দ্বিতীয় আগমন

বড়ো থেকে বড়ো বৃত্তে পাক খেতে খেতে
বাজ শুনতে পায় না বাজের প্রভুকে;
সবকিছু ধ’সে পড়ে; কেন্দ্র ধ’রে রাখতে পারে না;
নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্ব জুড়ে,
ছাড়া পায় রক্তময়লা প্রবাহ, আর চারদিকে
আপ্লাবিত হয় নিষ্পাপ উৎসব;
শ্রেষ্ঠরা সমস্ত বিশ্বাসরিক্ত, যখন নষ্টরা
পরিপূর্ণ সংরক্ত উৎসাহে।

নিশ্চয়ই কোনো প্রত্যাদেশ এখন আসন্ন;
নিশ্চয়ই দ্বিতীয় আগমন এখন আসন্ন;
দ্বিতীয় আগমন! যেই উচ্চারিত হয় ওই শব্দ
অমনি মহাস্মৃতি থেকে এক প্রকাণ্ড মূর্তি
পীড়া দেয় আমার দৃষ্টিকে: কোথাও কোন মরুভূর বালুর ওপরে
সিংহের শরীর আর মানুষের মুণ্ডধারী এক অবয়ব,
সূর্যের মতোন শূন্য আর অকরুণ এক স্থিরদৃষ্টি,
চালায় মন্থর উরু, আর তাকে ঘিরে
সব কিছু ঘূর্ণিপাকে ছায়া ফেলে মরুভূর বিক্ষুদ্ধ পক্ষীর।
অন্ধকার নামে পুনরায়; তবে আমি জানি
বিশ শতাব্দীর পাথুর নিদ্রাকে
একটি আন্দোলিত দোলনা পরিণত করেছে বিক্ষুদ্ধ দূঃস্বপ্নে,
কোন্ রুক্ষ পশু, তার সময় এসেছে অবশেষে,
জন্ম নেয়ার জন্য জবুথুবু কুশ্রী ভঙ্গিতে এগোয় বেথলেহেমের অভিমুখে?

মূলঃ ডব্লিউ বি ইএট্‌স্‌

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *