২২. শামসুর রাহমানের জন্মদিন সমাচার

শামসুর রাহমানের জন্মদিন সমাচার

বাঙালির মুখে উচ্চারিত কথা আর তার মনের ভেতরের অনুচ্চারিত কথা দুই রকম, বলতে গেলে একেবারেই বিপরীত। কারও আনন্দের সংবাদে তার অন্তরটায় তুষের আগুন জ্বলতে থাকে। সে আগুন কখনো চাপা থাকে, কখনো দপ করে জ্বলে ওঠে। বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের মধ্যে হিংসার আগুন আরও বেশি।

৫০ বছর বয়সের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টির পরিমাণ বিপুল। যদি তিনি ৪৯ বছর বয়সে মারা যেতেন অথবা আদৌ নোবেল পুরস্কার না পেতেন, তা হলেও তিনি তার সময়ের বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ লেখক ও কবি। যেকোনো মানুষের মতো রবীন্দ্রনাথও প্রশংসা, সম্মান ও স্বীকৃতি পছন্দ করতেন। শান্তিনিকেতনের তার অনুরাগী ও ভক্তরা তাঁর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাঁকে সংবর্ধিত করার উদ্যোগ নেন। তাঁদের দেখাদেখি তার বিভিন্ন পেশার বন্ধুরাও তাঁকে সংবর্ধনা ও অভিনন্দন প্রদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ওই উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথ মনে মনে খুশি হলেও তাঁর আশঙ্কা হয় সংবর্ধনা উপলক্ষে খরচ ইত্যাদির জন্য প্রয়োজন হবে টাকার এবং সে জন্য চাঁদা তোলা নিয়ে গোল বাধতে পারে। তার ওই আশঙ্কা একেবারেই অমূলক ছিল না।

যখন সংবর্ধনার সিদ্ধান্ত পাকা হয়ে যায়, তখন বিনয়বশত রবীন্দ্রনাথ ইতিহাসবিদ যদুনাথ সরকারকে লিখেছিলেন, এই সমস্ত বাহ্য আড়ম্বরের উদ্যোগ আয়োজনে আমি যে কিরূপ সংকোচ অনুভব করিতেছি তাহা অন্তর্যামীই জানেন।’ অন্তর্যামী সব মানুষের অন্তরের সব কথাই জানেন। কোন ব্যাপারে কে কতটা সংকোচ বোধ করেন আর কতটা সন্তুষ্ট, তা অন্তর্যামীর বিলকুল জানা। রবীন্দ্রনাথের সংকোচটা ছিল এই কারণে যে তিনি তাঁর স্বদেশবাসী ও স্বসম্প্রদায়কে অতি ভালোভাবে জানতেন। তাঁর ভাষায় ‘ঘটা করে তাঁর জন্মোৎসব’ করতে গেলে ব্যয় সংকুলানের জন্য ‘চাদার টাকা লইয়া মনোমালিন্য না হয়েই পারে না। যা হোক, শেষ পর্যন্ত বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে কলকাতা টাউন হলে ‘পঞ্চাশোর্ধ পূর্তি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ১৯১২ সালের ২৮ জানুয়ারি। যদিও তাঁর জন্মদিনটি ছিল আরও কয়েক মাস আগে– ১৯১১ সালের ৬ মে।

রবীন্দ্রনাথের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবর্ধনার আয়োজনে বাঙালি কবিদের ভূমিকা ছিল না বললেই চলে। উদ্যোক্তাদের সবাই ছিলেন গদ্যলেখক, বিজ্ঞানী ও সামন্ত ভূস্বামী। যেমন প্রফুল্লচন্দ্র রায়, জগদীশচন্দ্র বসু, রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, হীরেন্দ্রনাথ দত্ত, বিনয়কুমার সরকার, মনীন্দ্রচন্দ্র নন্দী, ব্রজেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী এবং একমাত্র কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী। কবি-নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় প্রমুখ ছিলেন রবীন্দ্রবিরোধীদের শিবিরে। রবীন্দ্রবিরোধীরা যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পণ্ড করার চেষ্টা করেছিলেন, সে কথা তাঁর জীবনীকার প্রশান্ত পাল লিখেছেন। রবীন্দ্র সংবর্ধনায় কলকাতার একশ্রেণির কবি-সাহিত্যিক সংকীর্ণতার পরিচয় দিয়েছিলেন, তাতে রবীন্দ্রনাথ খুবই ব্যথিত হন।

আমাদের কালের বাংলা ভাষার প্রধান কবি যে শামসুর রাহমান, সে প্রশ্নে তাঁর সমসাময়িকদের অন্তর্দাহ থাকলেও কারোরই সন্দেহ ছিল না। তার একশ্রেণির গুণগ্রাহী (তাঁদের নাম আমি বলব না) তার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাঁকে সংবর্ধিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সে কথা শামসুর রাহমানকে বলায় তিনিও রবীন্দ্রনাথের মতো প্রীত হন বটে, তবে সংকোচও প্রকাশ করেন। সংকোচটা কৃত্রিমও ছিল না। রবীন্দ্রনাথের যে সমস্যা ছিল না, শামসুর রাহমানের সে সমস্যা ছিল। সমস্যাটি হলো তিনি জানতেন না যে তাঁর জন্মদিনটি কবে।

জন্মোৎসব করতে হলে ব্যক্তিটির জন্মের তারিখটি তো জানতে হবে। যদিও আজকাল অনেকেই কোনো একটা তারিখে জন্মদিন উদযাপন করতে সংকোচ বোধ করেন না। শামসুর রাহমানের এক অনুজপ্রতিম (তার নামও আমি বলব না) পরামর্শ দেন, তার আম্মা কোনো রকমে কাছাকাছি কিছু বলতে পারেন কি না। তার আম্মাকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পরে জানান যে, কার্তিক মাসের প্রথম দিকের বুধবার বাচ্চুর জন্ম।

জন্মদিন যে উদ্যপান করার জিনিস, তা শামসুর রাহমানের পরিবারের কেউ জানতেনই না। তাঁর পরম সাদাসিধা স্নেহময়ী আম্মা তো ননই। একটি সূত্রে কার্তিক মাস ও বুধবার পাওয়া যাওয়ার পর তার এক/একাধিক প্রীতিভাজন বাংলাবাজার থেকে লোকনাথ পঞ্জিকা সংগ্রহ করেন। কথিত জ্যোতিষী একজনকে ডেকে আনা হয় দৈনিক বাংলায় শামসুর রাহমানের কামরায়। গুনেটুনে বের করা গেল যে শামসুর রাহমান মর্ত্যধামে চক্ষু মেলেন ১৯২৯ সালের ২৪ অক্টোবর। এটি জানার পর তিনি একটি বিবৃতিমূলক কবিতাই লেখেন : ‘উনিশ শো ঊনত্রিশ সালে চব্বিশ অক্টোবরে/ জন্মেছি ঢাকায় আমি ছায়াচ্ছন্ন গলির ভেতরে/ ভোরবেলা নিম্নমধ্যবিত্ত মাতামহের নিবাসে,’…

[বিচিত্রা, ঈদুল আজহা সংখ্যা, ১৯৮২]

১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ অক্টোবরই যদি জন্মগ্রহণ করে থাকেন, তাহলে এবার এবং এর আগেও অনেক বছর যাবৎ তাঁর জন্মদিন ২৩ অক্টোবর উদ্যাপান হয় কীভাবে? অনেকের তিনটে জন্মদিনও থাকে, কিন্তু শামসুর রাহমানের মাত্র দুটি জন্মদিন হলো কেমন করে? অবশ্য সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহরও তিনটে জন্মদিন পাওয়া গেছে, যদিও তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৫ আগস্ট ১৯২২ সালে। সরকারি কাগজপত্রে তাঁর জন্মদিন ১০ সেপ্টেম্বর ১৯২২। ওয়ালীউল্লাহর ৬০তম জন্মদিন ১৯৮২-তে বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ১০ সেপ্টেম্বরই উদ্যাপন করে।

এবার বাংলা একাডেমি শামসুর রাহমানের ৮৭তম জন্মদিন যথাযথ মর্যাদায় উদ্যাপন করেছে। তার সমসাময়িক কবি-লেখকেরাই ছিলেন বক্তা। আবেগের আতিশয্যে হোক অথবা স্মৃতিবিভ্রাটবশত হোক, ওই অনুষ্ঠানে তাঁর সমসাময়িক এক কবি-কথাশিল্পী সৈয়দ শামসুল হক বলেছেন : ‘শামসুর রাহমান যখন তরুণ ছিলেন তখনো তাঁর জন্মদিনে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। আজও মনে পড়ে, মায়ের কোলে বসে জন্মদিনের খাবার খাচ্ছেন তিনি।’

[সমকাল, কালের কণ্ঠ, প্রথম আলো, ২৪ আগস্ট ২০১৫]

শামসুর রাহমানের সঙ্গে ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে যারা ঘনিষ্ঠ, তাঁরা জানেন ৫০ বছর বয়সের আগে তাঁর বাড়িতে এবং সারা পৃথিবীর কোথাও তাঁর জন্মদিন পালিত হয়নি। তার আম্মা ছিলেন খুবই পরহেজগার মহিলা। যা তিনি জানেন না, কস্মিনকালেও সে সম্পর্কে বানিয়ে বলতে জানতেন না। শামসুর রাহমান তাঁর প্রথম সন্তান। পুত্রের জন্মের সময়টি তার মনে ছিল, দিন-তারিখ ভুলে গিয়েছিলেন। যা হোক, তার ৫০তম জন্মদিন বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চমৎকারভাবে অনুষ্ঠান করে উদ্যপান হয়। সেদিনের সংবর্ধনার অভিজ্ঞানপত্রে বলা হয়েছিল :

‘সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি। আমাদের মধ্যে কবি তুমি নিঃসন্দেহে। দীর্ঘ তিরিশ বৎসরে তারুণ্য থেকে প্রৌঢ়ত্বে যেতে যেতে অনেকখানি পথ, অনেক বাঁক ও বন্ধুরতা পার হতে হয়েছে তোমাকে, কিন্তু কবিতার রাজতিলক তোমার ললাট থেকে কখনো মোছেনি। আমাদের ব্যক্তিক আনন্দ-সংকটে, জাতির গৌরবে কি দুর্দিনে আমাদের হাতে হাত রেখে চলেছে শামসুর রাহমানের কবিতা। আমাদের আনন্দ গর্ব ও ভালোবাসা তাকে নিয়ে।

‘পঞ্চাশ বৎসর বড়ো কম সময় হলো না, তিরিশ বৎসরের একতী কাব্যচর্চাও এদেশে দুর্লভ। সময় ও সাধনার সিদ্ধিতে যিনি জয়ী, কাল তাকে জয়মাল্য পরাবেই; আমরা যারা তোমার সহগামী, সতীর্থ ও অনুজ, এই উৎসবে শরিক হতে পেরে আমরা নিজভাগ্যের কাছে কৃতজ্ঞ।’

সংবর্ধনা সভায় শামসুর রাহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কথাশিল্পী রশীদ করীম তাঁর সংক্ষিপ্ত অভিভাষণে বলেছিলেন :

‘শামসুর রাহমানের কবিতা সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে প্রথমেই মনে পড়ে তাঁর কবিতার প্রবল সমসাময়িকতার কথা, যে কারণে পাঠকের সঙ্গে অবিলম্বেই তার যোগাযোগ ঘটে যায়। এটাও তাঁর অসামান্য জনপ্রিয়তার একটি কারণ। গত তিরিশ বছর ধরে আমাদের এই বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন ও সংকটাপন্ন ঘটনাবলীর কোনো অভাব দেখিনি আমরা। সেই সব মুহূর্তে শামসুর রাহমানের কবিতা প্রায় একজন অভিভাবকের মতোই আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমাদের হৃদয়ে যে আবেগ ও উৎকণ্ঠা স্তব্ধ হয়ে ছিল, তাকে তিনি ভাষা ও প্রাণচাঞ্চল্য দিয়েছেন। জাতির চেতনা শামসুর রাহমানের কবিতার সঙ্গে মিশে গেছে। আবার শামসুর রাহমানের কবিতাও জাতির চেতনার সঙ্গে মিশে গেছে।

‘… কবিতার যে রাজ্যে শামসুর রাহমানের অভিযান, সেই বহির্বিশ্বে তিনি প্রায় দিগ্বিজয়ী। কিন্তু বড় ইচ্ছে হয়, দৃশ্যময়তা, চিত্রময়তা ও গীতময়তার সঙ্গে সঙ্গে আরও একটু নিবিড় চিন্ময়তা তিনি আমাদের মতো তাঁর অজস্র ভক্ত-পাঠক ও অনুরাগীদের উপহার দেন।’

২১২ সদস্যবিশিষ্ট সংবর্ধনা পরিষদে কবি, কথাশিল্পী, চিত্রশিল্পী, চিত্রপরিচালক, নাট্যশিল্পীদের মধ্যে ছিলেন সুফিয়া কামাল, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, হাসান হাফিজুর রহমান, বেলাল চৌধুরী, আখতারুজ্জমান ইলিয়াস, আসাদ চৌধুরী, রফিক আজাদ, নির্মলেন্দু গুণ, শামসুজ্জামান খান, ইমদাদুল হক মিলন, হুমায়ুন আজাদ, সুভাষ দত্ত, ফজলে লোহানী, রামেন্দু মজুমদার, কামরুল হাসান, সফিউদ্দিন আহমদ, কাইয়ুম চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, দেবদাস চক্রবর্তী, নিতুন কুণ্ডু, রফিকুন নবী, সমরজিৎ রায় চৌধুরী প্রমুখ। খাটাখাটনির জন্যও আমার না থেকে উপায় ছিল না।

শামসুর রাহমানের সমসাময়িক যারা সংবর্ধনায় যুক্ত হননি, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সৈয়দ আলী আহসান, আহসান হাবীব, আলাউদ্দিন আল আজাদ, আনিসুজ্জামান, সৈয়দ শামসুল হক প্রমুখ।

সংবর্ধনা উপলক্ষে ব্যক্তিগতভাবে চাঁদাবাজি না করে প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সহায়তা নেওয়া হয়েছিল। টাকা দিয়েছিল অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ ও ফিলিপস লিমিটেড।

৫০তম জন্মদিন ঘটা করে এবং তাঁর অনুজপ্রতিমদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় অতি সুন্দরভাবে উদ্যাপান হলেও তাঁর ৬০তম জন্মদিন উদযাপন কিঞ্চিৎ বিপত্তি ঘটে। সমসাময়িক কেউ এগিয়ে এলেন না। তাঁর সমসাময়িক ও বন্ধুস্থানীয় কেউ এ কথাও আমাদের বলেন, শুধু কি একজনের জন্মদিনই পালন করবেন?

শামসুর রাহমানের ৬০তম জন্মদিন কিন্তু ২৪ অক্টোবর উদ্যপান হয়নি। একদিন পিছিয়ে আনা হয় –২৩ অক্টোবর। ৬০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও তাঁর সমসাময়িক এবং কথিত বন্ধু অনেকেই যোগ দেননি।

শামসুর রাহমান ছিলেন সৎ, সজ্জন ও নিরহংকার মানুষ। ধান্ধাবাজির লেশমাত্র তাঁর মধ্যে ছিল না। জন্মতারিখটি নিয়ে তাঁর মনে খুঁতখুঁত ছিল। এর মধ্যে কলকাতা থেকে তার এক গুণগ্রাহী বা ভক্ত ঢাকায় আসেন। পঞ্জিকা গ্রহ-নক্ষত্র প্রভৃতিতে তার ছিল কিছু জ্ঞান। তাঁর সামনে জন্মদিনের অনিশ্চয়তা নিয়ে কথা ওঠে। কলকাতায় গিয়ে তিনি পাজী-পঞ্জিকা ঘেঁটে এবং জ্যোতিষীদের সঙ্গে কথা বলে জানান, ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবরই পৃথিবীর আলো দেখে থাকবেন শামসুর রাহমান। এখানকার বাংলাবাজারের জ্যোতিষীরাও তাতে সমর্থন দেন। শামসুর রাহমানের জন্মদিন সমাচার সম্পর্কে লিখতে গেলে বসওয়েলের ড. জনসনের জীবনীর মতো একটি প্রকাণ্ড গবেষণাগ্রন্থ লিখতে হয়।

ভারতের রাষ্ট্রপতি জাকির হোসেনের মতো শামসুর রাহমানও বলতেন, ‘আমাকে যখন চোখের সামনে জ্যান্ত দেখতে পাচ্ছেন, তাতে একদিন যে জন্মেছিলাম তাতে কি কোনো সন্দেহ আছে?

শুধু সমসাময়িক হলেই কারও ঘনিষ্ঠ হওয়া যায় না। শামসুর রাহমানের যাঁরা ব্যক্তিগতভাবে ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তাঁরা অনেকে এখনো বেঁচে আছেন। তাঁর জীবন ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে যারা গবেষণা করবেন, তাদের উচিত তাদের থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করা। কোনোক্রমে যেন ভুল তথ্য প্রতিষ্ঠা না পায়। সব মানুষের মতো শামসুর রাহমান শুধু জন্মগ্রহণ করেননি, তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন আমাদের মধ্যে চিরকাল বেঁচে থাকার জন্য।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *