পেঁচা (মাঠের গল্প)

প্রথম ফসল গেছে ঘরে,
হেমন্তের মাঠে মাঠে ঝরে
শুধু শিশিরের জল;
অঘ্রানের নদীটির শ্বাসে
হিম হয়ে আসে
বাঁশপাতা — মরা ঘাস — আকাশের তারা!
বরফের মতো চাঁদ ঢালিছে ফোয়ারা!
ধানক্ষেতে — মাঠে
জমিছে ধোঁয়াটে
ধারালো কুয়াশা!
ঘরে গেছে চাষা,
ঝিমায়েছে এ পৃথিবী–
তবু পাই টের
কার যেন দুটো চোখে নাই এ ঘুমের
কোনো সাধ!
হলুদ পাতার ভিড়ে ব’সে
শিশিরে পালক ঘ’ষে ঘ’ষে
পাখায় ছায়ায় শাখা ঢেকে,
ঘুম আর ঘুমন্তের ছবি দেখে দেখে
মেঠো চাঁদ আর মেঠো তারাদের সাথে
জাগে একা অঘ্রানের রাতে
সেই পাখি–
আজ মনে পড়ে
সেদিনও এমনি গেছে ঘরে
প্রথম ফসল;
মাঠে মাঠে ঝরে এই শিশিরের সুর–
কার্তিক কি অঘ্রানের রাত্রির দুপুর!–
হলুদ পাতার ভিড়ে বসে,
শিশিরে পালক ঘ’ষে ঘ’ষে,
পাখার ছায়ায় শাখা ঢেকে
ঘুম আর ঘুমন্তের ছবি দেখে দেখে
মেঠো চাঁদ আর মেঠো তারাদের সাথে
জেগেছিল অঘ্রানের রাতে
এই পাখি!
নদীটির শ্বাসে
সে রাতেও হিম হয়ে আসে
বাঁশপাতা — মরা ঘাস — আকাশের তারা,
বরফের মতো চাঁদ ঢালিছে ফোয়ারা!
ধানক্ষেত — মাঠে
জমিছে ধোঁয়াটে
ধারালো কুয়াশা
ঘরে গেছে চাষা;
ঝিমায়েছে এ পৃথিবী,
তবু আমি পেয়েছি যে টের
কার যেন দুটো চোখে নাই এ ঘুমের
কোনো সাধ!

Leave a Reply to Tutul Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *