জন্মান্তর

জন্মান্তর

ছোট্ট বাক্সটা হাতে নিয়েই বিশু তেড়ে এল যোগেনের দিকে, বলি, এটা কী এনেছিস? বায়োমেট্রি বক্স আনতে বললাম, আর তুই স্কুলের বায়োলজি বক্স এনেছিস! এটা কি মাস্টারমশাই তৈরি করা হচ্ছে, না ছাত্র তৈরি করা হচ্ছে যে, হাতে ধরিয়ে দিবি? আয়, বাক্সের এই ছুরিটা দিয়ে তোর কান পরিষ্কার করে দিই। যা, এটা রেখে দিয়ে বায়োমেট্রি বক্সটা নিয়ে আয়।

যোগেন বাক্সটা নিয়ে ফের ছুটল। স্কোলস্টোরে ওটা রেখেই গেল প্যাথেলস্টোর আলমারির দিকে। বিশু ভাবল, যোগেনের যা বুদ্ধি, তাতে হয়তো বায়োলজি বক্সটা প্যাথেলস্টোরেই রেখে দেবে। এই এক ঝামেলা হয়েছে ওকে নিয়ে।

ঠিক এই সময়ে দরজা ঠেলে কর্মশালায় ঢুকলেন পাপু রোবোটেসৃপোরিয়ামের মালিক ইফতিকার রহমান। সঙ্গে অন্য এক ভদ্রলোক।

বিশু সেদিকে নজর করল না। সে যোগেনের হাত থেকে বক্সটা নিয়ে রোবটের আঙুলে নিক্স লাগাতে লাগাতে যোগেনকে বলল, এবার কার্ডিয়ো ক্যাসেটটা নিয়ে আয়। আবার গানের ক্যাসেটটা আনিস না। কার্ডিয়ো ক্যাসেট!

ইফতিকার রহমান হেসে বিশুর কাছে এসে ডাকলেন, বিশু!

বিশু তড়াক করে দাঁড়িয়ে পড়ল। তারপর নীরবে মালিকের নির্দেশের অপেক্ষা করতে লাগল।

ইফতিকার রহমান বললেন, ইনি আমার বন্ধু প্রবাহণ রায়। একটা বিশেষ দরকারে এসেছেন। সেটা পরে বলব। তার আগে বলো, ডাক্তার রোবট তৈরির কাজ কত দূর এগোল?

বিশু সামনের রোবটের গায়ে হাত বুলিয়ে বলল, কাজ এখনও অসম্পূর্ণ। তবে পঁয়ষট্টি দশমিক সাত পাঁচ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

প্রবাহণ ইফতিকারের দিকে চেয়ে হেসে বললেন, বাব্বা! পাক্কা হিসেব।

ইফতিকার হেসে বললেন, হ্যাঁ। বিশু অঙ্কেও একেবারে এ-ওয়ান টু দি পাওয়ার একশো। তোমার নামটা বিশ্বকর্মা না হয়ে আর্যভট্ট কি ভাস্করাচার্য হলেও হত। কী বলো বিশু?

ওয়ান টু দি পাওয়ার একশো শুনে বিশু হেসে ফেলেছিল। কিন্তু মালিকের বলা নামগুলো সে গণিতবিদ্যায় জানলেও, নিজের নাম বদলাতে সে পারে না। তাই বেরসিকের মতন উত্তর দিল, জানি না।

এদিকে যোগেন হাতে কিছু নিয়ে বিশুর কাছে এসে বলল, কাদিও কাসেৎ। ফরাসি ডাক্তার বোধহয় তার গলায় চিকিৎসা করেছিলেন!

বিশু ভ্রূক্ষেপ করল না। ইফতিকার যোগেনকে বললেন, ওটা থাক এখন।

যোগেন কিন্তু মালিকের কথা কানে নিল না। এই মুহূর্তে বিশুই তার হুকুমকর্তা। অন্য কাউকে সে গ্রাহ্যই করল না। হোক-না সে কারখানার খোদ মালিক। সে আবার বিশুর দিকে ফিরে বলল, এই যে কাদিও

যোগেন! ইফতিকার এবার ধমকে উঠলেন। সঙ্গে সঙ্গে যোগেনের যেন সংবিৎ ফিরে এল। সে চুপ করে মাথা নিচু করে দাঁড়াল। ইফতিকার প্রবাহণকে বললেন, নাম ধরে ধমক না দিলে কিছু শুনবে না। যোগেন বিশুকে জিনিসপত্র জোগান দিয়ে কাজে সাহায্য করে। বলতে গেলে, তার জন্যেই ওকে যোগেন বলে ডাকা হয়। নইলে ওর আসল নাম বোধহয় রাসভচূড়ামণি। কী বলো বিশু?

রাসভচূড়ামণির অর্থ বিশু বোধহয় জানে না। তবুও সে তার অসুবিধের কথা তুলে বলল, যোগেন থাকাতে কাজ দ্রুত এগোচ্ছে না। কানে ভালো শোনে না। একটা আনতে আরেকটা নিয়ে আসে।

ইফতিকার বললেন, ঠিক আছে, ঠিক আছে। তোমার এই রোবট ডাক্তারকে দিয়েই ওর কানের পর্দা বদলে নেওয়া যাবে। যোগেন, এখন তুই দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়া। দরকার হলে ডাকা যাবে।

তাকে নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটা যোগেন বুঝতে পারছিল। তবুও মালিকের হুকুমে সে নির্বিকার মুখে দরজার কাছে চলে গেল।

ইফতিকার বিশুকে বললেন, বিশু, তুমি এই রোবট ডাক্তারের ব্যাপারটা এঁকে বুঝিয়ে দাও তো।

বিশু দক্ষ শিক্ষকের মতো প্রবাহণকে বোঝাতে লাগল, এই রোবটটার মধ্যেই থাকবে প্যাথোলজি পরীক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা। তা ছাড়া এটা রোগ নিরূপণ আর তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। প্রেসক্রিপশনের প্রিন্ট-আউটও পাওয়া যাবে। এটার দশটা আঙুলের প্রত্যেকটাতে যে যন্ত্রগুলো লাগানো থাকবে, তাতে কোনওটাতে নাড়ির গতি আর রক্তের চাপ, কোনওটাতে শরীরের তাপমাত্রা, ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরল, ইসিজি, ইইজি ইত্যাদি সবই পাওয়া যাবে। ব্লাড শুগার ইত্যাদি করতে এখন আর শরীর থেকে রক্ত বার করার দরকার নেই। আঙুলের ডগা দিয়ে শরীর স্পর্শ করলেই হবে। দরকারমতো আঙুলের যন্ত্রটা বদলে পকেট থেকে অন্য যন্ত্র লাগিয়ে নেবে রোবট নিজেই। নানারকম হরমোন ইত্যাদির জন্যে আলাদা আলাদা সুইচ পকেটেই আছে। দরকারমতো সব কিছুরই প্রিন্ট আউট নেওয়া যাবে রোবটের পাশে রাখা এই ডাক্তারি বাক্সের চেরা অংশটা থেকে, বোতাম টিপলেই। বাক্সটা ডাক্তারবাবু নিজেই হাতে করে নিয়ে যাবেন রোগী দেখতে যাওয়ার সময়। আর ডাক্তারের টুপিটাতে আছে মেডিনফোনেট ব্যবস্থা। পৃথিবীর যে কোনও দেশে যে নতুন চিকিৎসাপদ্ধতি আর ওষুধ আবিষ্কৃত হচ্ছে, সেটা প্রতিমুহূর্তেই এসে জমা হচ্ছে এই মস্তিষ্কের কম্পিউটারে–

ইফতিকার বাধা দিয়ে বললেন, ঠিক আছে। এবারে—

কিন্তু শিক্ষকতার নেশা তখন বিশুকে পেয়ে বসেছে। সে সেই ঘরেই বলে চলল, তবে যখন কোনও ওষুধ পরীক্ষিত, উপযোগী আর পার্শ্বক্রিয়াহীন বলে পরিগণিত হবে, তখনই শুধু

এবার বিশুকে থামাতে ইফতিকার একটু ধমক দিয়েই বললেন, বিশু! ব্যাস, ব্যাস।

বিশু থমকে থেমে গেল। ইফতিকার তার কাঁধে হাত রেখে বললেন, প্রবাহণ এখানে এসেছে এক বিশেষ দরকারে। ওর স্কুলে-পড়া মেয়ের জন্যে একটা গৃহশিক্ষক রোবট দরকার। হয়তো কিছু দিন পরে দিলেও চলত। কিন্তু কালই ও চলে যাচ্ছে দিল্লি। এদিকে স্টকে তো ব্লাংক রোবটের শরীর নেই। আজকালের মধ্যে আসবেও না। তাই ভাবছি–

বিশু প্রমাদ গুনল। সে তাড়াতাড়ি বলে উঠল, ডাক্তার রোবটের অনেকখানি করে ফেলেছি, স্যার। এটা খুব জটিল রোবট। মানুষের শরীরে অনেক রোগ, অনেক চিকিৎসাপদ্ধতি। সেটা আবার প্রায়ই নবীকরণ হচ্ছে অধুনাতম আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে। কিন্তু গৃহশিক্ষকের প্যাকেজ সহজ, সরল, একঘেয়ে। দুই আর দুইয়ে চার, নয়-এর বর্গ একাশি। এটা হাজার বছর আগেও ছিল, হাজার বছর পরেও থাকবে।

ইফতিকার একটু খোঁচা দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলেন না। বললেন, আর আকবরের বাবা বিন্দুসার, হর্ষবর্ধনের মামা রবার্ট ক্লাইভ–সেটাও। কী বলো?

বিশু লজ্জিতভাবে প্রবাহণকে বলল, অঙ্ক, বিজ্ঞানের বাইরে আমার জ্ঞান শূন্য। তাই স্যার আমাকে ঠাট্টা করেন। তারপর ইফতিকারের দিকে ফিরে বলল, বলছিলাম স্যার, এই ডাক্তার রোবটের কাজটা যখন এগিয়েছে—

ইফতিকার বাধা দিয়ে বললেন, তোমার কথার যুক্তি আছে, বিশু। কিন্তু ও তো কালই চলে যাচ্ছে। ওর মেয়েটা পড়াশোনায়, বিশেষ করে অঙ্কে একটু কাঁচা। আমি ওকে কয়েকটা জায়গার খোঁজ দিয়েছিলাম; কিন্তু ও আবার আর কারও কাছ থেকে রোবোটিউটর নেবে না। তাই বলছিলাম, বিশু, গৃহশিক্ষক রোবট যখন আমাদের হাতে নেইই, তখন আপাতত তুমিই না-হয় ওর মেয়ের পড়াশোনার ভারটা নিয়ে

বিশু আঁতকে উঠে বলল, তা কী করে হয়, স্যার? একটা রোবট টিউটরের কাজ করা আমার মতন লোকের কম্ম নয়। আর ওই যে-ইতিহাস, ভূগোল, বাংলা–এগুলোতে আমার মাথা ওই যোগেনটার মতোই। তা ছাড়া, এই ডক্টোরোবোর কাজটা

ইফতিকার বললেন, কিছু দিন না-হয় আমার ভাইপো তৌফিক কাজটা সামলে নেবে। তোমার মতন চটপটে না হলেও সে-ও তো রোবোট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার। আচ্ছা, গৃহশিক্ষকের প্যাকেজটা এনে দেখাও তো আমাকে।

বিশু হুকুম দিল, যোগেন! গৃহশিক্ষকের সেটটা।

কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই যোগেন দুটো দেশলাই বাক্সের মতন জিনিস এনে বিশুর হাতে দিল।

বিশু উলটে-পালটে দেখে বলল, একটু দেখে নেওয়া ভালো, স্যার। যোগেন আবার কী শুনে গৃহভৃত্যের প্যাকেজ এনে না দেয়।

তারপর দেখে বলল, না স্যার, ঠিকই আছে। এই যে লেবেল–গৃ-শি।

প্রবাহণ বললেন, আমাকে একটু বুঝিয়ে দেবেন?

 বিশু হেসে বলল, কেন নয়? এই কেসটাতে গৃহশিক্ষকের জ্ঞানভাণ্ডারের স্টোরেজ আছে। একেবারে অ আ ক খ থেকে স্নাতক পর্যায়ের যে-কোনও ছাত্রছাত্রীকে পড়াতে পারার প্রোগ্রাম। আর অন্যটা একটু স্পর্শকাতর ব্যাপার। বলা যেতে পারে, বিশেষ বিশেষ অবস্থায় ব্যবহারযোগ্য। একজন পাঁচ বছরের শিশুকে যে মেজাজে পড়াতে হবে, সেটা নিয়ে একজন কলেজের ছাত্র বা ছাত্রীকে পড়ানোর মতো হলে চলবে না। ছাত্রছাত্রীর বয়স, তার আই-কিউ, এমনকী তার ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী শিক্ষকের আচরণ বদলাবে। আপনার মেয়ের বয়স কত হবে, স্যার?

প্রবাহণ বললেন, বারো। এই তো এবার ক্লাস

 বিশু বাধা দিয়ে বলল, এতেই হবে। এই দেখুন, আমি কাঁটা ঘুরিয়ে এখানে দিলাম। এবার দু-এক বছর বেশি-কমে, বা বুদ্ধির হেরফেরে যে পরিবর্তন, সেটা আপনা-আপনিই অ্যাডজাস্ট হয়ে যাবে।

বিশু ইফতিকারের দিকে ফিরে বলল, দেখুন স্যার, কত সরল ব্যাপার! একটা ফাঁকা হার্ড বডিতে ভরে দিলেই হল। আর এই ডাক্তার রোবট। দু-ডজন কেস ভরতে হয়েছে। মানসিক রোগীর জন্যেই কতরকম ব্যবহারগত বৈশিষ্ট্য। অ্যামনেশিয়ায় একরকম, তো সিজোফ্রেনিয়ায় আরেকরকম। আবার প্যারানয়েড রোগীর জন্যে আরেকরকম। সব কেস তো আবার এক ঢাউস বাক্সে ভরতে হয়েছে। আমার তো ঘাম ছুটে গেল।

ইফতিকার হেসে উঠে বললেন, ঘাম! এই এয়ারকন্ডিশন্ড ঘরে আমাদেরই দাঁত লাগছে, আর তোমার ঘাম! বিশুর হাত থেকে গৃ-শি সেট দুটো নিয়ে বললেন, সত্যিই মিটার রঙকে খুবই সুন্দর বানিয়েছ, বিশু। তুমি চলে গেলে আমি কিছু দিন অসহায় হয়ে পড়ব। কষ্টও হবে। যত দূর করেছ, তার বিবরণ তো সঙ্গে সঙ্গে রেকর্ড করছ। তৌফিককে দিতে হবে। যা-ই হোক, প্রবাহণের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের কথা তো জানো না। তাকে ফিরিয়ে দিতে আরও কষ্ট হবে। বিশেষ করে তিন্নি মামণির জন্যে। মাসখানেকের মধ্যেই অনেকগুলো রোবটের দেহ এসে যাবে। কিন্তু প্রবাহণ দু-মাসের মধ্যে কলকাতায় আসতে পারবে না। কারণ ওকে দেশের বাইরে চলে যেতে হবে বিশেষ কাজে। তাই অন্তত এই ক-মাস তোমাকেই ওর সঙ্গে দিতে চাই এই দায়িত্বটুকু চাপিয়ে।

বিশু মরিয়া হয়ে আরেকবার প্রতিবাদ করার চেষ্টা করল, কিন্তু তার আগেই ইফতিকার তার পিঠের ওপরে জোরে চাপড় মারলেন। সঙ্গে সঙ্গে বিশুর পিঠের একটি অংশ ফাঁক হয়ে গেল। ইফতিকার তার ভেতর থেকে একটা বাক্স টেনে বের করে ফেললেন। তারপর যোগেনের আনা গৃ-শি সেটটা সেখানে ভরে দিয়ে পিঠের ঢাকনা দিয়ে দিলেন। তারপর প্রবাহণকে বললেন, নামটা আর বিশু রাখা গেল না। নাম রাখা যাক আমাদের স্কুলের সেই আশু মাস্টার, কী বলিস? তিন্নিকে অবশ্য মাস্টারমশাই বলেই ডাকতে বলবি। তৌফিককে দিয়ে আরেকটা বিশু তৈরি করাতে হবে। দাঁড়া, একটু পরীক্ষা করি। আচ্ছা মাস্টারমশাই, আকবরের বাবা বিন্দুসার আর হর্ষবর্ধনের মামা রবার্ট ক্লাইভ। তা-ই তো?

বিশু, বর্তমানে আশু মাস্টার রেগে গিয়ে বললেন, বুড়ো, কী সব ইয়ারকি হচ্ছে? আমার কোনও ছাত্র হলে–যাক সে কথা। বিন্দুসার সম্রাট অশোকের বাবা। আর রবার্ট ক্লাইভ কার মামা, সে জ্ঞান আমার নেই। তবে হর্ষবর্ধনের না, সেটা জানি।

প্রবাহণ ঘাবড়ে গিয়ে ইফতিকারের কানে কানে বললেন, বাব্বাঃ। ভয়ানক রাগি। ওই হাতে মারধর খেলে তিন্নি বাঁচবে না। একটু নরম স্বভাবের করা যায় না? তিন্নিও মাঝে মাঝে এরকম বেখাপ্পা তারপর তাড়াতাড়ি প্রকাশ্যে বললেন, রাগবেন না, মাস্টারমশাই। আমার বন্ধুটা ছেলেবেলা থেকেই এরকম ঠ্যাঁটা।

আশু মাস্টারকে অফ করে দিয়ে ইফতিকার বললেন, না রে, এই রোবোটিউটর মুখেই কড়া। মনে নরম। তা ছাড়া ছোট ছোট ছেলেমেয়েকে পড়াবার সময় আপনা-আপনিই তার কড়া মেজাজও নরম হয়ে আসবে। বিশুই সে ব্যবস্থা করেছে, দেখলিই তো। পাছে আদর করলে চামড়ায় ব্যথা লাগে তাই ছাত্রছাত্রীদের গা স্পর্শ পর্যন্ত করে না। যদিও হাতে রাবার কোটিং করে দিয়েছি। তিন্নি মা-র জন্যে তুই চোখ বুজে নিয়ে যা।

হুকুমমতো শ্রমিক রোবট যোগেন যখন আশু মাস্টারকে প্যাকিং করতে ব্যস্ত, প্রবাহণ আর ইফতিকার চেম্বারে বসে চা খেতে খেতে ভারাক্রান্ত মনে সামনের টেবিলটার দিকে তাকিয়ে থাকেন। সেখানে এলোমেলো ছড়ানো রয়েছে নিহত ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বকর্মার বক্ষস্থিত মস্তিষ্ক যন্ত্রগুলো।

[শুকতারা, শারদীয়া ১৪০৩]

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *