১২. নতুন আর এক ধরনের জীবন

নতুন আর এক ধরনের জীবন

আপনি পারেন না, আপনার দ্বারা সম্ভব নয় এমন কোনো কাজ নেই পৃথিবীতে–এই কথাটা বর্ণে বর্ণে সত্যি। এই সত্যে বিশ্বাস রাখুন। স্বপ্ন যখন দেখবেন, বড় বড় স্বপ্ন দেখুন।

আপনি আগেই জেনেছেন, কোনো কাজ করতে পারবেন বলে মনে করলেই সেই কাজ করা যায়। সেই কাজ যাতে করা যায় তার জন্যে আপনাকে সাহায্য করছে আপনার অবচেতুন মুন। বড় বড় স্বপ্ন দেখুন, বড় বড় কাজে হাত দিন (বৃহত্তর এবং ক্ষুদ্রতর থিওরি প্রয়োগ করে), ভাবুন বড় স্বপ্ন এবং কাজগুলো। বাস্তবায়িত করা আপনার দ্বারা নির্ঘাৎ সম্ভব।

নিজেকে বড় বড় কাজের উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সবচেয়ে আগে ত্যাগ করতে হবে বদভ্যাস। অভ্যাসের নাগপাশ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আপনাকে।

অভ্যাসের দাসত্ব থেকে মুক্তি লাভ করে অভ্যাসের প্রভু হতে হবে আপনাকে। এই প্রসঙ্গে আপনাকে জানানো দরকার একটি প্রকৃত তথ্য: মানুষ মন-যুক্ত একটি দেহ নয়, মানুষ আসলে দেহ-যুক্ত একটি মন। মানুষের প্রধান অংশ মন। মনই। মানুষ। মনের বাসগৃহ দেহ। মানুষের সাথে মানুষের একমাত্র মৌলিক পার্থক্য কোথায়? তাদের প্রত্যেকের মন আলাদা আলাদা। সব মানুষের দেহই এক ধরনের উপাদানের সমষ্টি। সকলের দেহই অক্সিজেন চায়, আহার চায়, বিশ্রাম চায়। কিন্তু কার মন কি চায় তার ফিরিস্তি দেয়া মুশকিল। সকলের মন সমান নয়।

মনই মানুষ, মনই সব-সুতরাং, মনকে বদলান। মন পাল্টালে আপনার দুনিয়া পাল্টে যাবে। অভ্যাসের ফাঁদ থেকে বেরুতে চান? মনকে বোঝন, তাকে

আপনি শিখলেন, মনই আপনি, আপনিই মন-আপনার দেহ আপনার আধার মাত্র। মনকে বদলান, আপনি বদলে যাবেন।

.

অধিকাংশ মানুষ মিথ্যেবাদি

রূঢ় এবং ঢালাও মন্তব্য বলে মনে হচ্ছে কথাটাকে?

অধিকাংশ মানুষ পরস্পরের সাথে মিথ্যে কথা বলে কিনা সে বিতর্কিত বিষয়ে আমি যোগ দিতে চাইছি না, আমি বলতে চাইছি বেশিরভাগ মানুষ নিজের কাছে মিথ্যে কথা বলে। কথাটা যে সত্যি আপনিও তা স্বীকার করবেন।

সাধারণত এইরকম ঘটে: আপনি হয়তো কারো কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন, অমুক নিয়মটা আর কখনো লঙ্ঘন করবো না। প্রতিজ্ঞা করার পর খুব সাবধানে থাকবেন আপনি, চেষ্টা করবেন প্রতিজ্ঞাটা রক্ষা করতে। কারণ, ভয় আছে, নিয়ম লঙ্ঘন করে ধরা পড়লে লজ্জায় পড়তে হবে, মুখ দেখাতে পারবেন না সে-লোকের কাছে। কিন্তু আপনি যদি নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করেন সে-প্রতিজ্ঞা রক্ষা করার ব্যাপারে তেমন সাবধান হন না, গা করেন না। কারণ প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করলেও কাউকে জবাবদিহি করতে হবে না, কারো কাছে লজ্জায় পড়তে হবে না।

দৈনন্দিন জীবনে আমরা নিজের কাছে অসংখ্য প্রতিজ্ঞা করি-রক্ষা করি ক’টা? আসলে প্রায় সবগুলোই ভঙ্গ করি নির্বিচারে, নির্বিকারে, নির্লজ্জের মতো এর জন্যে নিজেদের মধ্যে কোনো অপরাধ বোধও নেই। অথচ প্রতিজ্ঞা করে তা রক্ষা না করা অপরাধ বৈকি!

মাস শেষে বেতন পেয়ে সব খরচ করে ফেললেন, কিন্তু সঞ্চয় করবার কথা ভেবে রেখেছিলেন কিন্তু তা আর সম্ভব হলো না। নিজের কাছে এবার প্রতিজ্ঞা করলেন, আগামী মাসের বেতন থেকে কিছু টাকা আমি আলাদা করে রাখবোই।

পরবর্তী মাসের বেতন পেলেন। খরচ করলেন সব টাকা। সঞ্চয় করতে পারলেন না। প্রতিজ্ঞা ভাঙলেন নাকি?

খবরের কাগজে ক্যান্সারের ভয়ঙ্করত্ব সম্পর্কে একটা খবর পড়ে প্রতিজ্ঞা করলেন, সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেবোই। আধঘণ্টা পর আপনাকে দেখা গেল নতুন একটা সিগারেট আয়েশ করে ধরাচ্ছেন।

আজ আমি তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়বো, দশটার পরে কোনোমতেই জেগে থাকবো না-প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করে টিভির সামনে বসলেন। দশটা বাজার খানিক। আগে টিভির ঘোষক জানালেন, আজ রাত সাড়ে-দশটায় শুরু হচ্ছে অমুক প্রোগ্রাম…ব্যস, আনন্দে চিৎকার করে উঠলেন আপনি, এই প্রোগ্রাম না দেখলেই নয়।

এই রকম, প্রতিজ্ঞার পর প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করছেন, পিঁপড়ে মারার মতো সবগুলোকে খুনও করছেন নির্বিচারে।

প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করার প্রতিক্রিয়া খারাপ হতে বাধ্য। আপনি প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে আপনার অবচেতন মনকে কুশিক্ষা দিচ্ছেন। জীবনে কখনো যদি সত্যিকার অর্থে গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেন এবং তা অটুট রাখতে চেষ্টা করেন, কুশিক্ষাপ্রাপ্ত আপনার অবচেতন মন আপনাকে তা অটুট রাখতে দেবে না, প্রতিজ্ঞাটা ভঙ্গ করতে সে আপনাকে প্ররোচিত করবে, আপনার জন্যে ফাঁদ পাতবে।

নিজের কাছে সাচ্চা হওয়া বেশ কঠিন। একদিনে পারবেন না সাধু হতে। নিজের কাছে নিরপরাধ হবার জন্যে, সৎ হবার জন্যে ধীরে ধীরে চেষ্টা করতে। হবে।

আপনি যদি নিজেকে অভ্যাসের প্রভু হিসেবে গড়ে নিতে পারেন, যদি পারেন। মনটাকে বদলাতে, নিজের কাছে সৎ এবং নিরপরাধ হওয়াটা মোটেই কঠিন হবে না।

.

সম্পদের সদ্ব্যবহার

ধন সম্পদের চাবি এখন আপনার হাতে। যতো আপনার দরকার, চাবি দিয়ে তালা খুলে নিতে পারলেই হয়। সঠিক ফর্মুলা প্রয়োগ করে যে অগাধ ধন-সম্পদ অর্জন করবেন আপনি, কি হবে তা দিয়ে আপনার, যদি আপনি অর্জিত ধন-সম্পদের চাকরে পরিণত হন?

সাবধান! আপনার ধন-সম্পদ আপনাকে যেন ক্রীতদাসে পরিণত না করে। ধন-সম্পদের মনিব হওয়া চাই আপনার।

ত্রিশ বছর বয়সে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, ধনী লোকদের সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে এই কথাটি বলেছিলেন, ‘ধন-সম্পদ তার নয় যার আছে–ধন-সম্পদ তার যে তা উপভোগ করে।’

ধন-সম্পদ আপনার প্রভুও হতে পারে, আপনার দাসও হতে পারে। ধন সম্পদ কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা আপনাকে শিখতে হবে। এটা একটা। রীতিমত শিক্ষণীয় বিষয়। এই শিক্ষা আপনাকে পেতে হবে যখন ধন-সম্পদ আহরণ করতে শুরু করবেন তখনই, ধন-সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলবার পর নয়।

জমুক, আরো জমুক, তারপর উপভোগ করবো-এটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নয়।

বেন-সুইটল্যাণ্ডের পরিচিত এক যুবক দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করে, ধনী সে হবেই।

বিস্ময়কর ত্যাগ এবং বহু বছর কঠোর পরিশ্রম করে সত্যি সত্যি ধনী হয় সে। কিন্তু ধন যখন এলো তখন তার বয়স ষাটের উপর। এই লোক অগাধ টাকার মালিক হলে কি হবে, টাকাকে কিভাবে সদ্ব্যবহার করতে হয় তা সে জানতো না। অঢেল টাকা থেকে কিয়দংশও নিজের বা পরিবারের কারো আনন্দ-উপভোগের জন্যে খরচ করেনি সে তখনও। ছোট্ট, নোংরা একটা বাড়িতে স্ত্রী এবং ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে বাস করছিল সে কয়েক যুগ ধরে। বাড়ির যাবতীয় কাজ। তার স্ত্রীকেই করতে হতো। লোকটা এক ডলার খরচ করতে পঁচিশবার নিজেকে জিজ্ঞেস করতো, খরচটা না করলেই কি নয়?

মন্দা এলো ১৯২৯ সালে। সেই মন্দায় লোকটার অঢেল টাকা কর্পূরের মতো উবে গেল। দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করে যা সে রোজগার করেছিল, তা দিয়ে এক মুহূর্তের আনন্দও কিনতে পারেনি এই লোক।

ধন-সম্পদ যখন হয়েছে আপনার, তার সদ্ব্যবহার করুন। নিজেকে আনন্দ দিন, উপভোগ করুন। সেই সাথে অপরকেও সুখ দিন, আনন্দ দিন।

.

সুখের বিনিময়ে সুখ

অন্যকে সুখী করা থেকে যে সুখ আসে সেই সুখই সত্যিকার সুখ।

আপনার দখলে যা যা আছে তা যদি শুধু আপনি একাই ভোগ-দখল করেন, আনন্দ পাবেন না। দিয়ে থুয়ে ভোগ করুন, ভোগের আনন্দ শতগুণ বেড়ে যাবে।

কেউ আপনার অধীনে চাকরি করে। তার মাসিক প্রাপ্য অর্থাৎ বেতন সে নিয়মিত নিয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যে হারে বেতন দেয় আপনিও আপনার কর্মচারীকে সেই হারে বেতন দিচ্ছেন। অর্থাৎ তাকে আপনি ঠকাচ্ছেন না। কিন্তু অন্য প্রতিষ্ঠান আপনার মতো বেশি টাকা রোজগার করছে না। এরকম ক্ষেত্রে আপনার কর্মচারীকে আপনি নির্ধারিত বেতন ছাড়াও টাকা দিতে পারেন, দেয়া উচিত আপনার। কর্মচারীরা কষ্টেসৃষ্টে দিন কাটায় অথচ আপনার প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রেখেছে তারাই। বিবেকের বিচারে কর্মচারীরা আপনার কাছ থেকে বেতন ছাড়াও পুরস্কার হিসেবে বা উপহার হিসেবে কিংবা সাহায্য বা দান হিসেবে কিছু। পেতে পারে। এটা তার দাবি নয়, আপনার বিবেচনা।

আপনি যদি সম্পদশালী হন, কাউকে দাবিয়ে রাখা অপরাধ। প্রত্যেকটি মানুষের অধিকার আছে তার ভাগ্যকে পরিবর্তন করার, কখনো তাতে আপনি বাদ সাধতে পারেন না। বরং আপনার উচিত তাকে সম্ভাব্য সব রকম সাহায্য করা।

দুনিয়াতে কিছু লোক আছে যারা নিতান্তই সৎ, নিরীহ এবং আন্তরিক। এদের কর্ম কিনতে পারেন আপনি অনায়াসে। এদের কর্ম কিনে তা বিক্রি করেই ধন সম্পদের অধিকারী হয় অধিকাংশ ধনীরা। এদের প্রতি বিশেষ ভালবাসা, স্নেহ, সহানুভূতি থাকা দরকার আপনার মধ্যে। সে আপনাকে প্রচুর দিচ্ছে না? তা যদি হয়, তাকেও আপনি প্রচুর দিন এবং সে যাতে প্রচুর পায় তার নানা প্রকার ব্যবস্থা করুন।

.

পাওয়ার উপায়

পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে দেয়া। কেউ যদি প্রচুর পরিমাণে না পায়, মনে করতে হবে প্রচুর পরিমাণে দিচ্ছে না সে, তাই পাচ্ছে না।

দেয়া-নেয়ার এই নিয়ম প্রকৃতির কাছ থেকে শিখতে পারেন আপনি। গাছ তার শুকনো পাতা ছেড়ে দেয়, সে জানে নতুন পাতা পাবে সে। এমন কোনো গাছ আপনি দেখেছেন যে নতুন পাতা পাবে না এই ভয়ে শুকনো পাতা ধরে রেখেছে? প্রকৃতির প্রতিটি অংশ শুধুই দিয়ে চলেছে। অথচ মানবজাতি-প্রকৃতিরই অংশ বা সন্তান–এই মৌলিক আইন লঙ্ঘন করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে।

শুধু ধন-সম্পদ থাকলেই আপনাকে ধনী বা সম্পদশালী বলা যায় না। তাছাড়া, সম্পদ হয়ও অনেক রকম। আপনি সৎ, এটা আপনার একটা সম্পদ। কিন্তু এই সম্পদের ব্যবহার যদি না করেন, কি তার মূল্য? এক কানাকড়িও নয়। আর ব্যবহার করলে? লোকে আপনাকে বিশ্বাস করবে, আপনার প্রশংসা করবে, আপনাকে শ্রদ্ধা করবে।

.

বয়স সবচেয়ে বড় সম্পদ

বয়স যে একটা সম্পদ একথা ব্যাখ্যা করে বলবার দরকার করে না। আমরা সবাই কথাটা জানি। কিন্তু আমাদের জানার মধ্যে কিছু কিছু ভুল আছে, থাকা স্বাভাবিক।

অধিকাংশ মানুষের বিশ্বাস, যুবক বয়সটা নিঃসন্দেহে একটা সম্পদ, কিন্তু বৃদ্ধ বয়সটা কক্ষনো সম্পদ হতে পারে না। এটা ভুল।

বৃদ্ধ পাঠক, আপনি হয়তো ভাবছেন, বড় বুড়ো হয়ে গেছি আমি, বিদ্যুৎ মিত্রের ফর্মুলা আমার জন্যে নয়, নতুন জীবন শুরু করার সে বয়স আর নেই আমার।’ যথোচিত সম্মান এবং শ্রদ্ধা সহকারে বলছি আপনাকে, আপনি ভুল করছেন।

নতুন জীবন শুরু করতে হলে বুড়ো হওয়া চলবে না একথা খাঁটি। বুড়ো লোককে দিয়ে কোনো কাজ হয় না, ঠিক। কিন্তু বুড়ো কে? কোন্ বয়সটাকে বুড়ো বয়স বলে?

বুড়ো হবার কোনো বয়স নেই। আসলে মানুষ বুড়ো হয় তখনই যখন সে নিজেকে বুড়ো বলে মনে করে। কারো বয়স চল্লিশ, সে নিজেকে বুড়ো বলে মনে করলে কারো কিছু করার নেই-নতুন জীবন শুরু করা হলো না তার।

নির্দিষ্ট কোনো বয়সকে বুড়ো বয়স বলে না। বেন-সুইটল্যাণ্ড ষাটের পর সাফল্য অর্জন করেছেন। নিজেকে তিনি বুড়ো বলে মনে করলে সাফল্য অর্জন করা কি তার দ্বারা সম্ভব হতো?

বয়স মাত্রই সম্পদ, আপনার বয়স পঞ্চাশই হোক আর আশি-নব্বই-ই হোক।

মনীষীদের জীবনী ঘেঁটে দেখুন, তারা তাদের তথাকথিত মধ্যবয়স অতিক্রম করার পরই মহৎ কিছু সৃষ্টি করেছেন।

নিজেকে বুড়ো মনে করলেই আপনি বুড়ো। নিজেকে বুড়ো মনে করলে মৃত্যুভয় জাগে। মৃত্যুভয় মৃত্যুকে কাছে ডেকে আনে।

পঞ্চাশ বছর বয়সের দিকে অনেক মানুষ মনে করে তারা বুড়ো হয়ে যাচ্ছে। তাদের আচার-ব্যবহারে, কথাবার্তায় বুড়োমি প্রকাশ পায়। এরা আসলে নিজেদেরকে আরো বুড়ো হতে সাহায্য করছে। এই সাহায্য করাটা যে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার মতো, জানে না তারা।

মানুষ শারীরিক দিক থেকে সাবালক হয় বিভিন্ন বয়সে, তবে সাধারণত ১৬ থেকে ২০ বছরের এদিক ওদিক হয় না। কিন্তু মানসিক ম্যাচিউরিটি, দুর্বল দৃষ্টান্ত বাদ দিলে, ৫০-এর আগে আসে না। কিন্তু আমরা যখন পঞ্চাশের কোঠায় পৌঁছাই, মৃত্যুকে গ্রহণ করার জন্যে মনে মনে তৈরি হতে শুরু করে দিই।

মৃত্যু অবধারিত, অনন্তকাল বেঁচে থাকার মহৌষধ এখনও আবিষ্কৃত হয়নি যখন। কিন্তু মরার আগে মরবেন কেন আপনি? নিজেকে বুড়ো মনে করা মৃত্যুর সমান-ভুল হলো–মৃত্যুর বাড়া!

যে মৃত তার নিজের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু যে বুড়ো তার রাজ্যের সমস্যা আছে অথচ সমাধান বের করার উপায় জানা নেই।

নিজেকে, বয়স আপনার যতোই হোক, কক্ষনো বুড়ো বলে মনে করবেন না।

সেই লোকই বুড়ো যে নিজেকে বুড়ো মনে করে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *