1 of 2

১.১১ জাগ্ৰদবস্থায় সম্মোহিত পাত্রকে প্রকৃতিস্থ করণ

একাদশ পাঠ
জাগ্ৰদবস্থায় সম্মোহিত পাত্রকে প্রকৃতিস্থ করণ

যখন শিক্ষার্থী বুঝিতে পারিয়াছে যে, পাত্রের হাত, চক্ষু ইত্যাদি দৃঢ়রূপে জোড়া লাগিয়া বন্ধ হইয়া গিয়াছে এবং সে সাধ্যমত চেষ্টা করিয়াও উহাদিগকে খুলিতে পারিনা, তখন তাহাকে নিম্নোক্ত নিয়মে প্রকৃতিস্থ করিয়া দিবে। পাত্রের নাসিকা-মূলে স্থির ও প্রখর দৃষ্টি স্থাপন পূর্বক, উভয় হাত দ্বারা জোরে দুই-তিন বার করতালি দিবে এবং তৎসঙ্গে আদেশ সূচক স্বরে “সেরে গেছে—জাগ-জাগ-জেগে উঠ—জাগ” ইত্যাদি বলিলেই তাহার হাত, চক্ষু ইত্যাদি খুলিয়া যাইবে। যদি অত্যন্ত দৃঢ়রূপে বন্ধ হইয়া থাকে এবং ঐরূপ করিবার পর খুলিয়া না যায়, তাহা হইলে সে হাত দুইখানা ফাঁক করিবার নিমিত্ত, উভয় হাত দ্বারা জোরের সহিত হঠাৎ দুই-একবার টা দিবে এবং তৎসঙ্গে সেরে গেছে -সেরে গেছে-জাগ—জেগে উঠ” ইত্যাদি বলিবে। এই নিয়মে সে জাগ্ৰদবস্থায় মোহিত সকল পাত্রকেই প্রকৃতিস্থ করিতে সমর্থ হইবে। তথাপি যদি না যোলে, তবে তাহাকে হাত খুলিতে আর অধিক চেষ্টা করিতে নিষেধ করিয়া ৪৫ মিনিটের জন্য তাহাকে পরিত্যাগ করিবে। তৎপরে পুনরায় তাহার দিকে অত্যন্ত স্থির ও তীক্ষ দৃষ্টিতে তাকাইয়া একাগ্রতার সহিত আদেশ সূচক স্বরে “সেরে গেছে-সেরে গেছে জাগ—জাগ” ইত্যাদি বলিলেই সে নিশ্চয় প্রকৃতিস্থ হইবে।

জাগ্ৰদবস্থায় সম্মোহিত পাত্র অধিকক্ষণ সম্মোহন শক্তির আয়ত্তাধীন থাকেনা। সুতরাং কাৰ্যকারক তাহাকে প্রকৃতিস্থ করিতে না পারিলেও (যাহা কখনও হয় না) তাহার আশঙ্কার কোন কারণ নাই। যেহেতু উক্তবস্থা হইতে কিয়ৎক্ষণ পরে সে স্বতঃই প্রকৃতিস্থ হইয়া উঠে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *