2 of 3

১৪।২ চতুর্দশ কাণ্ড : দ্বিতীয় অনুবাক

দ্বিতীয় অনুবাক
প্রথম সূক্ত : বিবাহপ্রকরণম
[ঋষি : সাবিত্রী, সূর্যা দেবতা : আত্মা, যক্ষ্মনাশিনী, দাম্পত্য পরিপন্থিনাশনী, দেবগণ ছন্দ : অনুষ্টুপ, জগতী, অষ্টি, ত্রিষ্টুপ, বৃহতী, গায়ত্রী, পংক্তি, উষ্ণিক, শক্করী]

ভুভ্যমগ্ৰে পৰ্যবহসূর্যাং বহতুনা সহ। স নঃ পতিভ্যো জায়াং দা অঙ্গে প্রজয়া সহ।১৷৷ পুনঃ পত্নীমগ্নিরদাদায়ুষা সহ বচসা। দীর্ঘায়ুরস্যা যঃ পতিজীবাতি শরদঃ শতম৷৷ ২. সোমস্য জায়া প্রথমং গন্ধর্বস্তেপরঃ পতিঃ। তৃতীয়ো অগ্নিষ্টে পতিস্তুরীয়স্তে মনুষ্যজাঃ ॥৩৷৷ সোমো দদদ গন্ধৰ্বায় গন্ধর্বো দদদয়ে। রয়িং চ পুত্রাংশ্চাদাদগ্নিমহ্যমথো ইমাম ৷৷ ৪. আ বামগৎসুমতিবাজিনী ন্যখিনা হৃৎসু কামা অরংসত। অভূতং গোপা মিথুনা শুভম্পতী প্রিয়া অর্যমণণা দুৰ্যা অশীমহি।৫সা মন্দসানা মনসা শিবেন রয়িং ধেহি সর্ববীরং বচস্যম। সুগং তীর্থং সুপ্রপাণং শুভস্পতী স্থাণুং পথিষ্ঠামপ দুর্মতিং হতম্ ॥ ৬৷৷ যা ওষধয়ো যা নদ্যো যানি ক্ষেত্রাণি যা বনা। তাস্তা বন্ধু প্রজাবতীং পত্যে রক্ষন্তু রক্ষসঃ ॥ ৭৷৷ এমং পন্থামরুক্ষাম সুগং স্বস্তিবাহন। যস্মিন্ বীরো ন রিষ্যত্যন্যেষাং বিন্দুতে বসু৷ ৮৷ ইদং সুমে নরঃ শৃণুত যয়াশিষ দম্পতী বামমতঃ। যে গন্ধর্বা অপ্সরসশ্চ দেবীরেষু বানস্পত্যে যেহধি তন্তু। স্যোনাস্তে অস্যৈ বধ্বৈ ভবন্তুমা হিংসিষুবহতুমুহ্যমানম্ ॥৯॥ যে বধ্বশ্চন্দ্ৰং বহভুং যক্ষ্মা যন্তি জনাঁ অনু। পুনস্তান যজ্ঞিয়া দেবা নয়ন্তু যত আগতাঃ ॥১০ মা বিদন পরিপন্থিনো য আসীদন্তি দম্পতী। সুগেন দুর্গমতীতামপ দ্ৰান্তুরাতয়ঃ ॥১১৷ সং কাশয়ামি বহতুং ব্ৰহ্মণা গৃহৈরঘোরেণ চক্ষু মিত্রিয়েণ। পর্যাণদ্ধং বিশ্বরূপং যদস্তি স্যোনং পতিভ্যঃ সবিতা তৎ কৃপোত্ ॥১২। শিবা নারীয়মস্তমাগন্নিমং ধাতা লোকমস্যৈ দিদেশ। মমা ভগগা অশ্বিনোভা প্রজাপতিঃ প্রজয়া বর্ধয়ন্তু ॥১৩ আত্মত্যুবরা নারীয়মাগন্ তস্যাং নরো বপত বীজমস্যা। সা বঃ প্রজাং জনয়দ বক্ষণাভ্যো বিভ্ৰতী দুগ্ধমৃষভস্য রেতঃ ॥১৪৷ প্রতি তিষ্ঠ বিরাডসি বিষ্ণুরিবেহ সরস্বতি। সিনীবালি প্র জায়ং ভগস্য সুমতাবসৎ ॥১৫৷৷ উদ ব ঊর্মিঃ শম্যা হপো যোক্ট্রাণি মুঞ্চত। মাদুষ্কৃতৌ ব্যেনসাবগ্ন্যাশুনমারতাম্ ॥১৬৷৷ অঘোরচক্ষুরপতিঘী স্যোনা শগ্ম সুশেবা সুমা গৃহেভ্যঃ। বীরসুৰ্দেবৃকামা সং ত্বয়ৈধিষীমহি সুমনস্যমানা ॥১৭ অদেবৃগ্নপতিঘীহৈধি শিবা পশুভ্যঃ সুষমা সুবৰ্চাঃ। প্রজাবতী বীরসূর্দেৰ্বকামা স্যানেমনগ্নিং গার্হপত্যং সপর্য ॥ ১৮৷৷ উত্তিষ্ঠেতঃ কিমিচ্ছন্তীদমাগা অহং জ্বেড়ে অভিভূঃ স্যাদ গৃহাৎ। শূন্যৈষী নিঋতে যাজগন্ধোত্তিষ্ঠারাতে প্র পতে মেহ রংস্থাঃ ॥১৯৷ যদা গার্হপত্যমসপর্যৈৎ পূর্বমগ্নিং বধূরিয়ম। অধা সরস্বত্যৈ নারি পিতৃভ্যশ্চ নমস্কুরু ॥ ২০। শৰ্ম বর্মৈতদা হরাস্যৈ নাৰ্যা উপস্তরে। সিনীবালি প্ৰ জায়ং ভগস্য সুমতাবসৎ ॥ ২১ যং বজং ন্যস্যথ চর্ম চোপণীথন। তদা রোহতু সুপ্রজা যা কন্যা বিন্দুতে পতিম্ ॥ ২২ ৷ উপ স্থণীহি বজমধি চর্মণি রোহিতে। তত্ৰোপবিশ্য সুপ্রজা ইমমগ্নিং সপর্যটু ॥ ২৩৷৷ আ রোহ চর্মোপ সীদাগ্নিমেষ দেবো হন্তি রক্ষাংসি সর্ব। ইহ প্রজাং জনয় পত্যে অম্মৈ সুজ্যৈষ্ঠ্যো ভবৎ পুত্রস্ত এষঃ ॥ ২৪৷৷ বি তিষ্ঠাং মাতুরস্যা উপস্থান্নানারূপাঃ পশবো জায়মানাঃ। সুমঙ্গলপ সীদেমমগ্নিং সম্পত্নী প্রতি ভূষেহ দেবান ॥ ২৫৷৷ সুমঙ্গলী প্রতরণী গৃহাণাং সুশেবা পত্যে শ্বশুরায় শম্ভু। স্যোনা শ্বশ্রৈ প্র গৃহান্ বিশেমা৷২৬৷৷ সোনা ভব শ্বশুরেভ্যঃ স্যোনা পত্যে গৃহেভ্যঃ। স্যোনাস্যৈ সর্বস্যৈ বিশে সোনা পুষ্টায়ৈষাং ভব৷ ২৭ সুমঙ্গলীরিয়ং বধূরিমাং সমেত পশ্যত। সৌভাগ্যমস্যৈ দত্তা দৌভাগ্যের্বিপরেতন ২৮৷ যা দুহার্দো যুবতয়ো যাশ্চেহ জতীরপি। বর্চো স্যৈ সং দত্তথাস্তং বিপরেতন ॥ ২৯ ৷ রুত্মপ্রতরণং বহ্যং বিশ্বা রূপাণি বিভ্রতম। আরোহৎ সূৰ্য্যা সাবিত্রী বৃহতে সৌভগায় কম্ ॥ ৩০৷৷ আ রোহ তল্পং সুমনস্যমানেহ প্রজাং জনয় পত্যে অম্মৈ। ইন্দ্রাণীব সুবুধা বুধ্যমানা জ্যোতিরিগ্রা উষসঃ প্রতিঃ জাগরাসি ॥ ৩১। দেবা অগ্রে ন্যপদ্যন্ত পত্নীঃ সমস্পৃশন্ত তন্ব স্তনুভিঃ। সূর্যের্ব নারি বিশ্বরূপা মহিত্বা প্রজাবতী পত্যা সং ভবেহ ॥ ৩২। উত্তিষ্ঠেতো বিশ্বাবসসা নমসেড়ামহে ত্বা। জামিমিচ্ছ পিতৃষদং ন্যক্তাং স তে ভাগগা জনুষ তস্য বিদ্ধি ॥ ৩৩৷৷ অপ্সরসঃ সধমাদং মদন্তি হবির্ধানমন্তরা সূর্যং চ। তাস্তে জনিত্ৰমভি তাঃ পরেহি নমস্তে গন্ধর্বর্তৃনা কৃণোমি ॥ ৩৪৷৷ নমো গন্ধর্ব্য নমসে নমো ভামায় চক্ষুষে চ কৃন্মঃ। বিশ্বাবসসা ব্ৰহ্মণা তে নমোভি জায়া অঙ্গরসঃ পরেহি ॥ ৩৫৷৷ রায়া বয়ং সুমনসঃ স্যামোদিতো গন্ধর্মবীবৃতাম। অগৎস দেবঃ পরমং সধস্থমগন্ম যত্র প্রতিরন্ত আয়ুঃ ॥ ৩৬৷৷ সং পিতরাবৃত্বিয়ে সৃজেথাং মাতা পিতা চ রেতসো ভবাথঃ। মর্ষ ইব যোষামধিরোহয়ৈনাং প্রজাং কৃথ্যাথামিহ পুষ্যতং রয়িম্ ৷৷ ৩৭৷ তাং পূষং ছিবতমামেরয়স্ব যস্যাং বীজং মনুষ্যা বপন্তি। যা ন ঊরূ উশতী বিশ্রয়াতি যস্যামুশন্তঃ প্রহরেম শেপঃ ৷৷ ৩৮৷৷ আ রোহোরুমুপ ধৎস্ব হস্তং পরি স্বজস্ব জায়াং সুমনস্যমানঃ। প্রজাং কৃথ্যাথামিহ মোদমানৌ দীর্ঘং বামায়ুঃ সবিতা কৃপোতু ॥৩৯৷ আ বাং প্রজাং জনয়তু প্রজাপতিরহোরাত্ৰাভ্যাং সমনমা। অদুমঙ্গলী পতিলোক বিশেমং শং নো ভব দ্বিপদে শং চতুষ্পদে ৷৷ ৪০ দেবৈদত্তং মনুনা সাকমেত বাধূয়ং বাসো বধ্বশ্চ বস্ত্র। যো ব্ৰহ্মণে চিকিতুষে দদাতি স ইদ রক্ষাংসি তল্পানি হন্তি ॥ ৪১৷ যং মে দত্তো ব্রহ্মভাগং বধূয়োর্বাধূয়ং বাসো বধ্বশ্চ বস্ত্রম। যুবং ব্ৰহ্মণেনুমন্যমানৌ বৃহম্পতে সাকমিশ্চ দত্তম্‌ ॥ ৪২। স্যোনাদ্যোনেরধি বুধ্যমানৌ হসামুদৌ মহসা মোদমানো। সুগ্ম সুপুত্রৌ সুগৃহৌ তরাথো জীবাবুষসসা বিভাতীঃ ॥ ৪৩ নবং বসানঃ সুরভিঃ সুবাসা উদাগাং জীব উষসসা বিভাতীঃ। আন্ডাৎ পতত্রীবামুক্ষি বিশ্বাম্মাদেনসম্পরি॥ ৪৪ শুম্ভনী দ্যাবাপৃথিবী অন্তিসুম্নে মহিব্রতে। আপঃ সপ্ত সুষুবুর্দেবীস্তা নো মুঞ্চংহসঃ ॥ ৪৫ ৷৷ সূর্যায়ে দেবেভ্যো মিত্রায় বরুণায় চ। যে ভূতস্য প্রচেতসস্তেভ্য ইদমকরং নমঃ ॥ ৪৬। য ঋতে চিদভিশিষঃ পুরা জঞভ্য আতৃদঃ। সন্ধাতা সন্ধিং মঘবা পুরূবসূর্নিষ্কর্তা বিহূতং পুনঃ ॥ ৪৭৷৷ অপাস্মাৎ তম উচ্ছতু নীলং পিশঙ্গমুত লোহিতং যৎ। নির্দহনী যা পৃষাতক্যস্মিন্ তাং স্থাণাধ্যা সজামি ৷৷ ৪৮ যাবতীঃ কৃত্যা উপবাসনে যাবন্তো রাজ্ঞো বরুণস্য পাশাঃ। বদ্ধয়ো যা অসমৃদ্ধয়ে যো অস্মিন্ তা স্থাণাবধি সাদয়ামি ॥ ৪৯৷৷ যা মে প্রিয়তমা তনুঃ সা মে বিভায় বাসসঃ। তস্যাগ্রে ত্বং বনস্পতে নীবিং কৃণুম্ব মা বয় রিষাম॥ ৫০৷৷ যে অন্তা যাবতীঃ সিচো য ওতবো যে চ তন্তবঃ। বাসো যৎ পত্নীভিরুতং তন্নঃ স্যোনমুপ স্পশাৎ ॥ ৫১৷৷ উশতীঃ কন্যলা ইমাঃ পিতৃলোকাৎ পতিং যতীঃ। অব দীক্ষামস্ক্ষত স্বাহা ॥৫২৷৷ বৃহস্পতিনাবসৃষ্টাং বিশ্বে দেবা অধারয়। বৰ্চো গোষু প্রবিষ্টং যৎ তেনেমাং সং সৃজামসি৷ ৫৩৷৷ বৃহস্পতিনাবসৃষ্টাং বিশ্বে দেবা অধারয়। তেজো গোষু প্রবিষ্টং যৎ তেনেমাং সং সৃজামসি ॥৫৪৷ বৃহস্পতিনাবসৃষ্টাং বিশ্বে দেবা অধারয়। ভগো গোষু প্রবিষ্টা যস্তেনেমাং সং সৃজামসি ॥ ৫৫৷৷ বৃহস্পতিনাবসৃষ্টাং বিশ্বে দেবা অধারয়। যশো গোষু প্রবিষ্টং যৎ তেনেমাং সং সৃজামসি ॥ ৫৬৷৷ বৃহস্পতিনাবসৃষ্টাং বিশ্বে দেবা অধারয়। পয়ো গোষু প্রবিষ্টং যৎ তেনেমাং সং সৃজামসি ৫৭ ৷৷ বৃহস্পতিনাবসৃষ্টাং বিশ্বে দেবা অধারয়। রসো গোষু প্রবিষ্টা যস্তেনেমাং সং সৃজানসি॥ ৫৮ ৷৷ যদীমে কেশিনো জনা গৃহে তে সমনৰ্তিষু রোদেন কৃন্তোহঘ। অগ্নিষ্ঠা তম্মদেনসঃ সবিতা চ প্র মুঞ্চতাম্ ॥ ৫৯। যদীয়ং দুহিতা নব বিকেশ্যরুদদ গৃহে রোদেন কৃথ্বত্যঘ। অগ্নিষ্টা তম্মদেনসঃ সবিতা চ প্র মুঞ্চতাম্ ॥ ৬০৷ যজ্জাময়ো যদ্বতয়ো গৃহে তে সমনৰ্তিষু রোদেন কৃন্বতীরঘ। অগ্নিষ্টা তম্মদেনসঃ সবিতা চ প্র মুঞ্চতা ॥ ৬১। যৎ তে প্রজায়াং পশুষু যদ্বা গৃহেযু নিষ্ঠিতমঘকৃদ্ভিরঘং কৃতম্। অগ্নিা তম্মদেনসঃ সবিতা চ প্র মুঞ্চতা ॥ ৬২৷৷ ইয়ং নার্যপ ফ্রতে পূল্যান্যাপন্তিকা। দীর্ঘায়ুরস্তু মে পতিজীবাতি শরদঃ শতম্ ॥ ৬৩ ৷৷ ইহেমাবিন্দ সং নুদ চক্ৰবাকেব দম্পতী। প্রজয়ৈনৌ স্বস্তকৌ বিশ্বমায়ুৰ্য্যতাম্ ॥ ৬৪৷ যদাস্যামুপধানে যদ বোপবাসনে কৃতম্। বিবাহে কৃত্যাং যাং চরানে তাং নি দসি ॥ ৬৫৷৷ যদ দুষ্কৃতং যচ্ছমলং বিবাহে বহতৌ চ যৎ। তৎ সম্ভলস্য কম্বলে মৃত্মহে দুরিতং বয়ম্ ॥ ৬৬৷৷ সম্ভলে মলং সাদয়িত্ব কম্বলে দুরিতং বয়ম্। অভূম যজ্ঞিয়াঃ শুদ্ধাঃ প্ৰণ আয়ুংসি তারিষৎ ৬৭ ৷৷ কৃত্রিমঃ কন্টকঃ শতদন্ য এষঃ। অপাস্যাঃ কেশ্যং মলমপ শীর্ষণ্যং লিখাৎ॥ ৬৮ অঙ্গাঙ্গা বয়মস্যা অপ যক্ষ্মং নি দসি। তন্মা প্রাপৎ পৃথিবীং মোত দেবান দিবং মা প্ৰাপদুর্বন্তরিক্ষম। অপো মা প্রাপন্মলমেতদগ্নে যমং মা প্রাপৎ পিতৃংশ্চ সর্বান্ ॥ ৬৯৷ : সং ত্বা নহ্যামি পয়সা পৃথিব্যাঃ সং ত্বা নহ্যামি পয়সৌষধীনাম। সং ত্বা নহ্যামি প্রজয়া ধনেন সা সন্নদ্ধা সনুহি বাজমেমম্ ৷৷ ৭০। অমোহহমস্মি সা ত্বং সামাহমঘৃং দৌরহং পৃথিবী ত্ব। তাবিহ সং ভবাব প্রজামা জনয়াবহৈ ৭১। জনিযন্তি নাবগ্রবঃ পুত্রিযন্তি সুদানবঃ। অরিষ্টাসূ সচেবহি বৃহতে বাজসাতয়ে ॥৭২। যে পিতরো বধূদর্শা ইমং বহমাগম। তে অস্যৈ বধ্বৈ সম্পত্নৈ প্রজাবচ্ছর্ম যচ্ছন্তু ॥ ৭৩৷৷ যেদং পূর্বাগন্ রশনায়মানা প্রজামস্যৈ দ্রবিণং চেহ দত্ত্বা। তাং বহগতস্যানু পন্থাং বিরাডিয়ং সুপ্রজা অত্যজৈষীৎ ॥৭৪৷৷ প্র বুধ্যস্ব সুবুধা বধ্যমানা দীর্ঘায়ুত্বায় শতশারদায়। গৃহান্ গচ্ছ গৃহপত্নী যথাসো দীর্ঘং ত আয়ুঃ সবিতা কৃপোতু ॥ ৭৫

বঙ্গানুবাদ –হে অগ্নি! প্রথমে যৌতুকের সাথে তোমার নিমিত্ত সূর্যাকে আনয়ন করেছিলাম, তুমি আমাদের সন্তানবতী পত্নী প্রদান করো। অগ্নি আয়ু ও তেজের সাথে আমাদের পত্নী প্রদান করেছেন। এর পতিও দীর্ঘজীবী হোক।… হে পত্নী! তুমি প্রথমে সোমের, পুনরায় গন্ধর্বের এবং পুনরায় অগ্নির পত্নী হয়েছে। অগ্নির দ্বারা তুমি আমাকে প্রদত্তা হয়েছে। অশ্বিদ্বয়ের হৃদয়ে যা কিছু অভীষ্ট আছে, তা সবই আমরা পতি-পত্নী প্রাপ্ত হয়েছি।…হে বধূ! ঔষধি, নদী, ক্ষেত্র, বনানী তোমার ও তোমার পতিকে রক্ষা করুক, তোমাকে সন্তানশালিনী করে তুলুক। আমরা এমন সুখময় ধনদ পথে চলবো, যেখানে বীরগণের হানি ঘটে না। গন্ধর্ব ও অপ্সরাবর্গ এই পথকে সুখদ করুন এবং যৌতুকে প্রাপ্ত ধনকে যেন নষ্ট না করেন।…এই দুর্গম পথকেও সুগমতার দ্বারা উত্তীর্ণ করুক এবং আমাদের শত্রু দুর্গতিগ্রস্ত হোক। সবিতাদেব যৌতুকের সামগ্রীকে সুখদায়ক করুন। এই কল্যাণী স্ত্রী ধাতার দ্বারা নির্মিত পতিগৃহকে লাভ করেছে। এই বধূকে অশ্বিদ্বয়, অর্যমা, ভগ ও প্রজাপতি সন্তানের দ্বারা প্রবৃদ্ধ করুন।..হে পুরুষ (পতি)! তুমি এই উর্বরা নারীতে বীজ বপন করো। ঋষভের সমান তোমার বীর্যকে ধারণ পূর্বক এই যোনি সন্তান উৎপন্ন করুক। হে সরস্বতী! তুমি বিরাট; তুমি প্রতিষ্ঠিত হও। হে সিনীবালী! তুমি ভগদেবতার অনুকূলা হয়ে সন্তানোৎপত্তি করো। হে বধূ! তুমি স্নিগ্ধ দৃষ্টি রক্ষা করে পতিকে অক্ষীণ করো। তুমি বীর পুত্র উৎপন্ন করে সকলকে সুখী করো। তুমি পতি ও দেবরের অনিকারিকা, পশুবর্গের হিতসাধিকা, প্রজাবতী, শোভন কান্তিশালিনী ও সুখী হয়ে অগ্নির পূজন করো। হে নির্ঋতি! তুমি অন্যত্র গমন করো।…হে স্ত্রী! তুমি এই রোহিত মৃগের চর্মের উপরে আগ্নি দেবতার সমীপে উপবেশন করো এবং দেবতাগণকে সুশোভিত করো। তুমি পতি-শ্বশুর-শ্বকে সুখী করে গৃহপ্রবেশ করো।…এই মনভাবন সুন্দর পর্যঙ্কের উপর সূর‍্যা আরোহণ করেছিলেন, তুমিও প্রসন্নতাপূর্বক এই পালঙ্কের উপর আরোহন করো, পতির নিমিত্ত সন্তানোৎপত্তি করো, সমান মনোভাবাপন্ন হয়ে অবস্থান করো, নিত্য উষাকালে জাগরিতা হও….হে বিশ্বাবসু! তুমি হবির্ধানের স্থানে ও অপ্সরাগণের হর্ষিত হওয়ার স্থানে গমন করো।…গন্ধর্বের ক্রোধময় নেত্রকে নমস্কার।…হে পতি-পত্নী। তোমরা দুজন পিতা মাতা হওয়ার উদ্দেশে ঋতুকালে মিলিত হও। মানবোচিত বিধিতে আরোহণ করো এবং সন্তানোৎপত্তি করো। হে পূষা! যাতে বীজবপন হয়, তেমন করো..হে পতি! তুমি জায়াকে স্পর্শ করো। প্রসন্নতার সাথে তোমরা দুজনে প্রজা-উৎপত্তির কর্ম করো। সবিতা তোমাদের আয়ু-বৃদ্ধি করুন, অর্যমা দিবা ও রাত্রির মিলনের সমান তোমাদের মিলিত করুন, প্রজাপতি প্রজা-উৎপত্তি করুন।…(বর-বধূর প্রার্থনা)–আমরা দুজন হাস্য-প্রসন্নতা ও সুখবোধ প্রাপ্ত হয়ে পুত্র ইত্যাদির দ্বারা সম্পন্ন হবে এবং বহু উষা উত্তীর্ণ করতে থাকবো। আমরা অণ্ড হতে মুক্ত পক্ষীর ন্যায় সকল পাপ হতে মুক্ত হবো। ভস্মরণশালিনী কৃত্যাসমূহ, বরুণপাশ এবং অসমৃদ্ধিসমূহ স্থবির হয়ে যাক। বনস্পতি দেবতার কৃপায় আমাদের সুখপ্রদ বস্ত্রে সজ্জিত দেহ দীপ্যমান হয়ে থাকুক।…(ঋত্বিকের বক্তব্য)-পিতৃগৃহ হতে পতিগৃহে গমনকারিণী এই কন্যা অনেক কামনা নিয়ে গমন করছে।… লাজ-সমূহকে আহুতি দিয়ে এই বধূ পতির শতায়ুষ্য কামনা করছে। ইন্দ্রের কৃপায় এই পতি-পত্নীর প্রীতি চক্রবাকমিথুনের সমান হোক।…বিবাহকালে যৌতুক-গ্রহণ জনিত যে দোষ ঘটেছে, তা আমরা কম্বলে স্থাপিত করছি। কম্বলে পাপরাশি স্থিত করে এই যজ্ঞীয় পুরুষ শুদ্ধ হয়ে গিয়েছে, দেবগণ একে পূর্ণায়ু করুন। এই কৃত্রিম রূপে নির্মিত শত শত দন্তশালী কন্থা, এর শীর্ষস্থান পর্যন্ত পৌঁছিয়ে এর মস্তকের এবং অঙ্গে অঙ্গে পুঞ্জীভূত মলরাশিকে দূর করুক। এর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হতে সংহারক ও দোষরাশি দূরীভূত করছি। এই দোষ-সমূহ আমাকে, অন্তরিক্ষকে, আকাশকে, পৃথিবীকে, দেবগণকে, পিতৃগণকে এবং যমকে যেন না স্পর্শ করে। হে জায়া! পৃথিবীর দুগ্ধসমতুল্য সারতত্বের দ্বারা এবং ঔষধি সমূহের সারতত্বের দ্বারা আমি তোমাকে সংযুক্ত করছি। তুমি প্রজা ও ধনে সমৃদ্ধ হয়ে ধনপ্রদায়িনী হও।…(বরের উক্তি)–হে জায়া! তুমি ঋক্‌–আমি সাম, তুমি পৃথিবী–আমি আকাশ, আমি বিষ্ণু–তুমি লক্ষ্মী। আমরা দুজনে একসাথে অবস্থান পূর্বক সন্তানোৎপত্তি করবো। আমরা মঙ্গলময় দানে দাতা পুত্রকে লাভ করবো। আমরা বিপুল অন্নপ্রাপ্তির নিমিত্ত সংযুক্ত থেকে সকল প্রাণীর দ্বারা অহিংসতি থাকবো।…হে সুবুদ্ধি! জাগ্রত হওয়ার পর শত বর্ষের আয়ু প্রাপ্ত করণের নিমিত্ত জাগ্রত হও। সবিতাদেব তোমাকে দীর্ঘ জীবন প্রদান করুন। তুমি গৃহপত্নীর যোগ্যা রূপে গৃহে গমন করো।

টীকা –পূর্ব সূক্তে উল্লেখিত সূক্তস্য বিনিয়োগঃ অনুসারে এই সূক্তটিও বিবাহ-সম্পর্কিত। এই স্থানেও বিবাহ-প্রকরণ বর্ণিত হয়েছে। সূর্যদুহিতা সূর্যার বিবাহকে উপলক্ষ করে এই সূক্তেও লোকসমাজে প্রচলিত সাধারণ বিবাহের রীতি বর্ণিত হয়েছে। পূর্ব সূক্তটি যেমন কন্যার পিতৃগৃহ সম্পর্কিত, এই সূক্তটি তেমনই বধূর পতিগৃহ সম্পর্কিত। যেমন,-বরের গৃহে বধূ-আনয়ন, বধূ ও বরের যানারোহণ, গে বরকর্তার গমন, দক্ষিণ পদের দ্বারা প্রথম গমনারম্ভ, বধূবস্ত্রের দশাখণ্ড চতুষ্পথে ক্ষেপণ পূর্বক তার উপর দণ্ডায়মান হয়ে প্রায়শ্চিত্ত, মহাবৃক্ষ দর্শন পূর্বক জপ করণ, শ্মশান দর্শনে জপ করণ, সুপ্ত বন্ধুকে প্রবোধন, কু-দৃষ্টিসম্পন্না স্ত্রীগণের আগমনে মন্ত্রজপ, গৃহাগত যানের বলীবর্দয়ের বিমোচন, গৃহের দক্ষিণ পার্শ্বে গোময় পিণ্ডের উপরে প্রস্তর স্থাপন, তদুপরি পলাশের মধ্যমপত্র গ্রহণ পূর্বক ঘৃত ও ঘৃতের উপর চারটি দূর্বার অগ্রভাগ স্থাপন ও তদুপরি বধূকে স্থাপন, বধূর বরগৃহে প্রবেশ-~-পূৰ্ণপাত্রে কম্ভফল ও আতপ তাল সহ বধূসঙ্গে বরেরও প্রবেশ, অগ্নি প্রজ্বালন পূর্বক উভয়ে উভয়ের হস্ত গ্রহণ পূর্বক পরিণয়, আগ্নি-সরস্বতী-পিতৃ-সূর্য-মিত্র-বরুণের উদ্দেশে নমস্কার জ্ঞাপনের অনুমন্ত্রণ, রোহিতচর্ম আহরণ ও তার উপরে বধূর উপবেশন ইত্যাদি এবং তারপর চতুর্থিকা কর্মের যাবতীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এগুলির মধ্যে অনেকগুলি প্রথম সূক্তে কথিত হয়েছে; যেমন, আচার্যের দ্বারা বরবধূকে অক্ষত বস্ত্র পরিধান করানো, বধূসীমন্তে শষ্প-ব্রীহি-যুব সমর্পণ ইত্যাদি ॥ (১৪কা, ২অ. ১সূ.)।

[ইতি চতুর্দশং কাণ্ডং সমাপ্ত]

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *