পরিশিষ্ট – বিশ্বাসঘাতক

পরিশিষ্ট ক

শেষ কথা

কাহিনির সমাপ্তি আছে, ইতিহাস থামতে জানে না। আমি এ কাহিনির যবনিকা টেনেছি 1950-এর তিরিশে জানুয়ারি, যেদিন তথাকথিত “বিশ্বাসঘাতক” ডেক্সটার জবানবন্দি দেন। তারপর চব্বিশবার এই পৃথিবী সূর্যপ্রদক্ষিণ করছে। তাই কথাসাহিত্যের খাতিরে যেখানে থেমেছি তার পরের কথা এবার বলি। যা সেদিন ছিল একান্ত গোপন, তার তথ্য জেনে ফেলেছে অন্তত আধ ডজন দেশ। কে কবে পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সে তথ্যটা এই সঙ্গে লিখে রাখি :

আমেরিকা-16 জুলাই 1945

রাশিয়া–23 সেপ্টেম্বর 1949

ব্রিটেন-15 মার্চ 1957

ফ্রান্স–13 ফেব্রুয়ারি 1960

চিন–16 অক্টোবর 1964

ভারত–18 মে 1974

ডক্টর ফুকস-এর আশঙ্কা কতদূর বাস্তব তার ইতিহাস সকলেরই জানা।

ডক্টর জে. ওপেনহাইমারের বিচারের রায় প্রকাশিত হয়েছিল 1958 সালে। বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়; কিন্তু এ কথাও প্রমাণিত হয় যে তিনি পদমর্যাদা অনুযায়ী আচরণ করেননি। কর্তব্যচ্যুতি, মিথ্যাভাষণ ইত্যাদির অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে সরকারি গোপন তথ্যে তার প্রবেশাধিকার প্রত্যাহৃত হয়। এর পর দীর্ঘ নয় বছর ডক্টর ওপেনহাইমার অন্তেবাসীর জীবন যাপন করেন। প্রমাণিত হয়েছিল, মিস ট্যাটুলক তার প্রাকবিবাহ জীবনে প্রণয়িনী মাত্র–ট্যাটুলকের আত্মহত্যার সঙ্গে গুপ্তচর বৃত্তির কোনো সম্পর্ক নেই। মৃত্যুর পূর্বে ওপেনহাইমারকে ‘এনরিকো ফের্মি অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার দেওয়া হয়, যার আর্থিক মূল্য পঞ্চাশ হাজার ডলার। তার মৃত্যুর পর প্রফেসর হারকন শেভেলিয়ার একটি আত্মজীবনী লেখেন, যার উল্লেখ গ্রন্থপঞ্জীতে করা হয়েছে।

পারমাণবিক-বোমার অপেক্ষা শক্তিশালী মারণাস্ত্র আমেরিকা ও রাশিয়া পর পর আবিষ্কার করে-যার নাম হাইড্রোজেন বোমা অথবা থার্মোনিউক্লিয়ার বোমা। ডেক্সটারের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য রাশিয়ার বৈজ্ঞানিকদের সাফল্য অন্তত দেড় থেকে দুবছর এগিয়ে আসে। এ-কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, ওই তথাকথিত বিশ্বাসঘাতকের জন্য পৃথিবীর দুটি বৃহত্তম-শক্তির ক্ষমতার সমতা ত্বরান্বিত হয়েছিল।

***

বাস্তব তথ্য থেকে কোথায় কতদূর বিচ্যুত হয়েছি এবার তা স্বীকার করি :

ডক্টর ক্লাউস ফুকস্ ইংল্যান্ডে এসে যে পরিবারে আশ্রয় নিয়েছিলেন সেই পরিবারে যে মেয়েটি ছিল তার নাম ‘রোনাটা’ নয়। সৌজন্যের খাতিরে নামটা আমি পরিবর্তন করেছি। অনুরূপভাবে হারওয়েল তিননম্বর চেয়ারে অধিষ্ঠিত ডক্টর ফুকসের ওপরওয়ালার নাম প্রফেসর অটো কার্ল নয়। সেই ওপরওয়ালার নাম প্রফেসর রুডলফ পেল। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ফুকসের কোনো সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। প্রফেসর অটো কার্ল-এর নামটি কল্পিত। ফুকস-এর ওপরওয়ালা একজন বৈজ্ঞানিক তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এবং ফুকে নিয়ে পারি ও সুইজারল্যান্ডে বেড়াতে এসেছিলেন এ কথা সত্য; কিন্তু পারি হোটেলের অভ্যন্তরে যে-সব ঘটনার কথা বলা হয়েছে তা কল্পনা। বলা বাহুল্য, ওই প্রফেসরের তরুণী ভার্যার নামও ‘রোনাটা’ ছিল না। এছাড়া মানসিক বিপর্যয়ে মূল অপরাধী একদিন হঠাৎ থানায় উপস্থিত হয়ে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে-জবানবন্দি দিতে চান এ কথা সত্য; কিন্তু তিনি একটি টেপ রেকর্ডার যন্ত্রের সামনে বসে নির্জনে স্বর্গগতা বান্ধবীকে উদ্দেশ করে তাঁর বক্তব্য রাখেন–এমন কোনো নজির নেই।

অপরাধীর ধারণা ছিল তাঁর মৃত্যুদণ্ড অবধারিত! সে কথা জেনেই তিনি জবানবন্দি দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তার মৃত্যুদণ্ড হয়নি। বিচারকালে আদালত-কর্তৃক নিযুক্ত অভিযুক্তের কৌঁসুলী যুক্তি দেখান–বিশ্বাসঘাতকতার অপরাধে মৃত্যু সেখানেই প্রযোজ্য যেখানে শত্রুপক্ষকে গোপন সংবাদ সরবরাহ করা হয়। এক্ষেত্রে সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল ইঙ্গ-মার্কিন দলের মিত্রপক্ষ। এই আইনের ফাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায়নি। বিচারক আইনে-নির্দেশিত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছিলেন-চোদ্দো বছর সশ্রম কারাদণ্ড। বাস্তবে নয় বছর পরে (1959) তাকে মুক্তি দেওয়া হয়–বিজ্ঞানজগতে তার দানের কথা স্মরণ করে।

সদ্যকারামুক্ত অপরাধী পূর্ব জার্মানিতে চলে যান। সেখানে তার অতিবৃদ্ধ ঈশ্বরবিশ্বাসী। পিতৃদেব তখনও জীবিত ছিলেন। পিতাপুত্রের মিলন হয়েছিল। ওঁর পিতৃদেব সাংবাদিকদের বলেন :

Neither he nor I have ever blamed the British people for his sentence. He endured his fate bravely, with determination and a clear conscience. He said to himself, “If I don’t take this step, the imminent danger to hu manity will never cease.” I can only have greatest respect for the deci sion he took.
13.1.74

পুনশ্চ (1988) : পূর্ব-জার্মানির ড্রেসডেনে ফুকস নিউক্লিয়ার রিসার্চ সেন্টারের কর্ণধার হন। 1979-এ অবসর গ্রহণ করে, 1988-এ তিনি মারা যান। 1960 সালে একজন মার্কিন সাংবাদিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় তিনি বলেন : আমি যা করেছি তা বিবেকের নির্দেশেই করেছি। অনুরূপ অবস্থায় পড়লে আবার আমি তাই করব!

.

পরিশিষ্ট খ

কৈফিয়তের কৈফিয়ৎ

13.1.74 যে ‘কৈফিয়ৎ’ লিখেছিলাম তা সংশোধনের জন্য পুনরায় কৈফিয়ৎ লিখতে হচ্ছে বলে আমি আনন্দিত। সেদিন যে প্রশ্ন তুলেছিলাম তার জবাব দিয়েছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এ-গ্রন্থ ছাপাখানা থেকে বের হয়ে আসার পূর্বেই।

গত আঠারই মে 1974 সকালে রাজস্থান মরুভূমির ভূগর্ভে, একশ মিটার গভীরে, ভারত পরীক্ষামূলকভাবে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ না হ’ক, আপাতত ষষ্ঠ আসন অধিকার করেছে। বিস্ফোরণের ক্ষমতা দশ থেকে পনের হাজার টন টি.এন.টি.-র সমান। এই বিস্ফোরণের বৈশিষ্ট্য হল–এতে ইমপ্লোশন-ডিভাইজ বা সাদা বাঙলায় ‘অন্তর্বিস্ফোরণ পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়েছে। এই সাফল্যের প্রত্যক্ষ নায়ক হচ্ছেন ড. সেথনা, ড. রামান্না এবং ড. অনিলকুমার গঙ্গোপাধ্যায়। বলাবাহুল্য, অসংখ্য বিজ্ঞানীর দীর্ঘদিনের অতন্দ্ৰসাধনার ফলশ্রুতি হিসাবেই ঐ শেষ তিনজন এ কাজে নায়কের ভূমিকায় নেমেছিলেন। সেই তালিকায় সবার আগে যে নামটি স্মর্তব্য তিনি হচ্ছেন ভারতীয় পরমাণু কর্মপ্রচেষ্টার জনক স্বৰ্গত ডক্টর হোমি জাহাঙ্গির ভাবা। স্যার দোরাবজী টাটা ট্রাস্টের কাছে তিনি বারোই মার্চ 1944তারিখে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন : “খুব বেশি হলেও আজ থেকে দুই দশক পরে ভারতকে আর পরমাণু-বিশারদ খোঁজার জন্য বাইরে তাকাতেও হবে না–এদেশের ছেলেরাই তা পারবে।”

আজ শুনে মনে হচ্ছে কথাটা কোনো বিশ্ববিশ্রুত বিজ্ঞানীর নয়-ব্যয় কোনো জ্যোতিষ-সম্রাটের। একমাত্র দুঃখ-তিনি এ সাফল্য দেখে যেতে পারলেন না। চব্বিশে জানুয়ারি 1966-তে তিনি অমরলোকে চলে গেছেন। বিমান দুর্ঘটনায়!

ড. বিক্রম সারাভাইও দুর্ঘটনায় মারা গেলেন তার পাঁচবছর পরে।

কিন্তু কাজ এগিয়ে চলল এসব দুর্ঘটনা সত্ত্বেও। যার চূড়ান্ত ফলশ্রুতি–আপা… যা দেখতে পাচ্ছি, ঐ আঠারই মে 1974 তারিখের ঘটনাটা।

এই সঙ্গে স্মরণ করবো অধ্যাপক ডি. এম. বসু-কেও। আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে-পরমাণু বোমার জন্মের এক দশক আগে তিনি ঐ শক্তির ব্যবহার নিয়ে মাথা ঘামান। অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা তার সঙ্গে কথা বলে এর প্রয়োজনীয়তাটা বোঝেন এবং এ দেশে পারমাণবিক গবেষণার আধুনিকীকরণ সম্বন্ধে ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা করেন।

এটা প্রমাণ হয়েছে যে, ভারতীয় বিজ্ঞানীরা ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম। নিঃসন্দেহে এটা বড় রকমের উত্তরণ। এখন আশা করতে ভরসা পাচ্ছি, আমার ‘প্রনাতি’ নিশ্চয় মোমবাতির আলোয় এ গ্রন্থ পড়বে না।

13.6.74

.

পরিশিষ্ট গ

কালানুক্রমিক ঘটনাপঞ্জী ও নির্দেশিকা

কাহিনির আকর্ষণে আমাকে কখনো আগের কথা পরে ও পরের কথা আগে বলতে হয়েছে। পাঠক-পাঠিকার যাতে কালভ্রান্তি না হয় তাই এই তালিকাটি সাজিয়ে দিলাম।
না. সা.

1896 — রণজেন কর্তৃক ‘এক্স-রে আবিষ্কার

1897 — বেকারেল কর্তৃক ইউরেনিয়ামে রেডিয়েশান আবিষ্কার

1898 — টমসন কর্তৃক ইলেকট্রন আবিষ্কার

1901 — মাক্স প্লাঙ্ক কর্তৃক ‘কোয়ান্টাম থিয়োরি’র প্রথম উল্লেখ

1905 — আইনস্টাইনের ‘স্পেশাল থিওরি অব রিলেটিভিটি’

 1910 — প্লাঙ্ক ও বোহর কর্তৃক ঐ থিয়োরির ব্যাখ্যা

 1918 — রাদারফোর্ড কর্তৃক ‘প্রোটন’ আবিষ্কার

1932 — চ্যাডউইক ‘নিউট্রনের’ অস্তিত্ব প্রমাণ করেন

1933 — রুজভেল্ট আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেন

1933 — হিটলার জার্মানির সর্বময় কর্তা

1933 — মাদাম জোলিও কুরি ও মাইটনারের মতানৈক্য

1934 — এনরিকো ফের্মি কর্তৃক ইউরেনিয়াম-পরমাণু বিদীর্ণ

1934 — নোডাক-দম্পতি ঐ পরীক্ষার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দেন

1934 — পীতর কাপিজা রাশিয়ায় এসে গৃহবন্দী।

1935 — ৎজিলাৰ্ড বিশ্বের বৈজ্ঞানিকদের বিধ্বংসী বোমার বিরুদ্ধে সাবধান করার চেষ্টা করেন।

1935 — হান্স বেথে আমেরিকায় চলে আসেন।

1938 — বার্লিনে পরমাণু-শক্তির সন্ধানে সম্মেলন

1938 — ফের্মি নোবেল পুরস্কার নিয়ে সোজা আমেরিকায়

 22.12.1938 — অটো হান পরমাণু-বিভাজনের তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দেন।

 2.8.1939 — আইনস্টাইন রুজভেল্টকে ঐতিহাসিক পত্র লেখেন

 2.9.1939 — দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু

11.9.1939 — বার্লিনে ‘ইউরেনিয়াম-প্রকল্প’ জন্মলাভ করে

 27.9.1939 — রুজভেল্টের ঐতিহাসিক আদেশ :  ‘পা, দি রিকোয়ার্স অ্যাকশন’

 22.6.1941 — সোভিয়েট-জার্মান চুক্তি ভঙ্গ করে জার্মানির রাশিয়া আক্রমণ

7.12.1941 — জাপান কর্তৃক পার্ল হারবার আক্রমণ।

8.12.1941 —  অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে আমেরিকার যুদ্ধ ঘোষণা

13.8.1942 —  ‘ম্যানহাটান-প্রকল্পের জন্ম

17.9.1942 — গ্রোভস্ ঐ প্রকল্পের সর্বময় কর্তা নিযুক্ত

12.6.1943 — ওপেনহাইমার সানফ্রান্সিস্কোয় মিস্ ট্যাটলকের সঙ্গে সন্দেহজনকভাবে সাক্ষাৎ করেন

20.7.1943 — গ্রোভস্ ওপেনহাইমারকে পাকা নিয়োগপত্র দেন

26.8.1944 — বোহর রুজভেল্টকে অ্যাটম-বোমার ব্যবহার বিষয়ে সতর্ক করেন

15.11.1944 — জেনারেল প্যাটন জার্মানির স্ট্রাসবের্গ দখল করেন

11.4.1945 — রুজভেল্টের মৃত্যু

12.4.1945 — ট্রুম্যান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট

25.4.1945 — ট্রুম্যান অ্যাটম-বোমা প্রকল্পের কথা প্রথম শোনেন

ঐ — অ্যাটমিক ইন্টারিম কমিটি গঠন

30.4.1945 — বার্লিনের পতন ও হিটলারের আত্মহত্যা

জুন 1945 — অ্যাটম-বোমা নিক্ষেপের বিরুদ্ধে ‘ফ্রাঙ্ক-রিপোর্ট’ দাখিল

16.7.1945. — ট্রিনিটি টেস্টে প্রথম অ্যাটম-বোমার পরীক্ষা

ঐ — গ্রোভস্ বেতারে ট্রুম্যানকে ঐ সংবাদ জানালেন

17.7.1945 — পটসড্যামে চার্চিলকে গোপনে ঐ সংবাদ জানানো হল

19.7.1945 — পটসড্যামে ট্রুম্যান হোস্ট-হিসাবে ভোজ দিলেন।

21.7.1945 — পটসড্যামে স্তালিন হোস্ট-হিসাবে ভোজ দিলেন।

23.7.1945 — পটসড্যামে চার্চিল হোস্ট-হিসাবে ভোজ দিলেন।

24.7.1945 — পটসড্যামে ট্রুম্যান স্তালিনকে দ্ব্যর্থবোধক ভাষায় অ্যাটম-বোমার ইঙ্গিত দেন।

24.7.1945 — ট্রুম্যান অ্যাটম-বোমা নিক্ষেপের চূড়ান্ত আদেশ দিলেন

26.7.1945 — মিত্রপক্ষ থেকে জাপানকে শেষ চরমপত্র ঘোষণা

26.7.1945 — চার্চিল নির্বাচনে পরাজিত; চার্চিলের পদত্যাগ

6.8.1945 — হিরোশিমায় প্রথম অ্যাটম-বোমার বিস্ফোরণ

9.8.1945 — নাগাসাকিতে দ্বিতীয় বোমার বিস্ফোরণ

11.8.1945 — জাপানের আত্মসমর্পণ ঘোষিত

11.8.1945 — ‘ডেক্সটার’ গোপন নথি ‘রেমন্ড’কে হস্তান্তর করে

6.9.1945 — গোজেঙ্কো কানাডার কাছে আত্মসমর্পণ করে

15.9.1945 — ম্যাকেঞ্জি কিং-এর পত্রে বিশ্বাসঘাতকতার কথা ট্রুম্যান জানতে পারেন

3.3.1946 — ‘অ্যালেক’ ধরা পড়ে

জুন, 1945 — ফুকস্ হারওয়েলে আসেন

23.9.1946 — রাশিয়া কর্তৃক পরমাণু-বোমার বিস্ফোরণ

27.1.1950 — ‘ডেক্সটার’ আত্মসমর্পণ করে ও জবানবন্দি দেয়

2.9.1950 — পন্টিকার্ভো হেলসিঙ্কি থেকে নিরুদ্দেশ হন

 1.11.1952 — আমেরিকা হাইড্রোজেন বোমা (৩০ লক্ষ টন টি. এন. টি.) বিস্ফোরণ ঘটায়

12.4.1954 — ওপেনহাইমারের ঐতিহাসিক বিচার শুরু হয়

15.3.1957 — ব্রিটেন কর্তৃক পরমাণু-বোমার পরীক্ষা সাফল্যমণ্ডিত

13.2.1960 — ফ্রান্স কর্তৃক পরমাণু-বোমার পরীক্ষা সাফল্যমণ্ডিত।

16.10.1964 — কম্যুনিস্ট-চিন কর্তৃক পরমাণু-বোমার পরীক্ষা সাফল্যমণ্ডিত

8.5.1974 — ভারত কর্তৃক পরমাণু-বোমার পরীক্ষা সাফল্যমণ্ডিত

13.5.1988 দীর্ঘ চব্বিশ বছর পর প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী পরপর পাঁচটি অ্যাটম বোমা পোখরানের ভূগর্ভে বিস্ফোরণ করান।

15.5.1998 — অ্যাটম বোমা ব্যবহারের ক্ষমতাশালী হিসাবে ভারত ষষ্ঠ রাষ্ট্র বলে স্বীকৃতি পেল।

.

পরিশিষ্ট ঘ

বিদেশী নামের সূচি

[বিদেশী স্থান ও ব্যক্তির নাম বাংলা বানানে আমি যেভাবে লিখেছি, স্বদেশে তা হয়তো সর্বক্ষেত্রে সেভাবে উচ্চারিত হয় না। এজন্য এই তালিকায় রোমান হরফে ঐ বিশেষ্য পদগুলিকে সনাক্ত করা গেল। তারকা-চিহ্নিত বিজ্ঞানী নোবেল-পুরস্কার প্রাপ্ত।]

(1) Alamogordo অ্যালামোগোর্ডো

(2) Alsos অ্যালসস

(3) Amold, Henry হেনরি আর্নল্ড

(4) * Becquerel বেকারেল

(5) * Bethe, Hans হান্স বেথে

(6) * Bohr, Niels নীলস বোহর

(7) Boltzmann বোলৎসম্যান।

(8) * Bom, Max ম্যাক্স বর্ন

(9) Bush, Vaniver ভ্যানিভার বুশ

(10) Bruhat ব্রুহাট

(11) Cario, G ক্যারিও

(12) * Chadwick, James জেমস্ চ্যাডউইক

(13) Chevalier, H হাকন শেভেলিয়ার

(14) Cherwell চেরওয়েল

(15) * Cockcroft, Sir J কক্‌ক্রফট

(16) * Compton, Arthur আর্থার কম্পটন।

(17) Conant, J জেমস্ কনান্ট

(18) Conel, A J কনেল

 (19) * Curie, Irine আইরিন কুরি

 (20) * Curie, Joliot জোলিও কুরি  

(21) * Curie, Pierre পিয়ের কুরি

(22) * Curie, Marie মেরি কুরি

(23) Dalber ডালবার

(24) Dalhem ডালহেম

(25) Democritus ডেমোক্রিটাস

(26) * Dirac, Paul ডিরাক

(27) * Einstein, A আইনস্টাইন

(28) Eltenton এলটেনটন

(29) Enola Gay এনোলা গে

(30) * Fermi, E এনরিকো ফের্মি

(31) * Feynman, R ফাইনম্যান

(32) * Franck, J জেমস ফ্রাঙ্ক

(33) Frisch, O ফ্রিশ

(34) Fuchs, K ক্লাউস ফুকস

(35) Fulton ফালটন

(36) Gamow, G জর্জ গ্যামো

(37) Gauss, K কার্ল গাউস

(38) Geiger, H হান্স গাইগার

(39) Goetingen, University গোটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়

(40) Goudsmit, S গাউডসমিট

(41) Gouzenko, J গোজেঙ্কো

(42) Groves, L লেসলি গ্রোভস

(43) * Hahn, O অটো হান

(44) Halban হালবান

(45) Hallweck হলওয়েক

(46) Harwell হারওয়েল

(47) * Heisenberg হেইসেনবের্গ

(48) Helmholtz হেল্মহোল্টজ

(49) Hilbert, D ডেভিড হিলবার্ট

(50) Hooper, Admiral অ্যাডমিরাল হুপার

(51) Houtermann হোটেনম্যান

(52) Kapitza, Pyotr পীতর কাপিৎজা

(53) Kistiakovosky কিস্টিয়াকোউস্কি

(54) Klein, F ক্লীন

(55) Lansdale, Col. ল্যান্সডেল

(56) * Laue Max, V ফন ম্যাক্স লে

(57) * Lawrence, E লরেন্স

(58) Lomanitz লোম্যানিটৎজ

(59) Manhattan মানহাটান

 (60) Maxwell ম্যাক্সওয়েল

(61) Mckilvi ম্যাককিলভি

 (62) Meitner মাইটনার।

(63) * Nerst, W ওয়াল্টার নের্স্ট

 (64) Neumann, J V ফন নয়ম্যান  

(65) Nichols, Col. নিকলস

(66) Nishina, Y নিশিনা

 (67) Noddack. J & W নোডাক

(68) Nordblom নর্ডব্লম

(69) Nun May, A অ্যালেন মে

 (70) Oppenheimer, J ওপেনহাইমার

(71) Push, Col. কর্নেল প্যাশ

 (72) * Planck, Max ম্যাক্স প্লাঙ্ক

 (73) Pontecarvo, Bruno ব্রুনো পন্টিকার্ভো।

 (74) Quakers কোয়েকার্স

 (75) Rabinowitch, E রোবিনোভিচ

(76) * Roentgen, W রনৎজেন

(77) * Rutherford, Earnest রাদারফোর্ড

(78) Santa Fe সান্তা ফে

(79) Sachs, A সাকস

(80) Skardon. W স্কার্ডন

(81) Sommerfeld সমারফেল্ড

(82) Stimson, H হেনরি স্টিমসন

(83) Strassmann স্ট্রাসম্যান

(84) Szilard, L লিও ৎজিলার্ড 

(85) Tatlock. J মিস ট্যাটলক

(86) Teller, E টেলার

(87) * Thomson, J J টমসন

(88) Trinity ট্রিনিটি

 (89) * Urey, H ইউরে

(90) Watson, Pa পা ওয়াটসন

(91) Weesberg উইসবের্গ

 (92) Weisskopi ওয়াইসকফ

(93) Weizsaeher ওয়াইৎসেকার

(94) * Wigner, E উইগনার

(95) Yalta ইয়ালটা

.

পরিশিষ্ট ঙ

গ্রন্থপঞ্জী

1. Alsop, J&S — We Accuse

 2. Armine, M — The Great Decisions : The Secret History of the Atomic Bombs

3. Armine, A — Secret

4. Bertin, L — Atom Harvest

5. Boskin. J, & Kristy. F — The Oppenheimer Affair

 6. Bardley, D — No Place to Hide

7. Chevalier, H — L’Homme que roulati etre Dieu [The Man Who wanted To Be God]

8. D’abro, A — The Rise of New Physics

 9. Einstein, A — The Evolution of Physics

10. Fermi, E — Atoms in the Family

11. Fuchs, E Pastor — Christ in Catastrophe

12. Gamow, G — Atomic Energy in Cosmic & Human Life

13. Gourdsmit, S — Alsos

14. Grouff, S — Manhattan Project

15. Harrison, J A — The Story of Atom

16. Hoover. EJ — The Crime of the Century (Reader’s Digest, June 51)

17. Irvine, Y — The German Atom Bomb

18. Jungk, R — Brighter Than A Thousand Suns

19. Moorehead, A — The Traitors

20. Robinovitch, I– Minutes to Midnight

 21. Rouze, M — Robert Oppenheimer, the Man

22. Do — F. Joliot-Curie

23. Rozenta, S — Niels Bohr, His Life & Works

24. Smythe, HD — Atomic Energy

 25. U. S. Govt. Publcn. — On the Matter of J. Oppenheimer -transcript of hearing.

.

পরিশিষ্ট চ

 আইনস্টাইনের ঐতিহাসিক চিঠি—

 প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টকে–জার্মান পারমাণবিক বোমার সাবধানবাণী

 Letter from Albert Einstein to President Franklin Delano Roosevelt about the possible construction of nuclear bombs.

Old Grove Rd., Nassau Point
Peconic, Long Island
August 2nd, 1939

F.D. Roosevelt
President of the United States
 White House
 Washington, D.C.

Sir;

Some recent work by E. Fermi and L. Szilard, which has been communicated to me in manuscript, leads me to expect that the element uranium may be turned into a new and important source of energy in the immediate future. Certain aspects of the situation which has arisen seem to call for watchfulness and, if necessary, quick action on the part of the administration. I believe therefore that it is my duty to bring to your attention the following facts and recommendations:

In the course of the last four months in has been made probable through the work of Joliot in France as well as Fermi and Szilard in America–that it may become possible to set up a nuclear chain reaction in a large mass of uranium, by which vast amounts of power and large quantities of new radium like elements would be generated. Now it appears almost certain that this could be achieved in the immediate future.

This new phenomenon would also lead to the construction of bombs, and it is conceivable-though much less certain that extremely powerful bombs of a new type may thus be constructed. A single bomb of this type, carried by boat and exploded in a port, might very well destroy the whole port together with some of the surrounding territory. However, such bombs might very well prove to be too heavy for transportation by air.

The United States has only very poor (illegible) of uranium in moderate quantities. There is some good ore in Candada and the former Czechoslovakia, while the most important source of Uranium is Belgian Congo.

In view of this situation you may think it desirable to have some permanent contact maintained between the Administration and the goup of physicists working on chain reactions in America. One possible way of achieving this might be for you to entrust with this task a person who has your confidence and who could perhaps serve in a unofficial capacity. His task might comprise the following;

a) To approach Government Departments, keep them informed of the further development, and out forward recommendations for Government action, giving particular attention to the problem of uranium ore for the United States;

b) To speed up the experimental work, which is at present being carried on within the limits of the budgers of University laboratories, by providing funds, if such funds be required, through his contacts with private persons who are willing to make a contribution for this cause, and perhaps also by obtaining the co-operation of industrial laboratories which have the necessary equipment.

I understand that Germany has actually stopped the sale of uranium from teh Czechoslovakian mines, which she has taken over. That she sould have taken such early action might perhaps be understood on the ground that the son of the German Under-Secretary of State, Von Weishlicker (sic), is attached to the Kaiser Wilheim Institure in Berlin where some of the American work on uranium is now being repeated.

Yours very truly,
 (Albert Einstein)

 [ পারমাণবিক বোমা প্রস্তুতের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডেলানো রুজভেল্টের কাছে আলবার্ট আইনস্টাইনের চিঠি ]

ওল্ড গ্রোভস রোড,
নাসা পয়েন্ট পিকোনিক,
 লং আইল্যান্ড
অগাস্ট ২, ১৯৩১

এফ. ডি. রুজভেল্ট
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
 হোয়াইট হাউস,
ওয়াশিংটন, ডি সি,

মহাশয়,

ই. ফার্মি এবং এল, শিলার্ডের কিছু সাম্প্রতিক কাজের পাণ্ডুলিপি আমার কাছে পাঠানো হয়েছে। সেগুলো দেখে আমার মনে হয়েছে, ইউরেনিয়ম নামক মৌলটি অদূর ভবিষ্যতে শক্তির নতুন এক গুরুত্বপূর্ণ উৎস রূপে ব্যবহৃত হবে। পরিস্থিতির এমন নির্দিষ্ট কিছু পরিবর্তন হয়েছে, যেগুলো আমাদের নজরদারি এবং প্রয়োজনে প্রশাসনের দ্রুত কার্যকর হস্তক্ষেপ দাবি করছে।

গত চার মাস ধরে ফ্রান্সের জোলিও (Jolit) এবং আমেরিকার ফার্মি আর শিলার্ড তাদের কাজের মাধ্যমে দেখিয়েছেন বৃহৎ ভরবিশিষ্ট ইউরেনিয়ামের পারমাণবিক শৃঙ্খল-প্রতিক্রিয়া ঘটানো সম্ভব, এবং এতদ্বারা বিশাল পরিমাণ শক্তি (পাওয়ার) এবং প্রচুর পরিমাণে নতুন ‘রেডিয়ম মৌল বেরিয়ে আসবে। প্রায় নিশ্চিত ভাবেই অদুর ভবিষ্যতেই এটা অর্জিত হতে বাধ্য।

এই যে নতুন-ঘটনা, বোমা প্রস্তুতের দিকে ইঙ্গিত করছে, এবং প্রায় কোনো রকম অনিশ্চয়তার প্রশ্নই থাকছে না, আমাদের বুঝে নিতে আদৌ অসুবিধা হচ্ছে না, এই বোমা হবে নতুন ধরনের অত্যন্ত শক্তিশালী। একটি বোমা যদি জাহাজে করে নিয়ে গিয়ে কোনো বন্দরে বিস্ফোরণ ঘটানো যায়, তাহলে সেই বন্দর তো নিশ্চিহ্ন হবে যাবেই, তার সঙ্গে আশপাশের বেশ কিছু অঞ্চলও ধ্বংস হবে। তবে মনে হচ্ছে এই ধরনের বোমা উড়োজাহাজে বয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে হয়তো বেশি ভারী হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যম পরিমাণের খুবই কম ইউরেনিয়াম আছে। কানাডা এবং সাবেক চেকোস্লোভেকিয়াতে উৎকৃষ্ট ইউরেনিয়মের খনি আছে।

অন্যদিকে ইউরেনিয়মের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল বেলজিয়ম কঙ্গো।

এই পরিস্থিতিতে আপনি হয়তো বা ভাবতে পারেন, প্রশাসন এবং আমেরিকাতে শৃঙ্খল-প্রতিক্রিয়া (চেইন রি-অ্যাকশন) নিয়ে কাজ করছেন ভৌত-বিজ্ঞানীদের যে-দলটি তাদের মধ্যে একটা স্থায়ী যোগাযোগ রাখা উচিত। এই কাজ করার একটা সম্ভাব্য রাস্তা হল, আপনার আস্থাভাজন এমন একজন ব্যক্তির উপর দায়িত্ব দেওয়া যিনি বেসরকারিভাবে ক্ষমতাবলে কাজটি করবেন।

তার কাজের মধ্যে থাকতে পারে :

(ক) সরকারি বিভাগগুলোর কাছে যাবার জন্য, তাদের অনবরত কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট সম্পর্কে অবহিত করা এবং সরকারের করণীয় পদক্ষেপের ব্যাপারে সুপারিশ করা। যুক্তরাষ্ট্রের ইউরেনিয়াম খনির সমস্যাগুলোর দিকে বিশেষভাবে নির্দিষ্ট নজর দেওয়া।

(খ) পরীক্ষামূলক কাজগুলো ত্বরান্বিত করার জন্য বর্তমান বাজেটের সীমার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারগুলোকে এ ব্যাপারে অর্থ বরাদ্দ করা, প্রয়োজনে এই ধরনের বরাদ্দ কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ তার মাধ্যমে এই কাজ করতে চান সেটা সংগ্রহ করা, এবং যে সমস্ত শিল্পে এই কাজের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আছে তাদের সহযোগিতা নেওয়া;

আমি জানতে পেরেছি জার্মানি ইতিমধ্যেই তার দখল করা চেকোস্লোভেকিয়ার ইউরেনিয়ম খনিগুলো থেকে ইউরেনিয়ম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। জার্মান আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেটস-এর সন্তান ফন ওয়েসলিশরের বার্লিনের ওয়াইলহেম ইনস্টিটিউট ইউরেনিয়মের ওপর আমেরিকার কাজের পুনারাবৃত্তি চলছে। সেটার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, এই ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে তারা খুব দ্রুত এই ধরনের কিছু একটা করতে যাচ্ছে।

আপনার বিশ্বস্ত
অ্যালবার্ট আইনস্টাইন

.

পরিশিষ্ট ছ

 আইনস্টাইনের দ্বিতীয় ঐতিহাসিক চিঠি-প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টকে–আমেরিকান পারমাণবিক বোমার সাবধানবাণী। হিরোশিমা-নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বর্ষণের 6 ও 9 অগাস্ট 1945) প্রায় সাড়ে চার মাস আগে আইনস্টাইন এই চিঠি লেখেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখনো চলছে–তাই তিনি আগের চিঠির মতো খোলাখুলিভাবে সব কিছু লিখতে পারেননি। তবে চিঠির শেষ প্যারাগ্রাফটির (স্পষ্টাক্ষর আমাদের) ‘formulating policy’ যে বোমা-বর্ষণ নীতি গ্রহণ তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।

 25 মার্চ লেখা চিঠিটি হোয়াইট হাউসে পৌঁছয় 12 এপ্রিল–18 দিন পর। তার আগের দিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট মারা যান। তার স্থলাভিষিক্ত প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিকের মানবসভ্যতার প্রতি কর্তব্যবোধের সাবধানবাণী (Iconsider it my duty…’) সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেন!!

Letter from Albert Einstein to President Franklin Delano Roosevelt about nuclear physicist Dr. Leo Szilard, 1945

112 Mercer Street
Princeton, New Jersey
March 25, 1945

The Honorable Franklin D. Roosevelt
The President of the United States
The White House
Washington, D.C.

Sir,

I am writing to you to introduce Dr. Leo). Szilard who proposes to submit to you certain considerations and recommendations. Unusual circumstances, which I shall describe further below, induce me to take this action in spite of the fact that I do not know the substance of the considerations and recommendations which Dr. Szilard proposes to submit to you.

In the summer of 1939 Dr. Szilard put before me his views concerning the potential importance of uranium for national defense. He was greatly disturbed by the potensialities involved and anxious that the United States Government be advised to them as soon as possible.

Dr. Szilard, who is one of the discoverers of the neutron emission of uranium on which all present work on uranium is based, described to me a specific system which he devised and which he thought would make it possible to set up chain reactions in unseparated uranium in he immediate future. Having known him for ovedr twenty years, both for his scientific work and personally, I have much confidence in his judgement and it was on the basis of his judgement as well as my own that I took the liberty to approach you in connection with this subject. You responded to my letter dated August 2, 1939 by the appointment of a committee under the chairmanship of Dr. Briggs and thus started the Government’s activity in this field.

The terms of secrecy under which Dr. Szilard is working at present do not permit his to give me information about his work; however, I understand that he now is greatly concerned about the lack of adequate contact between scientists who are doing this work and members of your Cabinet who are responsible for formulating policy. In the circumstances. I consider it my duty to give Dr. Szilard this introduction and I wish to express the hope that you will be able to give his presentation of the case your personal attention.

Very truly your.
(A. Einstein)

 [প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডেলানো রুজভেল্টের নিকট পারমাণবিক বৈজ্ঞানিক আলবার্ট আইনস্টাইনের পত্র ]

১১২, মারসার স্ট্রিট
প্রিন্সটন, নিউজার্সি
মার্চ ২৫, ১৯৪৫

মাননীয় ফ্র্যাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট
 যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
হোয়াইট হাউস,
ওয়াশিংটন ডি. সি

মহাশয়,

ড. লিও শিলার্ডের সঙ্গে পরিচয় করানোর উদ্দেশ্যেই এই চিঠি, তিনি আপনার নির্দিষ্ট বিবেচনা এবং অনুমোদনের জন্য কিছু প্রস্তাব আপনার কাছে পেশ করতে চান। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির (নিম্নবর্ণিত প্যারাগ্রাফে আমি সেটার বিবরণ দিয়েছি) জন্যই আমি এই রকম করছি, যদিও আমি জানি না ড. শিলার্ড আপনার নিকট কী প্রস্তাব পেশ করে আপনার বিবেচনা এবং সমর্থন চান, তার মর্মবস্তুই বা কী আমার জানা নেই।

১৯৩৯ সালের গ্রীষ্মে ড. শিলার্ড জাতীয় প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ইউরেনিয়মের সম্ভাব্য গুরুত্ব সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেন। এই সম্ভাব্যতা তাকে অত্যন্ত বিচলিত করে। তুলেছিল এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে যতশীঘ্র সম্ভব বিষয়টি জানানোর জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন।

ড. শিলার্ড হচ্ছেন এমন কতিপয় আবিষ্কারকদের মধ্যে একজন যারা ইউরেনিয়মের নিউট্রন বিচ্ছুরণ নিয়ে কাজ করছেন এবং সেটার ওপর ভিত্তি করেই আজকের দিনে ইউরেনিয়ম সম্পর্কিত সমস্ত কাজ চলছে। তিনি আমার কাছে তার তৈরি একটা বিশেষ পদ্ধতি-ব্যবস্থা তুলে ধরেন, এবং মনে করেন এর দ্বারা অবিচ্ছিন্ন বা যৌগ ইউরেনিয়ম থেকে অচিরেই চেইন-রিঅ্যাকশন তৈরি করা যাবে। বিগত কুড়ি বছর ধরে তার সঙ্গে পরিচিতির সুবাদে, তার বিজ্ঞান সম্পর্কিত কাজ এবং ব্যক্তিত্ব দু’ দিক থেকেই জানার সুবাদে তার সিদ্ধান্তের প্রতি আমি গভীর আস্থা রাখি। এরই ভিত্তিতে এবং আমার নিজেরও বিবেচনাতে আমি সরাসরি আপনার কাছেই বিষয়টি জানাবার স্বাধীনতাটুকু গ্রহণ করি। আপনি ১৯৩৯ সালের ২ আগস্ট সেই চিঠিতে সাড়া দিয়ে ড. ব্রিগস-এর সভাপতিত্বে একটি কমিটি নিয়োগ করেন এবং এতদ্বারা এই ক্ষেত্রে সরকারি কাজকর্ম শুরু হয়।

ড. শিলার্ড বর্তমানে যে ধরনের কাজ করছেন সেখানকার গোপনীয়তা রক্ষার শর্তাবলীর জন্য তিনি তাঁর কাজের বিশদ আমাকে জানাতে পারেন না। যাইহোক, তার কথাবার্তা থেকে আমার মনে হয়েছে, আপনার ক্যাবিনেটের নীতি নির্ধারণ সংস্থা এবং বিজ্ঞানের এই বিশেষ বিষয়ের ওপর যারা কাজ করছেন সেই সমস্ত বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে একটা যোগাযোগের একটা বড় ধরনের ট্র্যাক থেকে যাচ্ছে। এই অবস্থাতে আমার মনে হয়েছে ড. শিলার্ড-কে সরাসরি আপনার সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেওয়া উচিত। এবং আমি নিশ্চিতভাবে আশা ব্যক্ত করতে পারি আপনি তার প্রস্তাবনাতে আপনার নিজস্ব মনসংযোগ দিতে পারবেন।

আপনার বিশ্বস্ত
(এ. আইনস্টাইন)

.

পরিশিষ্ট জ

হিরোশিমা ধ্বংসের সংবাদ জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যানের জয়োল্লাস—

 বিশ্বশান্তির এই নাকি প্রথম পদক্ষেপ!!

 White House Press Release Announcing the Bombing of Hiroshima, August 6, 1945

THE WHITE HOUSE
Washington, D.C.

STATEMENT BY THE PRESIDENT OF THE UNITED STATES

Sixteen hours ago an American airplace dropped one bomb on Hiroshima and destroyed its usefulness to the enemy. That bomb has more power than 20,000 tons of TNT. It had more that two thousand times the blast power of the British “Grand Slam” which is the largest bomb every yet used in the history of warfare.

The Japanese began the war from the air at Pearl Harbor. They have been repaid many fold. And the end is not yet. With this bomb we have now added a new and revoluntionary increase in destruction to supplement the growing power of our armed forces. In their present form these bombs are now in production and even more powerful forms are in development.

It is an atomic bomb. It is a harnessing of the basic power of the universe. The force from which the sun draws its power has been loosed against those who brought war to the Far East.

Before 1939, it was the accepted belief of scientists that it was theoretically possible to release atomic energy. But no one knew any practical method of doing it. By 1942, however, we knew that the Germans were working feverishly to find a way to add atomic energy to the other engines of was with which they hoped to enslave the world. But they failed. We may be grateful to Providence that the Germans got the V-l’s and V-2’s late and in limited quantities and even more grateful that did not get the atomic bomb at all.

The battle of the laboratories held fateful risks for us as well as the battles of the air, land, and sea, and we have now won the battle of the laboratories as we have now the other battles.

Beginning in 1940, before Pearl Harbor, scientific knowledge useful in was pooled between the United States and Great Britain, and many priceless helps to our victories have come from that arrangement. Under that general policy the research on the atomic bomb was begun. With American and British scientists working together we entered the race of discovery against the Germans.

The United States had available the large number of scientists of distinction in the many needed areas of knowledge. It has the tremendous industrial and financial resources necessary for the project and they could be deveoted to it without under impairment of other vital was work. In the United States the laboratory work and the production plants, on which a substantial start had already been made, would be out of reach of enemy bombing, while at that time Britain was exposed to constant air attack and was still threatened with the possibility of invasion. For these reasons Prime Minister Churchill and President Roosevelt agreed that it was wise to carry on the project here. We now have two great plants and may lessar works devoted to the production of atomic power. Employment during peak construction numbered 125,000 and over 65,000 individuals are even now engaged in operating the plants. Many have worked there for two and a half years. Few know that they have been producing. They see great quantities of material going in and they see nothing coming out of these plants, for the physical size of the explosive charge is exceedingly amall. We have spent two billion dollars on the greatest scientific gamble in history–and won.

But the greatest marvel is not the size of the enterprise, its secrecy, not its cost, but the achievement of scientific brains in putting together infinitely complex pieces of knowledge held by many men in different fields of science into a workable plan. And hardly less marvelous has been the capacity of industry to design and of labour to operate, the machines and methods to do things never done before so that the brainchild of many minds came forth in physical shape and performed as it was supposed to do. Both science and industry worked under the direction of the United States Army, which achieved a unique success in managing so diverse a problem in the advancement of knowledge in a amazingly short time. It is doubtful if such another combination could be got together in the world. What has been done is the greatest achievenemt of organized science in history. It was done under pressure and without failure.

We are now prepared to obliterate more rapidly and completely every productive enterprise the Japansese have above ground in any city. We shall destory their docks, their factories, and their communications. Let there be no mistake; we shall completely destory Japan’s power to make war.

It was to spare the Japanese people from utter destruction that the ultimatum of July 26 was issued at Potsdam. Their leaders promptly rejected that ultimatum. It they do not now accept our terms they may expect a rain of ruin from the air, the like of which has never been seen on this earth. Behind this air attack will follow sea and land forces in such number that and power as they have not yet seen and with the fighting skill of which they are already well aware.

The Secretary fo War, who has kept in presonal touch with all phases of the project, will immediately make public a statement giving further details.

His statement will give facts concerning the sites at Oak Ridge near Knoxville, Tennessee, and at Richland, near Pasco, Washington, and an installation near Santa Fe, New Mexico. Although the workers at the sites have been making materials to be used producing the greatest destructive force in history they have not themselves been in danger beyon many other occupations, for the utmost care have been taken of their safety.

The fact that we can relese atomic energy ushers in a new era in man’s understanding of nature’s forces. Atomic energy may in the future supplement the power that now comes from coal, oil, and falling water, but at present it cannot be produced on a bases to compete with them. commercially, Before that comes there must be a long period of intensive research. It has never been the habit of the scientists of this country or the policy of this government to withhold from the world scientific knowledge. Normally, therefore, everything about the work atomic energy would be made public.

But under the present circumstances it is not intended to divulge the technical processes to production or all the military applications. Pending further examination of possible methods of protecting us and the rest of the world from the danger of sudden destruction.

I shall recommend that the Congress of the United States consider promptly the establishment of an appropriate commission to control the production and use of atomic power within the United States. I shall give further consideration and make further recommendations to the Congress as to how atomic power can become a powerful and forceful influence towards the maintenance of world peace.

দি হোয়াইট হাউস
ওয়াশিংটন ডি. সি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিবৃতি

ষোল ঘন্টা আগে আমাদের বিমান জাপানের হিরোশিমাতে একটা বোমা ফেলে শত্রুর পক্ষে ব্যবহার্য সমস্ত কিছু ধ্বংস করেছে। এই বোমা কুড়ি হাজার টন টি. এন. টির থেকেও বেশি শক্তিশালী। এমনকি আজ পর্যন্ত যুদ্ধ-ইতিহাসে ব্যবহৃত সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা ব্রিটিশ ‘গ্র্যান্ড স্লাম’-এর বিস্ফোরণ ক্ষমতার চেয়েও দুই হাজার গুণ বেশি এর বিস্ফোরক ক্ষমতা।

জাপানিরা আকাশ থেকে পার্লহার্বারে এই যুদ্ধ শুরু করেছিল। তাদের আমরা অনেকগুণ বেশি ফেরত দিয়ে দিয়েছি। এখনও এই শোধ চলতে থাকবে না। আমাদের অস্ত্রভাণ্ডারে এই বোমার অন্তর্ভুক্তি আমাদের ক্রমবর্ধমান সশস্ত্র শক্তির ধ্বংস করার ক্ষমতাতে এক বৈপ্লবিক সংযোজন, এখন যেমন-আছে-সেইরকম অবস্থার বোমা তৈরি চালিয়ে যাচ্ছি আমরা এবং ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী বোমা আবিষ্কারের পথে এগুচ্ছি।

এটা একটি পারমাণবিক বোমা। এটি বর্তমান বিশ্বের ক্ষমতার ভারসাম্যে লাগাম টানবে, যে উৎস থেকে সূর্য তার শক্তি আহরণ করে থাকে দূর প্রাচ্যে যারা যুদ্ধ নিয়ে গেছে তাদের ওপর সেই শক্তিকেই যুক্ত করা হয়েছে।

১৯৩৯ সালের পূর্বে বৈজ্ঞানিকরা তত্ত্বগতভাবে বিশ্বাস করতেন পারমাণবিক শক্তিকে মুক্তি সম্ভব। কিন্তু কেউ-ই জানতেন না বাস্তবে এটা কী করে করা সম্ভব। ১৯৪২ সালে আমরা জানতে পারলাম জার্মানরা পারমাণবিক শক্তিকে তাদের যুদ্ধ-যন্ত্রের অন্য এক ইঞ্জিনে ব্যবহার করার জন্য পাগলের মত কাজ করছে এবং তাদের আশা ছিল এর দ্বারাই তারা সমগ্র বিশ্ব-কে পদানত করতে পারবে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা কৃতজ্ঞ যে জার্মানরা V-1, V-2 দেরিতে পেয়েছে এবং তা-ও খুবই সীমিত পরিমাণে। এবং আরও বেশি কৃতজ্ঞ যে তারা পারমাণবিক বোমা বানাতে পারেনি।

স্থল-নৌ-এবং বিমান যুদ্ধের সঙ্গে এই গবেষণা যুদ্ধেও আমাদের নির্ধারক ঝুঁকি ছিল। যাই হোক শেষ পর্যন্ত এই গবেষণা যুদ্ধেও আমরা জয়লাভ করেছি।

১৯৪০ সালে, পার্ল হারবার ঘটার পূর্বে গ্রেট ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং কার্যকারিতা বিষয়ক চুক্তি এবং আমাদের অমূল্য সমস্ত বিজয় শেষ পর্যন্ত পারমাণবিক বোমা তৈরির একটা সাধারণ চুক্তির দিকে নিয়ে যায়। এবং সিদ্ধান্ত হয়। আমেরিকা ও গ্রেট ব্রিটেনের বৈজ্ঞানিকরা পারমাণবিক বোমার ওপরে এক সঙ্গে কাজ করবে। আমেরিকার হাতে বিজ্ঞানের নানান শাখা-প্রশাখাতে কাজ করা অনেক দক্ষ-প্রতিভার বৈজ্ঞানিক আছে। আমেরিকার আছে বিশাল শিল্প এবং অর্থনৈতিক ভাণ্ডারের মজুত, যেগুলো কোন রকম অহেতুক জটিলতা ছাড়াই যুদ্ধ-কাজে-ব্যয় করা যেতে পারে। আমেরিকাতে গবেষণার কাজ এবং উৎপাদন-শিল্প যেখানে বেশ ভাল। পরিমাণে উৎপাদন শুরু হয়েছিল, সেগুলো ছিল শত্রুর বিমানহানা যে সমস্ত অঞ্চলে অসম্ভব, সেই রকম অবস্থানে। ঠিক এই সময়ে গ্রেট ব্রিটেন শত্রুর আক্রমণের সামনে পড়ে, সেখানে মুহুর্মুহু জার্মান আক্রমণ চলতে থাকে। এই সময়ে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট এবং প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন যে বোমা তৈরির কাজগুলো এখানেই হবে। এখন আমাদের দুটো বড় প্ল্যান্ট, এবং অনেকগুলো ছোট ছোট শিল্প আছে। যেখানে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের কাজ চলছে। বোমা তৈরির চূড়ান্ত সময়ে নিয়োজিত কর্মী সংখ্যা ছিল ১২৫০০০। এবং এখনও ৬৫০০০ কর্মী প্ল্যান্টগুলো চালু রাখতে কাজ করে চলেছেন। অনেকেই সেখানে দুই কিম্বা আড়াই বছর কাজ করেছে। কেউ কেউ কিছুই বুঝতে পারেন নি। কেউ কেউ জানতেন তারা কিছু উৎপাদনের কাজ করছেন। তারা দেখতেন বিপুল পরিমাণ দ্রব্য প্ল্যান্টের ভেতরে ঢুকছে কিন্তু, কিছুই। বেরুচ্ছে না। কারণ, বিস্ফোরক চার্জগুলোর বস্তুগত আয়তন ছিল খুবই ছোট। বিশ্বের ইতিহাসে বৈজ্ঞানিক কাজে সব থেকে বড় জুয়া খেলাতে আমরা দুই বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছি। কিন্তু এই প্রকল্পের চমৎকারিত্ব, এর আকারে, গোপনীয়তায় কিম্বা ব্যয়বহুলতাতে সীমাবদ্ধ নয়, এর আসল চমৎকারিত্ব হল বিশ্বের বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাতে কাজ করা বিভিন্ন মস্তিষ্কগুলোর এক সূত্রে কাজ করে নির্দিষ্ট কার্যকর পরিকল্পনা রূপায়ণ করা। শিল্প সংস্থার পরিকল্পনা তৈরি থেকে চালু করার শ্রমও কম আশ্চর্যের নয়।

এই ধরনের যন্ত্রপাতি এবং পদ্ধতির অতীতে কোন নজির ছিল না, সুতরাং অনেক মনের মস্তিষ্ক-জাত শিল্প একত্রিত হয়ে একটি আকার ধারণ করল। এবং যেমনটি ভাবা। গিয়েছিল সেইরকম ফল-ই ফলল। এক্ষেত্রে বিজ্ঞান এবং শিল্পসংস্থা উভয়েই সরাসরি আমেরিকার সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশে কাজ করেছে। এবং এত ব্যাপক বিভিন্ন। ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করে অত্যাশ্চর্য অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের সৈন্যবাহিনী জ্ঞানের জগতে এক বিশাল অগ্রগতি ঘটিয়েছে। আমার মনে হয় না পৃথিবীর অন্য কোথাও এধরনের সমন্বয় সম্ভব! ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সংগঠিত বিজ্ঞানের সাফল্য অর্জন করা গেছে। এবং এটা অর্জিত হয়েছে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে এবং অব্যর্থ ভাবে। আমরা এখন প্রস্তুত, আরও দ্রুততার সঙ্গে যে-কোন শহরে জাপানিদের মাটির ওপরে আকাশে ধ্বংস করতে পারি। আমরা তাদের সমস্ত বন্দর ধ্বংস করে ছাড়ব। তাদের সমস্ত শিল্প ধ্বংস করব আমরা! ছিন্ন-ভিন্ন করে দেব তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা, জাপানের যুদ্ধ করার সমস্ত শক্তি ধ্বংস করব!

জাপানি জনগণকে এই অনিবার্য ধ্বংস থেকে রেহাই দেবার জন্য পোস্টডামে ২৬ জুলাই-এর চরমপত্র দেওয়া হয়েছে। তাদের নেতারা এই চরমপত্র খারিজ করে দিয়েছে। যদি তারা এখনও এই চরমপত্রে দেওয়া আমাদের শর্তাবলী মেনে না নেয়, তাহলে আকাশ থেকে তাদের ওপর ধ্বংসের বর্ষণধারা বর্ষিত হবে। তারজন্য তারা প্রস্তুত থাকুক। পৃথিবী এর আগে এ ধরনের ধ্বংস দেখেনি। শুধু আকাশ থেকেই নয়। এর অনুগামী হবে। আমাদের নৌবহর এবং স্থলবাহিনী! এত বিপুল পরিমাণে এত বিশাল শক্তি নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে যে অতীতে পৃথিবী তা দেখেনি, এর সঙ্গে আছে ইতিমধ্যে প্রমাণিত তাদের লড়াই করার দক্ষতা! যুদ্ধ বিষয়ক সচিব, যিনি এই পরিকল্পনার প্রতিটি স্তরের সঙ্গে জীবন্ত সম্পর্ক রেখে চলেছেন, খুব শীঘ্রই জনগণের কাছে এই বিষয়ে বিস্তারিত বিবৃতি দেবেন। তার বিবৃতিতে নক্সভাইলের সন্নিকটে ওক রিজ এবং পাসকোর কাছে রিচল্যান্ড সাইট সম্পর্কে বিশদভাবে থাকবে। যদিও শ্রমিকরা ইতিহাসের এই সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক শক্তির কিছু বস্তুগত দিকই মাত্র করেছেন। তবুও তাদের নিরাপত্তা অন্যান্য পেশার তুলনায় এমন কিছু বেশি বিপজ্জনক সীমা অতিক্রম করেনি। তাদের নিরাপত্তার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এই যে আমরা পারমাণবিক শক্তিকে মুক্ত করতে পেরেছি, এর ফলে প্রকৃতির অনেক নতুন নতুন ‘বল’ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞানের একটা নতুন যুগের সূচনা হত। বর্তমানে কয়লা, তেল এবং ঝরনার জলই শক্তির উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ভবিষ্যতে এই পারমাণবিক শক্তিই, তাদের বিকল্প হিসাবে কাজে লাগবে। কিন্তু বর্তমানে প্রচলিত উৎসগুলোর সঙ্গে তুলনা করে এখনই আমরা বাণিজ্যিকভাবে সেটা করতে পারছি না। এটা করার আগে অনেক দিন ধরে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং নিবিষ্ট গবেষণার প্রয়োজন।

এই দেশের বৈজ্ঞানিকরা এবং সরকারি নীতি কোন সময়েই বিশ্বের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে অবরুদ্ধ করতে চান না। এটা আমাদের স্বভাব বিরুদ্ধ। সুতরাং পারমাণবিক শক্তি সম্পর্কে সমস্ত কাজই খোলামেলা জনগণের কাছে তুলে ধরা হবে।

কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রযুক্তিগত সব কিছু খুঁটিনাটি কিম্বা সামরিক প্রযুক্তির সং কিছু প্রকাশ্যে আনা সমীচীন হবে না।

আমি কংগ্রেসের এই সভার কাছে অনুরোধ করছি অনতিবিলম্বে-একটা যথাযোগ্য কমিশন নিয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক শক্তি সম্পর্কিত গবেষণা নিয়ন্ত্রিত করুক। আমি ভবিষ্যতে কংগ্রেসের কাছে এই প্রশ্নে বিবেচনা এবং অনুমোদনের জন্য আমার বক্তব্য রাখব যাতে করে আমাদের দেশ বিশ্বশান্তি রক্ষার শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী শক্তি হয়ে ওঠে।

.

পরিশিষ্ট ঝ

হিরোশিমা ধ্বংস করার পরে (আগে নয়!!) জাপানের জনগণের প্রতি যুদ্ধোদ্ধত আমেরিকার সাবধানবাণী!!

 Leaflets Dropped On Cities in Japan

 Leaflets dropped on cities in Japan warning civilians about the atomic bomb, dropped c. August 6. 1945

TO THE JAPANESE PEOPLE.

America asks that you take immediate heed of what we say on this leaflet.

We are in possession of the most destructive explosive ever devised by man. A single one of our newly developed atomic bombs is actually the equivalent in explosive power to what 2000 of our giant B-29s can carry on a single mission. This awful fact is one for you to ponder and we solemnly assure you it is grimly accurate.

We have just begun to use this weapon against your homeland. If you still have any doubt, make inquiry as to what happened to Hiroshima when just one atomic bomb fell on that city.

Before using this bomb to destory every resource of the military by which they are prolonging this useless war, we ask that you now petition the emperor to end the war. Our president has outlined for you the thirteen consequences of an honorable surrender. We urge that you accept these consequences and being the work of building a new, better and peace-loving Japan.

You should take steps now to cease military resistance. Otherwise, we shall res lutely employ this bomb and all our other superior weapons to promptly and forcefully end the war.

EVACUATE YOUR CITIES.

ATTENTION JAPANESE PEOPLE EVACUATE YOUR CITIES.

Because your military leaders have rejected the thirteen part surrender declaration, two momentous events have occurred in the last few days.

The Soviet Union, because of this rejection on the part of the military has notified your Ambassador Sato that it has declared war on your nation. Thus, all powerful countries of the world are now at war with you.

Also, because of your leaders’ refusal to accept the surrender declaration that would enable Japan to honorably end this useless war, we have employed our atomic bomb.

A single one of our newly dveloped atomic bombs in actually the equivalent in explosive power to what 2000 of our giant B-29s could have carried on a single mission. Radio Tokyo has told you that with the first use of this weapon of total destruction. Hiroshima was virtually destroyed.

Before we use this bomb again and again to destroy every rtsuurce of the milirary by which they are prolonging this useless war, petition the emperor now to end the war. Our president has outlined for you the thirteen consequences of an honorable surrender. We urge that you accept these consequences and being the work of building a new, better, and peace-loving Japana.

Act at once or we shall resolutely employ this bomb and all our other superior weapons to promptly and forcefully end the war.

EVACUATE YOUR CITIES

[ ৬ আগস্টের বোমা বর্ষণ সম্পর্কে সাধারণ নাগরিকদের সতর্ক করে জাপানের বিভিন্ন শহরে বিমান থেকে ফেলা প্রচারপত্র।]

জাপানি জনগণের উদ্দেশে :

আমেরিকা চায় আপনারা এই প্রচারপত্রে যা বলা হয়েছে সেগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে মানুন।

আমরা এখন, আজ পর্যন্ত মানুষের তৈরি যতরকম ধ্বংসাত্মক অস্ত্র আছে তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্রটির অধিকারী। আমাদের এই নতুন বোমার বিস্ফোরণ ক্ষমতা। একটি অভিযানে দু’ হাজারটি দৈত্যকার B-29 বোমার সমান। এই ভয়াবহ ঘটনা আপনাদের বিবেচনার জন্য রাখা হল। এবং আমরা বিনয়ের সঙ্গে আপনাদের নিশ্চিতভাবে বলছি এটি ভয়ঙ্কর রকমের নির্দিষ্ট লক্ষভেদী।

সবেমাত্র আপনাদের স্বদেশভূমির ওপর আমরা এটার প্রয়োগ শুরু করেছি। এ ব্যাপারে যদি কারুর কোন সন্দেহ থাকে, মাত্র একটা বোমা ফেলার পর হিরোশিমা শহরের কী অবস্থা হয়েছে অনুসন্ধান করে জেনে নিতে পারেন।

সামরিক শক্তির ঘাঁটি এবং উৎসগুলো, যে গুলোর সাহায্যে আপনাদের সরকার এই অহেতুক যুদ্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করছে, সেগুলোর ওপর এই বোমা বর্ষণ করার আগেই আমরা চাইছি আপনারা আপনাদের সম্রাটকে অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য গণ আবেদন করুন! ইতিমধ্যেই আমাদের প্রেসিডেন্ট সম্মানজনক আত্মসমর্পণের তেরো দফা খসড়া প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা চাই, আপনারা সেগুলো গ্রহণ করুন এবং নতুন, উন্নততর, শান্তিপ্রিয় জাপান গড়ে তুলুন।

নিজের দেশের সামরিক প্রতিরোধের বিরুদ্ধে আপনাদেরই এগিয়ে এসে পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে এই বোমা সহ আমাদের সর্বোৎকৃষ্ট সমরাস্ত্র ব্যবহার করে যুদ্ধ থামাতে বাধ্য হব।

শহরগুলো ফাঁকা করে চলে যান
 জাপানি জনগণ সতর্ক হোন! শহরগুলো ফাঁকা করে চলে যান!

 যেহেতু আপনাদের সামরিক সরকার তেরো দফা আত্মসমর্পণের সনদ অস্বীকার করেছে, দুটো অত্যন্ত বিশাল গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কয়েকদিনের মধ্যেই ঘটে গেল।

আপনাদের সামরিক সরকারের এই অস্বীকার করার ফলে সোভিয়েত ইউনিয়ন আপনাদের রাষ্ট্রদূত স্যাটো-কে দেশ-থেকে তাড়িয়ে দিয়ে আপনাদের জাতির বিরুদ্ধে-যুদ্ধ-ঘোষণা করেছে। এই রকমভাবে সমগ্র বিশ্বের সব কটা শক্তিশালী দেশই আপনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়েছে। আরও, আপনাদের নেতাদের সম্মানজনক ভাবে আত্মসমর্পণের সনদ অস্বীকার করার ফলে এই নিরর্থক যুদ্ধে, আমরা আমাদের পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করেছি।

এর একটা অভিযানে ব্যবহৃত একটা বোমা আমাদের দৈত্যাকার B-29 দু-হাজার বোমার সমান, রেডিও টোকিও আপনাদের জানিয়েছে সর্বাত্মক-ধ্বংসক্ষমতা সম্পন্ন এই বোমার প্রথম প্রয়োগের ফলে হিরোশিমা শহর কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।

আমরা চাইছি, যুদ্ধের ঘাঁটি এবং শক্তির উৎসগুলো, যেগুলোর ওপর পুনঃ পুনঃ এই বোমা বর্ষণের আগেই আপনারা আপনাদের সম্রাটকে আমাদের প্রেসিডেন্টের দেওয়া সম্মানজনক আত্মসমর্পণের ১৩ দফা প্রস্তাব নেবার জন্য গণ আবেদন করুন। আপনাদেরও বলছি ওটা মেনে নিয়ে নতুন, আরও ভাল এবং শান্তিপ্রিয় জাপান গড়ে তুলুন।

এখুনিই এটা শুরু করুন! না হলে যুদ্ধ থামানোর জন্য আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে এই বোমা সহ আরও উন্নততর অস্ত্রগুলো ব্যবহার করব। এ যুদ্ধ থামাতেই হবে।

.

Extracts from an U.N. Radio interview, June 16, 1950; recorded in the study of Prof. Einstein’s Princeton, New Jersey, home.

Q. Is it an exaggeration to say that the fate of the world is hanging in the balance?

A. No exaggeration. The fate of human ity is always in the balance…but more truly now than at any known time…

Q. Is it possible to prepare for war and world cominunity at the same time?

A. Striving for peace and preparing for war are incompatible with each other, and in our time more so than ever.

 Q. Can we prevent war?

 A. There is a very simple answer. If we have the courage to decide our selves for peace, we will have peace…

Q. What is your estimate of the future effect of atomic energy on our civilization in the next ten or twenty years?

 A. Not relevant now. The technical possibilities we now have already are satisfactory enough…if the right use would be made of them.

Q. What is your opinion of the profound changes in our living predicted by some scientists…for example, the possibility of our need to work only two hours a day?

 A. We are always the same people. There are not really profound changes. It is not so important if we work five hours or two. Our problem is social and economic, at the international level.

Q. United Nations Radio is broadcasting to all the corners of the earth, in twenty-seven languages. Since this is a moment of great danger, what word would you have us broadcast to the peoples of the world?

A. Taken on the whole, I would believe that Gandhi’s views were the most enlightened of all the political men in our time. We should strive to do things in his spirit…not to use violence in fighting for our cause, but by non-participation in what we believe is evil.

অধ্যাপক আইনস্টাইনের প্রিন্সটন আবাসের গবেষণাগারে ইউনাইটেড নেশা এর বেতার সাংবাদিকের সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ [জুন 16, 1950 ]

 প্র : যদি বলি পৃথিবীর ভাগ্য আজ একটি সূক্ষ্ম সুতোয় ঝুলছে, তাহলে সেটাকে কি অতিশয়োক্তি বলবেন?

 উ : আদৌ নয়। মানুষের ভাগ্য সর্বকালেই অনিশ্চিত..তবে আজকের মতো চরমসঙ্কটের অবস্থা তার কখনো হয়নি।

 প্র : আপনি কি মনে করেন যুদ্ধের প্রস্তুতি আর বিশ্ব-সংগঠনের কাজ একযোগে চলতে পারে?

উ : শান্তির প্রয়াস আর যুদ্ধের প্রস্তুতি পরস্পর-বিরোধী প্রচেষ্টা, আজকের দিনে সেটা আরও বেশি সত্য।

 প্র : বিশ্বযুদ্ধকে কি আমরা প্রতিহত করতে পারব?

উ : উত্তরটি সহজ ও সরল। যথেষ্ট সাহসিকতার সঙ্গে যদি আমরা কৃতসঙ্কল্প হই, তাহলে বিশ্বশান্তি আমাদের করায়ত্ত হবেই।

 প্র : পারমাণবিক শক্তি মানব-সভ্যতায় কী জাতের প্রভাব বিস্তার করবে বলে আপনার ধারণা? ধরুন আগামী দশ-বিশ বছরে?

উ : এখন প্রশ্নটা অপ্রাসঙ্গিক। আমরা আজ পর্যন্ত যে পরিমাণ বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিবিদ্যার আশীর্বাদ লাভ করেছি তা পর্যাপ্ত…অবশ্য যদি তা সুপ্রযুক্ত হয়।

 প্র : কোনো কোনো বৈজ্ঞানিক ভবিষ্যদ্বাণী করছেন যে, আমাদের জীবনযাত্রায় প্রভূত পরিবর্তন আসন্ন।…যেমন ধরুন দৈনিক দুই ঘন্টার পরিশ্রমই ভবিষ্যতে যথেষ্ট হয়ে যাবে–এ বিষয়ে আপনার কী অভিমত?

উ : আমরা যা ছিলাম তাই আছি, তাই থাকব। কোনো মৌল পরিবর্তন হয়েছে বলে তো মনে হয় না। দৈনিক কতক্ষণ কাজ করি–দুই না পাঁচ ঘণ্টা-সেটা কোনো বড় কথা নয়। সমস্যাটা সামাজিক এবং অর্থনৈতিক–আন্তর্জাতিক বিচারে।

 প্র : ইউনাইটেড নেশা বেতার কর্তৃপক্ষ পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে সাতাশটি ভাষায় প্রচারকার্য চালিয়ে থাকেন। আজ যেহেতু মানবসভ্যতা এক ভয়াবহ সর্বনাশের সম্মুখীন, তাই জানতে চাইছি–বিশ্বমানবকে আপনি আজ কোন্ বাণী শোনাতে চান? উ : সব কিছু বিবেচনা করে আমার মনে হয়েছে, আমার সমকালীন যাবতীয় রাজনৈতিক নেতাদের ভিতর মাত্র একজনের বিশ্লেষণই প্রজ্ঞাদীপ্ত। তিনি হচ্ছেন : গান্ধীজী। তার নৈতিক নির্দেশে পরিচালিত হওয়াই আমাদের কর্তব্য…লক্ষ্যে উপনীত হতে আমরা কিছুতেই হিংসার আশ্রয় নেব না। যা অন্যায়, যা অসত্য তার বিরুদ্ধে অসহযোগ সংগ্রামই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *