শেষ মাতঙ্গী

শেষ মাতঙ্গী

মাতঙ্গী পালিয়ে গেছে। রঙ্কার প্রথম সন্তান ভগর ঔরস-এর কন্যাটি পালিয়ে গেছে। গহনে আরও গহনে। সম্ভবত যেখানে কালো লোকেরা থাকে। ওদের দস্যু বলা হয়। কেউ কেউ মাতঙ্গীকে এমনি এক দস্যুর সঙ্গে দেখেছে। রঙ্কা চুপ করে থাকে। সে জানে। সব জানে। নিমেষের অত্যাচার যেমন তার সইছে না, তেমন তার মেয়েরও সইত না। নিমেষ বোধহয় নিজেকে সর্বশক্তিমান ভাবে। সে যা চায় তা-ই পাবে, তা-ই তাকে দিতে হবে। সে যা পছন্দ করে না, তা পল্লিতে হতে পারবে না। রঙ্কার জন্য মধুরাকে মারল, গোঁয়ার রঙ্কাকে বশ করতে পারল না। তাকে সবসময়ে বেঁধে রাখত। হাতের কবজিতে বাঁধন, পায়ের গোছে বাঁধন, গলায় পর্যন্ত একটা আলগা বাঁধন গোরুর মতো। যখন চাইল রঙ্কাকে সে নিল। রঙ্কা দাঁত দিয়ে কামড়ে তাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে, নিমেষ হেসেছে খালি। আর নিমেষের দেখাদেখি দলের পুরুষগুলি তাদের নারীদের ওপর প্রভুত্ব করে চলেছে। কোথায় গেল সেই সব মত্ত মধুর দিন যখন মুক্ত আকাশের তলায় চরত মুক্ত মানুষের দল। নিয়ম থাকত, আরক্ষা দিত নেত্রী। কিন্তু সেটুকু বাদে সবাই স্বাধীন। এখন নারীগুলি শস্য প্রস্তুত করে, শস্যঘরের পরিচর্যা করে, খাদ্য প্রস্তুত করে, শিকারে যাওয়া নিষেধ। সব নারী কোনও না কোনও পুরুষের অধিকারে। এক পুরুষের একাধিক নারী থাকছে, নারীর একাধিক পুরুষ থাকছে না। বৎসগুলি আর গোষ্ঠীর নয়, কে রঙ্কার, কে শল্লার, কে বভ্রুর এবং সবাই সমস্ত গোষ্ঠীর—এমন আর নেই। কে নিমেষের, কে শষ্পর, কে জনারের, কে কল্পর—এইরকম। এক নির্দিষ্ট পুরুষ ছাড়া অন্য কারও সন্তান গর্ভে ধারণ করা অনাচার—রটাচ্ছে নিমেষ। এবং তাই— মাতঙ্গীকে সে দেখতে পারে না। সপাসপ বেতগাছের লতানে ডাল দিয়ে সে মাতঙ্গীকে মারত, কত ছোট থেকে। মাতঙ্গী রঙ্কারই মেয়ে, সে একটু বড় হতেই আর ঘরে থাকত না। কেন থাকবে? মায়ের হাতে পায়ে বাঁধন। মুখে অব্যক্ত সব ধ্বনি দিয়ে রঙ্কা শুধু তার মেয়েকে আদরই করতে পারত। মাৎ মাৎ মত্ত মাতঙ্গ। ভগের কন্যা ভগিনী অগিনী অগ্নি। রঙ্কার মেয়ে, রক্ষার কন্যা, অশোকগাছের ফুল আমার, বটবৃক্ষের মূল…এমন কত কথা। তা থেকেই আধো-আধো বোল ফুটল মেয়ের। দিনে দিনে বন্দিনি থেকে রঙ্কা দুর্বল হয়ে গেছে, নিমেষ তাকে কম খাবার দেয়। যাতে শরীরে শক্তি না হয়। এখন সে কেমন ফ্যাকাশে, নির্জীব, তিন চারটি সন্তান নিমেষের ঔরসে হয়েছে, সে তাদের রক্ষা করতে পারেনি। দুর্বল, অসন্তুষ্ট, রুষ্ট মায়ের দুর্বল সন্তান। মরে গেল দুটো, আর দুটো নিমেষ সূর্যা বলে এক নারীকে দিল রক্ষা করতে। রঙ্কার কুটিরে এখন সেই-ই বিরাজ করছে। রঙ্কাকে এখন প্রহার করা ছাড়া আর কোনও কারণে দরকার পড়ে না নিমেষের। সে সূর্যাকে নিয়েই থাকে, ওষধি বলে আরও একটি অতি অল্পবয়সি মেয়ে আসছে আজকাল। সগর্বে নিমেষ বলে থাকে, আরও আসবে, আরও নারী আনব। আমার সেবা করবে, ঘর দেখবে, শস্য দেখবে, এত সন্তান ধারণ করবে যে এই পুরো গ্রামটাই নিমেষের হয়ে যাবে। যে যেখানে আছে সব নিমেষের সন্তান।

দুর্জনের সন্তান দুর্জনই হবে—মনে মনে বাঁকা হাসি হেসে হেসে বলে রঙ্কা। সে মাঝে মাঝেই দাঁত দিয়ে তার হাতের বাঁধন দুটি কামড়ে কামড়ে ক্ষইয়ে ফেলে, কিন্তু নিমেষ অসম্ভব চতুর। সে প্রতিদিন এসে বাঁধনগুলো পরখ করে। ক্ষয়ে গেলে নতুন বাঁধন পরায়।

একদিন সে বলেছিল—আমাকে দিয়ে আর তোর কী দরকার মিটবে? ছেড়ে দে না এবার! নিমেষ ক্রূর কুটিল অট্টহাসি হাসে। বলে— এই ভাবেই তুই শূন্যে চলে যাবি রঙ্কা, আমার কথা শুনলে আমি যেমন নেতা তুই তেমন নেত্রী হতে পারতিস। শুনলি না। না শোনার শাস্তি তোকে পেতে হবে। আর গ্রামের বাকি সব নারীও দেখুক নিমেষের মতো পুরুষকে অবজ্ঞা করলে কী অবস্থা হয়। তা ছাড়া তুই মাতঙ্গীর মেয়ে রঙ্কা, মধুরাকে পর্যন্ত বশ করেছিলি। ছেড়ে দিলে এখনও কী ঘটাতে পারিস কে জানে! থাক, এই ভাবেই থাক।

সূর্যাকে মিনতি করে রঙ্কা—আমার একটা বাঁধন অন্তত খুলে দে, এই যে একই স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করছি। তোকেই তো পরিষ্কার করতে হয়। দে না খুলে!

সূর্যা বলে—নিমেষ আমায় পাথর ছুড়ে মেরে ফেলবে।

—ঠিক আছে, এখন থেকে নিমেষ দুটো জিনিস পাবে, ঘৃণা আর ভয়। মাঝখানে কিছু থাকবে না। কোনও নারী আর তাকে ইচ্ছে করবে না, বাধ্য হবে খালি। কোনও দিন কোনও নারীর চোখে স্নেহ দেখবে না নিমেষ, কোনও দিন না। জন্ম চলে যাবে, রঙ্কা সূর্যা ওষধিরা শূন্যে চলে যাবে, তাদের জায়গা নেবে মাতঙ্গী, সোমা, ধৃতিরা—কেউ, কেউ নিমেষদের স্নেহ দেবে না, অধীনত্ব করবে খালি, বাধ্য হয়ে।

সেই সময়ে সদ্য-তরুণী মাতঙ্গী তার শবরবঁধুর সঙ্গে একটি ঝরনার ধারে খেলা করছিল। এখনও তার সারা গায়ের কালশিটে দাগ সব জায়গায় মেলায়নি। সেই জায়গাগুলোয় শবর হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল। সে মাতঙ্গীকে এখনও লুকিয়ে রাখে। সাদা মেয়ে নিয়ে গেলে তাদের কিল্লিতে কী প্রতিক্রিয়া হবে সে জানে না। তারা সাদাদের ভয় করে। ঘেন্না করে। এই হল্লও তাই-ই করত। একদিন শিকার খেলতে খেলতে অনেক দূরে চলে এসেছে, ঝরনার ধারে দেখে বিদ্যুতের মতো এক কিশোরী যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। কী হল? একে কি কোনও পশুতে আহত করেছে? সে নিচু হয়ে দেখল, পিঠময় ঘা, বুকের ওপর নীল নীল রেখা। হাত নাড়তে পারছে না, মচকে গেছে। হল্ল দিনের পর দিন তার শুশ্রূষা করল, এখন আর ঘা নেই, শুকিয়ে গেছে। দাগগুলিও নেই, কিন্তু কালশিটে সব যায়নি। কে মেরেছে?

—আমাদের নেতা—নিমেষ।

—কেন? কী দোষ করেছিলি মেয়ে?

—কোনও দোষ নয়। শুধু জন্মেছিলুম, আমার বাবা ছিল মহান, মানুষের রোগ সারাত, তাকে মেরে ফেলে, আমার আরেক বাবা চাঁদসূর্য পড়তে পারত, তাকে মেরে ফেলে, আমার মাকে লতা দিয়ে শক্ত করে বেঁধে রেখেছে নেতা। আমি তার সন্তান নই বলে আমাকে প্রহার করে!

—বটে! হল্ল রেগে যায়। আবার আশ্চর্যও হয়। এরকম তো তাদের হয় না! তবে হ্যাঁ, ভিন্ন গোষ্ঠীর মেয়ে বা ছেলে পছন্দ করলে রে রে করে ওঠে সবাই। সাদা মেয়ে নিয়ে কী হতে পারে তা তার কল্পনায় নেই। কাজেই ঝরনার কাছাকাছি কুটির করে থাকে মেয়েটি। এখন ফলমূল সংগ্রহ করা, একটু-আধটু শিকার করার মতো বল হয়েছে। সে মোটামুটি নিশ্চিন্ত। কিন্তু মেয়েটি তাকে এমন টান টানে যে সে প্রতিদিন কিছুটা সময় না এসে থাকতে পারে না।

সেদিনও তারা ঝরনার ধারে খেলছিল, কোনও দিকে নজর ছিল না। হঠাৎ অদূরে একটা তির এসে বিঁধে গেল। বাতাসের মধ্যে দিয়ে শাঁৎ করে আসার শব্দটা সে পেয়েছিল। মাথা তুলে হল্ল দেখে, তাদের সর্দার জনাই। কঠিন চোখে সে হল্লর দিকে তাকিয়ে আছে। হল্ল তাড়াতাড়ি দুহাত তুলে ছুটে গেল—মেরো না সর্দার, মেরো না, ও মেয়েটিকে ওরা মেরে দল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। ভীষণ আহত ছিল, কোনওক্রমে বেঁচেছে।

জনাই কঠিন স্বরে বলল—সাদা মেয়েরা বহুরকম মায়া তুকতাক জানে। জেনেশুনে তোর মতো বুদ্ধিঅলা ছেলে মায়াবিনীর হাতে ধরা দিলি?

মাতঙ্গী উঠে দাঁড়িয়েছিল, হঠাৎ সে ছুটে গিয়ে জনাইয়ের কাছে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল। সে এখন কিছু কিছু শবর-বাক জানে। বলল—আমি মায়াবিনী নই। আমার বাবা গাছপালার গুণ জানত, আমার বাবা চাঁদসূর্যের রহস্য পড়তে পারত। নিমেষ হিংসে করে তাদের মেরে ফেলেছে, আমার মাকে বেঁধে রেখেছে। আমাকে ভীষণ মারত। আমি পালিয়ে এসেছি। আমায় আশ্রয় দাও।

—তুই ডাইনি নোস? ঠিক তো!

—বিশ্বাস করো, আমি তুকতাক জানি না।

কিন্তু বললে কী হবে, হল্ল এবং জনাই অনেক পরামর্শ করে অবশেষে তাকে নিজেদের কিল্লিতে স্থান দিলে কী হবে, মাতঙ্গী একলাই কুটিরে থাকে। কেউ তার সঙ্গে মেশে না। সে বনবাদাড় ঢুঁড়ে ফেরে ওষধির খোঁজে, অবিকল তার বাবা ভগর মতো। ঘরে ফিরে এসে সব বাছে, আলাদা আলাদা করে সেদ্ধ করে। কীসের কী গুণাগুণ। হল্লদের কিল্লিতে এক বৃদ্ধাও গাছপালার গুণাগুণ জানত। সে একদিন রটিয়ে দিল—সাদা মেয়েটা ডাইনি। ও যেসব গাছপালা জড়ো করছে, সবেতে নাকি বিড়বিড় করে মন্ত্র পড়ে। সাদারা ওকে পাঠিয়েছে তাদের, শবরদের নিস্তেজ করার জন্য। জনাই লোক ঠিক করল—মাতঙ্গীর ওপর চোখ রাখবার জন্য।

মাতঙ্গী হরিণের সঙ্গে খেলা করছে। তার কাঁধে খরগোশ, কোলে খরগোশ, জলের সময় আসছে। আকাশে ঘন নীল মেঘ। ময়ূর কাঁ কাঁ করে ডেকে উঠল, মাতঙ্গী শুনল মা মা। ছোট থেকে সে বনে ঘুরে ঘুরে বড় হয়েছে। পশুপাখিদের ভাষা সে অন্যদের চেয়েও ভাল বোঝে। সে চট করে উঠে লুকিয়ে পড়ল, আর তার কিছু পরেই তির-ধনুক নিয়ে এক সাদা তরুণ, ঝরনার জলে জল খেতে নামল। ও কী? ও যে কুরঙ্গ—তার ভাই। তার আপন মায়ের পেটের ভাই।

মাতঙ্গীর মনে হল তার বুকটা ফেটে যাচ্ছে। একবার—একবার তার নিজের ভাইয়ের সঙ্গে সে কি কথা বলতে পাবে না? মা? মা কি এখনও আছে? নিমেষ আর কত অত্যাচার করবে?

মৃদুস্বরে সে ডেকে উঠল—কুরঙ্গ?

চকিতে পেছন ফেরে কুরঙ্গ। গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে মাতঙ্গী।

—তুই বেঁচে আছিস মাতঙ্গী? মাতঙ্গী! মাতঙ্গী! কুরঙ্গ চোখে কুয়াশা নিয়ে ডাকে। হতে পারে সে নিমেষের বলাৎকারের জাতক, হতে পারে তাকে সূর্যা বড় করেছে, কিন্তু সেও তো রঙ্কারই ছেলে! মায়ের পরিচয়ই পরিচয়। বাবা কে? বাবার ভূমিকা অস্পষ্ট।

—আছি। তোদের খবর কী? মাতঙ্গী জিজ্ঞেস করল। কোনও না কোনও দিন সে রঙ্কাকে মুক্ত করবেই।

—সুখের কথা, নিমেষের চুলগুলি সাদা সাদা হয়ে এসেছে।

—তাতে কী হবে?

—এবার যে কোনও দিন…কেমন সুদূর দুবোর্ধ্য একটা হাসি হাসে কুরঙ্গ।

—যে কোনও দিন কী?

জবাবে কুরঙ্গ নিজের হাত বুকের পেশিটা ফুলিয়ে দাঁড়াল। উঁচু পাথরে একটি পা, নিচু পাথরে আরেকটি পা, তার ওপর দিয়ে কুলকুল করে ঝরনার জল বয়ে যাচ্ছে। মাথার ওপর ময়ূর কাঁ কাঁ করে উঠল, ভাইবোন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, ‘যে কোনও দিন কী’ কুরঙ্গর আর বলা হল না। একটি দীর্ঘ তির তার দেহ ফুঁড়ে বেরিয়ে গেল। বিষাক্ত তির, যাকে বলে লিপ্তক। যন্ত্রণার্ত বিস্মিত চোখ দুটি একবার ওপরে তুলল কুরঙ্গ, তারপর আছড়ে পড়ল ঝরনার জলে।

কুরঙ্গ! কুরঙ্গ! মাতঙ্গী ভাইয়ের বুকের ওপর তার ক্ষতস্থান ঢাকতে যায়, গলগল করে রক্ত বেরিয়ে আসে। ওঠো কুরঙ্গ, আমি এখুনি ওষধি আনছি, কুরঙ্গ ক্রমশ নীল হয়ে যেতে থাকে। এবং আস্তে আস্তে মাতঙ্গীকে ঘিরে দাঁড়াতে থাকে একটার পর একটা কালো কালো ছায়া। নিঃশব্দে।

—এ আমার ভাই। একে মারলে কেন?—তেড়ে ওঠে মাতঙ্গী।

কেউ জবাব দেয় না। তার মুখের ওপর হাত চাপা দিয়ে টেনে নিয়ে যেতে থাকে। জনাই গম্ভীর গলায় বলে—আমি তো বলেইছিলাম হল্ল, ওকে সাদারাই পাঠিয়েছে। আমাদের সুলুক-সন্ধান দিতে। নজর রেখেছিলাম বলেই না আজ ধরা পড়ল!

হল্ল বিশ্বাস করতে পারে না। কিন্তু যা নিজের চোখে দেখেছে তা অবিশ্বাসই বা করে কী করে? সে মিনতি করে, মাতঙ্গীকে আর একটা সুযোগ দেওয়া হোক। সে কী বলতে চাইছে শোনা হোক। কিন্তু তাতে হল্লকেই সবাই মারতে যায়। খুঁটির সঙ্গে বেঁধে চারপাশ থেকে আগুন জ্বেলে মাতঙ্গী ডাইনিকে পুড়িয়ে শেষ করে দেওয়া হয়। ঢোল বাজে, চিৎকার করে আনন্দ করতে থাকে সবাই। বৃদ্ধাটি ফোকলা দাঁতে হেসে বলে—বলেছিলাম। তোরা বিশ্বাস করিসনি। ওই দেখ ডাইনি পোড়ানো আগুনটাসুদ্ধু কেমন সাদা হয়ে জ্বলছে।

তেমন কিছু কেউ দেখতে পেল না। কিন্তু সবচেয়ে বয়স্ক বুদ্ধিমতী বুড়ি, যে নাকি সকলের রোগ সারায়, তার কথা কি অবিশ্বাস করা যায়? সবাই বলতে লাগল দেখ, দেখ কেমন সাদা আগুন জ্বলছে। ডাইনি পুড়ছে কিনা?

শুধু শিশুগুলি মুখে আঙুল পুরে বোকার মতো চেয়ে রইল। তারা তো হলদে আগুনই দেখছে। কে জানে। বড়দের চোখ যা দেখে, ছোটদের চোখ বোধহয় তা দেখতে পায় না।

এইভাবে বীরাঙ্গনা মাতঙ্গীর বংশ শেষ হয়ে গেল।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *