1 of 2

১৯. ডাক্তার শামসুদ্দিন খোন্দকার

ডাক্তার শামসুদ্দিন খোন্দকারের ওই গোপন কথাটি ইসমাইল আবদুল কাদেরকে জানায় সপ্তাহখানেক পর। উত্তরবঙ্গের প্রজাসাধারণের একমাত্র মুখপত্র সাপ্তাহিক প্রজাবাহিনীতে দি কুবের ব্যাংক লিঃ-এর একটি নিলামের বিজ্ঞাপন দেখে সেদিন টাউনে যাচ্ছিলো আবদুল কাদের, হোসেন মঞ্জিলে ঢুকলো ইসমাইলের সঙ্গে একটু পরামর্শ করতে। খাকি প্যান্ট, ছাই রঙের কোট পরে ও সোলার হ্যাট হাতে ইসমাইল বেরুচ্ছিলো, কাদেরকে দেখে বাড়ির ভেতরের দিকে মুখ করে দুই কাপ চায়ের জন্যে হাঁক দিয়ে বারান্দায় বসলো চেয়ার টেনে।

নিলাম? মানে? কিসের নিলাম?

টাউনের থানা রোডে অবস্থিত দি নিউ স্বদেশী ভাণ্ডার নামীয় দোকানের কতগুলি প্যাকিং বাকস মধ্যস্থিত দ্রব্যাদি (সাধারণতঃ তৈল, সাবান, চা, কালী, পাউডার, সিন্দুর, সেন্ট প্রভৃতি) এবং উত্তম বিলাতি ল্যাম্প দি কুবের ব্যাংক লিঃ-এর প্রাপ্য অর্থ আদায় করার নিমিত্ত ব্যাংকের বড়গোলাস্থ মোকামে নিম্নবর্ণিত তারিখ ও সময়ে প্রকাশ্য নিলামে সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রয় হইবে। ক্রয়করনেচ্ছুক সৰ্ব্বসাধারণের উপস্থিতি প্রার্থনীয়।

সাপ্তাহিক প্রজাবাহিনী ইসমাইলের পছন্দ নয়, ভাঙাচোরা কৃষক প্রজা পার্টির পয়সাওয়ালা কিছু লোক এখনো ছেপে চলেছে, এদের টার্গেট মুসলিম লীগ। বুড়োগুলোর ওপর হক সাহেবের ছায়া লেপ্টেই থাকে। কাদেরের বাপ নিশ্চয়ই এটার গ্রাহক। ইসমাইল নিজে এটা নিয়মিতই পড়ে, কিন্তু দলের কর্মীদের হাতে দেখলে ভুরু কেঁচকায়। কাগজটা টেবিলে একটু ঠেলে রেখে ইসমাইল বলে, স্বদেশী ভাণ্ডার মানে অখিলবাবুর দোকান, অখিল কুণ্ডু। বাপ মারা গেলে ছেলেরা ভাগাভাগি করে ফেললো, এটা মনে হয় ছোটো ছেলে প্রতাপের। লক্ষ্মীছাড়াটা দোকান রাখতে পারলো না।

দোকানটা সম্বন্ধে ইসমাইল যথেষ্ট ওয়াকিবহাল দেখে কাদেরের আশা হয়, নিলাম সে-ই ডাকতে পারবে কিন্তু ইসমাইল বলে, তা তুমি এসব জিনিস দিয়ে করবে কী? তুমি কি সেন্ট মাখো নাকি আজকাল? প্যাকেট প্যাকেট তেল সাবান মাখবে কী করে?

কাদের কাচুমাচু হয়ে বলে, তা নয়। ধরেন গোলাবাড়ি হাটে আমার দোকানঘরেই একটা সাইডে এই মালগুলি বিক্রির ব্যবস্থা করলে কেমন হয়?

গ্রামে স্টেশনারি দোকান? কিনবে কে? ইংলিশ ল্যাম্প কেনার মানুষ তোমাদের গ্রামে কোথায়? এর চিমনি খুলতে গেলে ভেঙে ফেলবে, হাতও কেটে ফেলবে।

ল্যাম্প আবদুল কাদের কিনতে চায় নিজের বাড়ির জন্যেই। ইসমাইলের বাড়িতে ঘরে ঘরে এই বাতি জ্বলে। কাচের ডোমের ভেতর আলো হয় কেমন নরম সাদা, একটা জুললে ঘরের চেহারা পাল্টে যায়। টাউনের লোকজন যে জিনভূতকে তেমন আমল দেয় না সে তো এই আলোর জন্যেই। টাইনে সন্ধ্যা লাগতে না লাগতে মিউনিসিপ্যালিটির লোক মই নিয়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাতি জ্বালিয়ে যায়। সিনেমা হলের সামনে জ্বলে ডায়নামোর বিদ্যুৎ, দোকানে দোকানে ঝোলে হ্যাজাক বাতি। এই আলো থাকলে জিন-পরি আসে কী করে? সেদিন হুমায়ুনের ঘরে একটা হ্যাজাক জ্বললে ভাবির চোখের সামনে কাফনের কাপড় জড়ানো ওই মানুষটা কি ঢোকার সাহস পায়?

আলতা দিয়ে কী করবে? বিয়ে টিয়ে করার মতলব নাকি?

আবদুল কাদের মেঝের দিকে চোখ রেখে লাজুক হাসি ছাড়লে ইসমাইল তার বিয়ের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে ফের বলে, আর সিঁদুর? তোমাদের বাড়ির মেয়েরা সিদুর পরে নাকি?

কী যে বলেন। আমরা মোহাম্মদি জামাতের মানুষ, বেদাত শেরেকি কাম কি আমরা করবার পারি?

ইসমাইল হো হো করে হাসে। এই অট্টহাসি আবদুল কাদের বাড়িতে চেষ্টা করেও রপ্ত করতে পারে নি। এসব বোধহয় ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া। হাসি থিতিয়ে এলে ইসমাইল বলে, ওইসব মোহাম্মদি আর হানাফির বাহাস তোমাদের আজও গেলো না? মুসলমানদের মধ্যে তোমরা কি কাস্ট সিস্টেম চালু করতে চাও নাকি? এই নিয়ে এখন তার অনেক ঠাট্টা করার কথা, কিন্তু নিলামে আবদুল কাদেরের শৌখিন জিনিসপত্র কেনার হাউসের কথা সে ভোলে না, তা হলে সিঁদুর দিয়ে করবেটা কী? তোমাদের ওই বিলে জিন ভূত একটা কী আছে, তারই পূজা করবে নাকি? ওটা শেরেকি কাজ হলো না? . কালাহার বিল নিয়ে কাদেরই অনেক গল্প করেছে। তার বাপ এটা পত্তন নিয়েছে, এটা তাদের পারিবারিক সম্পত্তি। বিলের উত্তর সিথানে পাকুড়গাছে বসে মুনসি তাদের বিলের ওপর, বিলের দুই ধারের গিরিরডাঙা-নিজগিরিরডাঙার ওপর নজর রাখছে। মুনসির নেকনজরে আছে বলেই তাদের আয় উন্নতি। বালা মুসিবত থেকে বেঁচেও থাকে। তারা মুনসির হুঁশিয়ার চোখের জন্যে। তাদের বাড়ির শিমুলগাছের সাদা বকের ঝকও তো মুনসির পোষা, তারা তার হুকুমে আকাশে ওড়ে, আবার বিল তদন্ত করে ফিরে আসে তারই ইশারায়। মুনসিকে নিয়ে ইসমাইলের এ রকম ঠাট্টামজাক শুনে কাদের প্রথম প্রথম খুব কষ্ট পেতো। আজকাল অস্বস্তি লাগে। আবার কেমন ভয় ভয় করে, ইসমাইলের ওপর মুনসির নিনজর পড়বে না তো?

এই ঠাট্টা করার স্বভাবের জন্যে মুরুব্বি মানুষেরা ইসমাইলের সামনে উসখুস করে, অনেকেই তাকে পছন্দ করে না। আবার গ্রামে গেলে গরিব মানুষের সঙ্গে কি লীগের ওয়ার্কারদের সঙ্গে তার গল্পগুজব অন্যরকম, সেখানে তাকে নিয়ে ঠাট্টাইয়ার্কি করলেও সে মহা খুশি। লোকটার বাকাচোরা কথাবার্তা সহ্য করতে পারলে তার কাছে সাহায্য পাওয়া যায়। পারুক চাই না পারুক, মানুষের জন্যে তদবির করতে ইসমাইল মহা পটু। এই যে মুনসিকে নিয়ে এতো সব খারাপ খারাপ কথা বললো, আবার টিন থেকে সিগ্রেট নিয়ে ধরাতে ধরাতে বলে, কুবের ব্যাংকের ম্যানেজার তো গোপেনবাবু। বাবার বন্ধুর ছেলে। বীরভূমের লোক, আমরা সিউড়িতে থাকতে বাবার সঙ্গে গোপেনদার বাবা নলীনাক্ষ কাকার খুব মেলামেশা ছিলো। চলো তো, গোপেনদাকে বলে দেখি। নিলামের বিট আবার কী? ম্যানেজার যাকে চাইবে তাকেই দিতে পারে।

কিন্তু আবদুল কাদেরকে ইসমাইল সেদিন শামসুদ্দিন ডাক্তারের কাছে শোনা গোপন কথাটি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে। ব্যাপারটা কী?–একটা লোক সম্বন্ধে কাদেরকে একটু খোজখবর নিতে হবে।

জয়পুরের কাছে দিন পনেরো আগে যে দাঙাহাঙামা হলো, তার পরপরই লোকটা পালিয়ে এসেছে। আলি মামুদ খার জমির ধান ভাগাভাগি নিয়ে আধিয়ারদের সঙ্গে জোতদারের লোকদের খুব একচোট হয়ে গেছে। আলি মামুদের ভাগ্নে না ভাস্তে, না-কি ভাগ্নীজামাই না ভাস্তিজামাই, অথবা ভাগ্নে-কাম-জামাই কিংবা ভাস্তে-কাম-জামাই—তার মাথা আধিয়াররা এমন করে ফাটিয়ে দিয়েছে যে লোকটা মরে কি বাঁচে তার ঠিক নাই। আহত লোকটির সঙ্গে আলি মামুদের সম্পর্ক নিয়ে ইসমাইল অনেকক্ষণ ধরে মজা করে। তার ধারণা, জোতদার আর তালুকদার আর জমিদারদের সম্পত্তির ওপর লোভের কোনো সীমা পরিসীমা নাই, সম্পত্তি নিজেদের দখলে রাখার জন্যে এরা বিয়েশাদি দেয় সব নিজেদের মধ্যে। সুতরাং আহত লোকটি যখন আলি মামুদ খার ভাস্তে কিংবা ভাগ্নে, তখন বিয়েও দিয়েছে নিশ্চয়ই নিজের অন্য কোনো ভাস্তি বা ভাগ্নীর সঙ্গেই। এখন চাষাদের হাতে ঠ্যাঙানি খেয়ে লোকটা যদি মরে তো আলি মামুদের ভাস্তে কিংবা ভাগ্নেও যায়, আবার জামাইও যায়। একসঙ্গে দুই দুইজন আত্মীয়ের মৃত্যুশোক বেচারা সামলাবে কী করে? শামসুদ্দিন ডাক্তার কি সাদেক উকিল হাজার ক্লিক করেও তখন তাকে উদ্ধার করতে পারবে? না-কি খান বাহাদুরের কাছে এর প্রতিকার তৈরি হয়েই রয়েছে? তবে, ইসমাইল আবার এটাও বলে যে, সম্পত্তি ঠিক থাকলে কোনো সুখ-দুঃখই এদের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।

তেভাগা যদি একবার হয়েই যায় তো সেই দুঃখে এইসব লোক পটাপট হার্টফেল করবে। এখনি তো টাউনে এলে আর বাড়ি ফিরতে চায় না, আলি আহমদ সাহেবের বাড়িতে ধন্না দিয়ে পড়ে থাকে। এই সাহস নিয়ে এরা করে পলিটিকস?

তেভাগা হলে কাদেরের বাপই কি আর খুশি হবে? আলি মামুদের সুখ-দুঃখ ও বিপদ নিয়ে ইসমাইলের এরকম ঠাট্টায় কাদের সায় দিতে পারে না। আলি মামুদ মানুষটা সুবিধার নয়, সে তো বোঝাই যায়। সেদিন ইসমাইলের বাড়িতে বসে কতো হায় হায় করলো, এদিকে তার ভাড়াটে লোকজন যে আধিয়ারদের সঙ্গে লাগতে গিয়ে বেদম মার খেয়ে ভেগেছে, এটা কিন্তু একবারও বললো না।

তার এলাকার ভালো ভালো ওয়ার্কারদের যে মুসলিম লীগ থেকে বের না করে সে ছাড়বে না। কিন্তু যতোই হোক, মানুষটার এতো বড়ো বিপদ নিয়ে এভাবে কথা ইসমাইল না বললেই পারে।

ইসমাইলকে ঘাটানোও তো কাদেরের পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং আলি মামুদের লোভ আর ভয় নিয়ে তাকে অনেক কথা শুনতে হয়। কথার রঙ চড়াতে চড়াতে ইসমাইল তাকে একই সঙ্গে একটি পাকা শয়তান ও আস্ত ভাড় বানিয়ে ছাড়ে। তারপর বাজারের কাছে এসে রিকশায় উঠে তোলে ওই ফেরারি লোকটির কথা।

ঠিক ফেরারি নয়। তবে হাঙামার সময় তাকে দেখা গেছে আধিয়ারদের সঙ্গে। আলি মামুদ খা থানায় ওর নামও দিয়েছে। শামসুদ্দিন ডাক্তার অবশ্য সবই জানে। সেই লোকের বাড়ি পুবের দিকে বাঙালি নদীরও পুবে, যমুনার ধারে কিংবা যমুনার ভেতরের কোনো চরেও হতে পারে। পশ্চিমে খিয়ার এলাকায় সে ধান কাটতে যায় আকালের সময়। ভবঘুরে বাউণ্ডেলে লোকটা নাকি জয়পুর, পাঁচবিবি, আক্কেলপুরের দিকে তেভাগার নেতাদের পিছে পিছে ঘুরতো আর চাষাদের উস্কানি দিতো। এদিককার থানার পুলিস তাকে ধরার ব্যাপারে তেমন গা করছে না, তবে কেউ যদি ঠিকঠাক খবর পৌঁছে দেয় থানায়, তো তাকে ঠিকই ধরা হবে। শামসুদ্দিন ডাক্তার বললো, বাঙালি নদীর পশ্চিমেই নাকি তাকে কোথায় দেখা গেছে।

আবদুল কাদের অনেক ভেবেও এরকম কোনো লোককে মনে করতে পারে না।

ইসমাইল আরেকটু হদিস দেয়, লোকটা নাকি গান করে। চাষাদের মধ্যে গান। করতো। আলি মামুদ নিজে তাকে গান করতে দেখেছে।

বুড়া মানুষ? এক ফকির ছিলো, চেরাগ আলি। তার বাড়িও পুবের দিকে। যমুনায় তার বাড়িঘর ভেঙে ফেললে আমাদের ওখানে এসে উঠেছিলো। তার নাতনিকে বিয়ে দিয়েছে গিরিরডাঙারই এক মাঝির সঙ্গে। ওই মাঝির ছেলেকে আপনি দেখেছেন। তমিজ, মাঝির আগের পক্ষের ছেলে। তা এ বুড়া ফকির বহুদিন থেকে নিরুদ্দেশ।

আরে না, অল্প বয়েস। আলি মামুদ আমাকে পরশুদিন বললো, একটু খেয়াল রেখো।

খবর পেলে কি পুলিসে ইনফর্ম করবো?

পুলিসে জানাবে? পলাতক চাষা-কাম-গায়ককে নিয়ে ইসমাইল ভবনায় পড়ে। শ্যাওড়াপাড়া সাবগ্রাম থেকে শুরু করে বাঙালি নদী পার হয়ে যমুনার পশ্চিম তীর পর্যন্ত চমৎকার অর্গানাইজ করা গেছে। এদিককার রিপোর্ট পড়ে হাশিম সাহেব সোহরোওয়ার্দি সাহেব খুব খুশি। পুব এলাকায় তেভাগার গোলমাল নাই। এদিকে বড়ো জোতদার কম, প্রচুর জমির মালিক শিমুলতলার তালুকদাররা, তা ওটা হলো ইসমাইলের শ্বশুরবাড়ি। ওদের বিরুদ্ধে যাদের ক্ষোভ আছে তারা সব ইসমাইলের খাস লোক। এদিকে স্কুল অনেক, ছাত্রদের প্রায় সবাই মুসলিম লীগের কাজ করে। যারা রাজশাহী কি কলকাতা কি এই টাউনেই কলেজে পড়াশোনা করে, বাড়ি গিয়ে তারাও পাকিস্তান জিন্দাবাদ করে বেড়ায়। কিন্তু ফেরারি আসামি যদি গ্রামে গ্রামে উস্কানি দিয়ে বেড়ায় তো গোলমাল দানা বাঁধতে কতোক্ষণ? চাষার গো বড়ো ভয়ানক জিনিস। জয়পুর, পাঁচবিবি, আক্কেলপুরের কর্মীদের কতো বলেছে ইসমাইল, একটু সবুর করা, পাকিস্তান হলেই জোতদারদের আঁটো করা হবে। এ্যাসেমব্লিতে জমিদারি উচ্ছেদের বিলের সঙ্গে তেভাগার বিলও তোলা হবে। মিল্লাত পত্রিকায় এরকম কথা লেখাও হয়েছে। বিল একবার এ্যাক্টে পরিণত হলে জোতদাররা বাপ বাপ করে দুই ভাগ ধান তুলে দেবে আধিয়াদের গোলায়। কোনো আধিয়ারকে উচ্ছেদ করা যাবে না।-নাঃ! কে শোনে কার কথা? আরে এসব কথা তো আর পাবলিক মিটিঙে ঘোষণা করা যায় না। জোতদারদের তো হাতে রাখতে হবে অন্তত ইলেকশন পর্যন্ত তো বটেই। তারপর আইনের মধ্যে দিয়ে তেভাগা প্রতিষ্ঠিত হলে চাষীর অধিকার নষ্ট করে কে?-নাঃ! কে শোনে কার কথা? স্কুল কলেজের ছেলেদের দলে টানা গেছে, কিন্তু চাষারা গোলমাল করতেই লাগলো। কথা শুনতে হয় ইসমাইলকে। নেতারা বোঝে না, এইসব ছোঁড়াদের বাবা বাছা বলে ধরে রাখতে না পারলে এরা সব লাল ঝাণ্ডার দিকে চলে যাবে। তবে একটা কথা।—ইসমাইল ওই ফেরারি লোকটি সম্বন্ধে নতুন করে ভাবে। ওকে হাত করে নিতে পারলে কাজ হয়। এরকম একটা মানুষ থাকলে আধিয়ারদের সবসময় সঙ্গে পাওয়া যায়।

কাদের ফের জিগ্যেস করে, পলাতক মানুষের সন্ধান পেলে সে কী করবে?

আমাকে বলে যেও। চুপ করে বলে যেও। চট করে পুলিসের কাছে না যাওয়াই ভালো।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *