৪৩. পরকীয়া ভাব

একেই বুঝি বলে “পরকীয়া ভাব”।

শোনা যায় ভগবানকে ভজবার এ একটা সহজ রাস্তা। মুখুয্যে মশাই এই পথটাই ধরেছেন। অবশ্য ভগবানের ধার ধারেন না মুখুয্যে মশাই, মানুষ নিয়েই কারবার তার। তবে তাজ্জবের কথা এই, যে মানুষটাকে একদিন ঢিল পাটকেলের মত লাথি মেরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন, এখন তার আশেপাশেই ঘুরঘুর করে বেড়াচ্ছেন।

মুখুয্যে মশাই এখন নবকুমারের সংসারের প্রায় প্রতিদিনের অতিথি। বেশীর ভাগ সন্ধ্যার দিকটিতেই আসেন, সদুর যখন সাংসারিক কাজগুলো হালকা হয়ে আসে। হ্যাঁ, সত্যবতীর সংসারের কাজই স্বেচ্ছায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে সদু, হয়তো বা ভগ্নশরীর সত্যর প্রতি মমতাবশে, হয়তো বা নিজস্ব অভ্যাসবশে, আর নয়তো বা এ সংসারে নিজের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট প্রত্যক্ষ রাখবার বাসনায়। হয়তো মনে করে নবকুমার যেন না ভাবে “আর কেন”। সত্যকে কুটোটি ভাঙতে দিলে নবকুমারের সদুর সম্পর্কে সহজে আস্থা আসবে না।

তা মনের কথা মনই জানে। মোটের উপর সদু কলকাতাতেই রয়ে গেছে এখনো এবং এ সংসারে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সব করছে। তবু সন্ধ্যের দিকে বসে থাকবার সময় পায় সদু। একে তো এখানের এই শহুরে সংসারের কাজ তার কাছে তৃণসম, তা ছাড়া প্রবল এক উৎসাহে। রাত্রের রান্নাটা সে বিকেলেই সেরে ফেলে।

সন্ধ্যার দিকে মুখুয্যে মশাই আসেন।

সদু মনে নবোঢ়ার লজ্জা আর মুখে নবোঢ়ার আভা নিয়ে ভাইপোদের চোখ বাঁচিয়ে তামাকে ফুঁ দিতে দিতে এসে কাছে দাঁড়ায়।

এ ঘরটা সেই কোণের দিকে ছোট্ট ঘরটা, যে ঘরে সুহাস থাকত। সুহাস তার সমস্ত ব্যবহারের জিনিসগুলি ফেলে চলে গেছে। সুহাসের স্মৃতি আঁকড়ে সে ঘর তার মত করে সাজিয়ে রেখে দেবে, এত ভাবপ্রবণতা এ সংসারের নতুন ব্যবস্থাপনায় নেই। সত্য তো ঢোকেই না এ ঘরে।

সদু এ ঘরটায় রাজ্যের আজেবাজে জিনিস এনে ঠেলে রেখেছিল, শুধু সুহাসের শোবার চৌকিটায় একটা সভ্যভব্য শতরঞ্জি বিছানো আছে। আছে তাকিয়া।

মুখুয্যে মশাই প্রায় যেন চুপিচুপিই এসে সেই তাকিয়ায় কনুই ঠেসিয়ে সেই চৌকিটিতে বসেন, সদু তামাক এনে হাতে দেয়।

মুখুয্যে মশাই একটু রহস্যঘন হাসি হেসে কলকে ধরা হাতটাও কাছে টেনে বলেন, এখনও তোমার কনে-বৌয়ের লজ্জা গেল না। বসো না এখানে।

বলা বাহুল্য এখান’টা সেই স্বল্পপরিসর চৌকির সামান্যতম ফালিটুকু। ভারী মুখুয্যে মশাই তো প্রায় বাকী সব জায়গাটাই দখল করে আসছেন। অতএব বসতে গেলে নিতান্ত ঘনিষ্ঠ হওয়া ছাড়া উপায় নেই।

তবে সদু পতিদেবতার এ অনুরোধটুকু রাখে না। নাঃ, এই বেশ বসছি! বলে মাটিতেই বসে চৌকির সামনে।

খুব কি গল্প করে সদু তার এতদিনের ফিরে পাওয়া বরের সঙ্গে?

নাঃ, তা করে না।

কথা কোথায়?

কথার বয়সই বা কোথায়?

অনেকক্ষণ ভুড়ভুড় করে তামাক টানতে থাকেন মুখুয্যে মশাই, তারপর এক সময় হয়তো বললেন, তারপর গরীবখানায় কবে যাচ্ছে বড়বৌ?

সদু এতক্ষণে বসে বসে হাতের নখ খুঁটছিল কি আঁচলের খুঁটটা আঙুলে জড়াচ্ছিল, এ প্রশ্নে সচকিত হয়ে নড়েচড়ে বসে বলে, এখন আর ছেড়ে দিয়ে তেড়ে ধরে কি হবে? জীবনটা তো বয়েই গেল!

মুখুয্যে মশাই নিটোল বপুটি দুলিয়ে বেশ একটু হেসে নিয়ে বলেন, ও কথা শুনছে কে গো বড়গিন্নী? গড়নে পেটনে এখনও তো ছুকরিটি আছ। বরং আমার বাড়ির ওটি একেবারে বুড়ীর বুড়ী তস্য বুড়ী হয়ে গেছে। মাথার সামনে কপালজোড়া টাক, দাঁতগুলো ঝুলে নড়বড় করছে, হাতে পায়ে হাজা, আর গড়ন? সে আর কী বলব তোমায়– বিশ্রী একটা মুখভঙ্গী করে কথাটা শেষ করেন মুখুয্যে মশাই, তাকাতে ঘেন্না করে। আমি তাই এখনো ঘরে রেখেছি, অন্য স্বামী হলে টান মেরে বাপের বাড়িতে ফেলে দিয়ে আসত।

সদু অবশ্য সতীনের সম্পর্কে স্বামীর এই অরুচিকর মন্তব্যে পুলকিত হয় না বরং বেজার ভাব দেখিয়ে বলে, তা তো বলবেই এখন। তার শাঁস-মাস সব খেয়ে ছোবড়াটাকে টান মেরে ফেলে দেবার কথা তোমার মুখেই শোভা পায়। সাধে কি আর বলেছে পুরুষ প্রজাপতির জাত।

মুখুয্যে এ অপবাদে লজ্জিত হন না। বরং ফ্যা ফ্যা করে হেসে বলেন, তা সে দোষ তবে বিধাতার। তিনি যে জাতকে যেমন করে গড়েছেন। কিন্তু যাই বল বড়বৌ, আমিও তো এতগুলো ছেলেপুলের বাপ হয়েছি, তারপর তোমার গিয়ে দু-দুটো মেয়ের বে দিলাম, নাতির অন্নপ্রাশনে ঘটা করলাম, এ সংসারের যাবতীয় করণ-কারণ করে চলেছি, আর ওই শূয়োরের পাল পুষছি। টসকেছি একটু? রূপ-যৌবন রাখতে জানা চাই, বুঝলে বড়বৌ?

বলেই হাতটা বাড়িয়ে সদুর গালে একটি টোকা মেরে বললেন, তা তোমাকে সে কথা শোনানো চলে না। তুমিও জান নচেৎ তুমিও কিছু এযাবৎ মামার সংসারে সোনার খাটে গা রূপোর খাটে পা দিয়ে বসে থাক নি! দাসীবিত্তি করতে করতে জীবন গেছে, তবু কেমন চেকনাইটি!

সদু কি এই স্তাবকতায় ভুলবে?

সদু কি বলে উঠবে, এই বুড়ো বয়সে তুমি আমার মনের দিকে না তাকিয়ে শরীরের চেনাইয়ের দিকে তাকাচ্ছ? লজ্জা করছে না?

কিন্তু কি করেই বা বলবে?

সদুর এই তুচ্ছ শরীরটার দিকেই বা কে কবে তাকিয়েছে। এই লোকটাই তো মারের চোটে ঘরছাড়া করেছে সদুকে। তখন তো সদুর বয়সকাল, কী অগাধ স্বাস্থ্য, আর রূপটাও ফেলনা ছিল না।

আর কত হাসি-খুশি স্বভাব ছিল।

সদু তখন বুঝত না, হয়তো বা এখনো বোঝে না, সে অগাধ স্বাস্থ্য আর বপুটাই অনিষ্টকারী হয়েছিল সদুর। হাসিটাও। সংসারে তখন মেলাই লোক– দ্যাওর, ভাশুর, বড় বড় ভাগ্নে তাদের চোখের সামনে থেকে সেই স্বাস্থ্য আর লুকিয়ে বেড়াবার কথা মাথায় আসত না সদুর। তাই সদুর দুর্দান্ত বরের মাথায় রক্ত টগবগ করে ফুটত।

অতএব রাতদিন যে দেহটাকে হাতের মুঠোয় পিষতে ইচ্ছে করত ডাকাতটার, সেই দেহটাকে সে ফুটবলের মত লাথিয়ে লাথিয়ে ঘরের বার করে দিত।

সদুর যে রূপ আছে স্বাস্থ্য আছে, সে কথা সদু কারো মুখে কোনদিন শোনে নি।

তারপর গঙ্গায় কত জল বয়ে গেল, কত দিন রাত্রি মাস বছর পার হয়ে গেল, সদুর যৌবন নামক বস্তুটা কোন খবর না দিয়েই বিদায় নিল, তবু মাজা মাজা গড়নের দেহটা সদুর তেমন ভাঙে নি। এখন এক লালসাতুর লুব্ধ প্রৌঢ়ের দৃষ্টি পড়েছে সেদিকে।

এ দৃষ্টি স্বামীর দৃষ্টি নয়, পরপুরুষের দৃষ্টি। পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা, পরস্ত্রীর মতই দেখছে আজ মুখুয্যে তার যৌবনে বিতাড়িতা স্ত্রীকে।

তবু বিহ্বল হচ্ছে সৌদামিনী।

জীবনে একবারও বিহ্বলতার স্বাদ উপভোগ করতেই হতো।

কিন্তু নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে না পারলে জুৎ কোথায় সদুর বরের? সন্ধ্যাবেলা নবীন নায়কের ভঙ্গী নিয়ে এসে বসে গল্পগুজব কিছুদিন বেশ ভাল লাগছিল, এখন আর শুধু তাতে মন উঠছে না। তা ছাড়া ছোটবৌটার সত্যিই বুঝি মরণদশা ঘনিয়ে এসেছে।

সময় অসময়ে বড় মেয়েটা শ্বশুরবাড়ি থেকে এসে ভাত-জল করত, কিন্তু সেও এখন আসন্নপ্রসবা। মেজটা তো এই বয়সেই মা-ষষ্ঠীর বরপুত্রী। তাদের এনে লাভ নেই।

তাই সদুর কাছে অনুনয়-বিনয় চলে। স

দু কিন্তু সহজে হ্যাঁ করে না।

বলে, কেন, এই তো বেশ। আসছ, বসছ, চোখের দেখা দেখছি—

মুখুয্যে চোখ টিপে বলে, শুধু চোখের দেখাতে কি পেট ভরে গো?

আর পেট ভরায় কাজ নেই।

তুমি তো বললে কাজ নেই। আমি যে এদিকে বছরভর উপোসী! তা ছাড়া মাইরী বলছি বিশ্বাস কর, মাসের মধ্যে পাঁচদিন সত্যি পেটের উপোসে কাটে। লক্ষ্মীছাড়া মেয়েমানুষটা একবার যদি পারছি না বলে শুলো তো কার সাধ্যি ওঠায়। বাজার থেকে মুড়ি চিড়ে এনে ওর রাবণের পুরীর পেট ভরাতে হয়।

সদু ভুরু কুঁচকে বলে, আর নিজে?

নিজে? নিজের ওই বামুনের হোটেল আছে একটা পাড়ায়, সেই গতি। নগদ চার গণ্ডা পয়সা ফেলে–

সদুর মনটা কি দুলে ওঠে?

মনে হয় কি, চিরজীবনই তো ভাতের হাঁড়ি নাড়লাম, কিন্তু সার্থকের ভাত রাঁধলাম কই? ভাত বেড়ে স্বামী-পুত্রের পাতের সামনে ধরে দিতে পেলাম কবে?

স্বামী-পুত্রের কোলে ভাতের থালা এগিয়ে দিতে না পারলে আর

পুত্র? ও বাড়িতে যারা আছে তারা কি সদুর পুত্র?

তা একরকম পুত্ৰই বৈকি। স্বামীরই সন্তান তো। ব্রতকথায় আছে- জ্ঞাতির ভাত হোক, সতীনের পুত হোক।

মরলে সতীনের ছেলেও মুখে আগুন দেয়, গলায় “কাচা” নেয়। হ্যাঁ, এইসব চিন্তা সদুর মাথার মধ্যে পাক দেয়, তবু সদু সহজে মুখে হারে না। বলে, আমি এখন নবুর সংসার ভাসিয়ে দিয়ে কোন্ মুখে

আহা-হা, ওর সংসার আবার ভাসাবে কী দুঃখে? ওর কাণ্ডারী খুব ওস্তাদ। এ নেহাৎ তুমি আছ তাই ঘোড়া দেখে খোঁড়া হয়ে বসে আছে। তুমি চলে গেলে ঠিক সবই পারবে।

তা সদু সে কথা বোঝে।

বোঝে বৌয়ের এই চুপচাপ বসে থাকা যতটা শরীরের দুর্বলতার জন্য, তার থেকে বেশী মনের অবসন্নতা। সেই হতচ্ছাড়া ছুঁড়িটা যেন প্রাণের পুতুল ছিল ওর। সেটা গেছে। তা ছাড়া নবু কড়া দিব্যি দেওয়ায় সেখানে যেতে আসতেও পারছে না। যত শক্ত মেয়েমানুষই হোক, স্বামীর “মরা মুখ দেখার” দিব্যিটা তো আর ফেলতে পারে না?

অমন যে একট সোনার পুতুল মেয়ে হয়েছে, তাও যেন সাজাতে গোছাতে গা নেই। সদু চলে গেলে ঘাড়ে পড়লে আবার সব ঠিক হয়ে যাবে।

কিন্তু সদু?

বড় লজ্জা! বড় লজ্জা!

নিজের কোটে বসে তামাক সেজে দেওয়া, পায়ে হাত বুলিয়ে দেওয়া এক, আর কেন্দ্রচ্যুত হয়ে সেই অজানা রাজ্যে গিয়ে পড়া আর এক। কেমন সেই সতীন, কেমন সেই ছেলেপুলে কে জানে!

তারা যদি সদুকে সহ্য করতে না পারে? আবার যদি স্বামীর ঘরে গিয়ে লাঞ্ছনা অপমান জোটে?

সেদিন কথার পিঠে এ সন্দেহ প্রকাশ করে সৌদামিনী, কিন্তু মুখুয্যের এক ফুয়ে উড়ে যায় সে দুশ্চিন্তা।

তিনি প্রবলস্বরে আশ্বাস দেন, ছেলেমেয়ে? তারাই তো রোজ আমায় খেয়ে ফেলছে, বাবা বড়মাকে আনন, বড়মাকে আনো বলে। আর তোমার সতীন? হুঁ, রাতদিন তো নিজের মরণ ডাকছে। বলে, আনো একবার তোমার প্রথম পক্ষকে, তার পায়ের ধুলোটা নিয়ে আর এই হতভাগাগুলোকে তার হাতে তুলে দিয়ে মরে বাঁচি।

কেন কে জানে, সদুর চোখে হঠাৎ জল আসে। সে জল মুছে সদু রুদ্ধস্বরে বলে, তোমরা পুরুষজাত বড় নিষ্ঠুর! এতদিন ঘর করছ, প্রাণে একটু মায়া নেই?

কি মুশকিল! মায়া কি করছি না? না করি নি? এ যাবৎ কে তার এগারোটা আঁতুড় তুলল, কে তার তাওত করল? ওকে ঘরে আনার সময় থেকেই তো যে যার ভেন্ন। মা ছোটছেলের সংসারে থেকেছে, তার পর মরেছে। আমি চিরদুঃখী। নইলে বিয়ে করা পরিবার তুমি, তবু তোমার ওপর জোর খাটাতে পারি না, ভিখিরির মতন দয়া ভিক্ষে করি!

থাক থাক, আর আমার পাপ বাড়াতে হবে না। সদু বলে, সতীন না হয় মরে বাঁচতে চায়, কিন্তু ছেলেপেলে সৎমাকে চায় কেন?

কেন আর? বুঝছ না মুখুয্যে কণ্ঠস্বর করুণ করেন, একটু মাতৃস্নেহের আশায়। সময়ে দুটো ভাতজলের আশায়।

তিল তিল জলে পাথর ক্ষয় হয়। আর এ তো আপনা থেকেই গলে থাকা বেলেমাটি। অবশেষে একদিন সদু মাথাটা নীচু করে ধরাগলায় বলে, বেশ, বল নবুকে। আমি নিজমুখে বলতে পারব না।

তা নবুরও বলতে বেধেছিল সত্যর কাছে। কোনরকমে থতমত খেয়ে বলে ফেলেছিল, মুখুয্যে মশাই তো আমায় খেয়ে ফেলছেন!

সত্য চোখ তুলে তাকিয়েছিল শুধু।

তাতেই প্রশ্ন।

নবকুমার অতঃপর তড়বড় করে মুখুয্যে মশাইয়ের সংসারের হাঁড়ির হালের বর্ণনা করে কথা সমাপ্ত করেছিল একটি বিবেচনার কথা বলে।

এমন অবস্থায় দিদিকে না পাঠানো আমাদের পক্ষে গর্হিত হবে না? মনে হবে না বড় যেন স্বার্থপরের মত আটকে রেখেছি দিদিকে

সত্য শান্তভাবে উত্তর দিয়েছিল, আটকে রাখার কথা উঠছেই বা কেন? ওখানে যাবার জন্যেই তো কলকাতায় এসেছেন ঠাকুরঝি।

ওখানে যাবার জন্যে!

নবকুমার হতবাক হয়ে গিয়েছিল। সত্যর অকৃতজ্ঞতাকে ছি ছি করে ধিক্কার দিয়েছিল। ভেবেছিল, আর এই আঁতুড় তোলা, মুখে রক্ত তুলে সংসারের যাবতীয় খাটুনি খাটা এসব কিছু না? দিদি আগে থেকে জানত মুখুয্যে মশাইয়ের সঙ্গে দেখা হবে? তিনি অত খোশামোদ করবেন ওকে?

কিন্তু মনের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে ওঠা এইসব কথাগুলো বলে উঠতে পারে নি নবকুমার। বলেছিল, বেশ, তবে তাই বলে দিই গে। জানি তোমার একটু কষ্ট হবে

আমার কষ্ট!

সত্য বলেছিল, আমার যে কিসে কষ্ট হয় আর না হয়, সে বোধ যদি তোমার থাকত! যাক গে, যেতে দাও ওসব কথা, মুখুয্যে মশাইকে বলে দাও একটা ভাল দিন দেখতে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *