1 of 2

৩৬. এটা আমার জায়গা

কাদের, এটা আমার জায়গা, মানো তো? আমি এখান থেকে ইলেকটেড। ঠিক কি না? কাদের মাথা নেড়ে সায় দিলে ইসমাইল জিগ্যেস করে, আমার কনস্টিটুয়েনসিতে রায়ট হলে এ্যাসেম্বলিতে জবাব দিতে হবে আমাকেই তো? না কী? কামারপাড়ায় তোমরা আগুন ধরাতে যাও কোন আক্কেলে? মানুষ রাত্রে কাছারি হামলা করতে ছোটে, তোমরা বাধা দাও না কেন?

কিন্তু কলকাতায় মোসলমান তো কিছু রাখলো না। মুসলিম লীগের সরকার, মোসলমান যদি এভাবে মরে তো। আমাদের আত্মীয়স্বজন যখন হিন্দুর হাতে খুন হয়।

কাদেরের এরকম প্রতিক্রিয়ায় ইসমাইল অভ্যস্ত নয়। তবে অবাক হলেও সে জবাব দেয় সঙ্গে সঙ্গে, তোমার ভায়ের সম্বন্ধীকে কি মেরেছে কামারপাড়ার মানুষ? ঐ বুড়ো দশরথের ঠ্যাং পুড়িয়ে আর ওর দুটো গোরু মেরে কি তোমার আত্মীয়কে ফিরিয়ে আনতে পারবে?

কাদেরের দোকানে জমায়েত সবার সঙ্গে সে পরিচয় করিয়ে দেয় তার সঙ্গীদের, আমার বন্ধু, ছোট ভায়ের মতো, অজয় দত্ত। কম্যুনিস্ট পার্টির ডেডিকেটেড লোক। আমরা এক পাড়ার ছেলে, মানুষ হয়েছি এক সঙ্গে। এ হলো অজয়ের বোন মিনু, মিনতি দত্ত, দুই ভাইবোনই কম্যুনিস্ট পার্টির কাজ করে। এঁরা আজ আমাদের সঙ্গে কামারপাড়ায় যাবেন। তারপর কালাম মাঝিকে ডেকে ইসমাইল বলে, কালাম মিয়া, আপনি তো যাবেনই, আপনার মাঝিপাড়ার লোকজনও সঙ্গে থাকবে। কাদের, তুমি কয়েকটা লণ্ঠনের ব্যবস্থা করো, ফিরতে রাত হবে, ফেরার সময় তোমার বাড়িতে। আমাদের দাওয়াত।

কাদেরের বুক চিনচিন করে, টাউনে নিজের পাড়ায় ইসমাইলের খায়খাতির সব হিন্দুদের সঙ্গে, মনে হয় হিন্দুরাই তাদের বাড়ির সবার আত্মীয়স্বজন। অথচ দেখো ভোটের আগে ইসলামের মহিমা আর মোসলমানের দুর্দশা ছাড়া আর কিছু বলতো না। আর কালাম মাঝি এখন কামারপাড়ায় যাবার ব্যাপারটা একেবারেই অনুমোদন করে না, ওদিকে আজ খুব গরম হয়া আছে। গেলে আবার একটা মুসিবত না হয়।

অজয় দত্ত তাকে থামিয়ে দেয়, গরম বলেই তো যাওয়া দরকার।

মিনতি থাকায় একটু ভাবনা হলেও ইসমাইল হোসেন জোর দিয়েই বলে, চলেন তো যাই। দেখি না কে কী করে।

এখন বাধা দেওয়া কাদেরের জন্যে মুশকিল। সে একটি অতিরিক্ত কর্মসূচির প্রস্তাব করে, ঠিক আছে। তো আপনারা আসলেন, মানুষ জমা হছে, কিছু কয়া যান।

কথাবার্তা চলছিলো দরজা ভেজিয়ে দিয়ে, কপাট ফাঁক করলে দেখা গেলো দোকানের সামনে মেলা মানুষ। হারে দিনে টাউনের শিক্ষিত তরুণীকে টমটম থেকে নামতে দেখে হাটুরেদের কেনাবেচা লাটে উঠেছে, সবাই এসেছে তাকে দেখতে।

সময় নাই। কোনো ভূমিকা ছাড়াই ইসমাইল হোসেন শুরু করে, ভাইসব, পাকিস্তান হাঁসেল হলে জমিদার মহাজনের জুলুম থাকবে না। তখন হিন্দু মুসলমানের ভেদ লোপ পাবে। আমরা বাঙলার হিন্দু, বাঙলার মুসলমান স্বাধীনচেতা জাতি। বাঙলার রাজা নবাব সুলতানরা দিল্লীর কাছে কখনো মাথা নত করে নি। আজ এই বাঙলাকে ভাগ করার চক্রান্ত চলছে। বাঙলা ভাগ হলে হিন্দু, মুসলমান-সমস্ত বাঙালির মেরুদণ্ড ভেঙে পড়বে। বাঙলাকে লুটেপুটে খাবে পশ্চিমা বেনিয়ারা। আপনারা ভায়ে ভায়ে মারামারি করে, দাঙা করে বাঙলাকে টুকরো করে ফেলতে দেবেন না।

ইসমাইল হোসেন কেন, কারো মুখেই লোকে এ ধরনের কথা আগে শোনে নি। তারা আরো শুনতে চায়। কিন্তু ইসমাইল শেষ করে ফেলে তাড়াতাড়ি করে, আমার বন্ধু, আমার ছোটোভাই অজয় দত্ত এবারে আপনাদের সামনে বলবেন। কয়েক বছর আগে রেড ক্রসের রিলিফ বিতরণ করার সময় অজয় আমাকে খুব সাহায্য করেছিলো। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে।

অজয় দত্তকে এগিয়ে দিতেই সে শুরু করে, হিন্দু মুসলমান চাষীরা একসাথে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে জমিদার জোতদারদের জুলুমের বিরুদ্ধে। আমরা কম্যুনিস্ট পার্টি হিন্দু মুসলমান চাষীদের নিয়ে জোতদারদের সঙ্গে তেভাগা আদায়ের জন্যে আজো লড়াই করে চলেছি। এখন আমরা ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদ আর তাদের তল্পিবাহক জমিদার ও জোতদারদের সঙ্গে লড়াই না করে লেগে পড়েছি নিজেদের ভাইদের সঙ্গে দাঙা হাঙ্গামায়। নিজেদের এই সর্বনাশ করার উন্মাদনা থেকে আমাদের বিরত থাকতেই হবে। ভাইয়ে ভাইয়ে দাঙা বন্ধ করতে আমরা যে কোনো দলের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তৃত। তাই রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও আমরা আজ এসেছি ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে। ইসমাইলদা আমাদের ভাই, ভাইয়ের সঙ্গে মিলে আমরা ভাইয়ে ভাইয়ে সংঘাত বন্ধ করতে চাই।

অজয়ের গম্ভীর গলার বক্তৃতা চলে, কাদের ফিসফিস করে কথা বলে ইসমাইলের কানে কানে। কামারপাড়ায় আজ খুব উত্তেজনা। আজ দুপুরে দশরথ কর্মকার মারা গেছে। সেদিন আগুন ধরালে গোরু দুটোকে বাঁচাতে গিয়ে আগুন লাগে দশরথের পায়ে। তেমন কিছু নয়, পায়ে ফোস্কা পড়েছিলো বড়ো বড়ো। কিন্তু গোয়ালের জ্বলন্ত চালার ছোটো একটি টুকরা পড়ে তার বুকে। হরেন ডাক্তার চিকিৎসা করে তার পায়ের বুকের ব্যাপারটাকে সে গুরুত্ব দেয় নি। কাল থেকে তার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো, ফুসফুস নাকি একটু পুড়ে গিয়েছিলো। দশরথ আজ মারা গেলে কামারপাড়ার মানুষ খুব গরম হয়ে আছে। এমন কি বছর তিনেক আগে আকালের সময় কামারদের যারা জমিজমা বেচে পুবে চলে গিয়েছিলো তাদেরও কেউ কেউ আজ নাকি এসে পড়েছে দা সড়কি নিয়ে। কাদের একটু ভয় পাচ্ছে। তার একটু আশা, অজয় দত্ত বক্তৃতাটা আরো লম্বা করলে সন্ধ্যা হবে, তখন কামারপাড়া যাবার পোগ্রামটা বাদ পড়তে পারে। কিন্তু ইসমাইল আস্তে করে অজয়ের কানে কানে বলে, সংক্ষেপে সারো। একটু তাড়াতাড়ি যাওয়া দরকার। সিচুয়েশন খুব খারাপ।

অজয় দত্ত তখন অবশ্য উপসংহারে এসে পড়েছে, ভারতবর্ষের দুই প্রধান নেতা মহাত্মা গান্ধি ও কায়েদে আজম জিন্নার কাছে আমরা আকুল আবেদন জানাই, আপনারা সাম্প্রদায়িক হানাহানি বন্ধ করতে ঐক্যবদ্ধ হোন। হিন্দু মুসলিম হানাহানি বন্ধ হোক। তারপর সে স্লোগান ধরে, গান্ধি জিন্নার মিলন চাই, হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই।

আজ সারাদিন খুব গরম। কামারপাড়া যেতে যেতে গ্রীষ্মের লম্বা বিকাল হালকা গোলাপি হতে থাকে। ইসমাইল, অজয় ও মিনতি খুব ঘামে। ঘামতে ঘামতে অজয় স্লোগান ধরে গান্ধি জিন্নার মিলন চাই; কেবল কেরামত আর বৈকুণ্ঠই জোরেসোরে সাড়া দেয়, হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই। আর সবাই কথাগুলো ভালো করে ধরতেই পারে না।

মুকুন্দ সাহা আর কেষ্ট পালকে জোর করেই ধরে এনেছে কাদের। কেষ্ট। পালের উৎসাহ কম নাই, কিন্তু মুকুন্দ কাছছাড়া করতে চায় না বৈকুণ্ঠকে। বৈকুণ্ঠ একটু পিছিয়ে পড়লে সে দাঁড়ায়, সে এগিয়ে গেলে মুকুন্দ পা চালায় জোরে। কালাম মাঝি একটু পেছনে পেছনে ছিলো। কিন্তু হঠাৎ আমাশার বেগ হয়েছে বলে কেবল বুধাকে বলে সরে পড়েছে।

কামারপাড়ার লোকজন তখন দুই পা ও ফুসফুস পুড়ে-মরা দশরথ কর্মকারের পুরো শরীরটার দাহ সেরে স্নান করে এসে বসেছে দশরথের পোড়া গোয়ালের সামনে অর্জুনগাছের তলায়। স্নান করার পরেও ওদের কেউ কেউ ঘামছে। এদের যাবার খবর ওরা পেয়েছে একটু আগেই, কিন্তু এতোগুলো ভদ্দরলোক দেখে উসখুস করলেও কেউ সামনে এগিয়ে আসে না। কিছুক্ষণ পর মাতব্বর গোছের এক কামার হাঁক দেয়, বাড়ির মধ্যে থাকা একটা টুল লিয়া আসো তো।

মিনতি সোজা চলে যায় বাড়ির ভেতরে। কাদেরকে দেখে হামলে কাদতে শুরু করে যুধিষ্ঠির, বৈকুণ্ঠ এগিয়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলে সে হাউমাউ করে কাঁদে। এর বিপুল প্রতিধ্বনি ওঠে বাড়ির ভেতরে। মেয়েদের কান্নায়, বিশেষ করে যুধিষ্ঠিরের বোনের আর্তনাদে কামারপাড়ায় সন্ধ্যা নামে একটু তাড়াতাড়িই। আকাশে চাঁদ নাই, তারার আলোয় মেয়েলি কান্না জমতে থাকে পাতলা মেঘের মতো, ফলে বিলাপের শব্দ ওপরে উঠতে না পেরে ঘুরপাক খায় অর্জুন গাছের নিচেই। গুমোট বাড়ে।

পুরুষদের অনেকে চোখ মোছে। কাঁদে না কিন্তু দশরথের জামাই। তার শ্বশুরের নিভে-যাওয়া হাঁপরের আগুন জ্বলছে তার চোখেমুখে। তার কথায় তাই পোড়া পোড়া। গন্ধ, আপনারা এখন আসিচ্ছেন সোয়াগের কথা কবার। মণ্ডলে তো জলের দামে জমি লিয়া আদ্দেক কামারকে ভিটাছাড়া করিছে, এখন যি কয়টা মানুষ আছে সিগলানেক পুড়্যা মারার ফন্দি করিছে মাঝিপাড়ার মোসলমান। আপনারা এখন আসিছেন কিসক?

গফুর কলু এর মধ্যেও তেতে ওঠে, মণ্ডলে তখন জমি না কিনলে জগদীশ সাহা তোমাগোরে ব্যামাক জমি ক্রোক কর‍্যা লিচ্ছিলো।

কথা তো একই হলো। দশরথের জামাই বলে, জমি তো আর রাখা গেলো না। সাহা জমি লিলে লিজের জাতের কাছেই জমি থাকলোহিনি।

অজয় দত্ত বলে, আজ ঐসব কথা থাক না ভাই। আর জাত জাত করেন, মহাজন কি আপনার জাতের মানুষ?

মহাজন জাতের মানুষ না হলে কি শরাফত হাঁমার জাতের মানুষ হলো?

না। জোতদারও আপনার নিজের জাতের মানুষ নয়। অজয় দত্ত সোজা করে বোঝাবার জন্যে আস্তে আস্তে বলে, জোতদার মহাজন কেউই আপনার জাতের মানুষ হতে পারে না। জোতদার মহাজনদের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি। আমাদের লড়াই।

এখনো চলছে।

কেরামত অনেকক্ষণ ঘুরঘুর করছিলো অজয় দত্তের কাছাকাছি। এখন সুযোগ বুঝে সামনে আসে, বলে, জয়পুর, পাঁচবিবি এলাকায় তেভাগার সময় আমি ছিলাম। তেভাগা লিয়া আমার অনেক গান ওদিকে চলিচ্ছিলো। শুনিছেন লিচ্চয়?

এখানে গান করেন না?

না কেরামতের কথাকে নালিশও ধরা যায়, আবার কৈফিয়ৎও বলা যায়, এদিককার মানুষের মধ্যে তো তেভাগার জোস নাই। ধরেন একটা জোস না থাকলে কি গান বান্দা যায়?

এদিকে মানুষ তেভাগা নিয়ে মাথা ঘামায় না? অজয় দত্ত ইসমাইলকে বলে, কী ইসমাইলদা এখানে কি তেভাগা ইমপ্লিমেন্ট করে ফেলেছো নাকি?

এদিকে বড়ো জোতদার নাই বললেই চলে। তাই আধিয়ারের নাম্বার কম। ইসমাইল বলে, এ্যাসেম্বলিতে টেনেনসি বিল তো মুভ করাই হলো। জমিদারি এ্যাবোলিশ আর তেভাগা একই সঙ্গে করা হবে।

বুধা, শমশের পরামাণিক, এমন কি যুধিষ্ঠির পর্যন্ত ইসমাইল আর অজয়ের কথা শুনতে তাদের গা ঘেঁষে দাঁড়ায়। ইসমাইল তো এখন গভর্নমেন্টের মানুষ, তেভাগা হচ্ছে কি-না সে ঠিক বলতে পারবে। কিন্তু সে তোলে অন্য প্রসঙ্গ। দশরথের এই হত্যার শোধ নেওয়ার জন্যে কামাররা এখন যদি মাঝিদের ধরে ধরে মারে, তো একদিন মাঝিরা ফের হামলা করবে। ওদিকে পালপাড়ার লোকদের কথাও ভাবতে হবে। এরকম মারামারি কাটাকাটি চললে মানুষের রুজিরোজগার বন্ধ, মনের মধ্যে সবসময় হিংসা পুষে রাখলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারে না।

অজয় দত্ত বলে, এই হানাহানিতে লাভ হচ্ছে কার? গরিব মানুষেরা নিজেদের মারে, বড়োলোকেরা বসে বসে মজা লোটে।

সবাই চুপচাপ শোনে, নিজেরা কোনো কথাই বলে না। যুধিষ্ঠিরের ভগ্নীপতির চোখের আগুন নেভে না, সে বসে থাকে একটু দূরে।

রাত্রে লণ্ঠনের আলোয় সবাই কাদেরের বাড়িতে আসে। ইসমাইল, অজয় দত্ত ও মিনতি এই গরমে খাওয়ার এতো এতো আয়োজন দেখে কাদেরকে মিষ্টি করে বকে, কিন্তু পেট পুরে পোলাও কোর্মা খায়। বড়ো জাতের শিক্ষিত হিন্দু ভদ্রলোক ভদ্রমহিলাকে এভাবে খাওয়াতে পেরে শরাফত গদগদচিত্ত। কামারপাড়ার ঘটনায় সে সত্যি অসন্তুষ্ট, মাঝিরা কোনোদিন খাসলত বদলাবার পারে না। টাকাপয়সা যতোই করুক,ছোটোজাত শালারা ছোটোজাতই থাকে। মানুষ আর হবার পারে না। কামারপাড়াত যা করলো!

মণ্ডলবাড়ির বাইরের উঠানে তখনো জটলা, টমটম দাঁড়িয়ে রয়েছে সেখানেই। অজয় ও মিনতির পর ইসমাইল টমটমে উঠতে যাচ্ছে তো সামনে এসে দাঁড়ায় তমিজের বাপ, হামার বেটাটা এখনো জেল খাটিচ্ছে বাবা। ভিটাবাড়ি বন্ধক থুয়া ট্যাকা খরচ করলাম, তাও তাক খালাস করবার পারলাম না।

ইসমাইল কিছু বলার আগেই কাদের তাকে ধমকায়, আরে রাত হছে কতো। তুমি এখন ইগলান কি দরবার নিয়া আসিছো? ইসমাইল টমটমে ওঠার পর কাদের নিজেও উঠতে যাচ্ছে তখন সামনে আসে বৈকুণ্ঠ, তমিজের বাপকে সে মনে করিয়ে দেয় পাকুড়গাছের কথা, ক্যা গো, পাকুড়গাছের কথা কলা না? পাকুড়গাছ পাওয়া যাচ্ছে না–

তোর কি মাথা খারাপ হছে বৈকুণ্ঠ? ভায়ে ভায়ে খুনাখুনি ঠেকাবার জন্যে ইনারা বলে ছুটাছুটি করিচ্ছে, আর এখন তুলিস ইগলান ফালতু কথা?

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *