গীত [রাগিণী ভৈরবী,– তাল আড়াঠেকা] নয়ন-অমৃতরাশি প্রেয়সী আমার! জীবন-জুড়ান ধন, হৃদি ফুলহার! মধুর মূরতি তব ভরিয়ে রয়েছে ভব, সমুখে সে মুখ-শশী জাগে অনিবার! কি জানি কি ঘুমঘোরে, কি চোকে দেখেছি তোরে, এ জনমে ভুলিতে রে পারিব না আর! তবুও ভুলিতে হবে, কি লয়ে পরাণ রবে, কাঁদিয়ে চাঁদের পানে চাই বারেবার। কুসুম-কানন মন কেন রে বিজন বন, এমন পূর্ণিমা-নিশি যেন অন্ধকার। হে চন্দ্রমা, কার দুখে কাঁদিছ বিষণ্ণ মুখে! অয়ি দিগঙ্গনে কেন কর হাহাকার! হয় তো হল না দেখা, এ লেখাই শেষ লেখা, অন্তিম কুসুমাঞ্জলি স্নেহ-উপহার,– ধর ধর স্নেহ-উপহার!
পূর্ববর্তী:
« সারদামঙ্গল – ৫ম সর্গ
« সারদামঙ্গল – ৫ম সর্গ
Leave a Reply