০৩৬. বিদুরের মনুকথিত ধর্ম্মব্যাখ্যা

৩৬তম অধ্যায়

বিদুরের মনুকথিত ধর্ম্মব্যাখ্যা

বিদুর কহিলেন, “মহারাজ! স্বায়ম্ভুব মনু কহিয়াছেন, ‘যে অশিষ্ট ব্যক্তিকে শাসন করে, যে অল্প লাভে সন্তুষ্ট হয়, যে অতিমাত্ৰ শত্রুসেবা করিয়া কল্যাণ লাভ করে, যে স্ত্রীগণকে রক্ষা করিয়া কল্যাণ লাভ করে, যে অযাচ্য বস্তু যাচচ্ঞা করে, যে আত্মশ্লাঘা করে, যে অভিজাত হইয়া অকাৰ্য্য করে, যে দুর্ব্বল হইয়া বলবানের সহিত নিরন্তর বিবাদ করে, যে অবিশ্বাসী ব্যক্তিকে সমুদয় বৃত্তান্ত বলে, যে অকাম্য কামনা করে, যে পুত্রবধূর সহিত পরিহাস করে, যে পুত্রবধুর সহিত সহবাস করিয়াও নিৰ্ভয় ও মানার্থী হয়, যে পর্য্যক্ষেত্রে বীজবপন [পরপত্নীসহবাস] করে, যে স্ত্রীদিগকে অত্যন্ত পরিবাদিত [অপবাদযুক্ত] করে, যে প্রাপ্ত হইয়াও বিস্মৃতি হইয়াছি বলে, যে যাচককে দান করিয়া শ্লাঘা করে এবং যে অসাধুকে সাধু বলিয়া প্রতিপন্ন করে—এইসকল ব্যক্তিকে নিরয়গামী হইতে হয়। এই সপ্তদশ পুরুষের অসাধ্য কি আছে? ইহারা আকাশকে মুষ্ট্যাঘাতে নষ্ট করিতে পারে, অনাম্য [যাহা নোয়ান যায় না] ইন্দ্রধনু অবনমিত করিতে পারে এবং মরীচিমালীর অসংগ্রাহ্য [সংগ্রহের অযোগ্য] কিরণমালা সংগ্ৰহ করিতে পারে।’ যে ব্যক্তি যাহার সহিত যেরূপ ব্যবহার করে, তাহার সহিত তিনি সেইরূপ ব্যবহার করিবেন, ইহাই ধর্ম্ম, যে ব্যক্তি কপট ব্যবহার করে, তাহার সহিত কপট ব্যবহার করিবে; যে ব্যক্তি সাধু ব্যবহার করে, তাহার সহিত সাধু ব্যবহার করিবে। জরা রূপ হরণ করে, আশা ধৈৰ্য্য হরণ করে, মৃত্যু প্রাণ হরণ করে, অসূয়া ধৰ্মচৰ্য্যা হরণ করে, কাম লজ্জা হরণ করে, অসাধুসেবা সদাচার হরণ করে, ক্ৰোধ শ্ৰী হরণ করে এবং অভিমান সমুদয়ই হরণ করে।” ”

অল্পায়ুষ্কতার কারণ

ধৃতরাষ্ট্র কহিলেন, “হে বিদুর! সকল বেদেই পুরুষ শতায়ু বলিয়া কীর্ত্তিত হইয়াছে, অথচ সকল [পূর্বোক্ত শতবর্ষ] আয়ু প্ৰাপ্ত হইতেছে না, ইহার কারণ কি?”

বিদুর কহিলেন, “মহারাজ! অতিমান, অতিবাদ, অতিঅপরাধ, ক্ৰোধ, আত্মম্ভরিতা ও মিত্রদ্রোহ-এই ছয়টি তীক্ষ্ন বাণস্বরূপ হইয়া পুরুষের আয়ুকৃন্তন [কর্ত্তন] ও প্রাণহরণ করে, আপনার কল্যাণ হউক। যে ব্যক্তি বিশ্বস্তের দারাপহরণ করে, যে ব্যক্তি গুরুপত্নী হরণ করে, যে দ্বিজ শূদ্রার পাণিগ্রহণ অথবা মদ্যপান করে, যে ব্যক্তি দ্বিজগণকে আদেশ কিংবা তাঁহাদের বৃত্তিনাশ অথবা তাঁহাদিগকে নিয়োগ করে, যে ব্যক্তি শরণাগতের প্রাণ সংহার করে, তাহারা সকলেই ব্ৰহ্মা[ব্ৰহ্মহত্যাকারী]র সমান, ইহাদিগের সহিত সংস্রব হইলে প্ৰায়শ্চিত্ত করা কর্ত্তব্য। যিনি প্রকৃত বাক্যের মর্ম্মজ্ঞ, নীতিজ্ঞ, বদান্য, শেষান্নভোক্তা [দেব-পিতৃগণের উদ্দেশ্যে নিবেদিত], অহিংসক, অনৰ্থকাৰ্য্যে পরাঙ্মুখ, কৃতজ্ঞ, সত্যবাদী, মৃদুস্বভাব ও বিদ্বান, তিনি স্বৰ্গলাভ করেন। প্রিয়বাদী পুরুষ অতি সুলভ, কিন্তু অপ্রিয় ও হিতকর বাক্যের বক্তা বা শ্রোতা অতি দুর্লভ। যে ব্যক্তি ধর্ম্মানুরোধে প্রভুর প্রিয়াপ্রিয়বিচার পরিত্যাগ করিয়া অপ্রিয় হিতকর বাক্য বলে, রাজা তদ্বারাই সহায়বান হয়েন। কুলের নিমিত্ত একজনকে এবং গ্রামের নিমিত্ত কুল, জনপদের নিমিত্ত গ্রাম ও আত্মার নিমিত্ত পৃথিবী পরিত্যাগ করবে। আপৎকালের নিমিত্ত ধনরক্ষা করিবে, ধনদ্বারা স্ত্রীকে রক্ষা করিবে এবং স্ত্রী ও ধন উভয়দ্বারা সতত আত্মাকে রক্ষা করিবে।

দ্যূতানিন্দাচ্ছলে বিবিধ নীতিকথন

“হে মহারাজ! পূর্ব্বে দৃষ্ট হইয়াছিল, দ্যূতক্রীড়া মনুষ্যগণের পরস্পর বৈরভাব উদ্ভাবন করে, অতএব বুদ্ধিমান ব্যক্তি আমোদের নিমিত্তও দ্যূতক্রীড়া করিবে না। আমিও দ্যূতকালে উপযুক্ত কথাই কহিয়াছিলাম, কিন্তু আতুর ব্যক্তির ঔষধ ও পথ্যের ন্যায় আপনার নিকটে উহা অগ্রাহ্য হইয়াছিল। কাকের সাহায্যে বিচিত্ৰকলাপ[পক্ষ]শোভিত ময়ুরগণকে পরাজয় করা আর দুৰ্য্যোধনাদির সাহায্যে পাণ্ডবদিগকে পরাজয় করা উভয়ই সমান; বলিতে কি, আপনি সিংহগণকে পরিত্যাগ করিয়া কতকগুলি শৃগালকে প্রতিপালন করিতেছেন; কালক্রমে আপনাকে অবশ্যই শোক করিতে হইবে।

“যিনি ভক্ত ও হিতার্থী ভৃত্যের প্রতি কদাপি জাতক্ৰোধ না হয়েন, সেই ভৃত্য ভর্ত্তাকে বিশ্বাস করে, আপৎকালে তাহাকে পরিত্যাগ করে না। ভৃত্যগণের জীবিকাবোধ করিয়া পরকীয় রাজ্য ও ধন সংগ্ৰহ করিবার অভিলাষী হইবে না, কেননা, স্নেহবান অমাত্যগণ প্ৰতারিত, বিরুদ্ধ বা ভোগবৰ্জিত হইলে তাহাকে পরিত্যাগ করে। প্রথমে সমুদয় কাৰ্য্য সাধ্য কি অসাধ্য, ইহা নিশ্চয় করিয়া দেয়, বৃত্তি আয়-ব্যয়ের অনুরূপ করিবে, পরে উপযুক্ত সহায়সংযুক্ত করিবে, কারণ সমুদয় কাৰ্য্যই সহায়সাধ্য। “যে ব্যক্তি ভর্ত্তার অভিপ্ৰায় অবগত ও নিরালস্য হইয়া কাৰ্য্য করে, যে ব্যক্তি হিতবাক্যের বক্তা, অনুরক্ত, আৰ্য্য ও শক্তিজ্ঞ, তাহাকে আপনার ন্যায় কৃপাভাজন বোধ করিবে। যে ব্যক্তি আদিষ্ট হইয়া প্ৰভুবাক্যে অনাদর করে, কোন কাৰ্য্যে নিয়োগ কলে প্রত্যুত্তর করে, আপনাকে প্রজ্ঞাবান বলিয়া অভিমান করে ও প্রতিকূলভাষী হয়, তাদৃশ ভৃত্যকে অতি শীঘ্র পরিত্যাগ করিবে। যে ভৃত্য দৰ্পশুন্য, সামর্থ্যশালী, ক্ষিপ্রকারী, সদয়স্বভাব, সুদৃশ্য, অনন্যভেদ্য [অন্যকর্ত্তৃক যাহার ভেদবুদ্ধির উদয় হয় না], রোগসম্পর্কশূন্য ও উদারভাষী, তাহাকে অষ্টগুণসম্পন্ন বলিয়া নির্দ্দেশ করা যায়। সায়ংকালে অবিশ্বস্তের গৃহে বিশ্বাসপূর্ব্বক গমন, রাত্রিকালে লুক্কায়িত হইয়া প্রাঙ্গণে বাস ও রাজকাম্য কামিনীকে কামনা করিবে না। যে ব্যক্তি মন্ত্ৰগৃহে গমনপূর্ব্বক অনেক অসতের সহিত মন্ত্রণা করে, তাহার মন্ত্রণা অপহরণ [গ্রহণ] করিবে না, “তোমাকে বিশ্বাস করিতেছি না”, ইহাও বলিবে না; কিন্তু কোন কাৰ্য্যব্যাপদেশে তথা হইতে অপসৃত হইবে। লজ্জাশীল রাজা, পুংশ্চলী [বেশ্যা], রাজভৃত্য, বিধবা, বালপুত্ৰা [যাহার পুত্র শিশু] সেনাজীবী ও অধিকারচ্যুত ব্যক্তির সহিত ঋণদানাদি ব্যবহার করিবে না।

“ব’ল, রূপ, স্বরশুদ্ধি, মৃদুতা, গন্ধ, বিশুদ্ধতা, শ্ৰী, সুকুমারতা ও বরবর্ণিনীগণ, এই দশটি স্নানশীল ব্যক্তিকে আশ্রয় করে। পরিমিতভোজী ব্যক্তি আরোগ্য, আয়ু, বল ও সুখ লাভ করেন, তাহারই নির্দোষ পুত্র উৎপন্ন হয় এবং কেহ তাহাকে অদ্মর [ঔদরিক-পেটুক] বলিয়া নিন্দা করে না। অকৰ্মণ্য, বহুভোজী, লোকবিদ্বিষ্ট, কপট, নৃশংস, দেশকালানভিজ্ঞ ও ক্ষপণকাদি[বৌদ্ধভিক্ষুক] বেশধারী-ইহাদিগকে গৃহমধ্যে স্থানদান করিবে না। অত্যন্ত ক্লেশ হইলেও কৃপণ, শাপপ্রদ, মুর্খ, কৈবর্ত্ত, ধূর্ত্ত, মানীব্যক্তির অবমন্তা [অপমানকারী], নিষ্ঠুর, শত্রু ও কৃতঘ্ন ব্যক্তির নিকট কদাপি প্রার্থনা করিবে না। আততায়ী, অতিপ্ৰমাদী, স্নেহশূন্য, নিয়তমিথ্যাবাদী, দৃঢ়ভক্তিশূন্য ও নিপুণম্মন্য [আপনাকে পটুজ্ঞানকারী]-এই ছয়জন নরাধমকে সেবা করিবে না। অর্থ সহায়সাপেক্ষ ও সহায় অর্থসাপেক্ষ, সুতরাং একটির অভাবে অন্যটি হস্তগত হয় না। অগ্ৰে অপত্যোৎপাদনপূর্ব্বক ঋণশূন্য হইয়া পুত্রদিগের কোন বৃত্তিসাধন ও কুমারীগণকে সৎপাত্রে প্রদান করিবে, পশ্চাৎ অরণ্যগমনপূর্ব্বক মুনিবৃত্তি অবলম্বন করিয়া জীবনযাপন করিবে। যাহা সকল প্রাণীর হিতকর ও আপনার সুখাবহ তাহাই করিবে; ঈশ্বরের নিকট এইরূপ কমই সর্ব্বার্থসিদ্ধির কারণ। বুদ্ধি, প্রভাব, তেজ, সত্ত্ব, উত্থান ও ব্যবসায়সম্পন্ন হইলে জীবিকার অভাব নিবন্ধনভীত হইতে হয়।

যুদ্ধের পরিণাম কথন

“মহারাজ! পুরন্দর প্রভৃতি দেবগণ যাঁহাদিগের সহিত যুদ্ধ করিতে ব্যথিত হয়েন, সেই পাণ্ডবগণের সহিত যুদ্ধঘটনা হইলে এইসকল অনিষ্ট উৎপাদিত হইবে-প্রথমতঃ পুত্ৰগণের সহিত বৈরভাব, দ্বিতীয়তঃ নিরন্তর উদ্বেগ, তৃতীয়তঃ যশোনাশ, চতুর্থতঃ শত্ৰুগণের হর্ষোৎপাদন। যেমন ধূমকেতু আকাশ হইতে তিৰ্য্যগতভাবে [বক্ৰ] পতিত হইলে সমুদয় লোক নষ্ট হয়, সেইরূপ ভীষ্ম, ইন্দ্ৰকল্প দ্রোণাচাৰ্য্য, রাজা যুধিষ্ঠির ও আপনার ক্ৰোধ প্রবৃদ্ধ হইলে এই লোক উৎসাদিত হইবে। অতএব আপনার শতপুত্র, কর্ণ ও পঞ্চপাণ্ডব একত্র হইয়া এই সসাগরাম্বরা ধরা অনুশাসন করুন। ধার্ত্তরাষ্ট্রগণ বনস্বরূপ ও পাণ্ডবগণ ব্যাঘ্রস্বরূপ। আপনি ব্যাঘ্রের সহিত সমুদয় বন উৎসন্ন অথবা কেবল ব্যাঘ্রগণকে বিনষ্ট করিবেন না। ব্যাঘ্রগণ বন ও বন ব্যাঘ্রগণকে রক্ষা করে। অতএব ব্যাঘ্র ব্যতিরেকে বন থাকে না এবং বন না থাকিলেও ব্যাঘ্র থাকিতে পারে না। পাপচেতাঃ ধার্ত্তরাষ্ট্রগণ পাণ্ডবগণের নিগুৰ্ণতা অবগত হইবার নিমিত্ত যেরূপ উৎসুক হইয়াছে, তাঁহাদিগের গুণসমূহ বিদিত হইবার নিমিত্ত সেরূপ অভিলাষী নয়। যিনি অর্থসিদ্ধির অভিলাষ করেন, তিনি অগ্ৰে ধর্ম্মাচরণ করিবেন; যেমন সুরলোক ব্যতীত অন্য স্থানে অমৃত নাই, সেইরূপ ধর্ম্ম ব্যতীত অর্থলাভের অন্য উপায়ান্তর নাই। যাহার আত্মা পাপ হইতে বিরত ও কল্যাণকৰ্মে সন্নিবেশিত হইয়াছে, তিনিই কি প্রকৃতি ও কি বিকৃতি, উভয় অবগত হইয়াছেন। যিনি যথাসময়ে ধর্ম্ম, অর্থ ও কামের সেবা করেন, তিনি ইহকালে ও পরকালে উহাই লাভ করেন। যিনি ক্রোধ ও হর্ষের আবেগ সংবরণ করেন ও আপৎকালে মুগ্ধ না হয়েন, তিনিই ঐশ্বৰ্য্যলাভ করেন।

“মহারাজ! পুরুষের বল পঞ্চবিধ; –প্রথম বাহুবল, দ্বিতীয় অমাত্যবল, তৃতীয় ধনবল, চতুর্থ পুরুষপরম্পরাগত আভিজাত্যাবল, পঞ্চম প্রজ্ঞাবল; এই শেষোক্ত বলই সকল বলের শ্রেষ্ঠ; ইহাদ্বারা ঐ সমস্ত বল সংগৃহীত হইতে পারে। যে লোক অন্য লোকের অপকারের নিমিত্ত জন্মগ্রহণ করে, তাহার সহিত বৈবভাব উৎপন্ন হইলে দূরস্থ হইয়াও কদাচ বিশ্বাস করিবে না। কোন প্ৰজ্ঞ ব্যক্তি স্ত্রীলোক, রাজা, সর্প, স্বাধ্যায়, প্ৰভু, শত্ৰু, ভোগ ও আয়ুর উপর বিশ্বাস করেন? যে জন্তু প্রজ্ঞারূপ সায়কে আহত হইয়াছে, তাহার চিকিৎসক নাই, ঔষধও নাই। অথর্ব্ববেদবিহিত হোম, মন্ত্র বা মঙ্গলকাৰ্য্যদ্বারা তাহার আরোগ্যলাভ হয় না। সর্প, অগ্নি, সিংহ ও জ্ঞাতি-ইহারা অতিশয় তেজস্বী, মনুষ্য ইহাদিগকে অবজ্ঞা করিবে না। ইহলোকে অগ্নি এক মহৎ তেজ; অগ্নি কাষ্ঠের অভ্যস্তরে গৃঢ়ভাবে অবস্থিতি করেন, যে পৰ্য্যন্ত অন্য লোক তাঁহাকে উদ্দীপিত না করে, তাবৎকালে তিনি সেই দারু উপযোগ করেন না; যখন অন্য ব্যক্তি নিৰ্মথিত করিয়া তাঁহাকে উদ্দীপিত করে, তখন সেই অগ্নি অচিরাৎ স্বীয় তেজে সেই দারু ও অন্যান্য বন দগ্ধ করেন। মহারাজ অগ্নি যেমন ক্ষমাবান ও নিরাকার হইয়া দারুমধ্যে শয়ন করিয়া থাকেন, অতি তেজস্বী পাণ্ডবেরাও সেই প্রকার। আপনি ও আপনার পুত্ৰগণ লতাস্বরূপ; পাণ্ডবগণ শালবৃক্ষম্বরূপ; লতা কদাচ মহাদ্রুমের আশ্রয় ব্যতীত বৰ্দ্ধিত হইতে পারে না। হে রাজন! আপনারা বনস্বরূপ ও পাণ্ডবগণ সিংহ স্বরূপ; সিংহ না থাকিলে বন বিনষ্ট হয় এবং বন, না থাকিলে সিংহও বিনাশপ্ৰাপ্ত হয়।”