২২.রায়-নন্দিনী – উপসংহার

উপসংহার

প্রায় একমাস পরে বসন্তকালের মধুর সময় ফাল্‌গুনের শেষে গাজী ঈসা খাঁ খিজিরপুর রাজধানীতে মাতা, বণিতা, বন্ধুবর্গ এবং সৈন্যাদি-সহ উপস্থিত হইলেন। নাগরিকগণ বিপুল আড়ম্বরে নব-দম্পতিকে অভ্যর্থনা করিল। কয়েক দিন পর্যন্ত রাজধানী এবং অনেক পল্লী ও মফঃস্বলের রাজ-করাচিতে আলোকসজ্জা এবং পুস্প-পতাকার বাহার খেলিল! দীনদুঃখীগণ প্রচুর দান পাইল। গুণী ও জ্ঞানী ব্যক্তিগণ স্বচ্ছন্দে সংসার-যাত্রা নির্বাহের জন্য ‘লাভোরাজ’ এবং ‘মদদে মাশ’ প্রাপ্ত হইলেন।

কয়েক দিবস পরে ঈসা খাঁ নিজে উদ্যাগী হইয়া রাজ-ব্যয়ে প্রতাপ-কন্যা অরুণাবতীকে মাহতাব খাঁর পরিণয়-পাশে আবদ্ধ করিলেন। এই বিবাহ প্রতাপ নিমন্ত্রিত হইয়াও ঘৃণা ও লজ্জায় উপস্থিত হইলেন না। কিন্তু শ্রীপুরাধিপতি কেদার রায় ও চাঁদ রায় দুই ভ্রাতা আসিয়া ঈসা খাঁর সহিত গভীর আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হন।

জহিরুল হক প্রচুর জায়গীর লাভ করতঃ সপরিবারে খিজিরপুরে আসিয়া নিরুদ্বেগে ধর্ম ও জ্ঞান-চর্চা করিতে লাগিলেন। তাঁহার চেষ্টায় বহুতর উচ্চশ্রেণীর ব্রাহ্মণ-পরিবার ক্রমশঃ ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন।

1 Comment
Collapse Comments
পর্দা করা ফরজ August 29, 2022 at 9:19 pm

হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন খুবই হিংসাত্মক ছিল ঈসা খাঁর আমলে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *