ক্যাপিটল-এর দেবী ভিনাস-এর উপকথা

ক্যাপিটল-এর দেবী ভিনাস-এর উপকথা
Legend the Capitoline Venus

অধ্যায় ০১.
 [স্থান: রোমের জনৈক শিল্পীর স্টুডি ও]

ওঃ জর্জ, আমি তোমাকে ভালবাসি।

তোমার হৃদয়কে ধন্যবাদ মেরি, সে কথা আমি জানি-কিন্তু তোমার বাবার এমন কঠিন-হৃদয় কেন?

জর্জ, তিনি আমাদের ভালই চান, কিন্তু তাঁর কাছে আট হল বোকামি-তিনি শুধু বোঝেন তেল-নুন-লড়ি। তিনি মনে করেন, তুমি আমাকে না খাইয়ে রাখবে।

তাঁর জ্ঞানকে ভুল বুঝো না-এতে প্রেরণায় ইঙ্গিত রয়েছে। ঈশ্বরদত্ত প্রতিভার অধিকারী ভাস্কর হয়ে না খেয়ে থাকার চাইতে কেন আমি অর্থবান হৃদয়হীন মুদি হলাম না?

প্রিয় জর্জ, হতাশ হয়ো না-যে মুহূর্তে তুমি পঞ্চাশ হাজার ডলার জমাতে পারবে তখনই তাঁর সব বাধা হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে।

পঞ্চাশ হাজার দানব! বাছারে, আমার যে ঘর-ভাড়াই লাকি পড়েছে!

.

অধ্যায় ০২
[স্থান: রোমের একটি বাড়ি]

মাই ডিয়ার স্যার, বাজে কথা বলে লাভ নেই। তোমার বিরুদ্ধে আমার কিছু বলার নেই, কিন্তু ভালবাসা, আর্ট ও অনাহারের একটা ঘণ্টর সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে দিতে পারি না-আমার বিশ্বাস এর বাইরে আর কিছু তোমার দেবার নেই।

স্যার, আপনার কথা আমি মানছি যে আমি গরিব। কিন্তু খ্যাতি কি কিছুই নয়? আর্কাস-এর মাননীয় বেল্লামি ফুডুল বলেন যে আমেরিকার যে নতুন মূর্তি আমি তৈরি করেছি সেটি ভাস্কর্যের এক অপূর্ব নিদর্শন; তিনি বিশ্বাস করেন যে একদিন আমার নাম বিখ্যাত হবেই!

ধ্যেৎ! আর্কানসাস-এর সেই গাধাটা এ সবের কি বোঝে? খ্যাতি কিছুই নয়-শ্বেত পাথরের যে কাকতাড়ুয়া তুমি বানিয়েছ তার। বাজারদরটাই হল আসল কথা। ওটা বানাতে তোমার ছমাস সময় লেগেছে, আর একশ ডলারেও তুমি ওটা বেচতে পারবে না। না স্যার-আমাকে পঞ্চাশ হাজার ডলার দেখাও, তবেই আমার মেয়েকে পেতে পার-নইলে সে বিয়ে করবে যুবক সিপারকে। টাকাটা তুলতে তোমাকে ছমাস সময় দিলাম। গুড মণিং স্যার।

হায়! কী দুঃখ আমার!

.

অধ্যায় ০৩
 [স্থান: স্টুডিও]

হায় জন, তুমি আমার ছেলেবেলার বন্ধু আমি সব চাইতে দুঃখী মানুষ।

তুমি একটি বোকা।

আমেরিকার এই প্রতিমূর্তিটি ছাড়া আমার ভালবাসার বস্তু আর কিছুই নেই-আর দেখ, সেই আমেরিকার শ্বেতপাথরের অকরুণ মুখেও আমার প্রতি কোন সহানুভূতি নেই-সে মুখ কত সুন্দর, অথচ কী হৃদয়হীন!

তুমি একটি পুতুল!

ওঃ জন!

তুমি একটি অকর্মণ্য! তুমি বলেছিলে না টাকাটা তুলবার জন্য ছমাস সময় পেয়েছ?

আমার এই দুঃখে আমাকে উপহাস করো না জন। ছশ বছর সময় পেলেই বা কি লাভ হত? আমার নাম নেই, টাকা নেই, মুরুব্বি নেই, সময় দিয়ে আমি কি করব?

ইডিয়ট! কাপুরুষ! খোকা! টাকাটা তুলতে ছ মাস সময় পেয়েছিলে অথচ পাঁচ মাসেই হত!

তুমি কি পাগল হলে?

ছ মাস-যথেষ্ট। আমার উপর ছেড়ে দাও। আমি তুলে দেব।

তুমি কি বলছ জন? এত মোটা টাকা তুমি কেমন করে তুলবে?

তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে সে ব্যাপারটা আমার হাতে ছেড়ে দেবে কি? আমি যা করব তাই মেনে নেবে-এই মর্মে আমাকে কথা দেবে কি? প্রতিজ্ঞা করবে কি যে আমার কাজে কোন দোষ ধরবে না?

আমার মাথা ঘুরছে-বুদ্ধিশুদ্ধি লোপ পাচ্ছে-কিন্তু আমি প্রতিজ্ঞা করছি।

জন একটা হাতুড়ি নিয়ে ইচ্ছা করে আমেরিকা-র নাকটা ভেঙে দিল! আরও একটা আঘাতে তার দুটো আঙুল ভেঙে মেঝেতে পড়ল-আর একটা আগাত, কানের খানিকটা ভেঙে পড়ল-আর একটা, পায়ের একসার আঙুল বিকৃত, বিধ্বস্ত হয়ে গেল আর একটা, হাঁটুর নীচ থেকে বাঁ পা-টা একটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হল।

জন টুপিটা মাথায় দিয়ে বেরিয়ে গেল।

জর্জ তার সম্মুখস্থ ভগ্ন, বিকৃত দুঃস্বপ্নের দিকে কিছুক্ষণ বাক্যহারা হয়ে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল, আর তারপরেই মাটিতে পড়ে ছট ফট করতে লাগল।

ইতিমধ্যে জন একখানা গাড়ি নিয়ে ফিরে এল, ভগ্ন-হৃদয় শিল্পী ও ভগ্ন-পদ মূর্তিটাকে গাড়িতে তুলল, তারপর শান্তভাবে আস্তে শিস দিতে দিতে গাড়ি চালিয়ে দিল। শিল্পীকে তার বাসায় নামিয়ে দিয়ে সে মূর্তিটাকে নিয়ে তারা বুইরিনালিস বরাবর গাড়িকে হাঁকিয়ে দিল।

.

অধ্যায় ৪
[স্থান: স্টুডিও]

আজ বেলা দুটোয় ছমাস শেষ হবে! হায়, কী যন্ত্রণা! আমার জীবনের সব আলো নিভে গেছে। এর চাইতে আমার মৃত্যুও যে ছিল ভাল। কাল কিছু খাই নি। আজও প্রাতরাশ খাই নি। কোন খাবার ঘরে ঢুকবার সাহস পর্যন্ত হয় নি। আর ক্ষুধা?–সে কথা বলো না। মুচি তাগাদা দিয়ে মেরে ফেলছে-দর্জি তাগাদা দিচ্ছে-বাড়িওলা আমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমার অবস্থা শোচনীয়। সেই ভয়ংকর দিনের পর থেকে আর জনের দেখা নেই। বড় রাস্তায় যখন প্রিয়তমার সঙ্গে দেখা হয়ে যায়, সে মিষ্টি করে হাসে, কিন্তু পাথরের মত কঠিন-হৃদয় বুড়ো বাপের হুকুমে তাকে সঙ্গে সঙ্গে চোখ ফিরিয়ে নিতে হয়। দরজায় আবার কে ধাক্কা দিচ্ছে? কে আমাকে কষ্ট দিতে এসেছে? নিশ্চয় সেই মুচি শয়তান। ভিতরে এস!

আহা, মাননীয় মহাশয় সুখে থাকুন-ভগবান আপনার উপর প্রসন্ন হোন! প্রভুর জন্য নতুন একজোড়া জুতো এনেছি-আহা, দামের কথা। বলবেন না, তাড়াহুড়ার কিছু নেই, মোটেই নেই। মহান প্রভু যদি আমার কাছ থেকেই সব সওদাপত্র করেন তাহলে গর্ববোধ করব-আহা, বিদায়!

স্বয়ং জুতো বয়ে এনেছে টাকাও চায় না! নমস্কার জানিয়ে বিদায় নিল, আর মহামান্য বলে সম্মান করে গেল! আমাকে খদ্দের রাখতে কী আকুতি! পৃথিবীর শেষ দিন কি ঘনিয়ে এল? আর তাও কি না-ভিতরে আসুন!

ক্ষমা করবেন সিনর, আপনার জন্য এক প্রস্থ নতুন পোশাক এনেছি-

ভিতরে আসুন!!

বিনা অনুমতিতে প্রবেশের জন্য পূজ্যপাদের কাছে হাজার বার ক্ষমা চাইছি। কিন্তু নীচে আপনার জন্য সুন্দর একটি বাসা-বাড়ি বানিয়েছি-এই বাজে খুপরি আপনার উপযুক্ত নয়-

ভিতরে আসুন!!

বাছা আমার, এ মেয়ে তোমারই! মুহূর্তের মধ্যেই সে এখানে হাজির হবে। তাকে তুমি গ্রহণ কর-বিয়ে কর-ভালবাস-সুখী হও!-ঈশ্বর তোমাদের দুজনকে আশীর্বাদ করুন! হিপ, হিপ, হুর-

ভিতরে আসুন!!

ওঃ জর্জ, প্রিয় আমার, আমরা বেঁচে গেছি-কিন্তু দিব্যি করে বলছি, কেন আর কি ভাবে এটা ঘটল আমি জানি না!

.

অধ্যায় ০৫
[স্থান: একটি রোম্যান কাফে ]

একদল মার্কিন ভদ্রলোক ই স্ল্যাঙ্গহোয়াঙ্গার ডাই রোমা সংবাদপত্রের সাপ্তাহিক সংস্করণ থেকে নিম্নলিখিত অংশটি পড়ছিল ও অনুবাদ করছিল:

আশ্চর্য আবিষ্কার!-ছমাস আগে বেশ কয়েক বছর যাবৎ রোমের বাসিন্দা সিনর জন স্মিথ নামক জনৈক মার্কিন ভদ্রলোক রাজকুমারী বর্ধিস-এর কোন দেউলিয়া আত্মীয়ের কাছ থেকে সিপিও পরিবারের সমাধির ঠিক ওপারে কাম্পানা অঞ্চলের একখণ্ড ছোট জমি খুব অল্প দামে ক্রয় করেছিলেন। পরে মিঃ স্মিথ সরকারী মহাফেজখানার ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীর কাছে গিয়ে সেই জমিখণ্ড জর্জ আর্নল্ড নামক। একজন গরিব মার্কিন শিল্পীর নামে হস্তান্তর করে দিয়ে বলেন যে, দীর্ঘকাল আগে সিনর আর্নল্ড–এর সম্পত্তির ব্যাপারে আকস্মিকভাবে তার যে আর্থিক ক্ষতি তিনি করেছিলেন তারই ক্ষতিপূরণ স্বরূপ স্বেচ্ছায় তিনি এ কাজ করছেন এবং আরও বলেন যে, নিজের দায়িত্বে ও ব্যয়ে তিনি সিনর-এর হয়ে ঐ জমিন প্রয়োজনীয় উন্নতিসাধনও করে দেবেন। চার সপ্তাহ আগে সেই জমিতে প্রয়োজনীয় খোঁড়াখুঁড়ি চালাবার সময় সিনর স্মিথ মাটির নীচ থেকে এমন একটি উল্লেখযোগ্য প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার করেছেন যেমনটি রোমের প্রাচুর্যপূর্ণ শিল্পভাণ্ডারে এর আগে কখনও যুক্ত হয় নি। অপূর্ব সেই নারীমূর্তির গায়ে যদিও অনেক ধূলোবালি লেগেছে, যদিও তাতে কালের ছোপ পড়েছে, তথাপি সেই মনোমুগ্ধকর নারী-মূর্তির দিকে একবার তাকালে আর চোখ ফেরানো যায় না। মুর্তিটির নাক, হাঁটুর নীচ থেকে বাঁ পা-টা, একটা কান, ডান পায়ের আঙুল ও এক হাতের দুটো আঙুল হারিয়ে গেছে; তা সত্ত্বেও মূর্তিটি উল্লেখযোগ্য ভাল অবস্থায় আছে। সরকার পক্ষ থেকে সঙ্গে সঙ্গে মুর্তিটির সামরিক দখল নেওয়া হয়েছে, শিল্প-সমালোচক, পুরাতত্ত্ববিদ, ও গির্জার কর্তৃপক্ষদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে; তারাই এই মূর্তিটির মূল্য নিরূপণ করবেন এবং যে জমিতে এটি পাওয়া গেছে তার মালিককে কত পারিশ্রমিক দিতে হবে সেটাও স্থির করবেন। গতকাল রাত পর্যন্ত ব্যাপারটাকে একান্ত গোপন রাখা হয়েছিল। ইতিমধ্যে রুদ্ধদ্বার কক্ষে কমিশনের বৈঠক বসেছে। আলোচনা হয়েছে। গত রাতে তারা সর্বসম্মতিক্রমে স্থির করেছেন যে মূর্তিটি ভিনাস-এর এবং খৃস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর কোন অজ্ঞাত কিন্তু মহৎ প্রতিভাধর শিল্পীর সৃষ্টি। তারা মনে করেন, পৃথিবীর মানুষ যে সব শিল্পী-কর্মের খবর রাখে এটি তার মধ্যে সব চাইতে নিখুঁত শিল্প-সৃষ্টি।

মধ্যরাতে তারা আবার বৈঠকে বসে স্থির করেন যে এই ভিনাস-মূর্তিটির মূল্য এক কোটি ফুার মত মোটা অর্থ। রোমের আইন ও প্রথা। অনুসারে যেহেতু কানা অঞ্চলে প্রাপ্ত যে; কোন শিল্প-কর্মের অর্ধেক মালিক সরকার স্বয়ং, সুতরাং মিঃ আর্নল্ড–কে পঞ্চাশ লক্ষ ফু। দাম দিয়ে এই সুন্দর মূর্তিটির স্থায়ী দখল নেওয়া ছাড়া সরকারের আর কিছু করার নেই। আজ সকালে ভিনাস-এর মুর্তিটি কে ক্যাপিটল-এ স্থানান্তরিত করা হবে; সেটি এখানেই স্থায়ীভাবে থাকবে। আর দুপুর বেলা রাজকোষের উপর পরম পবিত্র পোপের নির্দেশক্রমে ঐ কমিশন সিনর আল্ড–এর সঙ্গে দেখা করে ঐ পঞ্চাশ লক্ষ $ স্বর্ণমুদ্রা তার হাতে তুলে দেবেন!

সকলের সমস্বরে: ভাগ্য! এরই নাম ভাগ্য!

অপর একটি কণ্ঠ সুর: ভদ্রমহোদয়গণ! আমি প্রস্তাব করছি, আসুন এই মুহূর্তে আমরা একটি মার্কিন জয়েন্ট স্টক কোম্পানি গঠন করি এবং ওয়াল স্ট্রীট–এর সঙ্গে যোগাযোগক্রমে এখানকার জমি উদ্ধারকৃত মূর্তিসমূহ ক্রয় করি।

সকলে-প্রস্তাব গৃহীত হল।

.

অধ্যায় ০৬
 [স্থান: রোমের ক্যাপিটল-দশ বছর পরে]

প্রিয়তমা মেরি, পৃথিবীর মধ্যে এটাই সবচাইতে বিখ্যাত মূর্তি। এই সেই বিখ্যাত ক্যাপিট লাইন ভিনাস যার কথা তুমি কত না শুনেছ। এখন অবশ্য মূর্তিটির ক্ষয়-ক্ষতি লি পুনরুদ্ধার (অর্থাৎ মেরামত) করেছে রোমের বিখ্যাত সব শিল্পীরা-আর এই মহৎ শিল্পকর্মের। কিছু কিছু সামান্য মেরামতি কাজ করেছে বলেই যতদিন পৃথিবী আছে ততদিন তাদের নাম ও বিখ্যাত হয়ে থাকবে। কী আশ্চর্য কথা-এই স্থান! সুখে অতিবাহিত দশটি বছর আগে যে দিন এখানে শেষ দাঁড়িয়েছিলাম সেদিন আমি ধনী ছিলাম না-পকেটে একট। সেন্ট ও ছিল। না। অথচ রোম যাতে পৃথিবীর এই শ্রেষ্ঠ পরাকৃর্তির অধিকারিণী হতে পারে, সেজন্য সেদিন আমার কত কিছুই না করার ছিল।

বহুজনপুজিত, বিখ্যাত ক্যাপিটালাইন ভিনাস-আর কী তার দাম! এক কোটি ফ্রাঁ!

হ্যাঁ-আজ তাই।

দেখ জর্জি, কী স্বর্গীয় সৌন্দর্য্যের সে প্রতিমূর্তি!

তাতো বটে ই-কিন্তু সেই মহাপুরুষ জন স্মিথ যেদিন মূর্তিটির পা ভেঙে ছিল ও নাক থ্যাঁতা করেছিল তার আগে যা ছিল তার তুলনায় ঐ তো কিছুই নয়। বুদ্ধিমান স্মিথ! প্রতিভাধর স্মিথ!-মহান স্মিথ! আমাদের সব সুখের সৃষ্টিকর্তা! শোন! ঐ শাই-শাঁই শব্দের অর্থ বোঝে কি? মেরি, ঐ বাচ্চাটার খুংড়ি কাশি হয়েছে। তুমি কি বাচ্চাদের যত্ন নিতে কোন দিন শিখবে না?

.

সমাপ্তি

রোমের ক্যাপিটাল-এ ক্যাপিটালাইন ভিনাস আজও আছে; আজও সে মূর্তি সর্বাপেক্ষা মনোরম ও বিখ্যাত শিল্প-সৃষ্টি হিসাবে সারা পৃথিবীর গর্বের বস্তু। কিন্তু ভাগ্যক্রমে যদি কখনও আপনি নিজে তার সামনে গিয়ে দাঁড়ান, আর তাকে নিয়ে যথারীতি আবেগবিহ্বল হয়ে ওঠেন, তাহলে এর উৎপত্তির সত্যিকারের গোপন ইতিহাস যেন আপনার সে আনন্দকে নষ্ট করে না দেয়-আর যখন পড়বেন যে নিউ ইয়র্ক রাজ্যের সিরাকিউ জ-এর নিকট, বা অন্য কোন জায়গার কাছে, একটি বিরাট শিলীভূত মনুষ্যমুর্তি মাটি খুঁড়ে বের করা হয়েছে, তাহলেও কথাটা গোপন রাখবেন-আর যে বার্নাম তাকে কবর দিয়েছিল সে যদি প্রচুর দাসে সেটা আপনার কাছে বিক্রি করতে চায়, তাহলে কিনবেন না। তাকে সোজা পোপের কাছে পাঠিয়ে দেবেন।

.

মন্তব্য: শিলীভূত দানব–এর বিখ্যাত জোচ্চুরি যে সময় যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল, এই রেখা-চিত্রটি সেই সময় লেখা হয়েছিল।

[১৮৬৯]

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *