ওয়েটি প্রবলেম – ডুয়ানে ডেকার

ওয়েটি প্রবলেম – ডুয়ানে ডেকার

নিজের শরীরে আঙুল বোলাচ্ছে ফ্যাটস্টাফ। পরনের কাপড় মোটা, খসখসে এবং সস্তা ঠেকল। তার মানে এটা ওর পোশাক নয়।

কেউ ভুল করেছে, বিরক্ত গলায় বলল সে। এটা আমার পোশাক নয়।

ঠিক বলেছেন, বলল নার্স। আপনার জামাকাপড় অ্যাক্সিডেন্টের সময় ছিঁড়ে গিয়েছিল। তবে এই পোশাক দিয়ে বেশ কিছুদিন কাজ চালাতে পারবেন। এগুলো স্যালভেশন আর্মির কাপড় দিয়ে তৈরি।

আচ্ছা! একটু নরম হলো ফ্যাটস্টাফ। তা আমার চোখ থেকে ব্যান্ডেজ কখন সরানো হবে শুনি?

ডাক্তার আসা মাত্র, জানাল মেয়েটা। উনি কিছুক্ষণের মধ্যেই এসে পড়বেন।

ভাল, বলল সে। ততক্ষণ আমি অপেক্ষা করতে পারব।

হাসপাতালের বালিশে আবার মাথা দিয়ে শুয়ে পড়ল ফ্যাটস্টাফ। অ্যাক্সিডেন্টের কথা সব মনে পড়ছে। ওইদিন সকালে সে বার্থার বাড়ির পেছনের মাঠটা পেরিয়ে হন হন করে এগোচ্ছিল। মনে সাহস আনতে সকালবেলাতেই তিন পেগ মদ গিলেছিল ফ্যাটস্টাফ। তারপর চাদি ফাটানো রোদে বেরিয়ে পড়ে অমন দুর্বল শরীর নিয়েও।

মাঠের শেষ প্রান্তে, জঙ্গলের ধারে শুকনো কুয়োটার কাছে কোন ঝামেলা ছাড়াই পৌঁছে যায় সে। এখানেই সে কয়েক হপ্তা আগে টাকাটা লুকিয়ে রেখেছিল ঝালাই করা একটা বালতির মধ্যে। বালতিটা এখন শুকনো কুয়োর নিচে চুপচাপ বিশ্রাম নিচ্ছে।

ফ্যাটস্টাফের হাতে একটা রশি বাঁধা হুক। রশিটাকে সে কুয়োর পাশের শশাগাছের মাথায় কষে বাঁধল। তারপর ঢিল দিতে শুরু করল। হুকসহ রশিটা আস্তে আস্তে নেমে গেল কুয়োর মধ্যে। ঠং করে একটা শব্দ হতেই ফ্যাটস্টাফ বুঝল হুকটা বালতির হ্যাঁন্ডেলের মধ্যে আটকে গেছে। এখন বালতিটাকে টেনে তুললেই সে ত্রিশ হাজার ডলারের মালিক হয়ে যাবে।

কিন্তু কুয়োর দিকে ঝুঁকতেই মাথাটা বোঁ করে উঠল ফ্যাটস্টাফের। দুর্বল শরীর, তীব্র সূর্যতাপ আর মদের প্রভাব একযোগে আক্রমণ চালাল ওর ওপর। দুনিয়া আঁধার হয়ে এল, অজ্ঞান হবার পূর্ব মুহূর্তে মাথায় তীব্র বেদনা অনুভব করল ফ্যাটস্টাফ। কুয়োর মুখে প্রচন্ড বাড়ি খেয়েছে সে।

.

কটা বাজে এখন? নার্স মেয়েটাকে সময় জিজ্ঞেস করল ফ্যাটস্টাফ।

বিকেল পাঁচটা, বলল মেয়েটা। আঁতকে উঠল সে। তার মানে এখানে আসার পর ছয় ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। সন্দেহ নেই বার্থা পোমরয় বাস স্টেশনের ওদিকে তার জন্য অপেক্ষা করতে করতে অধৈর্য হয়ে উঠেছে। হয়তো সন্দেহও করছে ফ্যাটস্টাফ টাকাটা নিয়ে কেটেই পড়ল কি না। আর বার্থা রেগে গিয়ে পুলিশে ফোন করলেই কম্ম সাবাড়। সোজা শ্রীঘরে ঢুকতে হবে ফ্যাটস্টাফকে। এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখান থেকে। তাকে চলে যেতে হবে, বার্থা ধৈর্য হারাবার আগেই তাকে পোমরয় বাস স্টেশনে পৌঁছুতে হবে।

আমি এখানে এলাম কী করে? জানতে চাইল ফ্যাটস্টাফ।

এক শিকারী ভদ্রলোক আপনাকে এখানে নিয়ে এসেছিলেন, বলল নার্স। আপনাকে তিনি অজ্ঞান অবস্থায় আবিষ্কার করেন। তারপর অনেক কষ্টে টেনে হিঁচড়ে তার গাড়িতে উঠিয়ে এই হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন। গাড়িতে ওঠানোর সময় আপনার জামা কাপড় সব ছিঁড়ে যায়।

মনে মনে শিকারী ভদ্রলোককে ধন্যবাদ দিল ফ্যাটস্টাফ। গোটা ব্যাপারটা এখন তার আরও পরিষ্কার মনে পড়ছে। মনে পড়ছে শুরুতেই কী করে সবকিছু ভজকট হয়ে গিয়েছিল তবু এখনও সময় আছে। টাকাটা এখনও ওখানেই রয়েছে-অপেক্ষা করছে তার জন্য শুধু তুলে নেয়ার অপেক্ষা।

প্রথম দিকে অবশ্য সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিল। ফ্যাটস্টাফ নিউ ইয়র্কের রাস্তায় চুরি চামারি করত। মাস কয়েক আগে, মফস্বল শহর অ্যাপলটনে সে ভবঘুরের মতো ঘুরতে ঘুরতে চলে আসে।

শহরের বাইরে, পোস্ট রোড থেকে শ গজ দূরের এক পরিত্যক্ত ফার্মহাউস দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফ্যাটস্টাফের। কারণ রাতের বেলায় ভূতুড়ে বাড়িটাতে আলো জ্বলছিল। নক করতেই দরজা খুলে দিয়েছিল বার্থা। বিধবা মহিলা ওকে ভেতরে ডেকে বসায়, ডিনার খাওয়ায় এবং রাতটা ওখানেই কাটিয়ে যেতে বলে। ফ্যাটস্টাফের না করার কোন কারণ ছিল না।

জগৎসংসারে এই ঘুণে-ধরা, পোকায় খাওয়া ফার্মহাউস ছাড়া বার্থার আর কিছু নেই, কেউ নেই। রসিক ফ্যাটস্টাফকে তার ভালো লেগে গেল। ফ্যাটস্টাফও হপ্তাখানেক তার সান্নিধ্য গ্রহণ করল সানন্দে। তাকে খুব সহজেই বিশ্বাস করে ফেলল মহিলা। তারপর তার গোপন কথাটি একদিন খুলে বলল।

ফ্যাটস্টাফ জানল বার্থা এতদিন একজন যোগ্য পার্টনারের অপেক্ষায় ছিল। বিশ্বাসী, চটপটে এবং চতুর। ফ্যাটস্টাফকে তার খুব মনে ধরেছে। তার বিশ্বাস, এতদিন সে যে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল সেটার সদ্ব্যবহার করার সময় অবশেষে এসেছে।

কী সুযোগ? জানতে চাইল ফ্যাটস্টাফ। বলল বার্থা। পোেস্ট রোড থেকে সিকি মাইল দূরে, একটা গলি বাঁক নিয়েছে ডানদিকে। গলির মাথায় একটাই মাত্র বাড়ি-ম্যাকলিন টুল কোম্পানি।

প্রতি শুক্রবার, বিকেল তিনটার সময় বুড়ো ম্যাকলিন বার্থার বাড়ি পার হয়ে তার অফিসে যায় কোম্পানির সাপ্তাহিক বেতন নিয়ে। গাড়ি ড্রাইভ করে সে একাই। এদিকে বিপদের কোন আশঙ্কা নেই জেনেই হয়তো নিরস্ত্র চলাফেরা করে বুড়ো।

এখন ফ্যাটস্টাফের যা করণীয়, ব্যাখ্যা করল বার্থা। তিনটে বাজার আগেই তাকে ওই গলিমুখে পৌঁছাতে হবে এবং ম্যাকলিন বুড়োর গাড়ির শব্দ শোনামাত্র সে শুয়ে পড়বে রাস্তায়, ভান করবে যেন ভয়ানক আহত হয়েছে। ম্যাকলিন শুধু কোম্পানির নির্বাহীই নয়, চার্চের একজন ধর্মযাজকও বটে। সুতরাং স্বভাবতই সে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে নেমে আসবে আহত লোকটাকে সাহায্য করতে। আর ফ্যাটস্টাফ তখন সহজেই বার্থার লুগার পিস্তল উঁচিয়ে, ম্যাকলিনের কাছ থেকে সাপ্তাহিক বেতনের টাকাটা কেড়ে নিতে পারবে।

ওই সময় বার্থা পোস্ট রোড থেকে পঞ্চাশ গজ দূরে, রাস্তার ধারে লুকিয়ে থাকবে। বুড়ো ম্যাকলিনকে কুপোকাত করে ছিনতাই করা টাকাটা নিয়ে ফ্যাটস্টাফ সোজা চলে যাবে পোমরয় স্টেশনে, টিকেট কেটে ভেগে পড়বে নিউ ইয়র্কে। বার্থাও আলাদা বাসে চড়ে নিউ ইয়র্কে, নির্দিষ্ট ঠিকানায় ফ্যাটস্টাফের সঙ্গে মিলিত হবে।

সব খাপে খাপ মিলে যাবে। কোন ঝামেলাই হবে না, বলেছিল বার্থা।

ফ্যাটস্টাফও প্ল্যানটা নানাভাবে উল্টেপাল্টে দেখে অবশেষে নিশ্চিন্ত হয়েছিল। নাহ, কোথাও কোন খুঁত নেই। ঝামেলা না হবারই কথা।

কিন্তু ঝামেলা হলো। বুড়ো ম্যাকলিন যে সঙ্গে বন্দুক রাখে তা কে জানত? ফলে পরিকল্পনা মাফিক কাজ এগোল না। গোলাগুলি হলো। তবে ফ্যাটস্টাফের ভাগ্য ভাল প্রথম গুলিটা করার সুযোগ সে-ই পায়।

নিথর ম্যাকলিনকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালাল ফ্যাটস্টাফ। আর এখানেই ভুলটা করল। যাবার আগে ওর পরীক্ষা করা উচিত ছিল বুড়ো সত্যি মরেছে কি না। কিন্তু টেনশনের চোটে অত পরীক্ষা করার সময় ছিল

ফ্যাটস্টাফের। এতদিন চুরি চামারি করেছে, খুন করার কথা কস্মিনকালেও ভাবেনি। এখন মার্ডার কেস পেছনে রেখে পোমরয়ে যাওয়াটা ঝুঁকি হয়ে যাবে মনে করে আপাতত লুকিয়ে থাকার জন্য সে বার্থার ফার্মহাউসেই ফিরে এল।

টাকাটা গাপ করে দেয়ার চিন্তাটা তখন মাথায় খেলল ফ্যাটস্টাফের। শুকনো, পরিত্যক্ত কুয়োর মধ্যে টাকা লুকালে বার্থা জীবনেও টের পাবে না। আর যতদিন সে টাকার কোন সন্ধান না পাচ্ছে ততদিন নিজের গরজেই ফ্যাটস্টাফকে সে নিজের বাড়িতে লুকিয়ে রাখবে।

কিন্তু ওইদিন রাতে রেডিওতে খবরটা শুনে অজ্ঞান হতে শুধু বাকি রাখল ফ্যাটস্টাফ। ম্যাকলিন মারা গেছে ঠিকই কিন্তু পুলিশ তাকে রাস্তায় মারাত্মক আহত অবস্থায় আবিষ্কার করার পরে। মৃত্যুর আগে সে ফ্যাটস্টাফের কথা বলে গেছে। পুলিশ রেডিওতে তার টেপ করা নিখুঁত বর্ণনা প্রচার করল, এত মোটা মানুষ জীবনেও দেখিনি আমি, মৃত্যুপথযাত্রী ম্যাকলিনের শ্বাসটানা গলা ভেসে এল। পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি লম্বা। আলুর মতো ফোলা গাল। উরু দুটো এত মোটা, প্যান্ট ছিঁড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে। বিরাট হুঁড়ি। ওকে আপনারা দেখলেই চিনতে পারবেন। অমন মোটা লোক সচরাচর চোখে পড়ে না।

ফ্যাটস্টাফ এবং বার্থা দুজনেই বুঝতে পারল এই চেহারা আর শরীর নিয়ে ফ্যাটস্টাফের বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। খুদে এই মফস্বলের যে কেউ তাকে দেখামাত্র চিনে ফেলবে।

এই সময় চট করে আইডিয়াটা মাথায় খেলল ফ্যাটস্টাফের। চিলেকোঠার ঘরে সে লুকিয়ে থাকবে, খুব কম খাবে যাতে শিগগিরই মেদ ঝরে রোগা হয়ে ওঠে। তারপর সময় বুঝে একদিন এখানে থেকে হাওয়া হয়ে যাবে।

চিলেকোঠার ঘরে গিয়ে আত্মগোপন করল ফ্যাটস্টাফ। দুই মাস ওখান থেকে এক পাও নড়ল না। বার্থা ওকে প্রতিদিন লেটুস, সর ছাড়া দুধ আর শরবতি লেবু ছাড়া অন্য কিছু খেতে দিল না।

দুই মাস পর কুমড়োপটাশ ফ্যাটস্টাফ হাড়গিলেতে রূপান্তরিত হলো। যেন জ্যান্ত একটা কঙ্কাল। এখন সময় হয়েছে পালাবার, বুঝল সে। আর তারপরই লুকানো টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে ঘটল অঘটন।

.

বিছানার একপাশে হেলান দিল ফ্যাটস্টাফ। আসলে কঠোর ডায়েটের পর প্রচণ্ড সূর্যতাপে দুর্বল শরীরে অমন তড়িঘড়ি বেরুনো ঠিক হয়নি তার, ভাবল সে। আর মদ তার সর্বনাশের মোলোকলা পূর্ণ করেছে। ইস, মাথা ঘুরে কীভাবে সে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বার্থা তো এসবের কিছুই জানে না। সে এতক্ষণে পোমরয়ের বাসের টিকেট কিনে ফ্যাটস্টাফের জন্য অপেক্ষা করে নিশ্চয় রেগে বোম হয়ে উঠেছে

নার্সকে জিজ্ঞেস করল ফ্যাটস্টাফ, এখান থেকে চলে যাবার সময় আমাকে কি কোন দস্তখত করতে হবে?

না, বলল সে। আপনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। আর আপনার মানসিক অবস্থা–প্রবল উত্তেজনাটা অবশ্য সাময়িক ছিল! এই যে! ডাক্তার সাহেব এসে গেছেন!

ফ্যাটস্টাফ বসা ছিল, ডাক্তারের কথা শুনে আবার টানটান হয়ে শুয়ে পড়ল। কাঁধে কার যেন হাতের স্পর্শ পেল, ডাক্তারই হবেন, আন্তরিক সুরে বললেন, হ্যালো!

ফ্যাটস্টাফ মোটা কাপড়ের ফুলপ্যান্টে আঙুল ঘষতে ঘষতে বলল, ডাক্তার, আমাকে নতুন কাপড় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ, কিন্তু পোশাকটা বড় টাইট লাগছে যে!

পোশাকটা আসলে ঠিকই আছে, বললেন ডাক্তার। আপনি খামোকা দুশ্চিন্তা করছেন।

দূর, কি বাজে বকছেন! বিরক্ত হলো ফ্যাটস্টাফ। এই প্যান্ট তো একটা তাঁবুর মতই বড়।

তা বটে। কিন্তু আপনি যখন অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন তখন তো শুকনো, লিকলিকে ছিলেন।

কিন্তু–সে তো আজ সকালেও ছিলাম। মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে–

ডাক্তার ফ্যাটস্টাফের চোখের ব্যান্ডেজ খুলতে খুলতে বললেন, এখন কে বাজে বকছে, বলুন তো? আজ সতেরোই সেপ্টেম্বর। আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আগস্টের প্রথম হপ্তায়। এতদিন স্রেফ অজ্ঞান হয়ে ছিলেন। আঘাতটা এত ভয়ঙ্কর ছিল যে আপনাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আমাদের জান বেরিয়ে গেছে।

ব্যান্ডেজ খুলে ফেলা হয়েছে। ফ্যাটস্টাফ ধীরে ধীরে সিধে হলো। দরজার পাশে এক মানুষ সমান লম্বা আয়নাটার দিকে এগোল। দাঁড়াল ওটার সামনে। বিস্ময়ে বড় বড় হয়ে গেল চোখ, সম্মোহিতের মতো তাকিয়ে থাকল নিজের প্রতিকৃতির দিকে।

আবার সে পরিণত হয়েছে পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি লম্বা কুমড়োপটাশে। সেই আলু ফোলা গাল, বেটপ কোমর, মোটা পেট। বরং এখন যেন আরও বেশি ফুলেছে সে। ফ্যাটস্টাফ জানে টাকা নিয়ে শহর ছেড়ে পালানো দূরে থাক, হাসপাতালের বাইরে পা দেয়ামাত্র পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে।

পেছন থেকে জানতে চাইলেন ডাক্তার, আপনি যাবার জন্য প্রস্তুত? এখন স্বচ্ছন্দে আপনি চলে যেতে পারেন!

মুখ হাঁ হয়ে গেল ফ্যাটস্টাফের, গলা চিরে বিস্ফোরণের মতো বেরিয়ে এল আর্তচিৎকার, না! না! না!….

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *