3 of 8

অবাঞ্ছিত আতিশয্য

অবাঞ্ছিত আতিশয্য

আতিশয্য বিষয়ে দুটো প্রাচীন গ্রাম্য গল্প মনে পড়ছে। প্রথমে সে দুটো বলে নিই।

গল্পগুলো আজকের নয়, যেসব স্মৃতিমতী পাঠিকা এগুলো স্মরণ করতে পারবেন তাঁদের নিশ্চয় ঢের বয়েস হয়েছে, তাঁরা দয়া করে এবং নিজ গুণে এই অর্বাচীন হাস্যকর লেখককে ক্ষমা করে দেবেন।

গল্প দুটো প্রায় একই জাতের, সামান্য প্রকৃতিভেদ আছে। দুটো গল্পেই নব জামাতা শ্বশুরালয়ে গিয়েছেন, তাঁর সঙ্গী এক সেয়ানা বন্ধু।

প্রথম গল্পের জামাতা বাবাজীবনের একটু বাড়িয়ে বলার অভ্যাস রয়েছে। তাঁর সেয়ানা সঙ্গীর দায়িত্ব হল রাশ টেনে রাখা। ঠিক হয়েছে জামাতা যদি অভ্যাসের দোষে শ্বশুরবাড়িতে বেফাঁস কিছু বাড়াবাড়ি বলে ফেলেন, সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুটি একটু কাশবেন বা গলাখাঁকারি দেবেন আর সেটা শোনামাত্র জামাতা তাঁর বক্তব্য অর্ধেক কমিয়ে ফেলবেন। জামাতা এবং তঁর বন্ধু শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে হাতমুখ ধুয়ে বৈঠকখানা ঘরে এসে বসেছেন। শ্বশুরমশায় কুশলাদি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার পরে জানতে চাইলেন পথে কোনও অসুবিধে হয়েছে কি না।

জামাতা বললেন, ‘না তেমন কিছু হয়নি। তবে নৌকো করে নদী দিয়ে আসার সময় একটা প্রকাণ্ড কুমির দেখলাম।’

শ্বশুরমশায় বললেন, ‘প্রকাণ্ড কুমির?’

জামাতা বললেন, ‘সে প্রায় দুশো হাত লম্বা হবে।’ শ্বশুরমশায়ের চোখ কপালে উঠল কুমিরের দৈর্ঘ্য শুনে। সেয়ানা বন্ধুটিও গলা খাঁকারি দিল।

জামাতা সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে সংশোধন করলেন, ‘কুমিরটা যখন নৌকোর কাছে এল দেখে বুঝলাম দুশো না হলেও অন্তত একশো হাত হবে।’

এটাও অবিশ্বাস্য, সেয়ানা সুহৃদ আবার গলা খাঁকারি দিলেন, জামাতা তখন বেশ চিন্তা করে মাথা চুলকিয়ে বললেন, ‘নদীর মধ্যে আরেকটা নৌকোয় এক শিকারি ছিল সে বন্দুক দিয়ে গুলি করে কুমিরটা মেরে ফেলল। মরা কুমিরটা ডাঙায় ওঠানো হলে বুঝলাম হাত পঞ্চাশেক হবে।’

আবার গলা খাঁকারি, জামাতা বাবাজীবনের সংশোধন, ‘ডাঙায় ওঠানোর পর ফিতে দিয়ে মেপে। দেখা গেল ঠিক পঁচিশ হাত।’

এতক্ষণে পুরো ব্যাপারটা রীতিমতো গোলমেলে হয়ে উঠেছে, শ্বশুরমশায় কেমন হতভম্ব হয়ে গেছেন সমস্ত ঘটনা শুনে, বন্ধুটির গলা খাঁকারি এবার তীব্রতর হল। কিন্তু এখন আর উপায় নেই, জামাতা তাঁর বন্ধুটির দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন, ‘আর কমাব কী করে। মাপা হয়ে গেছে, এরপর আর কমানো যাবে না।’

পরের কাহিনীটিতেও নব জামাতা আর তাঁর সেয়ানা বন্ধু শ্বশুরবাড়িতে এসেছেন। তবে এই গল্পে জামাতা নন তাঁর বন্ধুটিই অবাঞ্ছিত আতিশয্য দোষে পীড়িত।

শ্বশুর মহোদয় নব জামাতার সঙ্গে গল্পের ছলে নানা বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। তবে কথাবার্তা প্রায় সবই চালাচ্ছেন বন্ধুবর। শ্বশুর প্রশ্ন করলেন, ֹ‘কালীঘাটের বাড়িটা তো তোমাদের নিজেদের?’ বন্ধুটি বললেন, ‘শুধু কালীঘাটের বাড়ির কথা বলছেন কী, ভবানীপুর, শ্যামবাজার, বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ, রাঁচি, মিহিজাম সব জায়গায় ওদের বাড়ি আছে।’ শ্বশুরমশায় বললেন, ‘তোমার এক কাকা বোধহয় দিল্লিতে থাকেন।’

সঙ্গে সঙ্গে তৎপর বন্ধুটি বললেন, ‘দিল্লি কী বলছেন, ওর আরেক কাকা থাকে বোম্বাইতে, দুই মামা আছে মস্কোতে, মেসো প্যারিসে, এক পিসেমশায় লন্ডনে, অন্য পিসেমশায় রামপুরহাটে।’

এই রকম ভালই চলছিল, কিন্তু এই সময় জামাই একটু হাঁচলেন, শ্বশুরমশায় বললেন, ‘তোমার কি একটু সর্দিকাশি আছে?’ বন্ধুটি বললেন, ‘সর্দিকাশি কী বলছেন, ওর ছোটবেলা থেকে হুপিং কাশি, ওদের বাড়ির প্রত্যেকের শ্লেষ্মকাশি, গুপোকাশি এমনকী যক্ষ্মাকাশিও পর্যন্ত রয়েছে।’

এরপর আর এই গল্প এগোতে দেওয়া মোটেই উচিত হবে না।

জামাতা বাবাজীবন এবং তাঁর সেয়ানা সুহৃদের এই রদ্দি গল্পগুলি অত্যন্ত মোটা দাগের, কিন্তু এগুলির মধ্যে আসল সত্যটি নিহিত রয়েছে। সোজা কথা, কোনও কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে শেষ পর্যন্ত একটা কিছু গোলমাল হবেই।

তা গোলমাল একটু হয় হোক। আমরা ইত্যবসরে আরও একটু গোলমেলে জায়গা থেকে ঘুরে আসি।

বহুক্ষেত্রেই অবাঞ্ছিত আতিশয্য ব্যাপারটা ঘটে তোষামোদ বা খোশামোদ করতে গিয়ে। এই শব্দ দুটি সম্পর্কে এখানে সামান্য কিছু বলে রাখা ভাল। বাংলা ভাষায় তোষামোদ একটি আশ্চর্য শব্দ। তোষামোদ এবং খোশামোদ শব্দের অর্থ একই, স্তাবকতা, মনোরঞ্জন, চাটুবৃত্তি, মোসাহেবি ইত্যাদি। খোশামোদ শব্দটি প্রায় খাঁটি ফারসি শব্দ, মূল ফারসিতে শব্দটি হল, ‘খুশ আমদ’ মানে মনোরঞ্জন। তোষামোদ শব্দটি রচনা হয়েছে সংস্কৃত আর ফারসি মিলিয়ে। সংস্কৃত তুষ থেকে ফারসি খুশ-আমদ্‌ শব্দের দৃষ্টান্তে গঠিত। এ রকম শব্দ আমাদের ভাষায় খুব বেশি নেই।

সে যাই হোক, পণ্ডিতি করব না। গালগল্পে ফিরে যাই। তোষামোদের কথায় মহামহিম গোপাল ভাঁড় মহোদয়ের সেই বিখ্যাত গল্পটি স্মরণীয়।

রাজা তাঁর পারিষদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। তাঁর মোসাহেব সবটাতেই রাজাকে তাল দিয়ে যাচ্ছেন। ব্যাপারটা প্রায় দৃষ্টিকটু (অথবা শ্রুতিকটু) পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

আলোচনার বিষয় হল তরকারি। কথায় কথায় পটলের কথা উঠল। রাজা বললেন, ‘পটল খুব ভাল তরকারি।’ মোসাহেব সায় দিলেন ‘ভাল মানে? খুব ভাল। ভাজা খান, সিদ্ধ খান, মাছে খান, নিরামিষ খান, সরষে বাটা খান, পটলের মতো তরকারি নেই, হুজুর।’

রাজা বললেন, ‘কিন্তু বড় তিতো।’ মোসাহেব ঘাড় কাত করে সায় দিলেন, ‘খুব তিতো, অতি বিদঘুটে।’ রাজা বললেন, ‘পটল মোটেই ভাল নয়। ভাল করে হজম হয় না।’

মোসাহেব বললেন, ‘পটল মোটেই ভাল নয়। হজম করা খুব কঠিন। হাতি পর্যন্ত পটলের বিচি হজম করতে পারে না। পটল সাংঘাতিক জিনিস হুজুর।’

রাজা আর থাকতে পারলেন না। মোসাহেবকে বললেন, ‘তোমার কথা তো কিছু বুঝতে পারছি না। তুমি কখনও বলছ পটল খুব ভাল, কখনও বলছ পটল খুব খারাপ।’মোসাহেব হাত কচলিয়ে বললেন, ‘আজ্ঞে হুজুর তা বলছি।’ রাজা বললেন, ‘তা হলে তোমার আসল কথাটা কী?’ মোসাহেব আরও হাত কচলিয়ে বললেন, ‘আজ্ঞে হুজুর, আমার কথাটা হল আমি তো আর পটলের গোলামি করি না, আমি আপনার গোলাম, আপনি যা বলেছেন আমি তাই বলেছি।’

স্বীকার করা উচিত এই মোসাহেবটি খুব উচ্চস্তরের নয়। স্তাবকতা খুব সূক্ষ্ম ব্যাপার, সেটা প্রকট হয়ে গেলে, মোসাহেবি ধরা পড়ে গেলে চলবে না। তাতে সাহেব এবং মোসাহেব দু’জনেরই বেকায়দা।

মোসাহেব নিয়োগের কাহিনীটি বলি।

এক সাহেব খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন মোসাহেব চেয়ে। অনেক লোক দরখাস্ত করেছে, সাক্ষাৎকার চলছে। সাহেব নিজেই তাঁর মোসাহেব বাছছেন। কিন্তু ঠিক মতো লোক পাওয়া খুব কঠিন। অবশেষে অনেক জনের পরে এল আসল ব্যক্তি। সাহেব এবং ওই চাকুরি প্রার্থীর নিম্নোক্ত কথোপকথন থেকে এই আসল ব্যক্তিটিকে কিছুটা বোঝা যাবে।

সাহেব: তুমি কি মোসাহেবের কাজ পারবে?

ভাবী মোসাহেব: আমারো কেমন খটকা লাগছে, আমি কি মোসাহেবের কাজ পারব।

সাহেব: আমার মনে হচ্ছে তুমি পারলেও পারতে পারো।

ভাবী মোসাহেব: আমারও একেক সময় সাহস হচ্ছে, হয়তো পারলেও পারতে পারি।

সাহেব: কিন্তু পারবে কি?

ভাবী মোসাহেব: পারব কি?

সাহেব: মোসাহেবির কাজ খুব কঠিন।

ভাবী মোসাহেব: খুব কঠিন স্যার।

সাহেব: তবে চেষ্টা করলে হয়তো পেরে যাবে।

ভাবী মোসাহেব: চেষ্টা করলে পারব হয়তো।

সাহেব: তোমার তো বেশ এলেম আছে। মনে হচ্ছে ভাল ভাবেই পেরে যাবে।

ভাবী মোসাহেব: তা ঠিক স্যার। এখন মনে হচ্ছে খুব ভালই পারব।

সাহেব: কিন্তু শেষে যদি না পারো?

ভাবী মোসাহেব: সত্যি শেষে যদি না পারি আমিও খুব ভাবছি স্যার।

সাহেব: থামো, তোমাকে আর ভাবতে হবে না।

ভাবী মোসাহেব: না স্যার, আমি আর ভাববো না।

বলা নিষ্প্রয়োজন, এই ব্যক্তিই মোসাহেবির কাজটা তখনই পেয়ে গিয়েছিল এবং পরবর্তী জীবনে একজন অত্যন্ত সফল মোসাহেব হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে।

তবে অবাঞ্ছিত আতিশয্য অর্থাৎ অপ্রয়োজনীয় ও দৃষ্টিকটু বাড়াবাড়ি ব্যাপারটা শুধুই যে চাটুকারিতা এবং মোসাহেবির সঙ্গেই জড়িত এমন কথা বলা যাবে না।

অনেকের চরিত্রের মধ্যেই এই অসংগতি রয়েছে। এই রকম কারও বাড়িতে যান, তিনি সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে উঠে, ‘আসুন আসুন, কী সৌভাগ্য আমার, গরিবের বাড়িতে আপনি আসবেন, এ তো ভাবাই যায় না, বসতে আজ্ঞা হোক’, বলে চেয়ার ঠেলে বসিয়ে দিয়ে আপনাকে খালি ঘরে ফেলে সামনের খোলা দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবেন। আপনি বোকার মতো বসে থাকবেন তাঁর বাইরের ঘরে, এসেছিলেন এক মিনিটের এক প্রয়োজনে কিংবা ভদ্রতার খাতিরে। গৃহকর্তা আধঘণ্টা কি পঁয়তাল্লিশ মিনিট পরে ফিরলেন হাতে এক চাঙারি সিঙাড়া, কচুরি, সন্দেশ, রসগোল্লা নিয়ে, ঘরে ঢুকে দেখলেন আপনি দরদর করে ঘামছেন, তাড়াতাড়ি বললেন, ‘আরে কী লজ্জার কথা পাখাটা খুলে দিয়ে যাইনি।’ বলে জোড়া হাতে পাখার সুইচটা অন করতে গিয়ে খাবারের চাঙারিটা হাত থেকে তিনি অবশ্যই ফেলে দেবেন। তিনি আবার ছুটবেন মোড়ের মাথায় গঙ্গারামে কিংবা সত্যনারায়ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে—

আপনি এই অবসরে অবশ্যই সরে পড়বেন কারণ আপনার হাতে আর অপেক্ষা করার মতো আধঘণ্টা সময় নেই। আর তা ছাড়া, ওই সন্দেশ রসগোল্লা, সিঙাড়া, কচুরি, ওগুলো সব আপনার পক্ষে বিষ, ডাক্তারের বারণ, আর ওসবের প্রতি আপনার তেমন রুচিও নেই। এরই রকমফের দেখা যায় সভা-সমিতিতে। যেখানে অতিথিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় শ্রোতাদের সঙ্গে অবিশ্বাস্য সমস্ত বিশেষণ এবং অলংকারে ভূষিত করে। স্পষ্ট মনে আছে, মফস্বলের এক সাহিত্যসভার শেষে উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে সভায় বলা হয়েছিল, ‘ওঁর মতো মহাপ্রাণ বিশিষ্ট উজ্জ্বল পুরুষকে ক্ষুদ্র ধন্যবাদ জানিয়ে আমরা ছোট করতে চাই না।’ এবং এর ঠিক পরের পঙ্‌ক্তি ছিল, ‘এঁকে শত শত ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি।’ আরেক ধরনের আতিশয্য ঘটে মদ্যপানের আসরে। এমনিতে মাতালেরা মদ খেয়ে নানা রকম বাড়াবাড়ি করে ফেলে কিন্তু সব চেয়ে মারাত্মক হল কোনও কোনও মদ্যপ কিছুটা পান করার পরে ঘরের কিংবা টেবিলের সকলকে পরের দিন সন্ধ্যায় তার বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে বসে। কেউ যদি সেই নিমন্ত্রণ এড়াতে চায়, তবে অব্যাহতি নেই। ভীষণ জোরাজোরি হবে নিমন্ত্রণ কর্তার তরফে, এমনকী কাঁদাকাটি, হাতে-পায়ে ধরা হবে নিমন্ত্রণে যাওয়ার জন্যে।

এইখানেই আসল বিপদ। কোনও অনভিজ্ঞ ব্যক্তি যদি সরল চিত্তে এই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং পরের দিন সন্ধ্যায় যদি ওই ব্যক্তির বাড়িতে যায় তাকে রীতিমতো জব্দ হতে হবে। নিমন্ত্রণ কর্তার বাড়ির লোকেরা বিস্মিত হবে তাকে দেখে কারণ সে বাড়িতে নিমন্ত্রণের কথা কিছুই বলেনি, এমনকী তার নিজেরই মনে নেই যে সে নিমন্ত্রণ করেছিল; সুতরাং যখন সে দরজা খুলে জিজ্ঞাসা করবে, ‘আরে কী মনে করে’, তখন দু’-চারটে বাজে কথা বলে ফিরে আসা ছাড়া গত্যন্তর নেই।

অবশেষে আতিশয্যহীনতার একটি চৈনিক উপাখ্যান দিয়ে দাঁড়ি টানি। এক কারখানা দেখতে গিয়েছেন জনৈক পর্যটক। চিনেদের একটি পারিবারিক সমাধিস্থলে গিয়ে দেখেন প্রত্যেকটি কবরের উপরে মৃতদের জন্যে ভূরিভোজ সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে বাহারি থালায়। দেখে পর্যটক খুব বিস্মিত হলেন। কিন্তু তিনি আরও বিস্মিত হলেন এরই মধ্যে একটি সমাধি দেখে যার উপরে থালায় মাত্র দুই কুচি শশা আর এক চিলতে লেবু দেওয়া রয়েছে। পর্যটক প্রশ্ন করলেন, ‘প্রত্যেকের এত খাবার, এর এত কম কেন?’ যে ব্যক্তি খাবার দিচ্ছিলেন তিনি বললেন, ‘ওটা উং চুংয়ের কবর, মরার সময় উং চুং ডায়েটিং করছিল, তাই এই খাবার দেওয়া হয়। উং চুংকে বেশি খাবার দিলে শুধু শুধু নষ্ট হবে।’

অবাঞ্ছিত আতিশয্যের এখানেই ইতি।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *