১০. ‘ধ’ চ ‘ম’ কওন কেলা?

‘ধ’ চ ‘ম’ কওন কেলা?

১৭৬১ সালের ১৪ই জানুয়ারি বিকেল। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শেষ হয়ে গেল। আহমদ শাহ আবদালি জিতলেন, মারাঠাদের সর্বনাশ হল। তৃতীয় পেশোয়া বালাজি বাজীরাওয়ের শরীর খারাপ। তিনি যুদ্ধে যাননি, পুনায় ছিলেন। মারাঠিরা বলেন ‘পুনে’। কয়েকদিন পরে তাঁর কাছে যুদ্ধের চিঠি নিয়ে খবর এল। সে-চিঠি সাঙ্কেতিক ভাষায় লেখা। “দুটি মুক্তো গলে গিয়েছে, বাইশটি মোহর হারিয়েছে। রুপো ও তামা যে কত গিয়েছে, তার হিসেব নেই।” দুটি মুক্তো মানে পেশোয়ার বড় ছেলে বিশ্বাস রাও, যিনি বেঁচে থাকলে পেশোয়া হতেন। আর-একটি মুক্তো সেনাপতি সদাশিব রাও। বাইশটি মোহর হচ্ছেন নামকরা সেনাপতিরা। এ ছাড়া পেশোয়া হারিয়েছিলেন পাঁচশো হাতি, পঞ্চাশ হাজার ঘোড়া, কয়েক হাজার উট। সবই দামি জিনিস, কিন্তু পেশোয়ার সে-কথা ভাববার অবসর ছিল না। তিনি এই বিপত্তির খবর সহ্য করতে পারলেন না, অল্পদিনের মধ্যেই মারা গেলেন।

যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দুজন যুবক পালিয়ে এসেছিলেন। না-এলে আরও সর্বনাশ হত। এই দুজন অনেকদিন পর্যন্ত বিদেশীদের ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছিলেন; শত্রু ছিল দেশবাসীদের মধ্যেও। তাদেরও তাঁরা ঠেকান। এই দুজনের একজনের নাম নানা ফাড়নবিস, তিনি যোদ্ধা ছিলেন না, দপ্তরে কাজ করতেন। পরে মারাঠা রাজ্যের সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছিলেন। আর-একজনের নাম মহাদজি সিন্ধিয়া। তিনি গোয়ালিয়রের লোক। ইংরেজরাও পরে এই দুজনকে সমীহ করে চলত।

পেশোয়ার মৃত্যুর পর তাঁর দ্বিতীয় ছেলে মাধব রাও পেশোয়া হলেন। দশ বছর তিনি পেশোয়া ছিলেন। অনেকে বিশ্বাস করেন, মহারাষ্ট্রে যত পেশোয়া হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে তিনিই শ্রেষ্ঠ। বেঁচে থাকলে তিনি মারাঠা রাজ্যগুলিকে হয়তো এক করতে পারতেন। দেশের অনেক উপকার হত। কিন্তু তা হবার নয়। কয়েক বছর ধরে মাধব রাওয়ের শরীর খারাপ হচ্ছিল। ১৭৭২ সালের নভেম্বর মাসে তাঁর জীবন শেষ হয়ে গেল। মৃত্যুর আগে তিনি বলে গিয়েছিলেন যেন তাঁর ছোট ভাই নারায়ণ রাওকে পেশোয়া করা হয়।

পেশোয়া পদের জন্য আর কি কেউ দাবিদার ছিলেন না? ছিলেন বালাজি বাজীরাওয়ের ছোট ভাই, অর্থাৎ নারায়ণ রাওয়ের কাকা রঘুনাথ রাও। পেশোয়ার আসনের উপরে তাঁর দারুণ লোভ ছিল। এমন খারাপ কাজ নেই, পেশোয়া হবার জন্য যা তিনি করতে পারতেন না। কিছুদিন তাঁকে বন্দী করেও রাখা হয়েছিল। আস্তে আস্তে তাঁর বন্দী-দশা শিথিল হয়ে এল। পানিপথের যুদ্ধ যখন হচ্ছে, তখন নারায়ণ রাও যে প্রাসাদে থাকতেন সেই প্রাসাদে তাঁরও থাকবার ব্যবস্থা হয়েছিল। এর ফল ভাল হয়নি।

নতুন পেশোয়া নারায়ণ রাওয়ের বয়স বেশি নয়, মাত্র সতেরো বছর। কিন্তু সেই সময় সতেরো বছরকে খুব কম বয়স ভাবা হত না। অল্প বয়সে কেউ কেউ রাজ্যও চালিয়েছেন ভাল করে। তাঁদের মন্ত্রীরা অবশ্য খুব দক ছিলেন। তখন পুনেতে যিনি প্রায় প্রধানমন্ত্রী হয়ে উঠেছিলেন, রাজ্য চালাবার ক্ষমতা সেই নানা ফাড়নবিসেরও ছিল অসামান্য। নারায়ণ রাও নিজে কিন্তু খুব চৌকস পেশোয়া ছিলেন বলে মনে হয় না। তার মন সতেরো বছরের তরুণের মতো গড়ে ওঠেনি, তার চেয়ে অনেক কম বয়সের ছেলের মতো ছিল। ব্রাহ্মণের ছেলেকে কিছু সংস্কৃত জানতেই হত। তিনি অন্য লেখাপড়াও কিছু-কিছু করেছিলেন। কিন্তু তাঁর ব্যবহার ঠিক পেশোয়া বংশের ছেলের মতো ছিল না। হাসি-তামাশা কিছু দোষের নয়, যদি মাত্রা ছাড়িয়ে না যায়। কিন্তু নারায়ণ রাওয়ের সে-কথা বুঝবার ক্ষমতা ছিল না।

পুনে নগরে পেশোয়াদের কয়েকটি প্রাসাদ ছিল। বাড়ির নাম সপ্তাহের একটি দিনের নামে রাখা হত। পেশোয়া ও তাঁর কাকা যে বাড়িতে থাকতেন, তার নাম শান্‌বারওয়াড়া। ইংরেজিতে অনুবাদ করলে দাঁড়াবে স্যাটারডে প্যালেস। সেইরকম আর-একটি প্রাসাদের নাম বুধবারওয়াড়া। শান্‌বারওয়াড়াই সবচেয়ে বড় প্রাসাদ। কিন্তু দিল্লি, আগ্রা, ফতেপুরসিক্রি যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের কাছে এসব প্রাসাদ চোখে লাগবে না।

বাড়িটি দোতলা। উপরে উঠবার সিঁড়ি খুব সংকীর্ণ। পাছে আক্রমণ হয়, সেই ভয়ে এই সতর্কতা। সরু সিঁড়িতে অল্পলোকই বেশি লোককে ঠেকাতে পারত। সিঁড়ি দিয়ে উঠে দোতলার বারান্দা, সেও প্রশস্ত নয়। বারান্দার পাশে সারি-সারি থাকবার ঘর। বারান্দা থেকে দু’এক ধাপ উঠে ঘরে ঢুকতে হয়। এই বাড়ির দোতলায় ১৭৭৩ সালের ৩০ আগস্ট তারিখে দুপুরবেলা এক বিষম কাণ্ড ঘটে গেল।

অনেকদিন থেকে পেশোয়ার সৈন্যদলে গর্দি বলে এক বিশেষ শ্রেণী থাকত। আরব, খ্রিস্টান সব সম্প্রদায়ের লোকই এতে যোগ দিত। শিবাজির সময়েও তাঁর সৈন্যদের মধ্যে কিছু বিদেশী লোক রাখা হত। সমুদ্রে জাহাজ চালাতে, কামান বন্দুক ছুঁড়তে এদের জুড়ি ছিল না। এদের মাইনেও সাধারণ মহারাষ্ট্রীয় সৈন্যদের চেয়ে কিছু বেশি হত। মাইনে বেশি হলে কী হবে, সে-টাকা নিয়মমত তারা পেত না। পেশোয়া নারায়ণ রাওয়ের আগে থেকেই তাদের মাইনে অনেক বাকি পড়েছিল। নারায়ণ রাওয়ের আগে যিনি পেশোয়া ছিলেন সেই মাধব রাও তো রাজ্য শাসনের খরচ মেটাতে গিয়ে প্রায় ফতুর হয়ে পড়েছিলেন। বিদেশী সৈন্যরা ভাল যুদ্ধ করত বটে কিন্তু তাদের এ-দেশের প্রতি কোনো মমতা থাকবার কথা নয়। এ অবস্থা যে শুধু আমাদের দেশেই ছিল, তা নয়, ইউরোপের অনেক দেশে আগে এ রকম দল ছিল। গর্দিরা বাকি টাকার জন্য মাঝে মাঝে গোলমাল করছিল, কিন্তু সে তো অনেক সময়েই হয়। রাজ্যের কত সমস্যা থাকে। সব সময় সব দিকে খবরদারি করা সম্ভব হত না।

যেদিন দুপুরের কথা বলছি, সেদিন সকালবেলা রঘুজি আংরে বলে একজন নৌ-সেনাপতি পেশোয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি গুজব শুনেছিলেন যে, নারায়ণ রাওকে খুন করবার ষড়যন্ত্র চলছে। পেশোয়াকে রঘুজি বললেন, তিনি যেন সাবধানে থাকেন। এরপর পেশোয়া নারায়ণ রাও ও তাঁর বিশ্বস্ত কর্মচারী হরিপন্থ ফাড়কে শহরের বাইরে পার্বতী মন্দিরে যান। এখন এখানে বসতি হয়েছে, সে সময় চারদিকে জঙ্গল। শুধু এখানে-ওখানে কিছু বাগান ছিল, পেশোয়ারা কখনও-কখনও বেড়াতে আসতেন। নারায়ণ রাও পার্বতীর মন্দিরে হরিপন্থ ফাড়কেকে ষড়যন্ত্রের কথা বললেন। হরিপন্থ বললেন তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করবার কথা আছে, তারপর ফিরে কী করা উচিত দেখবেন। দুজনের কেউই তখন বুঝতে পারেননি যে, হাতে তাঁদের সময় নেই, দুজনের আর দেখা হবে না।

তখন বেলা আন্দাজ একটা। পেশোয়ার তখন দুপুরের খাওয়া হয়ে গিয়েছে। তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন। এমন সময় নীচ থেকে শোরগোল শোনা গেল। একদল গর্দি পিছনের দরজা দিয়ে প্রাসাদে ঢুকে পড়েছে। তারা সংখ্যায় বেশ ভারী, পাঁচশোর মতো হবে। যে অল্প কয়েকজন প্রহরী ও দপ্তরের লোকজন তাদের বাধা দেবার চেষ্টা করেছিল, গর্দিরা তৎক্ষণাৎ তাদের মেরে ফেলল। তারপর এগিয়ে যেতে গিয়ে দেখল সামনে একটা গোরু দাঁড়িয়ে। রাগের মাথায় তারা গোরুটিকেও কেটে ফেলল। গোহত্যা তখন ব্রাহ্মণ-হত্যার চেয়ে কম পাপের কাজ নয়। গর্দি ছাড়া আর কেউ হয়তো এ-কাজ করতে সাহস করত না। তারপর তারা দল বেঁধে তরোয়াল হাতে করে চেঁচাতে চেঁচাতে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে লাগল। অন্দরমহলে কয়েকজন ভৃত্য বাধা দিতে এসেছিল, তাদেরও প্রহরীদের দশা হল। দু-একজন দাসী গোলমাল শুনে ছুটে এসেছিল, তারাও পরিত্রাণ পেল না। নারায়ণ রাও তাঁর ঘর থেকে আঁচ পেয়েছিলেন গুরুতর কিছু ঘটছে। রঘুজি আংরের কথা হয়তো মনে পড়েছিল। তিনি নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে তাঁর কাকা রঘুনাথ রাওয়ের ঘরে আশ্রয় নিতে চেষ্টা করলেন। সে-ঘর খুব কাছে। দরজা বন্ধ ছিল। ‘কাকা, আমাকে বাঁচাও!’ বলে তিনি দরজায় ধাক্কা দিতে লাগলেন। কেউ কেউ বলেন, রঘুনাথ রাও দরজা একটু ফাঁক করে বাইরে তাকিয়েছিলেন। কিন্তু ভাইপোর পিছনে একদল গর্দি তরোয়াল হাতে নিয়ে ছুটে আসছে দেখে দরজা ভাল করে খোলেননি। নারায়ণ রাও তাঁর দু’ পা জড়িয়ে ধরেছিলেন। তিনি জোর করে পা ছাড়িয়ে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলেন। গর্দিরা পেশোয়াকে ধরে কেটে ফেলল।

প্রাসাদে ও শহরে এত উত্তেজনা ও ভয় যে, বিকেল অবধি পেশোয়ার সৎকারের ব্যবস্থা করা গেল না। অবস্থা একটু ঠাণ্ডা হলে শান্তি ফিরিয়ে আনবার চেষ্টা হতে লাগল। এরপর পেশোয়া কে হবেন? নারায়ণ রাওয়ের তো কোনো ছেলেপুলে নেই। থাকবার মধ্যে আছেন একমাত্র কাকা রঘুনাথ রাও, অনেক বছর ধরেই যিনি কিন্তু পেশোয়া হবার স্বপ্ন দেখছেন। কয়েকদিন পরে তাঁকে পেশোয়া বলে ঘোষণা করা হল। রঘুনাথ রাওয়ের বাসনা পূর্ণ হল। কিন্তু সে যে কত অল্পদিনের জন্য তখন তা তিনি বুঝতে পারেননি।

এদিকে পুনেতে গোলমালের ফলে অন্য রাজ্যগুলির মধ্যেও উত্তেজনা দেখা দিতে লাগল। রঘুনাথ রাও পুনে থেকে সৈন্য নিয়ে কুচ করে হায়দরাবাদের নিজাম আলির সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এমন সময় বোঝা গেল, অনেক মারাঠা সর্দারেরই আর রঘুনাথ রাওয়ের সঙ্গে মিলে কাজ করবার ইচ্ছা নেই। পারলে যেন তাঁরা রঘুনাথ রাওকে এড়িয়ে চলেন। অল্পদিনের মধ্যেই কারণ বোঝা গেল। পুনের খবর, নারায়ণ রাওয়ের স্ত্রী গঙ্গাবাঈ সন্তানসম্ভবা। অনেকের ইচ্ছা হল, সন্তান হলে তাকেই পেশোয়া করা হবে। নানা ফাড়নবিস এই দলের নেতা। কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁরা নিজেদের একটা দল গড়ে তুললেন, আর নিজেদের নাম দিলেন ‘বারোভাই’। তাঁদের উদ্দেশ্য নারায়ণ রাওয়ের ভাবী সন্তানের স্বার্থরক্ষা করা। তীরে এসে রঘুনাথ রাওয়ের নৌকো ডুবে যাবার উপক্রম। তিনি সাহায্যের জন্য হাত বাড়ালেন ইংরেজদের দিকে। এই থেকেই ইংরেজদের মারাঠা যুদ্ধের সূত্রপাত।

এ পর্যন্ত সবই একরকম হল। কিন্তু নারায়ণ রাওয়ের বিধবার যে পুত্রসন্তানই হবে, এ-কথা কে বলতে পারে? কন্যা জন্মালে কী হত? বারোভাই কি সেই মেয়ের পক্ষে দাঁড়াতেন? যাই হোক, ইতিমধ্যে নারায়ণ রাওয়ের বিধবা স্ত্রীকে পুরন্দর দুর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুরন্দর খুব সুরক্ষিত দুর্গ। এর দুটো কারণ থাকতে পারে। শন্‌বারওয়াড়ায় রঘুনাথ রাওয়ের স্ত্রী আনন্দীবাঈ স্বয়ং থাকতেন। তাঁর কাছে থাকা কি গঙ্গাবাঈ-এর পক্ষে নিরাপদ? আর একপক্ষ (তাঁরা দলে ভারী ছিলেন না) ভাবতে লাগলেন, সত্যিই যদি একটি পুত্রসন্তান না হয়ে গঙ্গাবাঈয়ের একটি মেয়ে হয়, তবে কী হবে? মেয়ের জায়গায় একটি সেই বয়সের ছেলেকে নিয়ে এসে গঙ্গাবাঈয়ের ছেলে বলে চালিয়ে দেওয়া কি অসম্ভব? শেষ পর্যন্ত অবশ্য গঙ্গাবাঈয়ের একটি ছেলেই হল। রঘুনাথ রাওয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। রঘুনাথ কিংবা আনন্দীবাঈ, কেউই জোর করে বলেননি, ছেলেটি জাল।

অন্য একটি প্রশ্ন। দিনদুপুরে নারায়ণ রাও খুন হয়ে গেলেন, এ কি শুধু গর্দিদের কাজ। এর পিছনে কি আর কারুর হাত ছিল না? পুনের প্রধান বিচারপতি রামচন্দ্র শাস্ত্রী এ ব্যাপারে তদন্ত করেছিলেন। এ নিয়ে একটি মারাঠি গাথাও আছে। এই ঘটনাকে অবলম্বন করে রবীন্দ্রনাথ একটি কবিতা লেখেন। দেশের বেশির ভাগ লোক বিশ্বাস করত যে, নারায়ণ রাওকে খুন করবার পিছনে রঘুনাথ রাও ও আনন্দীবাঈয়ের হাত ছিল। এক টুকরো কাগজও পরে পাওয়া গিয়েছিল। তাতে লেখা ছিল, রঘুনাথ রাও হুকুম দিচ্ছেন যে ‘ধরাবে’। অথাৎ এটা হচ্ছে পেশোয়া নারায়ণ রাওকে গ্রেপ্তার করার হুকুম। বাস্তবে কিন্তু দেখা গেল যে, কাগজটিতে কেউ একটি অক্ষর পরিবর্তন করেছে। মারাঠিতে ‘ধ’ অক্ষর ও ‘ম’ অক্ষর অনেকটা একই রকম দেখতে। সামান্য একটু পরিবর্তন করলে ‘ধ’-কে সহজেই ‘মা’ বলে বোঝানো যায়। ‘ধরাবে’র বদলে সেক্ষেত্রে পড়া হবে ‘মারাবে’। অর্থাৎ ‘হত্যা করো’।

ক্ষুব্ধ মহারাষ্ট্রীয়রা তখন অনেকবার প্রশ্ন করেছে, এই সাংঘাতিক কাজ কে করল? তাঁদের ভাষায়: ‘ধ’ চ ‘ম’ কওন্ কেলা? অর্থাৎ ‘ধ’-কে ‘ম’ করল কে? এটা কি কাকিমা আনন্দীবাঈয়ের কাজ?

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *