১৫. সোমনাথ ভাদুড়ীর ওখান থেকে ফিরতে

সোমনাথ ভাদুড়ীর ওখান থেকে ফিরতে বেশ রাতই হয়ে গিয়েছিল কিরীটীর, প্রায় পৌনে এগারোটায় ঘরে ঢুকেই থমকে পড়ে কিরীটী—একটা চেয়ারে বসে ডাঃ সমীর রায়—

—কি ব্যাপার ডাঃ রায়, কতক্ষণ?

—তা প্রায় ঘণ্টা দেড়েক তো হবেই।

–কিন্তু বাড়ির সামনে আপনার গাড়ি তো দেখলাম না

–না, আমি গাড়ি নিয়ে আসিনি, ট্যাক্সিতে এসেছি–স্নান কণ্ঠে বললেন ডাঃ রায়, আমি আপনার সঙ্গে বিশেষ কারণে দেখা করতে এসেছি কিরীটীবাবু।

-বলুন—যা আমি পুলিসের কাছে বলতে পারিনি তা আপনার কাছে বলব।

—বেশ তো, যা বলবার বলুন। আমার দ্বারা যদি আপনার কোন উপকার বা সাহায্য করা সম্ভব হয় নিশ্চয়ই করব।

–মিঃ রায়, আপনি নিশ্চয় বুঝবেন, মালঞ্চর হত্যা মামলার সঙ্গে আজ যদি আমার নামটা জড়িয়ে পড়ে, তাহলে আমার পক্ষে আর এ শহরে বাস করা সম্ভব হবে না। তারপর একটু থেমে বললেন, আজ সকালে আমার বাড়ি ইনকাম ট্যাক্সের লোকেরা raid করেছে এবং সেটা যে পুলিসেরই নির্দেশে, তাও আমি বুঝতে পেরেছি। সেজন্যে অবশ্য আমি ডরাই না, ইনকাম করে tax হয়তো পুরোপুরি দিইনি, তার জন্যে হয়তো punishment হবে, তা হোক, কিন্তু ঐ scandal-এর সঙ্গে আমার নাম জড়ালে my future will be doomed! তাই ভেবে দেখলাম, আপনাকে সব কথা খুলে বলাই ভাল।

—তা বলুন না—

–মালঞ্চর সঙ্গে পেসেন্ট আর ডাক্তারের সম্পর্ক ছাড়াও অন্য সম্পর্ক ছিল আমার—বললে শুরু করলেন সমীর রায়, কিন্তু বিশ্বাস করুন, সে সম্পর্কটা কোন ভালবাসা বা প্রেমের সম্পর্ক নয়, she had a tremendous sex, প্রচণ্ড একটা যৌন আবেদন ছিল মালঞ্চর আর বলতে সংকোচ করব না, তাতেই আমি trapped হয়েছিলাম। প্রায়ই রাত বারোটার পর আমি লুকিয়ে লুকিয়ে হিন্দুস্থান রোডে ওর বাড়িতে যেতাম, তারপর পিছনের লোহার ঘোরানো সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠে যেতাম। বুঝতে পারতাম কি জঘন্য নেশায় আমি জড়িয়ে পড়েছি, but I couldnt get out of it! হত্যার রাত্রে ক্লাব থেকে বের হয়ে সোজা আমি হিন্দুস্থান রোডে মালঞ্চর বাড়িতে যাই

–রাত তখন কটা হবে ডাঃ রায়?

—ঠিক মনে নেই, তবে round-about সাড়ে বারোটা পৌনে একটা হবে, যে পথে আমি রোজ যাই সেই পথেই ওপরে গেলাম—

—বাথরুমের দরজাটা খোলাই পেয়েছিলেন?

–হ্যাঁ।

–তারপর?

–বাথরুম অন্ধকার ছিল, চেনা পথ, ঘরে পা দিয়ে দেখি ঘরও অন্ধকার–

–পরের দিন সকালে দরজা ভেঙে কিন্তু সুশীল চক্রবর্তী ঘরের আলোটা জ্বলছিল দেখতে পায়–

–আমি ঘরের আলোটা জ্বালাই এবং জ্বালাতেই দেখলাম মালঞ্চ চেয়ারে বসে আছে আর তার গলায় ফাঁস, বুঝতে আমার কষ্ট হয়নি she was dead! বুঝতেই পারছেন আমার তখনকার মনের অবস্থা, কি ভাবে যে ঘর থেকে বের হয়ে বাথরুমে ঢুকেছি জানি না–তারপর সিঁড়ি দিয়ে নেমে ছুটতে ছুটতে এসে গাড়িতে স্টার্ট দিতে গিয়ে দেখি সদরে একজন দাঁড়িয়ে আছে।

–-কে সে?

–জানি না, ভাল করে তাকাইনি, তবে সে যে আমায় ছুটে গাড়িতে গিয়ে উঠতে দেখেছিল সেটা ঠিকই–

–দরজার কাছে যে দাঁড়িয়ে ছিল সে পুরুষ না নারী?

–পুরুষ।

মনে হল কিরীটী যেন একটু অন্যমনস্ক হয়ে কি বুঝি ভাবছে—

—রাত সোয়া বারোটার সময়ও বাথরুমের দরজাটা তাহলে খোলাই ছিল—পরে someone সেটা বন্ধ করে দিয়েছিল, আশ্চর্য, কথাটা আমার মাথায় আগে আসেনি কেন,—কিরীটী কথাগুলো যেন কতকটা আত্মগতভাবে বলে।

–কিছু বলছেন, কিরীটীবাবু?

-–একটা চাবির কথা ভাবছি।

—-চাবি!

—হ্যাঁ, মালঞ্চর শয়নকক্ষে ইয়েল লকের ড়ুপলিকেট চাবিটার কথা ভাবছি ডাঃ রায়। সেটাও ছিল সুরজিৎ ঘোষালের কাছে?

–হ্যাঁ, তার কাছেই থাকত সেটা।

—ঠিক আছে ডাঃ রায়, আপনি এখন বাড়ি যান।

 

পরের দিনই কিরীটী চট্টরাজকে সঙ্গে নিয়ে হাজতে গেল সুরজিৎ ঘোষালের সঙ্গে দেখা করতে। দেখা গেল সুরজিৎ ঘোষাল একটা খাটিয়ার ওপর বসে আছেন। প্রচণ্ড গরম ঘরটার মধ্যে, ঘামছিলেন সুরজিৎ ঘোষাল। এই কয়দিনেই তার চেহারার যেন অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।

–মিঃ ঘোষাল—

কিরীটীর ডাকে সুরজিৎ ঘোষাল বিষণ্ণ দৃষ্টি তুলে তাকালেন।

—হিন্দুস্থান রোডের বাড়ির সদরের আর মালঞ্চর ঘরের ইয়েল লকের ড়ুপলিকেট চাবি দুটো আপনার কাছেই থাকত না?

—হ্যাঁ। কিন্তু যে চাবির রিংয়ে ঐ চাবি দুটো ছিল, সেটা ঐ ঘটনার দিন সাতেক আগে হারিয়ে যায়—

—কি করে হারাল?

—জানি না। আমার মনে হয়, যাতে আমি যখন-তখন সেখানে না যেতে পারি, surprise visit না দিতে পারি সেইজন্যে মালঞ্চই রিংটা সরিয়েছিল।

-কেন আপনি surprise visit দিতেন?

—আগে কখনো দিতাম না, দেবার প্রয়োজনও বোধ করিনি। কিন্তু মানদার কাছ থেকে যখন জানতে পারলাম আমি চলে আসার পর প্রায়ই রাতে মালঞ্চর ঘরে দীপ্তেন ভৌমিক আসে, তখন আমি দুচারবার surprise visit দিয়েছি।

–আচ্ছা, আপনি কোনদিন কি দীপ্তেন ভৌমিককে মালঞ্চর ঘরে পেয়েছেন?

—না, কিন্তু আমি দুত্রে অন্তত টের পেয়েছি, তার ঘরে লোক ছিল—কথাবার্তা শুনেছি, ঘরে আলো জ্বলতে দেখেছি। কিন্তু নিঃশব্দে তালা খুলে ঘরে ঢুকে দেখেছি ঘরের আলো নেভানো—মালঞ্চ ঘুমোচ্ছে।

কিরীটী মৃদু হেসে বলল, চোরের ওপর বাটপাড়ি–

—আপনি কি বলতে চান, তাহলে–

–হ্যাঁ, আপনার আসার আগেই তার কাছে সংবাদ পৌঁছে যেত যে আপনি আসছেন, সঙ্গে সঙ্গে ঘরের লোক বাথরুম-পথে পিছনের ঘোরানো সিঁড়ি দিয়ে সটকে পড়ত, আপনি তাই কোনদিনই পাখিকে খাঁচার মধ্যে দেখেননি।

—কি বলছেন মিঃ রায়!

If I am not wrong মিঃ ঘোষাল, ঐ মানদাই দুপক্ষের কাছ থেকে টাকা খেয়ে দুপক্ষের দৌত্যগিরি করত

—মানদার মানদার এই কাজ!

–আচ্ছা মিস্টার ঘোষাল, আপনিই কি ডাঃ সমীর রায়কে ঐ বাড়িতে প্রথম নিয়ে যান?

–হ্যাঁ, ডাঃ রায়ের সঙ্গে আমার অনেক দিনের পরিচয়। মাঝে মধ্যে মালঞ্চর পেটে প্রচণ্ড কলিক হত, তাই আমি একবার ডাঃ রায়কে ডেকে আনি, ডাঃ রায় তাকে তখন পেথিডিন ইনজেকশন দেন, ক্রমশ সেই পেথিডিনে মালঞ্চ অ্যাডিক্টেড হয়ে যায়

-আপনি তাহলে পেথিডিনের ব্যাপারটা জানতেন?

—জানতাম। কিন্তু বুঝতে পারিনি কি করে মালঞ্চ পেথিডিন জোগাড় করত—

—শুনলে আপনি হয়তো অবাক হবেন মিঃ ঘোষাল, কিরীটী বলল, আমার ধারণা আপনার ঐ বন্ধু ডাক্তার সমীর রায়ই তাকে পেথিডিন সাপ্লাই করতেন।

-না না, মিঃ রায়, এ আপনি কি বলছেন! অ্যাবসার্ড! আমি জানি ডাঃ রায় ওকে পেথিডিনের অভ্যাস ছাড়াবার জন্যে সর্বদাই চেষ্টা করতেন, ওকে বকাঝকা করতেন–

–আবার গোপনে তিনিই পেথিডিন জোগাড় করে দিতেন মালঞ্চকে। কারণ ডাঃ সমীর রায়ের মালঞ্চকে প্রয়োজন ছিল।

—কি বলছেন আপনি।

–ঠিকই বলছি, যদিও আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না। কিন্তু ঐ পেথিডিন রহস্যের চাইতেও বড় রহস্য আপনার অজ্ঞাতে ঐ হিন্দুস্থান রোডের বাড়িতেই দানা বেঁধে উঠেছিল।

বড় রহস্য!–হ্যাঁ, চোরাকারবার–হ্যাসিসের চোরাকারবার।–না না, তা কখনই হতে পারে না কিরীটীবাবু।

–ঐ হিন্দুস্থান রোডের নীচের একটা ঘর সর্বদা তালা দেওয়া থাকত, আপনার নজরে পড়েনি? কিরীটীর প্রশ্ন।

–-পড়েছে। কিন্তু আমি ভেবেছি এমনিতেই বুঝি তালা দেওয়া থাকে ঘরটায়।

—সেই ঘরেই একটা দেওয়াল-আলমারির মধ্যে থাকত চোরাই মাল। ঐখানেই এসে জমা হত, তারপর ওখান থেকেই পাচার হত তার উদ্দিষ্ট পথে।

–মালঞ্চ ঐসব করত?

–একা মেয়েমানুষ কি তা করতে পারে, না তাই সম্ভব! ঐ দলে আরো কে কে আছে জানি না, তবে তাদের মধ্যে দুজনকে আমরা জানতে পেরেছি। তারা হলেন দীপ্তেন ভৌমিক আর শ্রীমতী ডলি দত্ত। আর বাদবাকী যারা আছে এখনো তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

-তাই–তাই ইদানীং টাকার কথা কখনো বলত না মালঞ্চ, আমি ভেবেছি দীপ্তেন ভৌমিক ওকে টাকা দিচ্ছে দুহাতে। উঃ, এখন মনে হচ্ছে আমিই যদি ওকে খুন করতে পারতাম—

 

জেলহাজত থেকে একসময় বের হয়ে এলেন কিরীটী ও চট্টরাজ। এবং চট্টরাজের গাড়িতেই লালবাজারে যেতে যেতে কিরীটী বললে, বর্তমান হত্যা মামলার একটা জটিল পয়েন্টের সমাধান আজ পেয়ে গিয়েছি মিঃ চট্টরাজ।

–কি করে সমাধান হল? চট্টরাজ শুধালেন।

–ঐ ড়ুপলিকেট চাবি।

—যেটা হারিয়েছেন ঘোষাল?

—হারায়নি। তবে?

—সেটা চুরি গিয়েছে।

—কে চুরি করেছে? মালঞ্চ?

–হ্যাঁ। এক ফাঁকে সুরজিৎ ঘোষালের পকেট থেকে মালঞ্চই সরিয়ে ফেলেছিল চাবিটা। কিন্তু বেচারী ভাবতেও পারেনি যে ঐ চাবিই শেষ পর্যন্ত হবে তার মৃত্যুবাণ।

–তাহলে কি মিঃ রায়–

-হ্যাঁ মিঃ চট্টরাজ, ঐ চাবির সাহায্যেই হত্যাকারী সেরাত্রে কোন এক সময়ে মালঞ্চর ঘরে ঢুকে তার কাজ শেষ করে বের হয়ে এসেছিল সকলের অলক্ষ্যে—যখন সম্ভবত সে পেথিডিনের নেশায় বুদ হয়ে ছিল—

–সত্যি বলছেন!

-হ্যাঁ। আমার অনুমান যদি মিথ্যা না হয় তত সাড়ে এগারোটা থেকে পোঁনে বারোটার মধ্যে কোন এক সময় ব্যাপারটা ঘটেছিল। মালঞ্চ নিশ্চিন্ত ছিল সুরজিৎ ঘোষালের পকেট থেকে চাবিটা হাতিয়ে নিয়ে, কিন্তু সে বুঝতে পারেনি যে, যে নাগরের হাতে সে চাবিটা তুলে দিয়েছিল সে সেই চাবির সাহায্যেই তার ঘরে ঢুকে তার গলায় মৃত্যু ফাঁস দেবে। চলুন মিঃ চট্টরাজ, একবার হিন্দুস্থান রোডের বাড়িটা হয়ে যাওয়া যাক। সুশান্ত মল্লিককে কয়েকটা প্রশ্ন করব।

 

চট্টরাজকে নিয়ে কিরীটী যখন হিন্দুস্থান রোডের বাড়িতে পৌঁছাল তখন সুশান্ত মল্লিক তার ঘরেই খাটের উপর বসে একা একা নিশ্চিন্ত মনে সিগ্রেট টানছিল। ওদের দুজনকে ঘরে ঢুকতে দেখে উঠে দাঁড়াল।

–বসুন, বসুন সুশান্তবাবু, আপনার কাছ থেকে একটা জিনিস নিতে এসেছি।

—জিনিস! কি জিনিস?

—এই বাড়ির সদরের আর মালঞ্চর ঘরের দরজার ড়ুপলিকেট চাবি দুটো?

–ড়ুপলিকেট চাবি?

–হ্যাঁ, যেটা মালঞ্চ হাতিয়েছিল সুরজিৎ ঘোষালের পকেট থেকে, তারপর চোরের ওপর বাটপাড়ি করে তার কাছ থেকে আপনি যেটা হাতিয়েছিলেন?

–কি বলছেন কিরীটীবাবু! আমি সে চাবির সম্পর্কে কিছুই জানি না।

—অস্বীকার করে কোন লাভ নেই সুশান্তবাবু, আমি জানি সে চাবি আপনিই হাতিয়েছিলেন কোন এক সময়–

–বিশ্বাস করুন, সত্যিই সে চাবি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।

কিরীটী উঠে দাঁড়াল-চলুন মিঃ চট্টরাজ। তারপর একটু এগিয়েই কিরীটী ফিরে দাঁড়াল, হ্যাঁ  একটা কথা সুশান্তবাবু, মিঃ চট্টরাজ কিন্তু জানতে পেরেছেন মালঞ্চর হত্যাকারী কে?

—কে? কে মালঞ্চর হত্যা করেছে?

—আপনি তো জানেন।

—আমি জানি!

-হ্যাঁ, আপনি জানেন সুশান্তবাবু, কিরীটীর গলার স্বর গম্ভীর। আপনি বলতে চান সেরাত্রে আপনি তাকে দেখেননি?

—আমি দেখব কি করে, আমি তো সে-সময় এ বাড়ির ত্রিসীমানাতেও ছিলাম না।

–You are telling lie—আপনি মিথ্যা কথা বলছেন সুশান্তবাবু, আপনি ঐ সময়টা এই বাড়িরই আশেপাশে বা বাড়ির মধ্যেই কোথাও ছিলেন, নচেৎ আপনি। জানলেন কি করে যে মালঞ্চকে হত্যা করা হয়েছে? সে আর সাড়া দেবে না?

-বিশ্বাস করুন, আমি তাকে হত্যা করিনি।

-তবে সেরাত্রে আপনি কেন ঘোরানো সিঁড়িপথে চোরের মত মালঞ্চর ঘরে ঢুকেছিলেন?

—হ্যাঁ  আমি গিয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু she was dead at that timeshe was dead.

–সেরাত্রে চোরের মত কেন এসেছিলেন এ বাড়িতে?

—সেদিন তাঁকে আমি দুপুরে ফোন করেছিলাম, বলেছিলাম তার প্রস্তাবেই আমি রাজি, আপাতত দশ হাজার টাকা পেলে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে প্রস্তুত আছি। সে বলেছিল রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ এসে টাকাটা নিয়ে যেতে। আর ওই পিছনের সিঁড়ি দিয়েই ওপরের ঘরে গিয়ে সে টাকা নিয়ে আসতে বলেছিল আমায়। কিন্তু ঘরে ঢুকে যখন দেখলাম সে মৃত, তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তখন আমি সঙ্গে সঙ্গে পালাই

—হুঁ। তাহলে আপনিও সেরাত্রে তাকে ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় দেখেছিলেন?

–হ্যাঁ।

—মিঃ চট্টরাজ, ওঁকে অ্যারেস্ট করুন, কিরীটী গম্ভীর গলায় বললে।

–বিশ্বাস করুন, আমি সত্যি বলছি, মলিকে আমি খুন করিনি-খুন করিনি। কান্নায় ভেঙে পড়ল সুশান্ত মল্লিক।