১১. বেগম জুবায়দা

বেগম জুবায়দা, আপনার পাঁজর কি রিক্ত? নৈশ হাহাশ্বাসের মুখে দজ্‌লার উপরের দিকে চেয়ে, প্রতীক্ষার দুর্ভেদ্য অরণ্যে পদধ্বনি শুনে কোন লাভ নেই। বক্ষে বক্ষ, সীনা-ব সীনার সাধনা সন্ন্যাসিনী জানে না। তাই তারা কৃচ্ছ্র আর আত্মনিগ্রহের জোয়ালে প্রতারিত যৌবনের আরশীতে বিবেকের প্রতিফলন দেখতে চায়। বিকৃত ইচ্ছা তাদের কাছেই আনন্দের মরীচিকা। গতিহীনতার দুর্গদ্ধ, স্বর্গীয় সৌরভ মনে হয় নাসিকার নিঃসাড় সড়কে। মেহেরজান আপনার কাছে ফিরে আসবে না হৃদয়ে উত্তাপ দিতে। না-ই আসুক। আপনার তৃষ্ণার্ত দুই চোখ আআর সোপান গড়ে তুলুক কল্পনায়। কল্পনা ত মিথ্যা হয়ে যায় না। মহাকাল তাকেই বরণ করে। নির্জনতা-বিহারী মেহেরজান, নাই বা এলো কোলাহলের জোয়ারের মত। বিশাল আকাশ। তাই ত নক্ষত্রেরা নিঃসঙ্গ। আপনার প্রাণের অসীমতায় শুধু দুটি শুকতারা জেগে থাক্।

আদাব, বেগম সাহেবা।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *