কতেদিন হয়নি যাওয়া আমার সবুজ গ্রামে
সোনাবিল, পদ্মাদিঘি, উত্তরকঙ্গের
সেই ধুলোওড়া পথ, বিষণ্ন পাথার,
আখ মাড়াইয়ের দৃশ্য, ক্লান্ত মহিস
কতেদিন হয়নি দেখা; কতেদিন হয়নি
শোনা দুপুরে ঘুঘুর ডাক, হুতোম পেঁচার
শব্দ : হয়তো এখনো হাতছানি দিয়ে ডাকে
প্রায় শুকিয়ে যাওয়া গ্রামের নদীটি, কখনো
শহরে সবুজের সমারোহ দেখে এই প্রিয় গ্রামটিকে
মনে পড়ে যায় : কোনো পুরনো দিনের
গান শুনে, দোয়েল-শালিক দেখে
আমি খুবই অন্যমনস্ক হয়ে পড়ি;
ফিরে যাই আমার সবুজ গ্রামে, হাটখোলাটিতে
এখনো টিনের চালে কখনো
বৃষ্টির শব্দ শুনে উত্তরবঙ্গের
সেই দুঃখিনী গ্রামটি মনে পড়ে।
এমন কী আছে তার মনে রাখবার মতো
তবু এই উলুঝুলু বন, বিষণ্ন পাথর
নেহাৎ খালের মতো শুকনো নদীটি, এখনো
আমার কাছে রুপকথার চেয়েও বেশি রুপকথা।
পূর্ববর্তী:
« আমার জীবন
« আমার জীবন
পরবর্তী:
এ জীবন আমার নয় »
এ জীবন আমার নয় »
রায়ান
কবি,তোমার গ্রাম অনেক বদলে গেছে
বদলে গেছে মানুষেরা,
এখন মুঠোফোনের সংকেতে ঘুম ভাঙ্গে লোকের।
পাখির কলতান
অথবা মুয়াজ্জিনের আজান
কুমারী মেয়ের মতো অসূর্যস্পশঅ্যা
শুধু বদলায়নি
সেই শুকনো নদীটি
এখনো বৈশাখে হাঁটুজল থাকে।
কোন কিশোর আর ধরেনা পুঁটি মাছ
পুরনা গামছা খুঁজে পেয়েছে নতুন পরিচয়
মুছে বেড়ায় গনক যন্ত্রের ধুলি।
কবি, তোমাকে তবু যেতে হবে ফিরে
এখনও টুপ টাপ ঝরে পড়ে হীরের কণা
দুরুন্ত হাঁসেদের পালক থেকে।
এঁদো মাটির সোঁদা গন্ধে মেতে আছে
জলের কিনারা,
বিবর্ণ কচুরিপানা ফোটায় বেগুনী নীল।
তোমার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম, কবি
এস তুমি সময় করে,
একসাথে টানা যাবে কাঠ বিড়ি।
এক কাঠফাটা রোদে শিমুলের তলায়
অলস দুপুরে, গল্পের ঝাঁপি খুলে
আমি, তুমি, আর এক নিঃসঙ্গ চিল।