০৩. আজকের ডিম দুটো মায়মুনের

আজকের ডিম দুটো মায়মুনের। সে বাচ্চা ফুটাবে। মা রাজী হয়েছে। সারা রাত তার ভাল ঘুম হয়নি। তার ছোট মনে কত কল্পনা জেগেছে। হাঁসের বাচ্চা হবে, সেগুলো বড় হবে, ডিম দেবে—ফকফকে সাদা ডিম। সেই ডিমের থেকে আবার বাচ্চা হবে। নানা রঙের হাসে তাদের খাঁচা ভরে যাবে। স্বপ্নেও সে দেখে রঙ-বেরঙুের হাসের সারি চলেছে ধানক্ষেতের মাঝ দিয়ে। ডিম কুড়িয়ে কুড়িয়ে সে একটা হাঁড়ি ভরে ফেলেছে।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই সে হাঁস দুটো ছাড়তে যায়। ঠিক ঠিক দুটো ডিমই পেড়েছে আজো। ডিম দুটো তুলে সে তুষের হাঁড়ির মাঝে রেখে দেয় আলাদা করে। সেখানে আগের দু’দিনের আরো চারটে রাখা হয়েছে। এক দুই করে গুণে দেখে মায়মুন একবার। তারপর হাঁস দুটো ছেড়ে দিয়ে সে চেয়ে থাকে। দু’তিনবার ডানা ঝাপটা মেরে হাঁস দুটো ভেসে যায় ধানক্ষেতের দিকে। মায়মুনের চোখ তৃপ্তিতে ভরে ওঠে। হাত-মুখ ধুয়ে মায়মুন ঘরে আসে। ডিম দুটো সে বুকের সাথে চেপে ধরে খুশীতে। জয়গুন বলে—অই রহম কইরা ধইরা রাখলে অই বাচ্চা অইব? বেবাকগুলা আণ্ডা লইয়া আয় আমার কাছে। বাছাই কইরা দেই। যেই আণ্ডাডা লম্ফা, হেইডায় অইব আঁসা, আর যেইডা গোল হেইডায় অইব অসী, গোল দেখে দুটো ডিম বেছে মায়মুনের হাতে দিয়ে সে আবার বলে—অই পাড়ায়। গিয়া দ্যাখ, কেউর মুরগীর উমে দিতে পারস যদি। হাসুও যা ওর লগে। তোর আর এই বেলা কামে যাওন লাগত না।

এ কথায় রীতিমত খুশী হয়ে ওঠে হাসু।

জয়গুন আরো বলে—দুফরে যাবি জুম্মার ঘরে। আণ্ডা চাইড্যা দিয়া আবি।

—চাইডা অই! হাসু আশ্চার্য হয়ে যায়—তুমি না হেদিন কইলা, পয়লা দিনের কেবল?

—দুইড্যা আণ্ডা জুম্মার ঘরে কেমন কইর‍্যা দেই, পাগল? এক আলির কমে—

–আমরা খাইমু না বুকিন একটাও?

—তুই আছস তোর প্যাট লইয়া।

খেয়ে দেয়ে সবাই বেরিয়ে পড়ে।

 

বর্ষার সময় বাড়ীর চারদিকে থাকে পানি। বিলের মাঝে একটা দ্বীপের মতো যেন। এ সময়ে নৌকা ছাড়া চলবার উপায় থাকে না। তারা সকলে তাদের কোষায় চড়ে ওপাড়ায় যায়। জয়গুন নামে মোড়ল বাড়ীর ঘাটে। সেখানে সে মাঝে মাঝে মোড়লদের ধান ভানে, চিড়া কোটে, ঘর লেপে দেয়।

হাসু ও মায়মুন পাড়াময় ঘুরে শেষে দিয়ে এল ডিম দুটো।

সাতদিন পরে বসবে সোনা চাচীর মুরগী। তার ফুটবে চৌদ্দটা ডিম। তবু সে বলেছিল—দুটো বাচ্চা হলে তাকে একটা দিতে হবে। অনেক কাকুতি-মিনতি করায় শেষ পর্যন্ত সে রাজী হয়েছে।

 

গ্রামের মসজিদ। জুম্মার নামাজ হচ্ছে। হাসু বাইরে দাঁড়িয়ে দেখে। সব লোক এক সঙ্গে উঠছে, বসছে, সেজদা দিচ্ছে। হাসুর কেমন ভয় হয়। তারও নামাজের বয়স হয়েছে। সে ভাবে- বারো বছরের হলেই তো নামাজ পড়তে হয়।

নামাজ শেষ হলে হাসু গামছায় বাধা ডিম কয়টা নিয়ে এগোয়। একজন নামাজী শিরনি বিলিয়ে দিচ্ছিল সকলের মধ্যে। গামছা খুলে হাসু তার হাতে দিয়ে দেয় ডিম কয়টা।

ইমাম সায়েবের চোখে এড়ায় না। তিনি ডেকে বলেন—নিয়া আস আণ্ডা কয়ডা এদিকে।

কাছে যেতে আবার বলেন-যাও, দিয়া আস গিয়া আমার এখানে। কে দিল হে?

—ঐযে ঐ ছ্যাঁড়া। আঙুল দিয়ে দেখায় সে।

একজন বলে—সূর্য-দীগল বাড়ীর।

আর একজন বলে চিনেন না হুজুর? জব্বর মুন্সীর পোলা।

ইমাম সায়েব চমকে ওঠেন—ও-ওই! তওবা! তওবা! হারাম! হারাম!

তিনি ডিম কয়টার দিকে জনীর নির্দেশ দিয়ে বলেন—নিয়া যাও জলদি আমার কাছ থ্যাইকা। মসজিদের মধ্যে কে আনল এই আণ্ডা?ফিরাইয়া দ্যাও অহুনি। বেপর্দা আওরতের চীজ। ছি! ছি! ছি!—তার চোখে মুখে ঘৃণার তীব্রতা ফুটে ওঠে।

একজন ইজিগাত করে—একলা একলা সে ময়মনসিংহ যায় টেরেনে কইর‍্যা। কী হিম্মত!

ইমাম সাহেব বলেন—দেখলা মিয়ারা, ইমানদারকে খোদাওদ করিম হারাম থ্যাইকা কি ভাবে হেফাজত করেন।

আর একজন বলে—জব্বর মুন্সী কত পরহেজগার আছিল। খোদার এমন পিয়ারা আছিল। আর তার পরিবার

হাসু রেগে ওঠে মনে মনে। একবার ইচ্ছে হয়—দেয় ছুঁড়ে ডিম কয়টা ইমামের মুখের ওপর। কিন্তু সাহস হয় না। ডিম ক’টা নিয়ে সে বেরিয়ে আসে।

কোষাটাকে সে জোরে বেয়ে নিয়ে যায়। আজ অনেকগুলো ট্রেন ও স্টীমার ফাঁক গেল। দুটোর জাহাজ ধরা চাইই চাই। দুটো মোট পেলেও ছানার কাজ হবে।

দুটোর জাহাজ, আর বিকেল পাঁচটার ট্রেন ধরে সে আসে বাজারে। ডিম চারটে সে বিক্রি করেই ফেলবে। কেন দেবে সে মসজিদে? মা জিজ্ঞেস করলে বলে দেবে, জুম্মার। ঘরে দেয়া হয়েছে।

ডিম ক’টা সাত আনায় বেচে সে পাঁচ আনায় চারগাছা কাচের চুড়ি কেনে মায়মুনের জন্যে, আর নিজের কোমরে পয়সা বেধে রাখবার জালি কেনে একটা। বাকি দু’আনার এক আনায় কোনে একটা চরকি ও এক আনায় চারটে তিলের কদমা।

সন্ধ্যার দিকে সে কোষ ভিড়ায় একটা বাড়ীর ঘাটে। চারদিকে চেয়ে সে চুপিচুপি ডাকে–কাসু, অ-কাসু!

বছর সাতেকের একটি ছোট্ট ছেলে লাফিয়ে এসে ওর গলা জড়িয়ে ধরে। হাসু ওকে কোলে তুলে নেয়। তারপর ওর মুখে একটা কদমা দিয়ে বলে—দ্যাখ, কেমুন মিষ্ট। এই চরকিডাও তোর লাইগ্যা আনছি। দ্যাখ, কেমুন সোন্দর ঘোরে।

কাসু খুশী হয় খুব। হাসু বলে—যাবি তুই আমার লগে? মা তোর লাইগ্যা কত কান্দে দিন-রাইত!

–ক্যার মা?

—তোর মা। আমার মা।

—হুঁ, মিছা কথা।

—না বলদ, সত্যই।

মা-র কথা শুনে কাসু যেন কেমন হয়ে যায়। ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে। তার চোখ টলটল করে। কাসু কিছু বুঝে উঠতে পারে না। সে জানে, তার মা মরে গেছে। বাপ তো। সেই কথাই বলে সব সময়।

—যাইমু তোমার মা-র কাছে—কাসু বলে।

—আমার মা যে তোর মা অয়, বলদ।

—কে? কেডারে অইহানে? কাসর বাপ করিম বক্‌শ চিৎকার করে ওঠে। তেড়ে আসে লাঠি হাতে-খাড়া হারামির পয়দা, কানকথা দিতে আইছস আমার পোলারে!

কাসুকে কোল থেকে নামিয়ে বাকী কদমা তিনটে ওর হাতে দিয়ে প্রাণভয়ে দৌড় দেয় হাস। কোটা ঠেলে দিয়ে চড়ে বসে। প্রাণপণে বেয়ে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়।

কাসুর বাপ করিম বক্‌শ পানির কিনারা পর্যন্ত এসে বাধা পায়। চেঁচিয়ে বলে—আবার এই মাহি পাও বাড়াইলে আড্ডি গুড়া কইর‍্যা ফ্যালাইমু। মানুষ চিন না বজ্জাতের বাচ্চা!

তারপর এদিক ওদিক চেয়ে কয়েকটা মাটির ডেলা নিয়ে ছুঁড়তে থাকে ওর দিকে। একটা ডেল। এসে হাসুর পিঠের ওপর পড়তেই সে লাফ দিয়ে পানিতে পড়ে যায়। কোষার আবডালে থেকে আত্মরক্ষা করতে থাকে। করিমবক চলে যেতেই কোমায় চড়ে জোরে লগির খোচ দেয়।

কাসুদের বাড়ী থেকে শব্দ শোনা যায়, সাথে সাথে গর্জনও হারামজাদা, কদমা দিয়া ভুলাইতে আইছস। আবার আইলে বাপের মরণ দেহাইয়া ছাইড়্যা দিমু।

আবার শোনা যায়—চরকি! দ্যাখ অহন চরকিবাজি কেমুন লাগে।

হাসুর চোখে পানি আসে। পিঠের ব্যথার কথা ভুলে যায় সে। কাসু যে তারই ভাই, এক মা-র পেটের ভাই। হোক না বাপ ভিন্ন। কিন্তু মা-তো একজনই। সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে, সে আর ঐ মুখো হবে না। তার জন্যেই কাসু আজ মার খাচ্ছে।

মোট বয়ে আজ ছ’আন পেয়েছে হাসু। বাড়ী এসেই মা-কে দেয় তিনটে দু’আনি।

মা বলে—এই পাইলি আইজ?

—গেলাম তো দুফরের পর, আরঅ? বলেই হাসু বেরিয়ে যায় ঘর থেকে। মায়মুনকে ডাকে—দেইকা যা মায়মুন, কি আনছি।

নতুন কিছু দেখবার জন্যে মামুনের চোখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। হাসু চুড়ি চারগাছা ওর হাতে পরিয়ে দেয়। মায়মুনের মুখ আনন্দে ভরে যায়।

জয়গুন বেড়ার ফাঁক দিয়ে দেখতে পেয়ে বলে—চুড়ি কিনলি, পয়সা পাইলি কই?

—আইজ পথে যাওনের কালে একটা পোকা পাইয়া গেলাম। আমতা আমতা করে হাসু।

—চুড়ি তোমারে কে কিনতে কইছে? রাগতস্বরে বলে জয়গুন। হাসু কোন উত্তর দেয় না। তার এই চুপ করে থাকাটা জয়গুনকে ক্ষিপ্ত করে তোলে। দাঁত কিড়মিড় করে বলে—খাইতে নাই হইতে রাঙ্গা পাডি। আইজ রাইতে ভাত নাই তোর কপালে।

মায়মুন মুখ কালো করে দূরে সরে যায়। হাসু মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েই থাকে।

জয়গুন আবার বলে—আণ্ডা কই?

—জুম্মার ঘরে দিয়া দিছি। বলেই হাসু শিউরে ওঠে।

–জুম্মার ঘরে! তুমি বুঝছ, আমি কিছুই জানমু না? মোড়ল বাড়ীর তন বেবাক হুইন্যা আইছি। হুজুর ফিরাইয়া দিছেন আণ্ডা।

হাসুর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। চাপে পড়ে সত্য কথাটাই বলে সে-–বেইচ্যা ফ্যালাইছি।

–পয়সা দে।

–চুড়ি কিনছি, পয়সা রাহনের জালি আর—

জয়গুন এবার বেরিয়ে আসে বাঘিনীর মত।

—আর কাসুর লাইগ্যা চরকি আর কদ্‌মা।

বাঘিনীর তেজ মিলিয়ে যায় শুধু একটা নামে। কি মধুর নাম! কাসু! রাগের মাঝে বাৎসল্যের হঠাৎ আবির্ভাব সে সহ্য করতে পারে না। সরে যায় সেখান থেকে।

খাওয়ার সময় আবার তাদের কথা হয়। মা বলে-কাসু কতহানি ডাঙর অইছে রে?

—মায়মুনের মত অত বড় অইছে।

একটা নিশ্বাস বেরিয়ে আসে। হাসু ও মায়মুন চকিত হয়ে মার দিকে চায়। হাসু এবার অন্য কথা পাড়ে-তুমি আর বাইরে যাইও না, মা। মাইনষে কত কতা কয়, বেপর্দা–

ছেলের পাকামি দেখে জয়গুন ধমক দেয়—বাইরে যাইমু না! ঘরে আইন্যা কে মোখের উপর তুইল্যা দিব?

—আমি যা পাই। না পাইলে না খাইয়া মইরা যাইমু। হেই অ ভালা, ত মাইনষের কত আর সয় না।

হাসু সারাদিনে দশ বারো আনা পায় মোট বয়ে। এ দিয়ে তিনটি প্রাণীর এক বেলাও চলে না। জয়গুন বাধ্য হয়েই ঘরের বার হয়েছে আজ অনেক দিন। সে বাড়ী বাড়ী ঘর লেপে, ধান ভানে, চিড়া কোটে। সস্তায় চাল কিনতে যায় উত্তরে। গাড়ীতে করে যায়, ভাড়া লাগে না। গায়ের লোকের কথায় তার গা জ্বালা করে। তাদের নিষেধ মেনে চললে না খেয়ে শুকিয়ে মরতে হবে, সে জানে।

জয়গুন এবার বলে—খাইট্যা খাইমু। কেওরড়া চুরি কইর‍্যাও খাই না, খ’রাত কইরাও খাই না। কউক না, যার মনে যা’—

কঠিন তার কণ্ঠস্বর।

কিন্তু পরক্ষণেই তার মনে হয়—সে খোদার কাছে পাপ করছে। বাড়ীর বার হয়ে খোলা রাস্তায় সে পুরুষদের মাঝ দিয়ে হেঁটে বেড়ায়। গাড়ীতে কত বেগানা মানুষের মাঝে বসে সে চলে। বেপর্দা মেয়েলোকের কি আজাব হয়, সে জানে। তার প্রথম স্বামী-হাসুর বাপ মুনশী ছিল। পুঁথি পড়ে শোনাত দোজখের শাস্তির বিবরণ। পুঁথির কয়েকটা লাইন তার আজো মনে পড়ে–

মুখের ছুরত যার পুরুষে দেখিবে,
বিছা, বিচ্ছু, জোঁকে তারে বেড়িয়া ধরিবে।
যে চুল দেখিবে তার পুরুষ অচিন,
সাপ হইয়া দংশিবে হাশরের দিন।
যে নারী দেখিবে পর-পুরুষের মুখ,
শকুনি গিরধিনী খাবে ঠোকরাইয়া চোখ।

জয়গুন শিউরে ওঠে। সাপ, বিছা, জোঁক …! তার প্রথম স্বামীর মুখখানাও মনে পড়ে যায়। কী সুন্দর চাপদাড়ি-শোভিত মুখখানা জব্বর মুনশীর। বেহেস্ত-দোজখের কত কথাই সে বলত! বেহেস্তে কত সুখ! আর দোজখ! দোজখের নামে আর একবার আঁতকে ওঠে সে। তার বিশ্বাস, হাশরের দিন জব্বর মুনশী কিছুতেই তাকে তার বেপর্দার জন্য নিজের স্ত্রী বলে স্বীকার করবে না।

তারপর তার মনে পড়ে করিম বশের কথা। জব্বর মুনশীর মৃত্যুর পর জয়গুন তার মান-ইজ্জতের ভার দিয়েছিল তার ওপর। কিন্তু সে তা রাখতে পারেনি। দুর্ভিক্ষের বছর বিনা দোষে সে জয়গুনকে তালাক দেয়।

পুত্র সে হাতের লাঠি বংশের চেরাগ।
কন্যা সে মাথার বোঝা কুলে দেয় দাগ।

সমাজের এই নীতি-নির্দেশে তিন বছরের ছেলে কাসু রয়ে গেল করিম বকশের কাছে। আর মায়মুন ও কোলের মেয়েটির পরিত্যক্তা মায়ের কোল ছাড়া আর কোথাও আশ্রয় রইলো না।

কোলের মেয়েটি দুর্ভিক্ষের বছর মারা যায়।

হাসু ও মায়মুনকে নিয়ে ভেসেই চলছিল জয়গুন। কিন্তু নিজের চেষ্টায় অকুল পাথারে কূল সে পায়। লজ্জাশরম বিসর্জন দিয়ে সে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজে। তাকে বাঁচতে হবে, ছেলেমেয়েদের বাঁচাতে হবে—এই সঙ্কল্প নিয়ে আকালের সাথে পাঁচ বছর সে লড়াই করে আসছে।

আরো অনেক কিছু ভাবছিল জয়গুন। ছেলের ডাকে তার ধ্যান ভেঙে যায়।

—তুমি খাও না, মা?

ছেলেমেয়ের মুখের দিকে চেয়ে মমতায় তার বুক ভরে ওঠে।

দুটি কচি মুখ। এদের বাঁচাতেই হবে। ধর্মের অনুশাসন সে ভুলে যায় এক মুহূর্তে। জীবনধারণের কাছে ধর্মের বারণ তুচ্ছ হয়ে যায়, মিথ্যে হয়ে যায় তার কাছে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *