• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • নতুন সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • পুরানো সব ক্যাটাগরি
  • My Account →
  • নতুন সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • পুরানো সব ক্যাটাগরি
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

প্রেমের প্রান্তে পরাশর – ০৮

লাইব্রেরি » প্রেমেন্দ্র মিত্র » উপন্যাস (প্রেমেন্দ্র মিত্র) » প্রেমের প্রান্তে পরাশর (রহস্য উপন্যাস) » প্রেমের প্রান্তে পরাশর – ০৮

আট

এ চিঠির কেন, কি বৃ্ত্তান্ত ভাবার জন্যে বৃথা সময় নষ্ট না করে তখনই নির্দেশ পালন করলাম । দোতলার তেরো নম্বর ঘরের দরজা সত্যিই ভেজানো ছিল মাত্র। একটু ঠেলা দিতেই খুলে গেল। ঘরে ঢুকে সত্যিই একটু থতমত খেয়ে দাঁড়াতে হল। এ কার ঘরে এসে ঢুকলাম। ওদিকের খাটের ওপর লম্বা হয়ে যে লোকটি কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে আছে, মুখ দেখতে না পেলেও চুল দেখে বোঝা যাচ্ছে – ভদ্রলোক ইউরোপীয়। পরাশরের চিঠির নির্দেশ মানতে গিয়ে এ কার ঘরে এসে ঢুকলাম? অত্যন্ত সন্ত্রস্ত হয়ে কামরা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্যে সাবধানে দরজাটা আবার খুলতে থাকি এমন সময় বিছানায় শায়িত লোকটা পাশ ফিরতে গিয়ে আমায় দেখতে পেয়ে একটু যেন কষ্ট করে উঠে বসল।

এ কি এ তো বারোহা! এর মধ্যে তার বিছানার পাশের সাইড টেবিলে, ওষুধের শিশি ও জলের গ্লাস ইত্যাদি আমি দেখতে পেয়েছি। কি হয়েছে কি বারোহার? শুধু পাশের টেবিলের ওষুধপত্র নয়, তার চেহারা দেখেও ত অসুস্থ বলে মনে হচ্ছে। তার গলার স্বরেও সেটা বোঝা গেল। আমায় দেখে বিস্মিত টিস্মিত নয় একটু কাতর আর ক্ষীণ হলেও স্বাভাবিক স্বরে সে বললে, “আসুন মিঃ ভদ্র। আমি আপনাদের অপেক্ষা করছি।” “আমাদেরই অপেক্ষা করছেন!” কাছে
গিয়ে দাঁড়িযে সবস্ময়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “আপনার হয়েছে কি?”
“বিশেষ কিছু নয়!” দুর্বল গলাতেই বারোহা নিজের অসুস্থতাটা অগ্রাহ্য করে উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করলে, “”কাল একটু বোধ হয় মাত্রা বেশী হয়ে গিয়েছিল তাই…”
“না … মাত্রা আপনার বেশী হয়নি মিঃ বারোহা!” বারোহার কথার ওপরই পরাশরের গলা শুনতে পেয়ে ফিরে তাকিয়ে শুধু পরাশর নয়, তার সঙ্গে ম্যানেজার মিঃ সেঙ্গারকে দেখতে পেলাম।
দরজাটা এবার ভালো করে বন্ধ করে পরাশর ম্যানেজারের সঙ্গে বিছানার কাছে এসে দাঁড়িয়ে আগের কথারই জের টানলে, “মাত্রা বেশী হয়েছে ভাবাটা আপনার ভুল। আমরা রেস্তোরাঁর রেকর্ড বই ত বটেই, টেবিলের ওয়েটার আর বার অ্যাটেণ্ড্যাণ্টদের কাছেও খবর নিয়েছি। খবর কি পেয়েছি, তা বলুন না মিঃ সেঙ্গার! একটু সবিস্তারেই বলবেন।”

মিঃ সেঙ্গার এ অনুরোধে প্রথমটা যেন থতমত খেলেন। এ কামরার মধ্যে এবার বেশ কাছে থেকে মিঃ সেঙ্গারকে তখন লক্ষ্য করবার সুযোগ পেয়েছি। ওপরের ফিটফাট পালিশ করা চেহারা সত্ত্বেও লোকটিকে কি একটা কারণে যেন অত্যন্ত বিব্রত মনে হল। কারণটা এর পরই তাঁর কথায় বুঝতে বাকি রইল না। মিঃ সেঙ্গার কিছুটা মুখস্থ আওড়াবার মত যা বলে গেলেন, তাতে জানা গেল, আগের দিন রাত্রে বারোহা এই হোটেলের রেস্তোঁরায় আর কয়েকজন বোর্ডারকে নিয়ে একটা ছোট পার্টিতে যোগ দিয়েছিল। পার্টিতে বারোহা বাদে ছিল ফরাসী প্রৌঢ় মঁসিয়ে রেনোয়া। তাঁর ভাগনী জিনেৎ আর এলসা। পার্টিতে আহার যতটা তার চেয়ে পানটা একটু বেশীই সাধারণতঃ হয়ে হাকে, কিন্তু রেস্তোরাঁর বারের হিসেব থেকে জানা গেছে সেরকম কিছু একেবারেই হয় নি। বারোহা ব্রাণ্ডির ভক্ত, গত রাত্রে তাও সে গোণাগুণতি কয়েকটি পাত্র মাত্র খেয়েছে। মঁসিয়ে রেনোয়া, মাদমোয়াজল জিনেৎ আর এলসাও তাই। মঁসিয়ে রেনোয়া কিছুক্ষণ পার্টিতে থাকবার পরে শরীর খারাপ বলে বিদায় নিয়ে গেছেন। পার্টিও তারপর বেশীক্ষণ চলেনি। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই সবাই যে যার কামরায় চলে গিযেছেন। কিন্তু তারপর, মানে, রাত্রি থেকেই এঁদের অসুস্থতা শুরু হয়েছে।

প্রথমে রিসেপশন কাউণ্টারে ‘কল’ এসেছে মঁসিয়ে রেনোয়ার কাছ থেকে। তিনি নিজে অত্যন্ত অসুথ বোধ করছেন। কিন্তু নিজের চেয় বেশী ভাবিত হয়েছেন তাঁর ভাগনী জিনেতের জন্যে। কিছুক্ষণ আগে তাঁর হঠাৎ গলাটা যেন কেউ চেপে ধরেছে এই রকম বোধ হবার সঙ্গে মাথাটা বড় বেশী ঝিম-ঝিম করছে মনে হয়। হয়ত প্রেসার বেড়েছে মনে করে তার ওষুধ খুঁজে না পেয়ে তিনি পাশের ঘরের জিনেৎকে ফোন করেন। জিনেতের ঘুম নাকি খুব পাতলা। তবু আট-দশ মিনিট ধরে ফোন করে সাহায্য চান। ইমার্জেন্সির সাহায্য আসবার আগেই জিনেৎ-এর সাড়া অবশ্য তিনি পান। কোন রকমে ফোন ধরে সে তার বুকের কষ্ট আর গভীর আচ্ছন্ন ভাবের কথা বলে। মঁসিয়ে রেনোয়া তার দরজায় গিয়ে দাঁড়াবার পর কোনরকমে দরজাটাও খুলে দিতে পারে তখন।

মঁসিয়ে রেনোয়া ইমার্জেন্সীতে ফোন করায় মিনিট খনেকের মধ্যেই রিসেপশনে মিঃ বারোহার ফোন আসে, তখনই একজন ডাক্তার পাওয়া যাবে কি না জানবার জন্যে। এ ফোন পেয়ে রিসেপশনের স্টাফ যে অত্যন্ত বিচলিত হয়ে ওঠে তা বলাই বাহুল্য। মিঃ সেঙ্গারকে তৎক্ষণাৎ তারা ফোন করে জাগিয়ে সমস্ত ব্যাপারটা জানায়। মিঃ সেঙ্গার অত্যন্ত ব্যস্ত হয়ে তখনই হোটেলে চলে এলেও ব্যাপারটা নিয়ে বেশ একটু মুস্কিলে পড়েন। মঁসিয়ে রেনোয়া তখন অবশ্য ফোনে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁর ভাগনী ইতিমধ্যে অনেকটা সুস্থবোধ করছে বলে তাঁর জন্যে কোনো ডাক্তার পাঠাবার আর প্রয়োজন নেই। কিন্তু অসল দুর্ভাবনা হয়েছে মিঃ বারোহাকে নিয়ে। মিঃ বারোহা সেই একবার ডাক্তারের জন্যে ফোন করার পর একেবারে চুপ হয়ে গেছেন। বার বার তাঁর ঘরে রিং করেও কোনো সাড়া তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি যেন একবার ফোন করেই ঘুমিয়ে পড়েছেন মনে হয়। ঘুমিয়ে পড়ার বদলে অজ্ঞান হওয়ার সম্ভাবনাও যে থাকতে পারে সে কথা ভেবেই ম্যানেজার তখন অত্যন্ত অস্থির হয়ে উঠেছেন।

এই পর্যন্ত শুনেই বারোহা একটু যেন লজ্জিতভাবে বাধা দিয়ে বললেন, “অজ্ঞানই কি হয়ে গিযেছিলাম? কে জানে! আমার কিন্তু রিসেপশনে ফোন করার কথাও কিছু মনে নেই।”
ম্যানেজারকেতার পর একটু আশ্বাস দেবার চেষ্টা করলে বারোহা, “যাইহোক, আমি যখন আর সাড়াশব্দ করিনি থখন আমার ফোনটা দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুমের ঘোরেই করা বুঝেই নিশ্চিন্ত হতে পারতেন।”
“তা কি পারি!” ম্যানেজা একটু ক্ষুভ স্বরেই প্রতিবাদ জানালেন, “আপনার বিষয়ে কি করা উচিত, সেইটেই তখন দারুণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িযেছিল। আপনি সত্যি অসুস্থ হলে যথাসাধ্য চিকিৎসা আর শুশ্রুষার ব্যবস্থা আমাদের না করলে নয়। অথচ আমাদের কোনো বোর্ডারকে মাঝরাতে বিনা কারণে জাগিয়ে বিরক্ত করার অধিকার আমাদের নেই। তবু মঁসিয়ে রেনোয়াও নিজের আর তার ভাগনীর অসুস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন বলে ব্যাপারটা স্বাভাবিক কিছু নয় বলেই ধরে নিতে বাধ্য হলাম। আপনাদের সম্বন্ধে হোটেলের দায়িত্ব খাবার আর পানীয় নিয়ে। খোঁজ নিয়ে জানলাম আপনারা যা খেয়েছেন, তা একেবারে সন্দেহাতীতভাবে নিরাপদ নির্দোষ খাবার, কারণ সমস্ত হোটেলেই সেই এক খাবার পরিবেশিত হয়েছে আর তাতে বিন্দুমাত্র কুফল কারুর হয়নি।”
“খাবার না হলে দোষ কি তাহলে পানীয়ের?”
“সে সম্ভাবনাটা মাথায় এলেও আমল একরকম দিইনি বললেই হয়। আমাদের হোটেলের চেয়ে বিশুদ্দ্ব একেবারে সর্বশ্রেষ্ঠ পানীয় দেশবিদেশের সেরা হোটেলের পক্ষেও দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ এ হোটেলে প্রথম শ্রেণীর জিনিষ ছাড়া নিরেস কিছু এক ফোঁটাও কখনো আসে না।”
“তাহলে কি মাত্রার বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে?”
“সত্যি কথা স্বীকার করছি, মিঃ বর্মা ভোর রাত্রে একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে আমায় ফোন করার আগে ওদিক দিয়ে কিছু ভাবিইনি।”
“মিঃ বর্মা ভোরবেলা আপনাকে ফোন করেছিলেন? উনি হোটেলের এ ব্যাপারের কথা জানলেন কি করে?” আমার বিস্মিত প্রশ্নটাই বারোহার মুখ দিয়ে বার হল।
“হ্যাঁ!” ম্যানেজার বিমূঢ় মুখেই স্বীকার করলেন, “ওঁর ফোন পেয়ে আমি ঐ কথা ভেবেই বেশী হতভম্ব হয়েছি। প্রথমে অবশ্য অধিকারের বাইরে এরকম নাক গলাবার স্পর্ধার জন্যে ওঁকে জাহান্নমে বলার ইচ্ছেই হয়েছিল। কিন্তু শেষ অবধি ওঁর যুক্তি শুনে ওঁর প্রস্তাবে রাজী না হয়ে পারিনি।”
“কি যুক্তি দিয়েছেন মিঃ বর্মা! আর কি প্রস্তাব করেছেন?” এবারও আমার কৌতূহলটাই প্রকাশ করলে বারোহা।
আমাদের মত হোটেলের সুনামের পক্ষে এরকম ঘটনা যে অত্যন্ত সর্বনাশ ক্ষতিকর, আর তার মূলে কি আছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুঁজে বার করে সে জট যে নিঃশব্দে এখনি সরিয়ে ফেলা দরকার, তা জানিয়ে উনি আমাদের সাহায্য করতে চেয়েছেন।
“সে-সাহায্য আপনার পক্ষে প্রত্যাখ্যান করা সম্ভব নয়, বুঝতে পারছি,” নিজের অসুস্থতা যেন ভুলে গিয়ে একটু হেসে উঠে বললেন বারোহা। “কিন্তু এখনো সেই প্রশ্নটাই উত্তর পাওয়া গেল না। মিঃ বর্মা হোটেলের ও ব্যাপারের কথা রাত না পোহাতে জানলেন কি করে? হোটেলের অন্য কোন বোর্ডারও ত এখনো এ বিষয়ে বোধহয় কিছু জানে না।”
“তা ত জানেই না।” ম্যানেজার বললেন, “তবু মিঃ বর্মা কেমন করে হোটেলের বাইরে থেকে এ খবর পেলেন উনি আসামাত্র আমি জিজ্ঞাসা করেছি। তাতে উনি যা উত্তর দিয়েছেন ওঁর মুখেই শুনুন।”
“সত্যি রহস্যটা কি তা বলবেন মিঃ বর্মা।” জিজ্ঞাসা করলে বারোহা।

Category: প্রেমের প্রান্তে পরাশর (রহস্য উপন্যাস)
পূর্ববর্তী:
« প্রেমের প্রান্তে পরাশর – ০৭
পরবর্তী:
প্রেমের প্রান্তে পরাশর – ০৯ »

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বাংলা লাইব্রেরি : উল্লেখযোগ্য বিভাগসমূহ

লেখক ও রচনা

অনুবাদ সাহিত্য

সেবা প্রকাশনী

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

কোরআন

হাদিস

ত্রিপিটক

মহাভারত

রামায়ণ

পুরাণ

গীতা

বাইবেল

বিবিধ রচনা

বাংলা ওসিআর

Download Bangla PDF

হেলথ

লাইব্রেরি – ফেসবুক – PDF

top↑