১৭. পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীর বাজার

১৭. পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীর বাজার

নারী-শরীর বিক্রির বাজার আছে, সেই বাজারে বিক্রিও বেশি। নারী যৌ*ন*তার জন্য শরীর বিক্রি ভাবলেই তাঁর বাজার সর্বদাই মজুত। বাজার ছোটো হলেও পুরুষ-শরীরও বিক্রি হয়। আকাশচুম্বী বেকারত্বের মোকাবিলা করতে যৌ*ন*পেশাই এখন একটা পথ অবশ্যই। বাজারে বেশিরভাগ অর্থ পুরুষদের হাতে। তাই নারী-শরীর কেন, সেই পুরুষ পৃথিবীর সবকিছুই কিনে নিতে পারে যে-কোনো মূল্যে। যেহেতু অর্থবান নারীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অত্যন্ত কম, সেইহেতু পুরুষ-শরীরের বাজার তেমন রমরমিয়ে উঠতে পারেনি। তবে নারী যত বেশি বেশি করে আর্থিক বাজারের সঙ্গে যুক্ত (স্বাধীনভাবে বা পরাধীনভাবে, যেভাবেই হোক) হবে, ততই পুরুষ-যৌ*ন*ক*র্মীদের বাজার চাঙা হবে। তবে বর্তমানে ধনীঘরের এক শ্রেণির মহিলারা স্বামীর অর্থে পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীর কাছে যৌ*ন*সুখ কিনছে।

আসুন, এবার পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের হালহকিকৎ জানার চেষ্টা করি। পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের ‘গ*ণি*কা’ বা ‘বে*শ্যা’ বা ‘প*তি*তা’ বলা যাচ্ছে না। কারণ এই বিশেষণগুলির সবকটাই স্ত্রীলিঙ্গ। বর্তমানে একটি নতুন বিশেষণ চালু হয়েছে, সেটি হল ‘যৌ*ন*ক*র্মী’ (S*e*x Worker)। এটি একটি ইউনিসে*ক্স পরিচয়। এই পরিচয়ে মহিলা, পুরুষ, সমকামী সকলেই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ব্যাপারটা আর লিঙ্গভিত্তিক থাকল না।

প্রত্যেকদিন সাহসী হচ্ছে বিশ্ব। আসলে নতুন কিছুই নয়–নগ্ন হয়ে জীবনযাপন করা থেকে শুরু করে বিবাহ বহির্ভূত যৌ*ন*তা এবং যৌ*ন*পেশা। সবই ছিল, সবই আছে এবং সবই থাকবে। ভণ্ডামির মধ্যেও থাকবে। যৌ*ন*তার ক্ষেত্রে তো অবশ্যই। আর এক্ষেত্রে মহিলাদের পাশাপাশি পুরষরাও আসছে যৌ*ন*পেশায়। গ*ণি*কাবৃত্তি মহিলাদের জন্য আর একচেটিয়ে থাকছে না। মহিলাদেরও প্রয়োজন হচ্ছে পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের সঙ্গ। অতৃপ্ত দাম্পত্য অথবা অতি দেরিতে বিয়ে করার বা হওয়ার কারণেই এই প্রয়োজনীয়তা। বিশেষত বিশ্বের প্রথম দেশগুলিতে তো বটেই। তৃতীয় বিশ্বের মহিলারাও যৌ*ন*তার সুখ খুঁজতে পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী ভাড়া করে জীবন উপভোগ করা শুরু করেছে। Women who pay for S*e*x’ শিরোনামে বিবিসি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। সাংবাদিক হান্নাহ বারনেসের লেখা ফিচারধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনে এমন অনেক মহিলা আছেন যারা বার কিংবা নাইট ক্লাবে গিয়ে পুরুষ সঙ্গী খোঁজা পছন্দ করেন না। যৌ*ন*তা উপভোগের জন্য তাঁরা ‘এ*স*ক*র্ট এজেন্সির সাহায্য নেন। এসব এজেন্সির কাছে ফোনে এ*স*ক*র্ট চাইলেই তাঁরা মহিলা ক্লা*য়ে*ন্টদের শোওয়ার ঘরে পুরুষ ‘এ*স*ক*র্ট’ পৌঁছে দেয়। এইসব মহিলা সাধারণ নিজের বয়সে চেয়ে অনেকটা কম বয়সি যুবকদের সঙ্গী হিসাবে পছন্দ করে। এতে বেশ একটা অজাচার (Incest) ফিলিংসও আসে।

ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের একটি বিলাসবহুল এ*স*ক*র্ট এজেন্সির মালিক নিকোল। মহিলাদের জন্য তিনি একটি বিলাসবহুল এবং বড় আকারের বাংলো তৈরি করে রেখেছেন। যেটি শহর থেকে প্রায় অনেকটাই দূরে! এই বাড়ির ভিতরে কী চলছে সেটা বাইরে থেকে কোনোভাবেই বোঝার উপায় নেই। নিকোল জানান, “মহিলা ক্লা*য়ে*ন্টরা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে চান। এটা তাঁদের নিজস্ব পৃথিবী, এই গোপনীয়তা তাঁদের জীবনেরই অংশ।” পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীরা জানেন তাঁদের কাছে আসা মহিলারা অবিবাহিত বা একাকী নন। এমনই একজন পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী জানাচ্ছেন, “কিছু মহিলা মনে করেন যৌ*ন*তার জন্য অর্থ ব্যয় কোনো অপরাধ নয়। এটি প্রেম বা অন্যান্য সম্পর্কের মতোই স্বাভাবিক ব্যাপার।” যেসব মহিলার বয়ফ্রেন্ড বা স্বামী আছে, তাঁদের জন্য বারে কিংবা অন্য কোনো প্রকাশ্য জায়গায় অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গ খুবই বিপদজ্জনক। নিকোলের মতে, ‘তাঁদের জন্য এমন জায়গা দরকার যেখানে প্রতিবেশী বা পরিচিত কেউ তাদের দেখে ফেলবে না। সেজন্যে তাঁর তৈরি বাড়ি ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয়। অনেক মহিলাই আসেন, যাঁরা যৌ*ন*সুখ খোঁজেন। সেরা যৌ*ন*সুখটির খোঁজে তাঁরা যথেচ্ছ অর্থ ব্যয় করে, চলে অবাধ যৌ*ন*তা। সেরা যৌ*ন*সুখের অনেক ভাগ্যবতী মহিলাদের অর্থও ব্যয় করতে হয় না। কোনো পছন্দের পুরুষকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সেই পুরুষটির সঙ্গে স্বেচ্ছায় অবাধ যৌ*ন*সঙ্গম করে নেয়। বিনিময়ে প্রেমের আকুতি, ভালো-মন্দ উপহার, প্রয়োজনে কিছু আর্থিক সাহায্য, একে অপরের সুখ-দুঃখ শেয়ার করা ইত্যাদি। এক্ষেত্রে একটু বেশি বয়সের মহিলারাই নতুন এক আইডেন্টিটি খুঁজে পায়। এই ভেবে আত্মশ্লাঘা বোধ করে যে, সে এখনও নিঃশেষ হয়ে যায়নি। এইভাবে এ*স*ক*র্ট সার্ভিসে না জানিয়ে একজন বিশ্বস্ত ও বিশ্বাসী পুরুষের সঙ্গে নিজের যৌ*ন* চাহিদা মিটিয়ে নেয়। তবে এই শ্রেণির মহিলারা যেমন বেশি বয়সের হয়, তেমনি সম-বয়সের পুরুষ-সঙ্গীও খুঁজে নেয়।

মধ্য চল্লিশের নিঃসঙ্গ মহিলা হন কিংবা যৌ*ন*সুখে আসক্ত যুবতী–যে কেউ হতে পারে পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীর ক্লা*য়ে*ন্ট। এইসব মহিলারা নিভৃতে ও গোপনে যৌ*ন*সুখ পেতে পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের ‘কল’ করে। সময়-দিন চূড়ান্ত করে পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে চলে আসে। কোনো কোনো পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীর এটাই একমাত্র পেশা, কেউ কেউ আবার অন্য পেশায় যুক্ত থাকলেও বাড়তি রোজগারের জন্যেও আসে। কেউ অবিবাহিত, কারোর-বা স্ত্রী-সন্তানও আছে। মোটা অঙ্কের রোজগারের জন্য অথবা স্রেফ স্ফুর্তির জন্য অথবা উভয়রেই জন্য এ পেশায় আসার সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এখন যেন নেশায় পরিণত হয়েছে। জিগোলো বা কলবয়ের পেশায় আসছে স্কুল-কলেজের ছাত্ররাও। আগেই বলেছি মধ্যবয়সি মহিলাদের কাছে কম বয়সি পুরুষদের চাহিদা বেশি। অজাচারের সুপ্ত ইচ্ছাটাও পূরণ হয় এতে। এক্ষেত্রে পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের কাছে ক্লায়েন্টের বয়স যত বেশি হয় রেটও তত বেশি হয়। অবাক হবেন না, পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের মুখ থেকেই শোনা যায়, ১৭ থেকে ৭০ সব বয়সি মহিলারা ক্লা*য়ে*ন্ট হয় তাঁদের। এমনকি মায়ের বয়সি প্রৌঢ়া মহিলাদের সঙ্গেও যৌ*ন*-সম্পর্ক করতে হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীর অভিজ্ঞতা বলছে–“একবার কিছুদিনের জন্য এক মহিলার স্বামীর ভূমিকায় থাকতে হয়েছিল। আবার আলিপুরের এক মহিলার স্বামী আমাকে ভাড়া করে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরই স্ত্রীর জন্য। ভদ্রলোক অসম্ভব পয়সাওয়ালা, কিন্তু যৌ*ন*তায় অক্ষম। তাই স্বামী-স্ত্রীর সমঝোতায় এই ব্যবস্থায় এসেছিলেন। ভদ্রলোকের একটাই শর্ত ছিল–তাঁর সামনেই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে হবে। আর একটি ক্লায়েন্টের কথা বলি। এখানেও স্বামীর সামনে স্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে হয়েছিল। এক্ষেত্রে ক্লা*য়ে*ন্ট ছিল সরাসরি মহিলাটিই। প্রৌঢ়া মহিলা, তবে বেশ সুন্দরী এবং আকর্ষণীয়। মহিলাটিই আমাকে কল করেছিলেন। যেদিন কাজ করতে গিয়েছিলাম সেদিন দেখলাম ওনার স্বামী বেডরুমে উপস্থিত ছিল। এই সময়ে ওই মহিলাটি কাজ শুরু করতে বলে। ঘরে অন্য এক তৃতীয় ব্যক্তির (যে কিনা ওনার স্বামী) উপস্থিতিতে বেশ অস্বস্তি হচ্ছিল আমার। স্বামীটিই আমার অস্বস্তি কাটিয়ে দিয়ে আমার ডান হাতটা ওর স্ত্রীর একটি স্তনের উপর চেপে ধরল। আমি বুঝলাম ওনার সামনেই কাজটা করতে হবে। একটা সময় ওই ভদ্রলোক আমার প্যান্ট খুলে উলঙ্গ করে দিলেন এবং আমার পেনিসটি মুখে নিয়ে ওরাল করতে থাকল। তারপর একটা সময় উনিই বললেন এবার দিয়ে দাও। আমি নির্দেশ পালন করলাম। পরে আরও কয়েকবার যেতে হয়েছিল, ওই মহিলার সঙ্গে কাজ করতে হয়েছিল। তবে এই ভদ্রলোক যৌ*ন*তায় অক্ষম ছিল কি না কোনোদিন জানা হয়নি। একবার বেশ বড়োলোক বাঙালি বাড়ির ২৪-২৫ বছরের ছেলে তাঁর মধ্যবয়সি মায়ের জন্য আমাকে ভাড়া করেছিল। অবশ্যই মায়ের সম্মতিতেই। অত্যন্ত সুন্দরী ছিলেন সেই ভদ্রমহিলা। এক বয়স্ক মহিলা আমার ক্লা*য়ে*ন্ট ছিল, তিনি তাঁর বিধবা মেয়ের জন্য আমাকে ভাড়া করতেন।

“শুধু সিঙ্গল বেড পার্টনার নয়, পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের ডাক পড়ে গ্রুপ সে*ক্স বা কাপল সেক্সের জন্যেও। গ্রুপ সে*ক্স মানে একটি সিটিংয়ে তিন-চার বা তারও বেশি বিভিন্ন বয়সি বা সমবয়সি মহিলাদের সঙ্গে কাজ করতে হবে। এক্ষেতে পারিশ্রমিকও বেশ ভালো পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে বলতে গেলে আমাকে কিছুই করতে হয় না। যা করার ওরাই সমবেতভাবে করে। এরা পরস্পর পরস্পরের পরিচিত হয়ে থাকেন। নিজেদের মধ্যে বোঝাবুঝিও খুব মসৃণ। কাপল সে*ক্সটা হল স্বামী-স্ত্রী যৌথভাবে কোনো একজন পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীকে ভাড়া করেন। সেক্ষেত্রে একজন ক*ল*গা*র্লকেও নিয়ে যেতে হয় ওই পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীকে। হবে পার্টনার সোয়াপিং। পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীটি মহিলার (স্ত্রী) সঙ্গে এবং মহিলা যৌ*ন*ক*র্মীটি পুরুষের (স্বামী) সঙ্গে। অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রী উভয়ই যৌ*ন*ক*র্মীর সঙ্গে যৌ*ন*সঙ্গম করবে। হাই প্রোফাইল মহিলারা চাকরি বা ব্যাবসায় সূত্রে আসেন নামীদামি হোটেল-রিসর্টে। এই মহিলাদের কেউ ডমিনেটিং, কেউ প্রচণ্ড কামার্তা, কেউ বিকৃতকামী।” অভিজ্ঞতার কথাগুলো বললেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী।

পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীরা বিবিসি-কে জানার, মহিলারা নানা কারণেই যৌ*ন*তার জন্য অর্থ ব্যয় করতে চান। যৌ*ন*তায় আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া, নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ইত্যাদি। এছাড়াও কর্পোরেট মহিলারা সময়ের অভাবে তাঁদের স্বামীর সঙ্গে মিলিত হতে পারে না। ফলে তাঁরাও এই বাড়িতে আসেন কিংবা ডেকে নেন তাঁদের নিরাপদ স্থানে। ইতিমধ্যে ব্রিটেনে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এই পরিসেবা। পুরুষরাও আসছেন এই পেশায়। নিকোল জানাচ্ছে, “ইংল্যান্ডে বেকারত্ব সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন ঘণ্টাপ্রতি ৬০ পাউন্ডেও পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী ভাড়া পাওয়া যায়। যা কিনা ভারতীয় মুদ্রায় মাত্র সাড়ে ৫ হাজারের মতো। গড়পড়তায় ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ১০০ থেকে ১৫০ পাউন্ড খরচ করলেই মিলবে কাঙ্খিত যৌ*ন*সুখ।”

পুরুষদের এ*স*ক*র্ট সার্ভিস এখন সারা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে পড়েছে। ভারত, বাংলাদেশ কোনো দেশই বাদ নেই। আছে এই কলকাতাতেও। তবে প্রকৃত এ*স*ক*র্ট সার্ভিসে চেয়ে প্রতারক এ*স*ক*র্ট সার্ভিসই বেশি গজিয়ে ওঠেছে। প্রতারক এ*স*ক*র্ট সার্ভিসগুলি থেকেই জানা যায় আগ্রহী পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীর সংখ্যা যথেষ্ট বাড়ছে। সেসব আগ্রহী পুরুষরা অনেকক্ষেত্রেই ভুয়ো এ*স*ক*র্টের খপ্পরে পড়ে অর্থদণ্ড দেয়। পুরুষ এ*স*ক*র্ট সার্ভিস থেকে কীভাবে পুরুষ। যৌ*ন*ক*র্মী আহ্বান করা হয়? একটা নমুনা দিলাম। বিধিবদ্ধসতর্কীকরণ : উল্লেখিত বিজ্ঞাপন থেকে কেউ যোগাযোগের চেষ্টা করবেন না। যদি করেন, তা নিজ দায়িত্বে। লেখক কোনো দায় নেবে না। কারণ এই বিজ্ঞাপন যাচাই করা হয়নি। দেখুন–WELCOME TO GIGOLO CLUB (ALL OVER INDIA)

INFO:

Become a Gigolo!! We require looking, young boys for satisfying our female clients . It is a good income source with enjoyment. You can earn up to 25,000/- per meeting.

Enjoy your time with women, satisfy them, and what’s more, get paid for it!! We are so excited to launching this club and look forward to the positive effects it will have on so many peoples lives.

 Why Gigolo Club is Best for you :–

1) low membership fee

 2) only one time membership

3) privacy is assured

 4) 100% safe

 5) no need of your real name

 6) you can use nick name

 7) no need of photos

Membership plans:

1) SILVER PLAN—

-Rs 1000/- lifetime .

–4 clients in month

–only short time service

 2) GOLDEN PLAN :-

-Rs 3000/- only lifetime-

-unlimited clients

 ( daily service available)

–short time and full night service available

Membership fee is for that to see only serious guys will join otherwise all beggars will join freely.

JOINING PROCEDURE :

 1) choose membership plan.

2) pay membership fee.

3) then send screen shot or transaction id

3) send your city and nick name.

 4)after 2 hours you will start your work.

PAYMENT OPTIONS :

  1. Paytm

880046**39

  • Account Transfer

 A/C NO: 918010087578961

 IFSC CODE: UTIB0000589

3)google pay 730366**18

4) Phone pay 730366**18

Send transaction slip after payment.

NOTES :

 1) If you are agree to above terms and condition, then ask more questions. Otherwise stay away.

2) without membership we can’t give you work.

3) without membership we cant meet anywhere.

4) due to privacy, we dont have a office .

 5) don’t ask for deduction of membership free from your earnings, because clients will directly pays you money.

6) no photo sharing without membership

Thanks and Regards

Thanks.

এতক্ষণে আপনি নিশ্চয় ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন যে, পুরুষদের যৌ*ন*পেশায় আসাটা হাল-আমলের, একটা নতুন ট্রেন্ড। না, নতুন ট্রেন্ড বা হাল-আমলের মোটেই নয়। গোপনে হলেও বহু প্রাচীনকাল থেকেই পুরুষরা যৌ*ন*পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিল। বর্তমানে যেটা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথম পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী মোটামুটি দুই ধরনের–এক ধরনের পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী, তাঁরা মহিলা ক্লা*য়ে*ন্টদের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে যৌ*ন*সঙ্গম করে। এবং আর-এক ধরনের পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীরা হল তাঁরা কেবলমাত্র পুরুষদের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে যৌ*ন*সঙ্গম করে, এঁদের সাধারণত ‘টপ’ (Top) বলে। অর্থাৎ যেসব পুরুষ যৌ*ন*বৃত্তি করে, তাঁদের ইংরেজিতে বলা হয় জিগোলো (GIGOLO)। জিগোলো শব্দটির অর্থ, কোনো মহিলাকে পুরুষের সামাজিক সঙ্গ দেওয়া। তবে কেবলমাত্র আক্ষরিক অর্থে সীমাবদ্ধ নয় জিগোলো। যেসব পুরুষ সমকামী নয়, কিন্তু সমকামী পুরুষদের জন্য কাজ করে, তাদেরকে জিপি (গে ফর পে) নামে ডাকা হয়। সাধারণত এই পেশায় জড়িত সকল পুরুষদেরই পেশাদারি নাম ‘পুরুষ বে*শ্যা’ বা ‘পুরুষ প*তি*তা’।

পুরুষ যেখানে শাসক, সেখানে তাঁদের যৌ*ন*সম্ভোগ মেটায় যে ক*র্মীরা, তাঁদের নারীই হতে হবে। সেই তো স্বাভাবিক গতানুগতিক শুধু নারী-পুরুষে যৌ*ন*-সম্ভোগীদের জন্যে। কিন্তু সেই নগরবধূদের জায়গায় যদি রাতে নেমে আসে লিঙ্গধারী সদস্যরা! কী নামে ডাকবেন তাদেরকে? নগরবধূর বিপরীতে নগরস্বামী? ইংরেজি ভাষায় বেশ কিছু ডাকনাম আছে, যার বেশিরভাগ অকথ্য। যেমন—জন (John), এ*স*ক*র্ট (Escort), রেন্ট বয় (Rent Boy), মডেল (Model), ম্যাসার (Masseur, হাসল (Hustler), ট্রিক (Trick), টার্নিং ট্রিক (Turning Trick), জিগোলো (Gigolo) প্রভৃতি। কিন্তু প্রমিত বাংলা ভাষায় ‘পুরুষ বে*শ্যা’ শব্দ ছাড়া কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ভাষায় লিঙ্গের প্রভেদ সংকুচিত করার উপায়ান্তরে এবং পেশাগত দিক বিবেচনায় যারা প্রত্যক্ষ যৌ*ন*শিল্পে জড়িত, তাঁদেরকে বলা হয় যৌ*ন*ক*র্মী।

ছুটির দিনে এদের অনেকেই মোটা অর্থে অনেক নারীর সঙ্গী হয়, তাই তাঁরা ‘Escort’। সহযাত্রী, রক্ষী, অনেকে এদেরকে ডাকে ‘রেন্ট বয়’ বা ‘কলবয়’ নামে, নারীর ক্ষেত্রে যেমন বলা হয় ‘ক*ল*গা*র্ল’। এঁদের অনেকের নিজস্ব পছন্দ আছে, আগে থেকেই জানিয়ে দেয় নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দগুলো। যেমন—ভালো গাড়ি চড়াতে হবে, ভালো হোটেল বা কটেজে রাখতে হবে, এইসব বিভিন্ন পেশাদারি আবদার। যেসব পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীরা পথের। উপর অপেক্ষা করে, তাঁদেরকে বলা হয় জন(John), ট্রিক বা টার্নিং ট্রিক। মডেল, ম্যাসার এবং হাসলার—এই ত্রয়শব্দ কখনো-কখনো নজর কাড়ে। কিন্তু সরাসরি এই শব্দগুলো পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায় না। কেউ কেউ মডেলিং এবং ম্যাসাজের পাশাপাশি যৌ*ন*-ব্যাবসায় লিপ্ত হয়, কিন্তু তাই বলে সবাইকে এর অন্তর্ভুক্ত করাটা যুক্তিসংগত নয়। সমাজের অনেকেই একসঙ্গে দু-ধরনের পেশায় সংলিপ্ত থাকে, কোনো ডাক্তার যদি গায়ক হন, তাহলে তার দুই কর্মক্ষেত্রকে সমাজ এক কাতারে ফেলে না। অন্যদিকে একজনকে কেন্দ্র করে যেমন সব ডাক্তারকেই গায়ক মনে করা হয় না, তেমন করেই সব মডেল, ম্যাসার নিশ্চয় যৌ*ন*ক*র্মী নন। এধরনের ‘পদ সম্বোধন’ সমাজে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে কিছু বিরূপ সংস্কার তৈরি করে। হাসল’ শব্দটা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। ফরাসি শব্দ ‘জিগোলো’, অনেক দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে, যা কিনা শুধুমাত্র নারী গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য। যেসব পুরুষ সমকামী নয়, কিন্তু সমকামী পুরুষদের জন্য কাজ করে তাঁদের বলা হয় গে ফর পে (Gay for pay)। ট্রেড (trade) অর্থের মাপকাঠিতে সমাজ যেখানে মূল্যবোধগুলোকে পথে টেনে বাণিজ্য করছে, সেখানে যৌ*ন*ক*র্মীর গায়ে ট্রেডমার্ক নামের লেবেল এঁটে দেওয়া হয়েছে। এই যে এত লেবেলর কথা বললাম, এই লেবেল দেওয়ার অধিকার কাদের? এই লেবেল দেওয়ার অধিকার তাঁদের গ্রাহকদেরই।

বিশ্বের ইতিহাস একটি বিস্মৃতবাদী সমাজের (Misogynist Society) মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। সুতরাং বিস্ময়ের অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই যে, মহিলারা অতীতকালীন যুক্তিবাদী চিন্তাভাবনা, কলা এবং বিজ্ঞানকে আশ্রয় করে এমন সমস্ত মহান পুরুষদের বিপরীতে গৌণ ও নিম্নমানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। সেন্ট অগাস্টিন থেকে শোপেনহাউয়ার এবং ডারউইন পর্যন্ত ইতিহাস পুরুষদের কৃতিত্বের দিকে বর্ণনা করেছে। মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত কিছু বোকা হুল্লাবলুদের (Foolish hulabaloos) উৎসাহিত করেছিল। অন্ধকার যুগের সময় অনুসন্ধানের শাস্তি বা মহিলা বিশৃঙ্খলা প্রবণতা ব্যাখ্যা করার জন্য এবং প্রমাণ করার জন্য মহিলা যৌ*ন* উগ্রতার উত্থান হয়। দুষ্টের প্রতিমূর্তি হিসাবে মহিলাদের ধারণার ফলে নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক অংশ বাদ দেওয়া হয়েছিল, যেখানে পুরুষ লিঙ্গ ঠিক তেমন শক্তিশালী বা তত উন্নত দেখা যায় না। এই অনুচ্ছেদের একটি হল প্রাচীন গ্রিস এবং রোমের পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের কাহিনি।

প্রাচীন গ্রিসে লিঙ্গভিত্তিক যৌ*ন* দৃষ্টিভঙ্গির একটি গৌণ ভূমিকা ছিল। তাঁদের যৌ*ন* পছন্দগুলির দ্বারা কারও সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি এবং সামাজিক নিয়মাবলি যৌ*ন*তাকে একটি প্রাকৃতিক অনুশীলন হিসাবে দেখেছিল, যার। কোনও পোলিসের সঙ্গে সম্পর্কিত বা অন্যের কাছ থেকে গ্রহণযোগ্যতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না। গ্রিসে পুরুষ যৌ*ন*বৃত্তি নারী যৌ*ন*বৃত্তির মতোই সাধারণ ব্যাপার ছিল। তবে পুরুষত্ব যৌ*ন*তার সময় একটি ‘শ্রেষ্ঠত্বের নীতি’ প্রকাশ করেছিল। লিঙ্গের ক্ষেত্রে সক্রিয়-নিষ্ক্রিয় (Active-Passive) দ্বিপদী এক অপরিসীম তাৎপর্য অর্জন করে। যেহেতু যৌ*ন*ক্রিয়া চলাকালীন একজন ব্যক্তির ভূমিকা তাঁদের সামাজিক অবস্থান প্রকাশের একটি খাঁটি উপায় হয়ে উঠেছে। অনুপ্রবেশকারী’ (Penetrator) সাধারণত সামাজিক বা সামরিক খেতাব সহ উচ্চমানের ব্যক্তি ছিলেন।

পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের থেকে মহিলা যৌ*ন*ক*র্মীরা কিছুটা পৃথক। কারণ পুরুষরা তাঁদের শরীর মহিলাদের কাছে যেমন উপস্থাপন করতে পারত, তেমনই একই লিঙ্গের অন্যান্য ব্যক্তিদের উপভোগ এবং আনন্দ দিতে পারত। পুরুষ যৌ*ন*বৃত্তির অনুশীলনের দুটি ভিন্ন উপায় ছিল, যা বিভিন্ন স্তরে অবনমিত ছিল। ট্রামোস বা পর্নোইকে নিকৃষ্ট বা অবাঞ্ছিত হিসাবে বিবেচনা করা হত। কারণ তারা বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে উপার্জনের জন্য তাঁদের দেহ বিক্রি করেছিল, কিন্তু তাঁদের কেউই গ্রিসের নাগরিক ছিল না। যেহেতু তাঁরা যুদ্ধবন্দি ছিল, তাই হেলেনিক সমাজের নিম্ন স্তরের চেয়েও নিকৃষ্ট বলে বিবেচিত হয়েছিল। তাঁদের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা কঠোরভাবে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল, যাঁদের পরিসেবা প্রয়োজন। রোমান সমাজ একই নীতি গ্রহণ করেছিল, এটি বেশ কয়েকটি আইন দ্বারা প্রয়োগ করা হয়েছিল, যা নিশ্চিত করেছিল যে উচ্চপদস্থ ব্যক্তিটি প্রবেশকারী (Penetrator) হিসাবে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করবে। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা এবং মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি পেতে হবে।

দ্বিতীয় ধরনের পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীকে হেঁটেরিকোস (Hetairikos) বলা হত। তাঁদের মর্যাদা হিটেইরাস নামক এক উচ্চপদস্থ মহিলা যৌ*ন*ক*র্মীদের সমান ছিল। তাঁদের ভূমিকা আজকের এ*স*ক*র্টের মতো ছিল। এই পুরুষরা সাময়িকভাবে একই পদমর্যাদার নাগরিকদের দ্বারা গৃহীত (Adopted) হত। যতক্ষণ না তাঁরা প্রকাশ্যে অন্তত তাঁদের সম্পর্কের সক্রিয়-নিষ্ক্রিয় নীতিটিকে সম্মান করে, তাঁরা তাঁদের মাস্টার’-দের প্রতি যৌ*ন* অনুগ্রহ প্রদান করেছিল।

পুরুষের যৌ*ন*পেশা বা পুরুষ যৌ*ন*বৃত্তি বিষয়টি নতুন মনে হলেও এটি সভ্যতার নতুন কোনো বিষয় নয়। রোমান এবং গ্রিক পুরাণেও এমন অনেক চরিত্র পাওয়া যায়, যা প্রমাণ করে সেই সময়েও পুরুষ দেহব্যাবসা প্রচলিত ছিল এবং পুরুষদেরকে বাধ্য করা হত এই পেশা বেছে নিতে। ইতিহাসেও পাওয়া যায় এমন ঘটনা! প্লেটোর রচনা ‘ইলিসের ফিডো’ এমনই একটা সত্যকাহিনি, যাতে পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের বর্ণনা আছে। হিব্রু বাইবেলেও পুরুষের যৌ*ন*পেশার কাহিনির উল্লেখ আছে। অতীতে অনেক যুদ্ধ ফেরত সৈনিক এই পেশা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু সেইসময় পুরুষের যৌ*ন*বৃত্তি নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন মনে করত না কেউ। কারণ সেটা কতিপয় জনগোষ্ঠীর মধ্যেই যেমন সীমাবদ্ধ ছিল। তেমনি এই বিষয়ে তৎকালীন সমাজে সাধারণ মানুষের ধারণাও ছিল সামান্য। কাজেই বলা যেতে পারে, পুরুষের যৌ*ন*পেশা কোনো নতুন বিষয় নয়, বরঞ্চ এই ঘটনাটি নারীদের পাশাপাশি চলে আসছে বহুকাল ধরেই।

সোস্যাল মিডিয়ায় পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের দেখা মেলে প্রচুর পরিমাণে। একজন পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীকে পেশিবহুল, মার্জিত, অতি সুসজ্জিত এবং আকর্ষণীয় ছবিসহ সেইসব পেইজের দেয়াল ভরে আছে। তা ছাড়া ওই নির্দিষ্ট রেন্টবয়ের কাছে সে কী কী সুযোগসুবিধা, সেবা এবং পরিচর্যা গ্রাহক পেতে পারে, সে বিবরণ আকর্ষণীয়ভাবেই তুলে ধরা হয়, কিছু দাবি-দাওয়াও আছে সেখানে। যেমন—ক্লায়েন্টের কী কী ব্র্যান্ডের গাড়ি থাকতে হবে, কটেজে না বাড়িতে থাকবে, কী খাবার খাওয়াতে হবে, এইসব আবদার পেশাদারি দাবি। আরও কিছু তথ্য জানা গেল এমন কিছু পেইজ ঘাঁটাঘাঁটি করে। খুব স্পষ্ট করে জানানো আছে এইসব পেইজে। যেমন—কে শুধুমাত্র সমলিঙ্গের সঙ্গ দিতে চায়, কে শুধুমাত্র নারীর সঙ্গী হতে চায় এবং কারা উভয়ের সঙ্গ দিতে আগ্রহী ইত্যাদি। যাই হোক, অর্থ আর আয়ের বিষয় এইক্ষেত্রে খুবই আনুসঙ্গিক। কারণ এই পেশাও একটা বাণিজ্য। এই পেশায় যদি পুরুষের আয় নারীর চেয়ে বেশি হয় তাহলে এটাও ভুললে চলবে না, পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের ক্লা*য়ে*ন্ট শুধুমাত্র নারীই নয়, ধনী, উচ্চবিত্ত এবং অনেক প্রভাবশালী পুরুষও। অর্থের বাড়তি অঙ্কটার আমদানি সেই পাল্লাতেই ভারী। যে কারণে ব্যক্তিগতভাবে সমকামী না-হলেও এই পেশায় অনেক ক*র্মী সমকামী পুরুষদেরও সঙ্গী হয়।

পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের বিষয়ে নারীবাদীরা কী মনে করেন একটু দেখা যাক। নারীবাদীরা পুরুষের যৌ*ন*পেশায় আসা নিয়ে সোচ্চারভাবে কিছু না-বললেও যে একেবারেই বলেননি তা কিন্তু নয়। কট্টর নারীবাদীরা গ*ণি*কাবৃত্তির বিরোধিতা করছে চিরকাল, সেটা নারী কিংবা পুরুষ হোক। তাঁরা অস্তিত্ববাদী বা উদারপন্থী নারীবাদীদের মতো যৌ*ন*কর্মকে সমাজের বুকে মেনে নিয়ে আইনসম্মত করাটা মানবতার বিরোধিতা মনে করে। যেমন করে সমাজে পুরুষরা নারীকে শোষণ করে যৌ*ন*পেশায় কাজ করায়, তেমনি পুরুষরাই কিছু পুরুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এই পেশায় নিয়োগ করে শোষণ করছে, অর্থবলে-ক্ষমতাবলে। এটা ঠিক যে, অনেক পুরুষ স্বেচ্ছায় এই পেশায় আসছে। কিন্তু অন্যদিকে অস্বীকার্য যে অনেক কম বয়সি পুরুষ বাধ্য হয়। সমকামী পুরুষের মনোরঞ্জনে যৌ*ন* চাহিদা মেটানো। এমন কি বয়োঃসন্ধিকালে অনেক অল্প বয়সি পুরুষ এই পেশায় নিয়োজিত হয়, সমকামী না-হয়েও। অবশেষে অর্থাভাবে অনেকেই এই পথকেই বেছে নেয় পেশা হিসাবে। তা ছাড়া, অপ্রাপ্ত বয়স থেকে এই পেশায় থাকার কারণে মানসিকভাবে অন্য পথটাও তাঁদের চেনা ওঠে হয়ে না।

পুরুষ হওয়ার কারণে এঁরা নির্যাতিত হয় না, সেটা সঠিক তথ্য নয়। নারী যৌ*ন*ক*র্মীদের মতোই পুরুষরাও ধর্ষিত হয়, শারীরিকভাবে অত্যাচারিত হয়, আর্থিকভাবে প্রতারিত হয়। সেইজন্য পাশ্চাত্যে পুরুষদের ‘রেপ ক্রাইসিস সেলটার’-গুলোতে এতো পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের ভিড়। সমকামী পুরুষ এবং যৌ*ন*ক*র্মীরাই সেখানে বেশি। যৌ*ন*ক*র্মী, হোক সে নারী কিংবা পুরুষ, যৌ*ন* হয়রানির শিকারের আধিক্য তাঁদের উপরই বেশি। তাঁদেরকে যেমনভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করা যায়, কারণ তাঁরা অর্থের বিনিময়ে ভোগ্য মানুষ। অর্থশালী নারী-পুরুষ উভয়েই তাঁদেরকে ব্যবহার করে ইচ্ছানুযায়ী। প্রথমে আর্থিকভাবে ঠকানো, তারপর শারীরিক নির্যাতন। পুলিশও ওদের পক্ষে থাকে না, থাকলেও পুলিশরেই উপর্যুপরি প্রশ্নে জর্জরিত হতে হয় ওদেরকে। তা ছাড়া বেশিরভাগ দেশেই তো ওরা বেআইনি, পুলিশের সাহায্য আশা করতে পারে না। অত্যাচারী গ্রাহকেরা সে ব্যাপারে অবগত বলেই অত্যাচার করতে দ্বিধাবোধ করে না। অনেকসময় ওরা নির্যাতন সয়ে নিয়ে ক্রাইসিস লাইনে ফোন করে কথা বলে অবস্থার প্রতিকার চায়। সেইজন্যই অস্তিত্ববাদীরা এবং উদারপন্থীরা মনে করে যে, যৌ*ন*ক*র্মীদের জন্য বিশেষ আইন থাকা প্রয়োজন। ক*র্মী বা ক্লা*য়ে*ন্ট কেউই যেন কোনো অনাচারের শিকার না হয়, সঙ্গে সঙ্গে যৌ*ন*ক*র্মীরা বয়সকালে রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না-হয় সেইজন্য তাঁরা উপযোগী আইন গঠনের পক্ষে।

এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে পুরুষের বে*শ্যাবৃত্তি কি আইনসম্মত? অনেক দেশেই এই পেশা বিধিসম্মত, কিছু দেশে আংশিক আইনি, আবার কোনো-কোনো দেশে সম্পূর্ণ বেআইনি। যৌ*ন*-ব্যাবসায় নারী-পুরুষের আইন প্রকৃতপক্ষে একই। কিন্তু কোনো কোনো দেশে ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অঞ্চলেই পুরুষের যৌ*ন*-ব্যাবসা বে-আইনি নেভাডা অঞ্চল ছাড় দিয়ে। কিন্তু পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের সঙ্গে বসবাস নিষিদ্ধ। ২০০৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র রোড আইল্যান্ডে গ*ণি*কাবৃত্তি বিধানসম্মত ছিল। কানাডায় পুরুষের যৌ*ন*বৃত্তি আইনসিদ্ধ। কিন্তু রাস্তায় দাঁড়িয়ে দরদাম বা কারবারি নিষিদ্ধ। ভারতে পুরুষের যৌ*ন*-ব্যাবসা বেআইনি নয়। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো পুরুষকে জবরদস্তি করে এই ব্যাবসায় নামানো বা প্রলুব্ধ করাটা বে-আইনি। বাংলাদেশে নারীর যৌ*ন* ব্যাবসা আংশিক আইনি, কিন্তু পুরুষের যৌ*ন*-ব্যাবসা বেআইনি।

একজন পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের কাছ থেকে নারী আসলে কী চায়? আসুন, উত্তর জেনে নিই একজন পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীর কাছ থেকে। পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী হিসাবে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছেন অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা রায়ান জেমস। নারীদের সঙ্গে যৌ*ন*সঙ্গমে দীর্ঘদিনের প্রচুর অভিজ্ঞতা তাঁর। বিবাহিত, অবিবাহিত, কুমারিসহ নানা বয়সের নারী তাঁকে ভাড়া করে ভোগ করেছে। আর সময় দেওয়ার বিনিময়ে ৪০০ ডলার থেকে শুরু করে ৬০০০ ডলার পর্যন্ত পারিশ্রমিক পেয়েছেন রায়ান জেমস। তাঁর মতে, নারীরা কেবল যৌ*ন*মিলকেই প্রাধান্য দেন না, তাঁদের চাহিদা অন্যরকম। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ডেইলি মেইলের অস্ট্রেলিয়া ভার্সনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি নারীর বিভিন্ন চাওয়া পাওয়ার কথা বলেন। তিনি জানান, বিছানায় নারী শুধু যৌ*ন*তাই চান না। একে অপরের কথা বলা, এখানে-ওখানে ঘুরতে যাওয়াও নারীর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন পুরুষের কাছে নারী প্রেমিকের মতো আচরণ চায়, যন্ত্রের মতো নয়। তিনি জানান, তাঁকে শুধু নারীর সঙ্গে যৌ*ন*মিলন করার জন্যই ভাড়া করা হয় না। একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানোসহ আরও অন্যান্য কাজের জন্যেও তাকে পারিশ্রমিক প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর পেশাদারিত্বের খাতিরে ৪০০ ডলার থেকে শুরু করে ৬০০০ ডলার পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিয়ে থাকে। তার মধ্যেই যৌ*ন*মিলন ও হোটেলে অবস্থান সংযুক্ত থাকে।

রায়ন বলেন, পুরুষরা বেশিরভাগ সময় যৌ*ন*মিলনকেই প্রাধান্য দেয়। বিশেষ করে কোনো পুরুষ ক্লা*য়ে*ন্ট যখন মহিলা যৌ*ন*ক*র্মীর কাছে যায়। শুধু যৌ*ন*কর্মই সব কিছু নয়। অনেক নারী আছেন যাঁরা যৌ*ন*তা নির্ভর খুনসুটি করতেও ভালোবাসেন। তাই পুরুষদের উচিত শুধু যৌ*ন*মিলনের উপর গুরুত্ব না দিয়ে, অন্যান্য বিষয়ের উপরেও গুরুত্ব দেওয়া। রায়ান আরও বলেন, “অনেক নারী আছেন যাঁরা বারে গিয়ে যে-কোনো পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীকে নিয়ে আনন্দ ফুর্তি করেন, কিন্তু যৌ*ন*মিলন করেন না। বেশিরভাগ নারী তাঁর যৌ*ন*ক*র্মীর সঙ্গে কী করবেন, তা আগে থেকে ঠিক করেন না। ভাড়া করার পর যা করতে ভালো লাগে তাই করতে শুরু করেন। আবার অনেক নারী আছেন, যাঁদের পছন্দের বিষয় তাঁরা জানান। তাঁরা মিলিত হয়ে সেভাবেই কাজ করতে বলেন। আবার কিছু নারী আছেন, যাঁরা শুধু যৌ*ন*মিলনের জন্যই টাকা পরিশোধ করেন। তাঁরা নিজেদের শারীরিক চাহিদা মিটিয়েই চলে যান। তাঁদের নিজের কোনো পছন্দের কথা বলেন না। আমি যা করি তাঁরা তাতেই খুশি থাকেন।” নিজের অভিজ্ঞতা কথা বলতে গিয়ে রায়ান আরও বলেন, “পুরুষের উচিত নারীর মনের কথা জানা। তা না-হলে নারীকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়। আর এ বিষয়টি একজন পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীর খুব ভালো করেই জানতে হয়।”

আসলে মহিলাদের যৌনাঙ্গ পুরুষদের যৌনাঙ্গের তুলনায় অনেক বেশি জটিল, ফলে অর্গাজমে পৌঁছোতে মহিলাদের সময় অনেক বেশি লাগে। এছাড়া আরও অনেকগুলো ব্যাপার এখানে কাজ করে, কিছু মহিলা তাঁদের ‘জি-স্পট’-এ স্পর্শ করলেই উত্তেজিত হয়ে যান। মহিলাদের ৯ রকমের অর্গাজম হতে পারে। একদিনেই হতে পারে, আবার বিভিন্ন দিনেও হতে পারে। তবে সব মহিলার যে এরকম যৌ*ন* অভিজ্ঞতা হতেই হবে, তা কিন্তু নয়। আপনি হয়তো ‘জি-স্পট’-এর কথা শুনেছেন, বেশিরভাগ মহিলার ঘাড়ের কাছে অথবা পিঠের দিকে এই স্পট থাকে, যেখানে পুরুষের স্পর্শ হলে মহিলারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। কিন্তু জি-স্পট’ ছাড়াও ‘সি-স্পট’, ‘ও-স্পট’, ‘এ-স্পট’-ও থাকে একজন মহিলার। তা ছাড়া একজন মহিলার ক্লিটোরাল অর্গাজম, ভ্যাজাইনাল অর্গাজমও হতে পারে। মহিলাদের অর্গাজম পুরুষদের তুলনায় দেরিতে হলেও তার রেশ কিন্তু বেশ অনেকক্ষণ থাকে। সাধারণত অর্গাজমের অনুভূতি পুরুষদের মধ্যে সাত সেকেন্ড পর্যন্ত থাকে, সেখানেই মহিলাদের এই সুখানুভূতি ২৭ সেকেন্ডের বেশি সময় পর্যন্ত বজায় থাকে। আর মহিলাদের তো একবার না, বারবার অর্গাজম হতে পারে। অনেকেই ইজাকুলেশন এবং অর্গাজমের মধ্যে তফাত বুঝতে পারেন না। অর্গাজম হলেই যে ইজাকুলেশন হবে তার কোনো মানে নেই। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে তাঁরা অর্গাজমে পৌঁছেলে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না, তাঁদের ইজাকুলেশন হবেই। অনেক পুরুষ আবার একবার মাত্র ইজাকুলেট করেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং ঘুমিয়েও পড়েন! স্কোয়ারটিং? সে আবার কী? খায় না মাথায় দেয়! এসব প্রশ্ন যদি আপনার মাথায় ঘোরে এই মুহূর্তে তা হলে বলে রাখি, স্কোয়ারটিং হল সেই অনুভূতি, যা আপনাকে অর্গাজমে পৌঁছোতে সাহায্য করে। অনেকেই আবার স্কোয়ারটিংকে অর্গাজম বলে ভুল করে ফেলেন। তবে সব মহিলার কিন্তু স্কোয়ারটিং হয় না। স্কোয়ারটিংয়ের জন্য আপনার সঙ্গীকে ঠিক পয়েন্টে আপনাকে ছুঁতে হবে এবং আপনি সম্পূর্ণভাবে তৃপ্ত হলে তবেই আপনার স্কোয়ারটিং হবে! তবে হ্যাঁ, মনে রাখবেন স্কোয়ারটিং, অর্গাজম এবং ইজাকুলেশন কিন্তু এক ব্যাপার নয়! অতএব মনে রাখতে হবে পুরুষদের যৌ*ন*কর্মে সীমাবদ্ধতা আছে, যে সীমাবদ্ধতা নারীদের ক্ষেত্রে প্রায় নেই-ই। একজন নারী যৌ*ন*ক*র্মী প্রতিদিন যত সংখ্যক পুরুষকে যৌ*ন*সুখ দিতে পারে, একজন পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীর পক্ষে তত সংখ্যক নারীকে যৌ*ন*সুখ দিতে মোটেই সক্ষম নয়। তা ছাড়া নারীর অর্গাজম হোক বা না-হোক, একাধিক পুরুষের অর্গাজম দিতে সক্ষম। পুরুষের বীর্যস্থলনের সঙ্গে সঙ্গে বহুক্ষণ সময় লাগে অপর নারীর সঙ্গে যৌ*ন*সঙ্গে লিপ্ত হতে। এছাড়া একজন পুরুষের শারীরিক মিলনের সময়ে অর্গাজমে পৌঁছোতে যতটা সময় লাগে তার চেয়ে বেশ অনেকক্ষণ পর একজন মহিলা সেই চরমসীমায় পৌঁছেন। সেই কারণেই মহিলা যৌ*ন*ক*র্মীদের তুলনায় পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের রেট কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি।

ভারতেও বাড়ছে পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীর সংখ্যা। সম্প্রতি যৌ*ন*ক*র্মীদের উপর সমীক্ষা চালাতে গিয়ে মাথায় হাত কেরালা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির। সম্প্রতি তাঁদের চালানো এক সমীক্ষাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কেরালা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি (KSACS)-র রিপোর্ট বলছে, গোটা কেরল জুড়ে শুধু ১৩,৩৩১ জন পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী আছে। আর সেখানে মহিলা যৌ*ন*ক*র্মীর সংখ্যা তার অর্ধেক। তথ্য বলছে গোটা রাজ্যে মাত্র মহিলা যৌ*ন*ক*র্মীর সংখ্যা ১৭,০০০। স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির চালানো সমীক্ষা বলছে, অভিবাসী যৌ*ন*ক*র্মীর সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। শুধু তাই নয়, সমীক্ষাতে উঠে এসেছে আরও কিছু তথ্য। সমীক্ষা বলছে, কেরালার বহু পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী পেশার তাগিদে বাইরে রাজ্যে যান। আবার অন্য রাজ্য থেকে কেরালায় আসা অভিবাসী পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীর সংখ্যাও কম নয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিবাসী পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী কেরালায় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। সমীক্ষাতে উঠে আসা আরও তথ্য বলছে, গ্রাম থেকে বহু যৌ*ন*ক*র্মী তাঁরা আসছেন শহরে। যাদের বয়স ৩৬ থেকে ৪৬ বছরের মধ্যে। কেরলের বিভিন্ন হোটেল, ফ্ল্যাট ভাড়া করে রমরমিয়ে তারা যৌ*ন*-ব্যাবসা চালাচ্ছেন। এমনকি কেরলে বেশি বয়সের বিভিন্ন মহিলা এবং পুরুষরা আছেন, তাঁরাও দালালির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। স্থানীয় মানুষ ছাড়াও এদের মূলত টার্গেট বিদেশি এবং দেশি পর্যটকরা।

সমীক্ষাতে উঠে আসা তথ্য বলছে বাংলা থেকেও বহু পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী কেরলে গিয়ে যৌ*ন*-ব্যাবসায় নাম লেখাচ্ছেন। এছাড়াও বিহার এবং ওড়িশা থেকেও বহু লোকজন সেখানে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছে সমীক্ষা। দেখা গিয়েছে, ওই যৌ*ন*ক*র্মীদের একটা অংশ কেরালায় কাজ করতে আসা ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের সম্পর্কে আত্মীয়। অভিবাসী যৌ*ন*ক*র্মীর হার সবচেয়ে বেশি কেরালার পেরুম্বাবুরে। এই যৌ*ন*ক*র্মীদের অধিকাংশই আবার বাঙালি। বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাঁরা এসেছেন। আবার পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের মধ্যে অধিকাংশই কোঝিকোড় জেলার। এই পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের মধ্যে ১০ হাজার আবার মাদকাসক্ত। যৌ*ন*ক*র্মীদের মধ্যে সবমিলিয়ে ১৫ জনের রক্তপরীক্ষায় এইচআইভি পজিটিভ ধরা পড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪ জন মহিলা যৌ*ন*ক*র্মী, ১১ জন পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী।

বাদ নেই ভারতের পাশের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশও। পশ্চিমা বিশ্বসহ পৃথিবীর অনেক দেশে এ ধরনের বাণিজ্য চালু থাকলেও বাংলাদেশে কিছুদিন আগেও অনলাইনে এ ব্যাবসার কথা শোনা যায়নি। অনলাইনে এসব গ্রুপে নারী ও পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী সরবরাহের নিশ্চয়তা দেওয়া হচ্ছে। অনলাইনভিত্তিক এই গ্রুপগুলো বাড়িতে বা ফ্ল্যাটে যৌ*ন*ক*র্মী সরবরাহ করার কথা বলছে। এমনকি শতভাগ সততা ও গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ করার নিশ্চয়তাও দেওয়া হচ্ছে।

গ্লোবালটিভি অনলাইনের অনুসন্ধানে এ ধরনের প্রায় অর্ধশত পেজের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি হল ‘বিডি কল গার্ল লিমিটেড’। ফেসবুক পেজে প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া বিজ্ঞাপনে প্রকারভেদে যৌ*ন*কর্মের মূল্য তালিকাও দেওয়া আছে। তালিকা অনুযায়ী রিয়েল সে*ক্স ২০০০, ফুল নাইট ৫০০০, ভিডিও সে*ক্স ১৫০০, ফোন সে*ক্স ৩০০ এবং চ্যাট (মেসেজ) সে*ক্স ২০০ টাকা। তবে মোবাইল নম্বর ছাড়া ওয়েব সাইটে সুনির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা নেই। এর ফলে এই পেজ ও ওয়েবসাইটটি কে বা কারা পরিচালনা করছে, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা যায় না। তবে পরিচয় গোপন করে ওয়েবসাইটে দেওয়া একটি মোবাইল নম্বরে ফোন করলে তামান্না নামে এক তরুণী কলটি রিসিভ করেন। নিজস্ব স্থান না-থাকার অজুহাত দেখিয়ে সেবা নিতে তাঁদের নির্ধারিত কোনো জায়গা দিতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তামান্না জানায়, আমরা সাপ্লাই দেই, ঘর ভাড়া দেই না। কীভাবে সাপ্লাই পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই তরুণী জানায়, ‘আগে পেজ মেম্বার হতে বিকাশের মাধ্যমে ২০০০ টাকা পাঠাতে হবে। আরও দুয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করতেই অপর প্রান্ত থেকে ফোনের লাইন কেটে দেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনে বিভিন্ন সাইট ঘেঁটে এ ধরনের যে গ্রুপগুলো পাওয়া গেছে তার মধ্যে ‘বিডি কল গার্ল লিমিটেড’ ছাড়াও ‘বিডি ক*ল*গা*র্ল সার্ভিস’, ‘সে*ক্স পার্টি’, ‘অ্যাটেনশন প্লিজ’, ‘ক*ল গা*র্লস ঢাকা, ‘ঢাকা ফ্রেন্ডশিপ ক্লাব’, ‘ক*ল বয় ঢাকা’, ‘ঢাকা গার্লস সেকিং বয়েজ ফর ফ্রেন্ডশিপ’, ‘ক*ল বয় বাংলাদেশ’, ‘প্লে ব*য় সার্ভিস ইন বাংলাদেশ ছাড়াও অন্তত ১৫টি এ*স*ক*র্ট (Escort) এজেন্সির সন্ধান পাওয়া গেছে। যৌ*ন*-চাহিদা মেটানোর জন্য এ*স*ক*র্ট এজেন্সির নামে যে গ্রুপগুলো অনলাইনে সক্রিয় আছে তার মধ্যে এ*স*ক*র্ট সার্ভিস’, ‘এ*স*ক*র্ট ঢাকা’, ‘এ*স*ক*র্ট মোহাম্মদপুর’, ‘এ*স*ক*র্ট ধানমন্ডি’, ‘বিডি এ*স*ক*র্ট সার্ভিস’, ‘ঢাকা ক*ল ব*য় এজেন্সি’, ‘মেইল গুলশান’, ‘বালক গুলশান লিমিটেড। সাইটগুলো ঘেঁটে দেখা গেছে এ*স*ক*র্ট গ্রুপের প্রতিটি পোস্টে অশ্লীল ভঙ্গির ছবিসহ কিছু মেয়ে কিম্বা ছেলের নাম ও বর্ণনা দেওয়া আছে। ঢাকা ছাড়াও দেশের কোথায় কোথায় সার্ভিসের জন্য যেতে পারবে এবং সেজন্য ঘণ্টা কিংবা দিনপ্রতি ডলার ও টাকার হিসেবে দেওয়া আছে। শুধুমাত্র মহিলা যৌ*ন*ক*র্মী পাওয়া যাবে যেসব এ*স*ক*র্ট এজেন্সি থেকে–‘ডিয়ার লেডিস’, ‘আর ইউ লোনলি’ ‘হাউজ ওয়াইফ’, ‘ডিভোর্সেড লেডি’, ‘সিঙ্গেল গার্ল’, ‘ফরেনার লেডি’ ‘লুকিং ফর ফুল বডি ম্যাসেজ’, ‘ট্রাভেল’, ‘ফান সার্ভিস’ ইত্যাদি।

সবশেষে প্রতিটি পোস্টে দেওয়া রয়েছে, ওই এ*স*ক*র্টের নিজস্ব কিছু শর্ত। এই শর্তের অন্যতম হল, যে নারী খদ্দের এ*স*ক*র্ট সার্ভিস নিতে ইচ্ছুক, তাঁর নিজের উদ্যোগেই বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে এসব বিজ্ঞাপনে তাঁদের কোনো যোগাযোগের নম্বর বা ঠিকানা দেওয়া থাকে না। সাইটগুলোতে শুধু ইনবক্সে যোগাযোগ করতে বলা হয়। ইনবক্সে ‘হাই বা হ্যালো’ বললে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ফিরতি বার্তা আসে। আর উত্তর দিলেই শুরু হয় দরদাম। আর সব কিছুই চলে মেসেজ (ইনবক্স বার্তা)-এর মাধ্যমে।

ঢাকার বাসিন্দা আবদুল হাকিম এ*স*ক*র্ট ব্যাবসার জন্য ছদ্মনামে ফেসবুকে এডমিন হিসেবে পাঁচটি পেইজ পরিচালনা করত। নারী ক্লা*য়ে*ন্টদের আকৃষ্ট করতে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রমোট করত। এমনকি নারীদের ফেসবুকের ইনবক্সেও পাঠানো হত এ সংক্রান্ত ক্ষুদে বার্তা। ক্ষুদে বার্তা বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরেই হাকিমের ডাক পড়ত অভিজাত এলাকার নারীদের বাড়িতে বা ফ্লাটে। পরবর্তী যোগাযোগ হত হোয়াটসঅ্যাপে। নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট স্থানে সুন্দর পোশাকে সেজেগুজে অপেক্ষা করত হাকিম। অতঃপর দেখা হয় নির্দিষ্ট নারীর সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে রাতযাপন করে ফিরতেন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে। এসব নারীরা মূলত উচ্চবিত্তশালী। কেউ কেউ ভিনদেশি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এডমিন হিসাবে অন্তত পাঁচটি অ্যাডাল্ট পেইজ পরিচালনা করত আবদুল হাকিম। এসব পেইজে জাহিদ হাসান, সায়মা হক ও তানভির আহমেদ নামেও এডমিন আছে। অনৈতিক এই পেশায় জড়ানো প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদে হাকিম জানিয়েছে, অর্থের নেশাই তাঁকে এপথে এনেছে। এইচএসসি পাস যুবক আবদুল হাকিম অল্পতেই বিপুল অর্থের মালিক হতে হাঁটতে থাকে ভিন্নপথে। ইংরেজি লেখায়-বলায় ও কম্পিউটারে পারদর্শী হাকিম কয়েক বছর আগে কাজ নেয় রাজধানীর পল্টনের একটি দোকানে। কম্পিউটারের ওই দোকানে মূলত অনুবাদের কাজ করত হাকিম। বেশিরভাগ সময় কাটাত কম্পিউটারে ইন্টারনেটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সদস্য মাহতাব রফিকের সঙ্গে। ব্যবসায়ী রফিকের কাছে কাজ খুঁজছিল হাকিম। মাহতাব রফিক তাকে ফিমেইল এ*স*ক*র্ট প্রোভাইডার হিসাবে কাজ করতে পরামর্শ দেয়। এতে বসে বসেই প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আয় করা সম্ভব বলে জানায় মাহতাব রফিক। ব্যস, সেই পথেই হাঁটতে থাকে হাকিম। বিভিন্ন মাধ্যমে ফিমেল এ*স*ক*র্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ফিমেল এ*স*ক*র্টদের মুখ-ঢাকা ছবি-বিজ্ঞাপন প্রচার করে মাহতাব রফিকের এ*স*ক*র্ট সংক্রান্ত ওয়েবসাইট। ক্লা*য়ে*ন্ট যোগাযোগ করে। এভাবেই জড়িয়ে যায় যৌ*ন*পেশায়। ভিনদেশি নারী ও দেশের মধ্যে নারীদের কথা চিন্তা করেই ফিমেল এ*স*ক*র্টের পাশাপাশি শুরু করে মেইল এ*স*ক*র্টের কাজও। নিজের যৌবন ও শরীরকে কাজে লাগিয়ে রাতারাতি এক শ্রেণির নারীদের কাছেও প্রিয় হয়ে উঠে হাকিম। হাকিমের বাড়ি গোড়ানে। স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে তাঁর পরিবার। সিরাজগঞ্জের এক কৃষক পরিবারের সন্তান হাকিম। তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোটো। এক ভাই চাকরি করে বিশেষ একটি বাহিনীতে, আর এক ভাই পুলিশে এএসআই পদে কর্মরত।

বাংলাদেশের জনৈক সাংবাদিক এক গল্প শোনালেন—মগবাজার মোড় থেকে কিছুটা সামনে রাস্তাটা বাঁক নিয়ে সিদ্ধেশ্বরীর দিকে গেছে। একটি স্মার্ট ছেলেকে এমন ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়, যেন সে কারও অপেক্ষায় আছে। কিছুটা দুরে গিয়ে দাঁড়ালাম এবং লক্ষ করতে থাকলাম। ছেলেটির পরনে নেভি ব্লু প্যান্ট, সাদা গেঞ্জি, কাঁধে একটি ব্যাগ। তাঁর শরীর থেকে ভেসে আসছিল উগ্র পারফিউমের ঘ্রাণ। বারকয়েক কথা বলল মোবাইল ফোনে। সময় তখন রাত ৯ টা প্রায়। দেখেই মনে হয়েছিল নির্ধারিত কারও জন্য অপেক্ষা করছিল সে। কিছুক্ষণ পরেই একটি ব্লু কালারের গাড়ি এসে দাঁড়াল। গাড়ির গ্লাস নামিয়ে এক মধ্য বয়সি মহিলা যুবকটিকে হাতের ঈশারায় ডাকলেন। মুচকি হেসে ছেলেটি এগিয়ে যায়। তারপর আস্তে আস্তে কথা হয় তাঁদের। স্পষ্ট বোঝা যায় যে, দরকষাকষি চলছে কিছু নিয়ে। অতঃপর যুবকটি গাড়িতে উঠতেই গাড়িটি সামনের দিকে যায়। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকায় এরকম অনেক পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী আছে। তাদের মধ্যে একজন হয়তো এই ছেলেটি। অপর একজন জানালেন লেখাপড়ার পাশপাশি বিদেশিদের গাইড হিসাবে কাজ করত সে।

সে পুরুষ যৌ*ন*বৃত্তির এই ধারণা পেয়েছিল এক বিদেশিনীর মাধ্যমে। ঢাকায় বেড়াতে এসেছিলেন সেই নারী। গুলশানের একটি হোটেলে ছিলেন। ওই নারীর গাইড হিসাবে কাজ করার দ্বিতীয় দিনই তাঁকে বিছানায় সঙ্গ দিতে প্রস্তাব দেন। বিনিময়ে তাঁকে পে করা হবে বলে জানায় মহিলাটি। তখন আমেরিকান ওই নারীর প্রস্তাবে রাজি হয়ে বেশ কিছু বাড়তি টাকা আয় করেছিল ছেলেটি। শারীরিকভাবে ভীষণ তৃপ্ত হয়ে সেই নারী তাকে পরামর্শ দেন মেইল এস্কর্ট হিসাবে কাজ করলে ভালো উপার্জন করবে সে। সেই থেকেই এই পথে যাত্রা শুরু তার। বাংলাদেশে একটা শ্রেণি আছে যাঁদের লাইফ স্টাইল বিদেশিদের মতোই। জানা যায়, ওই শ্রেণির কাছে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিজেদের প্রচার করতে শুরু করে এই ছেলেরা। পরবর্তীকালে খোঁজ পান মেসেঞ্জার পাবলিক ডটকমের। সেখানে অনেক মেল এ*স*ক*র্ট আছে। অ্যাকাউন্ট ওপেন করেন সেখানে। ওই সাইটে গিয়ে দেখা গেছে এতে তাঁর বিস্তারিত তথ্য আছ। যা দেখলে সহজে তাঁর সম্পর্কে অনুমান করা যায়। তাঁদের উচ্চতা, বয়স, কী কী ভাষায় দক্ষ সব তথ্য দেওয়া থাকে। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়, অভিজ্ঞতা অনুসারে গোপনীয়তা, নিরাপদ সম্পর্ক, প্রকৃত তৃপ্তি দেওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়। শুধু প্রকৃত ক্লা*য়ে*ন্টকে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করে ফোন নম্বর ও মেলের ঠিকানা দেওয়া থাকে সেখানে। জানা যায়, এই পুরুষ যৌক*র্মীদের ক্লা*য়ে*ন্ট মূলত অভিজাত শ্রেণির ও বিদেশিনী কিছু নারী। দেশি অভিজাত নারীদের অনেকের স্বামী নেই। ডিভোর্সি অথবা বিধবা। নিঃসঙ্গ বোধ করেন এমন কোনো মহিলা। তাঁরা পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী খোঁজেন। গুলশান, বনানী, বারিধারা, উত্তরা ও ধানমন্ডি এলাকার এরকম অনেক ক্লা*য়ে*ন্ট আছে বলে জানা যায়। অনেক নারী শুধু শরীর ম্যাসেজ করার জন্যেও এঁদের ডাকেন। এসব কাজে ঘণ্টা হিসাবে টাকা নেওয়া হয়। প্রতি ঘন্টায় ২০ থেকে ৪০ ডলার বা ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকা নেওয়া হয়।

নারীরা সাধারণত সুঠামদেহী, শ্যামলা, ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সি ছেলেদের বেশি পছন্দ করেন। এজন্য পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীরা নিয়মিত ব্যায়াম করে নিজেকে প্রস্তুত রাখে। সুস্থ ও শক্তিশালী থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার খায়। জেন্টস পার্লারে যায় নিয়মিত। তবে পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের অনেকেই প্রতারণা করেন নারীদের সঙ্গে। তাঁদের একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তার নাম ফুয়াদ বিন সুলতান। তাঁকে উত্তরার একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। র‍্যাব জানিয়েছে, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সে পর্নোগ্রাফির ব্যাবসা শুরু করে। তাঁর সঙ্গে অন্তত দেড় শতাধিক নারীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও পাওয়া গেছে। নিজেকে ‘সুলতান অব সে*ক্স’ দাবি করে, নারীরা তাঁর কাছে স্বেচ্ছায় আসতেন। তবে র‍্যাব দাবি করেছে, শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে নারীদের ব্ল্যাকমেইল করত সুলতান। ফুয়াদ বিন সুলতান আবার। প্রাক্তন এক উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার সন্তান।

মহিলা যৌ*ন*ক*র্মীদের মতো পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের যৌ*ন*পল্লি আছে কি না জানতে পারিনি। তবে জার্মান মনোবিজ্ঞানী ম্যাগনাস যেসব যৌ*ন*পল্লিগুলি ঘুরে দেখেছেন সে সবই মহিলাদের যৌ*ন*পল্লির অনুরূপ পুরুষ যৌ*ন*পল্লি। খুবই সংগঠিত ও পরিকল্পিতভাবে এই যৌ*ন*পেশা চলে। সমুদ্রোপকূলের করাচি শহরের যৌ*ন*পেশার ইতিহাস সুপ্রাচীন। এখানে অনেক পুরুষ যৌ*ন*পল্লি ছিল। ১৮৫২ সালে উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যের একদল নারীবেশী পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের দেহ-ব্যাবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এ থেকেই বোঝা যায় এ অঞ্চলের পুরুষ যৌ*ন*পেশার প্রচলন ছিল। আমরা এতক্ষণ পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী ‘জিগোলো’ দের কথা আলোচনা করেছি। এবার আসি সেই যৌ*ন*ক*র্মীদের কথায়, যাঁরা নারীবেশী পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের কথায়। এঁদের ডাকনাম ‘শিমেল’ (Shemale) বা লেডিবয়’ (Ladyboy)।

এঁরা মূলত সমকামী ও রূপান্তরকামী পুরুষ। সমকামী পুরুষ যৌ*ন*পেশায় ঠিক কবে এসেছে তার কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় না। সুপ্রাচীনকাল থেকেই যে সমলিঙ্গের মধ্যে যৌ*ন*-সখ্যতা গড়ে উঠেছে তার অনেক দৃষ্টান্ত বিভিন্ন দেশের সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্মশাস্ত্রে পাওয়া যায়। শিমেল বা লেডিবয়দের আমরা দুই ভাগে দেখি। একটা ভাগে তাঁরা, যাঁরা বাইরের পুরুষ অঙ্গ, হৃদয়টি নারীময়–এঁরা সমকামী। আর-একটা ভাগে দেখব বাহ্যিক ভাবে দুটো সত্তার প্রকাশ, এরা রূপান্তরকামী। এঁদের কোমরের নীচে পুরুষ, আর কোমরের উপরের অংশ নারীর। অর্থাৎ এঁদের পুরুষদের মতো একটি পুরুষ্ট এবং সক্রিয় লিঙ্গ থাকে, তেমনই বুকে দুটো প্রমাণ সাইজের সুডৌল স্তন থাকে।

একটু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক যাঁরা বাইরের পুরুষ অঙ্গ, হৃদয়টি নারীময় তাঁদের নিয়ে। এই নারী চেতনার পুরুষরা মেয়েলি’ ভাবের পুরুষ। এঁরা সাধারণত মেয়েদের সঙ্গে তৃপ্ত হতে পারে না, তাই পুরুষরাই এঁদের যৌ*ন*সঙ্গী। পরিবারের চাপে পড়ে কেউ কেউ মেয়েদের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করলেও সংসার সুখের হয় না। দু-চারদিন যেতে না-যেতেই মনের মতো পুরুষসঙ্গী পেরে গেলে তার সঙ্গেই মিলিত হয়। এঁরা অনেকেই যৌ*ন*পেশার সঙ্গে যুক্ত। এঁরা পুরুষ-শরীরে নারীর প্রসাধন-পরিধানে সজ্জিত হয়ে পুরুষ শিকার করে। এঁরা পুরুষ ক্লা*য়ে*ন্টদের সঙ্গে যৌ*ন*মিলনের জন্য নারীর যৌনাঙ্গের বিকল্প হিসাবে পায়ুপথ ব্যবহার করে। পায়ুকামীদের কাছে এঁদের খুব চাহিদা।

প্রসঙ্গত জানাই, গ্রিক পুরাণে জিউস ও গানাইমেডির বৃত্তান্ত সমলিঙ্গের প্রেম-ভালোবাসার কথা জানা যায়। রোম সম্রাট নিরো ছিলেন অত্যন্ত নিষ্ঠুর এবং খামখেয়ালি। তিনি একবার এক তরুণকে বিয়ে করার কথা ভাবেন এবং বিয়েও করে ফেলেন। অবশ্য বিয়ের পরে সেই তরুণ সম্রাটের নির্দেশে স্ত্রীবেশ ধারণ করেছিল। জুলিয়াস সিজারেরও সমলিঙ্গের প্রতি ঝোঁক ছিল। হায়দরাবাদের নবাব টিপু সুলতানও পুরুষদের সঙ্গে যৌ*ন*মিলনে লিপ্ত হতেন। পাঞ্জাবের মহারাজা রঞ্জিৎ সিংহ মাঝেমধ্যেই বালকদের সঙ্গে যৌ*ন*ক্রীড়া করতেন। শরিয়তি নির্দেশকে উপেক্ষা করেই মুসলিম শাসনাধীন রাষ্ট্রে শেখরা অন্য পুরুষদের সঙ্গে যৌ*ন*-সম্পর্ক বজায় রাখতেন। খ্রিস্ট্রীয় নবম শতাব্দীতে ইরানীয় এক প্রশাসকের মুখ্য সহকারী ছিলেন মুতাজিলি ইসলাম সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি। তিনি আমজনতার কাছে ঘোষণা রাখেন–মুতাজিলি হল শ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং পুরুষ সম্ভোগই যৌ*ন*-আনন্দের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম।

অবশেষে নিত্যনৈমিত্তিক বহুগামী যৌ*ন*-অভ্যাসের মধ্যেই একসময় অর্থের অনুপ্রবেশ ঘটে। অর্থের বিনিময়ে যৌ*ন*-আনন্দ পেতে কেউই পিছ-পা হন না। পুরুষ-যৌ*ন*তাকে নিয়ে শুরু হয় ব্যাবসা। এই ব্যাবসার একটি বিশেষ রূপ হল সমকামী যৌ*ন*-ব্যাবসা। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে প্রাচীন গ্রিসেই খুব বিক্ষিপ্তভাবে পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের ব্যাবসা শুরু হয়। এ বিষয়ে পূর্বে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

যদিও এ পথ মসৃণ নয়, দোষী হিসাবে পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের উপর কঠিন শাস্তি নেমে আসে। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, জার্মানি প্রভৃতি দেশে পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের উপর রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। শুরু হয় গ্রেফতার। পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের এই সময় অত্যন্ত ভয়াবহ অবস্থা হয়। পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের ফাঁসিও দেওয়া হয়েছে।