1 of 2

২৯. আমানত, ওয়াদিয়াহ ও আরিয়াহ

অধ্যায় : ২৯ আমানত, ওয়াদিয়াহ ও আরিয়াহ

ধারা—৭০৯

সংজ্ঞা। (ক) “আমানত” হইতেছে এমন একটি মাল যাহা নিম্নবর্ণিতভাবে কোন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে আছে—(১) ভাড়ায় প্রদত্ত মাল বা ধারে প্রদত্ত মাল বা ব্যবহারের জন্য প্রদত্ত মাল এমন চুক্তিমূলে কোন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে প্রদান করা হইয়াছে যে, ঐ মালের ক্ষতি হইলে তত্ত্বাবধায়ক ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবে।

(২) যে মাল দৈব কারণে প্রতিবেশীর আয়ত্বে পড়িয়াছে বা যে মাল মালিকের ইচ্ছা নিরপেক্ষভাবে তত্ত্বাবধায়কের আয়ত্বে গিয়াছে এবং যে মালের তত্ত্বাবধানের জন্য মালের মালিকের সহিত কোন চুক্তি হয় নাই।

(খ) নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য যে মাল উহার মালিক কর্তৃক অপর কোন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে দেওয়া হইয়াছে তাহাকে “ওয়াদিয়াহ” বলে।

(গ) কোন ব্যক্তি কর্তৃক তাহার মালিকানাধীন কোন মালের উপকার ও কল্যাণ বিনা প্রতিদানে অন্যের অধিকারে দেওয়াকে আরিয়াহ” বলে। ইহাকে মুআর এবং মুসতাআরও বলা হয়।

(ঘ) আরিয়াহ প্রদানকে “ইআর” বলা হয় এবং যে ব্যক্তি আরিয়াহ প্রদান করে তাহাকে “মুঈর” বলে।

(ঙ) আরিয়াহ গ্রহণকে ‘ইসতিআর’ এবং যে ব্যক্তি আরিয়াহ গ্রহণ করে তাহাকে “মুস্তাঈর” বলে।

ধারা-৭১০

আমানতের মাল বিনষ্ট হওয়া। আমানতের মাল আমানত গ্রহণকারীর কোন প্রকার কাজের ফলে বিনষ্ট

৪২২

হইয়া আপনা হইতে বিনষ্ট হইয়া গেলে আমানত গ্রহণকারীকে কোনরূপ ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে না।

ব্যাখ্যা। আমানত গ্রহণকারীর কোন তৎপরতা বা ভুল কাজ ছাড়াই যদি আমানতের মাল ধ্বংস বা নষ্ট হইয়া যায় তবে সেজন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া বাধ্যকর নয়।

ধারা-৭১১

কুড়াইয়া পাওয়া বস্তুর আমানত (ক) কেহ যদি রাস্তায় বা অন্য কোন স্থানে কোন বস্তু পায় এবং নিজের সম্পদ হিসাবে তাহা অধিকারে লয়, সেই ক্ষেত্রে ঐ বস্তু ছিনাইয়া লওয়া বস্তু গণ্য হইবে। এই অবস্থায় উক্ত বস্তু গ্রহণকারীর কোন তৎপরতা বা ভুল কাজ ছাড়াই ধ্বংস বা বিনষ্ট হইয়া গেলে সেইজন্য তাহাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে।

(খ) যদি কুড়াইয়া পাওয়া বস্তু তাহার প্রকৃত মালিককে ফেরত দেওয়ার জন্য লওয়া হয় এবং মালিক পরিচিত ব্যক্তি হয় তবে তাহা আমানত বলিয়া গণ্য হইবে এবং তাহার মালিককে ফেরত দিতে হইবে।

(গ) যদি বস্তুটির মালিক কে তাহা জানা না থাকে সেই ক্ষেত্রে তাহা কুড়াইয়া পাওয়া বস্তু (লুকতাহ) বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং আমানত বলিয়া গণ্য হইবে।

(ঘ) কেহ কোন বস্তু কুড়াইয়া পাইলে বস্তুটির প্রকৃত মালিকের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত তাহাকে উহা সম্পর্কে প্রচার করিতে হইবে। কেহ বস্তুটি তাহার বলিয়া প্রমাণ পেশ করিতে পারিলে সেই ব্যক্তির হাতে উহা সমর্পণ করিতে হইবে। কিন্তু বস্তুটির মালিকের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উহা যে ব্যক্তি কুড়াইয়া পাইয়াছে তাহার নিকট আমানত হিসাবে গচ্ছিত থাকিবে।

ধারা—৭১২। কোন বস্তু কাহারও অধিকারে থাকা অবস্থায় বিনষ্ট হইলে (ক) কোন ব্যক্তির মাল অপর ব্যক্তির অধিকারে থাকাকালীন দুর্ঘটনাক্রমে ধ্বংস হইলে, উক্ত মাল যাহার অধিকারে আছে সে যদি মালিকের অনুমতিক্রমে তাহা লইয়া না থাকে, তবে সর্বাবস্থায় তাহাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে।

এসবদ্ধ ইসলামী আইন

৪২৩

(খ) উক্ত মাল যদি মালিকের অনুমতিক্রমে লওয়া হইয়া কে অৰে উজা আমানত হিসাবে বিবেচিত হইবে এবং তত্ত্বাবধায়কে বিনা অহেলায় হজ হইলে উহার ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে না।

বিশ্লেষণ

‘ক’ একটি চীনামাটির তৈজসপত্রের দোকান হইতে দোকান মার্জিাকের অনুমতি ছাড়াই একটি বেসিন হাতে লইয়া দেখিবার সময় তা পড়িয়া আফিয়া গেল। এই ক্ষেত্রে ‘ক’ উহার ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। কিন্তু “ক” যদি মালিকের অনুমতিক্রমে তাহা হাতে লইয়া থাকে এবং দেখিবার সময় দুর্ষটক্রমো আহা মেঝেতে পড়িয়া ভাঙ্গিয়া যায় সেইজন্য তাহাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হইৰে না। উক্ত বেসিন নীচে রক্ষিত কোন বেসিন বা বেসিনসমূহের উপর শাড়ির কালো সেইগুলিও যদি ভাঙ্গিয়া যায় তবে শুধু নীচে রক্ষিত ভাঙ্গা বেসিন বা ৱেসিনালির জন্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে। এই ক্ষেত্রে দেখিবার জন্য হাতে লণ্ডয়া কোর্সটি আমানত বলিয়া গণ্য হইবে এবং তাহার জন্য ‘ক’ কোনরূপ ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য নহে।

ধারা-৭১৩

আমানতের মালের হেফাজত (ক) আমানত গ্রহীতা নিজে কিংবা তাহার পরিবারের সদস্যদের কান্নার আমানতের মাল হেফাজত করিতে পারিবে।

(খ) আমানত গ্রহীতা নিজে কিংবা তাহার পরিবারের সদস্য জারা আমানতের মাল হেফাজত না করিয়া অপর কাহারও উশর হেফাজতের দায়িত্ব অর্পণ করিলে কিংবা কাহারও কাছে পুনঃ আমানত ৰাখিলো এক এই অবস্থায় উক্ত মাল বিনষ্ট হইয়া গেলে সে (শেষোত আমানতদার) ক্ষতি দিতে বাধ্য থাকিবে।

ধারা-৭১৪

আমানত ফেরত চাওয়া আমানতদাতা যদি আমানত গ্রহীতার নিকট তাহার আমানত হিসাবে প্রদত্ত মাল ফেরত চায় এবং ঐ সময় উক্ত মাল ফেরত দিতে সক্ষম হলা

৪২৪

সত্ত্বেও যদি আমানত গ্রহীতা তাহা ফেরত না দেয়, তবে ঐ সময়ের পরে উক্ত মাল বিনষ্ট হইয়া গেলে আমানত গ্রহীতা ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবে।

ধারা-৭১৫

আমানত দুর্ঘটনা কবলিত হইলে আমানত গ্রহীতার বাড়ীতে যদি দৈব-দুর্ঘটনায় আগুন লাগিয়া যায় এবং সেই অবস্থায় আমানতের মাল হেফাজতের জন্য সে তাহা প্রতিবেশীর কাছে হস্তান্তর করে এবং প্রতিবেশীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় উহা ধ্বংস হইয়া যায়, তবে আমানত গ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে না। অনুরূপভাবে আমানতের মাল যদি কোন নৌকা বা জাহাজে রাখা হয় এবং উক্ত নৌকা বা জাহাজ ডুবিয়া যাইতে থাকে এবং সেই ক্ষেত্রে আমানত গ্রহীতা আমানতের মালের হেফাজতের জন্য তাহা অপর কোন নৌকা বা জাহাজে স্থানান্তরিত করে এবং সেখান হইতে তাহা ধ্বংস হইয়া যায় সেই ক্ষেত্রেও তাহাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে না।

তবে শর্ত থাকে যে, এই ক্ষেত্রে আমানতদাতার পক্ষ হইতে আপত্তি উত্থাপিত হইলে আমানত গ্রহীতাকে বাড়ীতে আগুন লাগা, নৌকা বা জাহাজ ডুবিয়া যাওয়া ইত্যাদির সপক্ষে প্রমাণ পেশ করিতে হইবে।

ধারা—৭১৬ আমানতের মাল পুনঃ আমানত, ধার বা রাহন রাখা চুক্তির অবর্তমানে আমানত গ্রহীতা আমানতের মাল অপর কাহারও কাছে আমানত বা রাহন রাখিতে, ধার দিতে কিংবা ভাড়ায় খাটাইতে পারিবে না। এই ধরনের কোন কাজ করিবার ফলে যদি আমানতের মাল নষ্ট হইয়া যায় তবে তাহার ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে।

ধারা—৭১৭

আমানতের মাল খরচ করা আমানত গ্রহীতা যদি আমানতের মালের কিছু অংশ খরচ করে এবং

৪২৫

অবশিষ্টাংশ তাহার অবহেলা বা ত্রুটি ব্যতীত নষ্ট হইয়া যায় তাহা হইলে সে যে পরিমাণ খরচ করিয়াছে শুধু সেই পরিমাণের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবে।

ধারা-৭১৮

আমানতের মাল সংরক্ষণ (ক) আমানতদাতা যদি আমানত গ্রহীতাকে আমানতের মাল তাহার থলির মধ্যে রাখিতে বলে কিন্তু আমানত গ্রহীতা তাহা সিন্দুকের মধ্যে রাখে এবং ঐ অবস্থায় তাহা ধ্বংস বা বিনষ্ট হইয়া যায় তাহা হইলে আমানত গ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে না।

(খ) আমানতদাতা যদি আমানতের মাল সংরক্ষণের জন্য আমানত গ্রহীতাকে কোন স্থান নির্দেশ না করিয়া থাকে বা তাহা বাহিরে লইয়া যাইতে নিষেধ না করিয়া থাকে, বরং শুধু সংরক্ষণ করিবার তাগিদ দিয়া থাকে তাহা হইলে আমানত গ্রহীতা উক্ত মাল সাথে লইয়া সফর করিবার সময় যদি তাহা নষ্ট বা ধ্বংস হইয়া যায়, হারাইয়া যায়, চুরি কিংবা ছিনতাই হইয়া যায় এবং এক্ষেত্রে ভ্রমণের পথ নিরাপদ না হইয়া থাকে তবে আমানত গ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে।

বিশ্লেষণ

মাল সংরক্ষণের জন্য সিন্দুক বা বাক্স থলি বা ব্যাগের চাইতে নিরাপদ স্থান। ‘আমানতদাতা তাহাকে যেখানে মাল সংরক্ষণ করিতে বলিয়াছে আমানত গ্রহীতা তাহার চাইতে উত্তম স্থানে তাহা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করিয়াছে। সুতরাং এই ক্ষেত্রে মাল ধ্বংস হওয়ার কারণে আমানত গ্রহীতা দায়ী হইবে না।

ধারা-৭১৯

আমানতের মাল খাদ্য হইলে আমানতের মাল যদি সাধ্যাতীত পরিমাণ খাদ্য হয় এবং আমানত গ্রহীতা তাহা সাথে লইয়া সফরে রওয়ানা হয় এবং সফরকালে উক্ত মাল নষ্ট হইয়া যায় তবে তাহাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে।

৪ ২৬

ধারা-৭২০

আমানতের মাল ব্যবহার করা আমানত গ্রহীতা যদি আমানতের মাল চুক্তি বহির্ভূতভাবে ব্যবহার করে, যেমন জন্তু হইলে তাহার পিঠে আরোহণ করে এবং কাপড় বা পোশাক হইলে তাহা পরিধান করে, এবং এইভাবে ব্যবহারের সময় তাহা নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে তাহাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে। কিন্তু নষ্ট বা কোন প্রকার ক্ষতি ছাড়াই যদি সে তাহা আমানতদাতাকে বুঝাইয়া দেয় সেই ক্ষেত্রে তাহাকে

ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে না।

ধারা-৭২১

যৌথভাবে আমানত রাখা (ক) দুই ব্যক্তি যদি যৌথভাবে তাহাদের মাল অপর কোন ব্যক্তির কাছে আমানত রাখে এবং পরে তাহাদের কোন একজন উপস্থিত হইয়া তাহার নিজের অংশ ফেরত দিবার জন্য আমানত গ্রহীতার নিকট দাবি করে সেই ক্ষেত্রে অপর আমানতদাতার উপস্থিতি বা সম্মতি ছাড়া তাহা দেওয়া যাইবে না।১৪।

(খ) আমানতদাতা যদি একই বস্তু দুইজনের নিকট আমানত রাখে এবং বস্তুটি যদি এমন হয় যে, তাহা ভাগ করিয়া লওয়া যাইতে পারে, তবে আমানত গ্রহীতা ব্যক্তিদ্বয় তাহা দুই ভাগে ভাগ করিয়া প্রত্যেকে, এক-অর্ধাংশের হেফাজত করিতে পারিবে। কিন্তু বস্তুটি যদি ভাগ করিবার মত

হয় তবে আমানত গ্রহীতাদ্বয়ের যে কোন একজন অপরজনের অনুমতিক্রমে পুরা বস্তুটির হেফাজত করিতে পারিবে।৫

ধারা-৭২২

আমানতের মাল স্ত্রীর নিকট রাখা আমানত গ্রহীতা যদি আমানতের মাল তাহার স্ত্রীর নিকট রাখে এবং এই অবস্থায় মাল নষ্ট হইয়া যায় তাহা হইলে আমানত গ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ

৪২৭

দিতে হইবে নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, মালটি স্ত্রীলোকের নিকট হেফাজত রাখার বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হইতে হইবে। যেমন : গহনা, টাকা-পয়সা, কাপড় ইত্যাদি। কিন্তু মালটি যদি এমন হয় যাহা স্ত্রীলোকের পক্ষে হেফাজত করা সম্ভব নয়, যেমনঃ ঘোড়া, গাধা, উট ইত্যাদি, তাহা হইলে আমানত গ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে।

তথ্য নির্দেশিকা

১. কিতাবুল ফিক্‌হ আলাল মাযাহিবিল আরবাআ, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৪৮-৪৯। ২. ইসলামের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, মাওলানা হিফজুর রহমান, (বাংলা অনুবাদ) ইসলামিক

ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ, ১৯৯২, পৃষ্ঠা ৩২৭। ৩. আল-ফাতাওয়াল হিন্দিয়া, ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৬৩। ৪. হিদায়া, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৫৭। ৫. হিদায়া, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৫৭। ৬. হিদায়া, ৩য় খণ্ড, কিতাবুল ওয়াদিয়াহ, পৃষ্ঠা ২৫৭। ৭. হিদায়া, ৩য় খণ্ড, কিতাবুল ওয়াদিয়াহ, পৃষ্ঠা ২৫৭। ৮. আল-ফাতাওয়াল হিন্দিয়া, ৪র্থ খণ্ড, কিতাবুল ওয়াদিয়াহ, পৃষ্ঠা ৩৩৮। ৯. হিদায়া, ৩য় খণ্ড, কিতাবুল ওয়াদিয়াহ, পৃ. ২৫৮। ১০. আল-ফাতাওয়াল হিন্দিয়া, ৪র্থ খণ্ড, কিতাবুল ওয়াদিয়াহ, পৃষ্ঠা ৩৪১। ১১. আল-ফাতাওয়াল হিন্দিয়া, ৪র্থ খণ্ড, কিতাবুল ওয়াদিয়াহ, পৃষ্ঠা ৩৪১। ১২. আল-ফাতাওয়াল হিন্দিয়া, ৪র্থ খণ্ড, কিতাবুল ওয়াদিয়াহ, পৃষ্ঠা ৩৪২। ১৩. হিদায়া, ৩য় খণ্ড, কিতাবুল ওয়াদিয়াহ, পৃষ্ঠা ২৫৮। ১৪. হিদায়া, ৩য় খণ্ড, কিতাবুল ওয়াদিয়াহ, পৃষ্ঠা ২৫৯। ১৫. হিদায়া, ৩য় খণ্ড, কিতাবুল ওয়াদিয়াহ, পৃষ্ঠা ২৬০।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *