জেলাটির নাম করন করা হউক মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর জেলা

ইমদাদুল হক মিলন৷ বাংলা সাহিত্যে জীবন কিংবদনী একটি নাম৷ বাংলার আকাশে উজ্জল নক্ষত্র৷ জন্ম ৮ই সেপ্টেম্বর ১৯৫৫ সালে বিক্রমপুরের মেদিনীমন্ডল নামক গ্রামে৷ প্রথম রচনা গল্প (ছোটদের) ”বন্ধু” ১৯৭৩ সালে৷ তারপরে একে একে অসংখ্য৷ তার উল্লেখযোগ্য সৃষ্টির মধ্যে যাবজ্জীবন, পরাধীনতা, ভূমিপুত্র, নদী উপাখ্যান, র্রপনগর, কালো ঘোড়া, রাজাকারতন্ত্র, কালাকাল, ও রাধা ও কৃষ্ণ, দুঃখ কষ্ট, উপনায়ক, নুরজাহান প্রধান৷

১৯৮৭ সালে ইকো সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯২ সালে হুমায়ুন কাদির সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৬ সালে বিশ্ব জ্যোতিষ পুরস্কার, ১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার, ১৯৯৩ সালে নাট্যসভা পুরস্কার, ১৯৯৩ সালে প রবী পদক, ১৯৯৪ সালে বিজয় পদক, ১৯৯৫ সালে মনু থিয়েটার পদক, ১৯৯৫ সালে যায় যায় দিন পত্রিকা পুরস্কার, ১৯৯৫ সালে টেনাশিনাস পদক, ১৯৯৮ সালে মাদার তেরেসা পদক, ১৯৯৯ সালে এস এম সুুলতান পদক, ২০০০ সালে অতীশ দিপংকর হৃণ_পদক, ২০০১ সালে চোখ সাহিত্য পুরস্কার (কলকাতা), ২০০২ সালে ট্রাব অ্যাওয়াররড, ২০০২ সালে টেলিভিশন দর্শক ফোরাম পুরস্কার, ২০০২ বাচসাস পুরস্কার, ২০০৪ সালে ইউরো শিশু সাহিত্য পুরস্কার সহ অসংখ্য পদক লাভকারী বিক্রমপুরের এই কৃতি সন্তান বহু দেশ ভ্রমন করেছেন৷ এক সময় নিজেও (১৯৭৯-১৯৮১) প্রবাস জীবন যাপন করেছেন৷ বর্তমানে তিনি জাপান কালচারাল ( JBCF) এবং মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সোসাইটি, জাপান এর আমন্ত্রনে জাপান ভ্রমন করছেন৷ জাপান প্রবাসী ও মুন্সীগঞ্জ.কমের কনট্রিভিউটর রাহমান মনি এ সময় তার সাক্ষাত্‍কারটি গ্রহণ করেন Munshigonj.com এর জন্য৷ নিচে সাক্ষাত্‍কারটি তুলে ধরা হল৷

মুন্সীগঞ্জ.কম : জাপানে আপনার তৃতীয় সফর৷ তিনবার সফরকালীন সময়ে বিভিন্ন পরিবেশে একাধিক প্রবাসীদের সাথে মিলিত হবার সুযোগ হয়েছে, তাদের কায_ক্রম পয_বেক্ষন করেছেন৷ এর মধ্যে কি কোন ভিন্নতা লক্ষ্য করেছেন? করে থাকলে সেটা কি রকম?

মিলন : আমি দেখছি যতোই দিন যাচ্ছে প্রবাসীরা ততোই দেশের কথা বেশী বেশী ভাবছে৷ দেশের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করছে আপ্রান চেষ্টায় দেশকে পরিচিত করে তুলছে৷ জাপানের কথাই ধরা যাক, প্রবাসীরা সমবেত হয়ে টোকিও বৈশাখী মেলা নামে বাংলা নববর্ষ উত্‍সবকে জাপানে ব্যাপকভাবে পরিচিত করে তুলছে৷ জাপান প্রবাসীরা শহীদ মিনার স্থাপিত করেছে৷ বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনের নামে সমবেত হেছ৷ এতে করে নিজ এলাকায় উন্নয়নে কাজ করার পরিকল্পনা করছে৷ বিনিয়োগ বাড়ােছ৷ নিজ এলাকায় উন্নয়ন মানেই তো দেশের উন্নয়ন৷

আমি এর আগে ২০০৫ সালে বিবেক বার্তার আমন্ত্রনে বৈশাখী মেলায় এসেছিলাম৷ ২০০৬ সালে জাপান ফাউন্ডেশন এর আমন্ত্রনে এসেছিলাম তবে ঐ সফরটি ছিল জাপানীদের সাথে সংশ্লিষ্ট৷ চারটি আনজ_াতিক সেন্টারে লেকচার দিয়েছি৷ টোকিওতে মান্যবর রাষ্ট্রদুতও উপস্থিত ছিলেন৷

এবারের আমন্ত্রন অবশ্য প্রবাসীদের কাছ থেকেই আসে৷ ওআইঊ এখানে “বাংলামেলা” নামে একটি মেলার আয়োজন করে৷ গত ২ এবং ৩ আগষ্ট টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয়৷ তারপর মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সোসাইটি, জাপান এর অভিষেক অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রিত হই৷ সব মিলিয়ে প্রবাসীদের দেশ প্রেম আমাকে খুবই মুগ্ধ করেছে৷

মুন্সীগঞ্জ.কম : প্রবাসে বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে৷ আছে তার বিভিন্ন কার্যক্রম, এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু?

মিলন : অবশ্যই এর প্রয়োজনীয়তা আছে৷ আমিতো মনে করি এটি খুবই গুর্বত্বপূর্ণ৷ একত্রিত হয়ে নিজ অঞ্চলের জন্য কাজ করবে৷ আর নিজ অঞ্চল তো বাংলাদেশেরই একটি অংশ৷ দেশেরই উন্নয়ন৷

মুন্সীগঞ্জ.কম : আঞ্চলিক সংগঠনগুলির কি জাতীয় কর্মসূচী গ্রহণ করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?

মিলন : এলাকার শিক্ষা এবং হৃাস্থখাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহযোগিতার হাত বাড়ানো উচিত বলে মনে করি৷ শিক্ষার আলো না থাকিলে একটি জাতি উন্নতির চরম শিখরে পেুৗছতে পারে না৷ ছোট ছোট কলকারখানা গড়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের উত্‍সাহিত করলে ভালো হয়৷

মুন্সীগঞ্জ.কম : মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুরবাসী আপনাকে নিয়ে গর্ব করে৷ বিক্রমপুরের সনান হিসেবে আপনার অনুভূতি কি?

মিলন : দেশের বাইরে আমাকে যদি কেহ প্রশ্ন করে তুমি কোন দেশী? আমি খবু গৌরব সহকারে প্রথমেই বলি আমি বাংলাদেশী৷ এই গৌরব করার মতো অনেক ইতিহাস আছে৷ তারপরই বিক্রমপুরের সন্মান হিসেবে পরিচয় দিতে সম্মান বোধ করি৷ এরও অনেক কারণ আছে৷ বিক্রমপুর ছিল ভারত উপমহাদেশের একটি অতীব গুর্বত্বপূর্ণ ও প্রসিদ্ধ স্থান৷ তার কারণ হচ্ বিক্রমপুরে বহু গুণী মনীষি জন্ম নিয়েছেন৷ শ্রীজ্ঞান অতীশ দিপংকর জন্মেছেন আজ থেকে প্রায় এক হাজার বছর আগে এই বিক্রমপুরের ব্রজযোগীনি গ্রামে৷ স্যার জগদীশ চন্দ্র যিনি বিজ্ঞানে সারা পৃথিবী কাপিয়ে দিয়েছেলেন তিনিও জন্মেছিলেন এই বিক্রমপুরে৷ চিত্তরঞ্জন দাশ, সরোজিনি নাইডু কিংবা ব্রজেন দাস জন্মেছেন এই প্রসিদ্ধ স্থানে৷ এই রকম আরো অনেক কৃতি সনান জন্মেছিলেন এই বিক্রমপুরে৷ যেহেতু আমি সাহিত্যের মানুষ তাই সাহিত্যের কথাই বলব৷ বাংলা সাহিত্যকে যারা সম্মৃদ্ধ করেছেন তাদের অনেকেরই জন্ম বিক্রমপুরে৷ যেমন: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মানব দিয়া গ্রামে তার জন্ম৷ গাওদিয়ায় পুতুল নাচের উপর তিনি একটি কালজয়ী উপন্যাস লিখে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন৷ সমরেশ বসু, বুদ্ধদেব বসু, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এই রকম অনেক কৃতিমান সাহিত্যিক জন্মেছেন এই বিক্রমপুরে৷ তাছাড়া জীবনানন্দ দাস এবং অমর্ত্য সেনের মায়ের বাড়ী ও এই বিক্রমপুরে৷ এই যে এত বড় বড় মানুষগুলি জন্মেছেন এই বিক্রমপুরে আমিও জন্মেছি এই বিক্রমপুরে এইটা আমার কাছে খুব গর্বের এবং গুর্বত্বপূর্ণ বলে মনে করি৷

মুন্সীগঞ্জ.কম : সাহিত্যাঙ্গনের প্রায় সব কয়টি পুরস্কারই আপনি অর্জন করেছেন দেশ বিদেশে আপনি বিভিন্ন সম্মামনা পুরস্কার সহ অনেক সম্মান পেয়েছেন৷ এবার জাপানে আপনাকে নিজ জেলার সংগঠন থেকে ক্রেষ্ট সহ সম্মামনা সনদ দেওয়া হয়৷ আপনার অনুভূতি কি?

মিলন : আমাকে জাপানে মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সোসাইটি রাইটার্স অ্যাওয়ার্ড নামে একটি পুরস্কার দিয়েছে৷ মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সোসাইটি আমাকে এই যে পুরস্কারটি দিল তা আমার কাছে একটু বিশেষ গুর্বত্বপূর্ণ এই কারণে যে, আমরা একজন মানুষ সারা পৃথিবী জয় করে এসে ঘরে ঢুকে এবং ঘরে তার মা, বাবা, ভাই বোন, কিংবা প্রিয়তমা সী অথবা তার সনান, এমন কি পাড়া পড়শী তাকে বরন করে বলে যে, তুমি আমাদের সনান, তুমি একটি ভালো কাজ করেছ এই জন্য তোমাকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷ এই পুরস্কারটি আমার কাছে ওই রকমই লেগেছে৷ দেশের বাইরে এই প্রথম আমার নিজ এলাকার লোকজন বা সংগঠন আমাকে এইভাবে সম্মানিত করলো এইটা আমার কাছে অন্যরকম একটা অনুভূতি৷

মুন্সীগঞ্জ.কম : প্রবাসীদের কল্যানে প্রবাসীকল্যান মন্ত্রনালয় করা হয়েছে৷ তারপরও প্রবাসীরা বিমান বন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হেছ৷ প্রবাসী মন্ত্রনালয় সঠিক কাজ করছে বলে মনে করেন কি?

মিলন : সঠিক কি বেঠিক জানি না৷ বাংলাদেশেটা এখন কিন্তু দাড়িয়ে আছে প্রবাসে আমাদের প্রায় ৮০ লাখ প্রবাসীর পাঠানো রেমিট্যান্সের উপর৷ সুতরাং তাদের কল্যানেই তো বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগনের একযোগে কাজ করা উচিত৷ কিনু আমাদের নীতিনির্ধারক হয়ে যারা মাথার উপর বসে আছেন৷ তারা প্রবাসীদের কথা চিন্তা করেন বলে মনে হয় না৷

মুন্সীগঞ্জ.কম : মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রবাসীদের শারীরিক নির্যাতন সহ যেভাবে দেশে ফেরত্‍ পাঠাচ্ছে তাতে দেশের এর বিরূপ প্রভাব ফেলবে কি?

মিলন : অবশ্যই বিরূপ প্রভাব ফেলবে৷ অর্থনৈতিক, পারিবারিক এবং সামাজিক সব ক্ষেত্রেই এর বির্বপ প্রভাব প্রতিফলিত হবে৷

মুন্সীগঞ্জ.কম : সরকারের ব্যর্থতা কি এক্ষেত্রে কাজ করেছে?

মিলন : আমি মনে করি এই ব্যাপারটি যদি কুটনৈতিকভাবে হ্যান্ডেল করা বা এর সাথে জড়িত বিভাগ যদি সঠিক সময়ে দ্রুত এবং সতর্কতার সাথে পদক্ষেপ নিত তা হলে আজকের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হত না৷ রাষ্ট্র যদি উদ্যোগ নিত তাহলে কোন বা কোন ভাবে এর সুরাহা হত৷ তারা সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেয়নি৷ যার জন্য আমাদের লোকগুলিকে অমানবিকভাবে ফেরত্‍ আসতে হচ্ছে৷

মুন্সীগঞ্জ.কম : এই ক্ষেত্রে প্রবাসীদের কি করনীয় আছে বলে মনে করেন?

মিলন : আমাদের যে সব ভাইয়েরা প্রবাসে রহিয়াছেন তাদের সকলের উচিত সেই সেই দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রচলিত আইন মেনে চলা৷ এখন তুমি জাপান থাকো, তোমার উচিত হবে জাপানের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা৷

মুন্সীগঞ্জ.কম : প্রবাসীদের ভোটাধিকার আজও দেওয়া হেছ না৷ কি কারণ থাকতে পারে বলে মনে করেন?

মিলন : কোন কারণই থাকা উচিত নয়৷ ভোটাধিকার অবশ্যই থাকতে হবে৷ প্রবাসীরা ও বাংলাদেশী৷ এমন কি যৌথ নাগরিক প্রাপ্তদের বেলায়ও৷ প্রবাসীদের কে অবশ্যই অবশ্যই ভোটাধিকার দিতে হবে৷

মুন্সীগঞ্জ.কম : রেমিট্যান্সের টাকা বাংলাদেশে পৌছুতে সময় লাগে প্রচুর অথচ অন্যান্য দেশে খুব দ্রুত সময়ে পেুৗছে যায়৷ কি পদক্ষেপ নিলে সহজতর হবে মনে করেন?

মিলন : আমি বা আমরা তো আমাদের ভাবনার কথাগুলি বলতে পারব৷ কিনু কাজ কতটুকু হবে? পৃথিবীর এমন কোন দেশ আছে বলে আমার জানা নেই যেখানে জাপান, আমেরিকা কিংবা অন্যান্য উন্নত দেশগুলি থেকে রেমিট্যান্স পাঠালে এতো সময় লাগে পেুৗছতে৷ বর্তমান অত্যাধুনিক উন্নত প্রযুক্তির যুগে এতোটা সময় লাগাটা তো একেবারেই অযৌক্তিক৷ কয়েক ঘন্টার মধ্যেই হওয়া বাঞ্চনীয়৷ অনলাইন ব্যাংকিং এর যুগে টাকা জমা দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে কর্তৃপক্ষ জানতে পারে পেুৗছেছে কিনা৷ এখনকার পৃথিবী হচ্ছে কমপিউটারাইজড৷ সব কিছু হাতের মুঠোয়৷ কাজেই কোন মতেই এতোটা সময় লাগা উচিত্‍ নয়৷ এই সেক্টরে যারা কাজ করছেন তারা আসলে এই সব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না৷ আমাদের নীতি নির্ধারকদের অযোগ্যতার জন্য সারা পৃথিবীর সাথে তাল মিলাতে পারছে না৷ আমরা সেই আগের স্থানেই রয়ে গেছি৷ এটা আমাদের দুর্ভাগ্য৷

মুন্সীগঞ্জ.কম : Munshigonj.com নামে অত্যন জনপ্রিয় একটি ওয়েব সাইট আছে, যেখানে সমস মুন্সীগঞ্জকে জানা যাবে মাত্র একটি ক্লিকের মাধ্যমে৷ এমনকি আপনাকেও৷ আপনি সাইটির কথা জানেন?

মিলন : আমি আসলে যন্ত্র (আধুনিক প্রযুক্তি) থেকে একটু দুরে থাকা মানুষ৷ এখনো সেই আগের আমলের হাতে লিখালিখি করি৷ এই যে আমার মোবাইল সেট দেখছো, আমি কেবল ফোন রিসিভ এবং ফোন করা ছাড়া আর কোন ব্যবহারই জানি না৷ অথচ আমি জানি আধুনিক প্রযুক্তির সব সুবিধাই এখানে দেওয়া আছে৷ আমার মাথায় ঢুকাতে পারি না৷ তবে আমি জানি যে, কাজগুলি হচ্ছে৷ কেউ না কেউ করছে৷ শুনতেও পাই৷ আজ তোমার এখানে এসে দেখলাম৷ এরপর থেকে নিয়মিত দেখার চেষ্টা করবো৷

আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজ এলাকাকে পরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যারা কাজ করে তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রইল৷ এই কাজটি করার জন্য কমপিউটার এবং ওয়েব সাইটের কোন তুলনা নেই৷ আমি উদ্যোক্তাদের বিশেষ করে শেখ তৈয়বকে তোমার মাধ্যমে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই৷

মুন্সীগঞ্জ.কম : মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর বাসীর প্রতি আপনার অনুরোধ থাকবে কি কি?

মিলন : আমি যেটা অনুরোধ করতে চাই তা হল মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুরের লোকজন বেশ ধনী৷ এককভাবে কিছু না করে যৌথভাবে যদি করা যায় সেটা বিক্রমপুর বাসীর জন্য কাজে আসবে৷ একসময় অত্র এলাকা শিক্ষিতের হার খুব ভালো ছিল৷ এখন অনেক কম৷ ভালো স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে৷ মানুষের কল্যানে কাজ করবে যেমন, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে৷

বর্তমান পৃথিবীতে তথ্য প্রযুক্তির খাত খুব শক্তিশালী৷ এই খাতে দক্ষ শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা৷ বিদেশ থেকে প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগকারী এনে এখানে আইটি ভিলেজ প্রতিষ্ঠা করে লোকজনকে দক্ষ করে তুলে বিদেশে শ্রমবাজার সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশ অদুর ভবিষ্যতে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে৷

মুন্সীগঞ্জ.কম : বিক্রমপুরবাসী হিসেবে সরকারের প্রতি আপনার কি অনুরোধ থাকবে?

মিলন : বিক্রমপুর নামটি কেবল মুখে মুখেই আছে৷ মানচিত্রে বা সরকারী নথিপত্রে কোথাও নেই৷ এমন কি নামেও৷ এই বিক্রমপুর নামটি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমি কিছু লিখালিখি করেছিলাম৷ অনতপক্ষে জেলাটির নাম করন করা হউক মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর জেলা৷

যেই চিনা চেতনার মধ্য থেকে জাপানে মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সোসাইটি নামকরণ করা হয়েছে সেই একই চেতনা থেকে জেলাটির নাম মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর জেলা করা হউক৷ অন্তত সরকারী নথিপত্রের একটি স্থানে হলেও বিক্রমপুরের নাম থাকবে৷

প্রবাসী বিক্রমপুর বাসীদের পক্ষ থেকে ও জোর দাবী করা উচিত৷ কারণ প্রবাসীদের টাকায় দেশ চলে৷ প্রবাসীদের একটা বড় অংশ বিক্রমপুরের লোকজন৷ বর্তমান প্রেসিডেন্ট, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর সহ বহু উচ পদস্থ কর্মকর্তা বিক্রমপুরের কৃতি সন্তান৷ বিক্রমপুরবাসীদের এই ন্যায্য দাবীটুকুর প্রতি তারা সম্মান প্রদর্শন করবেন এটাই আমার অনুরোধ৷

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *