১২. ডলি দত্ত বের হয়ে যাবার পর

ডলি দত্ত বের হয়ে যাবার পর চট্টরাজ কিরীটীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলেন– রায়সাহেব একবার আমার অফিসে আসতে পারেন?

কিরীটী বলল, সন্ধ্যার পর যাব।

ফোনের রিসিভারটা নামিয়ে রেখে কিরীটী তখুনি বেরুবার জন্যে প্রস্তুত হল। একবার সুশীল চক্রবর্তীর ওখানে যেতে হবে।

কৃষ্ণা জিজ্ঞাসা করল, বেরুচ্ছ নাকি?

-হ্যাঁ, একবার সুশীলের ওখানে যাব।

—যেতে হবে না দাদা, আমি এসে গিয়েছি–বলে হাসতে হাসতে সুশীল চক্রবর্তী ঘরের মধ্যে এসে ঢুকলেন।

—আরে এসো এসো সুশীল, তোমার কাছেই যাচ্ছিলাম।

—বৌদি, কফি—

কৃষ্ণা ঘর থেকে বের হয়ে গেল।

সুশীল বললেন, আপনার অনুমানই ঠিক দাদা, ওগুলো হাসিস সিগারেট–

—তোমাকে যে বলেছিলাম মালঞ্চর ঘরটা আর একবার ভাল করে সার্চ করতে?

–করেছি। কিন্তু ঘরটা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোন হাইপোডার্মিক সিরিঞ্জ বা পেথিডিন অ্যাম্পুল তো পেলাম না।

—হিসেব যে মিলছে না ভায়া। কিরীটী যেন একটু চিন্তিত।

—কি ভাবছেন দাদা! সুশীল চক্রবর্তী জিজ্ঞাসা করেন, কিসের কি হিসেব আবার মিলছে না?

–ভাবছি তাহলে পেথিডিন অ্যাম্পুল বা একটা হাইপোডার্মিক সিরিঞ্জ পাওয়া গেল কেন? যে পেথিডিন অ্যাডিক্টেড তার ঘরে ঐ দুটি বস্তু থাকবে না তা তো হতে পারে। তবে কি হত্যাকারী কাজ শেষ হয়ে যাবার পর ঐ দুটি বস্তু ঘর থেকে নিয়ে গিয়েছে? তাই যদি হয় তো, আমরা দুটো definite conculsion-য়ে পৌঁছাতে পারি সুশীল।

–কি কনক্লশন?

প্রথমত, হত্যাকারী unknown third person নয়, সে মালঞ্চর বিশেষ পরিচিতের মধ্যেই একজন, এবং দ্বিতীয়ত, মালঞ্চ যে পেথিডিন অ্যাডিক্টেড, সেটা সে ভাল করেই জানত, এবং সেটা তার পক্ষে সুবিধাই হয়েছিল।

সুশীল চক্রবর্তী কিরীটীর ইঙ্গিতটা সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পারেন বলেন, তাহলে তো ঐ পরিচিত পাঁচজনের মধ্যেই একজন—

–হ্যাঁ, মালঞ্চর স্বামী সুশান্ত মল্লিক, তার বাবু সুরজিৎ ঘোষাল, দীপ্তেন ভৌমিক এবং ডাঃ সমীর রায়, তার পেয়ারের চোরাই কারবারের পার্টনার ও শ্রীমতী ডলি দত্তকিরীটী বললে।

কিরীটীর মুখের দিকে চেয়ে থাকেন সুশীল চক্রবর্তী।

–এখন কথা হচ্ছে সুশীল, ওরা সকলেই মালঞ্চর বিশেষ পরিচিত জন হলেও ওরা সকলেই কি জানত যে মালঞ্চ পেথিডিন অ্যাডিক্টেড—এক ডাক্তার ছাড়া?

–একসঙ্গে মেলামেশা, একই সূত্রে বাঁধা, একই ইন্টারেস্ট-ওদের সকলের জানাটাই ততা স্বাভাবিক দাদা

—কি জানি, হতেও পারে। তবে আমার কেন যেন মনে হচ্ছে সুরজিৎ ঘোষালকে অনায়াসেই ঐ লিস্ট থেকে eleminate করা যেতে পারে আপাতত।

–কেন?

–হাজার হলেও মালঞ্চ সুরজিৎ ঘোষালের কিপিংয়ে ছিল, সেক্ষেত্রে সে নিশ্চয়ই সুরজিৎ ঘোষালকে ব্যাপারটা জানতে দেবে না, বিশেষ করে সুরজিৎ ঘোষাল সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে যা জানা গিয়েছে, মদ তো দূরের কথা, ভদ্রলোক স্মোক পর্যন্ত করেন না! মালঞ্চ সম্পর্কে তার চরিত্রের ঐ বিশেষ দুর্বলতাটুকু ছাড়া সত্যিই তিনি একজন যাকে বলে ভদ্রলোক। আজকের সো-কল্ড সোসাইটির কোন ভাইস-ই তার ছিল না। সেদিক দিয়ে বাকী চারজন তোমার সন্দেহের তালিকাভুক্ত সুশীল।…

—ঐ চারজনের মধ্যে কাকে আপনি

—সুশীল, মাকড়সার জালে চার-পাঁচটা বিষাক্ত মাকড়সা বিচরণ করছে, এবং ঐ প্রত্যেকটি মাকড়সার ক্ষেত্রেই মালঞ্চকে হত্যা করার যথেষ্ট মোটিভ থাকতে পারে। কাজেই এই মুহূর্তে ওদের চারজনের মধ্যে বিশেষভাবে একজনকে চিহ্নিত করা যুক্তিযুক্ত হবে না। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রমাণ, সার্কামস্টাসিয়াল এভিডেন্স যাকে বলে, তার দ্বারাই একমাত্র ওদের একজনকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা চলতে পারে, অন্য কাউকে নয়। অবিশ্যি বোঝা যাচ্ছে ওরা সকলেই একটা চোরাকারবার চালাত এবং প্রত্যেকেরই ঐ হিন্দুস্থান রোডের বাড়িতে যেমন যাতায়াত ছিল তেমনি ছিল আরো একটা মিটিং প্লেস, ঐ নাইট ক্লাবটি, সেক্ষেত্রে ওদেরই কেউ একজন হত্যাকারী হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু হত্যাকারী বললেই তো হবে না, আপাতদৃষ্টিতে ওদের প্রত্যেকের মোটিভ থাকলেও ঐ সঙ্গে তোমাকে ভাবতে হবে ওদের মধ্যে সে রাত্রে কার পক্ষে মালঞ্চকে হত্যা করা সবচাইতে বেশী সম্ভব ছিল, অর্থাৎ probability-র দিক থেকে কার উপরে বেশী সন্দেহ পড়ে। তার ওপর base করে তুমি যদি এগুতে পারো তাহলেই দেখবে ঐ হত্যারহস্যের কাছাকাছি তুমি পৌঁছে গেছ। হাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ আরো প্রমাণ চাই, অতএব তোমায় কিছুটা সুতো ছাড়তে হবে—আরো সুতো, তবেই বিরাট কাতলাকে তুমি বঁড়শীতে গাঁথতে পারবে।

পরের দিনই সুশীল চক্রবর্তী সকাল আটটা নাগাদ লেক রোডে দীপ্তেন ভৌমিকের ফ্ল্যাটে গিয়ে হাজির হলেন।

দিনটা ছিল রবিবার। লিফটে করে ওপরে উঠে ফ্ল্যাটের কলিং বেলের বোম টিপতেই দরজা খুলে গেল।

—ধোপদুরস্ত জামাকাপড় পরা মধ্যবয়সী ভৃত্যশ্রেণীর একটি লোক দরজাটা খুলে বলল, কাকে চান?

–এখানে দীপ্তেন ভৌমিক থাকেন?

—হ্যাঁ। কি নাম বলব সাহেবকে?

—বল একজন ভদ্রলোক দেখা করতে চান, বিশেষ জরুরী প্রয়োজন।

–বসুন, আমি সাহেবকে খবর দিচ্ছি। তবে রবিবার তো, সাহেব কারো সঙ্গেই দেখা করেন না, আপনার সঙ্গেও দেখা করবেন কিনা জানি না।

—একটা কাগজ দাও, আমি আমার নাম লিখে দিচ্ছি—

সুশীল চক্রবর্তীর দিকে একটুকরো কাগজ এগিয়ে দিল বেয়ারা। সুশীল চক্রবর্তী কাগজটিতে নিজের নাম লিখে দিলেন। বেয়ারা কাগজটা নিয়ে চলে গেল।

বেশ বড় সাইজের একটি হলঘর, ওয়াল টু ওয়াল কার্পেট পাতা, বেশ দামী, নরম পুরু কার্পেট। সুন্দরভাবে সাজানো ঘরটি, সোফা সেট, বুককেস, ডিভান, কাঁচের শো কেসে ইংরাজী বাংলা সব বই। দেওয়ালে দীপ্তেন ভৌমিকেরই একটি রঙীন বড় ফটো, জানালা দরজায় দামী পর্দা।

কয়েক মিনিটের মধ্যে পরনে স্লিপিং পায়জামা ও গায়ে গাউন জড়ানো, মুখে সিগারেট, বের হয়ে এলেন দীপ্তেন ভৌমিক।

–আপনি মিঃ চক্রবর্তী? দীপ্তেন প্রশ্ন করল, কি প্রয়োজন আমার কাছে?

–বসুন, বলছি।

–একটু তাড়াতাড়ি সারতে হবে কিন্তু মিঃ চক্রবর্তী, আমাকে এখুনি আবার একটু বেরুতে হবে।

—হিন্দুস্থান রোডের মার্ডার কেসটার ব্যাপারে আপনাকে পুলিসের তরফ থেকে আরও কিছু জিজ্ঞাস্য আছে।

-বলুন কি জিজ্ঞাস্য আছে।

–আপনার তো মালঞ্চ দেবীর সঙ্গে হৃদ্যতা ছিল?

—হৃদ্যতা! Not at all, তবে চিনতাম তাকে।

–আমরা কিন্তু জেনেছি আপনি প্রায়ই হিন্দুস্থান রোডের বাড়িতে যেতেন—

—প্রায়ই নয়, কখনো-সখনো যেতাম।

-ঘনিষ্ঠতা ছিল বলেই যে সেখানে আপনি যেতেন সেটা কিন্তু আমরা জেনেছি মিঃ ভৌমিক। শুধু সেখানেই নয়, দি রিট্রিট নাইট ক্লাবেও আপনি মালঞ্চ দেবীর সঙ্গে যেতেন। মিঃ ভৌমিক, বিভিন্ন সোর্স থেকে আমরা যথাসম্ভব খবরাখবর সংগ্রহ করেই আপনার কাছে এসেছি। অতএব বুঝতেই পারছেন, অস্বীকার করে কোন লাভ নেই!

সুশীল চক্রবর্তীর স্পষ্ট কথায় ও গলার স্বরে মনে হল দীপ্তেন ভৌমিক যেন একটু থমকেই গিয়েছে।

হঠাৎ শয়নঘরের দরজা খুলে গেল এবং অভিনেত্রী ডলি দত্ত ঘর থেকে বের হয়ে এলো। ডলি দত্তর সঙ্গে পূর্বেই কথাবার্তা হয়েছিল সুশীল চক্রবর্তীর, তাই ডলি দত্ত সুশীল চক্রবর্তীকে দেখে যেন একটু থমকে দাঁড়াল। কিন্তু পরমুহূর্তে নিজেকে সামলে নিয়ে দীপ্তেনের দিকে তাকিয়ে বললে, দীপ্তেন, যাচ্ছি—

–এসো—মৃদুকণ্ঠে দীপ্তেন বলল।

ঘরের মধ্যে একটা বিদেশী সেন্টের সৌরভ ছড়িয়ে ডলি দত্ত বের হয়ে গেল।

—বেশ স্বীকার করলাম না হয় ছিল, কিন্তু তাতে কি হয়েছে? দীপ্তেন বলল।

—সুরজিৎ ঘোষাল যে সেটা পছন্দ করতেন না তাও নিশ্চয় আপনার অজানা ছিল না?

–Dont talk about that old fool!

—কিন্তু সুরজিৎ ঘোষালেরই রক্ষিতা ছিলেন মালঞ্চ দেবী, আপনার ও মালঞ্চ দেবীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা, বিশেষ করে তার অবর্তমানে, সুরজিৎ ঘোষালের না পছন্দ হওয়াটাই স্বাভাবিক নয় কি?

—ওসব কথা ছাড়ুন মিঃ চক্রবর্তী, আমার কাছে কি জানতে চান বলুন?

—যে রাত্রে দুর্ঘটনাটা ঘটে সে রাত্রে আপনি মালঞ্চ দেবীর বাড়ি গিয়েছিলেন?

—সে তো আগেই বলেছি।

—হ্যাঁ, আপনি বলেছেন এবং আপনি এও বলেছেন যে সদর দিয়েই বের হয়ে এসেছিলেন আপনি!

—এখনও তাই বলছি, এবং বের হয়ে সোজা আমি ট্রেন ধরি।

-না, সে রাত্রে আপনি তখনই কলকাতা ছেড়ে যাননি, এবং সে রাত্রে আবারও আপনি হিন্দুস্থান রোডের বাড়িতে গিয়েছিলেন, I mean second time!

—What nonsense! কি সব আবোল-তাবোল বকছেন মিস্টার চক্রবর্তী?

—যথেষ্ট প্রমাণ হাতে না পেয়ে আপনাকে আমি কথাটা বলছি না মিঃ ভৌমিক। আপনাকে আর ডলি দত্তকে সেই রাত্রে বারোটা নাগাদ নাইট ক্লাব দি রিট্রিটে ড্রিংক করতে দেখা গিয়েছে।

—হতেই পারে না।

-বললাম তো, আমাদের হাতে তার প্রমাণ আছে। এবার বলুন মিঃ ভৌমিক, সেদিন সন্ধ্যারাত্রে মালঞ্চ দেবীর হিন্দুস্থান রোডের বাড়ি থেকে বের হয়ে ঐ নাইট ক্লাবে যাবার আগে পর্যন্ত আপনি কোথায় ছিলেন? কি করেছিলেন?

—আমি নাইট শোতে সিনেমা গিয়েছিলাম।

–তাহলে সে রাত্রে আপনি কলকাতা ছেড়ে যাননি স্বীকার করছেন?

—হ্যাঁ, কলকাতাতেই ছিলাম।

—আপনি সেকেন্ড টাইম আবার হিন্দুস্থান রোডের বাড়িতে গিয়েছিলেন। বলুন কেন গিয়েছিলেন?

–দরকার ছিল।

-–কি এমন দরকার পড়ল যে সেকেন্ড টাইম সেখানে যেতে হল মিঃ ভৌমিক?

—সেটা সম্পূর্ণ আমার পার্সোনাল ব্যাপার, ব্যক্তিগত।

-তা কখন গিয়েছিলেন? মানে কটা রাত্রি তখন? যদিও একটু আগে বললেন সিনেমায় গিয়েছিলাম।

—বই দেখতে আমার ভাল লাগছিল না, তাই ইন্টারভ্যালের আগেই বের হয়ে আসি সিনেমা হাউস থেকে।

–ট্যাক্সিতেই বোধহয় গিয়েছিলেন?

—হ্যাঁ।

—তখন রাত কটা হবে?

—পৌনে এগারোটা হবে। ঠিক সময় দেখিনি।

—আচ্ছা, মানদা বা রতন কেউই দ্বিতীয়বার আপনাকে সেখানে যেতে দেখেনি, তাহলে ধরতে হয় আপনি নিশ্চয়ই মেথরদের যাতায়াতের জন্য পিছনের সিঁড়ি পথে উঠে বাথরুমের দরজা দিয়েই গিয়েছিলেন?

—হ্যাঁ।

—ওই দরজা দিয়ে আপনি মাঝে মধ্যে যেতেন তাহলে?

—যেতাম।

–ঘরে ঢুকে কি দেখলেন আপনি? মানে মালঞ্চ দেবী কি করছিলেন সে সময়?

–ঘরের দরজা বন্ধ করে চুপচাপ একটা সোফায় বসেছিল সে।

–তারপর?

–দশ মিনিটের মধ্যেই আমি আমার কাজ সেরে চলে আসি। পরে সেখান থেকে নাইট ক্লাবে যাই।

—মালঞ্চ দেবী তখন তাহলে জীবিত ছিলেন?

—হ্যাঁ।–মালঞ্চ দেবী যে একজন স্মাগলার ছিলেন আপনি জানেন?

—স্মাগলার! না তো? কে বললে? ইমপসিবল!

—হ্যাসিসের চোরাকারবার ছিল তাঁর, আপনি জানতেন না বলতে চান?

—না, বিশ্বাস করুন, সত্যিই আমি জানতাম না। I never knew that she was a smuggler!

–হুঁ। তিনি কি পেথিডিন অ্যাডিক্টেড ছিলেন তাও জানতেন না বোধহয়?

—না তো!

—তাঁর সঙ্গে এতদিন ঘরে এত ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও ঐ দুটি সংবাদ আপনার অবিদিত ছিল মিঃ ভৌমিক, এটা কি একটা বিশ্বাসযোগ্য কথা হল? আপনি জানতেন, জানতেন কিন্তু এখন স্বীকার করছেন না। ঠিক আছে, আপনি ডাঃ সমীর রায়কে চেনেন নিশ্চয়ই?

—চিনি।

—তারও সঙ্গে মালঞ্চ দেবীর যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা ছিল, তাই না?

ডাঃ রায় ওর ফ্যামিলি ফিজিসিয়ান ছিলেন এইটুকুই জানি, তার বেশী কিছু জানি না।

–আপনি কি ব্র্যান্ড সিগারেট খান?

–কেন বলুন তো?

—দেখি আপনার সিগারেট কেসটা—

দীপ্তেন ভৌমিক নাইট গাউনের পকেট থেকে একটা দামী সিগারেট কেস বের করে দিলেন সুশীল চক্রবর্তীর হাতে। কেসটা খুলে দেখলেন সুশীল চক্রবর্তী, স্মাগল করা সিগারেট স্টেট এক্সপ্রেস ৫৫৫—এবং আরও একটা ব্যাপার নজরে পড়ল ভিতরের দিকে ডালার গায়ে এনগ্রেভ করে লেখা—To Dipten-Mala.

সিগারেট কেসটা ফেরত দিতে দিতে সুশীল চক্রবর্তী বললেন, এই মালাটি কে দীপ্তেনবাবু? Who is she?

—এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার মিঃ চক্রবর্তী।

—আচ্ছা, আপনার সোনার সিগারেট কেস ছিল কি কখনো?

—না তো।

—আপনার পরিচিত জনেদের মধ্যে কারও ছিল বলে কি আপনার মনে পড়ে?

–ডাঃ রায়ের কাছে একটা সোনার সিগারেট কেস দেখেছি বলে মনে পড়ছে।

—তিনি কি ব্র্যান্ড সিগারেট খান?

—সেম ব্র্যান্ড—State Express 555.

–ঠিক আছে, আর আপনার সময় নষ্ট করব না। তবে আপনাকে আবার আমাদের প্রয়োজন হতে পারে। কলকাতার বাইরে গেলে পুলিসের পারমিশন ছাড়া যাবেন না।

–ঠিক আছে।

—চলি। সুশীল চক্রবর্তী অতঃপর উঠে দাঁড়ালেন।