০৫ অধ্যায় – কমান্ডার হিসেবে আপনার সক্ষমতা যাচাই করুন

০৫ অধ্যায় – কমান্ডার হিসেবে আপনার সক্ষমতা যাচাই করুন

সানজু বলেন:

১.

সাধারণত, বিশাল একটা সৈন্যদলকে পরিচালনা করা ঠিক ছোট একটা সৈন্যদল পরিচালনা করার মতই। এটা একটা সংগঠনের ব্যাপার মাত্র।

চ্যাং ইউ এর ভাষ্যমতে, একটা সৈন্যবাহিনী চালনা করতে প্রথমে অবশ্যই যে কাজটা করতে হবে তা হল একজন সেনানায়কের উপর দায়িত্ব অর্পন এবং তার সাহায্যকারী উপদেষ্টা নিয়োগ এবং তাদের মধ্যে যথাযথ পদসোপান ভিত্তিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা।

একজন মানুষ একা একজন মানুষই; দুইজন মিলে হয় যুগল আর তিনজন মিলে হয় ত্রয়ী। একটা যুগল আর একটা এয়ী মিলে পাঁচজনের একটা ক্ষুদ্র দল; দুটো ক্ষুদ্র দল মিলে একটা বিভাগ; দুটো বিভাগ মিলে একটা প্লাটুন; দুটো প্লাটুন মিলে একটা ক্যাম্পানি; দুটো ক্যাম্পানি মিলে একটা ব্যাটেলিয়ন; দুটো ব্যাটেলিয়ন মিলে একটা রেজিম্যান্ট; দুটো রেজিম্যান্ট মিলে একটা গ্রুপ; দুটো গ্রুপ মিলে একটা বিগ্রেড; দুটো বিগ্রেড মিলে একটা পূর্ণাঙ্গ সৈন্যদল গঠিত হয়। প্রত্যেকটা ছোট দল তার চেয়ে বড় একটা দলের অঙ্গ সংগঠন এবং বড় দলটা ছোট দলকে নিয়ন্ত্রণ করে। প্রত্যেকে যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত। আর এভাবে একজন সেনানায়ক জানেন দশলক্ষ সেনার দ্বারা গঠিত একটা সৈন্যবাহিনী পরিচালনা করা আর একটা ছোট দলকে পরিচালনা করা একই কথা।

আর অনেককে নিয়ন্ত্রণ করা ঠিক অল্প কয়েকজনকে নিয়ন্ত্রণ করার মতই। এটা শুধুমাত্র সৈন্যবিন্যাস আর পরিচালনা করার দক্ষতার বিষয়।

চ্যাং ইউ এর ভাষ্যমতে, যখন সৈন্যদেরকে যুদ্ধে লাগিয়ে দেয়া হয়, তখন চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে, এবং ঐ অবস্থায় না দেখা পর্যন্ত কারো কথা শোনার মতো পরিস্থিতিতে তারা থাকে না। আর তাই অফিসার এবং সৈন্যদেরকে এগিয়ে যাওয়া এবং থেমে যাওয়ার জন্য পতাকা দেখিয়ে বা ড্রামের শব্দ শুনিয়ে বুঝিয়ে দেয়া হয়। আর তাই সাহসি সৈন্যকে একাকি এগিয়ে যাওয়া ঠিক নয় আবার কাপুরুষের মত পালিয়েও যাবে না।

.

২.

শত্রুর আক্রমণের পরেও ঐ সৈন্যবাহিনীর পরাজয়ের গ্লানি বহন না করে বেচে থাকার নিশ্চয়তা থাকে বিশেষ এবং নিয়মিত বাহিনী ভাগ করে যুদ্ধ পরিচালনা করার মাধ্যমে।

লি চুয়ান এর ভাষ্যমতে, যারা শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করে তার নিয়মিত বাহিনী; যারা সৈন্যবাহিনীর চারিদিকে থাকে তারা হল বিশেষ বাহিনী। কোন কমান্ডারই এই বিশেষ বাহিনী ছাড়া শত্রু আক্রমণ করে সুবিধা করতে পারবে না।

হো ইয়েন-সি এর ভাষ্যমতে, আমার নিয়মিত বাহিনীকে বিশেষ বাহিনী হিসেবে এবং বিশেষ বাহিনীকে নিয়মিত সাধারন বাহিনী হিসেবে প্রতিপক্ষের কাছে উপস্থাপন করি। তাছাড়া নিয়মিত সাধারন বাহিনী বিশেষ বাহিনীর মত এবং বিশেষ বাহিনী সাধারণ নিয়মিত বাহিনীর মত আচরন করে।

প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সৈন্য পাঠানো আর পাথরে ডিম ছুঁড়ে মারা একই ব্যাপার। নিয়মিত সাধারণ সৈন্যদের দ্বারা প্রতিপক্ষকে ব্যস্ত রাখুন আর বিশেষ বাহিনী ব্যাবহার করুন জয়ী হওয়ার জন্য। যারা সুযোদ্ধা তাদের কাছে বিশেষ বাহিনী ব্যবহারের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি আকাশ এবং মাটির মধ্যবর্তী দুরত্বের সমান অথ্যাৎ অসীম; বিশাল বিশাল খড়স্রোতা নদীগুলোর বহমান পানির মত। তাদের জন্য যেখানে শেষ সেখানেই শুরু; চক্রাকারে আবর্তনশীল, সুৰ্য ডোবার পরে যেমন চাঁদ এসে আবার সুৰ্য্য উঠে ঠিক তেমন। তারা মরে যায় আবার পূর্ণজন্ম নেয়; পুনরাবৃত্ত, ঋতুর বারবার ফিরে আসার মতই।

সানজুর বলেন,

এক. পাঁচটা মিউজিক্যাল নোট দিয়ে অসংখ্য মেলোডি সৃষ্টি সম্ভব, যার সব শুনে শেষ করা সম্ভব নয়।

দুই. মৌলিক রং রয়েছে মাত্র পাঁচটা কিন্তু সেগুলো মিশিয়ে অসংখ্য রং বানানো সম্ভব, যার সব দেখে শেষ করা সম্ভব নয়।

তিন. পাঁচটা মৌলিক স্বাদের সমন্বয়ে অসংখ্য স্বাদ তৈরি সম্ভব, যার সব স্বাদ দেখে শেষ করা একদম অসম্ভব।

তেমনি যুদ্ধে নিয়মিত আর বিশেষ বাহিনীর দ্বারা এত কৌশলে আক্রমণ করা সম্ভব যে একা কেউ এর সব কখনও আত্মস্থ করতে পারবে না। আর এই কারনে দুটো বাহিনীই পুনঃ ব্যবহারযোগ্য; তাদের কার্যক্ষমতা কখনও শেষ হবার নয় ঠিক যেমন একটা রিং এর মত যার কোন শেষ প্রান্ত নেই। এর শেষ এবং শুরু কোথাও কেউ কি সেটা সঠিক বলতে পারবে? পাথরের গায়ে পানির স্রোত যেমন আছড়ে পড়ে, এমনটা ঘটে কারণ এটাই তার ধর্ম; ঠিক তেমনি সৈন্যরা শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, এটাকেই বলে মোমেন্টাম;

তু-ইউ এর ভাষ্যমতে, এমন কৌশলে আক্রমণ করুন যেমন বাজ পাখি তার শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাজ পাখি নিশ্চিতভাবে তার শিকারের কোমর ভেঙে দিতে পারে কারণ সে ঠিক সময়েই আঘাত হানে। আর এটাকেই বলে টাইমিং।

এভাবেই একজন দক্ষ যোদ্ধার মোমেন্টাম হল অসাধারন একটা পরিকল্পনা, এবং যে সময়ে আক্রমণের পরিকল্পনা থাকে সে ঠিক সে সময়ে আক্রমণে যাবে। তার সকল ধ্যান ধারনা শুধুমাত্র তীর-ধনুকের উপর থাকে; সঠিক সময়ে সে ট্রিগারে চাপ দেবে।

.

৩.

তর্জন-গর্জন আর যুদ্ধ ধ্বনিতে সৈন্যবাহিনীকে বিশৃঙ্খল মনে হতে পারে, কিন্তু সেখানে অপেক্ষা করছে ভিন্ন কিছু; সৈন্যবাহিনী চারিদিকে ঘিরে ফেলতে গিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে কিন্তু তারা হেরে যেতে পারে না।

লি চুয়াং এর ভাষ্যমতে, সমর যুদ্ধে মনে হবে সবকিছুই যেন গোলমেলে। কিন্তু পতাকা আর ব্যানার দেখা মাত্র তারা একত্রিত হয়ে যায়; কিছু যুদ্ধ ধ্বনিও থাকে যেগুলো তাদেরকে মেনে চলতে হয়।

সঠিক কোন সিদ্ধান্ত নেবেন কিন্তু ভেবাছেকা খাওয়ার ভান করুন; সাহসি হলে ভীতুর ভান করুন; দক্ষ-শক্তিশালী হলে দুর্বলের ভান করুন।

তু-মু এর ভাষ্যমতে, এর মানে যদি কেউ বিশৃঙ্খলার ভান করে তবে তাকে ভেতরে ভেতরে খুব শৃঙ্খল হতে হবে। তবেই তিনি সিদ্ধান্তহীনতার ভান করতে পারেন। কেউ যদি ভীতুর ভান করতে চায় তবে তাকে যথেষ্ট সাহসি হতে হবে আর সেখানে তার শত্রুর জন্য অপেক্ষা করবেন তাই তাকে সাহসি হতেই হবে, আর তখনই তিনি ভয়কে জয় করতে পারবেন। যিনি দুর্বলের ভান করবেন তাকে অবশ্যই অসম্ভব শক্তিশালী হতে হবে যাতে করে শত্রুর সৈন্যদের মধ্যে একটা অহংকারী ভাব তুলে দেয়া যায়। শুধুমাত্র তার পক্ষেই দুর্বলের ভান করা মানায়।

সৈন্যদের শৃঙ্খলা এবং বিশৃঙ্খলা নির্ভর করে সৈন্য সাজানোর উপর; সাহসিকতা এবং কাপুরুষতা নির্ভর করে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতির উপর; শক্তিশালী এবং দুর্বলতা নির্ভর করে সৈন্য বিন্যাসের উপর।

লি চুয়ান এর মতে, এরপর যখনই সৈন্যরা সুযোগ পাবে ভান করা কাপুরুষরা তাদের সাহসিকতার পরিচয় দেবে; যদি সুযোগের সদব্যবহার করতে না পারে তবে সাহসিরাও কাপুরুষ হয়ে যাবে। আর্ট অব ওয়ারে ধরাবাধা কোন নিয়ম নেই। নিয়ম যদি ফলাতেই হয় তবে তা পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।

এই কাজে যারা দক্ষ তারা এমন একটা পরিস্থিতির তৈরি করে যাতে শত্রু তাদের পাতা ফাঁদে পা দিতে বাধ্য হয়; তারা শত্রুকে এমন কিছুর লোভ দেখাবে যাতে তারা সেটা নিশ্চিত নেয়ার পায়তারা করে, আর সেটা নেয়ার লোভে শক্তি সেখানে ক্ষয় করবে যেটাকে নিজের সুযোগ হিসেবে নেয়া যেতে পারে।

আর তাই দক্ষ কমান্ডার সেই সুযোগে বিজয় অর্জন করে।

চেন হাও এর ভাষ্যমতে, যুদ্ধে বিজিতরা বিশেষ করে শত্রুর থেকে পাওয়া সুযোগগুলোকে কাজে লাগায়। তারা শুধুমাত্র সৈন্যদের উপর হার জিতের ফয়সালা চাপিয়ে দেয় না।

সেনানায়ক শুধু দক্ষ সৈনিক নিবার্চন করে আর তারাই পরিস্থিতির সামাল দেয়।

লি চুয়ান এর ভাষ্যমতে, আর এখন শুধু বীরেরা যুদ্ধ করবে, চালাকরা প্রতিরক্ষা করবে আর বুদ্ধিদীপ্তরা পরিকল্পনা করবে। আর এভাবে প্রত্যেকের প্রতিভার মূল্যায়ণ করা যায়।

তু-মু এর ভাষ্যমতে, যাদের কোন ধরনের প্রতিভা নেই তাদের কাছে সমাধান চাওয়া একেবারে উচিত নয়।

সাও সাও যখন হান চুয়াং রাজ্যের চ্যাং লু এর বিরুদ্ধে আক্রমণ করল, তখন সে জেনারেল চ্যাং লিয়াও, লি তিয়েন, এবং লো চিন কে এক হাজারের বেশি সৈন্যকে পরিচালনার দায়িত্ব দিলেন যারা হো ফেই কে প্রতিহত করার জন্য। সাও সাও সৈন্য কমিশনার, সিয়েহ তি কে নির্দেশ পাঠালো এবং খামের এক কোণায় লিখে দিল: ‘যখন যুদ্ধ শুরু হবে ঠিক তখনই এটা খুলবে।’ কিছুক্ষণ পরেই অউ রাজ্যের সান সুয়ান এক লক্ষ সৈন্য নিয়ে হো ফেইকে আটক করার জন্য আসে। জেনারেলরা খামটা খুলে পড়ে যেখানে লিখা ছিল: ‘যদি সান সুয়ান আক্রমণে আসে তবে জেনারেল চ্যাং এবং লি যুদ্ধে যাবে। জেনারেল লো শহর রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে। সৈন্য পরিচালনাকারী যুদ্ধে অংশ নেবে না। বাকি সব জেনারেলই যুদ্ধে অংশ নেবে।’

চ্যাং লিয়াও বলেন: ‘আমাদের প্রভু এখান থেকে অনেক দূরে তাবু খাঁটিয়েছেন, আর আমরা যদি সেখান থেকে অস্ত্র আসার অপেক্ষায় থাকি তবে শত্রুরা আমাদেরকে নিশ্চিন্ন করে দেবে। আর তাই নির্দেশনা থেকে বোঝা যাচ্ছে শত্রু একত্রিত হওয়ার আগেই আমরা তাদেরকে আক্রমণ করব যাতে করে তাদেরকে পথেই আটকানো যায় আর আমাদের সৈন্যদের মাঝে চঞ্চলতা বাড়ে। তারপর আমরা শহর রক্ষার কাজে নেমে পড়ব। আর জয় বা পরাজয় এই কৌশলের উপরই নির্ভর করছে।’

লি তিয়েনে এবং চ্যাং লিয়াও আক্রমনে যায় এবং সান সুয়ানকে পরাজিত করে। এর পর সেদিনের মত ফিরে যাতে করে তাদের নিজেদের সৈন্যরা নিরাপদ অনুভব করে। সান সুয়ান দশদিন ধরে বেআইনিভাবে শহরে আক্রমণ করে তছনছ করে কিন্তু দখল করতে না পেরে ফিরে যায়।

ঐতিহাসিক সান সেন গোপনে এর সবই পর্যবেক্ষণ করেন এবং বলেন: ‘এখন তারা যুদ্ধটাকে একটা ছলচাতুরির আখরা বানিয়ে ফেলেছে। হো ফেই এর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বলতে গেলে কিছুই ছিল না, দুর্বল আর কোন প্রকার সৈন্যবাহিনী বলতে ছিল না। কেউ যদি একজন জেনারেলকে বিশ্বাস করতো যিনি যুদ্ধ করতে পছন্দ করতেন সেটা আরও ঝামেলা বাড়িয়ে দিত। যিনি যুদ্ধ সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন তার উপর নির্ভর করতে গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতো।’

তিনি পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করে সৈন্যদের যুদ্ধে পাঠান যেমনটা একজন সাধারণ মানুষ তার কাজে গাছের গুঁড়ি অথবা পাথর ব্যবহার করে। সব কিছুর হিসাব করেই সিদ্ধান্ত নেন যেন যেখানে আছেন সেখানে স্থির থাকতে পারেন; অসমান জায়গা হলে সেখান থেকে সরে যাবেন। যদি চারকোনাকৃতির হয় তবে থেমে যাবেন; যদি গোলাকার হয় তবে চারিদিকে ঘুরে পজিশন নেবেন। এভাবেই উপযুক্ত দক্ষ সৈন্যদেরকে যুদ্ধে গোলাকার পাথরের চাইয়ের সাথে তুলনা করা যায় যেখানে তারা পাহাড়ের উপর থেকেও নেমে আসতে পারে।

তু-মু এর ভাষ্যমতে, এভাবে কম শক্তি ব্যবহার করে বেশি ফলাফল অর্জন করতে হয়।

চ্যাং ইউ এর ভাষ্যমতে, লি চিয়াং বলেন: ‘যুদ্ধে তিন ধরনের পরিস্থির উদ্ভব হতে পারে:

এক. ‘সেনানায়ক তার শত্রুকে কম শক্তিশালী ভাবে, আর তার অফিসাররা আর সৈন্যরা যুদ্ধ করতে চায়, তখন জয়ের জন্য তাদের ইচ্ছাশক্তি একটা ঘুর্নিঝড়ের বাতাসের বেগের চেয়েও বেশি হয়ে যায়।’

দুই. ‘টেরেইনের পরিস্থিতির ক্ষেত্রে, এমন একটা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গঠন করে যেখানে প্রবেশের রাস্তা কুকুর ঘরে ঢোকার মত সংকীর্ণ অথবা পাহাড়ি এলাকার ভেতর দিয়ে ভেড়ার পাকস্থলীর মত রাস্তা আকাবাকা, যেটা পার করেই শত্রুকে তাকে আক্রমণ করতে হবে।’

তিন. ‘শত্রুর অবস্থার ক্ষেত্রে, যখন শত্রু যুদ্ধ আর পথশ্রমে ক্লান্ত অথবা তার শিবির স্থাপন করে সরেনি কিংবা শত্রদলের অর্ধেক কেবল একটা নদী পার হয়েছে বাকি অর্ধেক এখনো নদীর ওপাড়ে। এই পরিস্থিতিটা হলো শত্রু সৈন্যদেরকে সম্মান করা।’ উপরের তিনটি পরিস্থিতিই যেকোন কমান্ডারের জন্য বিশেষ সুযোগ, এমন সুযোগে একজন কমান্ডার এমন ভাবে তার সৈন্য পরিচালনা করে, যেন খাড়া ঢাল বেয়ে গড়িয়ে পরা পাথরের বোল্ডার একেকটা, উপর থেকে ফেলতে ধাক্কা লাগে সামান্যই কিন্তু ফলাফল ভয়াবহ।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *