০৫. কালো ঘোড়ার সওয়ার

পঞ্চম পরিচ্ছেদ
কালো ঘোড়ার সওয়ার

আলু এবং অজ্ঞাত মালটি উপরে উঠিতেছেন।

যত উপরে উঠিতেছেন, শীতের সায়াহ্নে পারিপার্শ্বিক দৃশ্য ততই সুন্দর ও বিচিত্র হইয়া উঠিতেছে। পথের একধারে খাড়া পাহাড় ঊর্ধ্বে উঠিয়াছে, অন্যধারে তেমনি খাড়া খাদ কোন্ অতলে নামিয়া গিয়াছে। মধ্যে সঙ্কীর্ণ ঢালু পথ দেওয়ালের গায়ে কার্নিশের মত যেন কোনক্রমে নিজেকে পাহাড়ের অঙ্গে জুড়িয়া রাখিয়াছে। পথ কোথাও সিধা নয়, কেবলি ঘুরিতেছে ফিরিতেছে, কোথাও সাপের মত কুণ্ডলী পাকাইতেছে। চারিদিকে দেখিতে দেখিতে অশ্বারোহী দুইজন চলিতে লাগিলেন।

পাহাড়ের গা কোথাও বনজঙ্গলে ঢাকা, কোথাও বা কর্কশ উলঙ্গ। পথের যে-ধারটায় পাহাড়, সেই ধারে স্থানে স্থানে পাথর ফাটিয়া জল বাহির হইতেছে। কাকচক্ষুর মত স্বচ্ছ জল— রাস্তার উপর দিয়া বহিয়া গিয়া নীচের খাদে ঝরিয়া পড়িতেছে। কোথাও বন্য ফলের গাছ সারা অঙ্গে রাঙা রাঙা ফল লইয়া পথের উপর প্রায় ঝুঁকিয়া পড়িয়াছে, ঘোড়ার রেকাবে উঁচু হইয়া দাঁড়াইলে হাত বাড়াইয়া ফল পাড়া যায়! একবার উর্ধ্বে গাছপালার মধ্যে একটা ময়ুরের গায়ে সূর্যকিরণ পড়িয়া ঝকমক করিয়া উঠিল। ঘোড়র ক্ষুরের শব্দে সচকিত হইয়া ময়ুরটা ঘাড় বাঁকাইয়া কিছুক্ষণ স্থির হইয়া রহিল, তারপর সজোরে দুইবার কেকাধ্বনি করিয়া দ্রুতপদে পাহাড়ের ফাঁকে গিয়া লুকাইল। তাহার উচ্চ কেকারবের প্রতিধ্বনি পাহাড়ের গায়ে লাগিয়া বারবার ফিরিয়া আসিতে লাগিল।

আর একবার একটা মোড় ফিরিতেই ভীষণ গৰ্গম্ শব্দে চমকিত হইয়া গৌরীশঙ্কর দেখিল, দূরে পাহাড়ের একটা রন্ধ্র বহিয়া প্রকাণ্ড একটা ঝণা নিঝরশীকরে চারিদিক বাষ্পচ্ছন্ন করিয়া গভীর খাদে গিয়া পড়িতেছে। অস্তমান সূর্যকিরণে সেটাকে সোনালী জরি-মোড়া অপ্সরীর দোদুল্যমান বেণীর মত দেখাইতেছে।

মাথার টুপিটা খুলিয়া ফেলিয়া উৎফুল্লনেত্রে ঝর্ণা দেখিতে দেখিতে গৌরী বলিল–সর্দার, তোমাদের রাজ্য রাজা হবার মত দেশ বটে। কুমারসম্ভব পড়েছ?–

ভাগীরথীনিঝরশীকরাণাং
বোঢ়া মুহুঃকম্পিতদেবদারুঃ
যদ্বায়ুরন্বিষ্টমৃগৈঃ কিরাতৈ
রাসেব্যতে ভিন্নশিখণ্ডিবর্হঃ!

গদ্যপ্রকৃতি ধনঞ্জয় বলিলেন–টুপিটা একেবারে খুলে ফেললেন যে! শেষে তীরে এসে তরী ডোবাবেন? টুপি পরুন।

গৌরী সহাস্যে বলিল— তা না হয় পরছি। কিন্তু লোক কৈ? এতটা রাস্তা এলুম কোথাও একটা জনমানব নেই। একটু জোরে ঘোড়া চালালে হয় না?

ধনঞ্জয় বলিলেন— না, ট্রেনের যাত্রীরা সব এগিয়ে আছে, তারা এগিয়েই থাক। অন্ধকার হোক— তখন জোরে চালালেই হবে।

গৌরী জিজ্ঞাসা করিল আগাগোড়াই কি চড়াই উঠতে হবে? তোমাদের রাজ্যটা কি পাহাড়ের টঙের ওপর?

ধনঞ্জয় বলিলেন— না, আরো মাইল সাত-আট উঠতে হবে। শিরপেঁচ সরাইয়ের পর থেকে উত্রাই আরম্ভ। তবে যতটা উঠতে হবে ততটা নামতে হবে না। ঝিঝড়োয়ার গড়ন অনেকটা। কানা-উঁচু কাঠের রাতের মত। আমরা এখন বাইরে থেকে পিঁপড়ের মত তার কানা বেয়ে উঠছি, শিরচে সরাই পার হয়ে আবার কানা বেয়ে নেমে তবে ঝিন্দের সরজমিনে গিয়ে পৌঁছুতে হবে।

গৌরী জিজ্ঞাসা করিল– আচ্ছা, ও ঝণার্টার নাম কি? এতবড় ঝর্ণা আমি আর কোথাও দেখিনি।

ধনঞ্জয় বলিলেন— ওটা সামান্য পাহাড়ে ঝর্ণা নয়, আমাদের দেশের যে প্রধান নদী, সেই কিস্তা এখানে ঋণী হয়ে রাজ্য থেকে ঝরে পড়েছে। কিস্তার উৎপত্তি রাজ্যের অন্য প্রান্তে, সেখান থেকে বেরিয়ে রাজ্যের বুক চিরে এসে এইখানেই চঞ্চলা অঙ্গরীদের মত সে পাহাড়ের বুকে ঝাঁপিয়ে। পড়েছে।

গৌরী হাসিয়া বলিল— বাহবা সর্দার, তোমার প্রাণেও গদ্য এসে পড়েছে দেখছি। তবে আর ভাবনা নেই। আচ্ছা, ঝি সী-লেল থেকে কত উঁচু বলতে পারো?

চার হাজার ফুটের কিছু কম, তবে চারধারের পাহাড়গুলো আরো উচু। ঐ দেখুন না।–ধনঞ্জয়ের অঙ্গুলি নির্দেশ অনুসরণ করিয়া গৌরী দেখিল, আরো কিছুদূর উপর হইতে পাইনের গাছ আরম্ভ হইয়াছে। সরু লম্বা গাছগুলি যেন সারবন্দী হইয়া অদৃশ্য রেখার উর্ধ্বে জন্মিতে আরম্ভ করিয়াছে।

ক্রমে সূর্য বাঁ-দিকের নিম্নভূমির পর পারে অস্ত যাইবার উপক্ৰম করিল। খাদের অন্ধকারের ভিতর হইতে শৃগালের ডাক শুনা যাইতে লাগিল। উপরে তখনো দিন রহিয়াছে কিন্তু নিম্নের উপত্যকায় রাত্রি নামিয়াছে। দুইজনে নিঃশব্দে চলিতে লাগিলেন।

সহসা সম্মুখে দ্রুত অশ্বক্ষুরধ্বনি হইল। ধনঞ্জয় চকিত হইয়া ঘোড়ার উপর সোজা হইয়া বসিলেন, গৌরী টুপিটা তাড়াতাড়ি চোখের উপর টানিয়া দিল। সম্মুখে প্রায় পঞ্চাশ গজ আগে রাস্তার একটা মোড় ছিল, দেখিলে মনে হয় যেন পথ ঐ পর্যন্ত গিয়া হঠাৎ অতলস্পর্শ খাদের সম্মুখে থামিয়া গিয়াছে। ক্ষুরধ্বনি শ্রুত হইবার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সেই বাঁকের মুখ তীরবেগে ঘুরিয়া একজন অশ্বারোহী দেখা দিল। সূর্য তখনো অস্ত যায় নাই, তাহার শেষ রশ্মি সওয়ারের উপর পড়িল। কুচকুচে কালো ঘোড়া– মুখ ও লাগাম ফেনায় সাদা হইয়া গিয়াছে— আর তাহার পিঠে ঝুঁকিয়া বসিয়া আরোহী নির্দয়ভাবে তাহার উপর কশা চালাইতেছে।

ধনঞ্জয়ের দাঁতের ভিতর হইতে চাপা আওয়াজ বাহির হইল— ময়ূরবাহন! কি আপদ। পথ ছেড়ে দিন, পথ ছেড়ে দিন, বেরিয়ে যাক। বলিয়া বাঁ হাতে নিজের মুখের উপর রুমাল চাপিয়া ধরিলেন।

রাস্তা ছাড়িয়া সরিয়া দাঁড়াইতে না দাঁড়াইতে কালো ঘোড়ার সওয়ার প্রচণ্ডবেগে তাহাদের উপর আসিয়া পড়িল। বোধ করি আর এক মুহূর্তে সে ঝড়ের মত বাহির হইয়া যাইত কিন্তু হঠাৎ তাহার দৃষ্টি পথের ধারে দুইটি অশ্বারোহীর উপর পড়িতেই সে দু হাতে রাশ টানিয়া ধরিল ঘোড়াটা সম্মুখের দুই পা তুলিয়া সম্পূর্ণ একটা পাক খাইয়া এই দুবার গতি রোধ করিয়া দাঁড়াইল। সঙ্গে সঙ্গে ময়ূরবাহনের উচ্চকণ্ঠের হাস্যধ্বনি পাহাড়ের গায়ে প্রতিধ্বনি তুলিল। হাসি থামিলে সে বলিল— আরে কে ও? সর্দার ধনঞ্জয় নাকি? বনে বনে কুঁড়ি এ বধুয়া কাঁহা গয়ি—তোমার বিরহে আমরা সবাই ভয়ঙ্কর হেদিয়ে উঠেছিলাম যে সর্দার! এতদিন ছিলে কোথায়?

সে খবরে তোমার দরকার নেই। বলিয়া ধনঞ্জয় চলিবার উপক্রম করিলেন; কিন্তু তাঁহার ঘোড়া পা বাড়াইবার পূর্বেই ময়ূরবাহনের ঘোড়া আসিয়া পথরোধ করিয়া দাঁড়াইল।

বলি চললে যে! একটু দাঁড়াও না ছাই। সফর থেকে আসছ, দুটো কথাও কি বন্ধুলোকের সঙ্গে কইতে নেই?— সঙ্গে ওটি কে? ময়ূরবাহন কথা কহিতেছিল বটে কিন্তু তাহার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি গৌরীশঙ্করের উপর নিবদ্ধ ছিল— কৌতূহল ভীষণ বেড়ে যাচ্ছে। আপাদমস্তক ঢাকা ছদ্মবেশী মানুষটি কে? কোন জাতীয়? বলি স্ত্রীজাতীয় নয় তো?–অ্যাঁ সর্দার! বৃদ্ধ বয়সে তোমার এ কি রোগ? হায় হায়! অসৎ সঙ্গে পড়ে মানুষের কি সর্বনাশই নয়। শঙ্কর সিং শেষে তোমার চরিত্রেও ঘুণ ধরিয়ে দিলে! বলিয়া অত্যন্ত দুঃখিতভাবে ঘাড় নাড়িল।

পথ ছাড়ো। বলিয়া ধনঞ্জয় অগ্রসর হইবার চেষ্টা করিলেন। কিন্তু ময়ূরবাহন নড়িল না, রক্তের মত রাঙা দুই ঠোঁটের ভিতর হইতে দাঁত বাহির করিয়া বলিল–তা কি হয় সর্দার! তুমি একটা আদমের কালের বুড়ো, এই ছুকরিকে নিয়ে পালাবে আর আমি জোয়ান মর্দ চুপ করে দাঁড়িয়ে তাই দেখব? এ হতেই পারে না–বিলকুল নামঞ্জুর!

পথ ছাড়বে না?

ছাড়বো বই কি, কিন্তু তার আগে তোমার পিয়ারীকে একবার দর্শন— বলিয়া গৌরীর দিকে অগ্রসর হইল।

ব্যস্! খবরদার! ময়ূরবাহন ঘাড় ফিরাইয়া দেখিল ধনঞ্জয়ের হাতে একটা ভীষণদর্শন কালো রিভলবার নিশ্চলভাবে তাহার বুকের দিকে লক্ষ্য করিয়া আছে।

ময়ূরবাহন দাঁড়াইয়া পড়িল, তাহার মুখখানা ক্রোধে কালো হইয়া উঠিল। কিন্তু পরক্ষণেই সে নিজেকে সম্বরণ করিয়া হাসিয়া উঠিল, সহজ স্বরে বলিল— খামোশ। আজ জিতে গেলে সর্দার। তোমার পিয়ারী নাজনির চাঁদমুখ দেখবার বড়ই আগ্রহ হয়েছিল তা থাক, আর এক সময়ে হবে।—ভাল কথা, তোমার শঙ্কর সিং ভাল আছে তো? অভিষেক ঠিক সময়ে হচ্ছে তো? এবার কিন্তু অভিষেক পিছিয়ে গেলে আমরা সবাই ভারি দুঃখিত হব তা বলে দিচ্ছি। খুব সাবধানে তাকে আটকে রেখো আবার না পালায়। আচ্ছা, এক কাজ করলে তো পারো। শঙ্কর সিং যখন পরের এঁটো খেতে এত ভালবাসে তখন কতকগুলি বিয়াহি আওরাৎ ধরে এনে তার মহলে পুরে রেখে দাও না! তাহলে শঙ্কর সিং আর কোথাও যাবে না। আর ভেবে দেখ, রাজা হলেই তো আবার ঝড়োয়ার কুমারীকে বিয়ে করতে হবে; ও সোঁদা ফুল শঙ্কর সিংয়ের ভাল লাগবে না, তার চেয়ে–

ধনঞ্জয়ের দুই চক্ষু জ্বলিয়া উঠিল–চোপরাও অসভ্য কুত্তা! ফের যদি ও নাম মুখে এনেছিস, গুলি করে তোর খুলি উড়িয়ে দেব।

ফুঃ! তাচ্ছিল্যভরে ময়ূরবাহন ঘোড়ার মুখ ফিরাইয়া লইল, তারপর ঘাড় বাঁকাইয়া ধনঞ্জয়ের দিকে বেনিয়া বান্দার বাচ্চা! এই কথাগুলা নিক্ষেপ করিয়া ঘোড়ার পিঠে চাবুক মারিয়া বৈশাখী ঘূর্ণির মত নিম্নাভিমুখে অদৃশ্য হইয়া গেল।

সন্ধ্যার অন্ধকারে কালো ঘোড়ার সওয়ার মিলাইয়া গেলে ধনঞ্জয় রুমাল দিয়া কপালের ঘাম মুছিলেন। বিকৃতকণ্ঠে কহিলেন— বেয়াদব শয়তান!

গৌরী টুপি খুলিয়া জিজ্ঞাসা করিল—লোকটা কে সর্দার?

ধনঞ্জয় বলিলেন–উদিত সিংয়ের ইয়ার, আর তার শনি। উদিতের চেয়েও বদমায়েস যদি কেউ থাকে তো ঐ ময়ূরবাহন।

গৌরী বলিল— কিন্তু যাই বল, চেহারাখানা সত্যিই ময়ূরবাহনের মত। কি নাক কি মুখ কি চোখ! আর অদ্ভূত ঘোড়সওয়ার।

ধনঞ্জয় কতকটা নিজমনেই বলিলেন— ইচ্ছে হয়েছিল শেষ করে দিই। কেন যে দিলাম না তাও জানি না। যাক, আর দেরি করে কাজ নেই রাত্রি হয়ে গেছে। এখনো প্রায় অর্ধেক পথ বাকি। দুপুর রাত্রির মধ্যে সিংগড়ে পৌঁছুনো চাই।

কিছুক্ষণ নীরবে চলিবার পর গৌরী জিজ্ঞাসা করিল— ঝড়োয়ার কুমারীর সঙ্গে বিয়ের কথা কি বলছিল?

ধনঞ্জয় বলিলেন— ঝড়োয়ায় উপস্থিত রাজা নেই —মৃত রাজার একমাত্র মেয়েই রাজ্যের অধিকারিণী। মহারাজ ভাস্কর সিং মৃত্যুর আগে কুমার শঙ্করের সঙ্গে কস্তুরীবাঈয়ের বিবাহ স্থির করে। গিয়েছিলেন। কথা আছে যে, অভিষেকের দিন কস্তুরীবাঈয়ের সঙ্গে শঙ্কর সিংয়ের তিলক হবে।

গৌরী বিস্মিত হইয়া বলিল— নাবালক রানী— ঝড়োয়ার রাজ্য চলছে কি করে?

ধনঞ্জয় বলিলেন— মন্ত্রী আছে, দেওয়ান আছে, আইন আছে রাজার অভাবে কি রাজ্যের কাজ। আটকায়?

তা বটে! আচ্ছা, এই কস্তুরীবাঈয়ের বয়স কত হবে?

রানীর বয়স? বছর উনিশ-কুড়ি হবে। বলিয়া কুঞ্চিত করিয়া ধনঞ্জয় ঘোড়া চালাইলেন।

আরো দুই-একটা প্রশ্ন মনে উদিত হইলেও গৌরী আর কিছু জিজ্ঞাসা করিল না।

.

ফটকের ঘড়িতে মধ্যরাত্রির ঘণ্টা পড়িতেছে এমন সময় দুইজন ক্লান্ত অশ্বারোহী রাজপ্রাসাদের সম্মুখে গিয়া দাঁড়াইল।

প্রহরী কর্কশকণ্ঠে হাঁকিল— হু কম্ দার?

ধনঞ্জয় মৃদুস্বরে কহিলেন— আমি সর্দার ধনঞ্জয়। রুদ্ররূপকে খবর দাও। জলদি।

অল্পক্ষণ পরেই রুদ্ররূপ আসিয়া ফৌজী-সেলাম করিয়া দাঁড়াইল। ধনঞ্জয় ঘোড়া হইতে নামিয়া কানে কানে জিজ্ঞাসা করিলেন—কোনো গোলমাল হয়নি?

না। উদিত রোজ একবার করে মহলে ঢোকবার চেষ্টা করেছে, আমি ঢুকতে দিইনি।

বেশ। কুমারের কোনো খবর নেই?

কিছু না।

অভিষেকের আয়োজন সব ঠিক? সমস্ত।

ভার্গবজি আপনার জন্য বড় ভাবিত হয়ে পড়েছিলেন।

আচ্ছা, আর ভাবনার কোনো কারণ নেই। এখন আমাদের ভিতরে নিয়ে চল। আর পাহারা সরিয়ে নাও–কাল থেকে পাহারার দরকার নেই। শুধু তুমি তায়নাৎ থাকো।

যো হুকুম বলিয়া রুদ্ররূপ আলো আনিবার আদেশ দিতেছিল, ধনঞ্জয় মানা করিলেন –আলোর। দরকার নেই— অন্ধকারেই নিয়ে চল।

তখন রুদ্ররূপের অনুগামী হইয়া দুইজনে অন্ধকারে রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করিলেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *