. ঈশ্বর আমায় এই প্রশান্তি দিন, যেন আমি যা বদলাতে পারি না তা সহ্য করতে পারি। আর যা বদলানো সম্ভব তা বদলানোর সাহস দিন। আর আমি যেন এই দুই-এর পার্থক্য বুঝতে পারি।

–ড, রাইনোল্ড লাইবুর

৯৫. অল্পে যে তৃপ্ত নয়, কিছুই তাকে তৃপ্তি দিতে পারে না।

গ্রীসীয় প্রবাদ

৯৬. যার তৃপ্তি নেই সে-ই সবচেয়ে দরিদ্র।

জাপানি প্রবাদ

৯৭. যে-ব্যক্তি জাতির মনে শান্তি দিতে পারে, সে নিঃসন্দেহে মহামানব।

ওয়ালপেপাল

৯৮. গৃহের শান্তি স্বর্গের শান্তির চেয়ে কম নয়।

–গোল্ডস্মিথ

৯৯. শান্তি এমন মূল্যবান মণিমাণিক্য বিশেষ, একমাত্র সত্য ছাড়া আমি সবকিছু এর পরিবর্তে দিয়ে দিতে পারি।

–এন. হেনরি

১০০. একজন মানুষকে সবসময় সন্তুষ্ট রাখা সম্ভব নয়।

ইয়ং

১০১. কী পেলাম আর কী পেলাম না, তার হিসেবনিকেশ না করে যা পাচ্ছি তাতে সন্তুষ্ট থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

–জি. এস. হিলার্ড

১০২. স্বল্পে সন্তুষ্ট হওয়ার মতো সুখ এবং স্বাস্থ্যের চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছুই নেই।

টমাস রাইট

১০৩. মন যখন রাজত্ব করে তখন সে আপনার সুখ আপনি সৃষ্টি করিতে পারে; কিন্তু ধন যখন সুখ সঞ্চয়ের ভার নেয় তখন মনের আর কাজ থাকে না। তখন সুখের পরিবর্তে কেবল সামগ্রী পাওয়া যায়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৪. মানুষের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তিনি সুখী ছিলেন কি না, একথা কেউ বলতে পারে না।

–সোলন

১০৫. প্রকৃত সুখ কোথায়? পরকে ফাঁকি দিয়ে নিজের সুখটুকু ভোগ করে নেওয়াতে কি সত্যিকারের সুখ আছে? আত্মার সাত্ত্বিক তৃপ্তির কাছে জড়দেহের ভোগ সুখের মূল্য কিছুই না; যতদিন না মানুষ পরকে সুখ দিতে আনন্দবোধ করবে; ততদিন তার যথার্থ কল্যাণ নাই।

–ডা. লুৎফর রহমান

১০৬. সুখ ক্ষণিকের আনন্দের ফসল নয়–অধিকাংশ সময়েই এটা দুর্লভ।

–ইমারসন

১০৭. সুখ কী এ বিষয়ে যার যথার্থ জ্ঞান নেই, সে কোনোদিন সুখী হতে পারবে না।

ফুলার

১০৮. যে অল্প নিয়ে সুখী সে-ই ভাগ্যবান, আর বিত্তশালী হয়েও যে অসুখী যে দুর্ভাগাই বটে।

–ডেমোক্রিটাস

১০৯. যার আছে সন্তুষ্টি, সৌভাগ্য তারই জন্যে। সমস্ত পৃথিবীই কি সেই লোকের কাছে চামড়ায় ঢাকা নয় যার নিজের পায়ে আছে জুতো?

–পঞ্চতন্ত্র

১১০. তোমার যা নেই তার পেছনে ছুটে যা আছে তা নষ্ট কোরো না; মনে রেখো, আজকে তোমার যা আছে, গতকাল তুমি সেটার পেছনে ছুটেছিলে।

–এপিকিউরাস

১১১. সন্তানদের নিয়ে যে সুখী, সে যথার্থই সুখী।

-বেয়ার্ড টেলর

১১২. পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও;
তার মত সুখ কোথাও কি আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।

কামিনী রায়

১১৩. ঈশ্বর মানুষকে সবকিছু দিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, একমাত্র সুখ নামক পদার্থটি ছাড়া।

বি. সি. রায়

১১৪. আল্লাহ যাকে অল্পে তুষ্টি ও পুণ্যবতী স্ত্রী দান করেছেন, সে-ই সবচেয়ে বেশি সুখী।

–হযরত আলি (রা.)

১১৫. চণ্ডীদাস বাণী শুন বিনোদিনী
সুখ-দুখ দুটি ভাই।
সুখলাভ তরে পিরিতি যে করে
দুখ যায় তার ঠাঁই।

বড়ু চণ্ডীদাস

১১৬. আমরা যদি সুখী হতে চাই তা হলে কৃতজ্ঞতা বা অকৃতজ্ঞতার কথা ভুলে যাওয়া ভালো, আর দান করার আনন্দেই দান করা উচিত।

–ডেল কার্নেগি

১১৭. বিধাতা মানুষকে সুখ দিয়ে তাকে ধৈর্যের সঙ্গে পরীক্ষা করেন।

ক্লাউডিয়ান

১১৮. ভোগে প্রকৃত সুখ নাই, কর্ম সম্পাদন করাতেই সুখ।

ভূদেব মুখোপাধ্যায়

১১৯. নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হলেই দোষমুক্ত হওয়া যায়।

কল্টন

১২০. দুঃখ, ঘৃণা এবং ভয়কে পরিহার করতে জানলে সংসারের অনেক অশান্তি দূর হয়।

–জেফারসন

১২১. আনন্দ এবং কাজ সময়কে সংক্ষিপ্ত করে।

শেক্সপীয়ার

১২২. নারী, টাকা এবং মদ যাদের কাছে আনন্দের সামগ্রী, পরবর্তী সময়ে তাদের কাছে তা বিষ হয়ে দাঁড়ায়।

ফ্রাংকলিন অ্যাডামস

১২৩. মনের আনন্দই দেহের শক্তির উৎস।

ফারকুহার

১২৪. খাদ্যের অভাবে জাতি মরে না, তার যথার্থ মৃত্যু ঘটে আনন্দের অভাবে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১২৫. আনন্দের যেমন মধুর ভাষা আছে, তেমনি মেঘাচ্ছন্ন আকাশও আছে।

–ডব্লিউ. এইচ. ডেভিস

১২৬. তোমার জীবনের প্রতিটি আনন্দময় মুহূর্তের দাম লাখ টাকা।

–জন বেল

১২৭. কান্নার চেয়ে কোনো কিছু এত শীঘ্র শুকায় না।

রবার্ট ব্রাউনিং

১২৮. কোনো কোনো কৌতুক নির্মম হয়ে অন্যের বুকে আঘাত হানে।

–এস. টি. কোলরিজ

১২৯. দুঃখ তুমি আমার প্রিয়তমা
দুঃখ তুমি কাছে কাছেই থাকো
মিথ্যা সুখের অনেক গ্লানি জমা
জ্বরতপ্ত কপালে হাত রাখো।

আলাউদ্দিন আল-আজাদ

১৩০.সুঃখ সহ্য করার ক্ষমতা যাদের আছে, তাদের কাছে দুঃখ বড় হয়ে দেখা দেয় না।

স্পেনসার

১৩১. দুঃখ যখন যাবে সুখ তখন তাকে অনুসরণ করবে।

ইমারসন

১৩২. অর্থ দিয়ে সুখ কিনতে পারেন, শান্তি কিনতে পারেন না।

শচীন ভৌমিক

১৩৩. অসৎ মানুষের হাসি নির্মল হয় না।

উড্রো উইলসন

১৩৪. পরের দুঃখ নিয়ে যারা চিন্তা করে, তাদের নিজেদের দুঃখ বলে কিছু থাকে।

জর্জ ক্যানিং

১৩৫. দুঃখীর দুঃখ যিনি যতটা অনুভব করেন, তিনি তত বড় মানুষ।

ডাঃ লুৎফর রহমান

১৩৬. দুঃখরা তাড়াহুড়া করে আসে, আর সুখরা নূপুর পায়ে নেচে নেচে আসে।

–মেরি কেরোনিন ডেভিস

১৩৭. নিজের দুঃখের কথা
যারে তারে কয়ো না,
অপবাদ উপহাস
মিছামিছি সয়ো না।

–শেখ সাদি

১৩৮. শিশুরা কেঁদে তাদের দুঃখের কথা বলতে পারে, বয়স্করা কাঁদতে পারে, কিন্তু সবসময় তার দুঃখের কথা অন্যের নিকট বলতে পারে না।

সিডনি ডোবেল

১৩৯. দুঃখ পুরোপুরি জানানো হয়ে গেলে থামিয়ে দাও বিলাপ।

কনফুসিয়াস

১৪০. মৃতেরা নয়, শোকাতুর হয় জীবিতরাই।

স্টমাস ফুলার

১৪১. জগতের শোকগৃহ অন্ধকারে সাজানো, আর এরই ভেতরে আছে আনন্দভবন।

উইলিয়াম ডিন হাওয়েলস

১৪২. প্রিয় কেউ মারা গেলে সেই মুহূর্তগুলো স্মরণ করে আমরা অশ্রু ফেলি যখন ততটা ভালো আমরা বাসিনি।

মরিস মেটারলিঙ্ক

১৪৩. দুঃখ যত বড়ই হোক, সময় তা নরম করে আনে ও কমিয়ে দেয়।

–সিসেরো

১৪৪. দুখিদের মনে জোর কম থাকে।

রবার্ট হেরিক

১৪৫. দুঃখকে আজকে যতটা পাষাণ মনে হচ্ছে, আগামীদিন ততটা মনে হবে না এবং অচিরেই দুঃখ মিলিয়ে যাবে হাওয়ায় ভর করে।

জেরিথ টেলর

১৪৬. যেখানে দুঃখ আছে, তার পাশেই একটা পবিত্র অঙ্গন আছে।

–অস্কার ওয়াইল্ড

১৪৭. তোমারে চিনেছি দুঃখ। তুমি রাখ মোরে
আবরিয়া কি অপূর্ব প্রেয়সীর মতো
সংসারে সর্ব সুখ হতে।

চিত্তরঞ্জন দাস

১৪৮. দুঃখ ভোলার মোক্ষম উপায় হচ্ছে দুঃখকে দুঃখ বলে আমল না দেওয়া।

–উইলিয়াম ওয়ালস

১৪৯. দুঃখ বেদনা পাপের প্রতিফল।

বুদ্ধদেব

১৫০. দুঃখের মতো নির্বাক কিছু আছে কি? চোখের জলেও তার প্রকাশ হয় না। দুঃখ যখন বড়ই গভীর আর মর্মন্তুদ হয়, তখন আহা উঁহু গেলাম মলাম বলতে পারা দূরে থাক, তার অসহ্য যন্ত্রণা হাস করে এক ফোঁটা চোখের জলও যে পড়ে না। সমস্ত জীবনের সব রঙ পুড়ে খাক হয়ে যায়, মাথার চুল দু’দিনে সাদা হয়ে ওঠে। গভীর দুঃখ অন্তরে সমাহিত হয়ে থাকে, তার বহিঃপ্রকাশ নাই বলে সে মনের মধ্যকার সব মালিন্য ছড়িয়ে নিঃশেষ করে সব খাদ মিটিয়ে শুধু খাঁটিটুকু বজায় রাখে।

প্রিয়ম্বদা দেবী

১৫১. আপনাকে বিলাইয়া
দীন দুঃখীদের মাঝে,
দূরিলে পর দুঃখ
সকালে বিকালে সাঁঝে
তবেই পাইবে সুখ।
আত্মার ভিতরে তুমি
যা রুপিবে–তাই পাবে,
সংসার যে কর্মভূমি।

কায়কোবাদ

১৫২. দুঃখে মাথার চুল ছেঁড়া বোকামি, কেননা চুলহীন টেকো মাথার সাহায্যে দুঃখের লাঘব হয় না।

এসিসেরো

১৫৩. জবরদস্তির দ্বারা শান্তি রক্ষিত হতে পারে না। কেবল সমঝোতা দ্বারাই এটা অর্জন করা যেতে পারে।

–আইনস্টাইন

১৫৪. বিশ্বাস নয়ন জল
মানবের শোকানল
একটু একটু ক্রমশঃ নিভায়
স্মৃতি শুধু জেগে রহে,
অতীত কাহিনী কহে,
লাগে গত নিশীথে স্বপনের প্রায়
আর দিন চলে যায়।

কামিনী রায়

১৫৫. অল্পেতে সন্তুষ্ট থাকতে পারলেই জীবনকে মধুময় মনে হয়।

টলস্টয়

১৫৬. অসম্ভব বেদনার সঙ্গে মিশে রয়ে গেছে অমোঘ আমোদ।

জীবনানন্দ দাশ

১৫৭. বেদনার পরেরকার আনন্দই উপভোগ্য।

জন ড্রাইডেন

১৫৮. সুখ বলে যাহা চাই সুখ তাহা নয়,
কী যে চাই জানি না আপনি,
আঁধারে জ্বলিছে ওই, ওরে কারো ভয়,
ভুজঙ্গের মাথার ও মণি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬৯. অশ্রু বড্ড তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। বিশেষ করে সেই অশ্রু যদি ঝরে অন্যের দুঃখে।

–সিসেরো

১৬০. সুখ জীবনকে দীর্ঘায়িত করে, কর্মস্পৃহা বাড়ায়।

ইস্টার সোল

১৬১. জ্ঞানী লোক কখনো সুখের সন্ধান করে না, তাঁরা কামনা করেন দুঃখকষ্ট থেকে অব্যাহতি।

অ্যারিস্টটল

১৬২. নির্মল হাসি গৃহে সূর্যকিরণের মতো।

–মেনেভার

১৬৩. অভিজ্ঞ লোকেরা অল্প হাসে, বোকারা না বুঝেও হাসে।

উইলিয়াম হারভে

১৬৪. সব ছেলের কাছেই তার মার মুখের হাসিটি হচ্ছে একান্ত নিজস্ব সম্পদ, যার সঙ্গে অন্য কারও মায়ের হাসিই মেলে না।

অবধূত

১৬৫. আপনি যদি বুদ্ধিমান হন তবে হাসুন।

মার্শাল

১৬৬. একটি রাজ্যের রাজা হওয়ার চেয়ে হাস্যোজ্জ্বল বালকের জীবন আমার বেশি পছন্দ।

অলিভার ওয়েল্ডার হোমস

১৬৭. হাসতে যে কার্পণ্য করে মনের কালিমা তার কখনো পুরোপুরিভাবে ঘোচে না।

জন উইলসন

১৬৮. যে হাসে, সে বেশিদিন বাঁচে।

ডা. জোয়েল ওম্যান

১৬৯. যে-প্রকারেই হোক, হাসাটা ভালো, আর একটা শুকনো খড়ও যদি একটা মানুষকে সুড়সুড়ি দেয়, ওটা তবে আনন্দের একটা বাদ্যযন্ত্র।

ড্রাইডেন

১৭০. উচ্চস্বরে হাসি খোলা প্রাণের পরিচায়ক।

ক্যাসটুলিয়াস

১৭১. হসিমুখে কথা বলা শুভ সূচনা। কেউ মূল্য না দিক, তুমি সকার্য করবে।

–হযরত আলি (রা.)

১৭২. জাতি-দেশ-বর্ণ-ধর্ম ভেদ নাই
শিশুর হাসির কাছে,
সবি পড়ে থাকে পাছে,
যেখানে যখন দেখি এমনি জুড়াই।

–হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

১৭৩. হাসিতে যেন বিধি গড়েছে সে কামিনী;
হাসি তার ওষ্ঠাধরে
হাসি যে কপোল ‘পরে–
হসি তার দুটি চক্ষে খেলে যেন দামিনী।

–গোপালকৃষ্ণ ঘোষ

১৭৪. পুরুষ জাতিকে পক্ষপাতী বিধাতা বিনা কৌতুকে হাসিবার ক্ষমতা দেন নাই, কিন্তু মেয়েরা হাসে কী জন্য তাহা দেবা ন জানন্তি কুতো মনুষ্যঃ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৭৫. অসৎ মানুষের হাসি নির্মল নয়।

উড্রো উইলসন

১৭৬. সে-ই সত্যিকারের সুখী যে অন্যের দোষকে সহজে গোপন রাখতে এবং ক্ষমা করতে পারে।

টমাস উইলসন

১৭৭, মানুষ তার পাপ, হত্যাকাণ্ড, দুর্বলতা, নকল দাঁত, আলগা চুল–স্বীকার করে নেবে সবই। কিন্তু কে আছে এমন, যে বলবে তার রসবোধ নেই?

ফ্রাঙ্ক মুর কলবি

১৭৮. কখনো কখনো গাম্ভীর্যের চেয়ে একটি সকৌতুক উক্তি কোনো বিষয়কে গুরুত্ববহ করে তুলতে পারে আনন্দ আর নিশ্চয়তার সঙ্গে।

–হোরেস

১৭৯. সামান্য কিছু বিষয় আছে যেগুলো মানুষের মধ্যে করুণার জন্ম দেয়, সংখ্যায় তা বেশ কম। তবে সমস্যা হল বহুবার ব্যবহৃত হওয়ার পর সেগুলো আর কাজ করে না।

ব্রেখট

১৮০. আমি নিজেকে সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি বলে মনে করি এবং তাতে আমার লাভ ছাড়া ক্ষতি হয় না।

পি. জে. বেইলি

১৮১. যত কম চাইবেন, তত বেশি পাবেন, বেশি কামনা করলেই কম পাওয়া যাবে, সুখতত্ত্বের এই গোড়ার কথাটা মনে না রাখলে সুখী হওয়া যায় না।

বার্ট্রান্ড রাসেল

১৮২. সংসারে দুঃখের পাশাপাশি সুখ আসবেই, কিন্তু সুখের আতিশয্যে আত্মহারা না হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

–লেডি বেসিংটন

১৮৩. হাসির বিনিময়মূল্য নেই, কিন্তু তাৎপর্য আছে।

বুলিয়ান

১৮৪. মনে কি করেছে বধূ ও হাসি এতই মধু।
প্রেম না দিলেও চলে শুধু হাসি দিলে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৮৫. স্বাস্থ্য এবং হাসি পৃথিবীকে সুন্দর করে তোলে।

স্কট

১৮৬. আমরা সুখী বলেই হাসি না বরং হাসি বলেই সুখী।

উইলিয়াম জেমস

১৮৭. যে হাসতে পারে সে গরিব নয়।

–হেমন্ড হিকেক

১৮৮. সবাইকে সুখী করতে চেষ্টা করো, নিজের যা আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবে। তা হলে দেখবে জীবনটা দুর্বিষহ মনে হবে না।

আটিমুস ওয়ার্ড

১৮৯. আনন্দ ও গতি সময়কে খুব সংক্ষিপ্ত করে দেয়।

–শেক্সপীয়ার

১৯০. জীবনকে যদি ভালোবাস তা হলে সময়ের অপচয় কোরো না, কারণ জীবনটা সময়ের সমষ্টি দ্বারা তৈরি।

ফ্রাঙ্কলিন

১৯১. এমনকি হাসির সময়েও হৃদয় বেদনাতুর থাকে; আর আনন্দের শেষে আসে ভারাক্রান্ততা।

বাইবেল

১৯২. আমাদের সবচেয়ে অপচয়িত দিন হল সেটি যেদিন আমরা হাসি না।

–শফোর

১৯৩. কোনো লোক যখন হাসে তখন তাকে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ এর পরে। সে তার ত্রুটিগুলো দেখিয়ে ফেলে।

ইমারসন

১৯৪. লোককে নিয়ে যখন আপনি হাসেন তখন আপনি তার ওপর ক্রুদ্ধ নন। রসবোধ সহিষ্ণুতা শেখায়।

সমারসেট মম

১৯৫. ক্রোধ দিয়ে নয়, হাসি দিয়ে একজন অন্যজনকে হত্যা করতে পারে।

নিৎসে

১৯৬. তুমি যদি নিজেকে অর্ধেক সুখী মনে কর তবে মনে করবে বিধাতার অসীম আশিস তোমার জন্য রয়েছে।

জন লিভগেট

১৯৭. পরের কারণে মরণেও সুখ
‘সুখ, সুখ’ করি কেঁদ না আর,
যতই কাঁদিবে যতই ভাবিবে,
ততই বাড়িবে হৃদয় ভার।

কামিনী রায়

১৯৮. সুখ শুধু পাওয়া যায় সুখ না চাহিলে,
প্রেম দিলে প্রেমে পুরে প্রাণ,
নিশিদিন আপনার ক্রন্দন গাহিলে
ক্রন্দনের নাহি অবসান।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৯৯. যিনি সহজ-সরল জীবনযাপন করেন, সত্যিকার সুখ তাঁর কাছে অত্যন্ত সুলভ।

–উইলিয়াম আলেকজান্ডার

২০০. রাজার ঐশ্বর্যের সাথে তুলনা করা চলে (শষ্যক্ষেতে দাঁড়ানো) চাষির মনের সুখের।

ভার্জিল

২০১. কোনো মানুষ একই সাথে দুজন প্রভুকে সন্তুষ্ট করতে পারবে না।

টমাস ফোর্ড

২০২. স্বার্থের প্রশ্ন যেখানে জড়িত, সেখানে সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় না।

চার্লস ডিকেন্স

২০৩. একমাত্র মনের শান্তিই পারে জীবনকে পরিপূর্ণ করে তুলতে।

–আর. আর. সুইটারম্যান

২০৪. সাহিত্যের হাসি শুধু মুখে হাসি নয়, মনেরও হাসি। এ হাসি হচ্ছে সামাজিক জড়তার প্রতি প্রাণের বক্রোক্তি, সামাজিক মিথ্যার প্রতি সত্যের দৃষ্টি।

–প্রমথ চৌধুরী

২০৫. অতি উচ্চহাস্য শূন্য মনের পরিচায়ক।

–গোল্ডস্মিথ

২০৬. যারা হাসতে জানে, তারা হাসতে পারে না, এমন লোকের চেয়ে বেশিদিন বাঁচে। খুব কম লোকই জানে হাসতে পারার ওপর স্বাস্থ্যের গতিপ্রকৃতি অনেক নির্ভরশীল।

ড. জেমস. জে. ওয়ালস

২০৭. যে-ব্যক্তি শিশুর হাসি ঘৃণা করে তার কাছ থেকে সাবধান থাকবে।

লাতাতার

২০৮. উচ্চহাস্য গালে টোল খাওয়াবে, ভ্রকে কুঞ্চিত করবে না। ঠাট্টা এমন হওয়া চাই যাতে তজ্জনিত হাসিতে সকলেই যোগদান করতে পারে; কিন্তু আসরের একজনকে যদি তা শক্তভাবে আঘাত করে তা হলে সেটা তার চিড় খাওয়ার মতো সংগীতে এনে দেয় একটা যতি।

–ওয়েল ফেলথাম

২০৯. যে খুব বেশি হাসে তার চেয়ে বেশি বিষাদাপন্ন আর কেউ নয়।

জাঁ পল রিশটার

২১০. বন্ধুত্ব শুরুর জন্যে হাসি মোটেই খারাপ নয়, আর শেষ করার জন্যেও এটি শ্রেষ্ঠ।

অস্কার ওয়াইল্ড

২১১. অতিরিক্ত দুঃখ হাসে। অতিরিক্ত আনন্দ কাঁদে।

উইলিয়াম ব্রেক

২১২. যারা মৃদু হাসে তাদের চেয়ে যারা ফুঁপিয়ে কাঁদে তারা দ্রুত আরোগ্য লাভ করে।

জ্যাঁ জিরাদু

২১৩. যে একবার আন্তরিকভাবে হেসেছে সেরকম কোনো লোক কখনোই পুরোপুরি খারাপ হতে পারে না।

টমাস কার্লাইল

২১৪. যে-দিনটিতে হাসা গেল না, সে-দিনটাই সবচেয়ে ব্যর্থ।

–নিকোলাস চ্যামফোর্ট

২১৫. হাসি রোগ আরোগ্য নাও করতে পারে, কিন্তু ব্যথা লাঘব করে, সংকটের বোঝা করে লাঘব, এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, আর এ-জিনিস পয়সা দিয়ে কিনতে হয় না।

লরেন্স পিটার

২১৬. দুঃখ আনন্দকে ঘৃণা করে, আনন্দ ঘৃণা করে দুঃখকে, ত্বরিত ধীরকে এবং অলস কর্মতৎপরতাকে ঘৃণা করে।

হরেফ

২১৭. উত্তম হাস্যরস আত্মার জন্য স্বাস্থ্যকর, বিষণ্ণতা আত্মার পক্ষে বিষসদৃশ।

–স্টেসিস

২১৮. প্রেম ও উচ্চহাস্যকে বাদ দিয়ে কোনো আনন্দ নেই, প্রেম এবং উচ্চহাস্যের মধ্যে বাঁচো।

–হোরেস

২১৯. মন খুলে যে হাসতে পারে না, সে-ই পৃথিবীর সবচেয়ে অসুখী ব্যক্তি।

জন লিলি

২২০. সুন্দর চিন্তা করা এবং সুন্দরভাবে হাসা পৃথিবীতে সবচেয়ে সহজ কাজ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২২১. মানুষই একমাত্র সৃষ্টি, যাকে ঈশ্বর হাসার শক্তি দিয়েছেন।

গ্রিভাইল

২২২. একজন সুখী মানুষ সাদা কাকের মতোই দুর্লভ।

জুভেনাল

২২৩. সম্পদ বৃদ্ধি না করে যেমন এটা গ্রাস করার অধিকার আমাদের নেই, তেমনি সুখ বৃদ্ধি না করে এটাও গ্রাস করার অধিকার আমাদের নেই।

জর্জ বার্নার্ড শ

২২৪. আমি দুঃখ জানি।
তাই হে প্রিয় আমার।
বুঝিয়াছি মর্মে মর্মে
সুখের গৌরব।

–চিত্তরঞ্জন দাস

২২৫. তোমকে সুখের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে, নচেৎ সুখ কোনোদিন তোমার কাছে আসবে না।

উইলিয়াম জেমস

২২৬. সুখেতে আসক্তি যার
আনন্দ তারে করে ঘৃণা
কঠিন বীর্যের তারে
বাঁধা আছে সম্ভোগের বীণা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২২৭. ভালো স্বাস্থ্য এবং কম স্মরণশক্তিই মানুষকে সুখী করতে পারে।

–ইনগ্রিড বার্গম্যান

২২৮. প্রচুর ধনসম্পত্তির ভিতর সুখ নাই, মনের সুখই প্রকৃত সুখ।

–আল-হাদিস

২২৯. দূরে দূরে তুমি কেন খুঁজে মরো?
সুখ তো আছে হাতের কাছে,
শিখে নাও শুধু তারে ধরিবারে,
সুখ সে তো রয় সদা কাছে কাছে।

গ্যোটে

২৩০. সেই ব্যক্তিই সুখী, যে দুনিয়াকে জানে এবং তার তোয়াক্কা করে না।

–জোসেফ হল

২৩১. কোনো মানুষই সুখী হতে পারে না, যদি না সে নিজেকে সুখী মনে করে।

মার্কাস এন্টেনিয়াস

২৩২. তিনিই সত্যিকারের সুখী যিনি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আশা করেন না।

ভার্জিল

২৩৩. দেখাশেষে উচ্চাহাসি হাসার চেয়ে দেখামাত্র মুচকি হাসি হাসা অনেক ভালো।

–থিওডোর এডওয়ার্ড

২৩৪. হাসি মানুষের প্রাণকে সজীব রাখে, মনকে সতেজ করে, আমরা যাকে ভালবাসি, তার মুখে হাসি ফোঁটাবার জন্য কতই না চেষ্ট করি।

অজিত দত্ত

২৩৫. তুমি যদি কাউকে হাসাতে পার তবে সে তোমাকে পছন্দও করবে, বিশ্বাসও করবে।

–আল ফ্রেই স্মিথ

২৩৬. যে হাসতে জানে না, সে হতে পারে বিশ্বাসঘাতক, করতে পারে ছলচাতুরী, জীবনটাই তার বিশ্বাসঘাতকতা আর ছলচাতুরীপূর্ণ।

টমাস কার্লাইল

২৩৭, কখনো কখনো দুঃখই মুক্তি আনতে পারে।

–পেট্রোনিয়াম

২৩৮. যে তার দুঃখ লুকাতে পারে তার তুলানায় যে তার আনন্দ লুকাতে পারে সে বড়।

ল্যাভেটার

২৩৯. তোমার দুঃখ সে তো দুঃখের ছায়ামাত্র। সত্যিকারের দুঃখ তো তুমি দেখনি।

স্কট

২৪০. মানুষকে দুঃখ দিয়ে ঈশ্বর মানুষকে সার্থক করেছেন। তাকে নিজের পূর্ণশক্তি অনুভব করবার অধিকারী করেছেন।

জনসন

২৪১. দুঃখ পাবার রহস্য হল আপনি সুখী না দুখি ভাবতে পারার মতো সময় থাকাটা।

–জর্জ বার্নার্ড শ

২৪২. একান্ত দুঃখ নিবৃত্তিকেই তো মানুষ পরম লক্ষ্য বলে ধরে নিতে পারে না। সে যে তার স্বভাবই নয়। ……..অনেক সময় গায়ে পড়ে সে দুঃখকে বরণ করে নেয়। ……তার কারণ দুঃখের সম্বন্ধে মানুষের একটা স্পর্ধা আছে। আমি দুঃখ সইতে পারি, আমার মধ্যে সেই শক্তি আছে–একথা মানুষ নিজেকে এবং অন্যকে জানাতে চায়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৪৩. দুঃখের ব্যথার বেদনা থেকে বাঁচতে হলে কাজের ভিতর দিয়ে বাঁচতে হবে।

–জিএইচ. লিউএস

২৪৪. সুখের কথা বলো না আর, বুঝেছি সুখ কেবল ফাঁকি,
দুঃখে আছি, আছি ভাল, দুঃখেই আমি ভাল থাকি।

–দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

২৪৫. তুমি আমি, আমরা সবাই মানুষ। আমাদের দুঃখকষ্টকে পরস্পরের মধ্যে ভাগ করে নেয়াই কি বুদ্ধিমানের কাজ নয়?

টমাস হুড

২৪৬. যতদিন ভবে না হবে, না হবে,
তোমার অবস্থা আমার সম,
ঈষৎ হাসিবে, শুনে না শুনিবে,
বুঝে না বুঝিবে, যাতনা মম।

কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

২৪৭. যাহা আমরা বীর্যের দ্বারা না পাই, অশ্রুর দ্বারা না পাই, তাহা আমরা সম্পূর্ণ পাই। যাহাকে দুঃখের মধ্য দিয়া কঠিনভাবে লাভ করি, হৃদয় তাহাকেই নিবিড়ভাবে, সমগ্রভাবে প্রাপ্ত হয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৪৮. এমন কোনো রাত নেই যা ভোর হবে না, এমন কোনো দুঃখ নেই যা সময়ে ফিকে হয়ে আসবে না।

বার্নার্ড জোসেফ

২৪৯. হে অন্তহীন দুঃখ, তোমাকে জানাই আমার অন্তরের আহ্বান। পৃথিবীর যত সুখ, যত আনন্দ, যত কোলাহল–তোমরা আমার কাছ থেকে দূরে চলে যাও, তোমাদের আমি চাই না। দুঃখ, তুমি হয়তো অচঞ্চল, হয়তো রণকেশ–কিন্তু তোমার মধ্যে আছে সত্যিকারের নিষ্কাম গভীরতা, পবিত্রতা।

–জন মিল্টন

২৫০. কথা শেষ করার পর হাসো, সেটাই যথার্থ হাসি।

জন ওজেল

২৫১. শত কষ্টের মধ্যে একটুখানি হাসি অনেক দামি।

–চার্লস ল্যাম

২৫২. যেদিন নিজেকে নিয়ে সত্যিকারের হাসি হাসতে পারবে, সেইদিন বুঝবে তুমি বড় হয়েছ।

ইথেল ব্যারিমোরা

২৫৩. জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দের জিনিস হচ্ছে হাসি।

–জোসেফ এডিসন

২৫৪. যে-তরুণ কখনো কাঁদেনি, সে বর্বর; আর যে-বৃদ্ধ হাসে না সে বোকা।

–জর্জ স্যানাটায়ান

২৫৫. সুখটা হাস্যকর কিছু নয়।

টমাস হুড

২৫৬. আসক্তিশূন্য হইয়া কাজ করিলে অশান্তি বা দুঃখ কখনোই আসিবে না।

–স্বামী বিবেকানন্দ

২৫৭. সে-আনন্দই যথার্থভাবে উপভোগ্য যা বেদনার মধ্যে জন্ম নেয়।

স্যার চার্লস বুচলে

২৫৮. সত্যের রসই হচ্ছে আনন্দ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫৯. পৃথিবী এক বৃহৎ বাজার, এখানে আনন্দের মূল্য সবচেয়ে বেশি।

–এলেন সীজার

২৬০. মনের আনন্দই দেহের শক্তির উৎস।

–মিকেলাঞ্জেলো

২৬১. আনন্দকে ভাগ করলে দুটো জিনিস পাওয়া যায়, একটি হচ্ছে জ্ঞান এবং আর একটি প্রেম।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৬২. আনন্দ আসে, কিন্তু কখনো দাঁড়াতে চায় না। আবার কখনো কখনো চলতে চলতেই হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানায়।

–এ. ডব্লিউ. হেয়ার

২৬৩. আনন্দ সঙ্গীময় আর দুঃখ সঙ্গীবিহীন।

রবার্ট নাথন

২৬৪. সুখের সঙ্গে আনন্দের প্রভেদ এই যে, সুখের বিপরীত দুঃখ, কিন্তু আনন্দের বিপরীত দুঃখ নহে। শিব যেমন করিয়া হলাহল পান করিয়াছিলেন, আনন্দ তেমনি করিয়া দুঃখকে অনায়াসেই গ্রহণ করে।…আপনার পূর্ণতাকে উপলব্ধি করে। তাই দুঃখের তপস্যা আনন্দের তপস্যা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৬৫. মানুষ নিজের সুখের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কৃত্রিমতার আশ্রয় নেয়।

হার্বার্ট স্পেন্সর

২৬৬. রাত্রে যেমন তারার প্রকাশ ঘটে; দুঃখ তেমনি সত্যের সন্ধান দেয়।

–এডওয়ার্ড মুর

২৬৭. যেখানে দুঃখ আছে তার পাশেই একটা পবিত্র অঙ্গন আছে।অস্কার ওয়াইল্ড

২৬৮. হাসিখুশি মানুষকে বিধাতাও পছন্দ করেন।

–জন ওয়েল

২৬৯. সে কখনো সুখী হতে পারবে না, যে নিজেকে সুখী মনে করে না।

–পাবলিয়াস সিয়াস

২৭০. দুঃখ ও নিঃসঙ্গতা ভীষণ ক্ষমতাবান।

–বেয়ার্ড টেলর

২৭১. যদি তুমি দীর্ঘজীবী হতে চাও তবে আনন্দে অবগাহন করতে শেখো।

–উইলিয়াম উইন্টার

২৭২. যে-মানুষটি তোমার আনন্দের সঙ্গী, সে তোমার দুঃখের সঙ্গী না-ও হতে পারে।

–মেরিলা এমরিকার

২৭৩. যে অন্যায় করে, সে না পায় সুখ, না পায় স্বস্তি।

জুভেনাল

২৭৪. যুদ্ধ, মৃগয়া আর প্রেমের একটি আনন্দের বিপরীতে আছে হাজার বেদনা।

হিস্পানি প্রবাদ

২৭৫. আনন্দ যায়, দুঃখ আসে, কীভাবে আসে কীভাবে যায় বোঝা যায় না।

–জন বেল

২৭৬. একলা একলা দুঃখ ভোগ করা যায়, আনন্দ উপভোগ সম্ভব নয়।

নিমাই ভট্টাচার্য

২৭৭. প্রতি দশটি রসিকতার বিনিময়ে তুমি অর্জন করো একশো জন শত্রু।

লরেন্স স্টার্ন

২৭৮. হাসি আরোগ্য নাও করতে পারে কিন্তু ব্যথা লাঘব করে, সংকটের বোঝা করে লাঘব, এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই আর এই জিনিস পয়সা দিয়ে কিনতে হয় না।

লরেন্স পিটার

২৭৯. দুখী মানুষের কান্নাই একমাত্র সম্বল কিন্তু যে দুখী মানুষটি কাঁদতে ভুলে গেছে, সে সুখ-দুঃখের অনেক উর্ধ্বে।

–জন কিপলিং

২৮০. সুখের স্রষ্টা হচ্ছে পেট।

ভলতেয়ার

২৮১. দুঃখ সহ্য করার ক্ষমতা যাদের আছে, তাদের কাছে দুঃখ বড় হয়ে দেখা দেয়।

–স্পেনসার

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *