২১. আঙ্গিক ও ভাষা (ধর্মসূত্র)

আঙ্গিক ও ভাষা (ধর্মসূত্র)

ধর্মসূত্র সাহিত্য প্রধানত গদ্যে রচিত হলেও কোনো কোনো গ্রন্থে কয়েকটি শ্লোকও বিক্ষিপ্তভাবে সন্নিবিষ্ট হয়েছে। ভাষা ধ্রুপদী সংস্কৃতের সমীপবর্তী; যদিও কিছু কিছু অধ্রুপদী বৈশিষ্ট্য তখনও পর্যন্ত রয়ে গেছে, তবু সামগ্রিকভাবে ভাষা বৈদিক অপেক্ষা ধ্রুপদী সংস্কৃতের অধিক নিকটবর্তী। সূত্রে ভাষা হল সংস্কৃত–যা প্রাচীন বৈদিক ভাষা বা ছান্দস ভাষা থেকে বহু দূরবতী হয়ে পড়েছে। গ্রন্থগুলি বিভিন্ন প্রশ্নে বিভক্ত, প্রশ্নগুলি প্রায়ই ‘অধ্যায়ে’ বিন্যস্ত এবং অধ্যায়ও কখনো কখনো ‘খণ্ডে’ বিভক্ত। অবশ্য কোনো ধরনের সম্পাদনা প্রক্রিয়ার নিদর্শন খুব সামান্যই পাওয়া যায়, কেননা বিভিন্ন অধ্যায় ও উপবিভাগগুলি সাধারণত নিবিচারে বিভক্ত করা হয়েছে, কোনো অন্তর্নিহিত আদর্শ অনুযায়ী হয় নি। সাধারণত ধর্মসূত্র একই গ্ৰন্থকার রচিত গৃহসূত্রের ধারাবাহিক রচনা; এর শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হল ‘বৈখানস ধর্ম প্রশ্ন’ যা বৈখানস রচিত গৃহ্যসূত্র ও ধর্মসূত্রের যথেচ্ছ সংমিশ্রণ। বৈদিক সাহিত্যের সঙ্গে ধর্মসূত্রের যোগসূত্র নিরতিশয় ক্ষীণ–শুধুমাত্র কয়েকটি আকস্মিক বৈদিক উদ্ধৃতির মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ।