• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • নতুন সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • পুরানো সব ক্যাটাগরি
  • My Account →
  • নতুন সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • পুরানো সব ক্যাটাগরি
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

০৯. বাগানে ঝিঁঝিঁ ডাকছিল

লাইব্রেরি » সমরেশ মজুমদার » অর্জুন সমগ্র - সমরেশ মজুমদার » কালাপাহাড় (অর্জুন সিরিজ) (১৯৯২) » ০৯. বাগানে ঝিঁঝিঁ ডাকছিল

এই ভর সন্ধেতেই বাগানে ঝিঁঝিঁ ডাকছিল। এ ছাড়া আর কোনও শব্দ নেই। এক বুক নির্জনতা নিয়ে বাংলোটা স্থির হয়েছে গায়ে আলো মেখে, যার সিঁড়িতে পড়ে আছে একটি মানুষ। মৃত। অর্জুন স্থির হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

গেটের ওপাশে দাঁড়িয়ে মেজর গলা তুলে জিজ্ঞেস করলেন, কী হল? তুমি দাঁড়িয়ে কেন? বেল-টেল বাজিয়ে কাউকে ডাকো!

গেট পর্যন্ত দূরত্ব অনেকখানি। মৃতদেহ পড়ে থাকার খবরটা দিতে হলে সেখানে ফিরে যেতে হয়। অবশ্যই এতে নার্ভাস হবে। অর্জুন হাত তুলে ইশারায় তাঁকে থামতে বলে এগিয়ে গেল। মৃতদেহের বেশ খানিকটা দূর দিয়ে সিঁড়ির ওপর উঠে আবার ফিরে তাকাল। অন্তত ঘণ্টা চারেক আগে খুন হয়েছে লোকটা। শরীর থেকে বেরনো রক্তের ধারায় ইতিমধ্যে মাছি জাতীয় পোপাকামাকড় এসে বসেছে। লোকটার পরনের পোশাক বলে দিচ্ছে মিসেস মমতা দত্তের এই বাড়ির পাহারাদার ছিল সে। এখন মৃতদেহ পরীক্ষা করার সময় নয়। যদিও রক্ত এখন চাপ বেঁধে গেছে তবুও খুনি যে এ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে না-ও হতে পারে। সেক্ষেত্রে এখানে দাঁড়িয়ে থাকা মানে তার নিজেরও বিপদ। ভেতরে ঢোকার দরজাটা খোলা। সেখানেও আলো জ্বলছে।

এই ব্যাপারটা একটু আশ্চর্যজনক। এখন যে সময়, তাতে ঘণ্টা-চারেক আগে তো রীতিমত দিনের আলো থাকার কথা। সেইসময় যদি খুন হয়ে থাকে তা হলে সন্ধের পর এবাড়ির আলো জ্বালল কে? মিসেস দত্ত বাড়িতে থাকলে তিনি নিশ্চয়ই এই খুনের কথা পুলিশকে জানাবার চেষ্টা করতেন। তা হলে কি মিসেস দত্তকেও খুন করে গিয়েছে আততায়ী? অর্জুনের কেমন শীত শীত করছিল আচমকাই। কিন্তু মিসেস দত্ত সত্যি খুন হয়েছেন কি না তা না জেনে ফিরে যাওয়ার কোনও মানে হয় না। সে দরজা পেরিয়ে ভেতরে ঢুকল! ঘরটি ড্রইং রুম নয়, বোধহয় মালিকের সঙ্গে যেসব মানুষ আচমকা দেখা করতে আসতেন, তাঁদের এখানেই অপেক্ষা করতে হত। এ-ঘরেও আলো জ্বলছে। অর্জুন গলা তুলল বাংলোয় কেউ আছেন?

আওয়াজটা এত জোরে ছিল যে, বাংলায় কোনও লোক থাকলে সাড়া না দিয়ে পারবে না। অর্জুনের অস্বস্তি হচ্ছিল। তার মনে হচ্ছিল কেউ কিংবা কারা তাকে আড়াল থেকে লক্ষ করে যাচ্ছে। হঠাৎ পেছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লে কিছু করার থাকবে না। এমন নিরস্ত্র অবস্থায় আর এগোনো ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারছিল না সে।

কিন্তু কোথাও কোনও শব্দ হল না। এবার অর্জুনের মনে হল আততায়ী মৃতদেহ সাজিয়ে রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে পারে না। খুনি যত শক্তিশালী হোক না কেন, খুন করার পর নিজের নিরাপত্তার কথা সে নিশ্চয়ই চিন্তা করবে। ব্যাপারটা এইভাবে ভাবতে পেরে অর্জুনের বেশ ভাল লাগল। সে দ্বিতীয় ঘরটিতে প্রবেশ করল। এটিকে সুন্দর ছিমছাম ড্রইংরুম বলা যায়। সোফা থেকে শুরু করে অন্যান্য আসবাবে রুচির ছাপ আছে। যদিও দেওয়ালে ঝোলানো হরিণের জোড়া শিং এবং বাঘের মুণ্ডসমেত ছাল চোখে বড্ড লাগছিল। এই ঘরটি দেখলে মনেই হবে না বাড়িতে কোনও মারাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে।

পাশের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠল অর্জুন। চা বাগানের মালিক এবং ম্যানেজাররা যে যথেষ্ট আরামে বাস করেন তা এইসব বাংলোয় এলে বোঝা যায়। পায়ের তলার কার্পেট পুরনো হলেও যথেষ্ট নরম। সিঁড়ির ওপরও আলো জ্বলছিল। প্রথম শোওয়ার ঘরে কেউ নেই। দ্বিতীয়টি লণ্ডভণ্ড। বিছানার চাদর থেকে টেবিল-চেয়ার কিছুই স্বস্থানে নেই। অর্থাৎ এখানে ঝামেলাটা হয়েছিল। সেটা কার সঙ্গে? লাগোয়া বাথরুমের দরজাটাও খোলা। উঁকি মেরে দেখে গেল ঘরটা ফাঁকা।

তিন-তিনটে ঘর এই বাংলোর ওপরতলায়। দেখা হলে অর্জুনের স্পষ্ট ধারণা হল মিসেস দত্ত এ বাংলো থেকে আগেই বেবিয়ে গিয়েছিলেন, নয়তো আততায়ীরা তাঁকে জোর করে ধরে নিয়ে গেছে। সম্ভবত সেই সময় দরোয়ানটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিল এবং তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। আশ্চর্য ব্যাপার, আততায়ীদের পরিচয় পাওয়ার মতো কোনও চিহ্নই দেখা যাচ্ছে না।

অর্জুন নীচে নেমে এল এবং তখনই টেলিফোনের কথা মাথায় এল। ওপরেও দুটো রিসিভার দেখেছে সে। নীচে সিঁড়ির গায়ে আর একটি। রিসিভার তুলেই বুঝতে পারল লাইন কেটে রাখা হয়েছে। এ বাড়ির সঙ্গে বাইরের সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

ঠিক তখনই বাইরে মোটর বাইকের হর্ন বেজে উঠল। একটানা কয়েকবার। নিশ্চয়ই তার দেরি দেখে অধৈর্য হয়ে মেজর বাইকের হর্ন বাজাচ্ছেন। অর্জুন ধীরে ধীরে বেরিয়ে এল। দরোয়ানের মৃতদেহের পাশ কাটিয়ে বাগানের মাঝখানের রাস্তা ধরে এগোতেই দেখতে পেল গেটের ওপরে মেজরের পাশে আরও দুটো মানুষ এসে দাঁড়িয়েছে। দুজনের একজন মহিলা।

তাকে দেখতে পেয়েই মেজর চিৎকার করলেন, কী করছিলে ভেতরে? এ-বাংলোয় ডাকাত পড়েছিল। এরা এখানে কাজ করে, ভয়ে পালিয়েছিল।

গেটের কাছে পৌঁছে অর্জুন দুটি মদেশিয়া নারী পুরুষকে দেখতে পেল। পুরুষটির বয়স হয়েছে, নারী মাঝবয়সী। দুজনের চেহারায় ভয় স্পষ্ট। অর্জুন তাদের জিজ্ঞেস করল, এই গেটের চাবি কোথায় তোমরা জান?

মাঝবয়সী নারী বলল, দবোয়ানকো পাশ হ্যায়।

তোমরা কোন দিক দিয়ে বেরিয়েছিলে?

তখন এই গেট খোলা ছিল। নিজের ভাষায় বলল বৃদ্ধ। বাংলোয় তখন কে কে ছিল?

আমরা দুজন, মেমসাব আর দরোয়ান। বৃদ্ধ জবাব দিল। তোমরা পালালে কেন?

এবার নারী জবাব দিল, ওরা আমাদের শাসাল, না পালালে খুন করে ফেলবে। চারজন লোক ছিল। বিরাট চেহারা। মুখে কাপড় বাঁধা। হাতে বন্দুক। দেখে বহুত ভয় লাগল। মেমসাহেব ওপর থেকে বলল, আমার কিছু হবে না, তোরা পালা। তাই জান্ বাঁচাতে আমরা পালিয়েছিলাম।

দরোয়ান কী করছিল?

দুজন মুখ চাওয়াচাওয়ি করল। বৃদ্ধ বলল, নিশ্চয়ই বাংলোয় ছিল। আমি দেখিনি।

এই গেটের চাবি কার কাছে পাওয়া যাবে?

দরোয়ানের কাছে।

অর্জুন মুখ ফিরিয়ে দূরের সিঁড়ির দিকে তাকাল। এখান থেকে অবশ্য দরোয়ানের মৃত শরীর দেখা যাচ্ছে না। এই সময় মেজর জিজ্ঞেস করলেন, গেটটা খোলা যাচ্ছে না? ওরা কেউ নেই? হোয়াট ইজ দিস?

অর্জন জিজ্ঞেস করল, আপনি কি গেট টপকে ভেতরে আসতে পারবেন।

মেজর মুখ তুলে গেটের উচ্চতা দেখলেন, এমন কিছু ব্যাপার নয়। সেবার উগান্ডায় এর চেয়ে উঁচু গাছের ডাল ধরে ঝুলে থাকতে হয়েছিল সারারাত। দেখা যাক। এক-পা এগিয়ে থেমে গেলেন তিনি। বুড়ো আঙুলে পেছনে দাঁড় করানো বাইকটাকে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, চোর-ডাকাতের জায়গায় ওটাকে এভাবে ফেলে যাব?

অর্জুন বুঝল গেট টপকাবার ঝুঁকি মেজর নিতে চাইছেন না। সে মাথা নাড়ল, এটা ঠিক কথা। অবশ্য আপনি ভেতরে এসেই বা কী করতেন? তার চেয়ে বরং চলুন, যাওয়ার পথে থানায় খবরটা দিয়ে যাই। মেজর হাসলেন, বোঝা গেল এই প্রস্তাবে তিনি খুশি।

অর্জুন গেটে পা দিতেই বৃদ্ধ বলে উঠল, মেমসাব নেহি হ্যায়? নারী চেঁচিয়ে উঠল আচমকা, ইয়ে নেহি হো সেকতা। মেমসাব অবশ্যই বাংলোয় আছেন। আমি তালা খুলছি। চল, ভেতরে গিয়ে দেখি। কথাগুলো হিন্দি-ঘেঁষা মাতৃভাষায় বলল।

অর্জুন দেখল নারী মাথার ভেতর আঙুল ঢুকিয়ে একটা কিছু বের করে আনল। তারপর গেটের ফাঁক দিয়ে হাত গলিয়ে তালাটাকে তুলে ধরে ফুটোর মধ্যে সেটাকে ঢুকিয়ে সাবধানে ঘোরাতে লাগল। সম্ভবত মাথার কাঁটা দিয়ে সে তালা খোলার চেষ্টা করছে। এখন ওর চোখে-মুখে যে জেদ তা কেন ডাকাত পড়ার সময় ছিল না, কেন ওরা প্রাণ বাঁচাবার জন্য পালিয়ে গেল তা বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে। মিনিট তিনেকের চেষ্টায় কাজ হল। খোলা তালাটা বৃদ্ধ সযত্নে নিয়ে গেট খুলতে নারী দৌড়ে গেল বাংলোর দিকে। অর্জুন বাধা দেওয়ার আগেই তার চিৎকারে বাগানের গাছপালায় বসা পাখিরা ডানায় শব্দ করে উড়ল। বৃদ্ধ এবং মেজর ছুটে গিয়েছিলেন চিৎকার শুনে। অর্জুন ধীরে পা ফেলে গেট থেকে বেরিয়ে বাইকটাকে ধরল। আর এখানে দাঁড়াবার কোনও মানে হয় না। সে যাঁকে খবরটা দিতে এসেছিল তিনি নেই। দরোয়ান-খুনের খবরটা থানায় পৌঁছে দিয়ে না হয় ভানুদার বাগানে চলে যাবে। ঘড়িতে এখন রাত গড়াচ্ছে।

সে ইঞ্জিনে স্টার্ট দিয়ে হেডলাইট অন করা মাত্র মেজরের বিশাল শরীরটাকে দুহাত তুলে ছুটে আসতে দেখল। মেজর চিৎকার করে তার নাম ধরে ডাকছেন।

মেজর কাছে এসে উত্তেজিত হয়ে বললেন, তুমি তো ডেঞ্জারাস ছেলে। একটা লোক ওখানে খুন হয়ে পড়ে আছে তা এতক্ষণ বলনি?

অর্জুন বলল, গেট বন্ধ ছিল। আপনি শুনলে আরও আপসেট হতেন। চলুন।

চলুন? যাব মানে? মিসেস দত্তকে খুঁজে বের করতে হবে না।

উনি এই বাংলোয় নেই।

না। উনি আছেন। ডাকাতরা কাউকে সঙ্গে নিয়ে যায়নি।

কে বলল একথা?

মেয়েটা বলছে। ও চা বাগানের ভেতরে লুকিয়ে থেকে ডাকাতদের চলে যেতে দেখেছে। বুড়োটা বলছে এই বাংলোর পেছন দিক দিয়ে আর-একটা যাওয়ার পথ আছে।

অর্জুন বাইকটাকে নিশ্চল করে আবার বাংলোর দিকে এগোল। সে যখন জিজ্ঞেস করেছিল তখন বৃদ্ধ কিংবা নারী এসব কথা জানায়নি। তার মনে হয়েছিল খুনটুন করে চলে যাওয়ার সময় ডাকাতরা গেটের ভেতরের দিকে তালা দিয়ে গেছে যাতে কেউ চট করে না ঢুকতে পারে। পেছনের দরজার কথা তার মাথায় আসেনি।

সিঁড়িতে দরোয়ানের মৃতদেহের পাশে ওরা নেই। প্রথম ঘরটিতে বৃদ্ধ একা দাঁড়িয়ে আছে। নারী দৌড়ে ওপাশের একটা ঘর থেকে বের হল। সে চেঁচিয়ে জানাল নীচের তলায় মেমসাহেব নেই। নারী সিঁড়ি ভেঙে ওপরে চলে গেল।

মেজর বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করলেন, পেছনের দরজাটা কোথায়?

বৃদ্ধ একটু নড়েচড়ে উঠল, যেন নিজেকে সামাল দিল। দরোয়ান খুন এবং মেমসাহেব নিখোঁজ হওয়ায় বেচারা খুব মুষড়ে পড়েছে। একতলার কিচেনের পাশ দিয়ে খানিকটা এগোতেই একটা দরজা দেখা গেল। এপাশটায় মালপত্র রাখার ঘর। খোঁজার সময় অর্জুন এদিকে না এলেও একটু আগে নারী এই জায়গাগুলো ভাল করে খুঁজে গেছে।

ওরা বাংলোর পেছনে নেমে এল। এদিকে হয়তো একসময় তরিতরকারির বাগান ছিল। অন্ধকারে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। শুধু কিছুটা ভোলা জমির পরেই যে চা-বাগান শুরু হয়ে গেছে বোঝা গেল। বৃদ্ধ বলল, ওখানে তারের বেড়ার মধ্যে একটা ছোট গেট আছে।

মেজর সেদিকে তাকিয়ে বললেন, একটা ভাল টর্চ থাকলে কিছুটা খোঁজাখুঁজি করা যেত। কী বল অর্জুন?

এই সময় তার কথা শে হওয়ামাত্র দোতলা থেকে একটা আর্ত চিৎকার ছিটকে উঠল। তারপরেই নারী তার নিজস্ব ভাষায় অনর্গল কিছু চেঁচিয়ে বলতে লাগল। শোনামাত্র বৃদ্ধ যেভাবে ছুটে গেল তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যেত না। এক পলকেই তার সব জড়তা উধাও।

দোতলায় পৌঁছে অর্জুন দেখল নারী মিসেস দত্তের শোয়ার ঘরের দেওয়ালে একটা লম্বা টুল লাগাবার চেষ্টা করছে। ওদের দেখামাত্র সে জানাল একটু আগে সিলিং-এর ওপর থেকে একটা গোঙানি ভেসে এসেছে। সে নিশ্চিত, মেমসাব ওখানে আছেন।

মাথার ওপরে কাঠের সিলিং। আপাতদৃষ্টিতে সেখানে ওঠার কোনও রাস্তা নেই। কিন্তু অর্জুন বুঝতে পারল যেদিকে নারী টুল রেখেছে সেইদিকেই সিলিং-এর অংশটি ঠিকঠাক বসেনি। নারীকে সরে আসতে বলে সে টুলের ওপর উঠে সিলিংটায় চাপ দিতে সেটা সরে গেল। সিলিং এবং ছাদের মধ্যে অন্তত চার ফুটের ব্যবধান। দুহাতে ভর দিয়ে শরীরটাকে ওপরে তুলতেই সে ভদ্রমহিলাকে দেখতে পেল। দুহাতে মুখ ঢেকে অদ্ভুত ভঙ্গিতে বসে আছেন। অর্জুন চাপা গলায় ডাকল মিসেস দত্ত, এখন আর কোনও ভয় নেই, আপনি নীচে নেমে আসুন।

ভদ্রমহিলাকে একটু কেঁপে উঠতে দেখা গেল, কিন্তু তিনি দুটো হাত মুখ থেকে সরালেন না। সিলিং-এর ভেতরে তেমনভাবে ঘরের আলো ঢুকছিল না। অর্জুন আবার ডাকল, মিসেস দত্ত, আমি অর্জুন। আপনি আমার কাছে গিয়েছিলেন। মনে পড়ছে? আসুন, ধীরে-ধীরে নীচে নামুন।

ঠিক সেইসময় বাংলোর বাইরে মোটর বাইকের আওয়াজ হল। অর্জুন চমকে উঠে মেজরকে বলল, জানলা দিয়ে দেখুন তো আমাদের বাইকটা কিনা।

Category: কালাপাহাড় (অর্জুন সিরিজ) (১৯৯২)
পূর্ববর্তী:
« ০৮. লাল বাইকটা ছুটে যাচ্ছিল
পরবর্তী:
১০. মেজর চিৎকার করতে করতে »

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বাংলা লাইব্রেরি : উল্লেখযোগ্য বিভাগসমূহ

লেখক ও রচনা

অনুবাদ সাহিত্য

সেবা প্রকাশনী

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

কোরআন

হাদিস

ত্রিপিটক

মহাভারত

রামায়ণ

পুরাণ

গীতা

বাইবেল

বিবিধ রচনা

বাংলা ওসিআর

Download Bangla PDF

হেলথ

লাইব্রেরি – ফেসবুক – PDF

top↑