০৫. দেশ, জাতি ও ইতিহাস

দেশ, জাতি ও ইতিহাস

১. শাসনতন্ত্রের প্রশ্নে জনণের রায়ই শেষ কথা।

–হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি

২. দেশের জন্য একবিন্দু রক্তদান করার মতো মহৎ কাজ আর নেই।

জর্জ ক্যানিং

৩. আমার মনে হয় একমাত্র দেশকেই অন্ধের মতো ভালোবাসা যায়।

ব্রাউডিন

৪. একটি গণতন্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সার্বভৌম ক্ষমতা সমগ্র জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে।

অ্যারিস্টটল

৫. নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে জাতির সহায়তায়। মহত্ত্ব নিয়ে অনাসক্ত হয়ে ব্যক্তিসত্তার স্বকীয়তা ভুলতে হবে, লুপ্ত করে দিতে হবে। জাতির স্বার্থই হবে ব্যক্তির স্বার্থ। জাতির কল্যাণেই হবে ব্যক্তির কল্যাণ।

–এ. কে. ফজলুল হক

৬. আমি একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক; এর চাইতে বড় গৌরব আর কিসে হতে পারে?

–জে. আর. লাওয়েল

৭. ঢেঁকি যেমন স্বর্গেও ঢেঁকি তেমনি ইংরেজ সর্বত্রই খাড়া ইংরেজ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮. সমাজকল্যাণ হচ্ছে একটা ক্ষেত্র, যেখানে রাষ্ট্র, সমাজ এবং ব্যক্তি প্রত্যেকেরই সুনির্দিষ্ট ভূমিকা এবং দায়িত্ব রয়েছে।

–কোপার

৯. সাধারণভাবে সরকারের কৌশলই হল একদল নাগরিকের কাছ থেকে যত পারা যায় টাকা হাতিয়ে নিয়ে অন্যদের কাছে তুলে দেয়া।

–ভলতেয়ার

১০. ইতিহাস পড়া ভালো, তবে ইতিহাস সৃষ্টিতেই মানুষের মহত্ত্ব।

নেহরু

১১. হাজার বছরের ঘূণেধরা এ সমাজব্যবস্থার উপর এমন আঘাত হানতে চাই যেমন হেনেছিলাম ‘৭১ সনে পাক-হানাদারবাহিনীর উপর।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

১২. যখন কোনো ইউরোপীয় নিউ ইয়র্ক ও শিকাগোতে যায়, তখন সে দেখতে পায় ভবিষ্যৎকে; আর যখন এশিয়ায় যায়, তখন সে দেখতে পায় অতীতকে।

বার্ট্রান্ড রাসেল

১৩. প্রজাতন্ত্রের সরকার হচ্ছে জনগণ, আর বাজেট তাদের চাহিদার প্রতিফলন।

জন. এফ. কেনেডি

১৪. জনগণের ভাগ্য যদি তাদের সম্মিলিত ইচ্ছা দ্বারাই সৃষ্ট ও পালিত না হয়, তবে সেটা হয় খাঁচা, দানাপানি সেখানে ভালো মিলতেও পারে, কিন্তু তাকে নীড় বলা চলে না। সেখানে থাকতে থাকতে পাখা যায় আড়ষ্ট হয়ে। একনায়কতা শাস্ত্রের মধ্যেই থাক, শুরুর মধ্যেই আর রাষ্ট্রনেতার মধ্যেই থাক, মনুষ্যত্বহানির পক্ষে, এমন উপদ্রব আর ক্লিছুই নেই।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৫. একজন ঐতিহাসিককে এমন ভূতের সঙ্গে তুলনা করা চলে, যে নাকি অতীতের কথা বলে।

হলম্যান

১৬. কোনো জাতির প্রচারপত্রের নমুনা দেখে সে-জাতির আদর্শের কথা বলা যেতে পারে।

ডগলাস

১৭. ঐতিহাসিক ঘটনার জনশ্রুতিতে বাস্তব ঘটনার সহিত মানব-মন মিশ্রিত হইয়া যে পদার্থ উদ্ভূত হয় তাহাই ঐতিহাসিক সত্য। সেই সত্যের বিবরণই মানবের নিকট চিরন্তন কৌতুকাবহ এবং শিক্ষার বিষয়।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৮. গণতন্ত্র হল স্বাধীনতা, সাম্য, ব্যক্তিমূল্য ও সামাজিক চাহিদার সমন্বয়।

টমাস রো

১৯. গণতন্ত্রের চেয়ে গুণতন্ত্র ভালো। কিন্তু গুণের পুঁজি দিয়ে নিজের কাজ করলে তাতে গণের লাভ হয় না। তাই গুণে খাটো হলেও বেশি লোক যার ভাগীদার হবে গণতন্ত্রে তারই জয় ঘোষিত হয়।

আবদুর রহমান শাদাব

২০. সভ্যতা আর গণতন্ত্রের প্রধান শর্ত পরমতসহিষ্ণুতা।

আবুল ফজল

২১. সে-ই সবচাইতে সুখী, যে নিজের দেশকে স্বর্গের মতো ভাবে।

ভার্জিল

২২. আইন ছাড়া সরকার টিকে থাকতে পারে, কিন্তু সরকার ছাড়া আইন বেঁচে থাকতে পারে না।

–বার্ট্রান্ড রাসেল

২৩. যে কালি দিয়ে ইতিহাস লেখা হয়, তা আসলে তরল সংস্কার।

–মার্ক টোয়েন

২৪. মানুষের ইতিহাস ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে শিক্ষা আর বিপর্যয়ের প্রতিযোগিতা।

–এইচ. জি. ওয়েস

২৫. মানুষ মরে যায় পূর্ণভাবে সে জন্ম নেয়ার আগেই।

–এরিকফ্রম

২৬. তৃষ্ণার্ত আত্মার জন্য স্নিগ্ধ জল যেমন, দূর প্রবাসে অবস্থানকালে স্বদেশ থেকে আগত সুসংবাদ ঠিক তেমনি।

বাইবেল

২৭. রাষ্ট্রে অসন্তোষের একটি কারণ হচ্ছে সেই অবস্থা যেখানে বিদ্বান বেশি কিন্তু চাকরি কম।

ফ্রন্সিস বেকন

২৮. চিরদিন অপরের কথা শুনিয়া আমরা নিজেদের পরিচয় ভুলিয়া গিয়াছিলাম, একবার চেষ্টা করিয়া দেখা গেল আমাদের ভাণ্ডে পরিচয় দিবার উপযোগী অমূল্য রত্ন যথেষ্ট রহিয়াছে। এতদিন শুধু তা অগ্রাহ্য করিয়া পরের নিকট হাত পাতিয়াছি।

কায়কোবাদ

২৯. যে-দেশে গণতন্ত্র নেই, সে-দেশে নিরাপত্তা নেই।

জে. আর. লাওয়েল

৩০. গণতন্ত্র যেখানে নেই, স্বস্তি সেখানে থাকার কথা নয়। –এস. বলডউইন

৩১. গণতন্ত্র মাথা গোনে, মস্তক অর্থাৎ ঘিলুর খোঁজ নেয় না।

অজ্ঞাত

৩২. ভেজাল গণতন্ত্র হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে লজ্জাহীন বস্তু।

এডমন্ড বার্ক

৩৩. গণতন্ত্র ও হিংসা একসঙ্গে চলতে পারে না।

–হুমায়ুন আজাদ

৩৪. একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সকল সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে।

অ্যারিস্টটল

৩৫. গণতন্ত্র হল পারস্পরিক মর্যাদার এক তীর্থভূমি।

ল্যাসওয়েল

৩৬. প্রকৃতিগত দিক থেকে গণতন্ত্র একটি আত্মহিতকর বা আত্মবিনাশক পদ্ধতি পরিণামে যার ফলাফল শূন্য ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় না।

টমাস কার্লাইল

৩৭. এ-বিষয়ে আমি নিশ্চিত যে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নাগরিকদের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় সংখ্যালঘুর ওপর চরমতম নিষ্ঠুর উৎপীড়ন চালাতে সক্ষম।

–এডমন্ড বার্ক

৩৮. গণতন্ত্রের মুল বীজ হল এই মতবাদ–আত্মবিশ্লেষণ করো এবং আত্মমর্যাদা বোধ জাগিয়ে তোলো।

ইমারসন

৩৯. গণতন্ত্রের সব চাইতে বড় শত্রু স্বৈরতন্ত্র নয়, তা হচ্ছে বল্গাহীন ব্যক্তিস্বাধীনতা।

–অটোকান

৪০. ধনতন্ত্রের দুষ্টগ্রহ দ্বারা সকল মানুষের কল্যাণসাধন সম্ভব নয়। সমাজতন্ত্রই একমাত্র মানবকল্যাণের উৎকৃষ্ট আদর্শ।

–ফিদেল ক্যাস্ট্রো

৪১. গণতন্ত্রে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলের সমান মর্যাদা।

লেসিং

৪২. গবর্নমেন্ট শব্দটা শুনিবামাত্র হঠাৎ ভ্রম হয় যেন তাহা মানবধর্ম বিবর্জিত নির্গুণ পদার্থ। যেন তাহা রাগদ্বেষবিহীন। যেন তাহা স্তবে বিচলিত হয় না, বাহ্য চাকচিক্যে ভোলে না, যেন তাহার আত্মপর বিচার নাই, যেন তাহা নিরপেক্ষ কটাক্ষের দ্বারা মন্ত্র বলে মানবচরিত্রের রহস্য ভেদ করিতে পারে ……।

অজ্ঞাত

৪৩. কিন্তু আমরা নিশ্চয় জানি গবর্নমেন্ট আমাদেরই ন্যায় অনেকটা রক্তে-মাংসে গঠিত। উক্ত গবর্নমেন্ট নিমন্ত্রণে যান, বিনীত সম্ভাষণে আপ্যায়িত হন, লনটেনিস খেলেন, মহিলাদের সহিত মধুরালাপ করেন এবং অধম আমাদেরই মতো সামাজিক স্তুতিনিন্দায় বহুল পরিমাণে বিচলিত হইয়া থাকেন।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪৪. স্কুল-কলেজের ছাত্রদের পাঠ্যাবস্থাতেও দেশের কাজে যোগ দেবার–দেশের স্বাধীনতা-পরাধীনতার বিষয় চিন্তা করবার অধিকার আছে। এবং এই অধিকারের কথাটা মুক্তকণ্ঠে ঘোষণা করবারও অধিকার আছে।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৪৫. বয়স কখনও দেশের কাজ থেকে কাউকে আটকে রাখতে পারে না।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৪৬. সকল জাতির সঙ্গে শান্তি, বাণিজ্য এবং সৎ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে কারও সাথে জোটবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

–জেফারসন

৪৭. দেশমাতৃকার জন্য যারা জীবন দান করেন, তারাই সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী।

–জর্জ হার্বার্ট

৪৮. জগতে এমন কোনো রাজশক্তি নেই, যা সমবেত জনগণের অপ্রতিহত বেগ রোধ করতে পারে।

–দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন

৪৯. দেশসেবা জিনিসটা যতদিন ধর্ম না হয়ে দাঁড়ায়, ততদিন তার মধ্যে খানিকটা ফাঁকি থেকে যায়। আবার ধর্ম যখন দেশের মাথা ছাড়িয়ে ওঠে, তখনও ঘটে বিপদ।

–শরৎচন্দ্র চট্টেপাধ্যায়

৫০. যদি মৃত্যুহীন হতে চাও, তোমাকে সত্তাবে দেশের কাজ করতে হবে।

জে. জি. হল্যান্ড

৫১. যে নিজের দেশের সেবা করে, তার পরিচয়ের জন্য পূর্বপুরুষদের পরিচয়ের ফিরিস্তির জের টানতে হয় না।

–ভলতেয়ার

৫২. যে-মায়ের সন্তান দেশের জন্য জীবন দিয়েছে, তার মাতৃত্ব-গৌরব চিরভাস্বর।

জ্যাকসন

৫৩. বুদ্ধিজীবীদের কাছে তার দেশ এবং সেবিকার কাছে তার রুগীর একই ভূমিকা হওয়া উচিত।

–ওয়ালেস রাইস

৫৪. দেশের জন্য একবিন্দু রক্ত দান করার মতো মহৎ কাজ আর নেই।

–জর্জ ক্যানিং

৫৫. আমার দেশ হচ্ছে সমগ্র পৃথিবী এবং আমার ধর্ম হচ্ছে মানুষের কল্যাণসাধন করা।

–টমাস পেইন

৫৬. একজন বদমায়েশ দেশপ্রেমকে তার শেষ আশ্রয় হিসাবে প্রয়োগ করে।

–জনসন

৫৭. দেশকে ভালো না বাসলে তাকে ভালো করে জানবার ধৈর্য থাকে না, তাকে না জানলে তার ভালো করতে চাইলেও তার ভালো করা যায় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫৮. যে-পর্যন্ত মানুষের ভিতর থেকে দেশপ্রেমিকতাকে নিংড়ে ফেলে দিতে না পারা যাবে, সে-পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পৃথিবীর কল্পনা করা যায় না।

বার্নার্ড শ

৫৯. যে-দেশপ্রেমিক নিজের ঘরকে ভালোবাসে না, তাকে যথার্থ দেশপ্রেমিক বলা যাবে না।

–এস. টি. কোলরিজ

৬০. যারা স্বদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে, তারা কোনোকালেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না। তারা দেশদ্রোহী।

নেলসন ম্যান্ডেলা

৬১. সামগ্রিকভাবে দেশের কল্যাণ তখনই আসবে, যখন সমাজসেবা নিজ গৃহ থেকে শুরু করবে।

রিচার্ড গ্রেভ

৬২. ধনী ও ক্ষুধার্ত লক্ষ লক্ষ জনসাধারণের ভিতর যে-পার্থক্য রয়েছে তা যতদিন থাকবে ততদিন অহিংস শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা কোনোমতেই সম্ভব হবে না।

মহাত্মা গান্ধী

৬৩. বলিষ্ঠ রাজনীতি কখনো কামনাকে ভয় পায় না।

–ওয়েডেল ফিলিপ

৬৪. তিক্ত বড়িকে মিষ্টি আকারে গেলানো রাজনীতির নৈপুণ্য।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬৫. কোনো রাজনৈতিক দল বামপন্থি, কোনোটা ডানপন্থি, কোনোটা মধ্যপন্থি– কিন্তু জনগণের কল্যাণ করবে যারা, সেই সম্মুখপন্থি তথা প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের বড় অভাব এ-বিশ্বে।

–গুন্টার গ্রাস

৬৬. একটি লোক জানে না এবং সে মনে করে সে জানে–রাজনৈতিক উন্নতির জন্য এটিই দরকার।

বার্নার্ড শ

১০০

৬৭. যারা ভাবে তাদের নিজেদের দলীয় নীতিতেই সকল সততা আছে, সমস্ত কিছুকেই তারা চূড়ান্তে নিয়ে যায়; তারা স্বীকার করে না সামঞ্জস্যহীনতা রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে ফেলে।

অ্যারিস্টটল

৬৮. স্বাধীনতা সেই জিনিস যা রাজনীতির বাইরে থেকে রাজনীতি আহরণ করতে চায়।

–স্টিভেনসন

৬৯. গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরোধী প্রতিটি দলই যে দেশ পরিচালনার অযোগ্য এটা প্রমাণ করতে গিয়েই প্রতিটি দল বেশির ভাগ শক্তি ক্ষয় করে ফেলে। প্রতিটি দলই তা করতে সমর্থ হয় এবং তারা প্রত্যেকেই সঠিক।

–এইচ. এল. মেনকেন

৭০. প্রতিটি দেশে দুটোর বেশি রাজনৈতিক দল থাকা উচিত নয়। একটি ক্ষমতাসীন

অন্যটি বিরোধী দল।

–জেমস্ হারমেস

৭১. রাজনীতিক দল বড় ভয়ানক জিনিস। কাজের চেয়ে কথা বেশি, কথার চেয়ে বেশি ঝগড়া এবং ঝগড়ার চেয়ে বেশি দলাদলি। আজকাল আবার দলাদলিকে ছাড়িয়ে গেছে ষড়যন্ত্র।

প্রবোধকুমার সান্যাল

৭২. রাষ্ট্রদূত হলো একজন ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তি–যাঁকে তাঁর স্বদেশের স্বার্থে পাঠানো হয়ে থাকে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের জন্য।

–স্যার হেনরি ওটন

৭৩. জনগণের শুভেচ্ছাই একজন শাসকের প্রত্যাশা হওয়া উচিত।

জে. সি. হেয়ার

৭৪. অযোগ্য শাসনকর্তার মতো দেশ ও জাতির কেউ ক্ষতি করতে পারে না।

–অ্যারিস্টটল

৭৫. যে-দেশে দয়ালু শাসক, ন্যায়বিচার, দক্ষ চিকিৎসক, সুন্দর বাজার এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই–সে-দেশে বসবাস কোরো না।

–আবু আলি সিনা

৭৬. একজন জ্ঞানী প্রশাসক সময়োপযোগী শাসন করেন।

সিডনি লেনিয়ার

৭৭. শাসক আর বিচারকরা যতই শক্তিমান হোন ঘড়ির কাঁটাকে পিছিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা তাঁদেরও নেই।

–আবুল ফজল

৭৮. সর্বাপেক্ষা ভয়ঙ্কর জীব হচ্ছে স্বেচ্ছাচারী শাসক এবং তার তোষামোদকারী পার্শ্বচর।

–নিজামুল মুল

৭৯. স্বৈরাচারী শাসকেরা সবসময় চারিদিকে ষড়যন্ত্র আর কুচক্রী দ্যাখে।

–শেখ হাসিনা

৮০. কেবল কষ্টে থাকার সময়ই ইংরেজরা নিজেদের নৈতিক মনে করে।

জর্জ বার্নার্ড শ

৮১. দেশ শাসনভার আল্লাহতাআলার নিকট থেকে আমানত।

–আল-হাদিস

৮২. ইতিহাসের একমাত্র শিক্ষা এই যে ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না।

অজানা

৮৩. ইতিহাস অসংখ্য জীবনীর সারমর্ম।

টমাস কার্লাইল

৮৪. যে শাসন কাঠামো দিয়ে মানুষকে শাসন করা হয়, তার সম্বন্ধে মতামত দেওয়া, আলোচনা-সমালোচনা করার অধিকার তার থাকা চাই। মানুষকে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে শাসনতন্ত্র জড়যন্ত্রে পরিণত হতে বাধ্য। তখন বিচারক আর ফাঁসির রজ্জুতে কোনো তফাত থাকবে না।

–আবুল ফজল

৮৫. হয় সত্যদ্রষ্টা দার্শনিকের রাজনৈতিক শক্তির অধিকারী হতে হবে, নয়তো এমন আশ্চর্য কোনো ঘটনা ঘটা দরকার যাতে রাজনীতিকগণই দার্শনিকে পরিণত হবেন। তা না হলে এই নোংরা ঘৃণ্য সমাজ-ব্যবস্থায় মানুষের টিকে থাকা সম্ভব হবে না।

প্লেটো

৮৬. সেই সমাজই শ্রেষ্ঠ যেখানে মানুষ তাদের উৎপদিত দ্রব্যের মানকেই বেশি গুরুত্ব দেয় পণ্যের সংখ্যার চাইতে।

–লিন্ডন বি. জনসন

৮৭. সমাজ পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনাই উপযুক্ত মনে হয় না কেবল মিথ্যাচার ছাড়া, যতক্ষণ পর্যন্ত সমাজ নিজের পরিবর্তনের জন্যে মরিয়া না হয়ে উঠছে।

টি. এস. এলিয়ট

৮৮. সমাজের মুখের ভেতর আছে অসংখ অসুস্থ দাঁত, যা চোয়ালের হাড় পর্যন্ত পচা। কিন্তু সমাজ তাদের উপড়ে ফেলে স্বস্তি পেতে চায় না। সে সন্তুষ্ট থাকে সোনার ফিলিং নিয়ে।

খলিল জিবরান

৮৯. সমাজতন্ত্রই শোষিত জনগণের মুক্তির একমাত্র পথ।

লেনিন

৯০. মানুষকে, নিপীড়িত জনসাধারণকে যিনি ভালোবাসেন, সমাজতান্ত্রিক মতবাদকে তিনি শ্রেষ্ঠ ও শ্রেয় জ্ঞান না করে পারেন না।

–জ্যোতি বসু

৯১. সমাজতন্ত্রের কাছে একদিন সকল মতবাদকে নতজানু হতেই হবে।

–আবুল ফজল

৯২. সমাজতন্ত্রবাদ হচ্ছে স্ফটিকের ন্যায় শুদ্ধ। সুতরাং একে অর্জন করার জন্য স্ফটিকবৎ পন্থা অবলম্বন করা উচিত।

মহাত্মা গান্ধী

৯৩. সমাজতন্ত্র আধুনিক বিশ্বের মুক্তি সনদ।

–আবু জাফর শামসুদ্দীন

৯৪. যে-দেশে অসংখ্য দরিদ্র লোক আছে তাদের সভ্য জাতি বলে গর্ব করা উচিত নয়।

–জন ডেনহাম

৯৫. ব্যক্তির মতো জাতি বাঁচে ও মরে, কিন্তু সভ্যতা টিকে থাকে।

–মাজিন

৯৬. আমার দৃঢ় বিশ্বাস সরকার মানে এখনও বহুর বিরুদ্ধে গুটিকয়েকের সেই পুরানো ষড়যন্ত্রই, তবে তা এখন নতুন রূপ গ্রহণ করেছে।

বেবফ

৯৭. জনগণের মঙ্গলের জন্যই সরকার। কিন্তু অনুন্নত দেশের সরকার তার আখের গোছাতে গিয়ে জনগণের কথা বেমালুম ভুলে যায়।

সুভাষ মুখোপাধ্যায়

৯৮. যে-দেশের জনগণ শিক্ষিত ও সচেতন, সে-দেশের সরকার জনবিরোধী পদক্ষেপ নিতে ভয় পায়।

–সৈয়দ সব্যসাচী

৯৯. আমেরিকাকে দেখে কখনোই তরুণ সপ্রাণ মনে হয়নি আমার কাছে বরং মনে হয়েছে অকালবৃদ্ধের মতো, যেন পাকার সুযোগ পাওয়ার আগেই পচে গেছে কোনো ফল।

–হেনরি মিলার

১০০. মার্কিনি মনের চেয়ে বিবর্তনশীল কিছু নেই।

ওয়াল্ট হুইটম্যান

১০১. মাতৃভূমিকে যে ভালোবাসতে পারে না, তার পক্ষে অন্যকিছুকে ভালোবাসা সম্ভব নয়।

বায়রন

১০২. আধুনিক রাষ্ট্রনীতির প্রেরণাশক্তি বীর্যাভিমান নয়, সে হচ্ছে ধনের লোভ, এই তত্ত্বটি মনে রাখা চাই। রাজগৌরবের সঙ্গে প্রজাদের একটা মানসিক সম্বন্ধ থাকে, কিন্তু ধনলোভের সঙ্গে তা থাকতেই পারে না। ধন নির্মম, নৈর্ব্যত্তিক। যে মুরগি সোনার ডিম পাড়ে, লোভ যে কেবল তার ডিমগুলোকেই ঝুড়িতে তোলে তা নয়, মুরগিটাকে সুদ্ধ সে জবাই করে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৩. কোনটা ইতিহাস তাহা স্থির করিবার পূর্বে কোনটা ইতিহাস নহে তাহা নির্ণয় করা বিপুল পরিশ্রমের ও বিচক্ষণতার কাজ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৪. ইতিহাসের সত্য-মিথ্যা নির্ণয় করা বড়ো কঠিন।… শোনা গেছে ইতিহাসের গান অমিত্রাক্ষর হয় না, এর চরণে চরণে মিল।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৫. ইতিহাস এমন একটি বিষয় যা কখনো ঘটেনি এবং এমন লোকের দ্বারা লিখিত যে কখনো সেখানে ছিল না।

যাযাবর

১০৬. গুজবের চোলাই করা অংশই হল ইতিহাস।

কার্লাইল

১০৭. বস্তুত ইতিহাস একটি স্বীকৃত উপকথা ব্যতীত আর কিছুই নয়।

নেপোলিয়ান

১০৮. ইতিহাস মাত্রই যে বহুল পরিমাণে লেখকের অনুমান ও পাঠকের বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে, তাহাতে সন্দেহ নাই।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১০৯. পৃথিবীর ইতিহাস হল মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য অন্বেষণের (রুটি ও মাখনের) তালিকা-বিশেষ।

ভ্যান লুন

১১০. কোনো ইতিহাসই কোনোকালে প্রশ্ন ও বিচারের অতীত হইতে পারে না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১১. কী করে সেই দেশশাসনের আশা কর যেখানে পনিরই আছে দুইশো ছিচল্লিশ রকমের?

শার্ল দ্য গল

১১২. এমন ভালো কাজ এবং মন্দ কাজ নেই যা ইংরেজ করবে না। কিন্তু তুমি কখনোই তাদের অন্যায় বা ভুল করেছ বলতে পারবে না। ইংরেজের প্রতিটি কাজের পিছনে তার একটি আদর্শ থাকে। তোমার সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় দেশপ্রেমিকতার আদর্শে যুদ্ধ করবে, সে যদি তোমার সর্বস্ব লুণ্ঠন করে নেয়, তা হলে তা ব্যবসা করার আদর্শেই করবে এবং তোমাকে দাস বানিয়ে দাসত্ব করাতে হলে তার রাজকীয় আদর্শেই তা করবে।

বার্নার্ড শ

১১৩. ঈশ্বর স্বাধীনতা মঞ্জুর করে থাকেন তাদের যারা স্বাধীনতাকে ভালোবাসেন এবং সর্বদা সেটাকে পাহারা দিতে ও রক্ষা করতে প্রস্তুত থাকেন।

দানিয়েল ওয়েবস্টার

১১৪. সংসারে যেখান হইতে ইতিহাস শুরু হয় তাহার অনেক পরের অধ্যায় হইতে লিখিত হইয়া থাকে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১৫. সব ইতিহাসই বাইরের দিকে অন্ন নিয়ে যুদ্ধ, আর ভিতরের দিকে তত্ত্ব নিয়ে

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১৬. ইতিহাস হল অসংখ্য জীবনীর নির্যাস।

–বোলিংক

১১৭. ইতিহাস যে যার ইচ্ছা, আদর্শ ও চিন্তা অনুযায়ী লেখে, তাই সঠিক ইতিহাস বিরল।

ক্যানিং

১১৮. যদি এজন নিগ্রো দাসও তোমাদের শাসনকর্তারূপে নিযুক্ত হয়, তাহা হইলেও তাহার কথা শুনিও এবং তাহাকে মানিয়া চলিও। সে (ইমাম) যে-পর্যন্ত পাপকার্য বা অবৈধ কার্য করিতে না বলে সে-পর্যন্ত ইমামের কথা শুনা ও ইমামের হুকুম তামিল করা প্রত্যেক মুসলমানের অবশ্যকর্তব্য। অত্যাচারী শাসনকর্তা কেয়ামতে (শেষবিচারের দিন) খোদাতা’আলার নিকট সর্বাপেক্ষা অধম হইবে।

–আল-হাদিস

১১৯. সেই দেশই সুখী যে-দেশের প্রতিটি মানুষই সর্বক্ষেত্রে তার অধিকার ভোগ করে চলেছে।

শেখ মোঃ আবদু

১২০. সরকার হচ্ছে একটি ট্রাস্ট আর সরকারের কর্মচারীরা ট্রাস্টরক্ষক এবং উভয়ই জনগণের কল্যাণের জন্য সৃষ্ট।

–হেনরি ক্লে

১২১. শাসনব্যবস্থার চারটি স্তর–ধর্ম, ন্যায়বিচার, মন্ত্রণা ও সম্পদ।

বেকন

১২২. জনতাকে কখনো উপদেশ দিতে যেও না।

আরবি প্রবাদ

১২৩. অধস্তন লোকদের দ্বারা শাসিত হওয়া কষ্টকর।

–ডেমোক্রিটাস

১২৪. মার্কিনি সমাজে উপাদান বেশ চঞ্চল, কারণ এর মানুষ আর বস্তু বদলে যাচ্ছে সব সময়; কিন্তু এও বড় একঘেয়ে, কারণ বদলগুলোও একই ধরনের।

আলেক্সি দ্য তকভিল

১২৫. আমেরিকা ছোট্ট একটা ঘরে বিশাল এক ভক্ত কুকুরের মতো। যতবারই সে লেজ দোলায়, চেয়ারে গিয়ে আঘাত লাগে।

–আর্নল্ড টয়েনবি

১২৬. অযোগ্য শাসনকর্তার মতো দেশ ও জাতির বড় ক্ষতি আর কেউ করতে পারে।

অ্যারিস্টটল

১২৭. বাজেট হচ্ছে পৌরাণিক শিমের থলে। সাংসদরা ভোট দিয়ে ভরিয়ে তোলে একে। এরপর হাত চালিয়ে বেছে তোলে আসল শিমগুলো।

উইলিয়াম রর্জাস

১২৮. সত্যিকার আযাদী অজ্ঞানতা হইতে আযাদী, সত্যিকার আযাদী মূর্খতা হইতে আযাদী। দেশের অজ্ঞানতা দূর করিতে হইবে। মূর্খতা বিনাশ করিতে হইবে। মানুষ জন্তুকে বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন ফেরেশতা স্বভাব–শ্রেষ্ঠ খাঁটি মানুষ বানাইতে হইবে।

ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

১২৯. ব্যক্তির মূল্য ও মর্যাদাদানই হলো গণত্রন্ত্রের প্রথম কথা। মানবপ্রকৃতির সাম্যের বিভক্তিতে গঠিত এই মর্যাদা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়ভাবে সকল ব্যক্তির মধ্যে সমানভাবে বর্তমান। সুতরাং সাম্যই গণতন্ত্রের মুখ্য আদর্শ।

ইকুয়েলিটি (১৮৯৭) এডওয়ার্ড বেলামি

১৩০. ব্যাক্তি জন্ম নেয় এক মুষ্টি ধূলি থেকে
সরল দীন ব্যক্তির অন্তর থেকে জন্ম নেয় একটি জাতি।

ইকবাল

১৩১. ভালো ভালো কথা, কর্মসূচীপূর্ণ ভাষণ দেয়া সহজ। তা বাস্তবায়ন করা সহজ নয়।

–উড্র ইউলসন

১৩২. একটি জাতিকে সর্বপ্রথম মানবতার নিকট থেকে নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে হবে। তারপর সে কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করবে।

ম্যাসিজান

১৩৩. স্বাধীন দেশের লোকদের নিকট বুলেটের চেয়ে ব্যালটের মূল্যই বেশি।

জেমস হগ

১৩৪. আমলাতন্ত্র কুরসি কুর্নিশ করে।

আতাউর রহমান খান

১৩৫. জীবনচরিতই একমাত্র সত্যিকারের ইতিহাস।

–কার্লাইল

১৩৬. গণতন্ত্র হল পারস্পরিক মর্যাদার এক তীর্থভূমি।

হ্যারল্ড ল্যাসওয়েল

১৩৭. একমাত্র গণতন্ত্রই পৃথিবীকে নিরাপদ করে তুলতে পারে।

উইলসন

১৩৮. গণতন্ত্রই হচ্ছে এমনই এক ধরনের সরকার যা জনগণের এবং জনগণের দ্বারা জনগণের জন্যই তৈরি।

আব্রাহাম লিংকন

১৩৯. গণতন্ত্র হল স্বাধীনতা ও সাম্যের এবং ব্যক্তিমূল্য ও সমাজের চাহিদার সমন্বয়।

টমাস রো

১৪০. চিন্তার স্বাধীনতা থাকবে, কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে, কাজের স্বাধীনতা থাকবে এবং উপাসনার স্বাধীনতা থাকবে–এই হল গণতান্ত্রিক মতাদর্শ।

থিউডোর পার্কার

১৪১. যে-দেশে গণতন্ত্র নেই, সে-দেশে নিরাপত্তাও নেই।

–জে. আর. লাওয়েল

১৪২. নিজেকে এবং জাতিকে বড় করতে হলে তোমাদের সমস্ত শক্তির পূর্ণ ব্যবহার চাই। তোমার নিজের বড় হওয়ার উপরেই জাতির বড় হওয়া নির্ভর করে। তুমি ছাড়া জাতি স্বতন্ত্র নয়। সকলে নিজেকে টেনে তোলো, জাতি বড় হবে। জাতির জাগরণ, জাতিকে আহ্বান করার অর্থ তোমাকে আহ্বান করা।

–ডা. লুৎফর রহমান

১৪৩. কাকে বলে ইতিহাস? ইতিহাস কতগুলো সত্য, শেষমেষ যা মিথ্যে হয়ে যায়; আর উপকথা হচ্ছে সেইসব মিথ্যে, শেষে হয়ে যায় ইতিহাস।

জঁ ককতো

১৪৪. বঙ্গদেশ গোঁফে তেল, গাছে কাঁঠালের দেশ। যত বড় না মুখ, তত বড় কথার দেশ। পেটে পিলে, কানে কলম ও মাথায় শ্যামলার দেশ।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪৫. জনগণ আর সরকার ইতিহাস থেকে কখনোই কিছু শেখেনি, আর ইতিহাস থেকে বেরিয়ে আসা নীতি মেনে কোনো কাজও করেনি।

–হেগেল

১৪৬. কোন দেশেতে তরুলতা
সকল দেশের চাইতে শ্যামল,
কোন দেশেতে চলতে গেলে
দলতে হয় রে দূর্বাকোমল?
কোথায় ফলে সোনার ফসল
সোনার ফসল ফোটে রে?
সে আমার বাংলাদেশ
আমাদেরি বাংলারে।

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

১৪৭. সংখ্যালঘুদের চিন্তাভাবনা সবসময়েই নিরপেক্ষ হয়।

ইবসেন

১৪৮. পৃথিবীর ইতিহাস মানে সুযোগ পাওয়া সংখ্যালঘুদের ইতিহাস।

হেনরি মিলার

১৪৯. আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালী। এটি কোন আদর্শের কথা নয়, এটি একটি বাস্তব কথা। মা প্রকৃতি নিজের হাতে আমাদের। চেহারায় ও ভাষায় বাঙালীত্বের এমন ছাপ মেরে দিয়েছেন যে, মালা, তিলক, টিকিতে কিংবা টুপি, লুঙ্গি দাড়িতে তা ঢাকবার জো-টি নেই।

–ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

১৫০. যে-রাজা তার দেশের জনগণের জন্য যুদ্ধ করে, সে প্রকৃতপক্ষে নিজের জন্যই যুদ্ধ করে।

–মেরিই বুয়েল

১৫১. শান্তির সময় পুত্র পিতাকে সমাধিস্থ করে, কিন্তু যুদ্ধের সময় পিতা পুত্রকে সমাধিস্থ করে।

বেকন

১৫২. রাজনীতি সবচেয়ে বড় জুয়াখেলা।

ডিজরেইলি

১৫৩. একজন রাজনীতিচর্চাকারীর পরবর্তী নির্বাচন সম্বন্ধে চিন্তা করেন, আর রাজনীতিজ্ঞ ব্যক্তি ভাবেন ভাবী প্রজন্ম সম্বন্ধে।

–জেমস্ ফ্রিমের ক্লার্ক

১৫৪. স্বর্গে গোলামি করার চেয়ে নরকে রাজত্ব করা ভালো।

মিল্টন

১৫৫. ফরাসি আর ইংরেজদের স্বাজাত্যবোধের একটি পার্থক্য হল? একজন ভাবে, যারা সবসময় সত্য জিনিসটিই চিন্তা করে, তারা ফরাসি; অন্যেরা ভাবে, যারা সবসময় ভুল জিনিসটি চিন্তা করে, তারা ইংরেজ নয়।

ইউলিয়াম হ্যাজলিট

১৫৬. কোনো ইংরেজ যখন নিজের মুখ বন্ধ রাখে, তখনকার মতো স্বাভাবিক সে আর কখনোই নয়।

–হেনরি জেমস

১৫৭. রসবোধই একমাত্র জিনিস যার ব্যাপারে ইংরেজরা চূড়ান্তরকম সিরিয়াস।

ম্যালকম মাগেরিশ

১৫৮. একজন ভালো প্রশাসকই একজন ভালো রাজা হতে পারেন।

মিচেল জিন

১৫৯. রাজা রাজত্ব করে, কিন্তু শাসন করে না।

বিসমার্ক

১৬০. জনগণ যে-রাজাকে ভালোবাসে, বিধাতা তাঁকে রক্ষা করেন।

–বেন জনসন

১৬১. মানুষের যেমন রাষ্ট্রগুলোরও তেমনি, মানুষগুলোর চরিত্রের মধ্য থেকেই রাষ্ট্রগুলো গড়ে ওঠে।

–প্লেটো

১৬২. রাষ্ট্রদূতেরা রাষ্ট্রের চক্ষু ও কর্ণস্বরূপ।

দুই ফের ডিনি

১৬৩. সুশাসকের পক্ষে হেরেমের রেশমি শয্যা অপেক্ষা অশ্বপৃষ্ঠ অধিক প্রিয়।

ইমামউদ্দিন জঙ্গি

১৬৪. ইংরেজরা গান নাও পছন্দ করতে পারে, এর ফলে যে গোলমেলে আওয়াজটা তৈরি হয় সেটার প্রতি তাদের অসম্ভব ভালোবাসা।

টমাস বিচাস

১৬৫. এমন নয় যে ইংরেজদের অনুভূতি নেই–আসলে তারা অনুভব করতে ভয় পায়, বিদ্যালয়গুলোতে তাদের শেখানো হয়, অনুভব করা খুব বাজে ব্যাপার। তীব্র আনন্দ বা দুঃখ কখনোই তার প্রকাশ করা উচিত নয়, এমনকি কথা বলার সময় মুখও বেশি ফাঁক করা ঠিক নয়; তার কারণ এতে মুখ থেকে সিগারেট খসে পড়ে যেতে পারে।

ই. এম, ফর্স্টার

১৬৬. সার্কাসের শিক্ষিত ঘোড়াদের মতোই ইংরেজদের চলন আইনমাফিক। আইনের বোধ তাদের হাড়েমজ্জায়।

ম্যাক্সিম গোর্কি

১৬৭. অন্যকে শাসন করবার পূর্বে নিজেকে সচেতন হতে হবে।

ডব্লিউ. জি. বেনহাম

১৬৮. যে-সরকার দেশের অধিকাংশ জনগণের কথা চিন্তা করে না, সে-সরকার আদৌ কোনো সরকার নয়।

এডওয়ার্ড ফেয়ার ফক্স

১৬৯. উদর যখন শূন্য থাকে তখন যতবেশি করেই রাজনৈতিক স্বাধীনতা আসুক-না কেন, তাতে জনতার তৃপ্তি আসতে পারে না।

লেনিন

১৭০. রাজনীতিবিদদের ঘৃণাও কোরো না, আবার ভালোও বেসো না।

–পুটাস

১৭১. রাজনীতিবিদদের জন্য ভালোবাসা ও ঘৃণা দুটোই জমা থাকে।

ড্রাইডেন

১৭২. আমরা দুই লাখ গোসলখানাওলা এক জাতি, যার প্রতিটি টাবে আছে একজন করে মানবতন্ত্রী।

ম্যারি ম্যাককার্থি

১৭৩. ভোট দেয়ার বয়সে পৌঁছুনোর চেয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার বয়সে পৌঁছুনের ব্যাপারে মার্কিনি যুবকরা গুরুত্ব দেয় বেশি।

মার্শাল ম্যাকলুহান

১৭৪. মার্কিনি পুরুষরা যদি টাকার প্রতি মোহগ্রস্ত হয়, মার্কিনি মহিলারা তা হলে ওজন নিয়ে মোহগ্রস্ত। পুরুষরা বকবক করে কামানো নিয়ে, মহিলারা করে হারানো নিয়ে। কোনটা বেশি একঘেয়ে আমি বলতে পারবো না।

মারিয়া ম্যান

১৭৫. শাসকগণ জমিনের বুকে আল্লাহর তরফ থেকে নিয়োজিত দারোয়ান বিশেষ।

–হযরত আলি (রা.)

১৭৬. অন্যকে কোনো ব্যাপারে শাসন করার পূর্বে নিজেকে সে-ব্যাপারে অভিজ্ঞ হতে হবে।

বেকন

১৭৭. সর্বাপেক্ষা জঘন্য শাসক সে-ব্যক্তি, যে প্রবল প্রতিপক্ষের প্রতি তোয়াজ করে, দুর্বল প্রজাসাধারণের উপর জুলুম চালায়।

হযরত ইমাম হোসেন (রা.)

১৭৮. স্বাধীন দেশের সরকারের একটিমাত্র উদ্দেশ্য থাকা উচিত–তা হচ্ছে মানবতার কল্যাণ করা।

–উইলবার এল. ক্রস

১৭৯. দেশের সত্যিকার কল্যাণ যে চায়, সে-ই প্রকৃতপক্ষে দেশকে ভালোবাসে।

স্যামুয়েল লাভার

১৮০. আমেরিকার স্বভাব স্বৈরতান্ত্রিক, সে বলে, ‘আমি তর্ক করছি না, বলছি।’

–এরিস্ট এইচ ইরকসন

১৮১. খালিপেটে কোনো লোকই দেশপ্রেমিক হতে পারে না।

ডব্লিউ সি.ব্রান

১৮২. দেশপ্রেমিকের রক্তই স্বাধীনতা-বৃক্ষের বীজস্বরূপ।

টমাস ক্যাম্পবেল

১৮৩. নিজেদের স্বার্থ যদি দূর না হয়, তবে রাজনৈতিক পরিবর্তন কখনো শুভ হবে না।

–ওয়েন ডেল ফিলিপ

১৮৪. দেশকে ভালো না বাসলে তাকে ভালো করে জানবার ধৈর্য থাকে না, তাকে না জানলে তার ভালো করতে চাইলেও তার ভালো করা যায় না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৮৫. কোনো অসৎ ব্যক্তিই স্বাধীন নয়। স্বাধীনতা ও প্রভুত্ব সহজে সংযুক্ত হয় না।

স্ট্যাসিটস

১৮৬. স্বাধীনতার ইতিহাস হচ্ছে প্রতিরোধের ইতিহাস।

টমাস উইলিয়াম

১৮৭. স্বাধীনতা, তোমার নামে কত অপরাধই-না করা হচ্ছে!

মাদামোয়াজেল জিন রোল্যান্ড

১৮৮. একমাত্র রক্ত দিয়েই স্বাধীনতার মূল্য দেয়া সম্ভব। আমাকে তোমরা রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু

১৮৯. স্বাধীনতাই শক্তি।

জন কুইন্স অ্যাডামস

১৯০. দেশপ্রেমিক ও অত্যাচারীর রক্ত হতেই স্বাধীনতা-বৃক্ষকে মাঝে মাঝে অবশ্যই সঞ্জীবনী শক্তি গ্রহণ করতে হবে।

জেফারসন

১৯১. স্বাধীনতা সুন্দর, কিন্তু সহজ নয়।

দানিয়েল ডেফো

১৯২. স্বাধীনতা মানে দায়িত্ব, তাই স্বাধীন দেশের নাগরিক অবশ্যই দায়িত্ববান হবেন।

–জে. এস. মিল

১৯৩. কখনো ককনো মনে হয় আমেরিকা বিশ্বাস করে যে যদি আপনি চিন্তাবিদ হয়ে থাকেন তা হলে নির্ঘাত আপনি একজন ভুরু কোঁচকানো একঘেয়ে লোক। কারণ চিন্তা করাটা বেশ গম্ভীর একটা ব্যাপার।

জ্যাক মারিত্যা

১৯৪. কোনো মহাসাগর পৃথিবী থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করেনি–করেছে কোনোকিছুর দিকে তাকানোর জন্যে আমাদের মার্কিনি দৃষ্টিভঙ্গি। হেনরি মিলার।

১৯৫. আমেরিকাতে কোনো নারী নেই, আছে পণ্যবিক্রয়কারিণী।

ল্যাডন মিচেল

১৯৬. চিন্তার স্বাধীনতাই আত্মার শক্তি।

–ভলতেয়ার

১৯৭. দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসতে পারলে জীবন সুখ ও শান্তিময় হয়ে ওঠে।

এডওয়ার্ড ইয়ং

১৯৮. দেশ কেবল ভৌগোলিক নয়, দেশ মানসিক।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৯৯. দেশ মানুষের সৃষ্টি। দেশ মৃন্ময় নয়, সে চিন্ময়। মানুষ যদি প্রকাশমান হয় তবেই দেশ প্রকাশিত। দেশ মাটিতে তৈরি নয়, দেশ মানুষের তৈরি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২০০. গুপ্তঘাতক দ্বারা হত্যাতে বিশ্বের ইতিহাসের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

ডিজরেইলি

২০১. সব ইতিহাস একটি মিথ্যা।

–স্যার রবার্ট ওয়ালপোল

২০২. ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়–মানুষের বিপদ ও দুঃখ-দুর্দশা যেখানে কিছুমাত্র লাঘব করা হয়–কেবল সেখানেই গণতন্ত্র বিকাশলাভের সুযোগ পায়।

–পার্ল এস বাক

২০৩. সংস্কৃতির বহুমুখী ধারার মতো গণতন্ত্রের সংগ্রামও বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত রাখতে হবে। –জনৈতিক, অর্থনৈতিক, আন্তর্জাতিক, শিক্ষাসংক্রান্ত, বৈজ্ঞানিক, কথা। বিষয়ক ও ধর্মীয়।

জন ডিউই

২০৪. ফ্রান্সে শীত নেই, গ্রীষ্ম নেই, নীতি নেই–এই ত্রুটিগুলো ছাড়া বেশ ভালো দেশ এটি।

–মার্ক টোয়েন

২০৫. গণতন্ত্রের মূল বীজ হল এই মতবাদ ও আত্মবিশ্লেষণ করো ও আত্মমর্যাদাবোধ জাগিয়ে তোলো।

র‍্যালফ ওয়ালডো ইমারসন

২০৬. (গণতন্ত্রের অর্থ) সর্বোৎকৃষ্ট ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের অধীনে সব ব্যাপারে সকলের উন্নতি।

–গিউ সেপ্লে মার্জনি

২০৭. গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে একমাত্র সৈনিকই জয়ী হতে পারে।

ডব্লিউ জি. মার্চেলা

২০৮. সহজ কথায় গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের দ্বারা জনগণের জন্য জনগণের ঠোকাঠুকি হানাহানি।

অস্কারওয়াইল্ড

২০৯. এদেশ হিন্দুর নয়, মুসলমানদেরও নয়, এদশকে যে নিজের বলে ভাববে এদেশ তার। এদেশের কল্যাণ দেখে যার মন আনন্দে ভরে উঠবে এদেশ তার। এদেশের দুঃখে কাঁদবে যে এদেশ তার। আর তার এবং তাদের এদেশ যারা এদেশের সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার জন্য সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছে ও ভবিষ্যতেও দেবে।

–এ. কে. ফজলুল হক

২১০. বন্দুকের নল নয়; জনগণই ক্ষমতার উৎস।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

২১১. তুমি দেশকে যে যথার্থ ভালোবাস তাহার চরম পরীক্ষা, তুমি দেশের জন্য মরিতে পার কি না।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২১২. যে-মায়ের সন্তান দেশের জন্য জীবন দিয়েছে, তার মাতৃত্বের গৌরব চিরভাস্বর।

জ্যাকসন

২১৩. আমি আমার নিজের দেশে দরিদ্র হিসেবে জীবন কাটাতে চাই, অন্যদেশে সম্পদশালী হিসেবে জীবন কাটাতে আমি একটুও আগ্রহী নই।

সিডনি স্মিথ

২১৪. বিশ্ব আজ দুভাগে বিভক্ত–শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

২১৫. যে কখনো বিদেশে যায়নি, সে কখনো দেশের মমত্ব বুঝতে পারে না।

–জর্জ ব্রো

২১৬. কি করিলে ভাল হয় কর বিবেচনা।
স্বদেশের হিতাহিত কর আলোচনা ॥
মনে মনে স্থিরভাবে কর প্রণিধান।
যাহাতে দেশের হয় কুশল বিধান ॥

–ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

২১৭. সত্যিকার দেশপ্রেমিক যারা তারা কোনো দল করে না।

ইউলিয়াম ওয়াটসন

২১৮. প্রকৃতিগত দিক থেকে গণতন্ত্র একটি আত্মহিতকর বা আত্মবিনাশক পদ্ধতি পরিণামে যার ফলাফল শূন্য ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় না।

কার্লাইল

২১৯. আমি এই ভবিষ্যদ্বাণী করছি ও গণতন্ত্রকে যদি পরাভূত করা না যায় তা হলে মানব-সভ্যতার প্রসার তো ঘটবেই না, বরং তা বিলুপ্ত হবে।

হিটলার

২২০. সূক্ষ্ম ও যথার্থ অর্থে পূর্ণ গণতন্ত্রের অস্তিত্ব কখনো ছিল না এবং থাকবেও না। বহুজনে শাসন করবে এবং স্বল্প কয়েকজন শাসিত হবে, এমন নিয়ম প্রকৃতির বিরুদ্ধে।

রুশো

২২১. যে-পর্যন্ত মানুষের ভেতর থেকে দেশপ্রেমিকতাকে নিংড়ে ফেলে দিতে না পারা যাবে সে-পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পৃথিবীর কল্পনা করা যায় না।

জর্জ বার্নার্ড শ

২২২. বুদ্ধিজীবীর কাছে তাঁর দেশ এবং সেবিকার কাছে তার রোগীর এক ভূমিকা হওয়া উচিত।

–ওয়ালেস রাইস

২২৩. যে-দেশে দয়ালু শাসক, ন্যায় বিচারক দক্ষ চিকিৎসক, সুন্দর বাজার এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই, সে-দেশে কখনো বাস কোরো না।

–আবু আলি সিনা

২২৪. স্বাধীনতা লাভ করা যেমন কঠিন, স্বাধীনতা রক্ষা করাও তেমনি কঠিন। আজ আমাদের অস্ত্রের সংগ্রাম শেষ হয়েছে। এবার স্বাধীনতার সংগ্রামকে দেশগড়ার সংগ্রামে রূপান্তরিত করতে হবে। মুক্তিসংগ্রামের চেয়েও দেশগড়ার সংগ্রাম কঠিন। তাই দেশগড়ার কাজে আমাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

২২৫. ভ্রাতৃভাব ভাবি মনে
দেখ দেশবাসীগণে
প্রেমপূর্ণ নয়ন মেলিয়া।
কতরূপ যত্ন করি
দেশের কুকুর ধরি,
বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া।

–ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

২২৬. ফরাসিরা অভিযোগ করে সবকিছু নিয়ে, প্রত্যেকটা সময়।

নেপোলিয়ন

২২৭. ফরাসিদের রাজনীতিচিন্তা হয় স্মৃতিমেদুর, নয় উকাল্পনিক।

রেমঁদ আরঁ

২২৮. কোনো জাতিকে দীর্ঘকাল কেউ যুদ্ধে লিপ্ত রাখতে পারেনি যতক্ষণ না সে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।

স্যালভাদর ডি মাদাররিয়েগা

২২৯. দেশে যুদ্ধ যখন শেষ হয়ে যায়, পরিশ্রান্ত ক্লান্ত মানুষের ভাগ্যে জোটে করের বোঝা, রাশি রাশি বিধবা আর কাঠের পা ও ঋণ।

ফ্রান্সিস মুর

২৩০. যুদ্ধ করো, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ কোরো না।

–আল-হাদিস

২৩১. অন্ধের দেশে একচক্ষুবিশিষ্ট লোকই রাজা।

ইমারসন

২৩২. রাজধর্মে ভ্রাতৃধর্ম বন্ধুধর্ম নাই; শুধু জয়ধর্ম আছে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৩৩. যে রাজ্যে রাজত্বটা নেই, সেই রাজ্যই সকল রাজ্যের সেরা।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৩৪. রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করার অর্থই হচ্ছে সংগ্রাম করা।

–ডিজরেইলি

২৩৫. এক কম্বলে দশ দরবেশেরও জায়গা মেলে; কিন্তু এক রাজ্যে কখনো দুই রাজার শাসন চলে না।

–শেখ সাদি

২৩৬. দেশশাসন করার আগে রাষ্ট্রপতিকে সমস্ত গুণাবলির অধিকারী হতে হবে।

ফিলিপ ম্যাসিঞ্জার

২৩৭. শুধু সে-ই নিশ্চিন্তে শাসন করতে পারে, যে দৃঢ়চিত্তে আইনের নির্দেশ পালন করতে শিখেছে।

কেমপিস

২৩৮. স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাইলে একটি সরকারের অধীনে আইনের মাধ্যমে বাঁচতে হবে।

উইলিয়াম মুর

২৩৯. স্বাধীনতা হচ্ছে উন্নতির শ্বাসপ্রশ্বাস।

আর. জি. ইন্দারসোল

২৪০. স্বাধীনতাকামী সংগ্রামীদের দেহ থেকে যখন রক্ত ঝরতে শুরু করবে, একমাত্র তখনই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হব।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু

২৪১. কোনো জাতি বা দেশকে শুধু তার সীমান্ত রক্ষা করলেই চলবে না, তার শুভবুদ্ধিকেও রক্ষা করতে হবে। জাতি তার স্বাধীনতা রক্ষা করবে আর শিল্পী, বুদ্ধিজীবীরা রক্ষা করবে চিন্তার ও আত্মার স্বাধীনতা।

রম্যাঁ রলাঁ

২৪২. গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই স্বাধীন মানুষেরা বসবাসের ইচ্ছা করে।

প্লেটো

২৪৩. আপনারা জেনে রাখুন, যেখানে জনগণ সরকারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করে একমাত্র সেখানেই স্বাধীনতার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

উড্রো উইলসন

২৪৪. স্বদেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ।

–আল-হাদিস

২৪৫. একতার ফলে ছোট ছোট রাষ্ট্র সমৃদ্ধিশালী হয়, বিবাদের দ্বারা বড় বড় রাষ্ট্র ধ্বংস হয়ে যায়।

–সেলাস্ট

২৪৬. এদেশের নাড়িতে নাড়িতে অস্থিমজ্জায় যে পচন ধরেছে, তাতে এর একেবারে ধ্বংস না হলে নতুন জাত গড়ে উঠবে না। যার ভিত্তি পড়ে গেছে, তাকে একদম উপড়ে ফেলে নতুন করে ভিত্তি না গাঁথলে তার উপর ইমারত যতবারই খাড়া করা যাবে ততবারই তা পড়ে যাবে।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৪৭. হিন্দু না ওরা মুসলিম!
ওই জিজ্ঞাসে কোন্ জন?
কাণ্ডারী! বল ডুবিছে মানুষ
সন্তান মোর মা’র।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৪৮. জনতাকে একটা ভল্লুকের সঙ্গে তুলনা করা চলে। যখন তুমি এটাকে নাকে দড়ি লাগিয়ে নিজের আয়ত্তে রাখবে তখন তোমার অভিমতমতো এটা নাচবে। কিন্তু যদি তোমার হাত থেকে দড়িটা ফসকে যায় ও ভল্লুক তোমার হাতছাড়া হয়ে যায় তা হলে সেই পশুটি তোমাকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলবে।

জেইল পোটার

২৪৯. এটা সত্যিকারভাবে সত্যি কথা যে, জনতার অনেক মাথা আছ; কিন্তু তাতে কোনো মগজ নেই।

বিবারোল

২৫০. রাজা আর প্রজার মাঝখানে পরগাছার মতো ঘুণদরা আভিজাত্যের অহমিকায়। দাম্ভিক যে-দলটি বাদুড়ের মতো ঝুলছে, তারাই আমাদের দেশে জমিদারশ্রেণী নামে পরিচিত।

এ. কে. ফজলুল হক

২৫১. সৎ এবং চরিত্রবান নাগরিক দেশের গর্ব।

ড্রাইডেন

২৫২. সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

২৫৩. তোমার পতাকা যারে দাও
তারে বহিবারে দাও শকতি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫৪. পার্লামেন্ট বেশ কিছুসংখ্যক অলস লোক নিয়ে অনুষ্ঠিত এবং বৃহৎ সভা ছাড়া আর কিছু নয়।

–এফ, লকাম

২৫৫. কতকগুলো আদর্শবান লোকের সম্মিলিত সভা ছাড়া পার্লামেন্ট আর কিছুই নয়।

জুলিয়াস

২৫৬. বিদেশের মাটি যতই সচ্ছলতা দান করুক, নিরাপত্তা দিতে পারে না।

ম্যাসিঞ্জার

২৫৭. বাংলাদেশ রাজনৈতিক দিক থেকে দুভাগ হয়েছে সত্যি, কিন্তু ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে উভয় বঙ্গে কোনো ফারাক নেই। রাজনীতিকরা দেশটাকে দুভাগ করে এই সাংস্কৃতিক ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারেননি, ভবিষ্যতেও কোনোদিন পারবেন না।

এ. কে. ফজলুল হক

২৫৮. বাঙালি অখণ্ড জাতি, তারা একই ভাষায় কথা বলে এবং তাদের আদর্শ এক, জীবনের উদ্দেশ্য এক, জীবনধারণের পদ্ধতিও এক। দেশ-বিভাগ সত্ত্বেও দুই বাংলা মিলিতভাবে অনেক বিষয়ে সারা দেশকে পথ দেখাতে পারে।

–এ. কে. ফজলুল হক

২৫৯. আমাকে কুচি কুচি করে কাটলেও
রক্তমাংস সবটুকুই
বাঙালি
হৃদয়ের দুঃখ শোক শ্ৰেম শান্তি সবটুকুই
বাঙালি।

–নিয়াম হোসেন

২৬০. যত বেশি দেশ ঘুরেছি, নিজের দেশের প্রতি মমত্ব বাড়ছে।

–মার্ক টোয়েন

২৬১. স্নেহময়ী মাতৃভূমি হাসিত অধর
তার চেয়ে বেশি কিছু আছে কি সুন্দর?

–আকরাম হোসেন

২৬২. রাজার জাকে বা গণতন্ত্রের প্রদর্শনেই হোক, রাজনীতি থেকে ধর্ম যদি বিযুক্ত হয়, শুধুমাত্র চেঙ্গিসের শাসনই কায়েম থাকে তখন।

মহাকবি ইকবাল

২৬৩. আমার দেশ আজকের নয়, আগামীকালের।

রোম্যাঁ রলাঁ

২৬৪. স্বদেশ বলিতে বুঝেছি কেবল
দেশের পাহাড় মাটি বায়ুজল
দেশের মানুষে ঘৃণা করি
চাই করিতে দেশ স্বাধীন
যত যেতে চাই তত পথে ভাই
হই মা ধূলি-বিলীন।

কাজী নজরুল ইসলাম

২৬৫. আমার এই আফসোস যে দেশের তরে দেবার মতো আমার শুধুমাত্র একটি জীবনই রয়েছে।

মাথন হেইল

২৬৬. পৃথিবীতে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যাতে গণতন্ত্র নিরাপদ থাকে।

উড্রো ইউলসন

২৬৭. সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে
সার্থক জনম মাগো তোমায় ভালবেসে,
জানিনে তোর ধনরত্ন আছে কিনা রাণীর মতন।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৬৮. একটি দেশের সরকারের প্রধান কর্তব্য হল দেশে এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি করা যাতে যে-কোনো লোক অনায়াসে একটি ভালো কাজ করতে পারে এবং একটি দুষ্ট লোক সহজে কোনো মন্দ কাজ করতে না পারে।

ল্যাডস্টোন

২৬৯. রাজ্য রাখতে গেলে রাজ্য বাড়াতে হবে। ও যেন মানুষের দেহের মতো, বৃদ্ধি যেমনি বন্ধ হয়, ক্ষয়ও তেমনি শুরু হতে থাকে।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৭০. হিন্দু সভ্যতার মূলে সমাজ; ইউরোপীয় সভ্যতার মূলে রাষ্ট্রনীতি।

–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৭১. সভ্যতার ইতিহাস মানবজাতির ধীরগতি ও বেদনাপূর্ণ রাজনৈতিক অধিকার অর্জনের ইতিহাস।

রবার্ট জি. ইনগারসন

২৭২. সভ্যতার সম্মুখে বর্তমানে সবচেয়ে বড় কর্তব্য যন্ত্রকে মানুষের প্রভু করার পরিবর্তে যন্ত্রের যা হওয়া উচিত অর্থাৎ যন্ত্রকে দাসে পরিণত করা।

হ্যাভলক এলিস

২৭৩. প্রত্যেক স্বাধীন নাগরিকের সৈনিক হওয়া উচিত। গ্রীক ও রোমানদের বেলায় এ ছিল সত্য এবং এটা প্রত্যেক স্বাধীন রাষ্ট্রের ব্যাপারেও সত্য হওয়া উচিত।

জেফারসন

২৭৪. যারা ইতিহাস রচনা করেন তারা ইতিহাস লেখার সময় পান না।

ম্যাটারনিক

২৭৫. স্বাধীনতা হল সৈকতবিহীন একটি প্রস্তরময় দ্বীপের মতো।

নেপেলিয়ন

২৭৬. একটি সুন্দর মুখের জন্য যেমন প্রসাধনের দরকার নেই, তেমনি একটি দেশপ্রেমিক জাতির জন্য উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

জন লিলি

২৭৭. পৃথিবী আমার দেশ, সমগ্র মানবজাতি আমার ভাই এবং মানুষের মঙ্গল করাই আমার ধর্ম।

টমাস পেইন

২৭৮. মাতৃভাষা, মাতৃভূমি ও মাতৃভাষার প্রতি যারা অনুরাগহীন তাহারা পশু বিশেষ। মাতৃভাষা মাতৃস্তনের ন্যায়। বিদেশী ভাষার মাধ্যমে শিক্ষায় তোতা পাখীর মত মুখস্থ শক্তি যেমন বাড়ে সে পরিমাণে মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ে না।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *