০১. জলাভূমির গোলকধাঁধা

জলাভূমির গোলকধাঁধা

যখন তার জীবনের কথা কেউ জানতে চায় কিংবা সে নিজে যখন স্তব্ধ জলাশয়ের মতো দেহ-মন স্থির রেখে বসে ভাবে, তখন ঘোলাজলের ঘূর্ণাবর্তে কচুরিপানা যেন, মরিয়মের চোখের সামনে বহু বছর আগেকার কয়েকটি মুহূর্ত ডুবতে ডুবতে ভেসে ওঠে। সে মরিয়ম, প্রকারান্তরে মেরি, তখন তার ডান হাত ছিল কাপড় শুকোনোর দড়ি খামচে ধরা, আরেক হাত শরীরের বাঁ পাশ ঘেঁষে ঝুলছে। এক পা আধখানা ইটের ওপর, আরেক পা শূন্যে–তিন ইঞ্চি নিচের মাটির আশ্রয়ের জন্য কাতর। মরিয়ম আধা নিরালম্ব, যেন ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে মন্টুর কাঁদতে কাঁদতে চলে যাওয়া দেখে। আসলে সে দেখে না। গেট খোলার শব্দে বোঝে যে, মন্টু চলে যাচ্ছে। দড়ি হাতড়ে গামছায় নাক ঝেড়ে, চোখ মুছে সে যখন তাকায়, ততক্ষণে মন্টু–তার ছোট ভাই–গলির বাঁকে অদৃশ্য হয়ে গেছে। সে সময়টায় মরিয়মের চোখ জলে ঝাপসা ছিল। সে দৃষ্টিহীন ছিল। সে কিছু দেখেনি, শোনেনি। লোহার গেট খোলার ধাতব শব্দটি ছাড়া। এই অদৃষ্ট-অশ্রুত সময়, তার অজান্তেই জঠরে ধারণ করেছিল এক ভয়াল বিস্ফোরক। যার ধূমল উদ্‌গিরণে মন্টু চিরদিনের মতো হারিয়ে যায়। মরিয়ম হামানদিস্তায় থেঁতলানো দেহ আর কোরবানির মাংসের মতো ভাগে ভাগে বেঁটে দেওয়া জীবন নিয়ে বাঁচে। তারপর এই দেহ আর নিজের থাকেনি। নিজের জীবন আর নিজের হয়নি।

সে শুধু যুদ্ধ বলে নয়, যুদ্ধহীন সময়েও নারীর জীবনকে যদি ভাবা হয় চার চাকার গাড়ি, তবে দেহ তার সারথি। নিয়মের বাঁধানো সড়ক থেকে দেহ একচুল সরে গেলে। আস্ত গাড়িটাই গর্তে, আবর্জনায় মুখ থুবড়ে পড়ে। জীবনের পতন ঘটে। নারী পতিত হয়।

মরিয়ম এখন সময়-সময় এ-ও ভাবতে চায় যে, সেদিন মন্টু আর সে ঘরে তালা লাগিয়ে, টিউবওয়েলের জল-কাদায় মাখামাখি ইটের সারির ওপর সতর্ক পা ফেলে বেরিয়ে যাচ্ছে বাড়ি থেকে। পেছনে তাদের পরিত্যক্ত বাড়ি আর সামনেই গ্রাম। সে সময় শহরের লোকেরা মিটিং-মিছিল-স্লোগান-গুলিবর্ষণ আর ক্ষমতার পালাবদলের বাইরে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছিল। শিশুরা ছিল পথপ্রদর্শকের ভূমিকায়। তাদের ড্রয়িং খাতার বটের নিবিড় ছায়া, দুপুরের ভাঙা হাট, সন্ধ্যার স্নিগ্ধ নদীতীর, পালতোলা নৌকার সারি আর জ্যোৎস্নাভাসা তেপান্তরের মাঠ প্রাপ্তবয়স্কদের পথ দেখায়। তাদের অনেকেই বোঁচকা বেঁধে সেসব জায়গায় চলে যায়, অনেকেই যায় না। কেউ কেউ আবার দু-চার দিন পর নিজেদের বালখিল্যতায় বিরক্ত হয়ে ফিরে আসে। মরিয়ম জোরজবরদস্তি মন্টুকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে নিজে শহরের উত্তাল তরঙ্গ আঁকড়ে পড়ে থাকে। তার যত ভয় উঠতি বয়সের ছোট ভাইকে নিয়ে, যে লোহার রড হাতে উতরোল জনতরঙ্গে ইতিহাস রচয়িতাদের একজন হতে চেয়েছিল। মরিয়ম সেই। সুযোগ থেকে তাকে বঞ্চিত করছে–মন্টু তর্ক জুড়ে দেয়। অনশন করে। মরিয়ম নাছোড়। কথা-কাটাকাটি, ঝগড়াঝাটির পর সদ্য গজানো দাড়ি-গোঁফের নব্য বিপ্লবী ইতিহাসের প্রসববেদনা নিয়ে শহর ছেড়ে বেরিয়ে যায়।

মরিয়ম ভাবে, পথে খণ্ড খণ্ড লড়াই যদি বাধে, তা মানুষে মানুষে। তখনো তার ভয় কেবল ভূত আর জিনপরির। মানুষে তখনো সে বিশ্বাস হারায়নি। তাদের হিংস্রতার দৌড়, তার চেতন-অবচেতনে বড়জোর মাথা ফাটাফাটি পর্যন্তই ছিল। মাথায় বাড়ি না-পড়লে আজ চলন্ত বাসেই মন্টুর রাতের এক প্রহর শেষ হবে। তারপর বাড়ি পৌঁছানোর আগে মাইলতিনেক দীর্ঘ, দুই-আড়াই মাইল প্রশস্ত সুন্দরীর জলা। বেলাবেলি পারাপার না হলে পথিক তাতে পথ হারায়, ভূতের আছরে তাদের দাঁতকপাটি লেগে যায়। বর্ষাকালে সওয়ারির সঙ্গে নৌকার মাঝিমাল্লারা থাকে। পথ হারানোর প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলানোর দায় তাদের। বাকি রাত চালক আর সওয়ারি মিলে হাল বায়, হুক্কা টানে, গালগপ্প করে। একসময় জলাভূমির আকাশ ফরসা হয়, পাখপাখালি জেগে ওঠে। শীতের মৌসুমে জলার বুকে আঁকাবাঁকা পায়ে চলার পথ। তখন দোজখের নানান চিত্রে বিচিত্র এ জলাভূমি। এরকম এক সময়, একাত্তর সালের মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সুন্দরীর জলায় মন্টু একা। ভাবতেই মেরির সারা শরীর কাঁটা দিয়ে ওঠে।

এর মাত্র তিন বছর আগে ভাইবোন সুন্দরীর জলায় যে নরক-দর্শন করেছিল, সেটি যেন আজীবন তাদের সঙ্গে চলে। একজনকে মৃত্যুর দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যায়। আরেকজনকে করে ইতিহাসের নিগ্রহের শিকার।

যুদ্ধ বাধার তিন বছর আগে কলেজে মরিয়মের তখন দ্বিতীয় বর্ষ চলছে। মন্টু ম্যাট্রিক পরীক্ষার্থী। দাদির মৃত্যুসংবাদ আসার দিন, প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ে বাসায় ফিরতে ফিরতে মন্টুর দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়। মায়ের চিঠিতে দাদির জন্য পরওয়ারদিগারের কাছে দোয়া মেঙে দু’রাকাত নফল নামাজ পড়ার নির্দেশ ছিল। কারণ তিনি ছিলেন নেকবান্দা। পরম করুণাময় জায়নামাজে সিজদার সময় তার প্রিয় ইনসানের জান কবজ করিয়াছেন। পর সমাচার এই যে, মেরি ও মন্টু তোমরা অহেতু বিলাপ-আলাপ করিও না। উহাতে তোমাদের প্রিয় দাদির কবরের আজাব বাড়িবে বৈ কমিবে না।

মরিয়ম আর মন্টু, যা করার কথা চিঠিতে নিষেধ ছিল, তা-ই করে। মন্টু বাসায় ফেরার পর বই-খাতা নামিয়ে রাখারও সময় পায় না, ঘরে ঢুকতেই দাদির মৃত্যুসংবাদ তাকে জানানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে তার হাতের ফাউন্টেন পেন মেঝেতে পড়ে যায়। তারপর জ্যামিতির বাক্সটা স্কেল-কম্পাসসহ। মরিয়ম দোয়াদরুদ পড়া বাদ দিয়ে ভাইয়ের গলা ধরে কাঁদে। কাঁদতে কাঁদতে ব্যাগ গোছায়। দরজায় তালা লাগিয়ে শেষ বাস ধরার জন্য বাসস্ট্যান্ডে ছোটে।

মধ্যরাতে সুন্দরীর জলায় জনমানুষ দূরে থাক, এক কণা আলোও নেই। মেরি মন্টু কাটা ধানগাছে পা ফেলে অন্ধকারে ফটফট শব্দ করে হাঁটে। মন্টু মাঝসমুদ্রে দিকহারা নাবিকের ভয়ত্রস্ত কণ্ঠে বলে, ‘মেরিবু আমাদের একটা দিগদর্শন যন্ত্র থাকলে পথ হারানোর ভয় থাকত না।’ মরিয়মের আফসোস যে, তাড়াহুড়োয় একটা টর্চ সঙ্গে নিতেও সে ভুলে গেছে। ঠিক তখন অদূরে সে আগুন দেখে। বিজ্ঞানমনস্ক মন্টু বলে, ‘মরীচিকা, এই দ্যাখ এখন নাই।’ তাই তো! পরক্ষণে আবার আগুন জ্বলে ওঠে। একজন দেখে, আরেকজন দেখে না। এই করে করে একসময় তারা দুজনেই তা দেখতে পায়। সেই সঙ্গে শোনে মানুষের মৃদু গুঞ্জন। ‘চোর-ডাকাত না তো, যদি আমাদের ধরে!’ মেরির ভয়টা মন্টু আমলে নেয় না। এ ছাড়া লুকিয়েচুরিয়ে মাত্র। ছ’মাস হয় সিগারেট ধরলেও নেশাটা এখন তার তুঙ্গে। বাড়ির মুরুব্বিদের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে দিয়াশলাই-সিগারেট সঙ্গে আনেনি। ওই অগ্নিকুণ্ডের কাছে মানুষ থাকবেই। আর মানুষ থাকলে সিগারেট, বিড়ি, হুক্কা না-থেকে পারে না। মন্টুর হাঁটার গতি হঠাৎ বেড়ে যায়। যেতে যেতে সে বলে, ‘মেরিবু, তুই যে কী কস! আমাগো লগে কি ধনসম্পদ আছে যে, ডাকাইতে ধরব?’

তারা যত এগোয় আগুন তত পিছিয়ে যায়। কাছে যেতে মানুষ বা আগুন কিছুই থাকে না। মৌমাছির মতো মানুষের মৃদু গুঞ্জনও অন্তর্হিত। যেন লণ্ঠন হাতে এক ঝাঁক মৌমাছি উড়ে গেছে মধু আহরণে। ভাইবোনের শরীর ভার ভার ঠেকে, ভয়ে বুক কাঁপে, জিব শুকিয়ে যায়। এর মধ্যেও মরিয়মের একবার মনে হয়, এটি আলেয়ার আলো। মুখ ফুটে ভাইকে বলতে গিয়ে দেখে গলায় স্বর নেই। আগুনের পেছনে ছুটতে ছুটতে কখন যেন পুব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ একসঙ্গে সব কটা দিক হারিয়ে ফেলেছে। বাকি আছে নিচে মাটি, ওপরে আকাশ। ভাইবোন মাটিতে বসে উত্তরাকাশে ধ্রুবতারার সন্ধান করে। তারা ঝলমলে আকাশটা যেন জবরজং বেনারসি শাড়ি–এমন ঘন। বুনটের জরির কারুকাজ বিয়েবাড়িতে বাহবা কুড়ালেও, এখন তাদের কাছে মনে হয়। বিভীষিকা। এ থেকে চোখ সরিয়ে যখন নিচে তাকায়–সুন্দরীর জলার শীতের মৌসুমের ছোট ছোট জলাশয়ে তারাখচিত আকাশের টুকরা-টাকরাসমেত নিজেদের দেখে। মাথায় ভর দিয়ে দুজন যেন দাঁড়িয়ে আছে। আর দূর আকাশের নীল আলোর। বিচ্ছুরণ তাদের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।

এই হলো সুন্দরীর জলার কুহেলিকা, যা দিগ্ভ্রান্ত মানুষদের বশ করে মৃত্যুফাঁদে নিয়ে ফেলে। কিন্তু মেরি-মন্টুকে এর বশ হলে চলবে না, যে করেই হোক বাড়ি পৌঁছাতে হবে। সেখানে তাদের প্রিয় দাদির দেখা পাওয়া যাবে না ঠিকই, তবে তার কবরটা তো রয়েছে, যে কবরের বুক ফেটে তখনো রসুনের কোয়া থেকে চারা গজায়নি, চারধারের নতুন বাঁশের বেড়াটাও অক্ষত। তখন মন্টু আলোর দিক থেকে চোখ সরিয়ে নেয় আর নিজে নিজে ঠিক করে, এখন থেকে অন্ধকারে যা দেখবে, তা বিশ্বাস করবে না। যা দেখবে না, তাতে আস্থা রেখে তাকে বাকি পথ চলতে হবে। ঠিক এরকমই একটা সিদ্ধান্ত সাড়ে তিন বছর পর সে সঙ্গীদের না-জানিয়ে নিয়েছিল। রাতের অন্ধকারে সীমান্তের নিকটবর্তী একটি ব্রিজ ওড়ানোর সময় ঘটনাটি ঘটে। সব কটা সার্কিটের মাথার সেফটি ফিউজে আগুন দেওয়া হয়ে গেছে। চারদিকে জ্বলন্ত অগ্নিশিখার ফরফর আওয়াজ। পরিকল্পনামতো দলের ছেলেরা যেদিকে পালায়, তার ঠিক উল্টোদিক থেকে মন্টু হঠাৎ একটি আলোর রেখা দ্রুতগামী জিপের গতিতে ছুটে আসতে দেখে। সে তেড়ে আসা এই অগ্নিস্ফুলিঙ্গের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না এবং উইপোকার মৃত্যুতাড়নায় ছুটতে থাকে সেদিকেই, যেদিক থেকে প্রবল বেগে আলোটা আসছিল।

সুন্দরীর জলায় চোখের সামনে ছোট ছোট খড়ের স্তূপ দেখেও মন্টু ভাবে, এগুলো খড় না, খড়ের সারি সারি স্তূপ না, জিনের পঙক্তি ভোজের আসর। সঙ্গে সঙ্গে সে পথ বদলায়। মরিয়ম তার সঙ্গে খানিকটা পিছিয়ে এলেও মানুষের ঘর-বসতির কাছাকাছি এসব খড়ের স্তূপ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারে না। সে মন্টুর পুলওভার ধরে টানে, বলে ফিরে আসতে। মন্টু গোঁ-গোঁ করে গোঙায়। অন্ধকারে তার পাগল পাগল ভাবটা মরিয়মের তখন ঠাহর হয়। সে খানিকটা জোরাজুরি করতেই ভাই প্রলাপ বকতে শুরু করে, না গো মেরিবু,’ সে কফতোলা ঘড়ঘড়ে গলায় বলে, ‘ওইদিকে যাইস না, ওরা ঘাড় মটকে পুঁতে ফেলবে সুন্দরীর মতন।’

মন্টুর শরীরটা করাত-কাটা গাছের মতো মটমট শব্দে কাত হয়ে পড়ে যায় মাটিতে।

কে এই সুন্দরী? মরিয়ম জানে না। ধীরে ধীরে ভোরের আলো ফুটছে। ভাইয়ের গাঁজলা-তোলা মুখ কোল থেকে নামিয়ে সে কাছের জলাশয়ের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। সেখানে তারার ম্লান ছায়ায় এক ভয়ার্ত নারীর প্রতিবিম্ব। নিজেকে মরিয়ম চিনতে পারে না। মৃদু স্বরে ডাকে, ‘সুন্দরী! সুন্দরী!’ ছায়াটা নড়ে ওঠে। জলের গায়ে ছোট ছোট তরঙ্গ। মেয়েটি যেন বহু বছর পর তার নাম ধরে কাউকে ডাকতে শুনে জলাশয়ের বুকে ঢেউ তুলে জেগে উঠেছে। কে এই নারী? অসফল প্রেমের যন্ত্রণায় কি আত্মহত্যা করেছিল? কিংবা না খেতে পেয়ে? অথবা অবৈধ সন্তান গর্ভে ধারণ করে নির্বাসিত হয়েছিল সুন্দরীর জলায়? তারপর লোকালয়ে ফিরে যায়নি। হারিয়ে গেছে জলাশয়ে, খড়ের স্থূপে, অগণিত তারার প্রতিবিম্বের মাঝখানে। শুধু তার নামে নাম যে জলাভূমির, সূর্যাস্তের পর সেটি আতঙ্ক ছড়ায়। পথিককে দিগ্ভ্রান্ত করে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। মরিয়ম জলাশয়ের প্রতিবিম্বে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সুন্দরী নামের কিংবদন্তি নারীর সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। যে এই সমাজ-সংসারের একজন হয়ে বাঁচেনি। যার সব পরিচয় হারিয়ে গিয়ে লোকমুখে ঘোরে শুধু নাম। সেই রাতের শেষ প্রহরে মরিয়ম আর সুন্দরী–একজন হু-হুঁ করে কাঁদে, আরেকজনের হাসির প্রতিধ্বনি হয় শূন্য চরাচরে। কে হাসে, কে কাঁদে–আলাদাভাবে শনাক্ত করা যায় না।

আর মন্টু! বড় বোন পাশে থাকা সত্ত্বেও যে সুন্দরীর জলায় পথ হারিয়ে বেহুঁশ হয়, দুদিন ধরে মুখ দিয়ে গাঁজলা তোলে, সাত দিন জ্বরে ভোগে, এর মাত্র তিন বছর পর তাকে এই জলাভূমি, খড়ের স্তূপ, আলেয়ার আলো, ঘরবাড়ি, শস্যখেত আর মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য যুদ্ধে যেতে হয়েছিল, রক্ত দিতে হয়েছিল।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *