চুনকুমারী

চুনকুমারী

সে আজ থেকে বহুদিন আগেকার কথা। এক বুড়ো আর এক বুড়ি বাস করত। তাদের কোনও ছেলেপিলে ছিল না। একা একা থাকে বুড়ো আর বুড়ি। তাদের মন কেমন করে। হঠাৎ একদিন তারা স্বপ্ন দেখল। দু’জনাতে একই স্বপ্ন। সে আবার ভারী মজার স্বপ্ন। তাদের মনের মতো চমৎকার স্বপ্ন। স্বপ্নে আদেশ হল— ‘আগে চুন দিয়ে একটা মেয়ে গড়ে নাও। হ্যাঁ তবে যদি চাও যে সে বেঁচেবর্তে থাকে তবে সক্কালবেলা উঠে প্রথম যার মুখ দেখবে, ঘরের দোর দিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে, চুনকুমারীকে তার সঙ্গেই বিয়ে দিতে হবে।’

বুড়ো-বুড়ি তাতেই রাজি। অনেক ঘোরাঘুরি করে চুন জোগাড় করলে। চুন দিয়ে মেয়ে গড়া হল। তারপর দেওয়ালের গায়ে তাকে ঝুলিয়ে দিলে শুকোবার জন্য। ওমা হঠাৎ দেখে মেয়ে জ্যান্ত হয়ে উঠল। বুড়ো-বুড়ির তো আর খুশি ধরে না। যতবার ভাবে মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে ততই তাদের মন খারাপ হয়ে যায়। মেয়েকে বিয়ে দিতে মন চায় না। কিন্তু কী করে উপায় নেই, আদেশ আছে। বুড়োবুড়ি সক্কাল হতে না হতেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল দেখতে কে যায় তাদের বাড়ির দোর পেরিয়ে। তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বুড়ো আর বুড়ি হঠাৎ দেখে কী একটা ঘোড়া। তাও আবার বুড়ো ঘোড়া। হাড় পাঁজরা গোনা যায়। বুড়ো ঘোড়াটাকে ধরে বুড়ো আর বুড়ি নিয়ে এল তাদের আঙিনায়। ঘোড়াটাকে সাজালে নতুন জিন দিয়ে। পরাল সোনার রেকাব তারপর চুনকুমারীকে সাজিয়ে গুজিয়ে ঘোড়ার পিঠে বসিয়ে দিলে। চুনকুমারীকে বলে দিল, ‘ঘোড়া তোকে যেখানেই নিয়ে যাক, যে দিকেই নিয়ে যাক মুখটি খুলবি না। রা-টি কাড়বি না। আর নিজের চুনকুমারী নামটিও বলবি না।’ ঘোড়া পথে বেরোল। পিঠে চুনকুমারী। যতদূর দেখা যায় বুড়ো-বুড়ি সেই দিকে চেয়ে রইল। বহুক্ষণ চলে গেল। অনেকক্ষণ হয়ে গেল। বুড়ো-বুড়ির চোখ আর ফেরে না।

এদিকে হয়েছে কী, ঘোড়াটা তো ছিল রাজামশাইয়ের ঘোড়াশালের ঘোড়া। বুড়ো হয়ে গেছে তাই তাড়িয়ে দিয়েছে।

ঘোড়া চুনকুমারীকে পিঠে নিয়ে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। শেষকালে ঘোড়া এসে হাজির হল রাজপ্রাসাদে। রাজার লোকজন তো দেখামাত্রই চিনতে পারল। খালি বুঝতে পারল না ঘোড়ার পিঠে কেমন করে এল অমন সুন্দর একটি মেয়ে। একজন তো দৌড়ে গেল রাজার দরবারে। গিয়ে বললে, ‘সে এক কাণ্ড হুজুর, সে এক কাণ্ড! আপনার ঘোড়াশালের বুড়ো ঘোড়াটা আবার ফিরে এসেছে। তার পিঠে আনকোরা নতুন জিন। আর দু’পাশে ঝুলছে সোনার রেকাব। তার পিঠে বসে আছে পরমাসুন্দরী এক কন্যা।’

রাজামশাই হুকুম দিলেন, ‘বুড়ো ঘোড়াকে আবার আমার আস্তাবলে জায়গা দেওয়া হোক। আর ওই পরমাসুন্দরী কন্যাকে নিয়ে এসো আমার কাছে।’

তাই হল। চুনকুমারীকে দেখে তো রাজামশাই এক্কেবারে থ। সেই যে মুখ হাঁ হল আর সে মুখ বন্ধ হল না। তবে একটা জিনিস রাজার মনমতো হল না। কন্যা পরমাসুন্দরী বটে, তবে হাসেও না, মুখও খোলে না, রাও কাড়ে না। যেন বোবা। রাজামশাই কত চেষ্টা করলেন কথা বলাতে— জিজ্ঞেস করলেন, কার মেয়ে, কোথা থেকে এল, কে বা তাকে ঘোড়ার পিঠে বসালে, কে বা তাকে ওদেশে পাঠালে, কিন্তু কোনও জবাবই পেলেন না। চুনকুমারী কিছুতেই মুখ খোলে না। যখন কেউ কোত্থাও ধারে কাছে থাকে না তখন চুনকুমারী নিজের মনে মনে কথা বলে। রাজামশাই রানিমার সঙ্গে পরামর্শ করলেন। ঠিক হল চুনকুমারীকে তাঁদের কাছেই রাখবেন। এক্কেবারে চোখে চোখে রাখা হবে। দেখি তার কথা ফোটে কি ফোটে না। অনেক দিন না অল্প দিন। অল্প দিন না অনেক দিন পেরিয়ে গেল। চুনকুমারী এখন বড় হয়েছে। লাবণ্য আর ধরে না। রাজার এক ছেলে ছিল। রাজপুত্রের চোখ পড়ল চুনকুমারীর দিকে। একদিন বিয়ে করে নিল। সবাই ভাবলে এবার চুনকুমারী মুখ খুলবে। ওমা কী বলব চুনকুমারী আরও চেপে মুখ বুজে রইল। রাজপুত্র ক’দিন আর বোবা বউয়ের সঙ্গে ঘর করবে। দিল বউকে প্রাসাদের বারমহলে পাঠিয়ে। আর দেখেশুনে নিজে আবার বিয়ে করল।

চুনকুমারী নিজের ঘরেই একা একা থাকে। আর নিজের মনেই কথা বলে। একদিন হয়েছে কী রাজবাড়ির এক দাসী ভাবলে সুন্দরী রানি কী কথা কয় শুনতে হবে। দলবল জুটিয়ে এসে চুপিচুপি দাঁড়াল দরজার কাছ ঘেঁষে। তারপর পরদায় কান ঠেকিয়ে, চোখ লাগিয়ে দাঁড়িয়ে রইল।

চুনকুমারী সেলাই করার কাঠের ফ্রেমদুটো হাতে ধরলে। তারপর বললে,

‘আমি চুনকুমারী

হুকুম করি,

লাগ্ লাগ্ লাগ্

কাপড় লাগ্।’

দাসীরা মুচকি হেসে ফিসফিস করলে, ‘মেয়ের নাম তবে চুনকুমারী।’ কোথা থেকে একটুকরো কাপড় এসে ফ্রেমে এঁটে গেল। চুনকুমারী আবার বললে, ‘লাগ্ লাগ্ লাগ্ সুতো লাগ্।’ অমনি নানা রঙের সুতো এসে নিজে নিজেই ছুঁচের ভিতর ঢুকে গেল। এসব কাণ্ড দেখে দাসীদের মুখ হাঁ। চুনকুমারীর মুখের কথা খসতে না খসতেই সব হয়ে যাচ্ছে! এবার চুনকুমারী ফ্রেমটা হাতে তুলে সেলাই করতে শুরু করল। সেলাই করছে তো করছেই। হঠাৎ কেন জানি না তার ভারী রাগ হল ছুঁচটার ওপর। দিলে ছুড়ে ফেলে ছুঁচটা একদম চৌকাঠ পেরিয়ে। একটু পরেই চুনকুমারীর রাগ পড়ে গেল। আদর করে ছুঁচটাকে ডাকলে ‘আয় আয় ফিরে আয়।’ ছুঁচ কিন্তু নড়েও না চড়েও না। চুনকুমারী তখন একটা ছুরি নিয়ে নিজের নাকটা ঘ্যাঁচ করে কেটে ফেলল। আর বলল, ‘যা নাক ছুঁচ নিয়ে আয় তো।’ নাক চলল ছুঁচ আনতে। নাক ছুঁচটি নিয়ে ফিরে এল। চুনকুমারী ছুঁচ হাতে নিলে আর কাটা নাকটা বসিয়ে দিল ঠিক জায়গাটিতে। বলল, ‘লাগ্ লাগ্ লাগ্।’ লেগে গেল নাক ঠিক জায়গাটিতে। সুন্দরভাবে জুড়ে গেল। না এদিক না ওদিক।

এই অদ্ভুত কাণ্ড দেখে তো দাসদাসীর চক্ষু চড়কগাছ। তারা ছুটল রাজপুত্রের নতুন বউয়ের কাছে। গিয়ে সবিস্তারে সব বললে। আমিই বা কম কীসে ভাবে রাজপুত্রের নতুন বউ। দাসদাসীদের মুখে বললে, ‘অবাক হবার আর কিছু পেলি না, এতে চোখ কপালে তোলবার কী আছে? ভাবছিস আমি পারি না? দেখি একটা সেলাই করবার ফ্রেম আন তো। আমিও দেখিয়ে দিচ্ছি জাদু কাকে বলে।’

দাসীরা তখুনি গিয়ে নিয়ে এল সেলাই করবার সবচেয়ে ভাল একটা ফ্রেম। রাজপুত্রের নতুন বউ হুকুম দিল, ‘লাগ্ লাগ্ লাগ্ কাপড় লাগ্।’ কোথায় কাপড়? কাপড় যেমন ছিল তেমনি রইল। নতুন রানি এবার বলল, ‘সুতো লাগ্ লাগ্ লাগ্’, সুতো নড়েও না চড়েও না। এবার রানি দাসীদের বলল, ‘কথা শুনছে না যখন, তখন ফ্রেমে কাপড় এঁটে সুতো পরিয়ে দে।’ বউরানির হুকুম। দাসীরা কাপড় এঁটে ছুঁচে সুতো ভরে রানির হাতে দিল। রানিমা সেলাই শুরু করল। সেলাই করছে তো করছেই, করছে তো করছেই। একটি ফোঁড়ও ওঠে না। তারপর হঠাৎ খেপে গিয়ে দিল ছুঁচটাকে দূর করে ছুড়ে ফেলে। তারপর মেজাজ ঠান্ডা হল, রাগ পড়ল। এবার রাজপুত্রের নতুন বউ নরম সুরে ছুঁচটাকে ফিরে ডাকল। ছুঁচ নড়েও না চড়েও না। যেখানে ছিল সেইখানেই পড়ে রইল। নতুন বউ ছুরি আনালে, নিজের নাক কাটলে। উঃ সে কী রক্ত! তারপর কাটা নাকটাকে পাঠালে ছুঁচ আনতে। কী বলব নাকও নতুন বউয়ের কথা গ্রাহ্যই করল না। পড়েই রইল— নড়েও না চড়েও না। দাসীরা গেল ভীষণ ঘাবড়ে। চট করে একজন এসে কাটা নাকটা তুলে নিল। তারপর নতুন রানির কাটা নাকের উপর বসাতে কত চেষ্টা করল। কিন্তু কী বলি— নাক তো আর বসে না। পড়ে পড়ে যায়। রাজপুত্রের নতুন বউয়ের ভারী লজ্জা হল। নাকের ব্যথায় মরোমরো। রাজপুত্রের কানে গেল নতুন বউয়ের ভারী ব্যামো। রাজপুত্র এল দেখতে। এসে ব্যাপার দেখেশুনে দিল বউটাকে দূর করে তাড়িয়ে। আর আর-এক বউ বিয়ে করে তক্ষুনি আনল ঘরে।

বেশ কিছুদিন কেটে গেছে। রাজবাড়ির দাসীদের ভারী ইচ্ছে হল দেখবে চুনকুমারী কী করছে। এবার দেখলে আরও মস্ত জাদু। অবাক কাণ্ড। চুনকুমারী হুকুম করল, ‘লাগ্ লাগ্ লাগ্ চুল্লি গরম হ।’ অমনি চুল্লি গরম হল। আগুন জ্বলল। চুল্লির তাপ চারিদিকে ছড়িয়ে গেল। তারপর চুনকুমারী তার লম্বা লম্বা সোনালি চুলের গোছা দিয়ে বাঁধলে বিনুনি। তারপর বিনুনি দিয়ে সারা চুল্লি সাফা করল। তারপর বলল, ‘লাগ্ লাগ্ লাগ্— ময়দা চাই।’ ময়দা এল, ময়ান দেওয়া হল, ময়দা মাখা হল। ময়দা ঠাসা হল এমনকী রুটিও হয়ে গেল রাজকুমারীর হুকুমে। যা চায় চুনকুমারী তাই হয়।

ইচ্ছে করে মুখে বলে

সব হয়ে যায় জাদুর বলে।

এবার বললে ঘি গরম হ। ঘি কড়াইতে গিয়ে বসল চুল্লির ওপর। ঘি গরম হল। চুনকুমারী দিল তার হাতটা ডুবিয়ে। বেশ এপিঠ ওপিঠ করে ভাজল। তারপর টেনে তুলল কী বলো তো? দুটো বড় বড় মাছ। এপিঠ ওপিঠ বেশ মুচমুচে ভাজা। এই না দেখে দাসদাসীরা আবার ছুটল রাজপুত্রের নতুন বউয়ের কাছে। সব কথা খুলে বলল। কিছু বাদ দিল না।

নতুন বউ ভাবলে, আমিই বা কম কীসে? দাসদাসীকে ডেকে বলল, ‘আমিও অমন করতে পারি।’ নতুন বউ কত চেষ্টাই করল। কই চুল্লি তো নিজে নিজে ধরল না। দাসদাসীরা ধরিয়ে দিলে। নতুন বউ এবার বেণি বাঁধলে চুল্লি সাফ করলে। কিন্তু তার তো আর চুনকুমারীর মতো লম্বা লম্বা চুল নেই। মাঝখান থেকে যে ক’গাছি চুল ছিল তাও গেল পুড়ে। দাসদাসীরা কড়া নামালে, ঘি ঢাললে। ঘি গরম হল। এবার মাছ ভাজা হয়ে উঠবে। নতুন বউ দিলে গরম ঘিয়ে হাত ডুবিয়ে। ‘উ…হু…হু…হু’ উঃ সে কী জ্বালা! নতুন বউ তক্ষুনি হাত তুলে নিল। এত জ্বালা কী করবে ভেবে পায় না। পাগলের মতো মাথা নাড়ে, গামছা দিয়ে হাত জড়ায়, তারপর পালঙ্কে শুয়ে সে কী গোঙানি। সন্ধ্যা হল। রাজপুত্র ঘরে ফিরল। দেখে কী নতুন বউ এমন কাণ্ড করেছে যে প্রাসাদসুদ্ধু, রাজ্যসুদ্ধু লোক ভয়ে অস্থির। রাজপুত্র আবার দিলে এই বউকেও বাড়ি থেকে বের করে। আর দরকার নেই বউয়ে। ঠিক করল একাই থাকবে।

অনেক দিন হল না, অল্প দিন হল, অল্প দিন হল না, অনেক দিন হল কে জানে। হঠাৎ একদিন দেশে যুদ্ধ লাগল। যুদ্ধ বেধেছে। রাজপুত্র যাবেন যুদ্ধে। লোকলশকর, সৈন্যসামন্ত, ঘোড়া, যোদ্ধা সব প্রস্তুত। বর্শা চকচক। তলোয়ার ঝনঝন। ঘনঘন হ্রেষাধ্বনি। ঘোড়ার দল উত্তেজিত। মাটি খুঁড়ছে। তর সইছে না। রাজপুত্রের মনে কিন্তু ফূর্তি নেই। মনের দুঃখে মাথা হেঁট। বড় রাজা, রানিমা সবার মনে দুঃখ। ছেলে যাচ্ছে যুদ্ধে আর তাকে বিদায় জানাবার জন্য না আছে ছেলেমানুষ বউ, না আছে তার সখীর দল। কিন্তু কী আর করা যায়। রাজপুত্র মা বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলল যুদ্ধে। শত্রু নিধনে। সন্ধ্যা হয় হয়। রাজপুত্র এসে পৌঁছোল এক খোলা মাঠে। সেখানেই রাত কাটাবে। লোকজনরা রাজপুত্র সৈন্যসামন্ত সকলের খাবার জোগাড় করলে। খানাপিনার সুন্দর ব্যবস্থা। রাজপুত্রের খাবার জায়গায় রাখলে দুটো পানপাত্র। ওমা পানপাত্র দুটো নড়ে নড়ে চলে। ঠোকাঠুকি করে। শুরু করল তারা খোসগপ্প।

১ নং শুধোয়, ‘কে গো তোমায় মদ দিয়ে ভরে দিলে?’

২ নং উত্তর দেয়, ‘চুনকুমারী।’

১ নং বলে, ‘আমাকেও ভরে দিয়েছে ওই চুনকুমারী।’

রাজপুত্র তো পানপাত্রের কথা শুনে হতবাক। কোথা থেকে এল চুনকুমারী? আর কেনই বা সে পাত্র দুটো মদ দিয়ে ভরে দিলে? লোকলশকর, সেপাই-সামন্ত সবাইকে জিজ্ঞেস করে। তারা বলে, ‘ওমা চুনকুমারীকে চেনেন না। চুনকুমারী তো ছিল আপনারই বউ।’

রাজপুত্র ভারী খুশি। বলল, ‘দেখো, কথাটা মনে রেখো। যুদ্ধ শেষ হলে যখন ঘরে ফিরব তখন আমাকে মনে করিয়ে দেবে।’

যুদ্ধ শেষ। রাজপুত্র লোকলশকর সৈন্যসামন্ত নিয়ে ঘরে ফিরল। লোকজন কিন্তু সেই কথাটা ভোলেনি। ঠিক খেয়াল রেখেছে। তারা প্রাসাদে পৌঁছেই রাজপুত্রকে মনে করিয়ে দিল চুনকুমারীর কথা। রাজপুত্র তক্ষুনি গেল চুনকুমারীর ঘরে। জিজ্ঞেস করলে, ‘ওগো সুন্দরী, বলো তো তোমাকে চুনকুমারী বলে কেন?’

চুনকুমারী বলে ডাকতে শুনেই চুনকুমারী সব কথা খুলে বলল। বলল সেই বুড়ো-বুড়ির কথা। রাজপুত্র তো তখন ভারী খুশি। ধুমধাম করে আবার বিয়ে করল চুনকুমারীকে। সারা দেশের লোকের আর আনন্দ ধরে না। পালকি পাঠিয়ে রাজপুত্র আনিয়ে নিলে চুনকুমারীর বাবা মা সেই বুড়ো আর বুড়িকে।

তারপর তিন দিন তিন রাত্তির সে কী নাচ-গান, খানাপিনা। এমনটি আর এ অঞ্চলে কেউ দেখেনি।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *