০৬. অন্তর্দৃষ্টি

অন্তর্দৃষ্টি

ড. ইশতিয়াকের ক্লিনিকে বিকেল থেকেই রোগীদের বেশ ভিড় জমে ওঠে। দূর-দূরান্ত থেকে আসে চোখের রোগীরা। সার বেঁধে বসে অপেক্ষা করতে থাকে। একে অন্যের খোঁজ নেয়। অপেক্ষার ক্লান্তিকর সময় কাটাতে চায়।

এটা তো সবাই জানে যে ড. ইশতিয়াক একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক। খুব নামডাক তার।

ঠিকই। শুনেছি তার চিকিৎসার গুণে নাকি অন্ধ মানুষও দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায় ।

ওপাশ থেকে বলে একজন।

কেমন করে বুঝলে যে আমি অন্ধ?

পেরেছি। তোমার নীল স্বচ্ছ দুটো চোখ আমাকে কোনোরকম বিভ্রান্ত করতে পারেনি। তোমার দুটি চোখেরই তারা স্থির হয়ে আছে। এছাড়া আমার ডান হাতের আঙুলগুলো তোমার নাকের সামনে দিয়ে এর মধ্যে বেশ কয়েকবার ঘুরিয়ে নিয়েছি। একবারও টের পাওনি তুমি । তখনই বুঝেছি তুমি অন্ধ।

অন্ধ লোকটি মাথা নিচু করে বসে আছে। তার ভঙ্গিটা কেমন করুণ। অসহায়ের মতো লাগছে।

ঠিকই। আমি অন্ধ । অবশ্য কেউ তেমন বুঝতে পারে না। আমিও যেন এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এছাড়া কি জাননা, বাতাসের প্রবাহ অনুভব করা যায়। তার জন্যে দৃষ্টিশক্তির প্রয়োজন নেই। আগুনের তাপের আঁচ বোঝা যায়। তার জন্যেও কিন্তু দেখার কোনো ব্যাপার নেই।

অপেক্ষমান রোগীদের কারো চোখে কালো চশমা। কারো চোখ ব্যান্ডেজে বাঁধা। অন্ধ মানুষটির আরও একটু কাছে সরে আসে লোকটি।

তুমি বুঝি সম্প্রতি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছ। কী করে এমন হলো?

অন্ধ মানুষটি একটু যেন অবাক হয়। লোকটি তাকে এত কথা জিজ্ঞেস করছে কেন?

তুমি আমার কথা এত ভাবছ কেন?

ভাবছি বিশেষ একটি কারণে। যারা জন্ম থেকেই অন্ধ তাদের সঙ্গে তোমার অনুভবের জগতে বিরাট এক পার্থক্য রয়েছে। আমার মনে হচ্ছে তোমার অপটিক স্নায়ু একেবারে অকেজো হয়ে গেছে। | সেটা আমার দুর্ভাগ্য। পৃথিবীতে কোনো মানুষের জীবনে দুর্ভাগ্য এভাবে ছাপ রেখে যায়। এই যেমন আমার বেলায় ঘটেছে। এতে কিছুই করার নেই।

এমন করে ভাবছ কেন?

পেশায় আমি ছিলাম একজন ইলেকট্রিশিয়ান। কাজ করতাম একটা বড় কোম্পানিতে। ওদের ওখানে নানা ধরনের গবেষণা হতো। সেখানে এক নতুন ধরনের অতি বেগুনি রশ্মির বাতির কাছেই আমার কাজ ছিল।

আমারও যেন সে রকম মনে হচ্ছিল।

লোকটি একবার অন্ধ লোকটির কাছে বসে অন্তরঙ্গ হতে চাইল।

একটা কথা বলি, তুমি কেন ড. ইশতিয়াকের কাছে না এসে অন্য কোথাও চোখ দুটোকে দেখাচ্ছ না। আমার মনে হয় না এখানে তোমার কোনো উপযুক্ত চিকিৎসা হবে। ড. ইশতিয়াক কিন্তু খুব লোভী। তোমার কাছ থেকে শুধু বেশি করে পয়সাকড়ি নিংড়ে নেবে। তারপর শেষবেলায় বলবে দুঃখিত। আমি কিছুই করতে পারলাম না।

বুঝতে পেরেছি। তুমি নিশ্চয়ই অন্য কোনো ডাক্তারের দালাল। ঠিক কিনা?

ঠিক। আমি ড, আরেফিনের দালাল। আর আমিই হলাম গিয়ে সেই ডাক্তার আরেফিন। নিজের পক্ষে নিজেই সাফাই গাইছি।

আশ্চর্য!

তোমার নাম কী?

শাহনূর।

তুমি নিশ্চয়ই আমার সম্পর্কে এতক্ষণে খারাপ ধারণা পোষণ করেছ। ভাবছ কী রকমের গায়েপড়া স্বভাবের লোক আমি একটা।

আমি যদি কোনো কিছু ভেবেও থাকি তো জেনে তোমার লাভ কী?

বলতে চাই তোমার ধারণায় বেশ ভুল রয়েছে।

আমার ভাবনায় ভুল থাকলে তোমার তাতে কী?

অন্ধ লোকটি এবার খানিক উত্তেজিত হয়ে ওঠে।

দেখো শাহনূর, আমি সম্পূর্ণ অন্য এক ধরনের চিকিৎসক। বাকিদের চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে আমার কিন্তু কোনো মিল নেই।

যেমন।

আমার রয়েছে একটি আধুনিক পরীক্ষাগার। সেখানে সবসময় গবেষণার কাজ করি। অনেক রকমের পরিকল্পনা রয়েছে আমার। কে জানি তোমার চোখের ব্যাপারে আমি একটু বেশিমাত্রায় কৌতূহলী হয়েছি।

শাহনূর এবার দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

আমি কিন্তু নিজের আশা একদম ছেড়ে দিয়েছি। আজকাল আমার আতঙ্কের মাত্রা বাড়ছে। আমার ওই দুর্ঘটনার কথা অনেকেরই জানা। পত্রিকায় খবর বেরিয়েছিল। কোম্পানি অবশ্য ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল। কিন্তু ভাবছি ভালো হতে পারব কি?

আর কতদিন এখানে আসবে?

ড. ইশতিয়াকের দেয়া হিসেব মতো আরও তিন মাস।

এরপর?

শাহনূরের কপালে ভাঁজ পড়ে। তাকে বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছে।

ভবিষ্যতের কথা কে বলতে পারে?

সে সময় ডাক পড়ে শাহনূরের। নার্সের সঙ্গে সে ড. ইশতিয়াকের কক্ষের দিকে এগিয়ে যায়। ড, আরেফিন সামনের টেবিল থেকে একটি মলিন পত্রিকা তুলে পাতা উল্টাতে থাকে।

কিছুক্ষণ পর শাহনূর বেরিয়ে এলো। তাকে কিছুটা যেন উত্তেজিত দেখাচ্ছে। ড, আরেফিন উঠে তার সামনে গেল ।

কী বললেন তোমাদের ডক্টর। দৃষ্টিশক্তি এবার ফিরে পাওয়া যাবে?

সে রকমই আশ্বাস তো দিলেন।

ড. আরেফিন মন্তব্য করে, তাহলে ড. ইশতিয়াকের চিকিৎসায় তোমার চোখ ভালো হবে। নতুন করে আবার ফিরে পাবে দৃষ্টি। তবে সে দৃষ্টি কিন্তু দেখার হবে না। হবে অনুভবের। তোমাকে একটা কথা স্পষ্ট বলি। তোমার দৃষ্টিশক্তি আমি ফিরিয়ে দেব। কিন্তু তার আগে যে তোমাকে আমার জন্যে সামান্য কিছু করতে হবে ।

কী করতে হবে আমাকে? শাহনূরের কণ্ঠে চাপা উৎকণ্ঠা। তার কাছে কী চাইছেন ভদ্রলোক?

তেমনি কিছু চাইব না আমি। শুধু তোমার চোখ দুটোকে আমার গবেষণাগারে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখব। আমি তোমাকে অন্ধকার থেকে আলোর পৃথিবীতে ফিরে আসার সন্ধান দেব।

আমার বিশ্বাস হয় না। আমি কি আবার আলো আর অন্ধকারের পার্থক্যটা বুঝতে পারব?

পারবে। আর আমিই সেটা করে দেব।

শাহনূরকে নিয়ে ড, আরেফিন তার গাড়িতে উঠলেন। শাহনূরকে নামিয়ে দিলেন তার বাড়িতে। নামার সময় নিজের একটি কার্ড দিয়ে বললেন, আমার ঠিকানা রইল। আশা করি তিন মাস পর আমাদের আবার দেখা হবে।

আমিও আশা করছি হবে। তবে তোমার গবেষণাগারে নয় । তোমার ড্রইংরুমে। দেখতে যাব। এ কথা বলতে যাব যে ডক্টর ইশতিয়াক আমাকে মিথ্যে আশ্বাস দেয়নি।

শুধু আশ্বাসে কোনো কিছু হয় না। চাই আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যা। আবার আমাদের দেখা হবে। অন্ধ শাহনূর হাতড়াতে হাতড়াতে শূন্য বারান্দা পেরিয়ে গেল। গাছের পাতা কাঁপিয়ে শেষ শরতের বাতাস বয়ে যাচ্ছে। এ রকম চমৎকার আবহাওয়াতে মানুষের মন অকারণে ভালো হয়ে ওঠে।

নিজের মনের সঙ্গে অনেক বোঝাপড়া করল শাহনূর। তারপর মন স্থির করে গাড়িতে উঠল। ড্রাইভারকে কার্ডটা দেখিয়ে বলল সে ঠিকানায় নিয়ে যেতে।

গাড়ি শাহনূরকে পৌঁছে দিল ড, আরেফিনের চেম্বারে। নেমে এলো শাহনূর। তার নাকে এসে লাগল ওষুধের ঝাঁঝাল গন্ধ। ড. আরেফিন বেরিয়ে এলেন।

শেষপর্যন্ত আমার এখানে তাহলে তোমাকে আসতে হলো শাহনূর।

শাহনূর চুপ করে আছে। তাকে বিষন্ন, ক্লান্ত মনে হচ্ছে। ড. আরেফিন এগিয়ে এসে শাহনূরের কাঁধে হাত রাখলেন।

এতে মন খারাপ করার কিছু নেই। আমি একটি নতুন ধরনের বিদ্যা উদ্ভাবন করেছি। সেটা প্রয়োগ করব। তোমার চোখে অপারেশন করব। ব্যাপারটা অবশ্য বড় ঝুঁকিপূর্ণ। সবকিছু যদি ঠিকমতো হয়, তুমি যদিও সেই অন্ধ রয়ে যাবে আগের মতো কিন্তু তোমার মাঝে আসবে ভয়ানক এক পরিবর্তন।

মানে? তুমি কী বলছ ডাক্তার?

তুমিই তখন হবে পৃথিবীর সেই প্রথম মানুষ, এমনভাবে দেখতে পাবে যে সব জিনিস যা এই পৃথিবীর কোনো চোখ আগে এখনও দেখেনি। দেখা সম্ভবপর হয়নি। এরপর তোমার সাধারণ দৃষ্টিশক্তিও ফিরিয়ে দেব।

তুমি কি ভাবছ আমি তোমার শর্তে রাজি হয়ে এসেছি?

নিশ্চয়ই। কারণ এছাড়া তোমার আর কোনো পথ নেই। তুমি তো নিশ্চয়ই অন্ধ ভিখিরি হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে না। মানুষের করুণার পাত্র হয়ে থাকবে না।

শাহনূরের ভেতরে চাপা ক্রোধের একটা স্রোত বয়ে গেল। নিজেকে কোনোমতে সংবরণ করল।

তোমার অপারেশন সার্থক হলে আমার কী হবে?

ড, আরেফিনের কণ্ঠে তখন আবেগ।

তুমি এমন এক বিশেষ দৃষ্টিশক্তি লাভ করবে যার ফলে দেখতে পাবে তড়িৎশক্তি। বেতার তরঙ্গ। চৌম্বক ক্ষেত্র। আরও দেখতে পাবে ইলেকট্রনের কাপন। বিজ্ঞানের জন্যে এক বিস্ময় অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? সবই কিন্তু সম্ভব হবে। আমি ছোট একটা যন্ত্র বানিয়েছি। একটা ইলেকট্রোস্কোপ। এ দিয়ে বৈদ্যুতিক শক্তির অস্তিত্ব ও প্রকৃতি নির্ণয় করা যায়। ওই যন্ত্র থেকে দুটো রুপোর তার বেরিয়ে এসেছে। খুব সূক্ষ্ম তার। খালি চোখে দেখা যায় না। অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখতে হবে। ওই তার দুটি চোখের স্নায়ুর সঙ্গে বা মস্তিষ্কের যে অংশের সঙ্গে দর্শনেন্দ্রিয়ের যোগ রয়েছে ঠিক সে স্থানে সংযোগ করে দেয়া হবে। ঐভাবে জুড়ে দিতে পারলেই ওই যন্ত্রের মধ্যে প্রবাহিত খুবই উচ্চ মাপের বৈদ্যুতিক শক্তি মস্তিষ্কের ওই দর্শন সংক্রান্ত অংশে আলোড়ন তোলে। এর ফলে সেই মানুষ অদ্ভুত এক দৃষ্টিশক্তি পাবে।

এতক্ষণ বিস্মিত হয়ে ড, আরেফিনের কথাগুলো শুনছিল শাহনূর। কী বলছে এসব? শাহনূরের মনে তখন রোমাঞ্চকর অনুভূতি। ড. আরেফিনের কথাগুলো তাকে যথেষ্ট আলোড়িত করেছে। তার ভেতরে জাগছে নতুন একটি চেতনা। এতদিন ধরে নিজের জীবনটাকে অর্থহীন বলে মনে হচ্ছিল। কোথাও যেন আনন্দের কোনো স্পর্শ নেই। উত্তেজনার খোরাক নেই। উদ্দীপিত হবার মতো প্রেরণা নেই। এখন তার মাঝে সঞ্চারিত হচ্ছে অস্থিরতা। শাহনূরের কণ্ঠে প্রত্যয়।

আমি এতে রাজি। নতুন করে হারাবার মতো আমার আর কিছু নেই। তাই ভাবছি ঝুঁকি একটা নেব। আমি অপারেশনের জন্যে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

খুশি হলাম। কে জানে হয়তো পৃথিবীর মধ্যে তুমিই হবে এমন একজন প্রথম মানুষ যে পেয়ে যাবে অদ্ভুত ধরনের এক দৃষ্টিশক্তি।

শাহনূরকে তখন নিয়ে যাওয়া হলো ড. আরেফিনের বিশেষভাবে তৈরি অপারেশন থিয়েটারে। শাহনূরকে শোয়ানো হলো বিছানায়। ধপধপে শাদা দেয়াল। তীব্র আলো জ্বলে ওঠে। ড. আরেফিন একাগ্রচিত্তে অপারেশন করছেন।

দিন কয়েক পর।

শাহনূরের চোখে মাথায় মোটা ব্যান্ডেজ। পাশের চেয়ারে চিন্তিত মুখে ড, আরেফিন বসে। তাকে খানিকটা অস্থির দেখাচ্ছে। একটু আগে পায়চারি করছিল। শাহনূর বিছানায় উঠে বসে।

আমার যেন মনে হচ্ছে আমি একটা কিছু দেখতে পাচ্ছি।

উত্তেজনায় লাফ দিয়ে উঠল ড, আরেফিন। ব্যগ্র কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে, কী, কী দেখতে পাচ্ছ?

ড, আরেফিন উত্তর শোনার জন্যে তখন আকুল।

আমি দেখতে পাচ্ছি কালো অন্ধকারের পর্দাটি সরে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। আমার মনে হচ্ছে অন্ধকারটা বুঝি জীবন্ত হয়ে উঠেছে। অন্ধকার ভেদ করে ফুটে উঠছে আলোর রেখা। কাঁপছে রেখাগুলো। ওই তো ওরা যাচ্ছে। আলো আস্তে আস্তে আবার কুয়াশা হয়ে মিলিয়ে যাচেছ।

প্রবল উত্তেজনায় তখন ডক্টর আরেফিন চিৎকার করে উঠল। কী রঙ?

সাদা । না, কিছুটা নীল। বিন্দু বিন্দু আলো। একবার দেখা যাচ্ছে আবার মিলিয়ে যাচ্ছে। তরঙ্গের মতো নির্দিষ্ট পর্যায়ে আসছে। আলোর তরঙ্গ আসা যাওয়া করছে। না, এখন আর কোনোরকম অন্ধকার নেই। আলোর সব উৎসমুখ যেন খুলে গেছে। কত রকমের আলো। লাল, নীল, সবুজ, বেগুনি। রঙের চাকা যেন ঘুরছে।

শাহনূরের ভেতরে তখন নতুন এক ভুবনের জন্ম হচ্ছে।

এর কয়েক দিন পর ।

শাহনূর এলো ড. আরেফিনের বাড়িতে। ড. আরেফিন তাকে হাসিমুখে নিয়ে ড্রইংরুমে বসল। বাগানে উজ্জ্বল ফুলের সমারহো। পাখিরা ঝাকবেঁধে উড়ছে। চারদিকে প্রসন্নতা।

তুমি ভালো আছ তো শাহনূর? তোমার জন্যে একটা সুখবর। তোমার কোম্পানির সঙ্গে কথা বলেছি। ওরা তোমাকে আবার চাকরিতে ফিরিয়ে নেবে।

ড, আরেফিনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রাস্তায় নেমে এলো শাহনূর। একদল ছেলেমেয়ে কলকল করতে করতে পাশ দিয়ে চলে গেল। বাগানে ঝিলমিল করছে অজস্র রঙিন প্রজাপতি। বছরের এ সময়টায় দূরের পাহাড়ি বন থেকে প্রচুর প্রজাপতি এ শহরে আসে। শহরটি তখন ঝলমলে হয়ে ওঠে। শাহনূর আবার চাকরিটি ফিরে পাবে। কাটবে দুঃখের দিন। তখন শাহনূরের চোখের কোণা চিকচিক করছে আনন্দের অশ্রুতে। এই অশ্রুবিন্দু যেন তার ভেতরের সব অন্ধকার দূর করে দিয়ে তাকে স্বচ্ছ আলোময় এক পৃথিবীতে নিয়ে গেছে। যেখানে কোনো রকমের মলিনতা নেই।

আলেক্সান্দার বেলায়েভ-এর কাহিনির ছায়া অবলম্বনে

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *