জীবনটা গল্পের অথবা মরীচিৎকার

জীবনটা গল্পের অথবা মরীচিৎকার

ক.

নাম নিয়ে আবারও আমরা বিবাদে জড়ালাম। ছোটখাটো এক কাণ্ড ঘটে গেল বটে। রাতে ঘুমুতেও গেলাম দুজন দু’ঘরে। তর্কটা আমাদের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। সারা দিনের কাজ শেষে পরিকল্পিত একটা তর্ক, তারপর ঘোরের ভেতর দিয়ে রাত্রিযাপন। রাতে একটু পাক ধরতেই মনে হলো–শিশির আর হিম তো আমাদের কাছে আলাদা কিছু নয়–ওরটা মেনে নিলেই হতো, কিংবা আমারটাই কি এমন মন্দ ছিল! প্রতিদিনই বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হলে, মীমাংসার এই সুরটা বড্ড কানে বাজে। ঘুম আজকেও ফাঁকি দেবে নিশ্চিত জেনে বারান্দায় গিয়ে বসলাম। আমাদের শত বছরের পুরনো বারান্দা। সারা দিন কেমন আঁশটে গন্ধ লেগে থাকে। অথচ রাত হলেই সব কেমন বদলে যায়! শিউলির গাঢ় গন্ধ। বছর চল্লিশেক আগে গাছটিকে কেটে ফেলা হয়েছে, গন্ধটা রয়ে গেছে। একটু আঁধার হলেই পথ চিনে চিনে হাজির হয়।

 চেয়ারটা টেনে বসলাম, বাবা যেভাবে বসতেন। বাবার কথা মনে হতেই তার উপস্থিতি আমি টের পেলাম। টের পেলাম, বেতের চেয়ারটা বদলে বাঁশের হয়ে গেল। বাঁশের যে এমন চমৎকার চেয়ার হতে পারে সেটা দেখে অনেকেই তাজ্জব বনে যেত। বাবা বেশ মজা পেতেন। অন্ধকার এমন থকথকে কাদার মতো জমাট বাঁধলে আমি বাবার কাছে উঠে এসে বসতাম। বাবা আমার জন্য অপেক্ষা করতেন। আমি আসলেই বাবা গল্প বলা শুরু করতেন। বাঘ-ভালুক কিংবা দৈত্য দানবের নয়, বাবা তার বাবার গল্প বলতেন। বাবা আর তার বাবা মাছ ধরতে যেতেন, সেই সব গ্রাম্যগল্প। বাবা ওই গল্প বলার জন্যই ঐভাবে অন্ধকারে অপেক্ষা করতেন। আমি শুনতে শুনতে এখানেই ঘুমিয়ে পড়তাম। বাবার কথাগুলো মনে হতেই শিশির এসে আমার হাতটি ধরল, যেমন করে আমি ধরতাম।

 ‘রোজ রোজ আমার নাম নিয়ে তোমরা ঝগড়া করো কেন, বাবা? ছেলেটি মৃদু স্বরে কচি লাউয়ের ডগার মতো মাথা দুলিয়ে জিজ্ঞেস করল। চোখে-মুখে তার রাজ্যের অভিমান।

তোমার যুৎসই একটা নাম তো ঠিক করা চায়, নইলে ডাকব কী বলে? আর তুমিই বা কেমন করে বুঝবে যে আমরা তোমাকেই ডাকছি?

শিশির আমার পায়ের কাছে বসল, যেমন করে আমি বসতাম বাবার।

‘তাই বলে প্রতিদিন ঝগড়া? প্রতিদিন তুমি আর মা আলাদা হওয়া?

আমি প্রসঙ্গ পাল্টাতে বলি, গল্প শুনবে?

‘তোমার আর তোমার বাবার ওই মাছ ধরার গল্পটা তো?

আমি অন্য গল্প খুঁজি। সারাদিন ধরে যে গল্পগুলো নির্মাণ করেছি সেগুলো ঠিকঠাক আছে কিনা স্মরণ করার চেষ্টা করি।

‘বাবা, ওই তারা কুড়ানোর গল্পটা বলো না? শিশির গল্পের মুড়োটা ধরিয়ে দেয়।

সেদিন তুমুল ঝড় হচ্ছিল।

বাবা তুমি প্রতিদিনই ভুল করো, ঝড়ে তারা কুড়াবে কেমন করে? সব তো উড়ে যাবে!

তাহলে ভীষণ বৃষ্টি হচ্ছিল সেদিন।

‘হা হা! বৃষ্টি মানে মেঘ, আর মেঘ নামলে তারা পাবে কোথায়? অন্য কথা বলো।

তা বটে। সেদিন আলোর বন্যায় ভেসে যাচ্ছিল সমস্ত উঠোন-ছাদ, মাঠ-ঘাট। আমি আর বাবা তারাস্নান করব বলে তৈরি হচ্ছিলাম। আমরা আলোকে ফাঁকি দিতে কালো পোশাক পরে নেমেছিলাম। অমনি শুরু হলো তারাবৃষ্টি। প্রথমে ফোঁটায় ফোঁটায়, তারপর ভীষণ টগবগিয়ে। মনে হচ্ছিল আকাশের সমস্ত তারা এক্ষুনি খসে পড়ার মিছিলে শামিল হয়েছে।

 ‘তোমরা ব্যথা পেয়েছিলে?

পাইনি আবার! আমি আর বাবা সারারাত ধরে তারাগুলোকে কুড়িয়ে জড় করলাম। ‘কী মজা! তারপর?

 তারাগুলো খসে পড়ার পর আকাশটা একেবারে বেমানান হয়ে গেল, ন্যাড়া করলে মানুষের মাথা যেমন দেখায়, অমন। তাই বাবা ঠিক করলেন ওগুলো আবার আকাশে ফেরত পাঠাবেন। বললেই তো আর তারাগুলো উল্টো পথে চলতে রাজি না! তাই বাবা ভুলিয়ে-ভালিয়ে নিজেই রাখতে চলে গেলেন। বললেন, আকাশের ন্যাড়া মাথায় একটা একটা করে লাগিয়ে রেখে আবার ফিরে আসবেন।

 ‘এসেছিল?

অতগুলো তারা লাগানো তো আর কম কথা নয়। দেখ না, প্রতিরাতে কেমন নতুন নতুন তারা ফোটে!

এমনি করে আমরা, ছেলে আর বাবা মিলে, একটু একটু করে গল্প নির্মাণ করি। গল্প করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে ছেলেটি। ঘুম তাকে তলিয়ে নেয় অন্ধকারে। সেই মাছধরার গল্পটা আমি আবার শুরু করি। বাবা এসে আমার আসনে বসেন, চেয়ারটা বদলে বাঁশের হয়, আমি শিশিরের মতো জড় হই পায়ের কাছে। বাবার সেই মাছধরার গল্পটা শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ি আমিও। অন্ধকারে তলিয়ে যেতে যেতে ভাবি বাবাকে জিজ্ঞেস করি বলেছিলে আসবে, আর তো এলে না বাবা? কিন্তু করা হয় না।

ভোরে সূর্য ফুটি ফুটি করলে নীলা এ-ঘরটায় আসে। অন্য নীলা। আমরা কথা বলি। অন্য কথা। আমি শিশিরের কথা ভুলে যাই, নীলা হিমের। কিংবা আমরা ভুলে যাওয়ার ভান করি। আমি অফিসে যাই। শপিং করি। নীলা সংসারের কাজে ব্যস্ত হয়। অনর্থক ব্যস্ততা বাড়ায়। ক্লান্তির অজুহাতে ঘুমিয়ে নেয় একচোট। আবার আমরা রাত হলে এক হই। এক হলেই একঘরে হওয়ার প্রস্তুতি নিই।

.

খ.

আমি না বলেছি, হিমের জন্যে কখনোই কালো রং কিনবে না? কিনবে গোলাপি কিংবা বেগুনি। কালো আমার অসহ্য লাগে।

হাসিব পোশাক ছাড়তে ছাড়তে মলিন কণ্ঠে বলে, বাবা আমার জন্যে কালোই আনতেন।

কিন্তু হিম আমার কালো পরবে না। কিছুতেই না। ও যেদিন বড় হবে, একটু একটু করে বলতে শিখবে, সেদিন…! এরপর আমি আটকে যাই। আর এগুতে পারি না। বর্ণমালাগুলো স্মৃতি থেকে দলবেঁধে সটকে পড়ে। একটা একটা করে মনে করে শব্দ গাঁথার চেষ্টা করি। আফজাল বলে চলে, কেমন এলোমেলো বর্ণে। তখন কেউ কাউকে বুঝতে না পেরে, বোঝার চেষ্টা না করে, ইশারায় ঝগড়া করি। ঝগড়ার অজুহাতে আবার সেই আলাদা হওয়া। সারাদিন ধরে আমরা অপেক্ষা করি ঝগড়ার। অপেক্ষা করি আলাদা হওয়ার। আমরা অপেক্ষা করি শিশির কিংবা হিমের। মেয়েটি গল্প ভালোবাসে। আমরা গল্প বলার জন্যে অপেক্ষা করি।

আমি এ-ঘরটায় চলে আসি। ঘুম আসবে না জেনেও ঘুমানোর চেষ্টা করি। চেষ্টা চূড়ান্ত নিষ্ফল হলে বারান্দায় গিয়ে বসি। এমন একটি বারান্দা আমাদের গাঁয়ের বাড়িতে ছিল। রাত একটু গম্ভীর হতেই চলে যেত বিদ্যুৎ। আর সঙ্গে সঙ্গে ওত পেতে থাকা অন্ধকার হানা দিত আমাদের বুড়ো বাড়িটার ওপর। প্রায় প্রতিদিনই মা ছোট্ট আমাকে বারান্দায় নিয়ে বসতেন। জোনাকি ধরে ধরে আমার কচি মুঠো ভরাট করে জোনাকির গল্প বলতেন। আমার আঙুলগুলো তখন জোনাকির আগুনে জ্বলন্ত কাঠের মতো লাল টুকটুক করত। আমি বুঝে গিয়েছিলাম, এ আগুনে আমার কাতুকুতু লাগা ছাড়া আর কোনো ক্ষতি হবে না! মা তার মেয়েবেলার গল্প বলতেন। মার গল্প আর জোনাকির গল্প মিশে একাকার হয়ে যেত। আমি আলাদা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়তাম। মার আর আমার হিমবেলার কথা মনে হতেই টের পাই হিম এসে আমার কোলে উঠে বসেছে। যেমন করে আমি বসতাম।

 ‘তোমরা রোজ অমন রং নিয়ে ঝগড়া করো কেন, মা? ছোট্ট হিম পাকনা বুড়ির ভঙ্গিমায় জানতে চাইল।

 ঝগড়া নয় মা। তোমাকে একটু একটু করে নির্মাণ করা। রং ঠিক না হলে তোমাকে আমরা চিনব কেমন করে, বলো?

 ‘মা, এদিকটা এমন অন্ধকার করে রাখো কেন?

তোমাকে গল্প বলে ঘুম পাড়াব বলে। আর অন্ধকার না হলে জোনাকিরাও যে পথ হারাবে! অন্ধকারই তো ওদের আলো!

 ‘রোজ রোজ জোনাকির গল্প ভালো লাগে না। আজ অন্য গল্প বলো।

প্রজাপতির গল্প বলি? ওই যে গাঢ় বেগুনি আর গোলাপি রঙের প্রজাপতির গল্পটা।

তাই বলো।

আমাদের বাগানে তখন ভরা ফুলের মৌসুম। মা ফুল তুলে তুলে তোমার মতো ছোট কোঁকড়ানো চুলে ক্লিপ দিয়ে আঁটকে দিত। একদিন একটা প্রজাপতিকে ফুল ভেবে আঁটকে দিয়েছিল। গাঢ় বেগুনি আর গোলাপি রঙের প্রজাপতি। আমি কি জানতাম! সারা দিন মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে হেঁটে বেড়াই আর কে যেন আমার সঙ্গে কথা বলে! প্রথমে বুঝতে পেরে ভয় পেয়েছিলাম, পরে যখন প্রজাপতিটা বলল, তুমি আমার খেলার সাথী হবে? তখন ভয় কেটে গেল।

‘হি হি! ওইটুকু প্রজাপতি কথাও বলে?

হ্যাঁ। ঠিক তোমার মতো করে। আমরা সারাদিন খেলতাম। কখনো এ-গাছে, কখনো ও-গাছে। আমরা গল্প বদলাবদলি করতাম–প্রজাপতি আর মানুষের গল্প। একদিন এই আসছি বলে প্রজাপতিটা আর এল না। আমি সারা দিন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদলাম। কয়েক দিন কাঁদলাম। অনেকগুলো গল্প জমিয়ে বসে বসে কাঁদলাম। মা হাসতে হাসতে আমার পেট দেখিয়ে বললেন, একদিন ওই প্রজাপতি তোমার এই পেট থেকে বের হয়ে আসবে। আমিও তোমার বেলায় একটা প্রজাপতি হারিয়েছিলাম, সেই জন্যই তোমাকে পেয়েছি। প্রজাপতিটা না হারালে তো তোমাকে আর পেতাম না। তারপর থেকেই আমি পেটের দিকে। তাকিয়ে তোমার কথা ভাবতাম, প্রজাপতিটার কথা ভাবতাম। অপেক্ষা করতাম, কবে তুমি আসবে।

গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ে মেয়েটা। হিমের মতো জমে যায়। অন্ধকার আরো ঘোর হলে আমি জোনাকির গল্পটা শুরু করি। একটা একটা করে জোনাকিতে ভরে ওঠে বারান্দাটা। মা এসে চেয়ারটাতে বসে। একটা একটা করে জোনাকি আমার মুঠোবন্দি হয়। একমুঠো আলো নিয়ে আমি মায়ের কোলে জড়সড় হয়ে বসি। মা গল্পের বাকিটা ধরে। আমি গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ি। হিমের মতো জমে থাকি খানিকটা সময়। মাকে বলব বলব করে আর বলা হয় না, প্রজাপতিটা আর যে এল না, মা?

.

গ.

কলিং বেলের শব্দ। বিকাল পাঁচটা। এ সময় হাসিব ফেরে না। কাজের মেয়েটা, প্রতিবেশী ভাবি কিংবা অন্য কেউ ভেবে নীলা দরজাটা খোলে। হাসিব, ফুল হাতে দাঁড়িয়ে। দরজা খুলে যাওয়া মাত্রই ফুলসমেত হাতে নীলাকে শূন্যে তুলে আনন্দে লাফাতে থাকে। হাসিব বহুদিন এভাবে আনন্দ করেনি। শেষ কবে তাকে নিয়ে এমন আনন্দ করেছিল নীলার ঠিক মনে পড়ছে না এই মুহূর্তে। সে হাসিবের এমন আন-ইউজুয়াল উচ্ছ্বাস দেখে খানিকটা ভড়কে যায়।

কিছু কি হয়েছে? ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করে নীলা।

 কিছু হয়েছে মানে! অনেক কিছু হয়েছে। আমাদের এতদিনের স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। উই আর নাও রিয়েলি রিয়েলি গোনা বি প্যারেন্টস। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ইনডিড নীলা! এত দিন বাদে, ভাবতে পারো?

 নীলা অবাক হয়ে হাসিবের দিকে তাকিয়ে থাকে। যেন কিছুতেই হাসিবের কথা বিশ্বাস হচ্ছে না। নিজের তলপেটের ওপর আনন্দে আলতো করে মমতার স্পর্শ বোলাতে থাকে। এবার আর তাহলে আগের মতো ফেক কিছু না। কয়দিন যেটা ডাক্তারের প্রাথমিক কথা মতো টিউমার বলে ধরে নিয়ে বিরক্ত হয়েছে নীলা, আজ সেটা ছুঁয়ে বারবার আদর করতে ইচ্ছে করছে তার।

চলো? তাড়াতাড়ি তৈরি হও। ঘরের ভেতর ঢুকতে ঢুকতে হাসিব বলে।

কোথায়? ছোট্ট করে প্রশ্ন করে নীলা। এখনো সে ঘোরটা ঠিকমতো কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

 যেদিকে দুচোখ যায়। আজ বহুদিন পর আমরা রিকশায় ঘুরব। কত দিন ইটিং আউট হয়নি! হাসিব বলতে বলতে অফিসের বোরিং ঘোলাটে রঙের শার্টটা পরিবর্তন করে খয়েরি রঙের পোলো টি-শার্ট পরতে থাকে।

সেদিন দু’জনে ডিনার শেষ করে তবেই ফেরে। রাত তখন ১১টা বেজে ১২ মিনিট। দুজনেই খানিকটা ক্লান্ত। ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়ে। আজ আর বারান্দায় বসে না কেউ। অকারণে কোনো বিবাদেও জড়ায় না। বিছানায় শুয়ে হঠাই চুপ হয়ে যায় দু’জনে। ঘরজুড়ে তখন কেবলই নৈঃশব্দ্য। রাত বাড়তে বাড়তে অন্ধকার আরো জমাট বাঁধে। গম্ভীর হয় নীরবতা। হাসিব আস্তে করে উঠে গিয়ে বারান্দায় বসে। খানিক পরে বারান্দায় চলে আসে নীলাও। দুজন দুজনার বারান্দায়। দু’জন দু’জনার তৈরি করা জগতে। ধীরে ধীরে অন্ধকার পাতলা হতে হতে সকাল নামে। অন্য সকালগুলোর চেয়ে আজকের সকালটা আরো বেশি থমথমে। কেমন যেন বিষাদমাখা। হাসিব নিজের মতো করে তৈরি হয়ে অফিসের জন্য বের হয়। নীলা টেবিলে নাশতা দিতে ভুলে গিয়েছিল। হাসিবেরও খাবার কথা মনে আসেনি। দরজার ওপাশে পা দুটো রেখে নীলার দিকে তাকায় হাসিব।

নীলা একটু এগিয়ে যায়, আস্তে করে বলে- ডাক্তারকে আর একবার ভালো করে রিপোর্টটা দেখালে হয় না? আমার মনে হয় কোথাও কোনো ভুল হচ্ছে। মনে হচ্ছে ওটা অন্য কিছু। হাসিব মাথা ঝাঁকিয়ে “ঠিক আছে’ বলার ইঙ্গিত দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যায়।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *