এক নদী

এক নদী

তোমার মুখ ভাবলে, এক নদী
বুকে আমার জলের ধারা তোলে;
সামনে দেখি ভরা ভাতের থালা
ঝালের বাটি উপচে পড়ে ঝোলে।

পিঠার মতো হলুদ মাখা চাঁদ
যেনো নরম কলাপাতায় মোড়া;
পোড়া মাটির টুকরো পাত্রকে
স্মৃতি কি ফের লাগাতে পারে জোড়া।

নীল বইচা মাছের মতো চোখ
স্বপ্নে আমার কুশল পুছে রোজ—
‘ভালো কি আছো?’ হায়রে ভালো থাকা!
নগরবাসী কে রাখে কার খোঁজ!

ফিরতে চাই, পাবো কি সেই পথ?
তরমুজের ক্ষেতের পাশে ঘর,
লজ্জাহীনা ফাজিল ছুঁড়ি এক
ভীষণ কালো, হাসতো থর থর!

মহাকালের কালোর চেয়ে কালো
রাত বরণী রূপসী সেই পরী,
কাঁপিয়ে কাখে ঠিল্লা ভরা পানি
দেহের ভঁজে ভেজা নীলাম্বরী—

উঠতো হেঁটে জলের ধার বেয়ে;
কালো-বাউশী যেনো কলমী বনে
অঙ্গ নেড়ে অস্ত গোলা জলে
দেখেছিলাম একদা কুক্ষণে।

ফিরলে আজো পাবো কি সেই নদী
স্রোতের তোড়ে ভাঙা সে এক গ্রাম?
হায়রে নদী খেয়েছে সব কিছু
জলের ঢেউ ঢেকেছে নাম-ধাম।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *