একটি মানুষ কেন

একটি মানুষ কেন একা ব’সে আছে বারান্দায়
গালে হাত দিয়ে ভরসন্ধ্যেবেলা? বুঝি হাত বোমা
ফাটলেও নড়ে চড়ে উঠবে না কিংবা
ভড়কে দেবে না লাফ। উজাড় চায়ের কাপ, একট কি দুটি
নোনতা বিস্কুট
পিরিচে বিশ্রামরত। খুট খুট শব্দ ইঁদুরের? তার
চুলে মৃদু হাওয়ার আঙুল, সালোয়ার কামিজের
ঢেউ তুলে একজন তরণী রাস্তায় হেঁটে যায়।

এইমাত্র তরুণ কবিরা উঠে গেল তর্ক সেরে,
গূঢ় কবিত্বের কষ্টি পাথরে তুমুল ঘ’ষে পদ্যকারদের,
তৃতীয় প্রবাহ নিয়ে কিছু কথা হলো,
লাতিন আমেরিকার জাদু বাস্তবতা ছায়া ফেলে মাঝে-মাঝে
হয়তো ফের সাকুরার বারে
কিংবা দিশি মদের দোকানে যাবে ধুয়ে-মুছে নিতে
ঈর্ষা, ক্রোধ বাদ বিসম্বাদ; ওরা মাথা পেতে নেবে
অলৌকিক ঝর্ণাজল, মণিমুক্তো কত।

একটি মানুষ ব’সে আছে চুপচাপ, দপ ক’রে জ্বলে ওঠে
গোল চাঁদ চৈত্রের আকাশে। সে পেতেছে
যত ফাঁদ ছন্দ ও মিলের,
সব কিছু টপকিয়ে চলে গেছে কবিতার প্রকৃত সারস
কতবার। মগজের পথেরধনু, জোনাকিরা আসবে না
আজ রাতে, এখন পায়ের কাছে খবরের কাগজ লুটোয়।
জ্যোৎস্নার ভেতর থেকে কণ্ঠস্বর জেগে
ফিস ফিস কত কিছু ব’লে যায় তার কানে কানে শোনে কি না,
বোঝা দায়, শীর্ণ বাগানের পাতা ঝরে
মাথার উপর, অভ্যন্তরভাগে অনিবার্য গুউঞ্জরণ নেই।
৩।৪।৯১