• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • নতুন সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • পুরানো সব ক্যাটাগরি
  • My Account →
  • নতুন সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • পুরানো সব ক্যাটাগরি
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

০৮. উকিল বটলর সাহেবের আপিস—বৈদ্যবাটীর বাটীতে কর্তার জন্য ভাবনা, বাঞ্ছারামবাবুর তথায় গমন ও বিষাদ, বাবুরামবাবুর সংবাদ ও আগমন।

লাইব্রেরি » টেকচাঁদ ঠাকুর (প্যারীচাঁদ মিত্র) » আলালের ঘরের দুলাল » ০৮. উকিল বটলর সাহেবের আপিস—বৈদ্যবাটীর বাটীতে কর্তার জন্য ভাবনা, বাঞ্ছারামবাবুর তথায় গমন ও বিষাদ, বাবুরামবাবুর সংবাদ ও আগমন।

বটলর সাহেব আপিসে আসিয়াছেন। বর্তমান মাসে কত কর্ম হইল উল্টে পাল্টে দেখিতেছেন, নিকটে একটা কুকুর শুয়ে আছে, সাহেব এক একবার শিস্ দিতেছেন—এক একবার নাকে নস্য গুঁজে হাতের আঙুল চট্কাইতেছেন—এক একবার কেতাবের উপর নজর করিতেছেন—এক একবার দুই পা ফাঁক করিয়া দাঁড়াইতেছেন—এক একবার ভাবিতেছেন আদালতের কয়েক আপিসে খরচার দরুন অনেক টাকা দিতে হইবেক—টাকার জোট্পাট্ কিছুই হয় নাই অথচ টারম্ খোলবার আগে টাকা দাখিল না করিলে কর্ম বন্ধ হয়—ইতিমধ্যে হোয়র্ড উকিলের সরকার আসিয়া তাঁহার হাতে দুইখানা কাগজ দিল। কাগজ পাইবামাত্র সাহেবের মুখ আহলাদে চক্চক্ করিতে লাগিল, অমনি বলিতেছেন বেন্‌শারাম। জলদি হিঁয়া আও। বাঞ্ছারামবাবু চৌকির উপর চাদরখানা ফেলিয়া কানে একটা কলম গুঁজিয়া শীঘ্র উপস্থিত হইলেন।

বটলর। বেন্‌শারাম। হাম বড়া খোশ হুয়া। বাবুরামকা উপর দো নালিশ হুয়া—এক ইজেক্টমেন্ট আর এক একুটি, হামকো নটিশ ও সুপিনা হৌয়র্ড সাহেব আবি ভেজ দিয়া।

বাঞ্ছারাম শুনিবামাত্র বগল বাজিয়ে উঠিলেন ও বলিলেন— সাহেব দেখো আমি কেমন মুৎসুদ্দি—বাবুরামকে এখানে আনাতে একা দুদে কত ক্ষীর ছেনা ননী হইবেক। ঐ দু’খানা কাগজ আমাকে শীঘ্র দাও আমি স্বয়ং বৈদ্যবাটীতে যাই—অন্য লোকের কর্ম নয়। এক্ষণে অনেক দমবাজি ও ধড়িবাজির আবশ্যক। একবার গাছের উপর উঠাতে পারলেই টাকার বৃষ্টি করিব, আর এখন আমাদের তপ্ত খোলা—বড়ো খাঁই—একটা ছোবল মেরে আলাল হিসাবে কিছু আনিতে হইবে।

বৈদ্যবাটীর বাটীতে বোধন বসিয়াছে— নহবত ধাঁধাঁগুড়গুড় ধাঁধাঁগুড় করিয়া বাজিতেছে। মুর্শুদাবাদি রোশনচৌকি পেওঁ পেওঁ করিয়া ভোরের রাগ আলাপ করিতেছে। দালানে মতিলালের জন্য স্বস্ত্যয়ন আরম্ভ হইয়াছে। একদিগে চণ্ডীপাঠ হইতেছে— একদিগে শিবপূজার নিমিত্তে গঙ্গামৃত্তিকা ছানা হইতেছে। মধ্যস্থলে শালগ্রাম শিলা রাখিয়া তুলসী দেওয়া হইতেছে। ব্রাহ্মণেরা মাথায় হাত দিয়া ভাবিতেছে ও পরস্পর বলাবলি করিতেছে আমাদিগের দৈব ব্রাহ্মণ্য তো নগদই প্রকাশ হইল— মতিলালের খালাস হওয়া দূরে থাকুক এক্ষণে কর্তাও তাহার সঙ্গে গেলেন। কল্য যদি নৌকায় উঠিয়া থাকেন, সে নৌকা ঝড়ে অবশ্য মারা পড়িয়াছে সে বিষয়ে সন্দেহ নাই— যা হউক, সংসারটা একেবারে গেল— এখন ছ্যাং চেংড়ার কীর্তন হইবে— ছোটবাবু কি রকম হইয়া উঠেন বলা যায় না— বোধ হয় আমাদের প্রাপ্তির দফা একেবারে উঠে গেল। ঐ ব্রাহ্মণদিগের মধ্যে একজন আস্তে আস্তে বলতে লাগিলেন— ওহে তোমরা ভাবছো কেন? আমাদের প্রাপ্তি কেহ ছাড়ায় না— আমরা শাঁকের করাত— যেতে কাটি আস্‌তে কাটি— যদি কর্তার পঞ্চত্ব হইয়া থাকে তবে তো একটা জাঁকাল শ্রাদ্ধ হইবে, কর্তার বয়েস হইয়াছে, মাগী টাকা লয়ে আতু-আতু পুতু-পুতু করিলে দশজনে মুখে কালি চুন দিবে। আর একজন বললেন, বসুধারার মতো ফোঁটা ফোঁটা পড়ে নিত্য পাই, নিত্য খাই—এক বর্ষণে কি চিরকালের তৃষ্ণা যাবে ?

বাবুরামবাবুর স্ত্রী অতি সাধ্বী। স্বামীর গমনাবধি অন্নজল ত্যাগ করিয়া অস্থির হইয়াছিলেন। বাটীর জানালা থেকে গঙ্গা দর্শন হইত— সারারাত্রি জানালায় বসিয়া আছেন। এক একবার যখন প্রচণ্ড বায়ু বেগে বহে, তিনি অমনি আতঙ্কে শুখাইয়া যান। এক একবার তুফানের উপর দৃষ্টিপাত করেন কিন্তু দেখিবামাত্র হৃকম্পন উপস্থিত হয়। এক একবার বজ্রঘাতের শব্দ শুনেন, তাহাতে অস্থির হইয়া কাতরে পরমেশ্বরকে ডাকেন। এই প্রকারে কিছুকাল গেল, গঙ্গার উপর নৌকার গমনাগমন প্রায় বন্ধ। মধ্যে মধ্যে যখন একেকটা শব্দ শুনেন অমনি উঠিয়া দেখেন। এক একবার দূর হইতে এক একটা মিড়মিড়ে আলো দেখতে পান, তাহাতে বোধ করেন ঐ আলোটা কোনো নৌকার আলো হইবে— কিয়ৎক্ষণ পরেই একখানা নৌকা দৃষ্টিগোচর হয়, তাহাতে মনে করেন এ নৌকা বুঝি ঘাটে আসিয়া লাগিবে— যখন নৌকা ভেড়-ভেড় করিয়া ভেড়ে না— বরাবর চলে যায়, তখন নৈরাশ্যের বেদনা শেলস্বরূপ হইয়া হৃদয়ে লাগে। রাত্রি প্রায় শেষ হইল, ঝড় বৃষ্টি ক্রমে ক্রমে থামিয়া গেল। সৃষ্টির অস্থির অবস্থার পর স্থির অবস্থা অধিক শোভাকর হয়। আকাশে নক্ষত্র প্রকাশ হইল—চন্দ্রের আভা গঙ্গার উপর যেন নৃত্য করিতে লাগিল ও পৃথিবী এমতো নিঃশব্দ হইল যে, গাছের পাতাটি নড়িলেও স্পষ্টরূপ শুনা যায়। এইরূপ দর্শনে অনেকেরই মনে নানাভাবের উদয় হয়। গৃহিণী এক একবার চারিদিকে দেখিতেছেন ও অধৈর্য হইয়া আপনা আপনি বলিতেছেন —জগদীশ্বর ! আমি জানত কাহার মন্দ করি নাই— কোনো পাপও করি নাই—এতকালের পর আমাকে কি বৈধব্য-যন্ত্রণা ভোগ করিতে হইবে? আমার ধনে কাজ নেই, গহনার কাজ নাই— কাঙালিনী হইয়া থাকি সেও ভালো— সে দুঃখে দুঃখ বোধ হইবে না কিন্তু এই ভিক্ষা দেও যেন পতি-পুত্রের মুখ দেখতে দেখতে মরিতে পারি। এইরূপ ভাবনায় গৃহিণীর মন অতিশয় ব্যাকুল হইতে লাগিল। তিনি বড়ো বুদ্ধিমতী ও চাপা মেয়ে ছিলেন, আপনি রোদন করিলে পাছে কন্যারা কাতর হয়, এ কারণে ধৈর্য ধরিয়া রহিলেন। শেষ রাত্রে বাটীতে প্রভাতী নহবত বাজিতে লাগিল। ঐ বাদ্যে সাধারণের মন আকৃষ্ট হয় সত্য কিন্তু তাপিত মনে ঐরূপ বাদ্য দুঃখের মোহনা খুঁলিয়া দেয়, এ কারণ বাদ্য শ্রবণে গৃহিণীর মনের তাপ যেন উদ্দীপ্ত হইয়া উঠিল। ইতিমধ্যে একজন জেলিয়া বৈদ্যবাটীর বাটিতে মাছ বেচতে আসিল। তাহার নিকট অনুসন্ধান করাতে সে বলিল ঝড়ের সময় বাঁশবেড়ের চড়ার নিকট একখানা নৌকা ডুবুডুবু হইয়াছিল, বোধ হয় সে নৌকাখানা ডুবিয়া গিয়াছে— তাতে একজন মোটা বাবু, একজন মুসলমান, একটি ছেলেবাবু ও আর আর অনেক লোক ছিল। এই সংবাদ একেবারে যেন বজ্রাঘাত তুল্য হইল। বাটীতে বাদ্যোদ্যম বন্ধ হইল ও পরিবারেরা চিৎকার করিয়া কাঁদিয়া উঠিল।

অনন্তর সন্ধ্যা হয় এমন সময় বাঞ্ছারামবাবু তড়বড় করিয়া বৈদ্যবাটীর বাটীর বৈঠকখানায় উপস্থিত হইয়া জিজ্ঞসা করিলেন— কর্তা কোথায়? চাকরের নিকট সংবাদ প্রাপ্ত হওয়াতে একেবারে মাথায় হাত দিয়া বসিয়া পড়িলেন এবং বলিলেন— হায় হায় বড় লোকটাই গেল। অনেকক্ষণ খেদ বিষাদ করিয়া চাকরকে বললেন, এক ছিলিম তামাক আন্ তো। একজন তামাক আনিয়া দিলে খাইতে খাইতে ভাবিতেছেন— বাবুরামবাবু তো গেলেন এক্ষণে তাঁহার সঙ্গে সঙ্গে আমিও যে যাই। বড়ো আশা করিয়া আসিয়াছিলাম কিন্তু আশা আসা মাত্র হইল। বাটীতে পূজা-প্রতিমা ঠন্‌ঠনাচ্ছে— কোত্থেকে কি করিব কিছুই স্থির করিতে পারি নাই। দমসম দিয়া টাকাটা হাত করিতে পারিলে অনেক কর্মে আসিত— কতক সাহেবকে দিতাম— কতক আপনি লইতাম— তারপরে এর মুণ্ডু ওর ঘাড়ে দিয়া হর বর সর করিতাম। কে জানে যে আকাশ ভেঙে একেবারে মাথার উপর পড়বে? বাঞ্ছারামবাবু চাকরদিগকে দেখাইয়া লোক-দেখানো একটু কাঁদিতে আরম্ভ করিলেন কিন্তু সে কান্না কেবল টাকার দরুন। তাঁহাকে দেখিয়া স্বস্ত্যয়নি ব্রাহ্মণেরা নিকটে আসিয়া বসিলেন। গলায়দড়ে জাত প্রায় বড়ো ধূর্ত—অন্ত পাওয়া ভার। কেহ কেহ বাবুরামবাবুর গুণ বর্ণন করতে লাগিলেন— কেহ কেহ বলিলেন, আমরা পিতৃহীন হইলাম— কেহ কেহ লোভ সংবরণ করিতে না পারিয়া কহিলেন, এখন বিলাপের সময় নয় যাতে তাঁর পরকাল ভালো হয় এমনতো চেষ্টা করা কর্তব্য— তিনি তো কম লোক ছিলেন না? বাঞ্ছারামবাবু তামাক খাচ্ছেন ও হাঁ হাঁ বলছেন— ও কথায় বড়ো আদর করেন না— তিনি ভালো জানেন বেল পাকলে কাকের কি? আপিনি এমনি বুকভাঙা হইয়া পড়িয়াছেন যে উঠে যেতে পা এগোয় না— যা শুনেন তাতেই সাটে হেঁ হুঁ করেন— আপনি কি করিবেন— কার মাথা খাবেন— কিছুই মতলব বাহির করিতে পারিতেছেন না। এক একবার ভাবতেছেন তদ্বির না করিলে দুই একখানা ভালো বিষয় যাইতে পারে এ কথা পরিবারদিগকে জানালে এখনি টাকা বেরোয়— আবার এক একবার মনে করতেছেন এমতো টাট্কা শোকের সময় বললে কথা ভেসে যাবে। এইরূপ সাত-পাঁচ ভাবছেন, ইতিমধ্যে দরজায় গোল উঠিল— একজন ঠিকা চাকর আসিয়া একখানা চিঠি দিল— শিরোনামা বাবুরামবাবুর হাতের লেখা কিন্তু সে ব্যক্তি সরেওয়ার কিছুই বলিতে পারিল না, বাটীর ভিতরে চিঠি লইয়া যাওয়াতে গৃহিণী আস্তেব্যস্তে খুলিয়া পড়িলেন। সে চিঠি এই “কাল রাত্রে ঘোর বিপদে পড়িয়াছিলাম— নৌকা আঁদিতে এগিয়ে পড়ে, মাঝিরা কিছুই ঠাহর করিতে পারে নাই, এমনি ঝড়ের জোর যে নৌকা একবারে উল্টে যায়। নৌকা ডুবিবার সময় এক একবার বড়ো ত্রাস হয় ও এক একবার তোমাকে স্মরণ করি— তুমি যেন আমার কাছে দাঁড়াইয়া বলিতেছ— বিপদ কালে ভয় করিও না— কায়মনোচিত্তে পরমেশ্বেরকে ডাকো— তিনি দয়াময়, তোমাকে বিপদ থেকে অবশ্যই উদ্ধার করিবেন। আমিও সেইমতো করিয়াছিলাম। যখন নৌকা থেকে জলে পড়িলাম তখন দেখিলাম একটা চড়ার উপর পড়িয়াছি সেখানে হাঁটু জল। নৌকা তুফানের তোড়ে ছিন্ন ভিন্ন হইয়া গেল। সমস্ত রাত্রি চড়ার উপর থাকিয়া প্রাতঃকালে বাঁশবেড়িয়াতে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছি। মতিলাল অনেকক্ষণ জলে থাকাতে পীড়িত হইয়াছিল। তাকুত করাতে আরম হইয়াছে, বোধ করি রাততক বাঠীতে পৌঁছিব।”

চিঠি পড়িবামাত্র যেন অনলে জল পড়িল—গৃহিণী কিছু কাল ভাবিয়া বলিলেন, এ দুঃখিনীর কি এমন কপাল হবে? এই বলিতে বলিতে বাবুরামবাবু আপন পুত্র ও ঠকচাচা সহিত বাটীতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। চারিদিকে মহাগোল পড়িয়া গেল। পরিবারের মন সন্তাপের মেঘে আচ্ছন্ন ছিল এক্ষণে আহ্লাদের সূর্য উদয় হইল। গৃহিণী দুই কন্যার হাত ধরিয়া স্বামী ও পুত্রের মুখ দেখিয়া অশ্রুপাত করিতে লাগিলেন, মনে করিয়াছিলেন মতিলালকে অনুযোগ করিবেন— এক্ষণে সে সব ভুলিয়া গেলেন। দুইটি কন্যা ভ্রাতার হাত ধরিয়া ও পিতার চরণে পড়িয়া কাঁদিতে লাগিল। ছোট পুত্রটি পিতাকে দেখিয়া যেন অমূল্য ধন পাইল— অনেকক্ষণ গলা জড়াইয়া থাকিল— কোল থেকে নামিতে চায় না। আন্যান্য স্ত্রীলোকেরা দাঁড়াগোপান দিয়া মঙ্গলাচরণ করিতে লাগিল। বাবুরামবাবু মায়াতে মুগ্ধ হওয়াতে অনেকক্ষণ কথা কহিতে পারিলেন না। মতিলাল মনে মনে কহিতে লাগিল নৌকাডুবি হওয়াতে বাঁচলুম তা না হলে মায়ের কাছে মুখ খেতে খেতে প্রাণ যাইত।

বাহির বাটীতে স্বস্ত্যয়নি ব্রাহ্মণেরা কর্তাকে দেখিয়া আশীর্বাদ করণান্তর বলিলেন, “নচ দৈবাৎ পরং বলং” দৈব বল অপেক্ষা শ্রেষ্ট বল নাই— মহাশয় একে পুণ্যবান তাতে যে দৈব করা গিয়াছে আপনার কি বিপদ হইতে পারে? যদ্যপি তা হইল তবে আমরা অব্রাহ্মণ। এ কথায় ঠকচাচা চিড়চিড়িয়া উঠিয়া বলিলেন— যদি এনাদের কেরদানিতে সব আপদ দফা হল তবে কি মোর মেহনত ফেলতো, মুই তো তসবি পড়েছি ? অমনি ব্রাহ্মণেরা নরম হইয়া সামঞ্জস্য করিয়া বলতে লাগিলেন— ওহে যেমন শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের সারথি ছিলেন তেমনিতুমি কর্তাবাবুর সারথিই— তোমার বুদ্ধিবলেই তো সব হইয়াছে— তুমি অবতার বিশেষ, যেখানে তুমি আছ— যেখানে আমরা আছি— সেখানে দায়-দফা ছুটে পালায়। বাঞ্ছারামবাবু মণিহারা ফণী হইয়া ছিলেন— বাবুরামকে দেখাইবার জন্য পানসে চক্ষে একটু একটু মায়কান্না কাঁদিতে লাগিলেন। তখন তাঁহার দশ হাত ছাতি হইয়াছে এবং দৃঢ় বিশ্বাস হইয়াছে যে চার ফেললেই, মাছ পড়িবে। তিনি ব্রাহ্মণদিগের কথা শুনিয়া তেড়ে আসিয়া ডান হাত নেড়ে বল্‌তে লাগিলেন— এ কি ছেলের হাতের পিটে ? যদি কর্তার আপদ হবে তবে আমি কলিকাতায় কি ঘাস কাটি?

Category: আলালের ঘরের দুলাল
পূর্ববর্তী:
« ০৭. কলিকাতার আদিবৃত্তান্ত, জাস্টিস অব পিস নিয়োগ, পুলিশ বর্ণন, মতিলালের পুলিশে বিচার ও খালাস, বাবুরামবাবুর পুত্র লইয়া বৈদ্যবাটী গমন, ঝড়ের উত্থান ও নৌকা জলমগ্ন হওনের আশঙ্কা।
পরবর্তী:
০৯. শিশুশিক্ষা ও সুশিক্ষা না হওয়াতে মতিলালের ক্রমে ক্রমে মন্দ হওন ও অনেক সঙ্গী পাইয়া বাবু হইয়া উঠন এবং ভদ্র কন্যার প্রতি অত্যাচার করণ। »

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বাংলা লাইব্রেরি : উল্লেখযোগ্য বিভাগসমূহ

লেখক ও রচনা

অনুবাদ সাহিত্য

সেবা প্রকাশনী

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

কোরআন

হাদিস

ত্রিপিটক

মহাভারত

রামায়ণ

পুরাণ

গীতা

বাইবেল

বিবিধ রচনা

বাংলা ওসিআর

Download Bangla PDF

হেলথ

লাইব্রেরি – ফেসবুক – PDF

top↑